মার্কেটিং কি এবং কিভাবে করবেন ? (মার্কেটিং কৌশল)

Last updated on July 24th, 2023 at 11:31 am

Marketing কাকে বলে : হেলো বন্ধুরা, আমি রাহুল আজ একটি নতুন বিষয় নিয়ে আপনাদের কাছে চলে এসেছি।

আজকে আমরা মার্কেটিং নিয়ে কিছু জরুরি তথ্যের ব্যাপারে জেনেনিব।

এবং, আজকের আর্টিকেলে আমরা শিখবো, “মার্কেটিং কি” (What is marketing in Bangla), “মার্কেটিং কত প্রকারের“, “কিভাবে করবেন মার্কেটিং” এবং কিছু গুরুত্বপূর্ণ “মার্কেটিং কৌশল” এর বিষয়ে।

এমনিতে, মার্কেটিং প্রত্যেকের ক্ষেত্রেই অনেক চেনা পরিচত একটি শব্দ, যেটার ব্যাপারে আমরা আজ নাহয় কাল অবশই শুনেছি।

তবে, মার্কেটিং শব্দটি শুনলে আপনার মনে সবচেয়ে প্রথমে কি চলে আসছে ?

আমি জানি, আপনিও একজন সাধারণ লোকের মতোই ভাবছেন, যারা মার্কেটিং এর মানে ভালো করে জানেননা।

তারা ভাবেন, মার্কেটিং মানে হলো, “একজন টাক-পড়া মাথার লোকের কাছে চিরুনি বিক্রি করার কৌশল টিকেই বলা হয় মার্কেটিং”.

তাছাড়া, অনেকেই মার্কেটিং মানে, পণ্যের বিক্রি বা সেলস (sales) কোড়ানোর প্রক্রিয়াটিকে বোঝেন।

তবে মনে রাখবেন, মার্কেটিং এর মানে সম্পূর্ণ আলাদা, এবং যেটার বিষয়ে সঠিক ভাবে জেনে নেওয়াটা অনেক জরুরি।

তাহলে, মার্কেটিং কি (what is marketing) ? কাকে এবং কোন প্রক্রিয়াটিকে বলা হয় মার্কেটিং ?

মার্কেটিং হলো, যেকোনো ব্র্যান্ড (brand), ব্যবসা (business), পণ্য (product) বা সার্ভিস (service) কে, মার্কেটে ও জনসাধারণের মধ্যে প্রচার করার এবং সেগুলির demand ও value বৃদ্ধি করার উদ্দেশ্যে, করা একটি প্রক্রিয়া।

এই প্রক্রিয়াতে, বিভিন্ন রকমের মার্কেটিং কৌশল ও স্ট্রেটাজি ব্যবহার করা হয়।

যেকোনো ছোট ব্যবসায়ী থেকে শুরু করে, মাল্টি ন্যাশনাল কোম্পানি গুলিকেও তাদের product, brand বা business এর মার্কেটিং করতে হয়।

এবং, কেবল এই মার্কেটিং প্রক্রিয়ার মাধ্যমেই, তারা আমাদের মতো জনসাধারনের কাছে তাদের brand, products ও services গুলির ব্যাপারে জানিয়ে দিতে পারেন।

তাছাড়া, বর্তমান সময়ে কিছু কার্যকর “মার্কেটিং কৌশল” ছাড়া, একটি business বা brand, সফলতা পূর্বক তাদের ব্যবসার মার্কেটিং করতে পারাটা সম্ভব না।

তাই, বর্তমানে যেকোনো business বা company গুলি, তাদের ব্যবসার মার্কেটিং করার ক্ষেত্রে, এমন কিছু marketing executives বা marketing manager নিযুক্ত করেন, যারা মার্কেটিং এর কৌশল নিয়ে কিছু বিশেষ জ্ঞান রাখেন।

মার্কেটিং কি ? (What Is Marketing in Bengali)

এমনিতে মার্কেটিং এর বিভিন্ন আলাদা আলাদা ডেফিনেশন রয়েছে।

তবে, সব থেকে গুরুত্বপূর্ণ definition এটাকেই বলা যেতে পারে যে,

“মার্কেটিং হলো এমন একটি management process, যার মাধ্যমে যেকোনো Goods বা services, একটি ধারণার (concept) মধ্যে দিয়ে পণ্যের আকারে গ্রাহকের কাছে চলে যাচ্ছে”।

এটা হলো এমন এক business process, যেখানে গ্রাহকের চাহিদা ও চাওয়া গুলিকে খুঁজে, products এবং services এর মাধ্যমে তাদের পরিতৃপ্ত (satisfy) বা সন্তুষ্ট করা হয়। 

তাছাড়া, আমরা এভাবেও বলতে পারি

মার্কেটিং প্রক্রিয়াটি হলো এমন একটি কৌশল, যার মাধ্যমে নিজের products এবং services এর প্রতি সম্ভাব্য গ্রাহকদের, আগ্রহী করে তোলা হয়। 

Marketing এর সব থেকে গুরুত্বপূর্ণ বিষয়টি হলো “প্রক্রিয়া” বা “process“.

এই সম্পূর্ণ প্রক্রিয়া বিভিন্ন বিষয়ের সাথে সংযুক্ত বা জড়িত।

যেমন,

গবেষণা করা (researching), প্রচার করা (promoting), বিক্রি করা (selling) এবং প্রোডাক্ট বা সার্ভিস গুলি বিতরণ (distributing) করা।

উদাহরণ স্বরূপে,

ধরুন, আপনি একটি নতুন smartphone তৈরি করার কথা ভাবছেন।

এখন, বাজারে এতো ভালো ভালো কোম্পানি রয়েছে যাদের মোবাইল, গ্রাহকেরা প্রচুর পছন্দ করেন

এর মধ্যে, লোকেরা আপনার মোবাইল কেন কিনবেন ?

এখানেই, আসছে গবেষণা (research) করার বিষয়টি, যেখানে আপনার খুঁজে বেড় করতে হবে যে গ্রাহকের চাহিদা কি।

আপনার গ্রাহক, কিরকম এবং কি কি feature, function বা কোন budget এর মোবাইল সহজে কিনে নিবেন, সেটা আপনার খুঁজে বের করতে হবে।

এবার, এরকম একটি মোবাইল তৈরি করার পর, আপনার করতে হবে promotion.

Product promotion এর বিভিন্ন কৌশলের মাধ্যমে, আপনি আপনার মোবাইল বা পণ্যের বিষয়টি লোকেদের কাছে নিয়ে যেতে হবে।

এবং, promotion এর মাধ্যমেই আপনার গ্রাহকদের বোঝাতে হবে যে,

কেন তারা আপনার বানানো মোবাইল কিনবেন ?” বা “আপনার মোবাইল কিনলে তাদের কি লাভ হবে ?“.

যদি আপনার বানানো মোবাইল বা যেকোনো পণ্য, গ্রাহকের চাহিদা পূরণ করছে বা তাদের লাভ হচ্ছে, তাহলে তারা সেটা অবশই কিনবেন।

শেষে, সঠিক প্রোডাক্ট প্রমোশন এর পর, আপনার কাজ থাকবে products selling এবং distributing.

এবং এই সম্পূর্ণ প্রক্রিয়াটিকেই বলা যেতে পারে মার্কেটিং (marketing process).

তাহলে আশা করছি, মার্কেটিং কাকে বলে (about marketing in bangla), বিষয়টি আপনারা বুঝে গেছেন।

সেলস (sales) এবং মার্কেটিং এর পার্থক্য কি ?

Marketing কাকে বলে, সেই বিষয়ে তো আমি আপনাদের বললাম। তবে, মার্কেটিং কাকে বলেনা, সেটাও আপনাদের জানা দরকার।

তবে, মার্কেটিং মানে সেলস (sales) বা পণ্যের বিক্রি করা বোঝায়না।

এর মানে, online বা offline বিভিন্ন মাধ্যমে branding, advertising এবং promotion করে, product টিকে জনসাধারণের মাঝে প্রচার করা।

মার্কেটিং এর কাজ হলো, লোকেদের সেই product এর বিষয়ে জানানো।

কিন্তু, মনে রাখবেন এই মার্কেটিং প্রক্রিয়ার রেজাল্ট (result) বা ফলাফল শেষে অবশই সেলস (sales) বা পণ্যের বিক্রিতেই পরিণত হয়।

মার্কেটিং এর উদ্দেশ্য পরোক্ষভাবে (indirectly) গিয়ে, product এর sales করানোটা যদিও এর মানে সম্পূর্ণ আলাদা।

কিন্তু,

সেলস (sales) এর পরিভাষা সম্পূর্ণ আলাদা।

সেলস মানে হলো সেই প্রক্রিয়াটি, যেখানে আপনি একটি “product বা service” সরাসরি গ্রাহকের কাছে বিক্রি করার উদ্দেশ্যে কাজ করছেন।

এই ক্ষেত্রে, যখন আপনি গ্রাহকের কাছে যাবেন, তখন আপনার উদ্দেশ্য থাকবে “গ্রাহককে আপনার পণ্যটি কিনে নেয়ার জন্য সন্তুষ্ট (convince) করা”.

তবে, মার্কেটিং হলো সেই প্রক্রিয়াটি, যেখানে products টির সেলস (sales) এর ক্ষেত্রে পরিকল্পনা (planning) করা হয়। 

তাহলে, সেলস এবং মার্কেটিং এর পার্থক্য হয়তো এখন আপনারা বুঝতেই পেরেছেন।

মার্কেটিং কত প্রকারের ও কি কি ? (Types of marketing)

মূলত মার্কেটিং এর প্রকার ২ টি।

  • B2B – Business to business
  • B2C – Business to consumer 

1. Business to business marketing

Business to business (B2B) মার্কেটিং কে B-to-B marketing বলেও বলা হয়।

এটা মার্কেটিং এর এমন এক প্রক্রিয়া যেখানে, ব্যবসায়ী দের মাঝখানে লেনদেন (transactions) করা হয়।

উদাহরণ স্বরূপে,

ধরুন আপনি একটি manufacture company এবং আপনি আপনার ব্যবসার মার্কেটিং করছেন একজন wholesaler এর কাছে।

বা, একটি wholesaler business এর সাথে লেনদেন বা প্রমোশন ঘটিত হচ্ছে একটি retail business এর মধ্যে।

মনে রাখবেন, এই ক্ষেত্রে একটি ব্যবসা কিন্তু সাধারণ গ্রাহকের কাছে কোনো রকমের লেনদেন, প্রচার বা মার্কেটিং করছেননা।

এভাবে, একটি business অন্য একটি business এর সাথে বা কাছে করা মার্কেটিং এর প্রক্রিয়াটিকে বলা হয় “business to business” মার্কেটিং।

2. Business to consumer marketing 

B2C র ক্ষেত্রে, আমরা সরাসরি উপভোক্তা (consumer) বা গ্রাহক দের টার্গেট করে, প্রচার, প্রমোশন বা এডভার্টাইসিং (advertising) বা অন্যান্য মার্কেটিং এর কৌশল গুলি এপলাই করি।

উদাহরণ স্বরূপে, 

ধরুন আপনি একটি কলমের মার্কেটিং করতে চাচ্ছেন।

এখন, যদি আপনি সেই কলমটি নিয়ে সাধারণ লোকেদের মধ্যে গিয়ে প্রচার, প্রমোশন বা এডভার্টাইসিং করেন, তাহলে সেটাকে B2C মার্কেটিং বলা হয়।

তাই, business to consumer হলো এমন এক মার্কেটিং কৌশল, যেখানে জনসাধারণের কাছে (individual people) গিয়ে ব্যবসার প্রচার করা হয়।

এই ক্ষেত্রে, অনলাইন এবং অফলাইনে বিভিন্ন প্রক্রিয়া ব্যবহার করে মার্কেটিং করা হয়।

মার্কেটিং কিভাবে করা হয় ?

ওপরে আপরা জেনে নিলাম যে, “মার্কেটিং কাকে বলে”.

এখন নিচে আমরা জানবো, “কিভাবে মার্কেটিং করা হয়” বা কি কি প্রক্রিয়া ব্যবহার করে product & services গুলির marketing করা যেতে পারে।

এমনিতে আমরা ৩ টি কৌশল বা স্ট্রাটাজি ব্যবহার করে পণ্যের মার্কেটিং করতে পারি।

  1. Traditional marketing 
  2. Digital marketing 
  3. Word of mouth 

Traditional marketing :

এই ক্ষেত্রে, কিছু পুরোনো এবং বর্তমানে অনেক খানি লুপ্ত হয়ে যাওয়া কিছু কৌশল ব্যবহার করে marketing করা হয়।

Newspaper, templates, banners, TV তে বিজ্ঞাপন, radio তে বিজ্ঞাপন ইত্যাদি, কিছু গতানুগতিক (traditional) প্রক্রিয়া গুলি এই traditional marketing এর প্রক্রিয়া হিসেবে ব্যবহার করা হচ্ছে।

এই প্রক্রিয়াতে physical advertising সব থেকে অধিক গুরুত্বপূর্ণ বিষয়।

তবে, বর্তমান সময়ে এই ধরণের physical marketing প্রক্রিয়া গুলির ব্যবহার অনেক কমে যাচ্ছে।

কারণ, এই ক্ষেত্রে লক্ষ্যবস্তু গ্রাহকদের টার্গেট করা কঠিন।

Digital marketing :

Online এ internet এর মাধ্যমে করা মার্কেটিং এর প্রক্রিয়াকেই বলা হয় “Digital marketing“.

ডিজিটাল মার্কেটিং কে, “অনলাইন মার্কেটিং” বা “ইন্টারনেট মার্কেটিং” বলেও বলা হয়।

বর্তমান সময়ে, ইন্টারনেটের মাধ্যমে করা এই আধুনিক মার্কেটিং এর কৌশল অনেক জনপ্রিয় এবং কার্যকর।

এর মাধ্যমে, আপনি অনেক সহজেই ঘরে বসে বসে লক্ষ্যবস্তু গ্রাহকদের কাছে নিজের product বা services প্রমোশন করতে পারবেন।

কারণ, এখানে ব্যবহার হচ্ছে ইন্টারনেটের, এবং ইন্টারনেটে যেকোনো সময় কোটি কোটি লোকেরা সক্রিয় থাকেন।

আজ যেকোনো ছোট বা বড় কোম্পানি বা ব্যবসা গুলি, এই ডিজিটাল মার্কেটিং এর মাধ্যমে তাদের brand এবং products গুলির প্রচার চলিয়ে যাচ্ছেন।

তাছাড়া, অনলাইন মার্কেটিং এর ক্ষেত্রে, আপনি নিজের বাজেট (budget) হিসেবে promotion বা advertisement করতে পারবেন।

এর মাধ্যমে, আপনি যেকোনো product, image, service, business, brand, blog, website বা video content, ঘরে বসে থাকা targeted audience এর কাছে promote করতে পারবেন।

তবে, Digital marketing বা internet marketing এর মাধ্যমে online marketing করার বিভিন্ন আলাদা আলাদা প্রক্রিয়া রয়েছে।

Types of digital marketing in Bengali 

  • Social media marketing : এই ক্ষেত্রে social media platform গুলির মাধ্যমে ব্যবসার প্রচার চলানো হয়।
  • Content marketing : অনলাইনে কনটেন্ট (text/image/video) পাবলিশ করে মার্কেটিং করা হয়।
  • Affiliate marketing : বর্তমান সময়ে, অনলাইন মার্কেটিং এর সবচেয়ে জনপ্রিয় উপায় হলো এই এফিলিয়েট মার্কেটিং। এখানে, কমিশন আয়ের বিনিময়ে blogger, YouTuber বা freelancers দের দিয়ে পণ্যের মার্কেটিং করানো হয়।
  • Email marketing : ইমেইল পাঠিয়ে করা প্রক্রিয়াকেই email marketing হলে হয়।
  • Paid advertisements : অনলাইনে কিছু জনপ্রিয় advertisement company যেমন, “Google ads”, “Facebook ads” ইত্যাদি দের টাকা দিয়ে, targeted audience এর কাছে করা হয় paid marketing.
  • SEO (search engine optimization) : ইন্টারনেটে থাকা বিভিন্ন সার্চ ইঞ্জিন (Google, Yahoo, Bing) গুলির মাধ্যমে organic ভাবে কোনো টাকা না দিয়ে করা মার্কেটিং এর ক্ষেত্রে, SEO র কৌশল এর প্রয়োজন।

এবং, এগুলি ছাড়াও আরো কিছু প্রকার রয়েছে যেগুলি digital marketing এর প্রক্রিয়ার ভেতরে ধরা হয়।

অবশই পড়ুন

তবে, এগুলি কিন্তু সব থেকে অধিক গুরুত্বপূর্ণ এবং সেরা।

Word of mouth :

এমনিতে, এই মার্কেটিং এর প্রক্রিয়া যথেষ্ট লাভজনক এবং এর মাধ্যমে অনেক নতুন নতুন কোম্পানি গুলি প্রচুর জনপ্রিয় হয়ে দাঁড়িয়েছে।

ওয়ার্ড অফ মাউথ মার্কেটিং (word of mouth marketing) প্রক্রিয়াটি কেবল তখন সম্পন্ন হয় যখন,

গ্রাহকের বা উপভোক্তার, product বা service টি ভালো লাগবে এবং তারা সেই product এর বিষয়ে তাদের ব্যক্তিগত জীবনে শব্দের মাধ্যমে প্রকাশ করবে।

আপনি ভেবে দেখুন, যখন আপনার যেকোনো একটি মোবাইলের মডেল ব্যবহার করে ভালো লাগে, তখন আপনি কি করেন ?

সেই মোবাইলের গুন্ এবং ফীচার গুলির ব্যাপারে অবশই নিজের পরিবারের সদস্যদের বা বন্ধুদের বলেন।

সোজা ভাবে বললে, মোবাইলটি অন্যের কাছে প্রোমোট করেন।

এতে, সেই মোবাইলের মডেল ও কোম্পানি বা ব্রান্ডের (brand) ফ্রীতেই মার্কেটিং হয়ে যাচ্ছে, এবং সেটা করছে একজন উপভোক্তা বা গ্রাহক হিসেবে আপনি নিজেই।

উদাহরণ স্বরূপে,

Redmi, Oppo, poco বা realme, এই ধরণের smartphone গুলি যখন বাজারে এসেছিলো, তখন এদের ব্যাপারে আমরা কেও জানতামনা।

তবে, এই word-of-mouth marketing এর মাধ্যমেই আজ এই mobile brand গুলি যথেষ্ট জনপ্রিয় হয়ে দাঁড়িয়েছে।

কারণ, এই মোবাইলের কোম্পানি গুলি অনেক কম দামেই স্মার্টফোন তৈরি করছেন এবং যথেষ্ট ভালো ভালো features এবং function সেখানে রয়েছে।

আর তাই, মোবাইল গুলি যারা ব্যবহার করছেন, তারা প্রত্যেককেই এই মোবাইল গুলি কেনার পরামর্শ দিচ্ছেন।

এতে, সাধারণ লোকের মাধ্যমেই মার্কেটিং এর কাজ হয়ে যাচ্ছে।

মার্কেটিং এর কিছু কৌশল বাংলাতে (Marketing strategies)

একটি ব্যবসাকে সফলতার দিকে নিয়ে যাওয়াটা এমনিতে অনেক কষ্টের বিষয় হতে পারে, যদি আপনি কিছু সেরা মার্কেটিং কৌশলের ব্যাপারে না জেনে থাকেন।

তাই, এখন আমরা মার্কেটিং এর কিছু কৌশল এর বিষয়ে জেনেনিব, যেগুলি মার্কেটিং এর সম্পূর্ণ প্রক্রিয়ার ক্ষেত্রে অনেক জরুরি।

  1. গ্রাহকের চাহিদা এবং প্রয়োজনীয়তা নিয়ে সবচে আগে ভাবতে হবে। আপনার product বা service ব্যবহার করে গ্রাহকের কি লাভ হবে, সেটা সবচেয়ে আগেই তাদের ধ্যানে দিয়ে দিতে হবে।
  2. গ্রাহকের বাজেট (budget) কতটা, সেটা জানার চেষ্টা করুন। তারপর, সেই কথা নিজের জ্ঞানে রেখে আপনার product এর দাম যদি অনেক কম তাহলে সেটা কেন কম বা যদি বেশি তাহলে সেটা কেন বেশি সেটাও উপভোক্তাকে বুঝিয়ে বলুন।
  3. আপনার product বা service কেন অন্যদের তুলনায় ভালো, সেটা বোঝাতে পারলে, ৬০% উপভোক্তারা অধিক আগ্রহী হবেন।
  4. ৭০% উপভোক্তারা একটি ভালো brand এর product বা services ব্যবহার করেন। কারণ, তারা ভাবেন যে, ভালো brand মানে ভালো product ও service. তাই, সবচেয়ে আগেই নিজের business brand এর একটি ভালো ছবি তৈরি করতে হবে।
  5. Online marketing বা digital marketing এর মাধ্যমে, অনেক সহজে যেকোনো location বা যেকোনো বিষয়ে রুচি রাখা audience কে টার্গেট করে বিজ্ঞাপন চালাতে পারবেন। এতে, ঘরে বসে থাকা ব্যক্তিরাও আপনার business বা brand এর বিষয়ে ইন্টারনেটের মাধ্যমে জেনে নিতে পারবেন।
  6. ব্যবসার নামে social media profile তৈরি করে, ইন্টারনেট এবং সোশ্যাল মিডিয়ার মাধ্যমে, নিজের audience বা consumer এর সাথে সংযুক্ত হয়ে থাকতে পারবেন। তাছাড়া, এভাবে আপনার product গুলি নিয়ে তাদের সমস্যা বা পরামর্শ গুলি socially পেতে থাকবেন।

তাহলে বন্ধুরা, আমি ওপরে আমার হিসেবে কিছু মার্কেটিং কৌশল গুলির বিষয়ে বললাম, যেগুলি ব্যবহার করে আপনারা নিজের মার্কেটিং এর কৌশল গুলি উন্নত করতে পারবেন।

 

আমাদের শেষ কথা,

তাহলে বন্ধুরা, আশা করছি মার্কেটিং নিয়ে আপনাদের মনে থাকা প্রশ্নের উত্তর আপনারা পেয়ে গেছেন।

মার্কেটিং এ সফল হওয়ার উপায় একটাই, আপনার সম্পূর্ণ স্পষ্ট এবং সঠিক ভাবে মার্কেটিং এর অর্থটি বুঝতে হবে।

এবং, মনে রাখবেন যে, মার্কেটিং মানে কিন্তু সেলস (sales) নয়।

তবে, আমি বলা মার্কেটিং করার কৌশল গুলির ব্যাপারে অল্প ধ্যান দিয়ে দেখবেন ও বিষয়টি বুঝতে চেষ্টা করবেন।

তাছাড়া, মার্কেটিং নিয়ে যদি কোনো অন্য প্রশ্ন বা সমস্যা আপনাদের রয়েছে, তাহলে নিচে কমেন্টের মাধ্যমে আমাকে জিগেশ করুন।

6 thoughts on “মার্কেটিং কি এবং কিভাবে করবেন ? (মার্কেটিং কৌশল)”

  1. Avatar

    আসসালামুয়ালাইকুম কেমন আছেন। স্যার আমি গ্ৰামীন ফোনে চাকরি করে । আমি সিম সেল করি । কীভাবে আমি বেশি সিম সেল করতে পারি ,,,, যদি কিছু আইডিয়া দেন ভালো হয়

    1. Avatar

      Digital marketing এর মাধ্যমে প্রচুর গ্রাহক পেতে পারবেন।

    1. Avatar

      Dealer রা product কিনেন এবং খুচরা হিসেবে সরাসরি customers দের সেগুলো বিক্রি করে থাকে। তবে, distributers রা সরাসরি কোম্পানি থেকে products কিনেন এবং dealers দের ভারী মাত্রায় বিক্রি করেন।

  2. Avatar

    একজন ক্লাইন্ট সাথে ফোনে কথা বলার ধরণটা কেমন হতে পারে?…

Leave a Comment

Your email address will not be published. Required fields are marked *

error:
Scroll to Top