মেয়েদের পার্ট টাইম জব: মেয়েদের জন্য ঘরে বসে করার মতো অনলাইন জব – (২০২৫)

এখন চলছে ২০২৫ সাল, সত্যি বলতে এখনের এই আধুনিক এবং ডিজিটাল যুগে মেয়েদের জন্য ঘরে বসে জব করার বিকল্পটি অনেক সুবিধাজনক এবং লাভজনক হয়ে উঠেছে। একজন মহিলা হিসেবে, হতে পারে আপনি নিজের খালি সময়টিকে কাজে লাগিয়ে অনলাইনে কাজ করে পার্ট-টাইম ইনকাম করতে চাইছেন, আবার এমনও হতে পারে যে আপনি ঘরে বসে অনলাইন জব করার মাধ্যমে ফুল-টাইম ইনকাম করতে চাইছেন। এই দুটো ক্ষেত্রেই কিন্তু বর্তমানে মেয়েদের জন্য অনলাইন জবের প্রচুর সুযোগ উপলব্ধ রয়েছে।

মেয়েদের পার্ট টাইম জব: মেয়েদের জন্য ঘরে বসে করার মতো অনলাইন জব
Best Online Jobs Ideas For Women/Girls (মেয়েদের পার্ট টাইম জব)।

অনলাইন চাকরির আবার আলাদাভাবে বিশেষ কিছু সুবিধাও রয়েছে। এক্ষেত্রে আপনি নিজের পছন্দমতো যেকোনো জায়গার থেকে কাজ করতে পারেন। এছাড়া, অনলাইন কাজের ক্ষেত্রে আপনি আপনার ইন্টারেস্ট, দক্ষতা, সুবিধা এবং অভিজ্ঞতার ভিত্তিতে কাজ সিলেক্ট করার স্বাধীনতা পেয়ে থাকেন। Freelancing থেকে শুরু করে blogging, ফ্রিল্যান্স কনটেন্ট লেখক থেকে শুরু করে অনলাইনে টিউশনি করানো, মেয়েরা করতে পারবেন এমন অনলাইন কাজের বিকল্প প্রচুর রয়েছে।

ব্লগের ইন্ট্রো পড়েই আপনারা বুঝে গিয়েছেন হয়তো, আজকের আমাদের আর্টিকেলের বিষয়টি হলো, ‘মেয়েরা অনলাইনে কি কি উপায়ে টাকা ইনকাম করতে পারবেন?‘ আর এই প্রশ্নের উত্তর হিসেবে এই আর্টিকেলের মধ্যে আমরা মূলত ৩০টি এমন অনলাইন জব বা কাজের বিষয়ে আপনাদের বলেছি যেগুলো মেয়েরা নিজের ঘরে বসে শুরু করে পার্ট-টাইম বা ফুল-টাইম ইনকাম করতে পারবেন।

রিলেটেড আর্টিকেল: কুইজ খেলে টাকা ইনকাম করুন 

আর্টিকেল সূচি: show

মেয়েরা ঘরে বসে অনলাইনে পার্ট টাইম জব কিভাবে করবেন?

প্রথমত, একজন মেয়ে হিসেবে আপনি অনলাইনে একাধিক পার্ট টাইম কাজ গুলো করে নিয়মিত অর্থ উপার্জন করতে পারেন। যদি আপনার মধ্যে বিশেষ কোনো কাজের অভিজ্ঞতা, জ্ঞান এবং কৌশল আছে, সেক্ষেত্রে আপনি ফ্রিল্যান্সিং করে মাসে ৫ হাজার থেকে ৫০ হাজার টাকা পর্যন্ত ইনকাম করে নিতে পারবেন।

এক্ষেত্রে আপনি, একটি বা একাধিক ফ্রিল্যান্সিং প্লাটফর্ম যেমন Upwork বা Freelancer-এ নিজের একটি ফ্রি অ্যাকাউন্ট খুলতে হবে। আসলে এই ফ্রিল্যান্সিং প্লাটফর্ম গুলোর মধ্যে, বিভিন্ন ধরণের কাজ গুলো করানোর উদ্যেশ্যে নানান কোম্পানি এবং ব্যক্তিদের দ্বারা নানান প্রজেক্ট/কাজ গুলো পোস্ট করা হয়। এবার আপনি চাইলে আপনার ইন্টারেস্ট এবং দক্ষতা অনুযায়ী ফ্রিল্যান্সিং প্লাটফর্মগুলোতে উপলব্ধ নানান প্রজেক্ট গুলো সম্পূর্ণ করে নিয়মিত অর্থ উপার্জন করতে পারবেন।

দ্বিতীয়ত, মেয়েরা চাইলে অনলাইনে উপলব্ধ নানান টিউটরিং সাইট গুলো যেমন Chegg বা Vedantu ইত্যাদিতে একজন শিক্ষিকা হিসেবে যুক্ত হয়ে অনলাইনে পড়াশোনা করিয়ে টাকা ইনকাম করতে পারেন।

মনে রাখবেন, এই ধরণের online tutoring jobs গুলো পেতে আপনাকে ইন্টারভিউ দিতে লাগতে পারে। ইন্টারভিউতে উত্তীর্ণ বা সফল হতে পারলেই অনলাইন শিক্ষিকার এই চাকরি আপনি পেতে পারবেন। নিজের দেশে উপলব্ধ অনলাইন শিক্ষক-শিক্ষিকার চাকরি খুঁজতে আপনারা LinkedIn ওয়েবসাইটটির সাহায্য নিতে পারবেন।

তৃতীয়ত, আপনি যদি লেখালেখি করতে পছন্দকরেন বা কনটেন্ট রাইটিং নিয়ে ভালো অভিজ্ঞতা আছে, সেক্ষেত্রে একজন কনটেন্ট লেখক হিসেবে কাজ শুরু করতে পারেন। এক্ষেত্রে আপনি চাইলে অন্যান্য blog, website বা brand এর জন্য কনটেন্ট লিখে লেখা প্রতিটি শব্দের জন্য টাকা চার্জ করতে পারেন।

আবার, চাইলে নিজের একটি blog site তৈরি করে নিজেই নিজের জন্য আর্টিকেল লিখে সেগুলো নিজের ব্লগে পাবলিশ করতে পারেন। এর পর আপনি নিজের ব্লগে বিজ্ঞাপন দেখিয়ে, গেস্ট পোস্ট করে, ডিজিটাল পণ্য বিক্রি করে এবং অন্যান্য নানান উপায়ে টাকা উপার্জন করতে পারবেন।

এগুলো ছাড়াও, একজন সোশ্যাল মিডিয়া ম্যানেজার, ভয়েস ওভার আর্টিস্ট, ভিডিও এডিটর, অ্যানিমেশন মেকার, গ্রাফিক ডিজাইনার বা ভার্চুয়াল অ্যাসিস্ট্যান্ট হিসেবেও মেয়েরা অনলাইনে প্রচুর কাজের সুযোগ পেতে পারবেন। মনে রাখবেন, অনলাইনে কাজ করার সময় আপনার প্রয়োজন হবে একটি ভালো ইন্টারনেট কানেকশন এবং একটি কম্পিউটার/ল্যাপটপের।

মেয়েদের জন্য কোন অনলাইন কাজ গুলো সব থেকে ভালো?

অনলাইনে মেয়েদের জন্য কাজের প্রচুর সুযোগ গুলো উপলব্ধ থাকার কথা আমি আগেই বলেছি। যদি আপনার মধ্যে টেকনিক্যাল জ্ঞান ও দক্ষতা আছে, সেক্ষেত্রে আপনি গ্রাফিক ডিজাইন, ভিডিও এডিটিং বা ওয়েব ডেভেলপমেন্টের মতো টেকনিক্যাল কাজ গুলো করতে পারবেন। এই ধরণের টেকনিক্যাল কাজ গুলো জানা থাকলে মহিলারা ঘরে বসে নানান freelancing platform গুলোতে গিয়ে সহজেই কাজ পেতে পারবেন। তবে এই কাজের ক্ষেত্রে সৃজনশীলতার এবং শুরুতে ধর্য্যের প্রচুর দরকার অবশই আছে।

মেয়েদের জন্য লেখালেখির কাজ গুলো কিন্তু অনেকটা সুবিধাজনক হতে পারে। এক্ষেত্রে আপনাকে নিজের ঘরে বসে নানান ওয়েবসাইট, ব্লগ, কোম্পানি, ইত্যাদির জন্য টেক্সট কনটেন্ট গুলো লিখতে হয়। লেখালেখি করে ইনকাম করার ক্ষেত্রে ব্লগিংও কিন্তু খুব জনপ্রিয়তা লাভ করছে। একটি ব্লগ সাইট তৈরি করে আপনি নিজের অভিজ্ঞতা, চিন্তা ও ভাবনা গুলোকে নিজের ব্লগে প্রকাশ করতে পারবেন। ধীরে ধীরে যখন আপনার ব্লগে ইউজারদের সংখ্যা বাড়বে, আপনি নানান উপায়ে নিজের ব্লগ থেকে ইনকাম করতে পারবেন।

একজন মেয়ে হিসেবে যদি আপনার ফ্যাশন বা সাজগোজের প্রতি আগ্রহ থেকেথাকে, তাহলে একটি অনলাইন ফ্যাশন স্টোর তৈরি করে সেখানে ফ্যাশন এবং সাজগোজের সাথে রিলেটেড পণ্য গুলো বিক্রি করতে পারেন। এছাড়া একজন ভার্চুয়াল অ্যাসিস্ট্যান্ট বা সোশ্যাল মিডিয়া ম্যানেজার হিসেবে কাজ করে আপনি বিভিন্ন ব্যবসা বা ব্র্যান্ডকে তাদের অনলাইন উপস্থিতি বাড়াতে সাহায্য করতে পারেন।

উপরে বলে দেওয়া এই কাজগুলো শুধুমাত্র একটি ল্যাপটপ এবং ইন্টারনেট কানেক্শনের দ্বারা শুরু করা যেতে পারে। এছাড়া কাজগুলো ঘরে বসেই করা যাবে। তাই আমার হিসেবে, এই কাজ গুলো মেয়েদের জন্য খুবই সুবিধাজনক এবং পাশাপাশি লাভজনক হিসেবে প্রমাণিত হতে পারে।

মেয়েদের জন্য ঘরে বসে করার মতো অনলাইন জবের তালিকা: পার্ট টাইম জব আইডিয়া – ২০২৫

মেয়েদের জন্য অনলাইন জব:কি করতে হয়?
১. কনটেন্ট রাইটিং জব,ব্লগ/ওয়েবসাইটের জন্য আর্টিকেল লিখতে হয়।
২. ফ্রীল্যান্স রাইটিং জব,ক্লায়েন্টদের জন্য ফ্রীল্যান্স রাইটিং।
৩. অনলাইন টিউশন জব,অনলাইনে পড়াশোনা করানো।
৪. ইউটিউব চ্যানেল তৈরি,ভিডিও আপলোড করতে হয়।
৫. অনলাইন সোশ্যাল মিডিয়া হ্যান্ডেলিং জব,সোশ্যাল মিডিয়া একাউন্ট হ্যান্ডেল করতে হয়।
৬. অনলাইন ডাটা এন্ট্রি জব,নানান ধরণের ডাটা এন্ট্রি কাজ।
৭. অনলাইন ফর্ম ফিল আপ করা,এটাও এক ধরণের ডাটা এন্ট্রি জব।
৮. অনলাইন বিজনেস করুন,অনলাইন জব হিসেবে ব্যবসা করা।
৯. ওয়েব ডিজাইন ব্যবস,ওয়েবসাইট তৈরি এবং ডিজাইন করতে হয়।
১০. অনলাইন টাইপিং জবস,অনলাইনে নানান টাইপিং রিলেটেড কাজ।
১১. অনলাইন ট্রান্সলেটর ওয়ার্ক,ট্রান্সলেশন রিলেটেড কাজ করতে হয়।
১২. অনলাইন ব্লগ তৈরি করুন,ব্লগ সাইট তৈরি করে আর্টিকেল লিখতে হয়।
১৩. অনলাইন রিসেলিং ব্যবসা,পণ্য গুলিকে অনলাইনে রিসেল করতে হয়।
১৪. সোশ্যাল মিডিয়া ইনফ্লুয়েন্সার,সোশ্যাল মিডিয়াতে জনপ্রিয়তা লাভ করতে হয়।
১৫. অনলাইনে কোর্স বিক্রি করা,অনলাইনে কোর্স বিক্রি করতে হয়।
১৬. Fiverr-এর মধ্যে ফ্রিল্যান্সিং কাজ করুন,ছোট ছোট কাজ গুলি করতে হয়।
১৭. পেইড সার্ভে সম্পূর্ণ করার কাজ,অনলাইনে সার্ভে করে ইনকাম করতে হয়।
১৮. খাওয়ার ডেলিভারি ব্যবসা,নানান জায়গাতে খাওয়ার ডেলিভারি করুন।
১৯. বেকারি ব্যবসা করুন,অনলাইনে বেকারি আইটেম সেল করুন।
২০. GPT Website-এ কাজ করুন,নানান ছোট ছোট কাজ করে ইনকাম করুন।
২১. অনলাইন সার্ভে ওয়েবসাইট,সার্ভে পূরণ করে ইনকাম করুন।
২২. ট্রান্সক্রিপশন পরিষেবা,ফাইল বা ডাটার প্রতিলিপি তৈরি করতে হয়।
২৩. অ্যাফিলিয়েট মার্কেটিং করুন,নানান ব্র্যান্ড থেকে কমিশন আয় করুন।
২৪. অনলাইনে ছবি বিক্রি করুন,তোলা ছবি অনলাইনে সেল করে ইনকাম।
২৫. Voiceover আর্টিস্ট,ভয়েস রেকর্ড করে ইনকাম।
২৬. Beauty/Fashion Products বিক্রি,ইনস্টাগ্রামে পণ্য বিক্রি করুন।
২৭. অনলাইন ফিটনেস প্রশিক্ষক,ফিটনেস প্রশিক্ষক হিসেবে ইনকাম।

চলুন, মেয়েদের জন্য ঘরে বসে জব করার প্রতিটি উপায় গুলোর বিষয়ে এবার আমরা নিচে বিস্তারিত জেনেনেই।

১. কনটেন্ট রাইটিং জব:

কনটেন্ট রাইটিং জব

মেয়েদের জন্য ঘরে বসে অনলাইনে করার মতো একটি অনেক জনপ্রিয় ও লাভজনক কাজ হলো কনটেন্ট রাইটিং জবস। বর্তমান সময়ে, অনলাইনে এমন অনেক প্লাটফর্ম গুলো উপলব্ধ রয়েছে যেখানে নানান ধরণের কনটেন্ট রাইটিং বা লেখালেখির কাজ গুলো অফার করা হয়ে থাকে। উদাহরণ স্বরূপ, নানান freelancing platform, blog, website, brand social media page ইত্যাদি এই ধরণের প্লাটফর্ম গুলোর জন্য নিয়মিত কনটেন্ট পাবলিশ করানোর উদ্দেশ্যে একজন দক্ষ রাইটার খোঁজা হয়।

আপনি যদি ফেসবুক, হোয়াটসঅ্যাপ বা অন্যান্য সোশ্যাল মিডিয়া সাইট ইত্যাদিতে টুকিটাকি লেখেন, এবং লেখালেখি করতে পছন্দ করেন, তাহলে অবশ্যই কনটেন্ট রাইটিং আপনার জন্য উপযুক্ত। কাজ পাওয়ার জন্য, আপনাকে এমন ফ্রিল্যান্সিং প্লাটফর্ম, ওয়েবসাইট, ব্লগ ইত্যাদির সাথে যোগাযোগ করতে হবে যারা একজন কনটেন্ট রাইটার খুঁজছেন।

এক্ষেত্রে আপনি যে কোন অনলাইন সংবাদপত্র বা অনলাইন নিউজ চ্যানেল/পোর্টাল গুলির সাথেও যোগাযোগ করলে ভালো। কনটেন্ট রাইটিং এর কাজে প্রতিশব্দ পিছু আপনাকে টাকা দেওয়া হবে এবং আর্টিকেল লেখার জন্য টপিকস ও আপনাকে দিয়ে দেওয়া হবে। আপনার মধ্যে ক্রিয়েটিভ ভাবে লেখালেখি করার অভিজ্ঞতা থাকলে, বা আপনি নিজে একজন দক্ষ ক্রিয়েটিভ রাইটার হলে কিংবা আপনার লেখার মধ্যে ক্রিয়েটিভিটি থাকলে আপনি অবশ্যই একজন এক্সপার্ট কনটেন্ট রাইটার হিসেবে ঘরে বসেই করতে পারবেন নিয়মিত ইনকাম।

Related: অনলাইনে আর্টিকেল লিখে টাকা আয় 

২. ফ্রীল্যান্স রাইটিং জব:

ফ্রীল্যান্স রাইটিং জব

মেয়েদের জন্য অনলাইনে আয় করার সবচেয়ে জনপ্রিয় উপায় হলো এটি। কেননা, এক্ষত্রে লেখালেখির (content writing) কাজ গুলি খোঁজার জন্য আপনাকে সরাসরি কোনো ওয়েবসাইট, পোর্টাল বা পেজ, ইত্যাদির কাছে গিয়ে কাজ খুঁজতে হয়না। মূলত, যেসব ওয়েবসাইটে ফ্রিল্যান্সিং করে আয় করা যায় সেই ওয়েবসাইট গুলির থেকেই আপনি নিয়মিত লেখালেখির কাজ পেতে পারবেন।

এক্ষেত্রে আপনাকে একটি বা একাধিক ফ্রিল্যান্সিং ওয়েবসাইট গুলিতে গিয়ে নিজের নাম নথিভুক্ত করাতে হবে বা অ্যাকাউন্ট খুলতে হবে। এবার, সাইট গুলিতে নিজের দক্ষতা অনুযায়ী কাজের জন্যে অ্যাপ্লাই করতে হবে আপনাকে। 

আপনি কি কি পারেন ও কি কি করেন সেই তালিকা দেখে নিয়ে আপনাকে নানান ক্লায়েন্টসরা কিছু প্রজেক্ট অফার করে থাকেন। আবার অনেক ফ্রিল্যান্সিং ওয়েবসাইট গুলির ক্ষেত্রে আপনাকেই কাজ গুলো বেছে নিতে হয়। নিজের কাজ গুলি টাইমলি কমপ্লিট করতে পারলে এই সাইট গুলির থেকে ঘন্টা হিসেবেও ইনকাম করা যায় এখানে।

৩. অনলাইন টিউশন জব:

অনলাইন টিউশন জব

টিউশনি করানোটা আমার হিসেবে মেয়েদের জন্য সব থেকে সেরা এবং সুবিধাজনক একটি কাজ। তবে, অফলাইনে টিউশনি করানোর ক্ষেত্রে অনেক সীমাবদ্ধতা গুলি রয়েছে। এক্ষেত্রে আপনাকে ঘরের বাইরে গিয়ে সারা দিন ঘুরে ঘুরে টিউশনি করতে হয়। এছাড়া, একবারে কেবল সীমিত পরিমানের ছাত্রদেরই পোড়ানো যায়।

কিন্তু যখন আপনি অনলাইন মাধ্যমে টিউশন করাবে তখন আপনি নিজের ঘরে বসেই শুধুমাত্র নিজের ট্যাব বা ল্যাপটপের সাহায্যে এক সাথে ১০০-২০০ ছাত্রদের পড়াতে পারবেন। এক্ষেত্রে, কম সময়ে অধিক ছাত্রদের পোড়ানো যাবে এবং একটি ব্যাচ থেকে অধিক ইনকাম করা যাবে। তাই, অনলাইন টিউশন করেও আপনি অর্থ উপার্জন করতে পারেন।

ধরুন আপনি অনেক উচ্চশিক্ষিত একজন ব্যক্তি, বাড়িতে বসে আছেন, চাকরি পাননি বা চাকরীর চেষ্টা করছেন। এক্ষেত্রে, নিচু ক্লাস থেকে শুরু করে উঁচু ক্লাস পর্যন্ত যে কোন বোর্ডের ছেলে মেয়েদের পড়ান। সপ্তাহে দুই থেকে তিন দিন একটি করে ব্যাচ করুন। মান্থলি ভালো ইনকাম হবে। আপনার চাকরির পাওয়ার চেষ্টাতেও পড়াশোনা গুলি আপনাকে অনেক সাহায্য করবে।

৪. ইউটিউব চ্যানেল তৈরি:

ইউটিউব চ্যানেল তৈরি

অনেকে বলেন ইউটিউব চ্যানেল খুলে অর্থ উপার্জন হয় না। হ্যাঁ ইউটিউব চ্যানেল খোলা মাত্রই আপনি অর্থ উপার্জন করতে পারবেন না। অর্থ উপার্জন করতে গেলে যে কোন জিনিসের উপরেই বিশ্বাস, ভরসা ও ধৈর্য্য রাখতে হবে এবং নিয়মিত কাজও করতে হবে।

এক্ষেত্রে, আপনি যে জিনিস গুলি করতে ভালোবাসেন, সে রান্না থেকে শুরু করে যেকোনো জিনিস হতে পারে, সেটা কাগজে লিখুন। হতে পারে কবিতা পাঠ, হতে পারেন নাচ অথবা গান কিংবা পড়াশোনা অথবা খাওয়া-দাওয়া, হতে পারে কোন এক্সপেরিমেন্ট, বা কোনো বিশেষ বিষয়ে তথ্য প্রদান করতে আপনি পছন্দ করেন।

যেই বিষয়ে আপনার প্রচুর জ্ঞান এবং রুচি রয়েছে, যেই বিষয়টি নিয়ে আপনি সরাসরি নিজের একটি ইউটিউব চ্যানেল তৈরি করতে পারবেন। ধীরে ধীরে আপনার চ্যানেলের সাবস্ক্রাইবার ও ভিউয়ার্স বাড়লে, আপনি বছর দুয়েক পর থেকেই প্রতি মাসে ২০ হাজার থেকে ১ লাখ টাকা ও ইনকাম করার সুযোগ পেতে পারবেন।

এর সম্ভাবনা অবশই রয়েছে। কেননা, অনেকেই আজ ইউটিউবে কাজ করে অনলাইনে লক্ষ লক্ষ টাকা ইনকাম করার বিষয়টা কিন্তু লুকিয়ে নেই। এমনও অনেকে ব্যক্তিরা রয়েছে যারা নিজের ইউটিউব চ্যানেলে শুধুমাত্র খাওয়া-দাওয়া করার ভিডিও গুলি দেখিয়েই নিজের চ্যানেল থেকে প্রচুর টাকা উপার্জন করেন। 

৫. অনলাইন সোশ্যাল মিডিয়া হ্যান্ডেলিং জবস:

online social media manager jobs

অনেক বড় বড় কোম্পানি রয়েছে যারা তাদের নিজেদের সোশ্যাল মিডিয়ায় পেজ গুলি হ্যান্ডেল করার জন্য বা ম্যানেজ করার জন্য সোশ্যাল মিডিয়ায় ম্যানেজার হিসেবে অনেককে নিযুক্ত করেন। এবং এর জন্য তারা আপনাকে অনেক পেমেন্ট করবে। বাড়িতে বসে নিজের ফোন থেকে বা নিজের ল্যাপটপ থেকে খুব সহজেই আপনি এই উপায়ে টাকা উপার্জন করতে পারেন। 

এক্ষেত্রে, কোম্পানির নানান সোশ্যাল মিডিয়া পেজ গুলি পরিচালনা করা, নতুন নতুন পোস্ট পড়া, কমেন্ট রিপ্লাই করা, ইত্যাদি এই ধরণের কাজ গুলি আপনাকে করতে হবে।

৬. অনলাইন ডাটা এন্ট্রি জব:

অনলাইন ডাটা এন্ট্রি জব

ইন্ডিড, নকরি ডট কম ইত্যাদি এই ধরণের নানান ওয়েব সাইট থেকে পার্ট টাইম বা ফুল টাইম ডাটা এন্ট্রি জব খুঁজে নিতে পারেন। এক্ষেত্রে বেশিরভাগ অনলাইন ডাটা এন্ট্রি জবস গুলি কিন্তু নিজের স্মার্টফোন থেকে করা যাবেনা। ডাটা এন্ট্রির কাজের ক্ষেত্রে একটি ল্যাপটপ/পিসি থাকলে কাজ করতে সুবিধা পাবেন।

Transcribing, updating customer information, entering accounting records, form fill-up, data copy-paste, ইত্যাদি এই ধরণের কাজ গুলি মূলত করতে হবে আপনাকে।

মহিলাদের জন্য এই অনলাইন ডাটা এন্ট্রির জব গুলি কিন্তু অনেকটাই সুবিধাজনক। কেননা, এক্ষেত্রে আপনি নিজের খালি সময়ে দিনে ২-৩ ঘন্টা কাজ করেই মোটামোটি ভালো পরিমান টাকা পার্ট-টাইম ইনকাম করে নিতে পারবেন। ইন্টারনেটে আপনারা নানান ওয়েবসাইট গুলিও পাবেন যেগুলিতে নানান Online Part-Time Data Entry Jobs গুলি অফার করা হয়।

তবে মনে রাখবেন, এই ধরণের বেশিরভাগ সাইট গুলি কিন্তু আপনার থেকে registration fee চাইতে পারে। এমন ওয়েবসাইট গুলির থেকে অবশই দূরে থাকা দরকার।

৭. অনলাইন ফর্ম ফিল আপ বা তথ্য মিত্র কেন্দ্র খোলা:

অনলাইন ফর্ম ফিল আপ বা তথ্য মিত্র কেন্দ্র খোলা

টাইপিং-এ পারদর্শী হলে, আপনিও পারেন তথ্য মিত্র কেন্দ্র খুলতে। আজকাল র‍্যাশন থেকে আঁধার কার্ড, প্রুফ সংশোধন থেকে চাকরির ফর্ম ফিলাপ অথবা পর্চা তোলা, প্যন কার্ড তৈরি ইত্যাদি নানা কারণে আপনি যদি একটি তথ্য মিত্র কেন্দ্র কিংবা অনলাইন ক্যাফে খোলেন, তাহলে দৈনিক আপনার ভালো ইনকাম হবে।

আজকালের এই অনলাইনের বাজারে এই তথ্য মিত্র কেন্দ্র যে কত কার্যকরী তা আপনার দোকান খুলতে ইনকামের মাধ্যমেই বুঝে যাবেন। শুধু দরকার একটি ফোন, ল্যাপটপ বা কম্পিউটার আর কিছু পুঁজি সাথে অনলাইন জ্ঞান ও অনলাইন ট্রানজেকশন সম্পর্কে কিছু সম্যক জ্ঞান থাকা আবশ্যক।

৮. অনলাইন বিজনেস:

অনলাইন বিজনেস

শাড়ি, জামাকাপড় থেকে শুরু করে কসমেটিক্স বা নিত্য প্রয়োজনীয় দ্রব্যাদি নিয়ে অনলাইনে বিজনেস শুরু করতে পারেন। আজকাল অনলাইন মাধ্যমে পণ্য বিক্রির ব্যবসা অনেকেই করছেন। 

প্রথমত, ফেসবুক, ইনস্টাগ্রাম, কিংবা হোয়াটসঅ্যাপ এর মতো সোশ্যাল মিডিয়া প্লাটফর্ম গুলিকে কাজে লাগিয়ে নিজের products গুলির নিয়মিত প্রচার চালানোর পাশাপাশি, বিজ্ঞাপন এর সাহায্যে জিনিসপত্র গুলি সরাসরি বিক্রি করতে পারেন।

এছাড়া, মাঝেমধ্যে ফেসবুকে লাইভে এসে নিজের সমস্ত জিনিসপত্রের প্রচার করতে পারবেন। সামান্য কিছু কুরিয়ার শিপিং চার্জ নিয়ে হোম ডেলিভারির সুবিধাও করে দিতে পারেন। নিজের ব্যবসাতে অন্যান্য মহিলাকেও নামিয়ে তাদেরও স্বনির্ভর করে তুলতে পারবেন আপনি।

৯. ওয়েব ডিজাইন ব্যবসা:

ওয়েব ডিজাইন ব্যবসা

আপনারা সকলেই জানেন, একটি ওয়েবসাইটে ও নানান ব্লগে নানারকম ডিজাইন করা হয়ে থাকে। বিজ্ঞাপন দেওয়ার জন্যও নানারকম টুকিটাকি কাজ গুলি করতে লাগে। আর বড় বড় কোম্পানির কিংবা বড় নামী দামী ব্লগের জন্য যদি আপনি ওয়েবডিজাইনার হিসাবে কাজ করতে পারেন, তাহলে মাসে কয়েকটা প্রজেক্ট করতে পারলেই হাজার হাজার টাকা ইনকাম করা যেতে পারে।

ওয়েব ডিজাইন কোর্স গুলি অনলাইনে অ্যাভেলেবেল রয়েছে। তাই, আপনি চাইলে কিছু দিনের মধ্যে ওয়েব ডিজাইনিং কাজ গুলি শিখে নিয়ে তারপর নানান ক্লায়েন্টদের থেকে কাজ তুলতে পারবেন।

১০. অনলাইন টাইপিং জবস:

অনলাইন টাইপিং জবস

অনলাইন টাইপিং জব বলতে নানান ধরণের কাজ গুলি হতে পারে। যেমন, ক্যাপচা পূরণ করার কাজ, কনটেন্ট লেখার, ডাটা এন্ট্রি করার, সার্ভে সম্পূর্ণ করার কাজ, ইত্যাদি। তাই, যদি আপনি নিজের ল্যাপটপ বা কম্পিউটারে দ্রুত এবং সঠিক ভাবে টাইপিং করতে পারেন, সেক্ষেত্রে অনলাইনে উপলব্ধ থাকা নানান typing jobs গুলি করতে ও নিয়মিত ইনকাম করতে পারবেন।

টাইপিং করে ইনকাম করার এই ধরণের জবস গুলি আপনারা মূলত নানান freelancing marketplace site গুলিতেই পাবেন। এছাড়া, online-এ captcha typing jobs অফার করেন এমন ভালো সাইট গুলিতে গিয়েও কাজ করতে পারেন। ক্যাপচা

১১. অনলাইন ট্রান্সলেটর ওয়ার্ক:

Online translator jobs

ট্রান্সলেটর কি? জানেন? কোনো ভাষার বইক বা ই-বুক গুলিকে অন্য কোনো ভাষায় ট্রান্সলেট করার জন্য একজন দক্ষ ট্রাইন্সলেটরকে নেওয়া হয়। বেশিরভাগ অফলাইন এবং অনলাইন পাব্লিশিং হাউস/নিউজ পোর্টাল গুলি এদেরকে নিয়ে থাকে।

যদি আপনার কোনো ভাষার উপর দক্ষতা থাকে, মানে ধরুন আপনি বাংলায় দক্ষ, ইংরাজি বা হিন্দির বই, পোস্ট বা কনটেন্ট গুলিকে বাংলায় ট্রান্সলেট করলেন, সেক্ষেত্রে আপনি কোনো ওয়েবসাইট, ব্লগ, অনলাইন নিউজ পোর্টাল এর হয়ে এই কাজ করতে পারবেন।

LinkedIn-এর সাইটে এই ধরণের ট্রান্সলেশন রিলেটেড অনেক কাজ আপনারা পেয়ে যাবেন। আমি নিজেই অনেক মেয়েদের/মহিলাদের LinkedIn ওয়েবসাইটে দেখতে পাই যারা নিয়মিত এই ধরণের কাজ গুলি খুঁজে থাকেন এবং নানান অনলাইন publishing house/portal গুলির তরফ থেকে তারা নতুন নতুন কাজ গুলিও পেয়ে যায়।

১২. অনলাইন ব্লগ তৈরি করুন:

Earn money as a blogger

যদি আপনি একজন ছাত্র, মহিলা বা এমন কোনো ব্যক্তি যে নিজের ফুল-টাইম চাকরির পাশাপাশি অনলাইনে কাজ করে প্যাসিভ ইনকাম করতে চাইছেন, সেক্ষেত্রে অনলাইনে নিজের একটি ব্লগ তৈরি করতে পারেন। একজন ব্লগার হয়ে যান।

রান্নার টিপস, কোনো ক্রিয়েটিভ আইডিয়া, জরুরি তথ্য, টিউটোরিয়াল যা কিছু আপনার মাথায় আসে তা লিখতে পারবেন আপনি। তবে হ্যাঁ অন্য কোথাও থেকে কপি করবেন না, কপি করা কনটেন্ট নিলেও, তাতে ইনকাম হয় না।

একটি ব্লগ তৈরি করুন, ধীরে ধীরে ব্লগের ভিউয়ার্স বাড়ার সাথে সাথে নানান মাধ্যমে আপনার ব্লগ থেকে ইনকাম করার সুযোগ পাবেন। হ্যাঁ, তবে ব্লগ তৈরি করেই দ্বিতীয় দিন থেকেই যে ইনকাম করবেন, সেটা ভাবলে চলবেনা। সব কিছুর জন্যই ধৈর্য্য রেখে এবং নিয়মিত পরিশ্রম করতেই লাগবে। আর ব্লগিং করার ক্ষেত্রেও শুরুতে আপনাকে অনেক কিছুই জানতে হবে। যেমন ধরুন, SEO, ওয়েবসাইট ডিজাইন করা, কনটেন্ট লেখা, Google analytics, ইত্যাদি।

১৩. অনলাইন রিসেলিং ব্যবসা:

অনলাইনে আপনারা এমন নানান ওয়েবসাইট বা অ্যাপস গুলি পাবেন যেগুলিতে গিয়ে সেখানে থাকা নানান products/services গুলিকে resell করার কাজ করেও ইনকাম করা যাবে। এমনই একটি Product Reselling App হলো, “Meesho App”।

Meesho app-টিতে মূলত একটি online shopping app, যেখানে বাচ্চা থেকে শুরু করে, পুরুষ এবং মহিলাদের কাপড়-জামা, এবং অন্যান্য নানান প্রডাক্ট গুলি পাওয়া যায়। এবার, আপনি চাইলে এই অনলাইন ই-কমার্স প্লাটফর্ম এর মধ্যে থাকা যেকোনো পণ্য অন্যান্য লোকেদের সাথে শেয়ার করে তাদেরকে পণ্যটি কেনার জন্য উৎসাহিত করতে পারেন।

যখনই আপনার দিয়ে দেওয়া লিংক থেকে আপনার কোনো বন্ধু বা ব্যক্তি সেই পণ্যটি কিনবেন, আপনাকে আপনার সেট করা মার্জিন ইনকাম দিয়ে দেওয়া হবে। পণ্য গুলি রিসেল করার জন্য জরুরি ছবি এবং ডিটেলস আপনারা Meesho app-থেকেই পেয়ে যাবেন।

১৪. সোশ্যাল মিডিয়া ইনফ্লুয়েন্সার:

Social media influencer hishebe income

যদি আপনি একজন মহিলা এবং মেয়েদের অনলাইনে কাজ করে টাকা ইনকাম করার সেরা অনলাইন জবস গুলি খুঁজছেন, সেক্ষেত্রে আপনি একজন social media influencer হিসেবে কাজ করতে পারেন। Instagram, Facebook, YouTube, এই ধরণের social media platform গুলিতে নিজের একটি channel/page বানিয়ে নিজের পছন্দ-অপছন্দ বিষয় গুলি নিয়ে কথা বলুন, ছবি-ভিডিও ইত্যাদি শেয়ার করুন।

এবার, ধীরে ধীরে যখন আপনার channel/page-এর মধ্যে প্রচুর followers-রা যুক্ত হবেন, আপনি নানান মাধ্যমে নিজের সোশ্যাল মিডিয়া চ্যানেল থেকে অনলাইনে টাকা আয় করার সুযোগ পাবেন। যেমন ধরুন, অনলাইন বিজ্ঞাপন দেখিয়ে, পেইড প্রমোশন করে, ব্র্যান্ডদের সাথে যুক্ত হয়ে, ইত্যাদি।

১৫. অনলাইনে কোর্স বিক্রি করা:

Online course bikri kore income

পুরুষ হোক বা মহিলা, প্রত্যেকের ক্ষেত্রেই অনলাইন মাধ্যমে প্যাসিভ ইনকাম করার আরেকটি দারুন উপায় হলো, নিজের অনলাইন ভিডিও কোর্স তৈরি ও বিক্রি করে ইনকাম করা।

এক্ষেত্রে আপনাকে, একটি বিষয় সিলেক্ট করে ভিডিও রেকর্ড, স্ক্রিন রেকর্ড, ইত্যাদির মাধ্যমে একটি ভিডিও কোর্স তৈরি করতে হয়। কোর্স তৈরি করার জন্য আপনাকে এমন একটি বিষয় সিলেক্ট করতে হয় যেই বিষয়ে অনেকেই শিখতে চাইছেন। যেমন ধরুন, ডিজিটাল মার্কেটিং, ট্রেডিং, SEO, Blogging, গিটার বাজানো, হারমোনিয়াম, ইত্যাদি যেকোনো বিষয়ই হতে পারে।

এবার, তৈরি করা নিজের কোর্সটিকে সোশ্যাল মিডিয়া, পেইড বিজ্ঞাপন, ইউটিউব, ব্লগ, ওয়েবসাইট, ইত্যাদি নানান মাধ্যমে হাজার হাজার লোকেদের কাছে অনলাইনে বিক্রি করে বছর কে বছর প্যাসিভ ইনকাম করতে পারবেন।

১৬. Fiverr-এর মধ্যে ফ্রিল্যান্সিং কাজ করুন:

Freelancing income through Fiverr website

Fiverr কি? এখান থেকে কিভাবে ইনকাম করবেন? এই বিষয়ে হয়তো আপনি এখনো জানেননা। দেখুন, যখন কথা বলা হচ্ছে, মেয়েদের জন্য অনলাইন জব গুলির বিষয়ে সেক্ষেত্রে Fiverr-এর বিষয়ে অবশই বলা দরকার।

Fiverr আসলে একটি online freelancing marketplace-সাইট গুলির মধ্যে একটি অনেক জনপ্রিয় ও অধিক ব্যবহূত সাইট। এখানে আপনারা $5 ডলার নিয়ে বিশ্বজুড়ে নানান ক্লায়েন্টদেরকে নানান ধরণের কাজ গুলি করে দিতে পারবেন। যেমন ধরুন, logo designing, content writing, editing, voice over, translation, data-entry, ইত্যাদি নানান ধরণের কাজ গুলি Fiverr-এর মধ্যে পাওয়া যাবে।

একজন মহিলা হিসেবে, যদি আপনি নিজের খালি সময়ে ঘরে বসেই অনলাইনে কাজ করে ইনকাম করতে চাইছেন, সেক্ষেত্রে Fiverr-এর সাইট একবার হলেও ব্যবহার করে দেখুন।

১৭. পেইড সার্ভে সম্পূর্ণ করার কাজ:

আপনার কাছে যদি দিনে ২ থেকে ৩ ঘন্টা খালি সময় থাকে এবং আপনি এমন একটি অনলাইন জব খুঁজছেন, যেখান থেকে অনেক সামান্য পরিমানে হলেও সহজে টাকা ইনকাম করা যাবে, তাহলে অনলাইনে পেইড সার্ভে সম্পূর্ণ করার জব গুলি করতে পারেন।

ইন্টারনেটে আপনারা প্রচুর সাইট গুলি পাবেন যেগুলিতে সার্ভে পূরণ করে টাকা ইনকাম করার সুযোগ দেওয়া হয়। মানে, এক্ষেত্রে আপনাকে নানান ব্র্যান্ড, কোম্পানি, প্রোডাক্ট বা পরিষেবা, ইত্যাদির সাথে জড়িত প্রশ্ন গুলি করা হয়।

এবার, আপনাকে একেবারে সঠিক ভাবে নিজের পরামর্শ এবং ফিডব্যাক গুলি দিয়ে দিতে হয়। ব্যাস, এভাবে দিনে ২ থেকে ৩ টি সার্ভে সম্পূর্ণ করে প্রতিদিন ৫০ থেকে ১০০ টাকা অনলাইনে ইনকাম করে নিন। কিছু সেরা ও জনপ্রিয় online survey filling website গুলি হলো,

  • Swagbucks,
  • Opinion Outpost,
  • InboxDollars,
  • Survey Junkie,
  • Toluna,
  • ySense,
  • MyPoints, ইত্যাদি।

১৮. খাবার ডেলিভারির কাজ: (অফলাইন)

Food delivery online business

হতে পারে আপনিও নিজের পরিবারের সদস্যদের জন্য রান্না করেন। তারা কি আপনার রান্নায় মুগ্ধ হয়ে মাঝে মাঝে তারিফও করেন? যদি হ্যা, তাহলে আপনার এই দারুন রান্নার কৌশলটিকে কাজে লাগান। এক্ষেত্রে আপনি চাইলে অর্ডার নিয়েও রান্না করতে পারেন। নানান দপ্তরে দপ্তরে কাজ করা কর্মীদের ডেলিভারি দিতে পারেন।

এছাড়া, কোনো উৎসব বা ফাংশনে বা জন্মদিনের বাড়িতেও খাওয়ার বানানোর অর্ডার নিতে পারেন। বানানো খাওয়ার ডেলিভারি করার বিষয়টা নিয়ে এতটা ভাবতে হবেনা। ঘরে কোনো পুরুষ মানুষ থাকলে তাকে দিয়ে ডেলিভারি করিয়ে দিতে পারেন, অথবা ডেলিভারি করার জন্য কাওকে রাখুন। এভাবে, ঘর থেকে রান্নার কাজ করে নিজের একটি সম্পূর্ণ প্রফিটেবলে ব্যবসা শুরু করতে পারবেন আপনি।

১৯. বেকারি ব্যবসা করুন: (অফলাইন)

Online bakary business

বর্তমান সময়ে বেকারির ব্যবসার চাহিদা ও গুরুত্ব প্রচুর বৃদ্ধি পেয়েছে। তবে, নিজের ঘরে রান্না করে হোম ডেলিভারি করার ব্যবসা আর বেকারি ব্যবসার মধ্যে প্রচুর তফাৎ রয়েছে। রান্না করে ডেলিভারি করার ক্ষেত্রে আপনি নিজে রান্না করছেন, তবে বেকারির ব্যবসা তে কিন্তু আপনি নিজে রান্না না করেও করতে পারেন।

হ্যাঁ, এবার এক্ষেত্রে আপনি চাইলে নিজের ঘরেই নানান বেকারি আইটেম গুলি তৈরি করে সেগুলি দোকানে সকানে সাপ্লাই করতে পারবেন। আবার চাইলে, অন্যান্য বেকারি থেকে বেকারি আইটেম গুলি কিনে নিয়ে বেশি দামে বিক্রি করতে পারেন। এই দুটো ক্ষেত্রেই, সঠিক ভাবে কাজ করতে পারলে, লাভ এবং ইনকাম প্রচুর।

২০. GPT Website-এ কাজ করুন:

GPT website theke income korun

Get paid to বা GPT ওয়েবসাইট গুলো অনলাইনে ছোট ছোট কাজ করে অর্থ উপার্জনের একটি দারুন উপায়। যদি আপনি নিজের ফ্রি টাইমে অনলাইনে কাজ করে এক্সট্রা কিছু টাকা উপার্জন করতে চাইছেন, সেক্ষেত্রে কিছু জনপ্রিয় ও ট্রাস্টেড GPT website গুলো অবশই কাজে লাগাতে পারেন।

আসলে এই ওয়েবসাইট গুলোতে আপনাকে একটি ফ্রি একাউন্ট তৈরি করতে হয়। এবার ওয়েবসাইটে উপলব্ধ নানান ছোট ছোট কাজ বা টাস্ক গুলো সম্পূর্ণ করার জন্য আপনাকে দেওয়া হবে রিওয়ার্ড। মহিলা, মেয়ে বা পুরুষ, জেকেও এই ওয়েবসাইট গুলোতে কাজ করতে পারবেন। এখন আপনার মনে এই প্রশ্নটি অবশই ঘুরছে হয়তো যে, ওয়েবসাইট গুলোতে আসলে কি ধরণের কাজ করতে হবে, তাই তো? তেমন বিশেষ কিছুই না।

ওয়েবসাইট গুলোতে মূলত, ভিডিও দেখা, পেইড সার্ভে সম্পূর্ণ করা, ডাউনলোড করা, বিজ্ঞাপন দেখা, ইত্যাদি এই ধরণের সাধারণ কাজ গুলোই করতে হয়। Swagbucks, ySense, Freecash, এগুলো হলো বর্তমানে উপলব্ধ কিছু জনপ্রিয় “get paid to” ওয়েবসাইট গুলো।

২১. অনলাইন সার্ভে ওয়েবসাইট থেকে ইনকাম:

Paid survey kore income

একজন ছেলে, ছাত্র বা মেয়ে জেকেও অনলাইনে উপলব্ধ নানান পেইড সার্ভে পূর্ণন করার ওয়েবসাইট গুলোতে কাজ করেও ঘরে বসে অর্থ উপার্জন করতে পারবেন। তবে এক্ষেত্রে আপনি কোন ওয়েবসাইট বা প্লাটফর্ম গুলোতে কাজ করছেন এবং কি পরিমানে সার্ভে সম্পূর্ণ করছেন, সেটার উপরেই আপনার হওয়া টোটাল ইনকাম নির্ভর করবে।

Paid survey website গুলোর থেকে ইনকাম করার জন্য আপনাকে একটি বা একাধিক সার্ভে ওয়েবসাইটে গিয়ে নিজের একটি ফ্রি একাউন্ট তৈরি করতে হবে। মনে রাখবেন, শুধুমাত্র একাউন্ট তৈরি করলেই কাজ হবেনা, আপনাকে নিজের প্রোফাইলটিও সম্পূর্ণভাবে সেটআপ করতে হবে। একাউন্ট এবং প্রোফাইল সেটআপ হয়ে যাওয়ার পর, এবার আপনাকে আপনার প্রোফাইলের সাথে রিলেটেড সার্ভে গুলো নিয়মিত পাঠানো হবে। ব্যাস, রেগুলার ওয়েবসাইটে উপলব্ধ সার্ভে গুলোর উত্তর এবং নিজের মতামত দিতে থাকুন এবং প্রতি সার্ভেতে কিছু টাকা বা ডলার ইনকাম করুন।

মনে রাখবেন, সার্ভে ওয়েবসাইট গুলোতে প্রতিটি সার্ভে সঠিক ভাবে সম্পূর্ণ করার জন্য আপনি পাবেন কিছু পয়েন্ট বা ক্যাশ রিওয়ার্ড। আয় করা এই রিওয়ার্ড পয়েন এবং ক্যাশ গুলোকে শেষে গিয়ে আপনি রিয়েল টাকায় কনভার্ট করে নিজের ওয়ালেট বা ব্যাংক একাউন্টে তুলে নিতে পারবেন। এটাও আপনাকে জানিয়ে রাখছি যে, এই ধরণের সার্ভে ওয়েবসাইট থেকে আপনি অনেক বেশি টাকা আয় করতে পারবেননা, আর এই কাজে প্রচুর সময়ও দিতে হয়। তবে স্টুডেন্ট এবং মহিলাদের জন্য ঘরে বসে অনলাইনে কাজ করে পার্ট-টাইম ইনকাম করার এটা একটি অনেক দারুন উপায় বলে বলা যেতেই পারে।

অনলাইনে সার্ভে পূরণ করে ইনকাম করার সেরা এবং জনপ্রিয় ওয়েবসাইট কিছু হলো – Swagbucks, Toluna, pawns.app, iPanelOnline, Survey Junkie, Google Rewards, এবং আরও আছে।

২২. ট্রান্সক্রিপশন পরিষেবা:

Online transcription job for girls

ট্রান্সক্রিপশন (Transcription) এমন একটি কাজ যেখানে একটি বা একাধিক ভিডিও বা অডিও ফাইল গুলোকে শুনে সেগুলোকে টেক্সটে কনভার্ট করতে হয়। এটাও মহিলাদের জন্য অনলাইনে পার্ট টাইম জব করে ইনকাম করার দারুন একটি উপায়। তবে মনে রাখবেন, এই কাজ করতে হলে আপনার টাইপিং স্পিড ফাস্ট হতে হবে, পাশাপাশি মনোযোগ দিয়ে শুনার প্রয়োজনও এই কাজে আছে।

TranscribeMe, Rev, এবং Scribie-এর মতো নানান অনলাইন প্লাটফর্ম/ওয়েবসাইট গুলো আছে যেখানে ট্রান্সক্রিপশন করে ইনকাম করার সুযোগ পাওয়া যায়। তবে কাজ শুরু করার জন্য আপনাকে এই ওয়েবসাইট গুলোতে গিয়ে একটি ফ্রি একাউন্ট তৈরি করতে হবে এবং কিছু কিছু ওয়েবসাইটের ক্ষেত্রে সাধারণ একটি টেস্টও পাস করতে লাগতে পারে।

একবার যদি আপনাকে সিলেক্ট করে নেওয়া হয়, এরপর আপনি আপনাকে দিয়ে দেওয়া নানান অডিও বা ভিডিও ফাইল গুলোকে শুনে সেগুলোকে টেক্সট কন্টেন্টে ট্রান্সক্রাইব করে টাকা ইনকাম করতে পারবেন। এই কাজে বেশিরভাগ ক্ষেত্রেই, আপনাকে দিয়ে দেওয়া অডিও বা ভিডিও ফাইলের টোটাল সময়ের (ঘন্টা/মিনিট) উপর ভিত্তি করে আপনাকে পেমেন্ট দেওয়া হয়। আমার হিসেবে মেয়েরা এই অনলাইন কাজটি অনেক সহজেই করতে পারবেন।

২৩. অনলাইনে ছবি বিক্রি করুন:

Sell images online and earn money

ছেলে বা মেয়ে, নিজের মোবাইল বা DSLR দিয়ে তোলা ছবি গুলোকে অনলাইনে বিক্রি করে এখন জেকেও টাকা ইনকাম করতে পারবেন। আসলে অনলাইনে ছবি বিক্রি করাটা এখন আর নতুন কিছুই না। এই কাজ করে বিশ্বজুড়ে হাজার হাজার লোকেরা প্রতি মাসে হাজার হাজার ডলার পর্যন্ত ইনকাম করে নিতে পারছেন। তবে এক্ষেত্রে প্রয়োজন আছে বেসিক থেকে অ্যাডভান্স ফটোগ্রাফির কৌশলের। যদি আপনি ফোটোগ্রাফিতে এক্সপার্ট, তাহলে আপনি নিজের তোলা ছবি গুলোকে অনলাইনে বিক্রি করতে পারবেন।

অনলাইনে এমন নানান stock image website গুলো আছে যেগুলোতে একটি ফ্রি একাউন্ট তৈরি করে জেকেও নিজের ছবি গুলোকে বিক্রি করতে পারবেন। তবে শুধু একাউন্ট তৈরি করলেই হবেনা, আপনাকে নিয়মিত নতুন নতুন ছবি গুলো তুলে সাইট গুলোতে আপলোডও করতে হবে। Shutterstock, Adobe Stock, এবং Getty Images, অনলাইনে ছবি বিক্রি করার জন্য এই ওয়েবসাইট গুলোকে প্রচুর ক্রিয়েটররা ব্যবহার করে থাকেন।

আপনার দ্বারা আপলোড করা যেকোনো ছবি যখনই কোনো ব্যক্তি কিনে নিবেন বা ডাউনলোড করবেন, তখন সেই ছবিটি বিক্রি/ডাউনলোড হওয়ার জন্য আপনাকে কিছু টাকা কমিশন হিসেবে দিয়ে দেওয়া হবে। প্রতিটি ছবি বিক্রি হলে আপনি কত টাকা কমিশন হিসেবে পাবেন, সেটা আলাদা আলাদা ইমেজ সেলিং ওয়েবসাইটের ক্ষেত্রে আলাদা আলাদা হতে পারে। তবে সাধারণত ৩০% থেকে ৮০% এর মধ্যেই কমিশন দেওয়া হয়ে থাকে।

২৪. Voiceover আর্টিস্ট:

Online voice over artist

মেয়েরা একজন ভয়েসওভার আর্টিস্ট হিসেবে কাজ করে নানান ক্ষেত্রে নিজের ভয়েসের ব্যবহার করে অর্থ উপার্জন করতে পারেন। যেমন ধরুন কোম্পানির বিজ্ঞাপনে, অ্যানিমেশন বা কার্টুন ভিডিওতে, অডিওবুকে, ই-লার্নিং এর ক্ষেত্রে, এবং নানান জায়গাতে।

কাজটি শুনতে যতটা সোজা লাগছে ততটা সোজা মোটেও না। কেননা এই কাজ করতে হলে ভাল এবং আকর্ষণীয় আওয়াজ, স্পষ্ট উচ্চারণ এবং অভিনয় দক্ষতার প্রয়োজন হয়ে থাকে। এগুলো যদি আপনার মধ্যেও আছে, তাহলে Fiverr, Upwork, VoiceBunny এবং Bodalgo-এর মতো প্লাটফর্ম গুলোতে নিজের একাউন্ট তৈরি করে অনলাইনে নানান প্রজেক্ট গুলো খুঁজতে পারেন। শুরুতে অনেক কম টাকা চার্জ করে কাজ করুন এবং শুরুতে নিজের অভিজ্ঞতা ও পজিটিভ রিভিউ বাড়াতে চেষ্টা করুন।

FAQ: মেয়েদের জন্য অনলাইন পার্ট-টাইম জব আইডিয়া:

১. মেয়েদের জন্য সেরা অনলাইন পার্ট-টাইম জবগুলো কি কি?

আমার হিসেবে, মেয়েদের জন্য কনটেন্ট রাইটিং ও ব্লগিং, গ্রাফিক ডিজাইন, ভার্চুয়াল অ্যাসিস্ট্যান্ট, সোশ্যাল মিডিয়া ম্যানেজার, অনলাইন টিউটরিং, ট্রান্সক্রিপশন, অনলাইন ডাটা এন্ট্রির কাজ, স্ক্রিপ্ট রাইটিং, ইত্যাদি এই ধরণের কাজ গুলি সেরা।

২. ঘরে বসে অনলাইনে কি সত্যি ইনকাম করা যায়?

বর্তমান সময়ে অনলাইনে এমন ভালো ভালো প্লাটফর্ম গুলি তৈরি হয়েছে যেগুলির দ্বারা সত্যি এবং রিয়েল টাকা ইনকাম করার সুযোগ পাওয়া যায়। যেমন, Google AdSense, AdMob, YouTube, Freelancing Website, GPT (Get Paid To Sites), ইত্যাদি।

৩. অনলাইনে টাকা আয় করার সেরা ওয়েবসাইট কোনটি?

অনলাইনে ইনকাম করতে চাইলে সেক্ষেত্রে ইনকামের নানান সাইট গুলি আছে। তবে আপনি কি ধরণের কাজ করতে চাইছেন এবং আপনার ইন্টারেস্ট এর উপর নির্ভর করে আপনি ওয়েবসাইট গুলি ব্যবহার করতে পারেন। এক্ষেত্রে অনেক ওয়েবসাইট আছে, যেমন, Upwork, Fiverr, Freecash, ySense, Swagbucks, ইত্যাদি।

আমাদের শেষ কথা,,

অনেকে বলেন যে অনলাইন ব্যবসাতে কিন্তু সফলতা নেই। তবে দেখুন অ্যামাজন, ফ্লিপকার্ট, মিশো, মিন্ত্রা এই সমস্ত কোম্পানিদের। আজ পর্যন্ত তাদের দোকান হয়তো খুব কম মানুষ দেখেছে, কিন্তু জিনিস প্রায় সবার ঘরে। কারণ কম দামে, অতি অল্প শিপিং চার্জে যখন আপনি আপনার পছন্দের জিনিস পাবেন তখন আরো কিনবেন। অর্থাৎ তাদের ব্যবসার চাহিদা বাড়ছে।

একই ভাবে আপনিও আপনার ব্যবসা খুললে একদিন ঠিক প্রতিষ্ঠা পাবেন। তবে বারবার একটাই কথা বলব ধৈর্য্য রাখতেই হবে। আজ এই কাজটা করলাম, দেখলাম ইনকাম কম, এটাকে ফেলে রেখে অন্য কাজে নেমে গেলাম, আবার সেটা ছেড়ে অন্য একটায় গেলাম, এটা কিন্তু কোনো সঠিক উপায় নয়।

দীর্ঘদিনের মেহনত, শ্রম, ধৈর্য্য, ভালোবাসা ব্যবসা হোক বা জব, তারপ্রতি একটা আলাদা টান থাকলে একদিন না একদিন সে আপনাকে অনেক কিছুই দেবে। রাতারাতি বড়োলোক হবার স্বপ্ন থাকলে সেটা কোনো উপায়েই সম্ভব নয় লটারি ছাড়া। আশা করছি, উপরে বলে দেওয়া মেয়েদের পার্ট টাইম জব আইডিয়া গুলোর তালিকা আপনাদের অবশই পছন্দ হয়েছে। 

Leave a Comment

Your email address will not be published. Required fields are marked *

error:
Scroll to Top