মেয়েদের জন্য অনলাইন জব আইডিয়া: ১৭+ অনলাইন ইনকামের উপায়

আজ মেয়েদের স্বাবলম্বী হওয়া খুবই প্রয়োজন। শুধুমাত্র অর্থের চাহিদার জন্য নয়। নিজস্বতা, ব্যক্তিত্ব, অন্যের কাছে নিজেকে ছোটো প্রতিপন্ন না হওয়ার জন্য কিংবা পরিবারকে সাহায্য করে মাথা তুলে বাঁচার জন্য, সব কিছুর ক্ষেত্রেই মেয়েদের স্বাবলম্বী হওয়ার দরকার আছে।

এক্ষেত্রে, যারা বাড়ির বাইরে গিয়ে চাকরি করতে চান না তারা বেছে নিতে পারেন নানান অনলাইন ইনকামের প্লাটফর্ম গুলিকে।

অনলাইনে ইনকাম করার এই মাধ্যম গুলি আপনি একটি অনলাইন বিজনেস হিসেবে নিয়ে কাজ করে, অর্থ পেতে পারেন এবং সাথে নানান আনুষঙ্গিক চাহিদাও মেটাতে পারেন।

আর্টিকেলের টাইটেল দেখেই হয়তো আপনারা বুঝতে পেরেছেন যে আজকে আমরা আমাদের আর্টিকেলের মধ্যে, মেয়েদের জন্য থাকা নানান অনলাইন জব বা কাজ গুলোর তালিকা নিয়ে আলোচনা করতে চলেছি।

সত্যি বলতে, আজ ইন্টারনেট প্রযুক্তির ফলে মেয়েদের জন্য অনলাইন জব করার প্রচুর সুযোগ সুবিধে গুলো হয়ে উঠেছে।

আপনিও যদি একজন মহিলা এবং সাধারন ইন্টারনেট জ্ঞান রেখে থাকেন, তাহলে ঘরে বসে মেয়েদের আয় করার নানান উপায় গুলোর মাধ্যমে প্রচুর টাকা পার্ট-টাইম বা ফুল-টাইম হিসেবে ইনকাম করতে পারবেন। 

আর্টিকেল সূচি: show

মহিলাদের বা মেয়েদের জন্য কোন অনলাইন জব গুলি সেরা?

মহিলাদের জন্য থাকা বেশিরভাগ অনলাইন জবস বা কাজ গুলিতে তাদেরকে ঘরের বাইরে যেতে হয়না বা দপ্তরে ভিসিট করতে হয়না। এক্ষেত্রে সম্পূর্ণ কাজই শুধুমাত্র একটি ল্যাপটপ বা কম্পিউটারের দ্বারা করতে হয়।

মেয়েদের জন্য অনলাইন জব
Best Online Jobs Ideas For Women/Girls.

বেশিরভাগ Work-from-home jobs for women গুলিতে একজন ব্যক্তির শিক্ষা এবং বিশেষ প্রশিক্ষণের উপর নির্ভর করে কাজ গুলি দেওয়া বা করানো হয়। এছাড়া, কাজের সাথে জড়িত জরুরি কৌশল এবং দক্ষতা গুলি থাকাটাও এক্ষেত্রে অনেক জরুরি।

তাই, মেয়েদের জন্য অনলাইন জব বলতে সে অনেক রয়েছে। তবে, কাজ গুলি সঠিক ভাবে করে মোটামোটি ভালো মানের ইনকাম করার ক্ষেত্রে আপনাকে শুরুতে নিজের কৌশল এবং জ্ঞান উন্নত করার চেষ্টা করতে হবে।

তবে যেই মহিলারা মোটামোটি যথেষ্ট পড়াশোনা করেছেন, কম্পিউটার এবং ইন্টারনেটের জ্ঞান রাখেন, তারা অবশই এমন অনলাইন জবস গুলি করতে পারবেন যেগুলি করতে তেমন কোনো ঝামেলা নেই।

তাই, নিচে আমি এমন ২০টি অনলাইন জব গুলির বিষয়ে বলেছি যেগুলি আমার হিসেবে মেয়েদের জন্য সেরা অনলাইন জবস।

সেরা অনলাইন জব:কি করতে হয়?
১. কনটেন্ট রাইটিং জব,ব্লগ/ওয়েবসাইটের জন্য আর্টিকেল লিখতে হয়।
২. ফ্রীল্যান্স রাইটিং জব,ক্লায়েন্টদের জন্য ফ্রীল্যান্স রাইটিং।
৩. অনলাইন টিউশন জব,অনলাইনে পড়াশোনা করানো।
৪. ইউটিউব চ্যানেল তৈরি,ভিডিও আপলোড করতে হয়।
৫. অনলাইন সোশ্যাল মিডিয়া হ্যান্ডেলিং জব,সোশ্যাল মিডিয়া একাউন্ট হ্যান্ডেল করতে হয়।
৬. অনলাইন ডাটা এন্ট্রি জব,নানান ধরণের ডাটা এন্ট্রি কাজ।
৭. অনলাইন ফর্ম ফিল আপ করা,এটাও এক ধরণের ডাটা এন্ট্রি জব।
৮. অনলাইন বিজনেস করুন,অনলাইন জব হিসেবে ব্যবসা করা।
৯. ওয়েব ডিজাইন ব্যবস,ওয়েবসাইট তৈরি এবং ডিজাইন করতে হয়।
১০. অনলাইন টাইপিং জবস,অনলাইনে নানান টাইপিং রিলেটেড কাজ।
১১. অনলাইন ট্রান্সলেটর ওয়ার্ক,ট্রান্সলেশন রিলেটেড কাজ করতে হয়।
১২. অনলাইন ব্লগ তৈরি করুন,ব্লগ সাইট তৈরি করে আর্টিকেল লিখতে হয়।
১৩. অনলাইন রিসেলিং ব্যবসা,পণ্য গুলিকে অনলাইনে রিসেল করতে হয়।
১৪. সোশ্যাল মিডিয়া ইনফ্লুয়েন্সার,সোশ্যাল মিডিয়াতে জনপ্রিয়তা লাভ করতে হয়।
১৫. অনলাইনে কোর্স বিক্রি করা,অনলাইনে কোর্স বিক্রি করতে হয়।
১৬. Fiverr-এর মধ্যে ফ্রিল্যান্সিং কাজ করুন,ছোট ছোট কাজ গুলি করতে হয়।
১৭. পেইড সার্ভে সম্পূর্ণ করার কাজ,অনলাইনে সার্ভে করে ইনকাম করতে হয়।
১৮. GPT Website-এ কাজ করুন,নানান ছোট ছোট কাজ করে ইনকাম করুন।

মেয়েদের জন্য ঘরে বসে আয় করার ১৮টি অনলাইন জব:

সরকারি চাকরি যারা করতে চান না, কিংবা যারা বিবাহিত, ঘর সামলাতে সামলাতে তারাও বেছে নিতে পারেন এই পথ গুলি। আসুন জেনে নিই, কোন ১৮টি অনলাইন জব আইডিয়া গুলি মেয়েদের জন্য সেরা :

১. কনটেন্ট রাইটিং জব:

মহিলাদের জন্য ঘরে বসে অনলাইনে করার মতো একটি অনেক জনপ্রিয় কাজ হলো কনটেন্ট রাইটিং জবস। বর্তমান সময়ে, অনলাইনে এমন অনেক প্লাটফর্ম গুলি আছে যারা কনটেন্ট রাইটিং কাজ গুলি অফার করে থাকেন এবং একজন দক্ষ রাইটার খোঁজেন।

আপনি যদি ফেসবুক, হোয়াটসঅ্যাপ বা অন্যান্য সোশ্যাল মিডিয়া সাইট ইত্যাদিতে টুকিটাকি লেখেন, এবং লেখালেখি করতে পছন্দ করেন, তাহলে অবশ্যই কনটেন্ট রাইটিং আপনার জন্য উপযুক্ত। 

কাজ পাওয়ার জন্য, আপনাকে এমন ফ্রিল্যান্সিং প্লাটফর্ম, ওয়েবসাইট, ব্লগ ইত্যাদির সাথে যোগাযোগ করতে হবে যারা একজন কনটেন্ট রাইটার খুঁজছেন। এক্ষেত্রে আপনি যে কোন অনলাইন সংবাদপত্র বা অনলাইন নিউজ চ্যানেল/পোর্টাল গুলির সাথেও যোগাযোগ করলে ভালো।

কনটেন্ট রাইটিং এর কাজে প্রতিশব্দ পিছু আপনাকে টাকা দেওয়া হবে এবং আর্টিকেল লেখার জন্য টপিকস ও আপনাকে দিয়ে দেওয়া হবে।

আপনার মধ্যে ক্রিয়েটিভ ভাবে লেখালেখি করার অভিজ্ঞতা থাকলে, বা আপনি নিজে একজন দক্ষ ক্রিয়েটিভ রাইটার হলে কিংবা আপনার লেখার মধ্যে ক্রিয়েটিভিটি থাকলে আপনি অবশ্যই একজন এক্সপার্ট কনটেন্ট রাইটার হিসেবে ঘরে বসেই করতে পারবেন নিয়মিত ইনকাম।

২. ফ্রীল্যান্স রাইটিং জব:

মেয়েদের জন্য অনলাইনে আয় করার সবচেয়ে জনপ্রিয় উপায় হলো এটি। কেননা, এক্ষত্রে লেখালেখির (content writing) কাজ গুলি খোঁজার জন্য আপনাকে সরাসরি কোনো ওয়েবসাইট, পোর্টাল বা পেজ, ইত্যাদির কাছে গিয়ে কাজ খুঁজতে হয়না।

মূলত, যেসব ওয়েবসাইটে ফ্রিল্যান্সিং করে আয় করা যায় সেই ওয়েবসাইট গুলির থেকেই আপনি নিয়মিত লেখালেখির কাজ পেতে পারবেন।

এক্ষেত্রে আপনাকে একটি বা একাধিক ফ্রিল্যান্সিং ওয়েবসাইট গুলিতে গিয়ে নিজের নাম নথিভুক্ত করাতে হবে বা অ্যাকাউন্ট খুলতে হবে। এবার, সাইট গুলিতে নিজের দক্ষতা অনুযায়ী কাজের জন্যে অ্যাপ্লাই করতে হবে আপনাকে। 

আপনি কি কি পারেন ও কি কি করেন সেই তালিকা দেখে নিয়ে আপনাকে নানান ক্লায়েন্টসরা কিছু প্রজেক্ট অফার করে থাকেন। আবার অনেক ফ্রিল্যান্সিং ওয়েবসাইট গুলির ক্ষেত্রে আপনাকেই কাজ গুলো বেছে নিতে হয়।

নিজের কাজ গুলি টাইমলি কমপ্লিট করতে পারলে এই সাইট গুলির থেকে ঘন্টা হিসেবেও ইনকাম করা যায় এখানে।

৩. অনলাইন টিউশন জব:

টিউশনি করানোটা আমার হিসেবে মেয়েদের জন্য সব থেকে সেরা এবং সুবিধাজনক একটি কাজ।

তবে, অফলাইনে টিউশনি করানোর ক্ষেত্রে অনেক সীমাবদ্ধতা গুলি রয়েছে। এক্ষেত্রে আপনাকে ঘরের বাইরে গিয়ে সারা দিন ঘুরে ঘুরে টিউশনি করতে হয়। এছাড়া, একবারে কেবল সীমিত পরিমানের ছাত্রদেরই পোড়ানো যায়।

কিন্তু যখন আপনি অনলাইন মাধ্যমে টিউশন করাবে তখন আপনি নিজের ঘরে বসেই শুধুমাত্র নিজের ট্যাব বা ল্যাপটপের সাহায্যে এক সাথে ১০০-২০০ ছাত্রদের পড়াতে পারবেন। এক্ষেত্রে, কম সময়ে অধিক ছাত্রদের পোড়ানো যাবে এবং একটি ব্যাচ থেকে অধিক ইনকাম করা যাবে।

তাই, অনলাইন টিউশন করেও আপনি অর্থ উপার্জন করতে পারেন। ধরুন আপনি অনেক উচ্চশিক্ষিত একজন ব্যক্তি, বাড়িতে বসে আছেন, চাকরি পাননি বা চাকরীর চেষ্টা করছেন।

এক্ষেত্রে, নিচু ক্লাস থেকে শুরু করে উঁচু ক্লাস পর্যন্ত যে কোন বোর্ডের ছেলে মেয়েদের পড়ান। সপ্তাহে দুই থেকে তিন দিন একটি করে ব্যাচ করুন। মান্থলি ভালো ইনকাম হবে। আপনার চাকরির পাওয়ার চেষ্টাতেও পড়াশোনা গুলি আপনাকে অনেক সাহায্য করবে।

৪. ইউটিউব চ্যানেল তৈরি:

অনেকে বলেন ইউটিউব চ্যানেল খুলে অর্থ উপার্জন হয় না।

হ্যাঁ ইউটিউব চ্যানেল খোলা মাত্রই আপনি অর্থ উপার্জন করতে পারবেন না। অর্থ উপার্জন করতে গেলে যে কোন জিনিসের উপরেই বিশ্বাস, ভরসা ও ধৈর্য্য রাখতে হবে এবং নিয়মিত কাজও করতে হবে।

এক্ষেত্রে, আপনি যে জিনিস গুলি করতে ভালোবাসেন, সে রান্না থেকে শুরু করে যেকোনো জিনিস হতে পারে, সেটা কাগজে লিখুন।

হতে পারে কবিতা পাঠ, হতে পারেন নাচ অথবা গান কিংবা পড়াশোনা অথবা খাওয়া-দাওয়া, হতে পারে কোন এক্সপেরিমেন্ট, বা কোনো বিশেষ বিষয়ে তথ্য প্রদান করতে আপনি পছন্দ করেন।

যেই বিষয়ে আপনার প্রচুর জ্ঞান এবং রুচি রয়েছে, যেই বিষয়টি নিয়ে আপনি সরাসরি নিজের একটি ইউটিউব চ্যানেল তৈরি করতে পারবেন।

ধীরে ধীরে আপনার চ্যানেলের সাবস্ক্রাইবার ও ভিউয়ার্স বাড়লে, আপনি বছর দুয়েক পর থেকেই প্রতি মাসে ২০ হাজার থেকে ১ লাখ টাকা ও ইনকাম করার সুযোগ পেতে পারবেন।

এর সম্ভাবনা অবশই রয়েছে। কেননা, অনেকেই আজ ইউটিউবে কাজ করে অনলাইনে লক্ষ লক্ষ টাকা ইনকাম করার বিষয়টা কিন্তু লুকিয়ে নেই।

এমনও অনেকে ব্যক্তিরা রয়েছে যারা নিজের ইউটিউব চ্যানেলে শুধুমাত্র খাওয়া-দাওয়া করার ভিডিও গুলি দেখিয়েই নিজের চ্যানেল থেকে প্রচুর টাকা উপার্জন করেন। 

৫. অনলাইন সোশ্যাল মিডিয়া হ্যান্ডেলিং জবস:

অনেক বড় বড় কোম্পানি রয়েছে যারা তাদের নিজেদের সোশ্যাল মিডিয়ায় পেজ গুলি হ্যান্ডেল করার জন্য বা ম্যানেজ করার জন্য সোশ্যাল মিডিয়ায় ম্যানেজার হিসেবে অনেককে নিযুক্ত করেন। এবং এর জন্য তারা আপনাকে অনেক পেমেন্ট করবে।

বাড়িতে বসে নিজের ফোন থেকে বা নিজের ল্যাপটপ থেকে খুব সহজেই আপনি এই উপায়ে টাকা উপার্জন করতে পারেন। 

এক্ষেত্রে, কোম্পানির নানান সোশ্যাল মিডিয়া পেজ গুলি পরিচালনা করা, নতুন নতুন পোস্ট পড়া, কমেন্ট রিপ্লাই করা, ইত্যাদি এই ধরণের কাজ গুলি আপনাকে করতে হবে।

৬. অনলাইন ডাটা এন্ট্রি জব:

ইন্ডিড, নকরি ডট কম ইত্যাদি এই ধরণের নানান ওয়েব সাইট থেকে পার্ট টাইম বা ফুল টাইম ডাটা এন্ট্রি জব খুঁজে নিতে পারেন। এক্ষেত্রে বেশিরভাগ অনলাইন ডাটা এন্ট্রি জবস গুলি কিন্তু নিজের স্মার্টফোন থেকে করা যাবেনা।

ডাটা এন্ট্রির কাজের ক্ষেত্রে একটি ল্যাপটপ/পিসি থাকলে কাজ করতে সুবিধা পাবেন।

Transcribing, updating customer information, entering accounting records, form fill-up, data copy-paste, ইত্যাদি এই ধরণের কাজ গুলি মূলত করতে হবে আপনাকে।

মহিলাদের জন্য এই অনলাইন ডাটা এন্ট্রির কাজ গুলি কিন্তু অনেকটাই সুবিধাজনক। কেননা, এক্ষেত্রে আপনি নিজের খালি সময়ে দিনে ২-৩ ঘন্টা কাজ করেই মোটামোটি ভালো পরিমান টাকা পার্ট-টাইম ইনকাম করে নিতে পারবেন।

ইন্টারনেটে আপনারা নানান ওয়েবসাইট গুলিও পাবেন যেগুলিতে নানান Online Part-Time Data Entry Jobs গুলি অফার করা হয়।

তবে মনে রাখবেন, এই ধরণের বেশিরভাগ সাইট গুলি কিন্তু আপনার থেকে registration fee চাইতে পারে। এমন ওয়েবসাইট গুলির থেকে অবশই দূরে থাকা দরকার।

৭. অনলাইন ফর্ম ফিল আপ বা তথ্য মিত্র কেন্দ্র খোলা:

টাইপিং-এ পারদর্শী হলে, আপনিও পারেন তথ্য মিত্র কেন্দ্র খুলতে।

আজকাল র‍্যাশন থেকে আঁধার কার্ড, প্রুফ সংশোধন থেকে চাকরির ফর্ম ফিলাপ অথবা পর্চা তোলা, প্যন কার্ড তৈরি ইত্যাদি নানা কারণে আপনি যদি একটি তথ্য মিত্র কেন্দ্র কিংবা অনলাইন ক্যাফে খোলেন, তাহলে দৈনিক আপনার ভালো ইনকাম হবে।

আজকালের এই অনলাইনের বাজারে এই তথ্য মিত্র কেন্দ্র যে কত কার্যকরী তা আপনার দোকান খুলতে ইনকামের মাধ্যমেই বুঝে যাবেন।

শুধু দরকার একটি ফোন, ল্যাপটপ বা কম্পিউটার আর কিছু পুঁজি সাথে অনলাইন জ্ঞান ও অনলাইন ট্রানজেকশন সম্পর্কে কিছু সম্যক জ্ঞান থাকা আবশ্যক।

৮. অনলাইন বিজনেস:

শাড়ি, জামাকাপড় থেকে শুরু করে কসমেটিক্স বা নিত্য প্রয়োজনীয় দ্রব্যাদি নিয়ে অনলাইনে বিজনেস শুরু করতে পারেন। আজকাল অনলাইন মাধ্যমে পণ্য বিক্রির ব্যবসা অনেকেই করছেন। 

প্রথমত, ফেসবুক, ইনস্টাগ্রাম, কিংবা হোয়াটসঅ্যাপ এর মতো সোশ্যাল মিডিয়া প্লাটফর্ম গুলিকে কাজে লাগিয়ে নিজের products গুলির নিয়মিত প্রচার চালানোর পাশাপাশি, বিজ্ঞাপন এর সাহায্যে জিনিসপত্র গুলি সরাসরি বিক্রি করতে পারেন।

এছাড়া, মাঝেমধ্যে ফেসবুকে লাইভে এসে নিজের সমস্ত জিনিসপত্রের প্রচার করতে পারবেন। সামান্য কিছু কুরিয়ার শিপিং চার্জ নিয়ে হোম ডেলিভারির সুবিধাও করে দিতে পারেন।

নিজের ব্যবসাতে অন্যান্য মহিলাকেও নামিয়ে তাদেরও স্বনির্ভর করে তুলতে পারবেন আপনি।

৯. ওয়েব ডিজাইন ব্যবসা:

আপনারা সকলেই জানেন, একটি ওয়েবসাইটে ও নানান ব্লগে নানারকম ডিজাইন করা হয়ে থাকে। বিজ্ঞাপন দেওয়ার জন্যও নানারকম টুকিটাকি কাজ গুলি করতে লাগে।

আর বড় বড় কোম্পানির কিংবা বড় নামী দামী ব্লগের জন্য যদি আপনি ওয়েবডিজাইনার হিসাবে কাজ করতে পারেন, তাহলে মাসে কয়েকটা প্রজেক্ট করতে পারলেই হাজার হাজার টাকা ইনকাম করা যেতে পারে।

ওয়েব ডিজাইন কোর্স গুলি অনলাইনে অ্যাভেলেবেল রয়েছে। তাই, আপনি চাইলে কিছু দিনের মধ্যে ওয়েব ডিজাইনিং কাজ গুলি শিখে নিয়ে তারপর নানান ক্লায়েন্টদের থেকে কাজ তুলতে পারবেন।

১০. অনলাইন টাইপিং জবস:

অনলাইন টাইপিং জব বলতে নানান ধরণের কাজ গুলি হতে পারে। যেমন, ক্যাপচা পূরণ করার কাজ, কনটেন্ট লেখার, ডাটা এন্ট্রি করার, সার্ভে সম্পূর্ণ করার কাজ, ইত্যাদি।

তাই, যদি আপনি নিজের ল্যাপটপ বা কম্পিউটারে দ্রুত এবং সঠিক ভাবে টাইপিং করতে পারেন, সেক্ষেত্রে অনলাইনে উপলব্ধ থাকা নানান typing jobs গুলি করতে ও নিয়মিত ইনকাম করতে পারবেন।

টাইপিং করে ইনকাম করার এই ধরণের জবস গুলি আপনারা মূলত নানান freelancing marketplace site গুলিতেই পাবেন। এছাড়া, online-এ captcha typing jobs অফার করেন এমন ভালো সাইট গুলিতে গিয়েও কাজ করতে পারেন। ক্যাপচা

১১. অনলাইন ট্রান্সলেটর ওয়ার্ক:

ট্রান্সলেটর কি? জানেন? কোনো ভাষার বইক বা ই-বুক গুলিকে অন্য কোনো ভাষায় ট্রান্সলেট করার জন্য একজন দক্ষ ট্রাইন্সলেটরকে নেওয়া হয়। বেশিরভাগ অফলাইন এবং অনলাইন পাব্লিশিং হাউস/নিউজ পোর্টাল গুলি এদেরকে নিয়ে থাকে।

যদি আপনার কোনো ভাষার উপর দক্ষতা থাকে, মানে ধরুন আপনি বাংলায় দক্ষ, ইংরাজি বা হিন্দির বই, পোস্ট বা কনটেন্ট গুলিকে বাংলায় ট্রান্সলেট করলেন, সেক্ষেত্রে আপনি কোনো ওয়েবসাইট, ব্লগ, অনলাইন নিউজ পোর্টাল এর হয়ে এই কাজ করতে পারবেন।

LinkedIn-এর সাইটে এই ধরণের ট্রান্সলেশন রিলেটেড অনেক কাজ আপনারা পেয়ে যাবেন।

আমি নিজেই অনেক মেয়েদের/মহিলাদের LinkedIn ওয়েবসাইটে দেখতে পাই যারা নিয়মিত এই ধরণের কাজ গুলি খুঁজে থাকেন এবং নানান অনলাইন publishing house/portal গুলির তরফ থেকে তারা নতুন নতুন কাজ গুলিও পেয়ে যায়।

১২. অনলাইন ব্লগ তৈরি করুন:

যদি আপনি একজন ছাত্র, মহিলা বা এমন কোনো ব্যক্তি যে নিজের ফুল-টাইম চাকরির পাশাপাশি অনলাইনে কাজ করে প্যাসিভ ইনকাম করতে চাইছেন, সেক্ষেত্রে অনলাইনে নিজের একটি ব্লগ তৈরি করতে পারেন। একজন ব্লগার হয়ে যান।

রান্নার টিপস, কোনো ক্রিয়েটিভ আইডিয়া, জরুরি তথ্য, টিউটোরিয়াল যা কিছু আপনার মাথায় আসে তা লিখতে পারবেন আপনি। তবে হ্যাঁ অন্য কোথাও থেকে কপি করবেন না, কপি করা কনটেন্ট নিলেও, তাতে ইনকাম হয় না।

একটি ব্লগ তৈরি করুন, ধীরে ধীরে ব্লগের ভিউয়ার্স বাড়ার সাথে সাথে নানান মাধ্যমে আপনার ব্লগ থেকে ইনকাম করার সুযোগ পাবেন। হ্যাঁ, তবে ব্লগ তৈরি করেই দ্বিতীয় দিন থেকেই যে ইনকাম করবেন, সেটা ভাবলে চলবেনা।

সব কিছুর জন্যই ধৈর্য্য রেখে এবং নিয়মিত পরিশ্রম করতেই লাগবে। আর ব্লগিং করার ক্ষেত্রেও শুরুতে আপনাকে অনেক কিছুই জানতে হবে। যেমন ধরুন, SEO, ওয়েবসাইট ডিজাইন করা, কনটেন্ট লেখা, Google analytics, ইত্যাদি।

১৩. অনলাইন রিসেলিং ব্যবসা:

অনলাইনে আপনারা এমন নানান ওয়েবসাইট বা অ্যাপস গুলি পাবেন যেগুলিতে গিয়ে সেখানে থাকা নানান products/services গুলিকে resell করার কাজ করেও ইনকাম করা যাবে।

এমনই একটি Product Reselling App হলো, “Meesho App”।

Meesho app-টিতে মূলত একটি online shopping app, যেখানে বাচ্চা থেকে শুরু করে, পুরুষ এবং মহিলাদের কাপড়-জামা, এবং অন্যান্য নানান প্রডাক্ট গুলি পাওয়া যায়।

এবার, আপনি চাইলে এই অনলাইন ই-কমার্স প্লাটফর্ম এর মধ্যে থাকা যেকোনো পণ্য অন্যান্য লোকেদের সাথে শেয়ার করে তাদেরকে পণ্যটি কেনার জন্য উৎসাহিত করতে পারেন।

যখনই আপনার দিয়ে দেওয়া লিংক থেকে আপনার কোনো বন্ধু বা ব্যক্তি সেই পণ্যটি কিনবেন, আপনাকে আপনার সেট করা মার্জিন ইনকাম দিয়ে দেওয়া হবে।

পণ্য গুলি রিসেল করার জন্য জরুরি প্রত্যেক ছবি এবং ডিটেলস আপনারা Meesho app-থেকেই পেয়ে যাবেন।

১৪. সোশ্যাল মিডিয়া ইনফ্লুয়েন্সার:

যদি আপনি একজন মহিলা এবং মেয়েদের অনলাইনে কাজ করে টাকা ইনকাম করার সেরা অনলাইন জবস গুলি খুঁজছেন, সেক্ষেত্রে আপনি একজন social media influencer হিসেবে কাজ করতে পারেন।

Instagram, Facebook, YouTube, এই ধরণের social media platform গুলিতে নিজের একটি channel/page বানিয়ে নিজের পছন্দ-অপছন্দ বিষয় গুলি নিয়ে কথা বলুন, ছবি-ভিডিও ইত্যাদি শেয়ার করুন।

এবার, ধীরে ধীরে যখন আপনার channel/page-এর মধ্যে প্রচুর followers-রা যুক্ত হবেন, আপনি নানান মাধ্যমে নিজের সোশ্যাল মিডিয়া চ্যানেল থেকে অনলাইনে টাকা আয় করার সুযোগ পাবেন।

যেমন ধরুন, অনলাইন বিজ্ঞাপন দেখিয়ে, পেইড প্রমোশন করে, ব্র্যান্ডদের সাথে যুক্ত হয়ে, ইত্যাদি।

১৫. অনলাইনে কোর্স বিক্রি করা:

পুরুষ হোক বা মহিলা, প্রত্যেকের ক্ষেত্রেই অনলাইন মাধ্যমে প্যাসিভ ইনকাম করার আরেকটি দারুন উপায় হলো, নিজের অনলাইন ভিডিও কোর্স তৈরি ও বিক্রি করে ইনকাম করা।

এক্ষেত্রে আপনাকে, একটি বিষয় সিলেক্ট করে ভিডিও রেকর্ড, স্ক্রিন রেকর্ড, ইত্যাদির মাধ্যমে একটি ভিডিও কোর্স তৈরি করতে হয়। কোর্স তৈরি করার জন্য আপনাকে এমন একটি বিষয় সিলেক্ট করতে হয় যেই বিষয়ে অনেকেই শিখতে চাইছেন।

যেমন ধরুন, ডিজিটাল মার্কেটিং, ট্রেডিং, SEO, Blogging, গিটার বাজানো, হারমোনিয়াম, ইত্যাদি যেকোনো বিষয়ই হতে পারে।

এবার, তৈরি করা নিজের কোর্সটিকে সোশ্যাল মিডিয়া, পেইড বিজ্ঞাপন, ইউটিউব, ব্লগ, ওয়েবসাইট, ইত্যাদি নানান মাধ্যমে হাজার হাজার লোকেদের কাছে অনলাইনে বিক্রি করে বছর কে বছর প্যাসিভ ইনকাম করতে পারবেন।

১৬. Fiverr-এর মধ্যে ফ্রিল্যান্সিং কাজ করুন:

Fiverr কি? এখান থেকে কিভাবে ইনকাম করবেন? এই বিষয়ে হয়তো আপনি এখনো জানেননা। দেখুন, যখন কথা বলা হচ্ছে, মেয়েদের জন্য অনলাইন জব গুলির বিষয়ে সেক্ষেত্রে Fiverr-এর বিষয়ে অবশই বলা দরকার।

Fiverr আসলে একটি online freelancing marketplace-সাইট গুলির মধ্যে একটি অনেক জনপ্রিয় ও অধিক ব্যবহূত সাইট। এখানে আপনারা $5 ডলার নিয়ে বিশ্বজুড়ে নানান ক্লায়েন্টদেরকে নানান ধরণের কাজ গুলি করে দিতে পারবেন।

যেমন ধরুন, logo designing, content writing, editing, voice over, translation, data-entry, ইত্যাদি নানান ধরণের কাজ গুলি Fiverr-এর মধ্যে পাওয়া যাবে।

একজন মহিলা হিসেবে, যদি আপনি নিজের খালি সময়ে ঘরে বসেই অনলাইনে কাজ করে ইনকাম করতে চাইছেন, সেক্ষেত্রে Fiverr-এর সাইট একবার হলেও ব্যবহার করে দেখুন।

১৭. পেইড সার্ভে সম্পূর্ণ করার কাজ:

আপনার কাছে যদি দিনে ২ থেকে ৩ ঘন্টা খালি সময় থাকে এবং আপনি এমন একটি অনলাইন জব খুঁজছেন, যেখান থেকে অনেক সামান্য পরিমানে হলেও সহজে টাকা ইনকাম করা যাবে, তাহলে অনলাইনে পেইড সার্ভে সম্পূর্ণ করার জব গুলি করতে পারেন।

ইন্টারনেটে আপনারা প্রচুর সাইট গুলি পাবেন যেগুলিতে সার্ভে পূরণ করে টাকা ইনকাম করার সুযোগ দেওয়া হয়। মানে, এক্ষেত্রে আপনাকে নানান ব্র্যান্ড, কোম্পানি, প্রোডাক্ট বা পরিষেবা, ইত্যাদির সাথে জড়িত প্রশ্ন গুলি করা হয়।

এবার, আপনাকে একেবারে সঠিক ভাবে নিজের পরামর্শ এবং ফিডব্যাক গুলি দিয়ে দিতে হয়। ব্যাস, এভাবে দিনে ২ থেকে ৩ টি সার্ভে সম্পূর্ণ করে প্রতিদিন ৫০ থেকে ১০০ টাকা অনলাইনে ইনকাম করে নিন।

কিছু সেরা ও জনপ্রিয় online survey filling website গুলি হলো,

  • Swagbucks,
  • Opinion Outpost,
  • InboxDollars,
  • Survey Junkie,
  • Toluna,
  • ySense,
  • MyPoints, ইত্যাদি।

খাবার ডেলিভারির কাজ: (অফলাইন)

হতে পারে আপনিও নিজের পরিবারের সদস্যদের জন্য রান্না করেন। তারা কি আপনার রান্নায় মুগ্ধ হয়ে মাঝে মাঝে তারিফও করেন? যদি হ্যা, তাহলে আপনার এই দারুন রান্নার কৌশলটিকে কাজে লাগান।

এক্ষেত্রে আপনি চাইলে অর্ডার নিয়েও রান্না করতে পারেন। নানান দপ্তরে দপ্তরে কাজ করা কর্মীদের ডেলিভারি দিতে পারেন। এছাড়া, কোনো উৎসব বা ফাংশনে বা জন্মদিনের বাড়িতেও খাওয়ার বানানোর অর্ডার নিতে পারেন।

বানানো খাওয়ার ডেলিভারি করার বিষয়টা নিয়ে এতটা ভাবতে হবেনা। ঘরে কোনো পুরুষ মানুষ থাকলে তাকে দিয়ে ডেলিভারি করিয়ে দিতে পারেন, অথবা ডেলিভারি করার জন্য কাওকে। রাখুন

এভাবে, ঘর থেকে রান্নার কাজ করে নিজের একটি সম্পূর্ণ প্রফিটেবলে ব্যবসা শুরু করতে পারবেন আপনি।

বেকারি ব্যবসা করুন: (অফলাইন)

বর্তমান সময়ে বেকারির ব্যবসার চাহিদা ও গুরুত্ব প্রচুর বৃদ্ধি পেয়েছে।

তবে, নিজের ঘরে রান্না করে হোম ডেলিভারি করার ব্যবসা আর বেকারি ব্যবসার মধ্যে প্রচুর তফাৎ রয়েছে। রান্না করে ডেলিভারি করার ক্ষেত্রে আপনি নিজে রান্না করছেন, তবে বেকারির ব্যবসা তে কিন্তু আপনি নিজে রান্না না করেও করতে পারেন।

হ্যাঁ, এবার এক্ষেত্রে আপনি চাইলে নিজের ঘরেই নানান বেকারি আইটেম গুলি তৈরি করে সেগুলি দোকানে সকানে সাপ্লাই করতে পারবেন। আবার চাইলে, অন্যান্য বেকারি থেকে বেকারি আইটেম গুলি কিনে নিয়ে বেশি দামে বিক্রি করতে পারেন।

এই দুটো ক্ষেত্রেই, সঠিক ভাবে কাজ করতে পারলে, লাভ এবং ইনকাম প্রচুর।

FAQ: মেয়েদের জন্য অনলাইন জব:

১. মেয়েদের জন্য কোন অনলাইন জব গুলি সেরা ও সুবিধাজনক?

আমার হিসেবে, মেয়েদের জন্য Blogging, Social Media Influencer, YouTube, Freelance Content Writing, Translation Work, Online Data Entry, Script Writing, ইত্যাদি এই ধরণের কাজ গুলি সেরা।

২. অনলাইনে কি সত্যি ইনকাম করা যায়?

বর্তমান সময়ে অনলাইনে এমন ভালো ভালো প্লাটফর্ম গুলি তৈরি হয়েছে যেগুলির দ্বারা সত্যি এবং রিয়েল টাকা ইনকাম করার সুযোগ পাওয়া যায়। যেমন, Google AdSense, AdMob, YouTube, Freelancing Website, GPT (Get Paid To Sites), ইত্যাদি।

৩. অনলাইনে টাকা আয় করার সেরা ওয়েবসাইট কোনটি?

অনলাইনে ইনকাম করতে চাইলে সেক্ষেত্রে ইনকামের নানান সাইট গুলি আছে। তবে আপনি কি ধরণের কাজ করতে চাইছেন এবং আপনার ইন্টারেস্ট এর উপর নির্ভর করে আপনি ওয়েবসাইট গুলি ব্যবহার করতে পারেন। এক্ষেত্রে অনেক ওয়েবসাইট আছে, যেমন, Upwork, Fiverr, Freecash, ySense, Swagbucks, ইত্যাদি।

আমাদের শেষ কথা,,

অনেকে বলেন যে অনলাইন ব্যবসাতে কিন্তু সফলতা নেই। তবে দেখুন অ্যামাজন, ফ্লিপকার্ট, মিশো, মিন্ত্রা এই সমস্ত কোম্পানিদের।

আজ পর্যন্ত তাদের দোকান হয়তো খুব কম মানুষ দেখেছে, কিন্তু জিনিস প্রায় সবার ঘরে। কারণ কম দামে, অতি অল্প শিপিং চার্জে যখন আপনি আপনার পছন্দের জিনিস পাবেন তখন আরো কিনবেন। অর্থাৎ তাদের ব্যবসার চাহিদা বাড়ছে।

একই ভাবে আপনিও আপনার ব্যবসা খুললে একদিন ঠিক প্রতিষ্ঠা পাবেন। তবে বারবার একটাই কথা বলব ধৈর্য্য রাখতেই হবে।

আজ এই কাজটা করলাম, দেখলাম ইনকাম কম, এটাকে ফেলে রেখে অন্য কাজে নেমে গেলাম, আবার সেটা ছেড়ে অন্য একটায় গেলাম, এটা কিন্তু কোনো সঠিক উপায় নয়।

দীর্ঘদিনের মেহনত, শ্রম, ধৈর্য্য, ভালোবাসা ব্যবসা হোক বা জব, তারপ্রতি একটা আলাদা টান থাকলে একদিন না একদিন সে আপনাকে অনেক কিছুই দেবে। রাতারাতি বড়োলোক হবার স্বপ্ন থাকলে সেটা কোনো উপায়েই সম্ভব নয় লটারি ছাড়া।

আশা করছি, মেয়েদের জন্য থাকা এই সেরা অনলাইন জব গুলোর তালিকা আপনাদের অবশই পছন্দ হয়েছে। আজ ছেলেদের বা মেয়েদের জন্য অনলাইন কাজ প্রচুর রয়েছে, তবে মনে রাখবেন, আপনাকে নিজের ইন্টারেস্ট হিসেবে কাজ গুলি বেছেনিতে হবে। 

Leave a Comment

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Scroll to Top