অনলাইনে টাকা ইনকাম করার ওয়েবসাইট গুলোর মধ্যে সবচেয়ে অধিক জনপ্রিয়তা লাভ করেছে নানান ফ্রিল্যান্সিং সাইট গুলো। Freelancing Marketplace ওয়েবসাইট গুলোতে গিয়ে রিয়েল ক্লায়েন্টদের রিয়েল কাজ গুলো করে আমরা রিয়েল টাকা ইনকাম করার সুযোগ পেয়ে থাকি। এছাড়া, ইনকাম করার ওয়েবসাইট গুলোর কথা বলতে সে অনলাইনে নানান ধরণের অর্থ উপার্জনকারী সাইট গুলোই আপনি পেয়ে যাবেন। এদের মধ্যে সব থেকে অধিক জনপ্রিয় অনলাইন ইনকাম ওয়েবসাইট এর ধরণ কিছু হলো, freelancing sites, GPT (Get Paid To) Sites, Survey website, Online Gaming website, ইত্যাদি।
আজকের এই আর্টিকেলের মধ্যে আমরা এমন লাভজনক এবং কিছু ভালো ইনকাম সাইট গুলোর বিষয়ে জানবো যেগুলোতে গিয়ে সরাসরি নানান ছোট ছোট কাজ বা টাস্ক গুলো সম্পূর্ণ করে অর্থ উপার্জন করা যেতে পারে।
সার্ভে সম্পূর্ণ করা, ক্যাপচা টাইপিং জব, সার্ভে সম্পূর্ণ করা, রেফার করে ইনকাম করা এবং এই ধরণের নানান ছোট ছোট কাজ গুলো করে এই সাইট গুলোর থেকে ইনকাম করা যেতে পারে। এছাড়া, অনলাইনে এমন নানান ওয়েবসাইট গুলিও রয়েছে যেগুলোতে টাইপিং করেও অর্থ উপার্জন করা যেতে পারে।
যদি আপনি এমন একটি ওয়েবসাইট চাইছেন যেখানে নানান মাইক্রো টাস্ক গুলো সম্পূর্ণ করে ঘরে বসে অনলাইনে টাকা ইনকাম করা যেতে পারে, তাহলে নিচে বলে দেওয়া সেরা ওয়েবসাইটগুলোর তালিকাটি অবশই দেখেনিন। এই অনলাইনে ইনকাম করার ওয়েবসাইট গুলো অনেকেই ব্যবহার করছেন এবং তাদের ইনকামের প্রমান ইউটিউব, ফেসবুক এবং নানান ব্লগ গুলোর মাধ্যমে তারা শেয়ারও করেছেন।
অনলাইনে টাকা ইনকাম করার ওয়েবসাইট গুলো কিভাবে কাজ করে?
অর্থ উপার্জনকারী ওয়েবসাইট গুলো আমাদের নানান ধরণের টাস্ক বা কাজ গুলো করানোর বিপরীতে অর্থ উপার্জনের সুযোগ ও সুবিধা গুলো দিয়ে থাকে। মনে রাখা দরকার যে, আলাদা আলাদা আর্নিং ওয়েবসাইট গুলোর বৈশিষ্ট এবং কাজের ধরণ আলাদা আলাদা হওয়াটা স্বাভাবিক। তাই, প্রত্যেকটি ওয়েবসাইটেই যে একই ধরণের কাজ আপনাকে করতে দেওয়া হবে সেটা কিন্তু মোটেও নয়।
১. ফ্রিল্যান্সিং মার্কেটপ্লেস ওয়েবসাইট:
Fiverr, Guru, Upwork, ইত্যাদির মতো নানান ফ্রিল্যান্সিং ওয়েবসাইট গুলো অনলাইনে উপলব্ধ রয়েছে যেগুলোর দ্বারা সরাসরি বিশ্বজুড়ে নানান ক্লায়েন্টদের সাথে সংযুক্ত হয়ে তাদের জন্য নানান ধরণের কাজ/প্রজেক্ট গুলো করা যায়।
আসলে, এই ধরণের সাইট গুলোতে আপনাকে নিজের দক্ষতা, অভিজ্ঞতা এবং পূর্বে করা কাজের প্রমান গুলো সহ নিজের একটি প্রোফাইল তৈরি করতে হয়। পাশাপাশি, আপনি কোন কোন পরিষেবা গুলো দিতে চাইছেন, সেটাও নানান গিগ হিসেবে পোস্ট করতে পারবেন। এবার, আপনার প্রোফাইল এবং পরিষেবা দেখে যদি কোনো ক্লায়েন্ট কাজ করানোর জন্য আগ্রহী হয়ে থাকে, তাহলে সে সরাসরি সেই ফ্রিল্যান্সিং ওয়েবসাইটের মধ্যেই আপনার সাথে যোগাযোগ করে নিয়ে কাজটি করাতে পারবেন।
ফ্রিল্যান্সিং ওয়েবসাইট গুলো মূলত, বিক্রেতা/ফ্রিল্যান্সার এবং ক্রেতাকে/ক্লায়েন্টদের সংযুক্ত করতে একজন মধ্যস্থতাকারী হিসাবে কাজ করে থাকে। ক্রেতা এবং বিক্রেতা, দু’জনের মধ্যে একবার চুক্তি হয়ে গেলে, এবার এই ওয়েবসাইটগুলি টোটাল অর্ডারের পরিমাণ থেকে নিজের কমিশনের অংশ আগেই নিয়ে নেয়। এই সিমিশনটি নেওয়া হয়, ওয়েবসাইট গুলোর দ্বারা একটি নিরাপদ এবং বিশ্বস্ত অনলাইন কাজের প্ল্যাটফর্ম প্রদানের জন্য।
২. এফিলিয়েট পার্টনার প্রোগ্রাম:
Amazon, ClickBank, ShareASale, ইত্যাদির মতো নানান এফিলিয়েট ওয়েবসাইট এবং পার্টনার প্রোগ্রাম গুলো রয়েছে যেগুলো কোনো টাকা না নিয়ে বা কোনো ধরণের ডিপোজিট ছাড়া তাদের পণ্য এবং পরিষেবা গুলোকে আপনার অনলাইন নেটওয়ার্ক বা শ্রোতাদের সাথে শেয়ার করার সুবিধা আপনাকে দিয়ে থাকে। এবার, আপনার শেয়ার করা পণ্য বা পরিষেবাগুলো যখনই কেও কিনে নিবেন বা কোনো ধরণের লিড জেনারেট হবে, আপনি আয় করে নিবেন কিছু কমিশন বা টাকা।
৩. অনলাইন সার্ভে ওয়েবসাইট:
অনলাইন সার্ভে ওয়েবসাইট গুলো নানান বড় বড় কোম্পানিগুলির সাথে কাজ করে থাকে।
আসলে এই ওয়েবসাইট গুলোর মূল কাজটি হলো আমার এবং আপনার মতো সাধারণ ব্যক্তিদের থেকে নানান কোম্পানি, ব্র্যান্ড, পণ্য এবং পরিষেবার বিষয়ে তথ্য এবং মতামত গুলো অর্জন করা। তবে আমার এবং আপনার জন্য ঘরে বসে পার্ট-টাইম কাজ করে টাকা ইনকাম করার জন্য এই সার্ভে ওয়েবসাইট গুলো কিন্তু কার্যকর।
এক্ষেত্রে, প্রতিদিন শুধুমাত্র ২-৩ ঘন্টা সময় দিয়ে আপনাকে নানান নতুন নতুন সার্ভে গুলোর উত্তর দিয়ে সেগুলোকে সম্পূর্ণ করতে হয়। ySense, Swagbucks, Branded Surveys, Toluna, OnePoll, InboxPounds, PopulusLive, Opinion Outpost, ইত্যাদি এই ধরণের প্রচুর সাইট গুলো রয়েছে যেখানে সার্ভে সম্পূর্ণ করে টাকা ইনকামের সুযোগ আপনি পাবেন।
৪. অনলাইন ফটো সেলিং ওয়েবসাইট:
অনলাইনে এমন প্রচুর স্টক ফটো সেলিং ওয়েবসাইট গুলো আছে যেখানে আপি ছবি বিক্রি করে অর্থ উপার্জন করতে পারবেন। ওয়েবসাইট গুলো আসলে একটি মার্কেটপ্লেস হিসেবে কাজ করে থাকে। মানে, অনলাইনে ছবি বিক্রি করার ওয়েবসাইট গুলোতে গিয়ে আপনি চাইলে নানান স্টক ফটো, ভিডিও, গ্রাফিক্স ইত্যাদি কিনে নিজের ব্যবসার ক্ষেত্রে ব্যবহার করতে পারবেন।
আবার, যদি আপনি ছবি তুলতে পছন্দ করেন বা ইউনিক এবং হাই কোয়ালিটির ছবি গুলো তুলতে জানেন, সেক্ষেত্রে একজন কন্ট্রিবিউটর হিসেবে একটি ফ্রি একাউন্ট তৈরি করে এই অনলাইন ইমেজ সেলিং ওয়েবসাইট গুলোর থেকে কোনো ধরণের ডিপোজিট ছাড়া নিয়মিত ইনকাম করতে থাকতে পারবেন।
এক্ষেত্রে, Shutterstock, Alamy, 500px, Getty Images, DreamsTime.com, ইত্যাদি এই ধরণের একাধিক অনলাইন স্টক ইমেজ ওয়েবসাইট গুলো উপলব্ধ রয়েছে যেগুলোতে stock footage, photos, videos, sound effects, ইত্যাদি আপলোড ও সেগুলোকে বিক্রি করিয়ে আপনি টাকা ইনকাম করতে পারবেন।
৫. মাইক্রো টাস্ক ওয়েবসাইট (GPT Sites):
চট-পট নানান ছোট ছোট কাজ গুলো করে ডলারে টাকা ইনকাম করার জন্য এই মাইক্রো-টাস্ক বা GPT (Get Paid To) ওয়েবসাইট গুলো আপনার অনেক কাজে লাগতে পারে।
আসলে এই ধরণের ওয়েবসাইট গুলো নানান নতুন নতুন কোম্পানিগুলোর সাথে সংযুক্ত হয়ে কোম্পানির পণ্য এবং পরিষেবা গুলো তাদের প্লাটফর্মের দ্বারা প্রচার করে থাকেন। আর তাই এখানে আমাদের, সার্ভে সম্পূর্ণ করা, অ্যাপ ডাউনলোড ও ব্যবহার করা, ওয়েবসাইট ভিজিট করা, ভিডিও দেখা, ইত্যাদি এই ধরণের নানান কাজ গুলো করতে হয়।
অনলাইনে টাকা উপার্জন করার ভালো ওয়েবসাইট গুলো – ১৪টি
ওয়েবসাইট: | প্রকার: |
---|---|
Google AdSense | কনটেন্ট মনিটাইজেশন সাইট। |
Freecash.com | মাইক্রো টাস্ক, রেফার ইত্যাদি করা। |
YouTube.com | ভিডিও তৈরি করে আপলোড করা। |
Swagbucks.com | পেইড সার্ভে এবং মাইক্রো-টাস্ক করা। |
Medium | কনটেন্ট পাবলিশিং প্লাটফর্ম। |
2Captcha | ক্যাপচা এন্ট্রির কাজ করা। |
Shutterstock | ছবি বিক্রি করার সাইট। |
Facebook Marketplace | অনলাইন ফ্রি মার্কেটপ্লেস। |
ySense | একাধিক ছোট ছোট কাজ করা। |
BananaBucks | অনলাইন সার্ভে সাইট। |
Dreamstime | অনলাইন ফটো সেলিং ওয়েবসাইট। |
Fiverr | ফ্রিল্যান্সিং মার্কেটপ্লেস। |
Facebook (in-stream ads) | সোশ্যাল মিডিয়া সাইট। |
Google Admob | মোবাইল এডভার্টাইসিং কোম্পানি। |
১. Google AdSense:
গুগল এডসেন্স ওয়েবসাইটটি ব্যবহার করে আপনি একজন অনলাইন কনটেন্ট পাবলিশার হিসেবে টাকা ইনকাম করতে পারবেন। আপনার ওয়েবসাইট বা ইউটিউব চ্যানেলের কনটেন্ট, ইউজার, ইউজার লোকেশন, ইত্যাদি নানান উপাদান গুলোর উপর নজর দিয়ে এডসেন্স আপনার অনলাইন প্লাটফর্মে নানান বিজ্ঞাপন দেখিয়ে থাকে।
এবার, এডসেন্স দ্বারা আপনার সাইটে দেখানো বিজ্ঞাপন গুলোর জন্য আপনি মোটামোটি $0.2 – $2.5 প্রতি ১০০০ এড ভিউ এর জন্য পাবেন। তবে, বিজ্ঞাপন গুলো দেখার বা সেগুলিতে ক্লিক করার জন্য আপনাকে কত টাকা দেওয়া হবে, সেটা সম্পূর্ণভাবে বিজ্ঞাপনদাতাদের উপর নির্ভর করে থাকে।
এছাড়া, মোবাইল, পিসি, ট্যাবলেট, ইত্যাদি প্রত্যেকটি ডিভাইস এর মধ্যেই এডসেন্স বিজ্ঞাপন গুলো দেখানো হয়ে থাকে। জেনে রাখুন যে, এডসেন্স কিন্তু “EPC (earnings per click), CPC (cost per click) এবং মূলত ECPM (effective cost per mille) এর উপর ভিত্তি করে টাকা দিয়ে থাকে।
মানে, আপনার সাইটে দেখানো বিজ্ঞাপন গুলোতে কতটা ক্লিক হলো এবং পাশাপাশি প্রতি হাজার এড ভিউ এর উপর ভিত্তি করে টাকা দেওয়া হয়। এডসেন্স ওয়েবসাইট থেকে কত টাকা ইনকাম করতে পারবেন, সেটা মূলত নানান উপাদান গুলোর উপর নির্ভর করে থাকে। যেমন, আপনার ওয়েবসাইটে কি পরিমান ট্রাফিক আছে, ট্রাফিক কোয়ালিটি, কি ধরণের কনটেন্ট আপনার ওয়েবসাইটে আছে ইত্যাদি।
মনে রাখার বিষয়:
- আপনার একটি ব্লগ সাইট বা ইউটিউব চ্যানেল থাকতে হবে।
- এডসেন্স পাওয়ার জন্য প্রথমে এপ্লাই করে এপ্রুভাল নিতে হবে।
- ওয়েবসাইট বা চ্যানেলে পর্যাপ্ত পরিমান ভিউস থাকা দরকার।
২. Freecash.com
যদি আপনি এমন একটি ভালো ইনকাম সাইট খুঁজছেন যেখানে শুধুমাত্র কিছু ছোট ছোট কাজ গুলো সম্পূর্ণ করে মিনিমাম $0.50 পর্যন্ত ক্যাশআউট নেওয়া যাবে, তাহলে freecash সাইটটি অবশই ব্যবহার করে দেখতে পারেন।
এটা মূলত একটি GPT (get paid to) সাইট যেখানে সার্ভে সম্পূর্ণ করা, গেম খেলা, অ্যাপ ডাউনলোড ও টেস্ট করার মতো কাজ গুলো করতে হয়। অবশই, এই ওয়েবসাইটে জেকেও নিজের একটি ফ্রি একাউন্ট তৈরি করে কাজ শুরু করতে পারবেন।
এখানে, ইনকাম করা টাকা গুলো তুলতে হলে আপনারা PayPal, Bitcoin, Bank transfer, এর মতো অপসন গুলো ব্যবহার করতে পারবেন। এছাড়া, আপনি চাইলে amazon, steam, PlayStation, এর মতো প্লাটফর্ম গুলোর গিফট কার্ড ও রিওয়ার্ড হিসেবে রেডিম করতে পারেন।
মনে রাখার বিষয়:
- নানান টাস্ক গুলো করার জন্য আপনাকে কয়েন দেওয়া হয়।
- ইনকাম করা কয়েন গুলোকে পেপাল, ব্যাংক, বিটকয়েন বা গিফট কার্ড দ্বারা রেডিম করা যাবে।
- একাউন্ট তৈরি করতে কোনো টাকা দিতে হয়না।
- মোবাইল দিয়েও কাজ করা যাবে।
৩. Youtube.com
YouTube Partners Program-এর জন্য এপ্লাই করে এপ্রুভাল নিতে পারলে আপনিও ঘরে বসে ভিডিও বানিয়ে ইউটিউব থেকে টাকা ইনকাম করতে পারবেন।
ইউটিউব থেকে ইনকামের নানান উপায় গুলো রয়েছে। এগুলোর মধ্যে কিছু হলো, advertising revenue, channel memberships, super chats, super stickers, channel memberships, merch shelves, and YouTube Premium Revenue, ইত্যাদি।
একজন ইউটিউব ক্রিয়েটর হিসেবে আপনি এই উপায় গুলোকে কাজে লাগিয়ে নিজের চ্যানেল থেকে নিয়মিত অর্থ উপার্জন করতে পারবেন। তবে মনে রাখবেন, YouTube Partner Program-এর জন্য আপনাকে শুরুতে এপ্রুভাল নিতে হবে এবং এর জন্য আপনার চ্যানেলে টোটাল ১০ হাজার সাবস্ক্রাইবার এবং ৪০০০ ঘন্টার পাবলিক ভিউস থাকতে হবে।
ইউটিউবের পার্টনার প্রোগ্রাম ছাড়াও, এফিলিয়েট মার্কেটিং, স্পন্সরড ভিডিও, পেইড রিভিউ, রেফারাল, ইত্যাদি অন্যান্য নানান মাধ্যমে এই সাইট থেকে ইনকাম করা যেতে পারে।
মনে রাখার বিষয়:
- ইউটিউব থেকে নিয়মিত ইনকাম করার জন্য কমেও ১-২ বছরের সময় লাগে।
- এখান থেকে প্রতিমাসে আনলিমিটেড টাকা ইনকামের সুযোগ পাওয়া যায়।
- সম্পূর্ণ ফ্রীতে চ্যানেল বানিয়ে ভিডিও আপলোড করা যাবে।
- টিউটোরিয়াল, রিভিউ, গেমিং, নানান ধরণের ভিডিও বানানো যাবে।
- চ্যানেলের বিষয় সিলেক্ট করার আগে খানিকটা রিসার্চ অবশই করুন।
৪. Swagbucks:
২০১৬ সালে লঞ্চ হওয়া এই সেরা ইনকাম ওয়েবসাইটটিতে সরাসরি ভিডিও দেখে, পেইড সার্ভে সম্পূর্ণ ইত্যাদির মতো ছোট ছোট কাজ গুলো করে অর্থ উপার্জন করা যেতে পারে। গত কয়েক বছরের মধ্যে এই ওয়েবসাইটটি প্রচুর জনপ্রিয়তা লাভ করেছে বটে।
Swagbucks-এর মধ্যে আপনারা প্রচুর হাই পেয়িং সার্ভে গুলি নিয়মিত পেতে থাকবেন। তাই, নানান কোম্পানি এবং ব্র্যান্ড এর সাথে জড়িত প্রশ্নের উত্তর গুলো দিয়ে এই সাইট থেকে কিছুটা হলেও পার্ট – টাইম ইনকাম অবশই করে নিতে পারবেন।
Swagbucks, ওয়েবসাইটটিতে আপনি সম্পূর্ণ ফ্রীতে নিজের একটি একাউন্ট তৈরি করে নিতে পারবেন।
একাউন্ট তৈরি করার পর আপনাকে প্রতিদিন কিছু ডেইলি টাস্ক গুলো দিয়ে দেওয়া হবে যেগুলোকে সম্পূর্ণ করার পর আপনাকে দিয়ে দেওয়া হবে কিছু রিওয়ার্ড। এছাড়া এই ওয়েবসাইট থেকে ইনকাম করা রিওয়ার্ড বা টাকা গুলোকে আপনারা bank, PayPal, বা Gift card, হিসেবে তুলে নিতে পারবেন।
মনে রাখার বিষয়:
- এই প্লাটফর্মে নানান এক্টিভিটি গুলো সম্পূর্ণ করার জন্য রিওয়ার্ড দেওয়া হয়।
- প্রতিদিন ৫০ থেকে ১০০ আয় করা সম্ভাবনা আছে যদিও এক্ষেত্রে প্রচুর সময় দিতে হয়।
- এই ওয়েবসাইটে হাই পেয়িং সার্ভে গুলো পাওয়া যেতে পারে।
- ফ্রীতে একাউন্ট তৈরি করতে পারবেন।
- মোবাইল দিয়েও এই সাইটে কাজ করা যায়।
৫. Medium.com
Medium.com, একটি অনেক জনপ্রিয় কনটেন্ট পাবলিশিং প্লাটফর্ম যেখানে আপনি যেকোনো বিষয়ে নানান আর্টিকেল গুলো লিখে পাবলিশ করতে পারবেন। একটি ওয়েবসাইট ছাড়া, আর্টিকেল লিখে নিয়মিত টাকা ইনকাম করতে চাইলে, মিডিয়াম আপনার জন্য সেরা বিকল্প হয়ে দাঁড়াতে পারে।
মিডিয়াম এর ওয়েবসাইটে পাবলিশ করা নিজের কনটেন্ট গুলোকে মনিটাইজ করার কিছু কার্যকর উপায় অবশই রয়েছে। তবে এর জন্য আপনাকে নিয়মিত হাই কোয়ালিটি কনটেন্ট লিখে মিডিয়ামে পাবলিশ করতে থাকতে হবে এবং পাশাপাশি নিজের একটি অডিয়েন্স বেসও তৈরি করতে হবে।
আসলে Medium-এর একটি পার্টনার program রয়েছে যার দ্বারা আপনি সরাসরি আপনার কনটেন্ট রিডারদের দ্বারা অর্থ উপার্জন করতে পারবেন। কিভাবে? আসলে, মিডিয়াম এর একটি প্রিমিয়াম মেম্বারশিপ প্ল্যান রয়েছে।
এবার, Medium premium membership ব্যবহার করছেন এমন শ্রোতারা আপনার কনটেন্ট গুলো কতটা সময় পড়ছেন, কতটা সময় আপনার পাবলিশ করা কনটেন্ট গুলিতে দিচ্ছেন, এগুলোর উপর নির্ভর করে medium, তার প্রিমিয়াম মেম্বারশিপ ফী থেকে কিছু অংশ আমাদের দিয়ে থাকে।
এছাড়া, medium থেকে টাকা আয় করার আরেকটি উপায় হলো, এফিলিয়েট প্রোগ্রাম।
আপনি যদি নতুন নতুন ব্যক্তিদের মিডিয়াম এর পেইড মেম্বারশিপটি রেফার করে বিক্রি করাতে পারেন, সেক্ষেত্রে মেম্বারশিপ ফী এর কিছু অংশ আপনাকে কমিশন হিসেবে দিবে মিডিয়াম।
মনে রাখার বিষয়:
- মিডিয়াম এর মধ্যে শক্তিশালী অডিয়েন্স বেস তৈরি করতে কিছুটা সময় লাগে।
- সম্পূর্ণ ফ্রীতে নিজের একটি একাউন্ট তৈরি করতে পারবেন।
- চাইলে নিজের ওয়েবসাইটে মিডিয়াম থেকে ট্রাফিক প্রেরণ করতে পারবেন।
৬. 2Captcha.com
কোনো ধরণের রেজিস্ট্রেশন ফী ছাড়া অনলাইনে টাইপিং রিলেটেড কাজ করে ইনকাম করতে চাইলে এই ওয়েবসাইটটি ব্যবহার করে দেখতে পারেন। ওয়েবসাইটটিতে মূলত ক্যাপচা এন্ট্রির কাজ করে অর্থ উপার্জনের সুযোগ ও সুবিধা দেওয়া হয়। এছাড়া, এখানে প্রতিদিনের ইনকাম করা টাকা গুলোকে প্রতিদিন তুলে নিতে পারবেন।
টাইপ করার জন্য আপনাকে নানান ধরণের ক্যাপচা গুলো দেওয়া হয়ে থাকে। যেমন, reCAPTCHA, hCaptcha, Normal CAPTCHA, Rotate CAPTCHA, ইত্যাদি। যদি আপনি একজন স্টুডেন্ট বা ঘরে বসে নিজের খালি সময়ে অনলাইনে পার্ট-টাইম কাজ করে ইনকাম করতে চাইছেন, তাহলে 2Captcha.com সাইটটি আপনার কাজে অবশই লাগতে পারে।
এখন আপনার মনের মধ্যে হয়তো এই প্রশ্নটাই ঘুরছে যে, কতটা ক্যাপচা পূরণ করে কত টাকা পাওয়া যাবে? তাই তো? এক্ষেত্রে নিচে আলাদা আলাদা ক্যাপচা গুলো পূরণ করার জন্য প্রতি ১০০০ ক্যাপচা পূরণের জন্য কত টাকা দেওয়া হয় চলুন সেটা জেনেনেই।
Captcha type: | Price per 1000: | Solving speed: |
---|---|---|
Normal CAPTCHA | $0.5 – $1 | 3 sec. |
reCAPTCHA V2 | $1 – $2.99 | 9 sec. |
reCAPTCHA V3 | $1.45 – $2.99 | 2 sec. |
reCAPTCHA Enterprise | $1 – $2.99 | 9 sec. |
hCaptcha | $2.99 | 33 sec. |
GeeTest CAPTCHA | $2.99 | 10 sec. |
KeyCAPTCHA | $2.99 | 94 sec. |
Grid CAPTCHA | $1.2 | 9 sec. |
Rotate CAPTCHA | $0.5 | 10 sec. |
Text CAPTCHA | $0.5 – $1 | 5 sec. |
মনে রাখার বিষয়:
- নির্ভুলতার সাথে ক্যাপচা টাইপ করতে হবে।
- টাইপিং স্পিড ভালো হতে লাগবে।
- একটি ল্যাপটপ বা স্মার্টফোন দিয়েও কাজ করতে পারবেন।
- ফ্রীতে একাউন্ট তৈরি করা যায়।
যখন কথা চলে আসছে, অনলাইনে টাইপিং করে টাকা ইনকাম করার একটি ভালো সাইট এর, তখন 2captcha.com আমার সব থেকে প্রিয় ওয়েবসাইট হওয়ার কারণ নানান রয়েছে। এই ওয়েবসাইটের সব থেকে অধিক গুরুত্বপূর্ণ বিষয়টি এটাই যে এখানে আপনি আপনার পছন্দ এবং সুবিধামতো ক্যাপ্টচার ধরণ গুলো সিলেক্ট করে শুধুমাত্র সেগুলিকে পূরণ করে ইনকাম করতে পারবেন।
৭. Shutterstock
Shutterstock হলো এমন একটি প্লাটফর্ম যেখানে গিয়ে নিজের একটি ফ্রি একাউন্ট তৈরি করে একজন দক্ষ ফটোগ্রাফার হিসেবে প্যাসিভ ইনকামের রাস্তা তৈরি করা যেতে পারে। Shutterstock হলো একটি গ্লোবাল মার্কেটপ্লেস, তাই যেকোনো দেশ বা জায়গা থেকেই আপনি এই ওয়েবসাইটে কাজ করতে পারবেন।
একজন ফটোগ্রাফার হিসেবে আপনি এখানে নিজের ছবি গুলোকে শেয়ার, বিক্রি এবং নানান পরিষেবা গুলোর প্রচার করতে পারবেন।
বলা হয়েছে যে, Shutterstock platform-এর দ্বারা তাদের ক্রিয়েটরদের ১ বিলিয়ন ডলার এর চে অধিক টাকা এখন পর্যন্ত দেওয়া হয়েছে। মনে রাখা দরকার যে, এই অনলাইন ছবি বিক্রির ওয়েবসাইটে, আপনাকে আপনার প্রতিটি ছবি বিক্রির জন্য প্রায় ৪০% পর্যন্ত কমিশন দেওয়া হয়ে থাকে।
মনে রাখার বিষয়:
- সম্পূর্ণ ফ্রীতে একাউন্ট তৈরি করতে পারবেন।
- প্রতিটি ছবি বিক্রির বিপরীতে ৪০% পর্যন্ত কমিশন।
- নিয়মিত হাই কোয়ালিটি এবং ইউনিক ছবি আপলোড করতে হবে।
- ছবির পাশাপাশি illustrations, vectors এবং videos-গুলো লাইসেন্স করানো যায়।
৮. Facebook Marketplace
Facebook Marketplace-এর দ্বারা ইউজাররা স্থানীয়ভাবে বা যেকোনো অন্য দেশ থেকে নানান ধরণের পণ্য এবং পরিষেবা গুলো কিনতে এবং বিক্রি করতে পারবেন। এখানে ইউজাররা নতুন এবং পুরোনো দুধরণেরই পণ্য গুলো কেনা-বেচা করতে পারেন।
এখানে নিজের পছন্দের পণ্য গুলো সিলেক্ট করার ক্ষেত্রে আপনি region, category, এবং price এর মতো নানান ফিল্টার গুলো এপ্লাই করে নিতে পারবেন। একজন ফেসবুক ইউজার হিসেবে এখানে আপনি প্রায় যেকোনো জিনিস বিক্রি করতে পারবেন। যেমন ধরুন, বই, মোবাইল, কাপড়-জামা, জুতা, বাইক, টিভি, বা যেকোনো অন্য জিনিস।
মনে রাখার বিষয়:
- ফেসবুক মার্কেটপ্লেস ব্যবহার করার জন্য ফেসবুক একাউন্ট থাকতে হবে।
- এখানে যেকোনো ধরণের পণ্য-পরিষেবা বিক্রি করা যায়।
- নিজের একটি ই-কমার্স দোকান হিসেবে ব্যবহার করে ইনকাম করতে পারবেন।
৯. ySense
ySense হলো একটি অনেক জনপ্রিয় টাস্ক ওয়েবসাইট যেখানে নানান ছোট ছোট কাজ গুলো সম্পূর্ণ করার জন্য ইউজারদের কিছু পয়েন্ট রিওয়ার্ড হিসেবে দেওয়া হয়। এই ধরণের রিওয়ার্ড ওয়েবসাইট গুলোকে আসলে GTP sites বা get-paid-to ওয়েবসাইট বলেও বলা হয়ে থাকে।
জানিয়ে রাখছি যে, ySense কিছু বছর ClixSense নামে পরিচিত ছিল। ২০১৯ সাল পর্যন্ত যখন সাইটটি ClickSense নামে পরিচিত ছিল, এটা মূলত একটি PTC site (Paid-To-Click) হিসেবে কাজ করতো।
২০১৯ এর পর ওয়েবসাইটটিতে Paid-To-Click রিলেটেড পরিষেবা গুলো বন্ধ করা হয় এবং তার সাথেই ইউজারদের দেওয়া হয় অনলাইন পেইড সার্ভে গুলো সম্পূর্ণ করে ইনকাম করার সুবিধা।
মনে রাখার বিষয়:
- ফ্রীতে একাউন্ট তৈরি করে কাজ করা যায়।
- পেইড সার্ভে সম্পূর্ণ করে ইনকাম করা যায়।
- এখানে একটি রেফারাল প্রোগ্রাম রয়েছে।
১০. BananaBucks
BananaBucks, মূলত একটি পেইড সার্ভে ওয়েবসাইট যেখানে প্রতিটি অনলাইন সার্ভে সম্পূর্ণ করার জন্য $0.20 দেওয়ার কথা বলা হয়েছে। পেইড সার্ভে ছাড়াও ওয়েবসাইটটিতে ভিডিও দেখে, গেম খেলে, নানান অফার সম্পূর্ণ করে, ইত্যাদি নানান উপায়ে অর্থ উপার্জনের অপসন গুলো দেওয়া হয়েছে। এগুলো ছাড়াও, ইউজাররা BananaBucks affiliate program-এর সাথে যুক্ত হয়েও অতিরিক্ত কিছু টাকা ইনকাম করে নিতে পারবেন।
BananaBucks থেকে ইনকাম করা টাকা গুলো cash out করার জন্য আপনাকে PayPal ব্যবহার করতে হবে।
জানিয়ে রাখি যে, এখানে কাজ করার জন্য আপনাকে সবচেয়ে আগেই BananaBucks-এর ওয়েবসাইটে গিয়ে এর মোবাইল অ্যাপটি ডাউনলোড করে নিতে হবে।
মনে রাখার বিষয়:
- প্রথম সার্ভেটি সম্পূর্ণ করার জন্য গেরেন্টি $1 দেওয়া হবে।
- একাউন্টে $5 ইনকাম হয়ে গেলে PayPal দ্বারা cash out করে নিতে পারবেন।
- BananaBucks-এ সম্পূর্ণ ফ্রীতে একাউন্ট তৈরি করা যাবে।
১১. Dreamstime
Dreamstime হলো একটি অনেক জনপ্রিয় online stock photography ওয়েবসাইট যেটা ইউজারদের তাদের ছবি গুলোকে এই প্লাটফর্মের দ্বারা বিক্রি করিয়ে টাকা ইনকাম করার সুযোগ সুবিধা দিয়ে থাকে।
একজন ফটোগ্রাফার হিসেবে আপনি নিজের ছবি গুলোকে এই সাইটে আপলোড এবং শেয়ার করতে পারবেন। এতে, যখনই কোনো গ্রাহক আপনার আপলোড করা ছবি গুলোকে কিনে থাকেন, আপনিও কিছু টাকা কমিশন হিসেবে পেয়ে থাকেন।
বিক্রি হওয়া প্রতিটি ছবির জন্য আপনাকে কত টাকা দেওয়া হবে সেটা সম্পূর্ণভাবে নির্ভর করবে ছবির সাইজ এবং টোটাল কতবার সেই ছবিটিকে কেনা হয়েছে, এর উপর। একজন ফটোগ্রাফার হিসেবে এই ওয়েবসাইট থেকে কিছু অতিরিক্ত অর্থ উপার্জনের জন্য Dreamstime-এর exclusive photographers’ program-এর সাথে যুক্ত হতে পারেন।
১২. Fiverr
Fiverr নামের ওয়েবসাইটটির বিষয়ে আপনারা একবার হলেও অবশই শুনেছেন হয়তো। আসলে Fiverr হলো একটি অনলাইন freelancing marketplace যেখানে সারা বিশ্বজুড়ে নানান freelancing services গুলো কেনা-বেচা করা হয়। এখানে যেকোনো ধরণের ডিজিটাল পরিষেবা গুলোর জন্য প্রচুর দক্ষ ফ্রিল্যান্সারদের পেয়ে যাবেন।
এছাড়া যদি আপনি একজন ফ্রিল্যান্সার হিসেবে কাজ করে Fiverr থেকে ইনকাম করতে চাইছেন, সেক্ষেত্রে শুধুমাত্র একটি ফ্রি একাউন্ট তৈরি করেই কাজ শুরু করতে পারবেন। শুরুতে, ওয়েবসাইটটিতে শুধুমাত্র $5 নিয়েই পরিষেবা গুলো ক্লায়েন্টদের প্রদান করতে হতো যদিও বর্তমান সময়ে ফ্রিল্যান্সাররা নিজের হিসেবে প্রাইস সেট করে গিগ গুলো অফার করতে পারেন।
১৩. Facebook (in-stream ads)
Facebook, মূলত একটি অনলাইন সোশ্যাল মিডিয়া ওয়েবসাইট, যেখান থেকে আপনি চাইলে এখন নানান মাধ্যমে অর্থ উপার্জন করতে পারবেন। ফেসবুক থেকে ইনকাম করার সব থেকে জনপ্রিয় এবং ট্রেন্ডিং উপায়টি হলো “in-stream-ads“।
ফেসবুকের মধ্যে থাকা এই in-stream-ads-এর দ্বারা ইউজাররা ফেসবুকে আপলোড করা তাদের ভিডিও এবং অন্যান্য কনটেন্ট গুলোতে ছোট ছোট ভিডিও এড গুলো দেখিয়ে থাকেন। এতে, ইউজার দ্বারা আপলোড করা ভিডিও গুলোতে যত অধিক ভিউ হয়ে থাকে ততটাই অধিক ইনকাম ইন-স্ট্রিম বিজ্ঞাপন গুলোর থেকে করার সুযোগ হয়ে দাঁড়ায়।
এমনিতে, ফেসবুকে কত ভিউ হলে কত টাকা পাওয়া যায় এই বিষয়ে আলাদা ভাবে একটি ডিটেইল্ড আর্টিকেল আমি আগেই লিখেছি।
In-stream-ads থেকে ইনকাম করার জন্য মনে রাখুন:
- আপনার একটি ফেসবুক একাউন্ট এবং পেজ থাকতে হয়।
- আপনার ফেসবুক পেজে কমেও ৫টি একটিভ ভিডিও আপলোড করা থাকতে হবে।
- আপনার ফেসবুক পেজে কমেও ১০ হাজার ফলোয়ার্স থাকতে হবে।
১৪. Google AdMob
Google AdMob, একটি অনেক শক্তিশালী প্লাটফর্ম যেটিকে কাজে লাগিয়ে আপনি একজন App developer হিসেবে নিজের তৈরি করা app গুলোতে গুগলের high-quality ads দেখিয়ে টাকা ইনকাম করে নিতে পারবেন। মনে রাখবেন, এই ওয়েবসাইট থেকে টাকা উপার্জন করার জন্য আপনার কাছে নিজের একটি মোবাইল অ্যাপ অবশই থাকতে হবে।
AdMob-এর দ্বারা আপনি নিজের mobile app এর মধ্যে rewarded ads, native ads, banners, এবং interstitial ads-এর মতো নানান ধরণের বিজ্ঞাপন গুলো দেখাতে পারবেন এবং ইউজার দ্বারা হওয়া প্রতিটি এড ইম্প্রেশন এর জন্য কিছু টাকা আয় করে নিতে পারবেন। এমনিতে, AdMob থেকে কিভাবে ইনকাম করবেন, এই বিষয়ে আমার একটি বিস্তারিত আর্টিকেল লেখা রয়েছে।
অনলাইনে ঘরে বসে টাকা ইনকাম করার ৫টি কার্যকর উপায়
ঘরে বসে কাজ করে অনলাইন মাধ্যমে টাকা আয় করার বিষয়টা বর্তমান সময়ে প্রচুর সহজ এবং সুবিধাজনক হয়ে দাঁড়িয়েছে। আর সত্যি বলতে, বর্তমানে এমন নানান উপায় এবং অনলাইন ইনকাম ওয়েবসাইট গুলো রয়েছে, যেগুলোকে কাজে লাগিয়ে একটি শক্তিশালী প্যাসিভ ইনকামের রাস্তা তৈরি করা যেতে পারে।
অনলাইনে ইনকাম জেনারেট করার বর্তমানের কিছু কার্যকর এবং প্রমাণিত উপায় গুলো হলো, blogging, freelancing, tutoring, content creation, content writing, digital marketing, social media management, Dropshipping, এবং আরো অনেক উপায় রয়েছে।
নিচে আমি অনলাইন ইনকামের এমন ৫টি সোজা উপায় গুলোর বিষয়ে বলে দিয়েছি যেগুলোকে কাজে লাগিয়ে ঘরে বসে অনলাইন ইনকাম শুরু করা যাবে।
১. কনটেন্ট রাইটিং:
আপনি যদি লেখালেখি করতে পছন্দ করেন তাহলে আর্টিকেল লিখে ঘরে বসে ইনকাম করার সুযোগটি কিন্তু ছাড়বেনা। এক্ষেত্রে আপনি ওয়েবসাইট, ব্লগ, সোশ্যাল মিডিয়া, নিউজ প্লাটফর্ম এবং অন্যান্য নানান প্লাটফর্ম গুলোর জন্য আর্টিকেল/কনটেন্ট গুলো লিখতে পারেন। এগুলো ছাড়াও, একজন কনটেন্ট ক্রিয়েট হিসেবে আপনি অনলাইন নিবন্ধ, ওয়েব কপি, পণ্যের বিবরণ এবং প্রেস রিলিজ এর মতো নানান ডিজিটাল কপি গুলো তৈরি করার কাজও করতে পারেন।
তবে আর্টিকেল লেখালেখি করে ইনকাম করার ক্ষেত্রে, SEO, technical writing, creative writing, এবং editing এর মতো কৌশল গুলো থাকাটা অধিক গুরুত্বপূর্ণ।
২. কনটেন্ট ক্রিয়েশন:
অনলাইন কনটেন্ট ক্রিয়েশন এর কাজটি যদি সঠিক ভাবে এবং সঠিক প্লাটফর্মটি টার্গেট করে করতে পারেন, তাহলে এই কাজ থেকে প্রতিমাসে কমেও ২০ থেকে ৫০ হাজার টাকা ইনকাম করাটা কোনো বড় ব্যাপার না। কনটেন্ট তৈরি করার কাজে আপনাকে মূলত, ব্লগ পোস্ট তৈরি, আর্টিকেল, ভিডিও, পডকাস্ট, সোশ্যাল মিডিয়া পোস্ট ইত্যাদি এই ধরণের কনটেন্ট তৈরি করতে হয়।
একজন কনটেন্ট ক্রিয়েট হিসেবে আপনি নিজের পরিষেবাগুলি নানান freelancing website গুলোতে গিয়েও সেল করতে পারবেন। এক্ষেত্রে, Guru, Fiverr, Upwork, এবং PeoplePerHour, আমার হিসেবে সেরা মার্কেটপ্লেস সাইট।
এছাড়া, তৈরি করা নিজের কনটেন্ট গুলোকে কাজে লাগিয়ে অধিক এবং টার্গেটেড পরিমানে অর্থ উপার্জনের ক্ষেত্রে affiliate marketing-এর সাহায্য আপনি নিতে পারেন।
৩. ব্লগিং করুন:
আমি নিজেই গত ৬ থেকে ৭ বছর ধরে ব্লগিং করছি এবং সত্যি বলতে সঠিক নিয়মে ব্লগিং করতে জানলে আপনাকে আর অন্য কোনো কাজ করতে হবেনা। একজন ব্লগার হিসেবে আপনাকে নিজের ব্লগ/ওয়েবসাইটের মধ্যে একটি বা একাধিক বিষয়ক আর্টিকেল গুলো পাবলিশ করতে হবে।
এক্ষেত্রে মনে রাখবেন, আপনার লেখা আর্টিকেল যাতে সম্পূর্ণ ইউনিক এবং উচ্চ মানের হয়ে থাকে। বাস, একবার আপনার ব্লগে কিছু পরিমান ট্রাফিক আসতে শুরু হলে এবার আপনি Google AdSense, affiliate marketing, sponsorship, paid guest post, ইত্যাদি নানান মাধ্যমে নিজের ব্লগ সাইট থেকে টাকা ইনকাম করতে পারবেন।
৪. নিজের অনলাইন কোর্স লঞ্চ করুন:
একটি অনলাইন কোর্স তৈরি করে সেটিকে অনলাইন একাধিক মাধ্যমে বিক্রি করিয়ে কতটা অধিক পরিমানে অর্থ উপার্জন করা যেতে পারে সেটা আপনি কল্পনাও করতে পারবেননা। উচ্চমানের কনটেন্ট, সঠিক মার্কেটিং কৌশল এবং কার্যকর বিতরণ প্রক্রিয়ার সঠিক সংমিশ্রনের দরুন, একটি বিশেষ বিষয়ে রুচি রাখা কিছু নির্দিষ্ট শ্রোতাদের টার্গেট করে আপনি একটি অনেক লাভজনক অনলাইন কোর্স বিজনেস সেটআপ করে নিতে পারবেন।
৫. ফ্রিল্যান্স ভিডিও এডিটর:
বর্তমান সময়ে এমন নানান অনলাইন প্লাটফর্ম বা ওয়েবসাইট গুলো রয়েছে যেখানে ক্রিয়েটররা নানান ধরণের ভিডিও কনটেন্ট গুলোকে তৈরি, এডিট এবং আপলোড করে নানান মাধ্যমে সেগুলির থেকে অর্থ উপার্জন করে থাকেন। এবার আপনিও যদি ভিডিও কনটেন্ট তৈরি করে কিছুটা এক্সট্রা টাকা ইনকাম করার কথা চিন্তা করছেন, তাহলে এক্ষেত্রে YouTube, Vimeo, Twitch, এই ওয়েবসাইট গুলো ব্যবহার করে দেখতে পারেন।
NOTE:
যেই অনলাইন ইনকাম ওয়েবসাইট গুলোতে আপনাকে রাতারাতি ধনী হওয়ার কথা বলা হবে বা অনেক কম সময়ে কিছু না করেই প্রচুর টাকা আয় করা যাবে বলে বলা হবে, এই ধরণের বেশিরভাগ সাইট গুলোই কিন্তু স্ক্যাম হওয়ার সম্ভাবনা খুঁজে বেশি। তাই, যেকোনো ধরণের অনলাইন আর্নিং ওয়েবসাইট গুলো ব্যবহার করার আগে সেই ওয়েবসাইটের বিষয়ে ভালো করে রিসার্চ অবশই করে নিবেন।
FAQ:
ইন্টারনেট থেকে টাকা উপার্জন করার সাইট এমনিতে অনেক আছে। এই ওয়েবসাইট গুলোর মধ্যে কিছু সেরা সাইট গুলো হলো, YouTube, Upwork, Shutterstock, Google AdSense, Facebook Marketplace, Swagbucks, ySense, এবং আরো আছে।
যতটা আমি দেখেছি, হ্যা অবশই সম্ভব। বর্তমান সময়ে ইন্টারনেটে এমন নানান প্লাটফর্ম এবং ওয়েবসাইট গুলো উপলব্ধ রয়েছে যেগুলোতে নানান ধরণের কাজ গুলো করে অর্থ উপার্জন করাটা সম্ভব। এছাড়া, বেশিরভাগ ক্ষেত্রেই অনলাইন মাধ্যমে অর্থ উপার্জন করার ক্ষেত্রে আপনার কোনো ধরণের বিশেষ দক্ষতা বা যোগ্যতার প্রয়োজন হয়না।
একটি ওয়েবসাইট থেকে টাকা আয় করার নানান আলাদা আলাদা উপায় গুলো উপলব্ধ রয়েছে। এই উপায় গুলোর মধ্যে কিছু সেরা এবং অধিক ব্যবহূত উপায় গুলো হলো, এফিলিয়েট মার্কেটিং, এড ডিসপ্লে করা, পণ্য বা পরিষেবা বিক্রি করা, স্পন্সরড পোস্ট পাবলিশ করা ইত্যাদি।
উপসংহার:
অনলাইনে উপলব্ধ নানান ভালো এবং ট্রাস্টেড টাকা ইনকাম করার ওয়েবসাইট গুলোকে কাজে লাগিয়ে পার্ট-টাইম অর্থ উপার্জনের সম্ভাবনা অবশই রয়েছে। Google AdSense এবং ySense-এর মতো সাইট গুলোর থেকে আমি নিজেই প্রচুর টাকা উপার্জন করেছি। এক্ষেত্রে, প্রমান দেখার জন্যে আপনারা আমাদের এই ব্লগের অনলাইন ইনকাম টিপস সেকশনে গিয়ে নানান আর্টিকেল গুলো পড়তে পারেন। উপরে বলে দেওয়া এই ওয়েবসাইট গুলো আমার হিসেবে সবচেয়ে নির্ভরযোগ্য ওয়েবসাইট যেগুলোর দ্বারা নানান অনলাইন জব গুলো খুঁজে পেতে পারবেন যেগুলো আপনি ঘর থেকেই করতে পারবেন।
Disclaimer: এই সাইটে/আর্টিকেলে উল্লিখিত ওয়েবসাইট এবং বিষয়বস্তু গুলো শুধুমাত্র শিক্ষাগত এবং তথ্য প্রদানের উদ্দেশ্যে পাবলিশ করা হয়েছে। ইউজাররা এই ধরনের আর্থিক পরামর্শ গুলো পেতে লাইসেন্সপ্রাপ্ত ট্যাক্স বা আর্থিক উপদেষ্টাদের সাথে পরামর্শ করাটা জরুরি এবং উপদেশযোগ্য। এই ধরনের তথ্য, একটি প্রফেশনাল আর্থিক পরামর্শ হিসাবে নেওয়া বা ব্যাখ্যা করা যেতে পারেনা।