বর্তমানের এই আধুনিক সময়ে, যদি আপনি নিজের ঘরে বসে কিছু পার্ট-টাইম অনলাইন জব (part-time online jobs) গুলি করার মাধ্যমে কিছু এক্সট্রা টাকা ইনকাম করার কথা ভাবছেন, সেক্ষেত্রে উপায় কিন্তু অনেক রয়েছে।
ইন্টারনেটে এমন অনেক প্লাটফর্ম রয়েছে, যেগুলো ব্যবহার করে ঘরে বসে নিজের খালি সময়ে সহজেই কিছু অনলাইন জব জব গুলি করা যেতে পারে।
এমনিতে, এমন অনেক অনলাইন কাজ গুলি রয়েছে, যেগুলোকে অনলাইন পার্ট টাইম জব হিসেবে শুরু করলেও, ভবিষ্যতে গিয়ে কিন্তু সেগুলোকে ফুল-টাইম কাজে পরিণত করে নিয়ে প্যাসিভ ইনকাম করতে থাকতে পারবেন।
২০১৯ সালে, অনলাইন মাধ্যমে ঘরে বসে পার্ট টাইম জব করার জন্য আমি নিজেই blogging শুরু করি। অবশই, সেই সময় পার্ট-টাইম হিসেবে কাজ করছিলাম যদিও, আজ শুধুমাত্র full-time blogging করেই অনলাইন মাধ্যমে নিয়মিত ইনকাম করে চলেছি।
তাই, যদি আপনি ইন্টারনেটের মাধ্যমে কিছু অনলাইন কাজ করে এক্সট্রা টাকা আয় করার কথা ভাবছেন, তাহলে সুযোগ প্রচুর রয়েছে। আমার মতোই হাজার হাজার লোকেরা নিজের ঘরে বসে নানান অনলাইন পার্ট-টাইম জব গুলি করছেন।
আপনি যদি একজন student, housewife, retired person বা এমন জেকেও যার কাছে প্রতিদিন ৩-৪ ঘন্টা কাজ করার মতো খালি সময় রয়েছে, তাহলে আমাদের আজকের এই আর্টিকেলটি আপনার কাজে অবশই লাগবে।
কেননা, আজকের এই আর্টিকেলের মধ্যে আমি আপনাদের সাথে এমন ১৭+ পার্ট-টাইম অনলাইন জবস (part-time online jobs) গুলি শেয়ার করবো, যেগুলি শুধুমাত্র একটি ল্যাপটপ বা কম্পিউটার দ্বারা জেকেও করতে পারবেন।
অবশই পড়ুন :
সূচিপত্র:
- পার্ট টাইম জব কি?
- অনলাইন মাধ্যমে ঘরে বসে পার্ট টাইম জব করার জন্য কিসের প্রয়োজন?
- ১৫+ অনলাইন পার্ট টাইম জব যেগুলো ঘর থেকে করা যাবে:
- ১. Blogging (পার্ট টাইম বা ফুল টাইম):
- ২. Online paid survey:
- ৩. Affiliate marketing:
- ৪. Fiverr এ কাজ করুন:
- ৫. Online tuition services:
- ৬. Content writing work:
- ৭. Online data entry job:
- ৮. গেম খেলে ইনকাম করুন:
- ৯. Captcha solving work:
- ১০. Become online seller:
- ১১. Part time photography:
- ১২. YouTube video creator:
- ১৩. Digital marketing service:
- ১৪. Earn from android app:
- ১৪. অনলাইন কোর্স তৈরি ও বিক্রি করে:
- ১৫. অনলাইন ট্রান্সলেশন জব:
- ১৬. Micro Jobs Website (GPT Sites):
- FAQ: ঘরে বসে পার্ট টাইম জব:
পার্ট টাইম জব কি?
পার্ট টাইম জব বলতে আসলে সেই কাজ (jobs) গুলিকে বলা যেতে পারে যেগুলির দ্বারা কিছু extra income করার উদ্দেশ্যে সাইড বাই সাইডে নিজের খালি সময়ে করা হয়।
যেমন ধরুন, একজন ছাত্র নিজের পড়াশোনার বাইরেও নিজের ফ্রি টাইমে এই ধরণের কাজ গুলি করতে পারেন। এছাড়া, full-time job করা একজন ব্যক্তি যদি চায় তাহলে চাকরির বাইরেও সে পার্ট-টাইম জব গুলি করতে পারেন।
এবার, অতিরিক্ত/এক্সট্রা টাকা ইনকাম করার ক্ষেত্রে, অনলাইনে উপলব্ধ নানান online jobs (কাজ) গুলিকে সরাসরি অনলাইন পার্ট টাইম জব হিসেবে বলা যেতে পারে।
এবার, পার্ট-টাইম কাজ গুলি যে কেবল অনলাইনেই পাবেন সেটা কিন্তু না।
Offline এবং Online, দুটো মাধ্যমেই কিন্তু এই ধরণের জবস গুলি পাওয়া যেতে পারে। তবে, অফলাইনের তুলনায় অনলাইন পার্ট-টাইম কাজ গুলি অধিক সহজে এবং সুবিধাজনক ভাবে করা যায়।
অনলাইন মাধ্যমে ঘরে বসে পার্ট টাইম জব করার জন্য কিসের প্রয়োজন?
Online part-time jobs গুলি করার জন্য কোনো বিশেষ ধরণের যোগ্যতা বা কোয়ালিফিকেশন এর প্রয়োজন নেই। তবে হ্যা, basic computer skills এবং এক্সট্রা টাকা ইনকাম করার ইচ্ছে আপনার মধ্যে থাকতে হবে।
এছাড়া, আপনার কাছে একটি ল্যাপটপ বা কম্পিউটার থাকলে ভালো। এমনিতে নানান অনলাইন কাজ গুলি আজকাল নিজের smartphone দিয়েও করা যায় যদিও, অনেক ক্ষেত্রে একটি কম্পিউটার না থাকলে কিন্তু কাজ হবেনা।
এর বাইরেও, অনলাইনে পার্ট-টাইম কাজ করে টাকা আয় করার ক্ষেত্রে আপনার কাছে ৩ থেকে ৪ ঘন্টার খালি সময় অবশই থাকতে হবে। তবে আপনি নিজের হিসেবে সময় মিলিয়ে দিনে বা রাতের ভাগে কাজ করতে পারেন।
১৫+ অনলাইন পার্ট টাইম জব যেগুলো ঘর থেকে করা যাবে:
এমনিতে, পার্ট টাইম জব খোঁজা লোকেদের মধ্যে বেশিরভাগ কিন্তু এমন একটি কাজ করতে চান, যেটা খালি সময়ে ঘরে বসেই করা যাবে।
তাই, আমি আপনাদের এমন কয়টি সহজ part time jobs এর ব্যাপারে বলবো, যেগুলো ঘরে বসে ইন্টারনেটের মাধ্যমে শুরু করতে পারবেন। তাছাড়া, এই মাধ্যম গুলো ব্যবহার করে অনেক তাড়াতাড়ি টাকা আয় করার সুযোগ অবশই থাকবে।
১. Blogging (পার্ট টাইম বা ফুল টাইম):
হতে পারে আপনি চাকরির বাইরে কিছু সাধারণ “অনলাইন পার্ট টাইম কাজ” খুঁজছেন বা অধিক টাকা আয়ের উদ্দেশ্যে একটি “অনলাইন কাজ”।
দুটো ক্ষেত্রেই, আপনি ব্লগিং (blogging) এর কাজ করতে পারবেন।
হাজার হাজার student, housewives, retired ব্যক্তি এবং part-time কাজে আগ্রহী থাকা লোকেরা ব্লগিং এর কাজ করছেন।
এবং, তারা প্রায় ১০,০০০ টাকা থেকে ৫০,০০০ টাকার ভেতরে অনেক সহজেই আয় করে নিতে পারছেন।
কিছু কিছু সংখ্যক লোকেরা ব্লগিং থেকে ১ লক্ষ টাকার থেকেও বেশি আয় করে নিচ্ছেন।
আমি নিজেই প্রায় ৪ বছর থেকে online blogging এর job করে, ভালো পরিমানের টাকা আয় করছি।
- বাংলাতে ব্লগ তৈরি করে আয় কতটা সম্ভব ?
- আমি ব্লগ থেকে মাসে কত আয় করছি ?
ব্লগিং এর ব্যাপারটা হলো, নিজের একটি ব্লগ সাইট তৈরি করা যেখানে আপনি নিজের জ্ঞান, অভিজ্ঞতা, বিভিন্ন বিষয়ের টিপস এবং টিউটোরিয়াল ইত্যাদি লিখে আর্টিকেল হিসেবে শেয়ার করতে পারবেন, যেগুলি জনসাধারণের ক্ষেত্রে কাজের বা লাভজনক হতে পারে।
এভাবে, আপনি নিজের ব্লগে আর্টিকেল পাবলিশ করার ফলে, ইন্টারনেট ও গুগল সার্চের থেকে ব্লগে ট্রাফিক ও ভিসিটর্স পাবেন।
এবং, ব্লগে ট্রাফিক ও ভিসিটর্স আসার পর, বিভিন্ন মাধ্যম্যে ব্লগ থেকে টাকা আয় করতে পারবেন।
- ব্লগ মানে কি ? কিভাবে আয় করবেন
একবার ব্লগে প্রায় ১০০০ থেকে ২০০০ এর মধ্যে ইউনিক ভিসিটর প্রত্যেক দিন আশা শুরু হলেই, আমি “গুগল এডসেন্স” এর মাধ্যমে ভালো পরিমানের পার্ট টাইম ইনকাম করে নিতে পারবেন।
সঠিক ভাবে ব্লগিং করে, মাসে প্রায় ১০০০০ টাকা এই প্রথম অবস্থার থেকেই আয় করা সম্ভব।
এছাড়া, ব্লগ থেকে টাকা আয় করা আরো অন্যান্য লাভজনক মাধ্যম রয়েছে যেমন, affiliate marketing, advertisement networks, direct product selling ইত্যাদি।
আপনি একজন পার্ট টাইম ব্লগার অনেক সহজেই হয়ে দাঁড়াতে পারবেন।
তবে, ব্লগিং এর বিষয়ে প্রত্যেকটি জরুরি তথ্য জানার জন্য ও ব্লগিং শেখার জন্য কিছু সময় অবশই লাগবে।
আমার ওয়েবসাইটে থাকা “ব্লগিং ও ওয়েবসাইট” এর সেকশন এ গিয়ে ব্লগিং এর বিষয়ে সবটাই শিখে নিতে পারবেন।
এমনিতে, বর্তমানের সময়ে ব্লগিং এর কাজে প্রচুর প্রতিযোগিতার সৃষ্টি হয়েছে।
তাই, blogging থেকে অনলাইন পার্ট টাইম ইনকাম করার জন্য, ব্লগিং এ সময় দিয়ে কষ্ট অবশই করতে হবে।
তবে, সেরা অনলাইন জব এর ক্ষেত্রে “Blogging” সব থেকে সেরা ও লাভজনক।
২. Online paid survey:
এটা একটি আলাদা ও লাভজনক অনলাইন কাজ (online job), যেটা আপনারা বিশেষ করে পার্ট টাইম হিসেবে করতে পারবেন।
এখানে, আপনার বেশি সময় দেওয়ার প্রয়োজন হয়না।
কেবল, নিজের ফ্রি থাকা সময় গুলোতেই এই অনলাইন সার্ভে র কাজ করতে পারবেন।
সাধারণে, অনলাইন সার্ভে কাজ গুলোতে বিভিন্ন products এবং services এর ওপর আপনার নিজের মতামত গুলো দিতে হয়।
এবং, এই কাজ অনলাইনে হওয়ার ফলে সার্ভের কাজ গুলোকেও অনলাইন পার্ট টাইম জব হিসেবে করা যেতেই পারে।
এমনিতে, ইন্টারনেটে সার্চ করলে আপনারা এরকম অনেক অনলাইন সার্ভে ওয়েবসাইট পেয়ে যাবেন যেগুলো সত্যি টাকা দিয়ে থাকে।
তবে, এরকম অনেক survey website রয়েছে, যেগুলো আপনার সময় নিয়ে আপনাকে পরে টাকাও দিতে রাজি হয়না।
এই ক্ষেত্রে, আপনার কিছু ভালো এবং জেনুইন সার্ভে ওয়েবসাইটেই কাজ করতে হবে।
তবে, অনলাইন পেইড সার্ভে করে টাকা আয় করার ওয়েবসাইট কিছুর বিষয়ে আমি আগেই বলেছি।
৩. Affiliate marketing:
যদি আপনি মনোযোগ দিয়ে কষ্ট করে অনলাইন টাকা ইনকাম করে নিজেকে একজন ধনী ব্যক্তি বানিয়ে নিতে চান, তাহলে affiliate marketing আপনার কাজের বিষয়।
Affiliate marketing এর মাধ্যমে অনলাইন ইনকাম করার ক্ষেত্রে সুযোগ প্রচুর রয়েছে।
আজ, বিভিন্ন ব্যক্তিরা অনলাইনে এফিলিয়েট মার্কেটিং এর কাজ করে, লক্ষ লক্ষ টাকা আয় করছেন।
আসলে, affiliate marketing হলো এমন এক অনলাইন সার্ভিস যেখানে, যেকোনো অনলাইন কোম্পানির “affiliate program” এ “join” হয়ে, তাদের products ও services গুলি প্রচার ও বিক্রি করিয়ে দিতে পারবেন।
এবং, প্রত্যেক পণ্যের বিক্রির বিপরীতে আপনাকে কোম্পানির তরফ থেকে কিছু টাকা কমিশন (commission) হিসেবে দেওয়া হয়।
এভাবে বিভিন্ন লোকেরা, amazon, ebay, flipkart এবং ইন্টারনেটে থাকা হাজার হাজার affiliate network গুলোর মধ্যে কিছুতে যোগ হয়ে, তাদের products এবং service গুলি অনলাইনে বিক্রিয়া করিয়ে দিচ্ছেন।
যার বিপরীতে, ভালো পরিমানের টাকা তারা ইনকাম করে নিতে পারছেন।
মনে রাখবেন, affiliate marketing এর ক্ষেত্রে আপনার কেবল যেকোনো কোম্পানির product বা service প্রচার ও বিক্রি করাতে হয়।
তাছাড়া, product delivery, maintenance ইত্যাদি বিষয় গুলো নিয়ে আপনার ভাবতে হবে।
আপনার খালি গ্রাহক (customers) দিতে হবে, বাকি কাজ কোম্পানি গুলো দেখে নিবেন।
এফিলিয়েট মার্কেটিং কি ? কিভাবে আয় করবেন, এই বিষয়ে আমি সম্পূর্ণটা আপনাদের আগেই বুঝিয়ে বলেছি।
৪. Fiverr এ কাজ করুন:
Fiverr, হলো একটি অনেক পপুলার এবং জনপ্রিয় ওয়েবসাইট, যেখানে আপনি আপনার কাজ ও সেবা $৫ (ডলার) থেকে বিক্রি করতে পারবেন।
অনেক বেশি শংখন লোকেরা India এবং Bangladesh থেকে এই ফাইভার সাইটে অনলাইন কাজ করে ভালো পরিমানে ইনকাম করছেন।
এখানে আপনি কেবল এক ধরণের নয়, তবে যেকোনো ধরণের কাজ করতে পারবেন।
Fiverr ওয়েবসাইটে company এবং individuals রা বিভিন্ন কাজ করানোর জন্য লোক বা ফ্রীল্যান্সার খুজেঁ।
যেমন ধরুন, আপনি সুন্দর করে logo design করতে পারেন।
এই ক্ষেত্রে, যারা এখানে logo তৈরি করানোর জন্য ভালো ফ্রীল্যান্সার খুঁজছেন, আপনি তাদের জন্য একটি লোগো তৈরি করে দিতে পারবেন।
আর, লোগো তৈরি করার বিপরীতে, আপনি সেই কোম্পানি বা ব্যক্তির থেকে যে আপনাকে কাজটি দিয়েছে, কমেও $৫ (ডলার) আয় করে নিতে পারবেন।
এভাবে, যেকোনো ধরণের কাজ যদি আপনি জানেন যেমন, article writing, coding, web designing, animation, digital marketing, SEO ইত্যাদি যেকোনো কাজ এর ক্ষেত্রে বিভিন্ন clients পেয়ে যাবেন।
৫. Online tuition services:
বর্তমানে ফ্রীতে video call বা video chat করার বিভিন্ন application রয়েছে।
যেমন, skype এবং Google duo ইত্যাদি।
তাই, এই ধরণের live video calling apps এর মাধ্যমে আপনারা ঘরে বসে যেকোনো জায়গায় থাকা আপনার ছাত্রদের অনলাইন টিউশন দিতে পারবেন।
বর্তমানে, করোনা ভাইরাস এর ফলে দেশ বিদেশে lock-down এর পরিবেশ চলছে।
এবং, এই সময়ে ছাত্ররা নিজের ঘরে বসে ভিডিও চ্যাটিং এর মাধ্যমে টিউশন করার ক্ষেত্রে অনেক আগ্রহী হবেন।
এছাড়াও, বিভিন্ন অনেক এমন অনলাইন ওয়েবসাইট রয়েছে যেগুলোতে গিয়ে আপনি একজন part time শিক্ষক হিসেবে অনলাইন class দিতে পারবেন।
যেমন, chegg, WizIQ, Teacheron, Tutorcity.in, unacademy.com ইত্যাদি বিভিন্ন ওয়েবসাইট রয়েছে যেখানে আপনারা নিজেকে একজন শিক্ষক হিসেবে রেজিস্টার করে, পার্ট টাইম টিউশন ক্লাস দিতে পারবেন।
৬. Content writing work:
যদি আপনি আর্টিকেল লিখে ভালো পান, তাহলে content writing এর কাজ আপনার জন্য সেরা অনলাইন পার্ট টাইম জব হিসেবে প্রমাণিত হবে।
বিভিন্ন এমন মাধ্যম ও প্রক্রিয়া রয়েছে, যেগুলো ব্যবহার করে অনলাইন কনটেন্ট লিখে আয় করা সম্ভব।
আপনারা বিভিন্ন freelancing websites যেমন, “fiverr“, “freelancer.com“, “upwork“, “hirewriters.com“, “iwriter.com” ইত্যাদি গুলোতে গিয়ে, কনটেন্ট লেখার কাজ খুঁজতে পারবেন।
যদি আপনার লেখার অভিজ্ঞতা রয়েছে এবং সঠিক ভাবে যদি এই কাজ করতে পারেন তাহলে কমেও “$20” প্রত্যেক ঘন্টায় আয় করতে পারবেন এই অনলাইন কাজ করে।
৭. Online data entry job:
ইন্টারনেটে অনেক ধরণের ডাটা এন্ট্রির কাজ (data entry jobs) আপনারা পেয়ে যাবেন।
যদি আপনার typing speed ভালো এবং পার্ট টাইম ইন্টারনেট থেকে ইনকাম করতে চাচ্ছেন, তাহলে এই ধরণের কাজ করাটা ভালো হবে।
এমনিতে ডাটা এন্ট্রির কাজ করার জন্য আপনার প্রত্যমে এই কাজ গুলোকে খুঁজতে হবে।
আর তাই, Internet এ “data entry jobs” লিখে সার্চ করলে অনেক ধরণের ওয়েবসাইট আপনারা পেয়ে যাবেন।
তবে, বিভিন্ন freelancing websites যেমন, “fiverr”, “upwork” এবং “freelancer.com” এ, এই ধরণের ডাটা এন্ট্রির কাজ আপনারা পাবেন।
৮. গেম খেলে ইনকাম করুন:
হে বন্ধুরা, গেম খেলেও আপনারা অনলাইন টাকা আয় করতে পারবেন।
ইন্টারনেটে এমন অনেক ওয়েবসাইট ও mobile apps রয়েছে, যেগুলোতে আপনারা গেম খেলে ইনকাম করতে পারবেন।
তাছাড়া, বিভিন্ন এমন gaming company রয়েছে, যারা game গুলি tasting করার ক্ষেত্রে, বিভিন্ন লোকেদের গেম গুলো খেলে taste করার জন্য টাকা দেন।
তবে, এই ধরণের gaming company গুলোর বিষয়ে আরো অধিক আমি আপনাদের বলতে পারছিনা।
কিন্তু হে, যদি আপনারা মোবাইলে গেম খেলে টাকা আয় করার বিষয়ে ভাবছেন, তাহলে এই ব্যাপারে আমি আগেই আপনাদের বলেছি।
এভাবে, কিছু গেমস খেলেও আপনারা online part time income করতে পারবেন।
৯. Captcha solving work:
আমরা সবাই ক্যাপচা (captcha) মানে বুঝি।
ইটা হলো এমন কিছু সংখ্যার বা ছবির মিশ্রণ, যেটা বিভিন্ন ওয়েবসাইটে একাউন্ট তৈরি করার সময় দেখানো হয়।
ক্যাপচা আসলে অপ্রয়োজনীয় বোট (bots) গুলোকে একাউন্ট তৈরির থেকে বাধা দেওয়ার জন্য দেওয়া হয়।
ক্যাপচা সলভিং এর কাজে, আপনার বিভিন্ন ক্যাপচা ছবি এবং সংখ্যা গুলোকে সঠিক ভাবে দেখে টাইপ করতে হয়।
এই ধরণের captcha solving company গুলো, প্রায় প্রত্যেক ১০০০ ক্যাপচা সঠিক ভাবে টাইপ করার বিপরীতে $1 থেকে $2 এর ভেতরে কিছু টাকা দিয়ে দেয়।
এমনিতে, যদি আপনার টাইপিং স্পিড অনেক ভালো হয়ে থাকে তাহলে কেবল ১ থেকে ২ ঘন্টার মধ্যেই ১০০০ ক্যাপচা সল্ভ করে নিতে পারবেন।
কিছু সেরা captcha solving website গুলো হলো –
- Kolotibablo ($0.35 থেকে $1 প্রত্যেক 1000 Captcha images এর জন্য পাবেন)
- Megatypers (নতুনরা পাবেন $0.45 থেকে $1 প্রত্যেক 1000 word images এর জন্য)
- ProTypers ($0.45 থেকে $1.5 প্রত্যেক 1000 Captcha images সল্ভ করার ফলে পাবেন)
- 2captcha.com (প্রায় $1 পেয়ে যাবেন 1000 Captcha solve করার ফলে)
১০. Become online seller:
বিভিন্ন অনেক online marketplace রয়েছে, যেগুলোতে আমরা নিজেদের products বিক্রি করতে পারি।
eBay, Amazon, Flipkart, Snapdeal এই ধরণের মার্কেটপ্লেস গুলোতে বিভিন্ন sellers রা তাদের products এবং services বিক্রি করেন।
বা, আপনার দেশের অন্যান্য কিছু জনপ্রিয় marketplace website অবশই রয়েছে।
এই ক্ষেত্রে, এই marketplace website গুলোতে গিয়ে seller হিসেবে আপনার একটি একাউন্ট তৈরি করতে হবে।
এখন আপনি, মার্কেটপ্লেসে যেকোনো product বিক্রি করতে পারবেন।
যদি আপনার কাছে বিক্রি করার মতো কিছু নেই, তাহলে নিজের আসে পাশে থাকা wholesale market এ গিয়ে দেখুন, আপনি কোন product গুলো কম টাকা দিয়ে কিনে অনলাইন মার্কেট প্লেস গুলোতে অধিক টাকায় ছাড়তে পারবেন।
আপনি কোনো বিশেষ product এর dealership নিয়েও সেগুলো এভাবে অনলাইনে বিক্রি করতে পারবেন।
আপনার কেবল লোকেদের order গুলো check করতে হবে।
যখন কোনো order পাবেন, সোজা সেগুলো shipping করলেই হয়ে যাবে।
১১. Part time photography:
এমনিতে photography করাটা অনেকের passion এবং hobby থাকতেই পারে এবং থাকে।
তবে, বর্তমানে আপনার এই photography র hobby আপনাকে অনলাইনে টাকা আয় করার সুযোগ দিবে।
কারণ, বর্তমানে ইন্টারনেটে এমন অনেক online company রয়েছে, যেগুলো আপনার তোলা ফটো নিয়ে আপনাকে টাকা দিবে।
সোজা ভাবে বললে, আপনি আপনার তোলা ফটো গুলো অনলাইন বিক্রি করতে পারবেন।
তাছাড়া, আপনি নিজের একটি stock photo website তৈরি করে, নিজের photo গুলো অনলাইন বিক্রি করতে পারবেন।
অনেকেই করছেন।
যদি আপনি high quality এবং perfect photo তুলছেন, তাহলে “iStockphoto“, “shutterstock“, “fotolia” ইত্যাদি ওয়েবসাইট গুলোতে নিজের ছবি বিক্রি করতে পারবেন।
১২. YouTube video creator:
বর্তমানে, YouTube অনলাইনে আয় করার সেরা মাধ্যম হওয়ার বিষয়টি প্রত্যেকেই জানেন।
ইউটিউবে প্রত্যেক দিন হাজার হাজার ভিডিও বিভিন্ন বিষয়ে আপলোড করা হয়।
এবং, এই ভিডিও গুলো আপলোড করেন আমার এবং আপনার মতো সাধারণ লোকেরা।
তবে, কি লাভ হয় ইউটিউবে ভিডিও আপলোড করে ?
যখন ইউটিউবে ভিডিও দেখেন তখন হয়তো আপনি লক্ষ্য অবশই করেছেন যে, ভিডিও শুরু হওয়ার আগেই এবং ভিডিওর মাঝে মাঝে কিছু বিজ্ঞাপন দেখানো হয়।
এবং, এই বিজ্ঞাপন গুলোর মাধ্যমেই “YouTube” এবং “upload করা ভিডিওর মালিক”, দুজনেই টাকা আয় করছেন।
ইউটিউব থেকে টাকা আয় করার জন্য, সবচে প্রথমেই আপনার একটি “ইউটিউব চ্যানেল তৈরি” করতে হবে।
তারপর, নিজের চ্যানেলে ভালো ভালো ভিডিও তৈরি করে আপলোড করতে হবে।
কিছুদিন পর, যখন আপনার চ্যানেলে ভালো পরিমানের subscriber হয়ে যাবে, তখন আপনি “YouTube monetization” এর জন্য এপ্লাই করে, ইউটিউবের থেকে ইনকাম করার কথা ভাবতে পারবেন।
এমনিতে, হাজার হাজার ইউটিউবার রয়েছেন, যারা নিজের ইউটিউবের চ্যানেলের মাধ্যমে, ভালো পরিমানের টাকা আয় করছেন।
সত্যি বলতে, ইউটিউবের ক্যারিয়ার (YouTube career) বেশিরভাগ লোকেরা পার্ট টাইম জব হিসেবেই শুরু করেন। তবে, তাদের মধ্যে অনেকেই নিজের কাজ ও কষ্টের ফলে এটাকে ফুল টাইম ক্যারিয়ারে পরিণত করেন।
১৩. Digital marketing service:
যেকোনো দেশে digital marketing অনেক তাড়াতাড়ি এগিয়ে আশা industry হিসেবে প্রমাণিত হয়েছে।
তাই, একটি ভালো ডিজিটাল মার্কেটিং কোর্স করে কেবল ৩ মাসের মধ্যেই আপনি সম্পূর্ণটা শিখে নিতে পারবেন।
Digital marketing করা মানে, বিভিন্ন products, services, websites, videos ইত্যাদি গুলোকে অনলাইনে ইন্টারনেটের মাধ্যমে মার্কেটিং ও প্রচার করা।
এবং, একবার ডিজিটাল মার্কেটিং এর কৌশল গুলো শিখতে পারলে, ঘরে বসে পার্ট টাইম ইনকাম অবশই করতেই পারবেন।
ভবিষ্যতে এই অনলাইন মার্কেটিং এর কৌশলের চাহিদা প্রচুর বাড়ার সম্ভাবনা রয়েছে।
আর তাই, ডিজিটাল মার্কেটিং এর সাথে জড়িত tutorial video তৈরি করে, অনলাইন এই কোর্স আপনি কিছু টাকা নিয়ে ছাত্রদের শিখাতে পারবেন।
তাছাড়া, বিভিন্ন freelancing ওয়েবসাইট গুলোতে ডিজিটাল মার্কেটিং সাথে জড়িত কাজ খুঁজে, পার্ট টাইম কাজ করে আয় করতে পারবেন।
- ডিজিটাল মার্কেটিং কি ? এর প্রকার এবং লাভ
১৪. Earn from android app:
একটি এন্ড্রয়েড app তৈরি করে পার্ট টাইম ইনকাম করার মাধ্যমটি কিন্তু অনেক লাভজনক হতে পারে।
আজকাল, অনেকেই একটি android app তৈরি করে তারপর সেখানে “Google admob” এর মাধ্যমে বিজ্ঞাপন লাগিয়ে “Google play store” এ ছেড়ে দেয় ,
এতে, যখন আপনার application কেও ডাউনলোড করে মোবাইলে ওপেন করবেন, তখন তাদেরকে কিছু বিজ্ঞাপন দেখানো হবে “Google Admob” এর তরফ থেকে।
এবং, প্রত্যেক দেখানো বিজ্ঞাপনের বিপরীতে আপনি আয় করবেন টাকা।
তাই, একটি সাধারণ android application তৈরি করে, ভালো পরিমানের টাকা আয় করার সুযোগ আপনার কাছে থাকবে।
Android application এর মাধ্যমে আয় করার জন্য, সবচে প্রথমেই আপনার একটি app তৈরি করতে হবে।
- এন্ড্রোয়েড এপস তৈরি করার ফ্রি ওয়েবসাইট
আপনার কাছে যদি কিছু টাকা আছে, তাহলে একজন app developer কে দিয়ে ৫০০০ থেকে ১০,০০০ এর মধ্যে একটি app তৈরি করিয়ে নিতে পারবেন।
একবার app তৈরি হয়ে যাওয়ার পর, কেবল $25 টাকা একবারের জন্য দিয়ে আপনি নিজের app টি “Google play store” এর আপলোড করে দিতে পারবেন।
একবার আপনার app কিছু সংখক লোকেরা ডাউনলোড করে ব্যবহার করা শুরু করলেই, app এর মাধ্যমে আপনার ইনকাম চালু হয়ে যাবে।
১৪. অনলাইন কোর্স তৈরি ও বিক্রি করে:
বর্তমান সময়ে অনলাইন ভিডিও কোর্স তৈরি করে ইনকাম করার বিষয়টা কিন্তু প্রচুর ট্রেন্ডিং-এ রয়েছে।
তাই, আপনি চাইলে আপনিও দিনে ২-৩ ঘন্টা সময় লাগিয়ে যেকোনো বিষয়ে একটি সেরা অনলাইন কোর্স তৈরি করে সেটিকে অনলাইনে নানান মাধ্যমে বিক্রি করতে পারবেন।
পেইড বিজ্ঞাপন, Facebook, Instagram, নিজের blog/website, ইত্যাদি নানান মাধ্যমে আপনি নিজের তৈরি করে ভিডিও কোর্স বিক্রি করতে পারবেন।
তবে মনে রাখা দরকার যে, কোর্স তৈরি করার আগে কোর্স এর টপিক এর বিষয়ে আপনাকে সম্পূর্ণ জ্ঞান লাভ করে নিতে হবে।
১৫. অনলাইন ট্রান্সলেশন জব:
Fiverr, Upwork, Freelancer.com, ইত্যাদির মতো নানান freelancing marketplace গুলিতেই প্রচুর অনলাইন ট্রান্সলেশন জবস গুলি পেয়ে যাবেন।
এই কাজে আপনাকে টেক্সট টু টেক্সট কনটেন্ট, ভিডিও টু টেক্সট, ভয়েস ইত্যাদি নানান মাধ্যমে একটি ভাষার কনটেন্টকে আরেকটি ভাষায় ট্রান্সলেট করতে হয়।
যেমন ধরুন, ইংরেজি ভাষায় লেখা ব্লগ আর্টিকেল গুলিকে বাংলা ভাষার আর্টিকেলে ট্রান্সলেট করা ইত্যাদি। Freelancing marketplace গুলির বাইরেও, LinkedIn-এর মতো প্লাটফর্ম গুলিতেও এই ধরণের কাজ আপনারা পেয়ে যাবেন।
১৬. Micro Jobs Website (GPT Sites):
যদি আপনারা, অনলাইনে ভিডিও দেখা, সার্ভে সম্পূর্ণ করা, app download, গেম খেলা, একাউন্ট রেজিস্ট্রেশন, ইত্যাদির মতো ছোট ছোট অনলাইন জব গুলি করার মাধ্যমে পার্ট-টাইম এক্সট্রা টাকা ইনকাম করতে চাইছেন, সেক্ষেত্রে ব্যবহার করতে পারেন নানান Micro Jobs Websites গুলির যেগুলিকে GPT (Get Paid To) sites বলেও বলা হয়।
যেমন ধরুন,
- Swagbucks,
- Freecash,
- ySense.com,
- Prizerebel,
- Cash Giraffe,
- Toluna.
FAQ: ঘরে বসে পার্ট টাইম জব:
ইন্টারনেট এর মাধ্যমে পার্ট-টাইম জব করে এক্সট্রা টাকা ইনকাম করার নানান সাইট গুলি আপনারা পাবেন। এদের মধ্যে কিছু পপুলার সাইট গুলি হলো, LinkedIn, Fiverr, Guru, Upwork, PeoplePerHour, Freelancer, ইত্যাদি।
পার্ট-টাইম কাজ করে আপনি কত টাকা আয় করবেন, সেটা সম্পূর্ণ ভাবে নানান উপাদান গুলির উপর নির্ভর করে থাকে। যেমন, আপনি কোন কাজটি করছেন, কত সময় লাগিয়ে কাজ করছেন এবং ভালো ভাবে কাজ করতে পারছেন কি না। তবে, একটি blog থেকে বা freelancing-কাজ গুলি করার মাধ্যমে শুরুতে ১০ হাজার থেকে ২০ হাজার প্রতি মাসে আরামে আয় করা যায়। তবে, ভবিষ্যতে ইনকামের পরিমান বাড়তেও পারে।
আমার হিসেবে মেয়েদের জন্য অনেক ভালো ভালো পার্ট টাইম জবস গুলি রয়েছে। যেমন, blogging, YouTube Channel, Freelance Content Writer, Translator, Online Data Entry Jobs, ইত্যাদি।
আমাদের শেষ কথা,
তাহলে বন্ধুরা, আজকে আমরা জানলাম কিছু “অনলাইন পার্ট টাইম জব” এর ব্যাপারে যেগুলি ঘর থেকেই করা যাবে। এই অনলাইন জব গুলো জেকেও করতে পারবেন, তবে জব এর সাথে জড়িত দক্ষতা ও জ্ঞান অবশই থাকতে হবে।
হাজার হাজার লোকেরা, অনলাইনে ঘরে বসে পার্ট টাইম জব গুলি করার মাধ্যমে ভালো পরিমানের টাকা ইনকাম করে নিচ্ছেন। এবং, আপনি চাইলে আপনিও পারবেন।
তাছাড়া, যদি আর্টিকেলের সাথে জড়িত কোনো সমস্যা বা প্রশ্ন রয়েছে, তাহলে আমাকে নিচে কমেন্ট করুন।
আমি জবটি করতে চাই
অবশই করুন।
জবটা খুব ভালো,,,আমিও এ-ই জব টা করতে চাই।কিভাবে করবো দয়া একটু সাহায্যে করুন
কোন জবের কথা বলছেন ?
খুব ভালো।
ধন্যবাদ।
Nice artical
ধন্যবাদ।
Bro, ami Bangladeshi.
Ami Captcha solving work kaj korte cai. So, dollar theke taka kora jabe kivabe?