ছবি এডিট করার, সুন্দর করার এবং সাজানোর সব থেকে সেরা অ্যাপস – ২০২৫

আজকের প্রতিবেদনটি হলো সেরা কয়েকটি ফটো এডিটিং অ্যাপ নিয়ে। মোবাইল দিয়ে ছবি তোলার পর সেগুলোকে অধিক সুন্দর ও আকর্ষণীয় করে তোলার জন্য এই অ্যাপ গুলো ব্যবহার করা যেতে পারে। এছাড়া ছবি গুলোতে নানান ফ্রেম, এফেক্ট, অ্যানিমেশন, স্টিকার ইত্যাদি যুক্ত করে সেগুলোকে সাজাতেও পারবেন এই অ্যাপ গুলোর দ্বারা।

মেকআপের জন্য খুঁজে থাকুন বা খুঁজুন লাইভ বিউটি ক্যামেরার জন্য, ফটোর কোয়ালিটি উন্নত মানের করার জন্য খুঁজে থাকুন বা খুঁজুন ফিচার ইমেজ বানানোর জন্য, উদেশ্য যাই হোক না কেন, সমস্ত অ্যাপেরই নাম এই এক প্রতিবেদনে দরকারি প্রত্যেকটি ফিচার সহ উল্লেখ করা হয়েছে। তাহলে চলুন, নিজের মোবাইল দিয়ে তোলা ছবি গুলো কিভাবে সাজানো ও সুন্দর করা যাবে সেটা জেনেনেই।  

ছবি সাজানো সফটওয়্যার
মোবাইল দিয়ে যেকোনো ছবিকে সুন্দর করার অ্যাপস।

মোবাইলে পিসির মতো পেশাদারভাবে ফটো এডিটিং করা যাবে কি?

অবশই যাবে, আজকের স্মার্টফোন এবং প্রায় ৫-৬ বছর আগের স্মার্টফোনের মধ্যে প্রচুর প্রযুক্তিগত তফাৎ রয়েছে।

বর্তমানের স্মার্টফোন গুলিতে তুলনামূলক ভাবে অনেক শক্তিশালী মোবাইল প্রসেসর, অধিক এবং দ্রুত রেম (RAM) ইত্যাদি নানান প্রযুক্তিগত উন্নতি গুলি করা হয়েছে। তাই এখনকার সময়ে, একটি professional desktop photo editing software-এর মতো নানান professional mobile photo editing apps গুলি মার্কেটে উপলব্ধ রয়েছে যেগুলিকে প্রায় প্রত্যেক স্মার্টফোনেই ব্যবহার করা যায়।

তবে মনে রাখতে হবে যে, একটি PC-based ফটো এডিটিং সফটওয়্যার এর প্রত্যেকটি বৈশিষ্ট, টুল বা ফাঙ্কশন গুলি হয়তো মোবাইলের জন্য থাকা এই ফটো সাজানোর বা এডিট করার অ্যাপস গুলিতে নাও থাকতে পারে। তবে, এখনের ছবি ডিজাইন করার সফটওয়্যার/অ্যাপস গুলিতে একটি ফটোতে উল্লেখযোগ্য পরিমানে এডিট এবং ছবির মান উন্নত করার ক্ষেত্রে প্রয়োজনীয় প্রত্যেকটি টুল আপনারা পেয়ে যাবেন।

এর মানে এটাই যে, মোবাইলের জন্য থাকা বর্তমানের এই ফটো এডিট করার বা সাজানোর সফটওয়্যার গুলি দিয়ে সম্পূর্ণ পেশাদার ভাবে যেকোনো ছবিকে এডিট এবং এনহ্যান্স করা যাবে।

এন্ড্রয়েড মোবাইলের জন্য সব থেকে সেরা ইমেজ এডিটিং অ্যাপস – ছবি সাজিয়ে সুন্দর করুন

ছবি সুন্দর করার অ্যাপ:মূল বৈশিষ্ট:
১. Pretty Makeup – Beauty Camera সেরা সেলফি মেকওভার অ্যাপ।
২. Beauty Plus Cam – AI Photo Editorনিখুঁত সেলফির জন্য বিউটিফিকেশন টুল
৩. Fotogenic : Face & Body Editorপ্রতিটি স্তরের ফটোগ্রাফাররা ব্যবহার করতে পারবেন।
৪. Canva: Photo & Video EditorAI দিয়ে ছবি এডিট করা যায়।
৫. Adobe Photoshop Expressঅনেক শক্তিশালী এডিটিং টুলস এবং ফীচার।
৬. Lightroom Photo & Video Editorকালার এনহ্যান্সমেন্ট এবং বলার ব্যাংকগ্রাউন্ড।
৭. Snapseedব্যাপক এডিটিং সরঞ্জাম এবং ফিল্টার গুলি আছে।
৮. Photo Editor – Polishউন্নত ফিল্টার এবং ফটো কোলাজ অপসন।
৯. Photo Lab Picture Editorনতুন AI ফ্যান্টাসি মেকওভার মোড।
১০. Picsart AI Photo Editorওয়ান ট্যাপ AI filters গুলি আছে।
১১. LightX Photo EditorAI portrait mode এবং magic eraser এর সুবিধা।
১২. PicsKit Photo Editorপ্রচুর আর্টিস্টিক ফিল্টার গুলি আছে।
১৩. InShot Inc – MagPic১০০ থেকে অধিক আকর্ষণীয় টেম্পলেট।
১৪. Prisma Art Effect Photo Editor৫০০+ আধুনিক ফিল্টার এবং উন্নত টুলস।
১৫. VSCO: Photo & Video Editorপেশাদার-গ্রেড প্রিসেট এবং উন্নত এডিটিং টুল।
১৬. Toolwiz Photos – Pro Editorপ্রো এডিটিং টুল এবং আর্টিস্টিক ফিল্টার।

চলুন, নিচে আমরা প্রত্যেকটি photo beauty editor app এর বিষয়ে কিছুটা জেনেনেই।

১. Remini AI Photo Enhancer 

ব্লার, পুরোনো বা ড্যামেজ হয়ে যাওয়া ফটোকে উন্নত মানের ফটোতে রূপান্তর করতে পারেন এই অ্যাপের সাহায্যে। প্লে স্টোরে থাকা অন্যতম Best AI Photo Enhancer App-টি আর্টিফিসিয়াল ইন্টালিজেন্সির সাহায্যে পুরোনো ফটো Restore, ব্লার হয়ে যাওয়া ফটোকে Unblur করার পাশাপাশি যে কোনো ফটোকে HD ফটোতে পরিণত করতে সাহায্য করে। প্রায় ১০০ মিলিয়নেরও বেশি ফটো নতুন জীবন পেয়েছে জনপ্রিয় Remini AI Photo Enhancer App-এর দৌলতে। প্লে স্টোরে এই অ্যাপ ১০ কোটি বারেরও বেশি ডাউনলোড হয়েছে এবং 4.4 রেটিং পেয়েছে।

ফিচার –
    1. সেলফি, গ্রুফি বা যে কোনো ফটোকে উন্নত মানের ডিটেলিং সহ HD ফটোয় রূপান্তরিত করতে পারে। 
    2. অস্পষ্ট ভাবযুক্ত ফটোকে স্পষ্ট হাই কোয়ালিটি ফটোয় পরিণত করতে পারে।
    3. পুরোনো অস্বচ্ছ ফটোকে পরিষ্কার ও শার্প করতে সাহায্য করে।
    4. লো কোয়ালিটি ফটোর পিক্সেল বৃদ্ধি করতে পারে।
    5. AI ফটো জেনারেট করতে পারে।

২. Beauty Camera – Selfiie Camera

লাইভ মেকআপের জন্য একটি পারফেক্ট অ্যাপ হল এই Beauty Camera – Selfiie Camera অ্যাপটি। এই অ্যাপে ‘Real Time Beauty Effects’ অপশন রয়েছে। এছাড়াও ক্যামেরায় সরাসরি AR Beauty Effect-ও ব্যবহার করা যায়।প্লে স্টোরে বিউটি ক্যামেরার প্রতিযোগিতায় সার্চে প্রায় প্রথম দিকে আসা এই অ্যাপ 3.9 রেটিংস নিয়ে ১ কোটিরও অধিকবার ডাউনলোড করা হয়েছে।

ফিচার –

  • ফটো তোলার সময়ই ডাইরেক্ট বডি রিটাচ, মেকআপ এফেক্ট ও ক্যামেরা ফিল্টার ব্যবহার করা যায়।
  • ত্বক মসৃণ করা, ব্রণ সরানো ও দাঁত সাদা করার টুল আছে এই অ্যাপে।
  • মুখের আকারও ইচ্ছে মতো পরিবর্তন করা যায় Beauty Camera – Selfiie Camera অ্যাপে।
  • লাইভ স্টিকার ব্যবহরের অপশন আছে।
  • কিউট থেকে শুরু করে, ট্যাটু, দাড়ি-গাড়ি প্রায় সব ধরণের স্টিকার পাওয়া যায়।
  • মেকআপের অপশন হিসাবে লিপস্টিক, ফাউন্ডেশন, কন্টুর, কনসিলার ও হেয়ার ডাই আছে।
  • ফটোর মধ্যে থাকা যে কোনো মানুষ বা বস্তুকে Remove করা যায় এবং ব্যাকগ্রাউন্ড ব্লার করা যায়।

৩. B612 – AI Photo & Video Editor

এক দশক পেরিয়ে গেলেও আজও অক্ষত এই B612 – AI Photo & Video Editor অ্যাপের জনপ্রিয়তা। অগুনিতক ফিল্টার ও ফটো এডিটিং টুলের সাহায্য খুব সহজেই ফটোকে আকর্ষণীয় করে তুলতে পারা যায়। সময়ের সঙ্গে তাল মিলিয়ে উন্নত হয়েছে এই অ্যাপ। আর তাই ৫০ কোটিরও অধিক ডাউনলোড এবং 4.2 রেটিং নিয়ে ফটো এডিটরের মার্কেটে দাপিয়ে বেড়াচ্ছে B612 – AI Photo & Video Editor অ্যাপ।

ফিচার –

  • পছন্দসই ফিল্টার তৈরির অপশন আছে।
  • স্মার্ট ক্যামেরার উপস্থিত।
  • ALL-IN-ONE PRO ফটো এডিটিং ফিচার-এর দৌলতে প্রফেশনালদের মতো কালার কারেকশন, কার্ভ ও স্প্লিট টোন দেওয়া যায়।
  • বিউটি এফেক্ট যোগ করা ছাড়াও বডি শেপ চেঞ্জ করা যায় এবং চুলের রং পর্যন্ত বদলে দেওয়া যায়।
  • AI Erase: ফটো এডিট করার সময় এই টুল ব্যবহার করে অবাঞ্চিত এলাকা মুছে ফেলা যায়।

৪. Youcam Perfect – Photo Editor

আমাদের মধ্যে সবারই ফোনের ক্যামেরা কিন্তু ভালো হতে হবে তা কিন্তু হয় না। কারোর ক্যামেরার ফটোতে ব্রাইটনেস ভালো থাকে না, আবার কারোরটাতে রঙের সমস্যা থাকে। ফলে পছন্দসই ফটো তোলা অসম্ভব বিষয় হয়ে যায়।

আপনিও এই সমস্যায় ভুগে থাকলে Youcam Perfect – Photo Editor আপনার জন্যই। কেননা এতে পছন্দের ফিল্টারে লাইভ ফটো তোলার পাশাপাশি এডিটিং সেকশনে মেকআপ থেকে শুরু করে মুখমণ্ডলের আকার বদলে দেওয়া যায়। প্লে স্টোরে 300 মিলিয়ন ডাউনলোড এবং 4.3 রেটিং প্রাপ্ত এই অ্যাপ যুবক-যুবতীদের মধ্যে বেশ জনপ্রিয়।

ফিচার:

  • Real Time Selfies ও Skin Beautifying Effects আছে।
  • সম্পূর্ণ এডিটিং টুলকিট বিনামূল্যে ব্যবহার করা যায়।
  • Gaussian blur, HDR Effect, Vignette ও Crop ফিচার সহ একাধিক টুল আছে এক অ্যাপে।
  • Intelligent Object Removal Tool দিয়ে যে কোনো অযাচিত জিনিসের অস্তিত্ব ফটো থেকে মুছে দেওয়া যায়।
  • Green Screen Effect-এর সাহায্যে আসল ব্যাকগ্রাউন্ড সরিয়ে ইচ্ছে মতো ব্যাকগ্রাউন্ড ছবিতে জুড়ে দেওয়া যায়।
  • ফেস শেপার টুলের সাহায্যে প্লাস্টিক সার্জারি করার মতো নতুন লুক দেওয়া যাবে চেহারায়।

৫. Peachy – AI Face & Body Editor

মোবাইল দিয়ে তোলা ছবি গুলো একেবারে পারফেক্ট করতে চাইছেন? ট্রাই করুন Peachy – AI Face & Body Editor অ্যাপ। প্লে স্টোরের এই বিউটি অ্যাপ সম্পূর্ণ ফ্রীতে ব্যবহার করা যেতে পারে। এছাড়া একটি Raw ফটোর আগাগোড়া বদলে দেওয়া যায় Peachy – AI Face & Body Editor-এর সাহায্যে।

ফিচার:

  • Watermark ছাড়াই ছবিতে Body Edit, Photo Retouch, Face Tune করা যাবে।
  • ব্রণ থেকে শুরু করে বলিরেখা এক নিমেষে দূর করা যাবে Photo Retouch টুলের সাহায্যে।
  • পছন্দ মতো ভ্রু ও দাঁতের রং বেছে নেওয়ার অপশন আছে। এমনকি ফটোতে মুখের তেলতেলে ভাব দূর করে ম্যাট এফেক্টও দেওয়া যাবে।
  • Face Tune & Body Reshape টুল ব্যবহার করে ছবিতে শরীরের প্রত্যেক অঙ্গের আকার পরিবর্তন করা যায়।
  • Cutout-Background টুলের সাহায্যে সহজেই ব্যাকগ্রাউন্ড চিত্র বদলে ফেলা যায়। পাশাপাশি ডানা, পাপড়ি সহ অনেক রকমের এফেক্ট বিনামূল্যে ফটোতে add করা যায়। 

৬. Adobe Photoshop Express

নিজের ফোনেই সোশ্যাল মিডিয়ায় ভাইরাল হওয়া DSLR-এর মতো ফটো চাইলে ব্যবহার করতে হবে Adobe Photoshop Express। ফ্রী ভার্সনেই মেলে দুর্দান্ত এডিটিং টুল। এগুলোর ব্যবহারে PC-এর এডিটিং লেভেলের ছোঁয়া পাবে আপনার ফটো গুলোতে। সবথেকে বড়ো ব্যাপার হল, সঠিক পদ্ধতিতে Adobe Photoshop Express-এ এডিট করলে তা দেখে অনেক সময়ে বোঝাই যাবে না যে সেই ফটো কম্পিউটারে নয় ফোনে এডিট করা হয়েছে।

ফিচার:

  • শক্তিশালী PHOTO ENHANCER & IMAGE RETOUCH টুল দিয়ে মুখের লালভাব দূর করা যাবে এবং ত্বক মখমলের মতো নরম দেখানো যাবে।
  • দুর্দান্ত ফিল্টার অপশনের সঙ্গে মিলবে Color Correction টুল।
  • এছাড়াও রয়েছে Object Remover ও মেকআপের জন্য AI টুলও। এই টুলগুলি ব্যবহার করে ফটো থেকে অপছন্দের ছবি সরানো যাবে এবং AI-এর মাধ্যমে ফটোকে ‘Picture Perfect’ করা যাবে।

৭. Snapsheed

সম্পূর্ণ ফ্রী অথচ একটি দুর্দান্ত ফটো এডিটিং অ্যাপ হলো Snapsheed। এই অ্যাপটি ব্যবহার করে হোয়াইট ব্যালেন্স করে এবং নানান আকর্ষণীয় ফিল্টার গুলো এপ্লাই করে, ২৯টি টুলের সাহায্যে যেকোনো ছবিকে সাধারণ থেকে অসাধারণ ফটোতে কনভার্ট করে দিতে পারবেন। সবটাই কিন্তু নিজের মোবাইল দিয়েই হয়ে যাবে।

ফিচার:

  • HDR, Brush, Healing, Crop, Rotate, Perspective, White Balance, Vigenette সবই পাবেন অ্যাপটিতে।
  • গ্লো দিতে চাইলে Glamour Glow, ড্রামাটিক লুক দিতে চাইলে আছে Drama, মডার্ন Film লুক দিতে চাইলে Grainy Film, রেট্রো লুক দিতে চাইলে Retrolux, টেক্সচার হাইলাইট করতে চাইলে Grunge ব্যবহার করতে পারেন আপনি।
  • RAW DNG ফাইলেও কাজ করে তা JPG ফাইল হিসাবে সেভ করতে পারবেন।

৮. Lightroom Photo & Video Editor

অনেক সময় রেজোলিউশন বেশি থাকলেও পর্যাপ্ত আলোর অভাবে ফটো ভালো ওঠে না। সেই ফটো ডিলিট না করে আরও আকর্ষণীয় করে তুলতে চাইলে ব্যবহার করতে হবে Lightroom Photo & Video Editor অ্যাপ। RAW ফটোর Colour ও Tone অ্যাডজাস্ট করার পাশাপাশি Profile থেকে Best Option বেছে নিয়ে ফটোকে Pro-look দিতে পারেন। শুধুমাত্র ফ্রী ভার্সন ব্যবহার করেও ফটোকে প্রফেশনাল লুক দিতে পারা যায় লাইটরুমে।

ফিচার:

  • Luminance, Hue, Colour grading, Saturation ঠিক করার জন্য রয়েছে শক্তিশালী Colour Tool।
  • ফটো আকর্ষণীয় করে তোলার জন্য Texture, Calrity মডিফাই করার পরে Grain, Dehaze ও Vignette এফেক্ট প্রয়োগ করার অপশন আছে। 
  • নিজের পছন্দ মতো ফিল্টার ও Preset বানিয়ে তা সেভ করে রেখে পরে ব্যবহার করতে পারা যায়।
  • Crop, Rotate টুল আছে ফটোর Ratio ঠিক করার জন্য।।       
  • অ্যাকাউন্টে লগিন করে আগের এডিট করা ফটো যে কোনো সময়ে অ্যাক্সেস করতে পারা যায় এই অ্যাপে।

৯. Picsart AI Photo Editor

“One Man Army” বাক্য প্রয়োগ করা যেতে পারে Picsart AI Photo Editor অ্যাপের গুরুত্ব বোঝানোর জন্য। বিনামূল্যে ফিল্টার ব্যবহার থেকে শুরু করে, ব্যাকগ্রাউন্ড ব্লার করার টুল ব্যবহার করে একটা RAW Low Quality ফটোকে Pro-looking High Quality ফটোতে পরিণত করা যায়। ছবি এডিট করার জন্য বহু মানুষের প্রথম পছন্দ Picsart। ১৫০ মিলিয়ন ক্রিয়েটরের অধিক মানুষ এটি ব্যবহার করেন।

ফিচার-

  • Picsart-এ আছে ৬০ মিলিয়নের অধিক স্টিকার। এখানে আপনি নিজেও স্টিকার তৈরি করতে পারেন।
  • মুহূর্তের মধ্যে Magic Effects দিতে পারেন নিজের ফটোতে।
  • Canvas এফেক্ট দিয়েও নিজের ফটোকে আকর্ষণীয় করে তোলা যায়।
  • ছবিতে ব্রাশ ও লেয়ারের সাহায্যে Doodle করতে পারেন।
  • রয়েছে হরেক রকমের অগুনিতক কোলাজ অপশন। প্রিয় ফটোগুলো নিয়ে কোলাজ বানানো যায়।
  • AI Powered টুল ব্যবহার করে ফটোর ব্যাকগ্রাউন্ড উড়িয়ে Prompt জেনারেট করে পছন্দসই ব্যাকগ্রাউন্ড যোগ করতে পারেন।
  • অ্যাপটিতে আছে ফ্রী Crop-এর সুবিধা। ফলে সহজেই আপনি ব্যাকগ্রাউন্ডহীন ছবি বানাতে পারবেন।
  • AI Avatar বানাতে পারেন Picsart ব্যবহার করে।

কেন ব্যবহার করবেন এই ছবি এডিট করার অ্যাপ গুলো?

১. পুরোনো বা ড্যামেজ হয়ে যাওয়া ফটোর কোয়ালিটি ভালো করতে চাইলে Remini AI Photo Enhancer অ্যাপের তুলনা হয় না।

২. ছবি এডিট করার জন্য কম্পিউটারের সমতুলনীয় অ্যাপ ফোনে চাইলে Adobe Photoshop Express, Lightroom Photo & Video Editor ও Snapsheed অন্যতম বেস্ট চয়েস।

৩. মোবাইল অ্যাপ ব্যবহার করে ফিচার ইমেজ, ব্যানার ফটো বা পোস্টার বানাতে চাইলে Picsart AI Photo Editor উত্তম। ফটোতে মজার এক্সপেরিমেন্ট করতে চাইলেও খুবই কাজের এই অ্যাপ গুলো।

৪. লাইভ বিউটি ক্যামেরা, মেকআপ ও বডি শেপ এডিট করার জন্য অ্যাপ খুঁজে থাকলে Beauty Camera – Selfiie Camera, B612 – AI Photo & Video Editor, Youcam Perfect – Photo Editor, Peachy – AI Face & Body Editor ব্যবহার করতে পারেন।

FAQ’s On: Photo Editing and Beautification Software for Android Mobile

১. ছবি সাজানোর এবং সুন্দর করার এই অ্যাপ গুলি কি ফ্রীতে ব্যবহার করা যায়?

হ্যা, উপরে বলে দেওয়া প্রত্যেকটি ছবি এডিট করার অ্যাপ গুলি আপনারা সম্পূর্ণ ফ্রীতে ডাউনলোড করে নিজের মোবাইলে ব্যবহার করতে পারবেন। প্রতিটি অ্যাপ এর Google Play Store ডাউনলোড লিংক দিয়ে দেওয়া হয়েছে।

২. ফটো এডিট করার সফটওয়্যার গুলি ব্যবহার করার জন্য কি ইন্টারনেট লাগবে?

বেশিরভাগ সাধারণ এডিটিং টুলস এবং অপসন গুলি আপনারা ইন্টারনেট ছাড়া অফলাইনে ব্যবহার করতে পারবেন। তবে, ফিল্টার, স্টিকার, ইত্যাদি ডাউনলোড করা ক্লাউড স্টোরেজ এক্সেস করা, টেম্পলেট আপডেট করার মতো কাজ গুলি করার জন্য ইন্টারনেট অবশই লাগবে।

৩. নতুনদের জন্য ছবি এডিট এবং সুন্দর করার কোন অ্যাপটি সেরা?

যদি আপনি ছবি এডিটিং এর ক্ষেত্রে একেবারেই নতুন, তাহলে আপনি Peachy – AI Face & Body Editor এবং Picsart AI Photo Editor-এর মতো app গুলি ব্যবহার করে দেখতে পারেন। এই দুটোই app-এ অনেক সিম্পল ইউজার ইন্টারফেস পেয়ে যাবেন এবং পাশাপাশি tools গুলি ব্যবহার করে ছবি এডিট করার বিষয়ে নানান টিউটোরিয়াল গুলিও পাবেন।

আমাদের শেষ কথা,,

তাহলে বন্ধুরা, আজকে আমরা এন্ড্রয়েড মোবাইলের জন্য উপলব্ধ সেরা কয়েকটি ছবি এডিট করার সফটওয়্যার গুলোর বিষয়ে জানলাম। ওপরে দেওয়া প্রত্যেকটি app আপনাদের পছন্দ হবে। কেননা, যেকোনো ধরণের প্রফেশনাল ভাবে ফটো এডিট করার ক্ষেত্রে প্রত্যেকটি app এর মধ্যে সেরা tools, filters, effects ইত্যাদি প্রত্যেকটি option রয়েছে।

মোবাইলের মাধ্যমে ছবি সুন্দর করার আমাদের এই সেরা সফটওয়্যার গুলো যদি আপনাদের ভালো লেগে থাকে, তাহলে অবশই আর্টিকেলটি শেয়ার করবেন। এবং, আর্টিকেলের সাথে জড়িত কোনো ধরণের প্রশ্ন বা পরামর্শ থাকলে, নিচে কমেন্ট করে জানিয়ে দিবেন।

অবশই পড়ুন

1 thought on “ছবি এডিট করার, সুন্দর করার এবং সাজানোর সব থেকে সেরা অ্যাপস – ২০২৫”

  1. Md. Al-Mobin Hossain

    ধন্যবাদ ভাইয়া..!
    I used Snapseed regularly. It’s best to me and easy to edit Pictures.

Leave a Comment

Your email address will not be published. Required fields are marked *

error:
Scroll to Top