গুগল থেকে ইনকাম করার ক্ষেত্রে আমরা গুগলের নানান প্লাটফর্ম গুলোকে কাজে লাগাতে পারি। এক্ষেত্রে, গুগল এডসেন্স, adword, ইউটিউব ভিডিও, ওপিনিয়ন রিওয়ার্ড অ্যাপ এবং আপনি চাইলে গুগলের প্লে স্টোর থেকেও ইনকাম করে নিতে পারবেন।
তবে, এক্ষেত্রে আপনাকে সঠিক নিয়ম, কৌশল এবং রোডম্যাপটি অনুসরণ করে এগিয়ে যেতে হবে। গুগল থেকে টাকা ইনকাম করার উপায় গুলোর মধ্যে সব থেকে জনপ্রিয় এবং কার্যকর উপায় দুটি হলো, Google AdSense এবং Google Admob। তবে, Admob এবং AdSense ছাড়াও গুগল থেকে অর্থ উপার্জনের নানান কার্যকর উপায় গুলো রয়েছে যেগুলোর বিষয়ে আপনারা আজকের এই আর্টিকেলের মধ্যে জেনেনিতে পারবেন।
আর্টিকেলটিতে আমি আপনাদের, গুগলের ৮টি এমন প্লাটফর্ম গুলোর বিষয়ে বলবো যেগুলোকে কাজে লাগিয়ে আজ বিশ্বজুড়ে অনেকেই অনলাইনে প্রচুর টাকা ইনকামের সুযোগ পেয়েছেন।
চলুন, আর দেরি না করে এখন আমরা সরাসরি গুগলের সেই সেরা ৮ টি প্লাটফর্ম গুলোর বিষয়ে জেনেনেই যেগুলোকে কাজে লাগিয়ে আমি, আপনি এবং জেকেও অনলাইনে পার্ট – টাইম বা ফুল – টাইম কাজ করে গুগল থেকে অন্তত কিছু ডলার অবশই ইনকাম করে নিতে পারবেন।
Google থেকে কি জেকেও ইনকাম করতে পারবেন?
হ্যা, চাইলে জেকেও বিভিন্ন মাধ্যমে গুগল থেকে ঘরে বসে অর্থ উপার্জন করতে পারবেন। তবে গুগল থেকে ইনকাম করার ক্ষেত্রে আপনাকে গুগলের এমন একটি প্লাটফর্ম সিলেক্ট করে নিতে হবে যেই বিষয়ে আপনার আগের থেকে কিছুটা হলেও জ্ঞান বা অভিজ্ঞতা রয়েছে। এতে, কাজ শুরু করতে অধিক সমস্যা আপনার হবেনা।
উদাহরণ স্বরূপ: অনেকেই আছেন যারা মোবাইল অ্যাপ তৈরি করতে বা সেগুলোকে ডিজাইন করতে পছন্দ করেন, সেক্ষেত্রে এই ধরণের ব্যক্তিরা Google-এর AdMob প্লাটফর্মটি কাজে লাগাতে পারবেন। ঠিক সেভাবেই, যদি আপনি লেখালেখি করতে পছন্দ করেন এবং আর্টিকেল লিখে অর্থ উপার্জন করার মধ্যে রুচি রাখেন, সেক্ষেত্রে Google AdSense এবং গুগলের Blogger প্লাটফর্মটিকে কাজে লাগাতে পারবেন।
Google থেকে ইনকাম শুরু করার জন্য সবচেয়ে আগেই আপনাকে সিলেক্ট করে নেওয়া গুগলের প্লাটফর্মে একটি ফ্রি একাউন্ট তৈরি করে নিতে হবে। সত্যি বলতে, গুগলের দ্বারা উপলব্ধ প্লাটফর্ম গুলোর থেকে প্রচুর টাকা উপার্জনের সুযোগ থাকলেও, এক্ষেত্রে আপনাকে যথেষ্ট সময় দিতে হয় এবং পাশাপাশি কিছু স্মার্ট ওয়ার্কও করতে হবে।
গুগল থেকে টাকা ইনকাম করা ৯টি কার্যকর উপায়:
নিচে বলে দেওয়া উপায় গুলো ব্যবহার করে বিশ্বজুড়ে প্রচুর লোকেরা গুগল থেকে লক্ষ লক্ষ টাকা ইনকাম করছেন। তবে, মনে রাখতে হবে যে এই কাজ গুলোতেও কিন্তু প্রচুর প্রতিযোগিতা রয়েছে, আর তাই গুগলের এই প্লাটফর্ম গুলো ব্যবহার করে অধিক টাকা ইনকাম করার ক্ষেত্রে আপনাকে হার্ড ওয়ার্ক এর পাশাপাশি কিছুটা স্মার্ট-ওয়ার্ক অবশই করতে হবে।
ইনকামের উপায়: | ন্যূনতম আয়ের সম্ভাবনা: |
---|---|
১. Blogging করে ইনকাম | $50 – $300 |
২. YouTube Channel | $50 – $250 |
৩. Google Play Store | $50 – $200 |
৪. Google AdSense | $50 – $350 |
৫. Google Admob | $100 – $250 |
৬. Google Pay | $50 – $200 |
৭. Google Opinion Reward | $1 – $5 |
৮. Google Maps | $100 – $250 |
৯. Google AdWords (Ads) | $500 – $1000 |
নিচে, গুগল থেকে টাকা ইনকাম করার যেগুলি উপায় বা মাধ্যমের বেপারে বলবো, সেগুলি সত্যি অনেক কার্যকর এবং হাজার হাজার লোকেরা এই উপায় গুলি ব্যবহার করে, internet থেকে নিয়মিত টাকা ইনকাম করছেন।
১. Blogging করে ইনকাম:
Blogger নামের Google এর একটি platform বা ওয়েবসাইট রয়েছে, যেখানে গিয়ে জেকেও একটি ব্লগ বা ওয়েবসাইট তৈরি করতে পারবেন। এমনিতে একটি ব্লগ বা ওয়েবসাইট তৈরি করার জন্য, আমাদের হোস্টিং এর খরচ, ডমেইন (domain) এর খরচ এবং আরো অন্যান্য জিনিসে খরচ করতে হবে।
কিন্তু, গুগলের এই blogger platform টি ব্যবহার করে, আপনারা সম্পূর্ণ ফ্রীতেই একটি ব্লগ সাইট (blog) তৈরি করে নিতে পারবেন। এছাড়া, কিভাবে একটি ফ্রি ব্লগার ব্লগ তৈরি করবেন, এই বিষয়ে আমি আগেই আপনাদের বলে দিয়েছি। বর্তমান সময়ে, একটি ব্লগ থেকে অনলাইনে টাকা ইনকাম করা লোকেদের সংখ্যা দিনের পর দিন বেড়েই চলেছে।
কারণ, একটি জনপ্রিয় এবং ভালো organic traffic থাকা ব্লগ থেকে প্রতিদিন কমেও $5-$50 এবং কিছু ব্যক্তিদের ক্ষেত্রে আরো বেশি টাকা আয় করা সম্ভব। একটি ব্লগ থেকে টাকা ইনকাম করার লাভজনক উপায় অনেক গুলিই রয়েছে। আজকাল YouTube এ video tutorial গুলি দেখে, ঘরে বসে কেবল ১০ মিনিটে একটি blogger blog তৈরি করে নিতে পারবেন।
ব্লগিং করে অনলাইনে টাকা ইনকাম করার স্টেপ:
একটি ব্লগ থেকে কিভাবে আয় করা যেতে পারে, সেটা নিচে দেয়া স্টেপ গুলির থেকে জেনে যাবেন।
সবচে আগেই, Google এর Blogger.com ওয়েবসাইটে গিয়ে, একটি ব্লগ তৈরি করতে হবে। তারপর, নিজের ব্লগের জন্য একটি Domain name বেঁছে নিতে হবে।
নিজের ব্লগের জন্য একটি simple, lightweight এবং fast থিম বা template বেঁছে নিন। ব্লগের কিছু সাধারণ সেটিং করতে হবে যেগুলির বেপারে আপনারা YouTube এ ভিডিও দেখে শিখে যাবেন।
নিজের ব্লগে ভালো ভালো এবং high quality ও unique আর্টিকেল লিখে রেগুলার পাবলিশ করুন। আপনার লিখা আর্টিকেল গুলি যাতে গুগলে ভালো করে রাংক করতে পারে, তার জন্য “অন পেজ এসইও” এবং “অফ পেজ এসইও” ভালো করে করতে হবে।
শেষে, ব্লগে ভালো পরিমানে organic traffic যখন আশা শুরু হবে, তখন গুগল এডসেন্স এর জন্য এপলাই করুন। Google AdSense থেকে approval পেয়ে গেলে, এখন আপনি নিজের ব্লগে বিজ্ঞাপন (ads) দেখিয়ে অনলাইন ইনকাম করতে পারবেন।
এমনিতে আপনার ব্লগে যদি ভালো পরিমানের ট্রাফিক বা ভিসিটর্স আসছে, তাহলে “এফিলিয়েট মার্কেটিং” থেকেও প্রচুর টাকা আয় করতে পারবেন।
২. কিভাবে YouTube থেকে আয় করবেন?
Blogging এর পর, গুগল থেকে ইনকাম করার সব থেকে কার্যকর উপায় হিসেবে “YouTube” কেই ধরা যেতে পারে।
আজ internet এর ক্ষেত্রে 3G এবং 4G স্পিড এসে যাওয়ার ফলে, লোকেরা তাদের সমস্যার সমাধান ভিডিওর (video) মাধ্যমে সজজে পেয়ে যেতে পারে। তাছাড়া, আগের তুলনায় এখনের সময়ে ইন্টারনেট প্যাক গুলির দাম অনেক কমে গেছে।
তাই, YouTube এ ভিডিওর মাধ্যমে যেকোনো সমস্যার সমাধান পেয়ে যাওয়াটা আজকাল ইন্টারনেটে নতুন প্রচলন হয়ে দাঁড়িয়েছে। এবং এই ক্ষেত্রে, Google থেকে ইনকাম করার আরেকটি নতুন সুযোগ আপনার জন্য তৈরি রয়েছে।
আমরা সবাই জানি যে, YouTube হলো Google কোম্পানির একটি সার্ভিস বা product। এবং, আপনি যদি একজন content creator হিসেবে একটি YouTube channel তৈরি করে, বিভিন্ন বিষয়ে ভিডিও তৈরি করে আপলোড করেন, তাহলে ইউটিউব থেকে আয় করার একটি সুন্দর সুযোগ আপনার কাছে থাকবে।
ইউটিউবে চ্যানেলে ভিডিও আপলোড করে, আজ হাজার হাজার লোকেরা নিজেকে বিখ্যাত করে নেওয়ার সাথে সাথে লক্ষ লক্ষ টাকা আয় করে নিচ্ছেন।তবে, আপনার বানানো video content গুলি লোকেদের প্রচুর ভালো লাগতে হবে। কেবল তখন, আপনি একজন successful YouTuber হিসেবে নিজেকে দেখতে পারবেন।
Steps to earn money from YouTube:
নিচে দেওয়া স্টেপ গুলি ফলো করে, আপনারা ইউটিউবের থেকে অনলাইন টাকা আয় করে নিতে পারবেন।
১. সবচে আগেই আপনার একটি ইউটিউবের চ্যানেল বানাতে হবে।
২. নিজের তৈরি করা চ্যানেলের একটি ভালো নাম রাখতে হবে।
৩. চ্যানেলে একটি logo, channel art এবং channel description ভোরে, কিছু সাধারণ settings করে নিতে হবে।
৪. এখন, নিজের তৈরি করা চ্যানেলে, ভালো ভালো ভিডিও তৈরি করে আপলোড করুন। মনে রাখবেন, প্রত্যেক video আপনার নিজের বানানো হতে হবে।
৫. Upload করা video গুলিতে সঠিন title এবং description অবশই দিতে হবে।
৬. Upload করা video গুলিতে, আকর্ষণীয় thumbnail অবশই ব্যবহার করবেন।
৭. নিজের YouTube ভিডিও গুলিতে SEO র ব্যবহার অবশই করবেন।
৮. ইউটিউবের নতুন নিয়ম কানুন গুলি মেনে ভিডিও আপলোড করুন।
৯. ইউটিউব থেকে আয় করার জন্য সবচে আগেই আপনার চ্যানেলের, ৪০০০ ঘন্টার ভিডিও ওয়াচ টাইম এবং ১০০০ subscriber থাকতেই হবে।
১০. এখন আপনি আপনার YouTube channel-টি Google AdSense এর সাথে connect করতে পারবেন। মানে, Google adsense monetization এর জন্য এপলাই (apply) করতে পারবেন।
১১. এখন, যদি আপনার YouTube channel এ আপলোড করা video গুলি, ইউটিউব এবং google adsense এর নিয়ম কানুন গুলো মেনে আপলোড করা হয়েছে, তাহলে কিছু দিনের মধ্যেই “Adsense” দ্বারা আপনার চ্যানেলটি approve করে দেয়া হবে।
১২. এবং, channel approve হওয়ার পর, আপনার চ্যানেলে আপলোড করা ভিডিও গুলিতে এডসেন্স দ্বারা “বিজ্ঞাপন” (ads) দেখানো হবে।
১৩. এখন আপনি নিজের ভিডিও গুলিতে Google adsense এর মাধ্যমে বিজ্ঞাপন (advertisements) দেখিয়ে টাকা আয় করতে পারবেন।
১৪. মনে রাখবেন, YouTube এবং Google adsense দুটোই কিন্তু Google company র সার্ভিস।
এভাবে আপনারা YouTube এবং Adsense এর মাধ্যমে Google থেকে আয় করতে পারবেন।
৩. গুগল প্লে স্টোর থেকে ইনকাম:
গুগলের আরো একটি product বা service রয়েছে, Google play store নামের। এখানে, প্রত্যেক android smartphone ব্যবহারকারীরা ফ্রীতে আবার অনেক সময় কিছু টাকা দিয়ে এপস গুলো ডাউনলোড করে নিতে পারেন। যেকোনো বিষয়ে এখানে প্রচুর apps গুলো পেয়ে যাবেন।
কিন্তু আপনি কি জানেন, আপনি নিজের একটি android app তৈরি করেও গুগল দ্বারা অর্থ উপার্জন করতে পারবেন? হে, Google play store এ জেকেও নিজের android app জমা দিয়ে তারপর বিজ্ঞাপনের মাধ্যমে টাকা আয় করতে পারবেন।
আসলে, আপনার মোবাইলে থাকা প্রত্যেকটি apps, কিছু সময় পর পর কিন্তু কিছু বিজ্ঞাপন (Ads) অবশই দেখায়। এবং, এই বিজ্ঞাপন গুলি বার বার দেখিয়ে, apps এর developer রা ভালো পরিমানে টাকা গুগল থেকে আয় করে নিচ্ছেন।
তবে, সেটা কিন্তু আপনিও পারবেন। কিভাবে জানেন কি?
যেভাবে যেকোনো website বা YouTube channel থেকে টাকা আয় করার জন্য, সবচে প্রথমে সেগুলি Google AdSense এর সাথে সংযুক্ত (connect) করতে হয়, ঠিক সেভাবেই একটি android app তৈরি করে টাকা আয় করার জন্য, Google admob এর সাথে app টি সংযুক্ত করতে হবে।
Google Admob কিন্তু Google AdSense এর মতোই, একটি online advertising company। Admob কেবল apps গুলিতে বিজ্ঞাপন লাগানোর জন্য ব্যবহার করা হয়। এবং, Google AdSense ব্যবহার করা হয় website, blog এবং YouTube video গুলিতে বিজ্ঞাপন দেখানোর জন্য।
তাই, যেকোনো apps দ্বারা টাকা আয় করার জন্য, গুগল তৈরি করেছে এই admob সার্ভিসটির। আপনি যখন, নিজের apps গুলিতে admob দ্বারা বিজ্ঞাপন লাগিয়ে Google play store-এ ছাড়বেন, তারপর হাজার হাজার লোকেরা আপনার apps গুলি download করবেন।
এবার, এপস download ও install করার পর, যখন apps ব্যবহারকারীর মোবাইলে আপনার app দ্বারা বিজ্ঞাপন (Ads) দেখানো হবে, তখন আপনি টাকা আয় করবেন।
বুঝলেন তো, কিভাবে গুগল প্লে স্টোর এর ব্যবহার করে টাকা ইনকাম করা যায় ? চলুন নিচে স্টেপ বাই স্টেপ জেনেনেই।
গুগল প্লে স্টোর থেকে টাকা আয় কিভাবে করবেন?
নিচে দেওয়া স্টেপ গুলি ফলো করে আপনারা google play store থেকে apps এর মাধ্যমে আয় করতে পারবেন।
সবচে আগেই আপনার ভাবতে হবে, app এর বিষয় নিয়ে। মানে, কোন subject বা topic নিয়ে app তৈরি করবেন, সেটা ঠিক করতে হবে। এখন আপনার তৈরি করতে হবে একটি android application.
App তৈরি করার পর, Google admob এ গিয়ে একটি account তৈরি করুন। Account তৈরি করার পর, নিজের বানানো application এ admob দ্বারা বিজ্ঞাপন (Ads) লাগাতে হবে।
এবার নিজের app টি, গুগল প্লে স্টোরে publish করতে হবে। মনে রাখবেন, যেকোনো app, প্লে স্টোরে publish করার আগে আপনার “Google play console” এ একাউন্ট তৈরি করতে হবে। এবং, Sign up করার জন্য, আপনার $25 টাকা, registration fee হিসেবে গুগলকে দিতে হবে।
এবার, social media marketing, digital marketing বা online advertisement এর দ্বারা প্লে স্টোরে ছাড়া app টির promotion করুন।
মনে রাখবেন, যত বেশি লোকেরা আপনার apps নিজেদের মোবাইলে ইনস্টল করবেন, ততটাই বেশি সম্ভাবনা থাকবে app এর দ্বারা বিজ্ঞাপন দেখানোর। এবং, যত বেশি লোকেরা আপনার বিজ্ঞাপন দেখবেন, ততটাই বেশি ইনকাম আপনার হবে।
তাহলে, এভাবেই আপনারা গুগল প্লে স্টোর থেকে অনলাইন টাকা আয় করতে পারবেন।
৪. Google Opinion Reward:
Google Opinion Reward হলো Google-এর একটি পরিষেবা যেখানে সার্ভে সম্পূর্ণ করার মাধ্যমে আপনি ইনকাম করার সুযোগ পাবেন। মানে, এখানে আপনাকে নিয়মিত নানান কোম্পানি, পণ্য, পরিষেবা ইত্যাদির সাথে জড়িত কিছু paid survey গুলো প্রদান করা হয়।
ব্যাস, আপনাকে কেবল সেই সার্ভে গুলোর মাধ্যমে নিজের মতামত, পরামর্শ এবং অভিজ্ঞতা গুলো গুগলের সাথে শেয়ার করতে হবে।এটা Survey junkie এবং Swagbucks-এর মতো অন্যান্য online paid survey sites গুলোর মতোই কাজ করে থাকে।
প্রত্যেক সার্ভে সম্পূর্ণ করার জন্য আপনাকে কত টাকা দেওয়া হবে, এটা সম্পূর্ণভাবে নির্ভর করবে survey-তে যুক্ত থাকা টোটাল প্রশ্নের সংখ্যার ওপর এবং সার্ভেটি সম্পূর্ণ করতে কত সময় লাগবে সেটার ওপর।
কিভাবে ব্যবহার করবেন ওপিনিয়ন রিওয়ার্ড?
১. Google Play Store-এ গিয়ে Google Opinion Reward App-টি Download করুন।
২. নিজের মোবাইলে app-টি ওপেন করুন এবং Google account দ্বারা login করুন।
৩. দিয়ে দেওয়া সার্ভে গুলোতে ক্লিক করুন এবং সেগুলোকে সম্পূর্ণ করুন।
৪. ইনকাম করা টাকা গুলো বিভিন্ন মাধ্যমে রিডিম করে নিতে পারবেন।
৫. গুগল এডসেন্স থেকে টাকা আয়:
Google AdSense হলো গুগল দ্বারা পরিচালিত একটি প্রোগ্রাম যেটা ব্যবহার করে বিশ্বজুড়ে প্রচুর লোকেরা লক্ষ লক্ষ টাকা ইনকাম করতে পারছেন। সোজা ভাবে বললে, আমার হিসেবে গুগল এডসেন্স হলো গুগল থেকে ইনকাম করার সব থেকে কার্যকর ও সুবিধাজনক একটি উপায়।
Google AdSense ব্যবহার করে নানান content website publishers-রা তাদের ওয়েবসাইটে নানান টার্গেটেড টেক্সট, ভিডিও, ইমেজ এবং ইন্টারেক্টিভ মিডিয়া বিজ্ঞাপন গুলো দেখিয়ে থাকে। বেশিরভাগ ক্ষেত্রেই এই বিজ্ঞাপন গুলো ওয়েবসাইটে প্রবেশ করা ইউসারদের ইন্টারেস্ট গুলোকে টার্গেট করেই দেখানো হয়।
এই প্লাটফর্ম ব্যবহার করার মাধ্যমে জেকেও নিজের ওয়েবসাইট বা ব্লগ গুলোতে বিজ্ঞাপন দেখিয়ে টাকা ইনকাম করার ক্ষেত্রে গুগলের কাছে এপ্লাই করতে পারেন।
Google দ্বারা এপ্রুভাল পাওয়ার পর আপনার ওয়েবসাইট বা ব্লগ গুলোতে গুগল দ্বারা বিজ্ঞাপন দেখানো হবে এবং সেই বিজ্ঞাপন গুলোতে করা প্রতিটি ক্লিক এর জন্য আপনাকে কিছু টাকা দেওয়া হবে।
Google AdSense থেকে টাকা ইনকাম কিভাবে করবেন?
১. সবচেয়ে আগেই আপনাকে নিজের একটি ব্লগ বা ওয়েবসাইট তৈরি করে নিতে হবে। এক্ষেত্রে আপনারা Blogger বা WordPress-এর মতো প্লাটফর্ম গুলি ব্যবহার করতে পারেন।
২. আপনাকে নিজের ব্লগে নিয়মিত ভালো ভালো কোয়ালিটি কনটেন্ট/আর্টিকেল গুলি লিখে পাবলিশ করতে হবে। অবশই, আপনি নিজের পছন্দমতো বিষয় গুলির উপর আর্টিকেল লিখতে পারবেন।
৩. এবার আপনাকে আপনার ব্লগ/ওয়েবসাইট এর মধ্যে প্রচুর ট্রাফিক/ইউজার নিয়ে আসতে হবে। এক্ষেত্রে আপনাকে SEO-এর বিষয়ে ভালো করে শিখতে হবে এবং Google Search Engine এবং Social Media Platform গুলির থেকে ট্রাফিক নিয়ে আসতে হবে।
৪. ব্লগে নিয়মিত ৫০০ থেকে ১০০০ ইউনিক ইউজার আসতে শুরু হলে, আপনাকে একটি গুগল এডসেন্স একাউন্ট তৈরি করে নিতে হবে। এর জন্যে আপনারা সরাসরি, https://www.google.com/adsense লিংকে গিয়ে একটি ফ্রি এডসেন্স একাউন্ট বানিয়ে নিতে পারবেন।
৫. এডসেন্স একাউন্ট তৈরি করার পর, আপনাকে নিজের ব্লগ/ওয়েবসাইটটি তৈরি করা গুগল এডসেন্স একাউন্টের সাথে যুক্ত (connect) করতে হবে। এক্ষেত্রে, এডসেন্স এর তরফ থেকে আপনাকে একটি HTML কোড দিয়ে দেওয়া হবে যেটিকে নিজের ওয়েবসাইটের হেড সেকশনে পেস্ট করে দিতে হয়।
৬. সব শেষে এখন আপনার ব্লগ/ওয়েবসাইটে গুগল এডসেন্সের তরফ থেকে কিছু ডিসপ্লে বিজ্ঞাপন দেখানো হবে। এবার যখনই কোনো ইউসার সেই বিজ্ঞাপন গুলি দেখবেন বা সেগুলিতে ক্লিক করবেন, আপনার গুগল এডসেন্স একাউন্টে কিছু ডলার/টাকা অ্যাড করে দেওয়া হবে।
৬. Google Maps থেকে অর্থ উপার্জন:
আপনারা হয়তো Google Maps-এর ব্যবহার শুধুমাত্র লোকেশন এবং এড্রেস খোঁজার বা শেয়ার করার জন্যই ব্যবহার করছিলেন।
তবে, যদি আপনি অনলাইনে ঘরে বসে গুগল থেকে ইনকাম করার একটি প্রমাণিত উপায়ের বিষয়ে জেনেনিতে চাইছেন, সেক্ষেত্রে এখন Google Maps আপনার কাজে অবশই আসতে পারে।
কিভাবে? নিচে বিস্তারিত জানুন।
আজকের এই আর্টিকেলের মধ্যে আমি আপনাদের এমন উপায়ের বিষয়ে বলবো যেগুলিকে কাজে লাগিয়ে আপনি নিজের ঘরে বসে নিজের মোবাইলের দ্বারা Google Maps থেকে অনলাইনে টাকা ইনকাম করতে পারবেন।
আপনি অনেক সহজে Google Maps থেকে প্রতিদিন ১০০০ থেকে ২০০০ টাকা ইনকাম করে নিতে পারবেন। এছাড়া, গুগল ম্যাপ থেকে ইনকাম করার প্রতিটি উপায় সম্পূর্ণ ফ্রি এবং আপনি চাইলে পার্ট-টাইম হিসেবেও কাজ করতে পারবেন।
Google maps ওপেন করার পর আপনারা সেখানে নানান registered business এবং তাদের সাথে যোগাযোগ করার জন্য এড্রেস এবং কন্টাক্ট নাম্বার পেয়ে থাকেন।
এবার, যদি আপনি একজন ডিজিটাল মার্কেটার বা ডিজিটাল মার্কেটিং সম্পর্কে আপনার ভালো দক্ষতা আছে, কিভাবে গুগল ম্যাপের লিস্টিং গুলি অপ্টিমাইজ করতে হয়, Google Map-এর SEO, রেটিং কিভাবে বাড়াতে হয়, এই সম্পূর্ণ বিষয়গুলি আপনি জানেন, তাহলে গুগল ম্যাপ এর মধ্যে দেখানো নানান ব্যবসার মালিকদের সাথে যোগাযোগ করতে পারেন।
এক্ষেত্রে আপনাকে তাদের ব্যবসার লিস্টিং গুলিকে অপ্টিমাইজ করতে হবে এবং তাদের ব্যবসার রেটিং বাড়াতে হবে। এতে, ব্যবসা গুলি গুগল ম্যাপস এর দ্বারা অধিক গ্রাহক পেয়ে যাবেন এবং আপনিও কিছু টাকা নিজের পরিষেবার বদলে চার্জ করতে পারবেন।
আমার হিসেবে আপনি শুরুতে, Dentists, Accountants, Plumbers, House cleaners, Electricians, Hotels, Suppliers, ইত্যাদি এই ধরণের ব্যবসা গুলির সাথে যোগাযোগ করলে ভালো।
৭. Google AdWords (Ads):
Google AdWords-কে আমরা আবার Google Ads নামেও জেনে থাকি। যদি আপনি অনলাইনে গুগল থেকে আয় করতে চাইছেন, তাহলে এক্ষেত্রে Google Ads একটি অনেক কার্যকর উপায় হিসেবে প্রমাণিত হতে পারে।
আপনার যদি কোনো ব্যবসা থেকে থাকে বা আপনি নিজের অনলাইন ব্যবসার জন্য প্রচুর গ্রাহক/ইউজার পেতে চাইছেন বা আপনি একজন এফিলিয়েট মার্কেটার, প্রত্যেক ক্ষেত্রেই Google Ads আপনাকে অধিক ইনকাম করতে সাহায্য করতে পারে।
নিচে আমি আপনাদের সেরা উপায় গুলি বলে দিয়েছি যেগুলিকে কাজে লাগিয়ে Google Ads থেকে ইনকাম করা যেতে পারে।
১. নিজের কোনো পণ্য বা পরিষেবার প্রচার:
যদি আপনার নিজের কোনো ব্যবসা, পণ্য বা পরিষেবা আছে, তাহলে গুগল এডস এর দ্বারা আপনি অনেক তাড়াতাড়ি অসংখ্য গ্রাহকদের কাছে পৌঁছে যেতে পারবেন।
২. এফিলিয়েট মার্কেটিং করুন:
গুগল এডস এর দ্বারা আপনি নিজের ব্লগ পোস্ট বা ইউটিউব ভিডিও এর মাধ্যমে নানান এফিলিয়েট পণ্য/লিংক গুলিকে প্রচুর লোকেদের কাছে পৌঁছে দিতে পারবেন। এতে আপনার এফিলিয়েট পণ্য গুলি অধিক লোকেরা দেখবেন এবং সেগুলি প্রচুর লোকেরা কিনে নিবেন।
৩. অন্যান্য ব্যবসা গুলির জন্য বিজ্ঞাপন দেখানো:
আজ প্রায় প্রত্যেক ব্যবসা গুলি অনলাইনে তাদের পণ্য এবং পরিষেবা গুলির বিজ্ঞাপন দেখিয়ে তাদের ব্যবসার জন্য অধিক গ্রাহক পেতে চান। তবে বেশিরভাগ ব্যবসায়ীরা Google Ads কিভাবে ব্যবহার করতে হয়, সেটা কিন্তু জানেননা।
এক্ষেত্রে, Google Ads কিভাবে ব্যবহার করতে হয়, যদি আপনি এই বিষয়ে জানেন এবং কিভাবে সঠিক ইউজার টার্গেট করে বিজ্ঞাপন দেখাতে হয়, সেই বিষয়ে আপনার জ্ঞান আছে, তাহলে আপনি নানান লোকাল ব্যবসায়ীদের থেকে টাকা নিয়ে তাদের ব্যবসা গুলির অনলাইন প্রচার করতে পারবেন।
৮. Google Pay:
Google Pay-কে আমরা শুধুমাত্র একটি ডিজিটাল পেমেন্ট অ্যাপ হিসেবেই চিনি। তবে আপনি কি জানেন যে, এখন চাইলে Google Pay থেকেও কিছু এক্সট্রা টাকা ইনকাম করে নেওয়া সম্ভব। কিছুটা স্মার্টওয়ার্ক এবং পরিশ্রম করলেই এখান থেকে ইনকাম সম্ভব। তবে এর জন্যে আপনার কাছে একটি গুগল পে একাউন্ট অবশই থাকতে হবে।
- Referrals: গুগল পে, রেফার করে টাকা ইনকাম করার একটি অনেক দারুন অ্যাপ। মানে, আপনি নিজের বন্ধু-বান্ধব বা যেকোনো ব্যক্তিকে Google Pay App-টি রেফার করে প্রতি রেফারে প্রায় ১০০ থেকে ১৫০ টাকা আয় করতে পারবেন।
- Cashback Offers: গুগল পে থেকে টাকা আয় করার আরেকটি দারুন উপায় হলো Cashback Offers। মানে, এই অ্যাপ থেকে শপিং এবং পেমেন্ট করলে আপনাকে ক্যাশব্যাক এবং নানান ব্র্যান্ড এর তরফ থেকে অফার গুলি দিয়ে দেওয়া হয়।
- Scratch Cards: প্রায় প্রত্যেক Google Pay User-রা এই scratch cards-এর বিষয়ে অবশই জানেন। আসলে, গুগল পে থেকে টাকার লেন-দেন করার পর, অনেক সময় এই scratch cards গুলি আমাদের দিয়ে দেওয়া হয় যেগুলিকে স্ক্রেচ করলে ছোট ছোট অংকের টাকা উপহার হিসেবে আমাদের দিয়ে দেওয়া হয়।
FAQ’s On How To Earn Money From Google:
গুগল থেকে আয় করার সব থেকে সেরা ও কার্যকর উপায় গুলো হলো, AdSense বিজ্ঞাপন, YouTube channel এবং Google Play Store। এগুলো ছাড়াও, এক্ষেত্রে Google AdMob, প্লে স্টোর এবং ওপিনিয়ন রিওয়ার্ড এর মতো প্লাটফর্ম এবং অ্যাপ গুলোকে কাজে লাগানো যেতে পারে।
এটা সম্পূর্ণ ভাবে নির্ভর ২টি বিষয়ের ওপর নির্ভর করছে। আপনি কোন উপায়টি ব্যবহার করছেন এবং নিজের কাজে কতটা সময় দিচ্ছেন। যদি আপনি YouTube বা blogging নিয়ে কাজ করছেন, তাহলে, সঠিক ভাবে কাজ করলে ১ থেকে ১.৫ বছরের মধ্যে কিছুটা ইনকাম দেখতে পাবেন।
এটা সম্পূর্ণ ভাবে আপনার কাজের পরিমান এবং কোন কাজটি করছেন সেটার ওপর নির্ভর করছে। তবে, এমন হাজার হাজার bloggers, app developers এবং YouTubers-রা রয়েছেন যারা ঘরে বসে গুগল থেকে প্রতিমাসে কমেও ২০ হাজার থেকে ১ লক্ষ টাকা পর্যন্ত ইনকাম করছেন।
গুগল এডসেন্স হলো গুগলের একটি অনলাইন এডভার্টাইসমেন্ট প্লাটফর্ম যেটিকে কাজে লাগিয়ে অনলাইন কনটেন্ট ক্রিয়েটররা তাদের ব্লগ, ওয়েবসাইট এবং ভিডিও গুলোতে বিজ্ঞাপন দেখিয়ে অর্থ উপার্জনের সুযোগ পেয়ে থাকেন।
অবশই, নিয়ম মেনে সঠিক ভাবে কাজ করতে পারলে গুগল আপনাকে সত্যি টাকা দিবে। কেননা, আমি নিজেই গত ৬ বছর ধরে নিয়মিত ব্লগিং করছি এবং গুগল এডসেন্স থেকে প্রতি মাসে ৫০০ থেকে ৭০০ ডলার ইনকাম করে নিচ্ছি।
আমাদের শেষ কথা,
তাহলে বন্ধুরা, এই আর্টিকেলে আমি আপনাদের ৮ টি এমন উপায় বললাম, যেগুলি ব্যবহার করে আপনিও গুগল থেকে আয় করার সুযোগ পেতে পারবেন। Google থেকে ইনকাম করার জন্য সবচেয়ে আগেই আপনাকে এটা অবশই স্পষ্ট করতে হবে যে আপনি লং-টার্ম ইনকাম করতে চাইছেন নাকি শুধুমাত্র কিছু দিনের জন্য কিছুটা সামান্য টাকা।
কেননা, ব্লগার, গুগল এডসেন্স এবং প্লে স্টোরের মতো গুগলের একাধিক কার্যকর প্লাটফর্ম গুলো অবশই রয়েছে যেগুলোকে ঘরে বসে অনলাইনে আনলিমিটেড অর্থ উপার্জনের হাতিয়ার হিসেবে কাজে লাগানো যেতে পারে।
তবে এই উপায় গুলোর ক্ষেত্রে রাতারাতি ধনী হওয়ার স্বপ্ন দেখলে কিন্তু চলবেনা। সময় দিয়ে পরিশ্রম করে সঠিক ভাবে এগিয়ে যেতে পারলে, গুগলের এই প্লাটফর্ম গুলো আপনাকে প্রচুর অর্থ এবং সামর্থ আয় করে দিতে সক্ষম।
আমি আশা করছি, আজকের এই আর্টিকেলটি আপনাদের অনেক পছন্দ হয়েছে, এবং আপনারা নতুন কিছু শিখতে পেরেছেন। তাছাড়া, আর্টিকেল নিয়ে যদি আপনাদের মনে কোনো প্রশ্ন থাকে, তাহলে নিচে কমেন্টের মাধ্যমে অবশই জিগেশ করতে পারবেন।
Very fine, thanks for good advise.
খুবই চমথকার গাইড, আমি এই ব্লগের ফেন হয়ে গেলাম আর এখন এই ব্লগটি বুকমার্ক করে লাখলাম।
ধন্যবাদ এতো সুন্দর ইনফরমেশনস দেওয়ার জন্য।
ধন্যবাদ।
সুন্দর একটি প্রবন্ধ, শেয়ার করার জন্য ধন্যবাদ
Hello,
প্রথমেই বলতে চাই আপনার banglatech.info এই ব্লগটি অনেক হেল্প ফুল,
আমার একটি বিষয় জানার ছিল বিষয়টি হলো আমি আপনার banglatech.info এই ব্লগের প্রাইভেসি পলিসি এবং ডিসক্লেইমার পেজ গুলি আপনি ইংরেজি ভাষায় লিখেছেন,
আমি একটি নতুন বাংলা ব্লগ তৈরি করেছি কিন্তু আমি এখনো কাস্টমাইজ করিতেছি এবং তিনটি পোস্ট করেছি কিন্তু আমি জানতে চাচ্ছি ইংরেজি ভাষা অথবা বাংলা ভাষায় কোন ভাষায় প্রাইভেসি পলিসি এবং ডিসক্লেইমার লিখলে ভালো হয়।???
দয়া করে জানাবেন…
দেখুন, privacy policy এবং declaimer page তৈরি করা হয়, google adsense এবং ব্লগে আশা ভিসিটর্স দেড় জন্য। তাই, আমার হিসেবে English এ লিখলে বেশি ভালো হয়। তবে, বাংলাতে লিখলেও কোনো সমস্যা হবেনা। সেটা সম্পূর্ণ আপনার নিজের পছন্দর ওপরে।
অনেক ভাল লাগল আপনার লেখা পড়ে। গুগল সাইটম্যাপ থেকে আয় করার নিয়ম সমন্ধে একটু যদি বলতেন।