অনলাইনে ডাটা এন্ট্রি করে কিভাবে ইনকাম করবেন? কাজ কোথায় পাবেন? কিভাবে শুরু করবেন? – (২০২৫)

ইন্টারনেটের ব্যবহার যেই গতিতে বাড়ছে ঠিক সেভাবেই অনলাইন ইনকামের নানান নতুন নতুন উপায় এবং রাস্তাগুলিও কিন্তু তৈরি হয়েই চলেছে। বর্তমান সময়ে ঘরে বসে অনলাইন মাধ্যমে অর্থ উপার্জনের প্রচুর উপায়গুলো রয়েছে। উপলব্ধ এই উপায় গুলোর মধ্যে একটি হলো, অনলাইন ডাটা এন্ট্রি জব গুলো। এই জবে কি করতে হবে? আসলে এখানে আপনাকে অনলাইনে ডাটা এন্ট্রি করে আয় করার সুযোগ দেওয়া হয়। Data Entry Job গুলো অনেক সিম্পল এবং সোজা হয়ে থাকে। এই কাজ আপনি নিজের ল্যাপটপ বা স্মার্টফোনের দ্বারা ঘরে বসেই করে নিতে পারবেন।

ডাটা এন্ট্রি করে ইনকাম
How To Earn Money Doing Online Data Entry Jobs?

অনলাইন ডাটা এন্ট্রি কাজ গুলো বিশেষভাবে তাদের জন্য লাভজনক যারা নিজের খালি সময়ে অনলাইনে কাজ করে কিছু অতিরিক্ত অর্থ উপার্জন করে নিতে চান। স্টুডেন্ট, মহিলা বা জেকেও যারা ঘরে বসে ইনকাম করতে চান, তারা ডাটা এন্ট্রি করে অর্থ উপার্জন করতে পারবেন। এখন আপনি হয়তো ভাবছেন যে, কিভাবে আপনিও অনলাইনে উপলব্ধ ডাটা এন্ট্রির কাজ গুলো করতে পারবেন? তাই তো?

চিন্তা করতে হবেনা। আজকের এই আর্টিকেলের মধ্যে ডাটা এন্ট্রি কি?, ডাটা এন্ট্রির কাজ করে ইনকাম কিভাবে করবেন?, ডাটা এন্ট্রি কাজের লাভ ও সুবিধা গুলো কি?, ডাটা এন্ট্রি কাজের প্রকার, কিভাবে পাবেন ডাটা এন্ট্রি জবস, এই কাজের জন্য কোন কোন দক্ষতার প্রয়োজন এবং সেরা কয়েকটি ডাটা এন্ট্রি কাজের ওয়েবসাইট গুলো কি কি? এই সমস্ত বিষয়েই আমরা আলোচনা করবো।

আজকে আমরা কি কি জানবো?

  • ডাটা এন্ট্রির কি?
  • কি কি ধরণের ডাটা এন্ট্রি কাজ করা যায়? কাজের প্রকার
  • কোথায় পাবেন ডেটা এন্ট্রি জবস গুলো?
  • ডেটা এন্ট্রির কাজ করার জন্য কি কি দক্ষতা থাকা দরকার?
  • Data Entry করে ইনকাম কিভাবে করবেন?
  • Data Entry Jobs এর সুবিধা ও লাভ গুলো কি?
  • সেরা কয়েকটি ডাটা এন্ট্রি কাজের ওয়েবসাইট গুলো কি?
আর্টিকেল সূচি: show

ডাটা এন্ট্রির কি (What Is Data Entry)?

how to get Data entry operator jobs online

অনলাইন ডাটা এন্ট্রি জব বা ডাটা এন্ট্রি সেই প্রক্রিয়াকে বলা হয়ে থাকে যেখানে একটি কম্পিউটার সিস্টেম বা ডাটাবেসে নানান ধরণের তথ্য গুলোকে ইনপুট বা এন্ট্রি করা হয়। এবার এই তথ্য গুলো আবার আলাদা আলাদা উৎসের থেকে সংগ্রহ করা যেতে পারে। যেমন ধরুন, কোনো কাগজের ডকুমেন্ট, অডিও রেকর্ডিং ফাইল, ভিডিও রেকর্ডিং বা অন্যান্য ডকুমেন্ট ইত্যাদি। যখন আপনাকে ডাটা এন্ট্রি করতে বলা হবে তখন আপনাকে মূলত টেক্সট, সংখ্যা, কোড, বা যেকোনো অন্য তথ্যগুলো টাইপ করে হয়।

Data entry job-এর কিছু উদাহরণ:

  • গ্রাহকদের ডাটাবেসে গ্রাহক রিলেটেড তথ্য ইনপুট করা।
  • অনলাইন ফর্মে জরুরি তথ্য গুলো ইনপুট করা।
  • অডিও বা ভিডিও ফাইল থেকে তথ্য টাইপ করা।
  • কোম্পানির সফটওয়্যারে প্রতিদিনের বিক্রি, বাকি, এবং গ্রাহকের তথ্য টাইপ করা।

ডাটা এন্ট্রি কাজের বিভিন্ন প্রকার গুলো কি কি?

Types of data entry jobs

অনলাইনে ডাটা এন্ট্রি করে আয় করার ক্ষেত্রে আপনারা নানান ধরণের কাজ গুলো করতে পারেন। সোজা ভাবে বলতে, ডাটা এন্ট্রির কাজের প্রকার অনেক রয়েছে। তবে মনে রাখা দরকার যে, আলাদা আলাদা প্রকারের ডাটা এন্ট্রি জবস গুলোর জন্য আলাদা আলাদা ধরণের কৌশল এবং অভিজ্ঞতার রয়োজন। নিচে আমি কিছু সেরা এবং জনপ্রিয় ডাটা এন্ট্রি ওয়ার্ক এর প্রকার গুলো বলে দিয়েছি।

১. অনলাইন সার্ভে জব:

এমন প্রচুর ওয়েবসাইট বা অনলাইন প্লাটফর্ম পেয়ে যাবেন যেখানে সার্ভের উত্তর দিয়ে টাকা ইনকাম করা যেতে পারে। এটাও কিন্তু এক ধরণের ডাটা এন্ট্রি রিলেটেড কাজ। আসলে এমন প্রচুর কোম্পানি গুলো আছে যারা নিজের ব্র্যান্ড এবং পণ্যের সাথে রিলেটেড ফিডব্যাক পেতে এবং সেগুলোর চাহিদা বুঝতে এই সার্ভে গুলোর আয়োজন করে থাকেন।

এক্ষেত্রে একজন ডাটা এন্ট্রি অপারেটর হিসেবে আপনাকে এই সার্ভে গুলোতে অংশগ্রহণ করতে হবে এবং নিজের উত্তর ও মতামত গুলো টাইপ করে জমা দিতে হবে। ySense, Inboxdollar, Freecash, bananabucks, এই ধরণের ওয়েবসাইটে সার্ভের উত্তর টাইপ করে ইনকাম করা যেতে পারে।

২. Captcha এন্ট্রি জব:

অনলাইনে ক্যাপচা পূরণ করে ইনকাম করার নানান ওয়েবসাইট গুলো আপনি পেয়ে যাবেন। এক্ষেত্রে captcha image গুলোতে দেখানো সংখ্যা, শব্দ বা অক্ষর গুলোকে সঠিক ভাবে দেখে নিয়ে টাইপ করতে হবে। এক্ষেত্রে, 2Captcha, Kolotibablo, MegaTypers, ProTypers, QlinkGroup, CaptchaClub, FastTypers, এই ধরণের প্লাটফর্ম গুলোতে আপনি কাজ পেতে ও করতে পারবেন।

৩. কপি পেস্ট জব:

এই ধরণের ডাটা এন্ট্রির কাজে মূলত একটি ডকুমেন্ট থেকে নানান ধরণের তথ্য বা ডাটা গুলোকে কপি করে আরেকটি ডকুমেন্ট বা ফাইলে পেস্ট করতে হয়। উদাহরণস্বরূপ, একটি এক্সেল ফাইল থেকে আরেকটি এক্সেল ফাইলে ডাটা কপি করা ইত্যাদি।

৪. ডেটা এনোটেশন:

এই ডাটা এন্ট্রির কাজে, আগের থেকে উপলব্ধ বা তৈরি করা ডেটা গুলোতে অতিরিক্ত কিছু তথ্য যুক্ত করতে বলা হয়ে থাকে। যেমন ধরুন, ইমেজ গুলোকে লেভেল করা বা জরুরি টেক্সট গুলোকে হাইলাইট করা।

৫. ডেটা ক্যাপচার:

ডেটা ক্যাপচার এর কাজে আপনাকে নানান উৎসগুলির থেকে ডাটা সংগ্রহ করে সেগুলোকে ডিজিটাল ফরম্যাটে বা ডিজিটালি টাইপ করে রাখতে হয়। এই কাজের মধ্যে, ডকুমেন্ট গুলোকে স্ক্যান করা, অডিও রেকর্ডিং গুলো ট্রান্সক্রাইব করা, বা অনলাইন ডাটাবেস গুলোর থেকে তথ্য সংগ্রহ করার মতো কাজ গুলো জড়িত।

৬. কনটেন্ট এন্ট্রি জব:

কনটেন্ট ডেটা এন্ট্রি জব গুলোতে মূলত, নানান ওয়েবসাইট, ব্লগ বা অনলাইন নিউজ প্লাটফর্ম গুলোর জন্য টেক্সট কনটেন্ট লেখা এবং সেগুলোকে পাবলিশ করার কাজ গুলো করতে হয়। এই কাজের মধ্যে আপনাকে মূলত, সোশ্যাল মিডিয়া পোস্ট তৈরি করা, পণ্যের বিবরণ তৈরি করা, নানান বিষয়ে প্রবন্ধ লেখা, ইত্যাদি জড়িত।

৭. ইমেইল প্রসেসিং জব:

ইমেইল প্রসেসিং এর কাজে আপনাকে মূলত ইমেইল গুলো পড়া, সেগুলোর সঠিক উত্তর বা রিপ্লাই দেওয়া এবং সেগুলোকে সঠিক ব্যক্তিদের কাছে ফরওয়ার্ড করার মতো কাজ জড়িত। এই ধরণের ইমেইল প্রসেসিং জব গুলো, মূলত বড় বড় কোম্পানিগুলো তাদের গ্রাহকদের প্রশ্নের যথাযত উত্তর দেওয়ার উদ্দেশ্যে করিয়ে থাকেন।

৮. ডেটাবেস রিপোর্ট আপডেট:

এই কাজে একজন ডেটা এন্ট্রি অপারেটর আগের থেকে তৈরি নানান ডেটাবেস গুলোতে নতুন নতুন তথ্যগুলো যুক্ত করার থেকে শুরু করে পুরোনো তথ্য গুলোকে আপডেট করার মতো কাজ গুলো করতে হয়।

৯. পেরোল ডেটা এন্ট্রি অপারেটর:

একজন পেরোল ডেটা এন্ট্রি অপারেটর হিসেবে আপনাকে কোম্পানির কর্মচারীদের বেতন, মাসে কদিন ছুটি নিয়েছেন, মাইনে থেকে কত টাকা কাটা যাবে এবং পেরোল রিলেটেড অন্যান্য তথ্য গুলোকে পেরোল সিস্টেমে এন্ট্রি করতে হয়।

এগুলো ছাড়াও একজন ডাটা এন্ট্রি অপারেটর হিসেবে আপনি নানান ধরণের ডাটা এন্ট্রি জব গুলো করতে পারবেন। উপরে আমি শুধুমাত্র কয়েকটি ডাটা এন্ট্রি কাজের প্রকার গুলো আপনাদের সামনে তুলে ধরেছি।

রিলেটেড: মেয়েদের জন্য ঘরে বসে করার মতো কিছু অনলাইন জব

কোথায় পাবেন অনলাইন ডাটা এন্ট্রির কাজ গুলো?

Kothay paben data entry job

ডাটা এন্ট্রি কাজের ওয়েবসাইট গুলোর বিষয়ে শুনেছেন কি? আসলে অনলাইনে ডাটা এন্ট্রি করে আয় করতে হলে আপনি অনলাইনে উপলব্ধ নানান প্লাটফর্ম গুলোকে কাজে লাগাতে পারেন। আপনি আপনার সুবিধা এবং পছন্দমতো একটি বা একাধিক প্লাটফর্ম গুলোতে কাজ খুঁজতে পারেন। চলুন, নিচে আমরা সেরা কয়েকটি প্লাটফর্ম এর বিষয়ে জেনেনেই।

১. Freelancing প্লাটফর্ম:

অনলাইনে উপলব্ধ নানান freelancing platform গুলোতে আপনি Data Entry রিলেটেড Jobs গুলো খুঁজতে পারবেন। এক্ষেত্রে Upwork, Fiverr, Freelancer, এবং Guru, এর মতো ফ্রিল্যান্সিং ওয়েবসাইট গুলোকে আপনি কাজে লাগাতে পারেন। আপনাকে এই ফ্রিল্যান্সিং ওয়েবসাইট গুলোতে গিয়ে নিজের একটি ফ্রি একাউন্ট তৈরি করে নিতে হবে। ব্যাস, এবার উপলব্ধ ডাটা এন্ট্রি প্রজেক্ট গুলো খুজুন এবং সেগুলো করার জন্য এপ্লাই করুন।

২. Online Job পোর্টাল:

Bdjobs.com, ejobs.com.bd, Careerjet.com.bd, Naukri.com, Apna.co, ইত্যাদি এই ধরণের অনলাইন জব পোর্টাল গুলোতে আপনি আপনার দক্ষতা, অভিজ্ঞতা এবং যোগ্যতার ভিক্তিতে নানান ডাটা এন্ট্রি রিলেটেড জব গুলো পেয়ে যাবেন।

ওয়েবসাইটে উপলব্ধ search bar-এর মধ্যে data entry job লিখে সার্চ দিলেই উপলব্ধ জব গুলো আপনাকে দেখিয়ে দেওয়া হবে। এছাড়া এই জব পোর্টাল গুলোতে আপনি আপনার Resume আপলোড করে উপলব্ধ নানান কোম্পানি গুলোর সাথে সরাসরি যোগাযোগ করতে পারেন।

৩. সোশ্যাল মিডিয়া সাইট:

সোশ্যাল মিডিয়া ওয়েবসাইট গুলো শুধুমাত্র শর্ট ভিডিও দেখে সময় নষ্ট করার মাধ্যম একেবারেই নয়। কেননা আপনি চাইলে নানান সোশ্যাল মিডিয়া সাইট গুলোকে কাজে লাগিয়ে নিজের একটি শক্তিশালী অনলাইন নেটওয়ার্ক তৈরি করতে পারবেন।

Facebook এবং Twitter-এর মতো প্লাটফর্ম গুলো জব (jobs) রিলেটেড নানান পেজ/গ্রুপ পাবেন। এই গ্রুপ/পেজ গুলোর সাথে যুক্ত হয়ে আপনি ডাটা এন্ট্রি থেকে শুরু করে প্রচুর পার্ট-টাইম বা ফুল-টাইম অনলাইন জব গুলো খুঁজে পেতে পারবেন।

এছাড়া LinkedIn হলো এমন একটি সোশ্যাল মিডিয়া প্লাটফর্ম যেখানে মূলত অনলাইন/অফলাইন জব, ক্যারিয়ার, স্কিল, এবং জব ভ্যাকেন্সি নিয়ে আলোচনা ও পোস্ট করা হয়। অনলাইন মাধ্যমে ভারত এবং বাংলাদেশে উপলব্ধ ডাটা এন্ট্রি জব গুলো খুঁজতে এই ওয়েবসাইট আপনার প্রচুর সাহায্য করবে।

৪. অনলাইনে উপলব্ধ কোম্পানি ওয়েবসাইট:

এমন প্রচুর কোম্পানি আছে যেগুলো সরাসরি তাদের অনলাইন পোর্টাল বা ওয়েবসাইটের মাধ্যমে উপলব্ধ ডাটা এন্ট্রি চাকরি গুলোর বিষয়ে বলে থাকেন। এক্ষেত্রে আপনি সরাসরি ওয়েবসাইটে বলে দেওয়া ধাপ বা প্রক্রিয়াগুলি অনুসরণ করার মাধ্যমে উপলব্ধ চাকরির জন্য এপ্লাই করতে পারবেন। তবে মনে রাখবেন, ডাটা এন্ট্রি চাকরি দেওয়ার নামে যদি আপনার থেকে কোনো ভাবে কোনো টাকা চাওয়া হয় বা টাকা আদায় করার চেষ্টা করা হয়, তাহলে সাথে সাথে সেই ওয়েবসাইট থেকে বেরিয়ে যাবেন।

৫. চেনা পরিচিত লোকেদের বলুন:

চেনা পরিচিত লোকেদের সাথে কথা বলে দেখতে পারেন। কোম্পানিতে কাজ করা নানান চেনা পরিচিত বন্ধুবান্ধবদের জিগ্যেশ করে দেখুন। অনেক সময় কোম্পানিগুলো ডাটা এন্ট্রি রিলেটেড নানান পার্ট-টাইম জব গুলো অফার করে থাকেন। আর এই ধরণের পার্ট-টাইম জব গুলোর কথা বেশিরভাগ ক্ষেত্রে আপনাকে আপনার বন্ধুবান্ধব এবং চেনা পরিচিত লোকেরাই বলে থাকেন।

ডাটা এন্ট্রির চাকরি পেতে কি কি দক্ষতার প্রয়োজন হবে?

কি কি দক্ষতার প্রয়োজন হবে

ডাটা এন্ট্রি করে ইনকাম করাটা শুনতে অনেকটা সোজা বলে মনে হলেও এই কাজ করতে হলে জরুরি কিছু দক্ষতার প্রয়োজন অবশই আছে। একজন সফল ডাটা এন্ট্রি অপারেটর হতে হলে আপনাকে নিচে বলে দেওয়া এই দক্ষতা এবং কৌশল গুলো আপনার মধ্যে অবশই থাকতে হবে।

১. টাইপিং স্পিড:

ডেটা এন্ট্রির কাজ করে ইনকাম করতে হলে আপনাকে সবচেয়ে আগে নিজের টাইপিং স্পিড উন্নত ও ফাস্ট করতে হবে। কেননা এই কাজে আপনাকে অনেক ফাস্ট টাইপ করতে হয়।

আসলে আপনি যতটা তাড়াতাড়ি টাইপ করতে পারবেন, ততটাই অধিক প্রজেক্ট এবং কাজ গুলো সম্পূর্ণ করে অধিক টাকা আয় করে নিতে পারবেন। আপনি চাইলে, typing.com এর মতো অনলাইনে উপলব্ধ ফ্রি typing speed improvement tools গুলোকে কাজে লাগিয়েও নিজের টাইপিং দ্রুততা বাড়িয়ে নিতে পারবেন।

২. টাইপিং সটিকতা:

শুধু ফাস্ট টাইপ করলেই যে একজন সফল ডাটা এন্ট্রি অপারেটর হতে পারবেননা। আসলে ফাস্ট টাইপ করার পাশাপাশি আপনাকে সঠিক ভাবে ও নির্ভুলভাবে ডাটা গুলোকে টাইপ করতে হবে। চিন্তা করতে হবেনা, নিয়মিত প্রাকটিস করলেই আপনি ফাস্ট এবং নির্ভুলভাবে টাইপিং করতে পারবেন। ডাটা এন্ট্রির কাজে এই কৌশলটি থাকা খুব গুরুত্বপূর্ণ একটি বিষয়।

৩. কম্পিউটারের বেসিক জ্ঞান:

ডাটা এন্ট্রি জব গুলো করতে যে বেসিক কম্পিউটার এর জ্ঞান থাকতে হবে, এই বিষয়ে আলাদা ভাবে কলার কিছুই নেই। আসলে যেকোনো ধরণের ডাটা এন্ট্রি ওয়ার্ক করতে আপনাকে ব্যবহার করতে হবে নানা পিসি সফটওয়্যার গুলো। যেমন, মাইক্রোসফট এক্সেল, ওয়ার্ড, টেক্সট এডিটর ইত্যাদি। এই ধরণের পিসি সফটওয়্যার গুলোতে কাজ করতে কম্পিউটার চালাতে এবং কম্পিউটার রিলেটেড বেসিক জ্ঞান থাকা দরকার।

এগুলো ছাড়াও, বিভিন্ন ডাটা এন্ট্রি রিলেটেড কাজে রিসার্চ এবং নেটওয়ার্কিং রিলেটেড কাজ গুলো করতে ইন্টারনেট রিলেটেড সামান্য জ্ঞানও থাকা দরকার।

৪. সময় ব্যবস্থাপনা:

Data entry job গুলো দুভাবে করা যেতে পারে, পার্ট-টাইম এবং ফুল-টাইম। তবে পার্ট-টাইম হোক বা ফুল-টাইম, এই কাজ থেকে অধিক টাকা ইনকাম করতে হলে সময় ব্যবস্থাপনার কৌশল অবশই থাকতে হবে। চাকরি বা পড়াশোনার পাশাপাশি নিজের ফ্রি টাইমে এই কাজ করেও অধিক ইনকাম করা যেতে পারে। এক্ষেত্রে আপনি অন্যান্য জরুরি কাজ গুলো করার বাইরেও কিভাবে ডাটা এন্ট্রি জবস গুলোর জন্য সময় বের করবেন সেটা আপনাকেই বুঝতে হবে।

এছাড়া, বেশিরভাগ ডাটা এন্ট্রির কাজ গুলোতেই প্রতিটি প্রজেক্ট সম্পূর্ণ করার জন্য কিছু নির্দিষ্ট সময়সীমা ধরে দেওয়া হয়। দিয়ে দেওয়া সেই সময়সীমার মধ্যেই আপনাকে কাজ গুলো সম্পূর্ণ করে জমা করতে হবে। তাই, Data Entry Jobs গুলো করতে হলে সময় ব্যবস্থাপনা করতে জানতেই হবে।

অনলাইনে ডাটা এন্ট্রির কাজ/জব করে ইনকাম কিভাবে করবেন? (How to Earn Money from Data Entry Jobs)

অনলাইনে ডাটা এন্ট্রি করে আয়

ডাটা এন্ট্রি করে অনলাইনে আয় করতে হলে আপনাকে ধাপে ধাপে এগিয়ে যেতে হবে। মানে আপনাকে সঠিক প্রক্রিয়া এবং নিয়ম গুলোকে ফলো করে কাজ শুরু করতে হবে। চিন্তা করতে হবেনা, নিচে আমি কাজ শুরু করার থেকে টাকা ইনকাম করা পর্যন্ত প্রতিটি ধাপের বিষয়ে একে একে বুঝিয়ে বলেছি।

প্রয়োজনীয় দক্ষতা গুলো ডেভেলপ করুন:

সবচেয়ে আগেই আপনাকে যেই বিষয়টি শিখতে হবে সেটা হলো, দ্রুত টাইপিং করা এবং নির্ভুলভাবে টাইপ করা। এছাড়া, word processing এবং spreadsheets-এর মতো basic computer software গুলো কিভাবে কাজ করে এবং এই প্রোগ্রাম গুলোতে কিভাবে কাজ করবেন সেটা বুঝুন।

প্রফেশনাল প্রোফাইল তৈরি করুন:

ডাটা এন্ট্রি জব গুলোর জন্য প্রয়োজনীয় দক্ষতা এবং কৌশল গুলো একবার জানা হয়ে গেলে, এবার আপনি Upwork, Fiverr, এবং Freelancer-এর মতো online platform গুলোতে নিজের একটি ফ্রি প্রোফাইল তৈরি করতে হবে। শুধুমাত্র freelancing platform গুলোতে প্রোফাইল তৈরি করলে কাজ হবেনা।

Indeed, LinkedIn, Bdjobs.com, ejobs.com.bd, Careerjet.com.bd, Naukri.com, ইত্যাদির মতো অনলাইন জব বোর্ড গুলোতেও একাউন্ট/প্রোফাইল তৈরি করতে হবে। এতে অনলাইনে একাধিক মাধ্যমে ডাটা এন্ট্রি রিলেটেড কাজ গুলো পাওয়া যাবে। মনে রাখবেন, প্রোফাইল তৈরি করার সময় নিজের দক্ষতাগুলো এবং কাজের সাথে রিলেটেড অভিজ্ঞতাগুলো দিতে ভুলবেননা।

ডাটা এন্ট্রি চাকরি গুলো খুঁজুন:

কাজের সাথে রিলেটেড দক্ষতা এবং অভিজ্ঞতা গুলো নিজের মধ্যে ডেভেলপ করার পর এবং নানান freelancing marketplace এবং job board website গুলোতে profile তৈরি করার পর, এবার আপনাকে এই অনলাইন প্লাটফর্ম গুলোতে সরাসরি data entry jobs গুলো খুঁজতে ও কাজের জন্য এপ্লাই করতে হবে। আপনি চাইলে অনলাইনে উপলব্ধ নানান কোম্পানি ওয়েবসাইট গুলোতে গিয়েও সরাসরি ডাটা এন্ট্রি চাকরি গুলো খুঁজতে পারবেন।

সহজ কাজ দিয়ে শুরু করুন:

যদি আপনি ডাটা এন্ট্রির কাজে একেবারে নতুন তাহলে শুরুতে একেবারে সোজা এবং ছোট ছোট কাজ গুলো করুন। ডাটা কপি পেস্ট করা, দেখে দেখে ডাটা এন্ট্রি করা, এক্সেল রিলেটেড কাজ গুলো করুন। এতে নির্ভুলভাবে কাজ গুলো করা যাবে এবং ধীরে ধীরে কাজের অভিজ্ঞতা অর্জন করার পাশাপাশি নিজের একটি পজিটিভ ছবি তৈরি করা যাবে।

সঠিক ভাবে এবং সময়মতো কাজ করুন:

Clients বা employers-দের দিয়ে দেওয়া নির্দেশ মতো সঠিক ভাবে এবং সময়মতো কাজ গুলো করে জমা দিতে হবে। মনে রাখবেন, আপনার দ্বারা এন্ট্রি করা প্রতিটি ডাটা যাতে একেবারে সঠিক এবং নির্ভুল হয়ে থাকে। এভাবে সময়মতো সঠিকভাবে কাজ করতে পারলে ভবিষ্যতে high paying data entry jobs গুলো সহজেই পেয়ে যাবেন আপনি।

নিজের পোর্টফোলিও তৈরি করুন:

আপনি যেই ক্লায়েন্টদের জন্য কাজ করেছেন, কোন কোন ডাটা এন্ট্রি প্রজেক্ট গুলো সম্পূর্ণ করেছেন, সেগুলো নিয়ে একটি পোর্টফোলিও তৈরি করে রাখতে পারেন। এতে, ভবিষ্যতে যেকোনো কাজ বা প্রজেক্ট এর জন্য এপ্লাই করার সময় আপনার পোর্টফোলিও দেখেই কাজটি আপনাকে সহজেই দিয়ে দেওয়া হতে পারে। পাশাপাশি, কাজের পোর্টফোলিও থাকলে আপনি হাই পেয়িং ডাটা এন্ট্রির প্রজেক্ট গুলোর জন্য এপ্লাই করতে পারবেন।

ডাটা এন্ট্রি কাজের লাভ ও সুবিধাগুলো কি কি? (Advantages of Data Entry Jobs):

Online data entry work গুলোর সুবিধা এবং লাভ আমার হিসেবে অনেক আছে। আর এদের মধ্যে কিছু লাভ ও সুবিধা গুলোর বিষয়ে নিচে একে একে বলে দেওয়া হলো।

১. নমনীয়তা: এই কাজ আপনি আপনার ফ্রি টাইমে যেকোনো জায়গাতে বসে করতে পারবেন। আপনি নিজের পড়াশোনা বা দপ্তরের কাজ শেষ করে আরামে নিজের ঘরে বসে ডাটা এন্ট্রি করে ইনকাম করতে পারবেন।

২. মিনিমাম যোগ্যতা: ডাটা এন্ট্রি রিলেটেড কাজ গুলো করতে তেমন কোনো নির্দিষ্ট ডিগ্রি বা প্রশিক্ষনের প্রয়োজন নেই। শুধুমাত্র বেসিক কম্পিউটার এবং টাইপিং এর জ্ঞান থাকলেই যথেষ্ট।

৩. অতিরিক্ত আয়ের উৎস: অনলাইনে কাজ করে পার্ট-টাইম কিছু অতিরিক্ত অর্থ উপার্জন করার ক্ষেত্রে এটি একটি দুর্দান্ত ও লাভজনক উপায় হতে পারে।

৪. কাজের প্রকার: এখানে আপনাকে শুধুমাত্র এক ধরণের কাজ সবসময় করতে হয়না। যা আমি আগেই বলেছি, data entry-র কাজ বলতে সে কপি পেস্ট থেকে শুরু করে ট্রান্সক্রিপশন এবং ট্রান্সলেশন, নানান ধরণের হতে পারে। তাই এখানে অর্থ উপার্জন করতে হলে প্রচুর ধরণের কাজের অপসন আপনি পাবেন।

৫. ইন্টারন্যাশনাল ক্লায়েন্ট: নানান freelancing platform গুলোতে নিয়মিত কাজ করার পর ধীরে ধীরে যখন পজিটিভ রিভিউস পাবেন এবং কাজের অভিজ্ঞতা বাড়বে, তখন প্রচুর ইন্টারন্যাশনাল ক্লায়েন্টরাও আপনাকে নিয়মিত কাজ দিতে চাইবেন।

৭টি ওয়েবসাইট যেখানে ডাটা এন্ট্রি কাজ পাওয়া যাবে:

আপনারা ডাটা এন্ট্রি কাজ করার জন্য অনলাইনে উপলব্ধ কয়েকটি ওয়েবসাইট ব্যবহার করতে পারেন। উপলব্ধ এই ওয়েবসাইট গুলোতে গিয়ে নিজের একটি ফ্রি একাউন্ট তৈরি করে কাজ শুরু করা যাবে।

১. LinkedIn:

ওয়েবসাইটটিকে সরাসরি একটি ফ্রিল্যান্সিং প্ল্যাটফর্ম বলে বলা যাবেনা যদিও, ডেটা এন্ট্রির চাকরিগুলি খোঁজার জন্য LinkedIn একটি অনেক কাজের অনলাইন প্লাটফর্ম হিসেবে প্রমাণিত হয়ে এসেছে। আসলে LinkedIn-এর মধ্যে কোম্পানিগুলো সরাসরি নানান job opening গুলোর বিষয়ে পাবলিশ করে থাকেন। তাই, LinkedIn-এর মধ্যে একটি আকর্ষণীয় প্রোফাইল তৈরি করতে পারলে এখান থেকেই ডাটা এন্ট্রি রিলেটেড প্রচুর প্রজেক্ট গুলো পেতে পারবেন।

২. Scribie:

Scribe হলো এমন একটি অনলাইন প্লাটফর্ম যেখানে মূলত transcription service গুলো প্রদান করা হয়। আর একজন ডাটা এন্ট্রি অপারেটর বা টাইপিস্ট হিসেবে এখানে আপনি ট্রান্সক্রিপশন রিলেটেড কাজ গুলো করে অর্থ উপার্জন করতে পারবেন। এখানে মূলত নানান অডিও ফাইল গুলোকে ট্রান্সক্রাইব করতে হয়। এবার, অডিও ফাইল গুলো যত বড় বা লম্বা হবে সেই হিসেবেই আপনাকে টাকা দেওয়া হবে। Scribe থেকে ইনকাম করা টাকা আপনারা সরাসরি PayPal দ্বারা তুলে নিতে পারবেন।

৩. Rev:

TranscribeMe এবং Rev দুটোই প্রায় একই ধরণের ওয়েবসাইট। ওয়েবসাইটটিতে মূলত transcription, captioning, এবং subtitling রিলেটেড services গুলো অফার করা হয়। এখন একজন ডাটা এন্ট্রি অপারেটর হিসেবে এই সাইট থেকে আপনি অডিও এবং ভিডিও ফাইল গুলোকে টেক্সটে কনভার্ট করে ইনকাম করতে পারবেন।

৪. 2Captcha:

ওয়েবসাইটটি মূলত একটি CAPTCHA টাইপিং/সলভিং ওয়েবসাইট যেখানে নানান ধরণের ক্যাপচা গুলোকে টাইপ করতে হয়। অবশই, কাজ শুরু করার জন্য আপনাকে নিজের জন্য একটি ফ্রি একাউন্ট তৈরি করে নিতে হবে।

2Captcha সাইটে আপনি আলাদা আলাদা ধরণের ক্যাপচা গুলো সল্ভ করতে পারবেন। আর তাই, সল্ভ করা captcha গুলোর ধরণ এবং দিয়ে দেওয়া রেটের উপর নির্ভর করে প্রতি ১০০০ ক্যাপচা পূরণ করার জন্য আলাদা আলাদা পরিমান ইনকাম হতে পারে। সাধারণত এই ওয়েবসাইটে ১-২ ঘন্টা কাজ করে মোটামোটি $0.50 ইনকাম করা যেতে পারে।

৫. Clickworker:

Clickworker, মূলত একটি crowdsourcing platform যেখানে data entry এবং web research এর মতো নানান মাইক্রোটাস্ক গুলো করে অর্থ উপার্জনের সুযোগ পাওয়া যায়। কাজ গুলো অনেক সোজা এবং ছোট ছোট হওয়ার কারণে এগুলোকে নিজের খালি সময়ে পার্ট-টাইম হিসেবে করা যেতে পারে।

৬. Fiverr:

Fiverr হলো বিশ্বজুড়ে জনপ্রিয় একটি সেরা freelancing marketplace যেখানে ডাটা এন্ট্রি, ট্রান্সলেশন, ট্রান্সক্রিপশন, এডিটিং, কনটেন্ট রাইটিং, ইত্যাদি টাইপিং রিলেটেড প্রচুর কাজ গুলো পাবেন। এখানে ছোট ছোট ও সোজা কাজ থেকে শুরু করে নানান প্রফেশনাল হাই পেয়িং প্রজেক্ট গুলিও আপনি পেয়ে যাবেন।

৭. Textbroker:

Textbroker website-টি মূলত একটি কনটেন্ট রাইটিং পরিষেবা প্রদানকারী ওয়েবসাইট। এখানে আপনি নিজেকে একজন freelance writer হিসেবে রেজিস্টার করে ক্লায়েন্টদের জন্য আর্টিকেল লিখে ইনকাম করতে পারবেন। সরাসরি ডাটা এন্ট্রির কাজ না পেলেও, ওয়েবসাইটটিকে আর্টিকেল লিখে বা কনটেন্ট টাইপ করে আয় করার একটি সেরা সাইট হিসেবে ব্যবহার করা যেতে পারে।

অবশই পড়ুন: অনলাইনে ইনকাম করার নতুন ওয়েবসাইট গুলো

FAQ’s On How To Earn Money Doing Data Entry Online

১. ডাটা এন্ট্রি করে কত টাকা ইনকাম করা যায় ?

আপনি যদি একটি জেনুইন জব ওয়েবসাইটে গিয়ে কাজ করে থাকেন, তাহলে নিয়মিত ভালো মানের ইনকাম করতে পারবেন। শুরুতে যখন আপনি এই কাজে নতুন থাকবেন তখন হয়তো ইনকাম কিছুটা কম থাকবে। তবে একবার কাজের অভিজ্ঞতা হয়ে গেলে আপনি প্রতি ঘন্টায় ১০০ থেকে ৫০০ টাকা বা এর থেকেও অধিক আয় করে নিতে পারবেন।

২. ডাটা এন্ট্রির কাজ কি ?

ডাটা এন্ট্রির কাজ মানে হলো সেই কাজ যেখানে একটি কম্পিউটার বা অন্যান্য ডিভাইস ব্যবহার করে বিভিন্ন ধরণের তথ্য গুলোকে যোগ বা এডিট করা হয়। এই কাজ মূলত typing, voice recording এই ধরণের বিভিন্ন প্রক্রিয়া গুলো ব্যবহার করে করা হয়।

৩. অনলাইন ডেটা এন্ট্রি কি অর্থ উপার্জনের একটি বৈধ উপায়?

হ্যা। অনলাইন ডাটা এন্ট্রি কাজ গুলো অর্থ উপার্জনের একটি বৈধ উপায়। এমন প্রচুর ওয়েবসাইট এবং কোম্পানিগুলি আছে যারা নানান ধরণের ডাটা এন্ট্রির চাকরি গুলো অফার করে থাকেন।

৪. মোবাইল দিয়ে ডাটা এন্ট্রি করা যাবে কি?

হ্যা, এমন প্রচুর ধরণের ডাটা এন্ট্রি ওয়ার্ক গুলো আছে যেগুলো সুবিধাজনক ভাবে একটি স্মার্টফোন দিয়ে করা যেতে পারে। যেমন ধরুন, অনলাইনে ফর্ম ফিলআপ করা, সার্ভে সম্পূর্ণ করা ইত্যাদি।

৫. ডাটা এন্ট্রি করার জন্য কি কোনো বিশেষ ধরণের সফটওয়্যার এর প্রয়োজন আছে?

ডাটা এন্ট্রি করার জন্য আপনাকে আলাদাভাবে কোনো বিশেষ সফটওয়্যার ব্যবহার করতে হয়না। কেননা বেশিরভাগ ডাটা এন্ট্রি কাজ গুলো ওয়ার্ড প্রসেসিং সফটওয়্যার, স্প্রেডশীট, বা অনলাইন ফর্ম এর দ্বারা করা হয়ে থাকে। কিছু কিছু কোম্পানি বা কাজের ক্ষেত্রে আলাদাভাবে সফটওয়্যার ব্যবহার করতে লাগতেও পারে। সেই বিষয়ে আপনাকে আগের থেকে জানিয়ে দেওয়া হয়।

আজকে আমরা কি জানলাম?

যদি আপনি একজন মহিলা বা স্টুডেন, সেক্ষেত্রে ঘরে বসে অনলাইনে পার্ট-টাইম ইনকাম করার জন্য ডাটা এন্ট্রি কিন্তু একটি অনেক দারুন অপসন। ডাটা এন্ট্রির কাজ করে ইনকাম করতে আপনাকে কোনো ভাবে কোনো টাকা দিতে হয়না। এছাড়া, আপনি আপনার ফ্রি টাইমে নিজের পছন্দমতো জায়গাতে বসে কাজ করার স্বাধীনতাও পাচ্ছেন। তবে মনে রাখবেন, data entry করে income করতে হলে আপনাকে নিজের টাইপিং স্পিড ভালো রাখতে হবে, পাশাপাশি নির্ভুলভাবে টাইপ করাটাও এক্ষেত্রে একটি গুরুত্বপূর্ণ বিষয়।

রিলেটেড: ডিপোজিট না করে ইনকাম করার ১৫টি সাইট

Leave a Comment

Your email address will not be published. Required fields are marked *

error:
Scroll to Top