অনলাইনে কাজ করে টাকা ইনকাম করার কথা নিয়ে যখনই কথা বলা হয়, তখন মূলত Blogging এবং YouTube-এর মতো platform গুলির থেকে ইনকাম করার কথা ছাড়া আর অন্য উপায় গুলির বিষয়ে আলোচনা অনেক কম সময়েই করা দেখা যায়।
তবে আপনি কি জানেন, আপনি চাইলে নিজের ঘরে বসে অন্যান্য নানান অনলাইন ব্যবসা গুলি করেও কিন্তু ইন্টারনেট থেকে ভালো পরিমানে ইনকাম করতে পারবেন।
অনেকেই আছেন যারা নিজের খালি সময়ে অনলাইন মাধ্যমে পার্ট-টাইম কাজ করে টাকা ইনকাম করার ভালো ভালো উপায় গুলি খুঁজে থাকেন। তবে যদি আপনিও এমনই একজন ব্যক্তি সেক্ষেত্রে আমাদের আজকের আর্টিকেলটি আপনাদের কাজে অবশই লাগবে।
কেননা, আজকের আর্টিকেলের মধ্যে আমি আপনাদের ঘরে বসে করার মতো এমন কিছু অনলাইন ব্যবসার নামের তালিকার বিষয়ে বলবো যেগুলি আমি বা আপনি জেকেও অনেক সহজেই শুরু করতে পারবো।
তবে মনে রাখবেন, ঘরে বসে অনলাইন ব্যবসা শুরু করার জন্য সেরা অনলাইন ব্যবসার নাম গুলি জানার পাশাপাশিও আপনাকে আমাদের এই আর্টিকেলটি সম্পূর্ণ পড়া দরকার।
তাই, যদি আপনিও নিজের অনলাইন ব্যবসা শুরু করার কথা ভাবছেন, বা অনলাইন মাধ্যমে টাকা উপার্জন করতে চাইছেন তাহলে আমাদের আজকের এই আর্টিকেলটি শুরু থেকে শেষ পর্যন্ত পড়তে থাকুন।
রিলেটেড: কিভাবে গুগল প্লে স্টোর থেকে টাকা ইনকাম করা যাবে?
কি কি উপায়ে ঘরে বসে অনলাইন ব্যবসা করা যায়?
বর্তমান সময়ে ইন্টারনেটের অভাবনীয় উন্নতির কারণে অনলাইন ব্যবসার বিষয়টাও বেশ সোজা এবং সহজ হয়ে দাঁড়িয়েছে। আর, আপনিও যদি নিজের ঘরে থেকে অনলাইন ব্যবসা করার কথা ভাবছেন, তাহলে দেরি না করে চোখ রাখুন এই আর্টিকেলে।
এখানে আমরা আপনাকে জানাতে চলছি ঘরে বসে কি কি মাধ্যমে অনলাইন ব্যবসা শুরু করা যাবে সেই বিষয়ে। মনে রাখবেন, যেকোনো অনলাইন ব্যবসা করার ক্ষেত্রে নিজের দক্ষতা ও শখের উপর ১০০% বিশ্বাস রাখা দরকার।
নিচে আমরা বেশ কিছু সফল ওয়ার্ক–ফ্রম–হোম অনলাইন ব্যবসার বিষয়ে আলোচনা করলাম।
১. ই-কমার্স অনলাইন ব্যবসা:
ই-কমার্স ব্যবসার বিষয়ে আমরা প্রত্যেকেই কিন্তু কম বেশি জানি বললেই চলে।
আজ প্রত্যকেই নিজের ঘরে বসে নানান e-commerce website গুলির দ্বারা, ফল থেকে ফুটবল, টিভি থেকে গাড়ি সবটাই কিনে নিচ্ছেন। এক্ষেত্রে আপনি বা কেন পিছিয়ে থাকবেন।
বলার মানে এটাই যে, আপনি চাইলেও নিজের একটি e-commerce site তৈরি করে চাহিদায় থাকা এমন নানান ছোট ছোট পণ্য বা পরিষেবা গুলি বিক্রি করে নিজের একটি online e-commerce business শুরু করতে পারবেন।
বর্তমান সময়ে একটি e-commerce site তৈরি করাটা অনেক সোজা এবং সাধারণ বিষয় হয়ে গিয়েছে। এছাড়া, YouTube-এর মতো platform-এর মধ্যে গিয়ে একটি e-commerce business কিভাবে শুরু করতে হয়, বিষয়টা ভালো করে জেনেনিতে পারেন।
শুরুতে, যেরকম প্রোডাক্ট আপনি নিজের অনলাইন দোকানে বিক্রি করতে চাইছেন, সেটার মার্কেট রিসার্চ করুন। তার চাহিদা আছে কি নেই সেটা দেখুন এবং তারপরে ব্যবসার নাম বেছে বিজনেসকে রেজিস্টার্ড ও লাইসেন্সড করুন।
২. ফেসবুক মার্কেটপ্লেস দ্বারা ব্যবসা:
আপনি কি জানেন, নিজের ফেসবুক প্রোফাইলের বিজনেস পেজ দ্বারা ফেসবুক মার্কেটপ্লেসে অনলাইন ব্যবসা শুরু করা যায়।
Facebook Marketplace আসলে ফেসবুকের দ্বারা তৈরি একটি online marketplace যেখানে যেকোনো ফেসবুক ইউজার নতুন পুরোনো যেকোনো product/service বিক্রি করতে ও কিনতে পারবেন।
আমি নিজেই এই ফেসবুক মার্কেটপ্লেস দ্বারা অনেক পণ্য বিক্রি করে ভালো মুনাফা আয় করতে পেরেছি। তবে মনে রাখবেন, এই প্লাটফর্ম দ্বারা ব্যবসা শুরু করার জন্য আপনার কাছে বিক্রি করার জন্য product/service অবশই থাকতে হয়।
অবশই পড়ুন: ফেসবুক থেকে কিভাবে টাকা আয় করবেন?
৩. কনটেন্ট তৈরির ব্যবসা:
যখন কথা চলে আসছে মহিলাদের বা ছাত্রদের জন্য ঘরে বসে করার মতো সেরা অনলাইন ব্যবসার, সেক্ষেত্রে এখনকার সময়ে কনটেন্ট তৈরি করার বিজনেসটি হল একটা ট্রেন্ডিং ব্যবসা।
যদি লেখালেখি, ভিডিও বা অডিও কনটেন্ট বানাতে আগ্রহী থাকেন, তাহলে নানান ওয়েবসাইটে ব্লগ লিখে, ইউটিউব চ্যানেলে বা ইনস্টাগ্রামে ভিডিও কনটেন্ট দিয়ে অথবা Spotify–তে অডিও কনটেন্ট আপলোড করে দারুণভাবে ইনকাম করতে পারবেন।
এই কাজ আপনি নিজের blog, website বা channel-এর জন্য করার পাশাপাশি অন্যান্য ওয়েবসাইট মালিকদের থেকে টাকা নিয়ে তাদের জন্যেও করতে পারেন।
৪. ফ্রিল্যান্সিং বিজনেস:
ফ্রিল্যান্সিং পেশাতে কোনোরকমের অভিজ্ঞতা ছাড়াই নিজের সময়মতো দক্ষতা অনুযায়ী বিভিন্ন ক্লায়েন্টের কাজ করে রোজগার করা যায়। এখানে দক্ষতা ও আগ্রহ অনুযায়ী সোশ্যাল মিডিয়া ম্যানেজমেন্ট, গ্রাফিক ডিজাইনিং, ভার্চুয়াল অ্যাসিস্টেন্স, কনটেন্ট রাইটিং বা অন্যান্য যেকোনো ধরণের কাজ গুলি করা যায়।
ইন্টারনেটে এমন নানান Freelancing Marketplace গুলি আছে, যেগুলিতে গিয়ে নিজের একটি ফ্রি একাউন্ট তৈরি করে কাজ খুঁজতে ও করতে পারবেন। কিছু সেরা এবং ভালো freelancing site গুলি হলো, Guru, Upwork, Fiverr, Freelancer.com, এবং আরো আছে।
৫. অ্যাফিলিয়েট মার্কেটিং ব্যবসা:
আমাদের আজকের আর্টিকেলের মধ্যে উল্লেখ করা এই অনলাইন ব্যবসার নামের তালিকাটির মধ্যে আমার সব থেকে প্রিয় ব্যবসাটি হলো এই, Affiliate marketing business-টি।
অ্যাফিলিয়েট মার্কেটিং এর ক্ষেত্রে আপনাকে আপনার বিভিন্ন ডিজিটাল প্ল্যাটফর্মে (যেমন – ব্লগ, ইউটিউব চ্যানেল, ওয়েবসাইট অথবা সোশ্যাল মিডিয়াতে) কোনো এফিলিয়েট প্রোডাক্ট বা সার্ভিসের প্রচার চালাতে হয়।
পণ্যের প্রচারের ক্ষেত্রে আপনাকে ব্যবহার করতে হয় একটি স্পেশাল এফিলিয়েট লিংক এর। সেই লিঙ্কের মাধ্যমে কোনো প্রোডাক্ট বা সার্ভিস বিক্রি হলে, তার বিনিময়ে নির্দিষ্ট পরিমাণ কমিশন কোম্পানির দ্বারা পাওয়া যায়।
অবশই পড়ুন: আমাজন এফিলিয়েট মার্কেটিং করে কিভাবে আয় করবেন ?
৬. অনলাইনে পেইড কোর্স বিক্রি করা:
অনলাইন পেইড কোর্স হল একধরণের অনলাইন কোর্স যেটা যেকোনো বিষয়ে বানানো যেতে পারে। উদাহরণ স্বরূপ, ধরুন আপনি অনেক ভালো ইংরেজি বলতে জানেন, সেক্ষেত্রে আপনি ইংরেজি বলার একটি কোর্স তৈরি করে বিক্রি করতে পারেন।
হাজার হাজার লোকেরা নানান বিষয়ে অনলাইন কোর্স গুলি বানিয়ে ইন্টারনেটের মাধ্যমে বিক্রি করে লক্ষ লক্ষ টাকা ইনকাম করছেন। একবার নিজের ভিডিও কোর্স তৈরি করার পর সেই একই কোর্স হাজার হাজার গ্রাহকের কাছে বিক্রি করে নিয়মিত প্যাসিভ ইনকাম করতে পারবেন।
নিজের তৈরি করা কোর্সগুলো আপনি নানান অনলাইন প্লাটফর্ম (YouTube, Social Media, Paid Ads) এবং ই–লার্নিং ওয়েবসাইটের (Udemy, Skillshare) মাধ্যমেও বিক্রি করতে পারবেন।
অবশই পড়ুন: অনলাইন কোর্স তৈরি ও বিক্রি করে ইনকাম করার সম্পূর্ণ প্রক্রিয়া!
ঘরে বসে অনলাইন ব্যবসা শুরু করার টিপস:
ঘর থেকে অনলাইন ব্যবসা শুরু করার কয়েকটি জরুরি নিয়ম হল,
১. বিসনেস অফ ইন্টারেস্ট:
আমাদের সবার সব বিষয়ে ইন্টারেস্ট থাকবে, এমনটা হয় না। তাই, অনলাইন ব্যবসার শুরু করার ক্ষেত্রে নিজের ইন্টারেস্টকে অবশ্যই গুরুত্ব দিন।
ধরুন, আপনার যদি অ্যাকাউন্টিংয়ের বিষয়ে ইন্টারেস্ট থাকে, তাহলে ফ্রীল্যান্স বুককিপিংকে অনলাইন কাজ হিসেবে বেছে নিতে পারেন। আবার, ভিডিওগ্রাফি আপনার পছন্দের বিষয় হলে ইউটিউব চ্যানেল খোলা আপনার জন্যে লাভজনক ব্যবসা হতে পারে।
২. প্রসেস অফ দ্য বিজনেস:
ঘরে বসে অনলাইন ব্যবসা করার প্রচুর আইডিয়া যেমন ইন্টারনেটে রয়েছে, তেমনই সেই আইডিয়াগুলোকে বাস্তবে রূপ দেওয়ার জন্য ফ্রি টিপসগুলোও ইন্টারনেটে ভরে পড়ে আছে।
তাই, ব্যবসার শুরুর আগে বিভিন্ন ইউটিউব টিউটোরিয়াল দেখে, ব্লগ বা আর্টিকেলগুলো পড়ে বা এক্সপার্টদের সাথে আলোচনা করে কনসেপ্ট ক্লিয়ার করে নিন।
এছাড়াও, ব্যবসার বিষয়ে ডিটেইলসে বোঝার জন্যে Udemy বা Coursera–এর মতো সাইটের বিভিন্ন ফ্রি ক্র্যাশ কোর্সগুলোও দেখতে পারেন।
৩. টাইম ম্যানেজমেন্ট:
যেকোনো কাজের শুরুতেই সবার আগে টাইম ম্যানেজ করার বিষয়টা ভেবে দেখা উচিত। আপনি কোন সময়ে কাজে মন দিতে পারবেন এবং সারাদিনের ঠিক কতটা সময় ব্যবসাতে দিতে পারবেন, সেই বিষয়ে ভাবনাচিন্তা করে তবেই এগোন।
মাথায় রাখবেন যে, নিয়ম মেনে কাজ না করলে, কোনো কাজই বেশিদিন টেকে না। তাই, অনলাইন ব্যবসার ক্ষেত্রে টাইম ম্যানেজমেন্টের বিষয়টাও মাথায় রাখবেন
এখানে নিজের ওয়ার্ক ও লাইফ ব্যালান্সটাও কিন্তু দেখে নেওয়াটা দরকারি।
৪. বিজনেস প্ল্যান করা:
সঠিক বিজনেস প্ল্যান না থাকলে যেকোনো ব্যবসাতেই সফল হওয়াটা কিন্তু বেশ কঠিন। তাই, প্রথমেই নিজের ব্যবসার একটা টার্গেট ঠিক করুন।
ব্যবসা থেকে কেমন লাভক্ষতির আশা করছেন, কি কি চ্যালেঞ্জ আসতে পারে, ব্যবসার কোনো প্রতিদ্বন্দ্বী আছে কিনা বা মার্কেটে ব্যবসার চাহিদা কেমন, এইসব কিছুর বিষয়েই ভালোভাবে খোঁজ–খবর নিন।
বিজনেস শুরুর প্রথমে অবশ্যই ক্লায়েন্ট বা ভেন্ডরদের সাথে পরিষ্কারভাবে চুক্তি করুন। বিশেষত, অনলাইন ব্যবসার ক্ষেত্রে এর অনলাইন প্রেসেন্স ও সঠিক ম্যানেজমেন্ট থাকাটা অন্যন্ত জরুরি একটা বিষয়।
৫. সঠিক ক্লায়েন্ট/ভেন্ডর/সাপ্লাইয়ার খোঁজা:
অনলাইন বিজনেস করতে নিজের সার্ভিস বা প্রোডাক্টগুলো কাউকে বিক্রি করার প্রয়োজন অবশ্যই পড়বে। তাই, নিজের সার্ভিস বা প্রোডাক্টগুলো বিক্রি করার জন্যে ক্লায়েন্ট, সাপ্লাইয়ার ও ভেন্ডরের সাথে যোগাযোগ করুন।
যেমন, ফ্রীল্যান্স কনটেন্ট রাইটিংয়ের জন্যে ক্লায়েন্ট খুঁজতে হয় বা অনলাইন সেলিংয়ের জন্যেও ভেন্ডর খুঁজতে হয় এবং ইত্যাদি।
৬. ঠিকমতো আর্থিক ব্যবস্থা রাখা:
তা আপনি ফ্রীলান্সিং বা অনলাইন রিসেলিংয়ের কাজ– যাই–ই বাছুন না কেন, ঠিকমতো টাকা পাওয়াটাই হল আসল ব্যাপার। তাই, অনলাইন পেমেন্ট, ব্যাঙ্ক অ্যাকাউন্ট ট্রান্সফারের মতো বিষয়গুলো সম্পর্কে খেয়াল রাখুন।
নিজের ক্লায়েন্ট, কাস্টমার বা ভেন্ডরদের সাথে মানি ট্রান্স্যাকশানের বিষয়ে ক্লিয়ার থাকুন।
ছাত্ররা ঘরে বসে কোন অনলাইন ব্যবসাটি করলে ভালো হবে?
নিজেদের স্কুল–কলেজ, পড়াশোনা, টিউশনি সমস্ত কিছু কমপ্লিট করার পর ছাত্রদের কাছে সারাদিনে খুব কম সময়েই হাতে থাকে।
এইটুকু সময়ের মধ্যেই যদি ইনকাম করতে চান, তাহলে ব্লগিং, ফ্রীলান্সিং, কনটেন্ট লেখা, ইউটিউব চ্যানেলে vlogging করার মতো বিষয়গুলো সম্পর্কে চিন্তাভাবনা করতে পারেন।
এমনকি, অনলাইন টিউটোরিং, ভার্চুয়াল অ্যাসিস্ট্যান্সের মতো কাজগুলোও স্টুডেন্টদের পক্ষে বেশ সুবিধাজনক অনলাইন বিজনেস আইডিয়া হতে পারে।
লেখালেখির বিষয়ে আগ্রহ থাকলে অবশ্যই ফ্রীল্যান্স কনটেন্ট রাইটিং করতে পারেন। এইধরণের কাজগুলোতে কম সময়ের মধ্যেই ভালো পরিমাণ টাকা আয় করা সম্ভব। অন্যদিকে, এইসব অনলাইন কাজে সারাদিনে একটানা কাজ করতেও হয় না।
যেকারণে এখানে আপনি নিজের ইচ্ছেমতো কাজ করার স্বাধীনতাও পাবেন।
মহিলাদের জন্যে সেরা অনলাইন ব্যবসা কোনটি?
ঘরে–বাইরের নানান কাজ সামলে মহিলাদের কাছে ইনকাম করাটা একটু চাপের হলেও চিন্তার কোনো কারণ নেই।
নিজের ওয়ার্ক–লাইফ ব্যালান্স ঠিক রেখে মহিলাদের জন্য হাতে–হাতে টাকা ইনকামের সেরা কিছু অনলাইন ব্যবসা গুলি হল, অনলাইন টিউটোরিং, ফ্রীলান্সিং লেখালেখি, ইউটিউব চ্যানেল, বুককিপিং, সোশ্যাল মিডিয়া ম্যানেজমেন্ট, ইনস্টাগ্রাম ইনফ্লুয়েন্সিং এবং ফ্রিলান্স গ্রাফিক ডিজাইনিং।
এছাড়াও, আপনি হোয়াটস্যাপ বা ফেসবুকে অনলাইন প্রোডাক্ট সেল করেও ইনকাম করতে পারেন। এই ধরণের কাজের জন্যে দিনে ২ থেকে ৭ ঘন্টার সময়ই যথেষ্ট। আর, সারাদিনে যেকোনো সময়ে ফ্লেক্সিবেলভাবে এই কাজগুলো করাও যায়।
সবথেকে ভালো ব্যাপার হল এই যে, এইসব ব্যবসার ক্ষেত্রে ওয়ার্ক–ফ্রম–হোমের সুবিধাও পাবেন।
তবে, সোশ্যাল মিডিয়ার ব্যাপারে আগ্রহ থাকলে অবশ্যই ইউটিউব চ্যানেল এবং সোশ্যাল মিডিয়া ইনফ্লুয়েন্সিংও মহিলাদের জন্যে সেরা অনলাইন ব্যবসা হয়ে উঠতে পারে।
FAQ:
এমনিতে, ইন্টারেনট, অভিজ্ঞতা, উপলব্ধ সময় ইত্যাদি নানান বিষয় গুলির উপর ভিত্তি করে আলাদা আলাদা ব্যক্তিদের জন্যে আলাদা আলাদা অনলাইন ব্যবসা গুলি করা দরকার। তবে, বর্তমানের সেরা ও লাভজনক অনলাইন ব্যবসা কিছু হলো, অনলাইন কনটেন্ট তৈরি করা, freelancing, affiliate marketing, online course selling, online tutoring, e-commerce business, ইত্যাদি।
বেশিরভাগ অনলাইন ব্যবসাগুলি আপনারা পার্ট-টাইম হিসেবে শুরু করতে পারবেন। এক্ষেত্রে সারা দিনে ৩-৪ ঘন্টার সময় দিলেও যথেষ্ট।
দেখুন, যদি আপনি blogging, YouTube Channel, Affiliate Marketing, Freelancing, ইত্যাদির মতো ব্যবসা গুলি করেন, সেক্ষেত্রে একেবারে সামান্য পরিমান খরচ করলেই হয়ে যায়। অনেক ক্ষেত্রে তো এক টাকাও খরচ করতে হয়না। তবে, E-commerce business, course selling, Product selling, ইত্যাদির মতো ব্যবসা গুলির ক্ষেত্রে মোটামোটি ভালো পরিমানে টাকা হাতে থাকতে হয়।