ঘরে বসে অনলাইনে কাজ করে টাকা আয়ের উপায় অনেক রয়েছে। আমাদের এই ব্লগ সাইট এর মধ্যে, পড়াশোনার পাশাপাশি আয় করার সেরা উপায় গুলির থেকে শুরু করে মোবাইলে গেম খেলে টাকা ইনকাম করার অ্যাপস পর্যন্ত, অনলাইন ইনকামের প্রচুর টিপস এবং গাইড গুলি পেয়ে যাবেন।
আর আজকেও আমরা এমনই একটি সেরা আর্টিকেল নিয়ে হাজির হলাম যেখানে মূলত, Swagbucks ওয়েবসাইটটি নিয়ে আমরা আলোচনা করবো। Swagbucks কি ধরণের ওয়েবসাইট এবং কিভাবে Swagbucks থেকে টাকা ইনকাম করা যাবে, সেই সব বিষয়ে আমরা আজকে জানবো।
এমনিতে, ইন্টারনেটে নানান আর্টিকেল গুলি পড়ার পর এবং খানিকটা রিসার্চ করার পর, আমার হিসেবে Swagbucks অবশই একটি বিস্বস্থ অনলাইন ইনকাম সাইট।
তাই, যদি আপনি অনলাইনে ছোট ছোট কাজ গুলি করার মাধ্যমে পার্ট-টাইম টাকা আয় করতে চাইছেন, তাহলে আমাদের আজকের আর্টিকেলটি আপনার কাজে অবশই লাগবে।
অবশই পড়ুন: Captcha এন্ট্রির কাজ করে সহজেই করুন ইনকাম
সূচিপত্র:
- Swagbucks কি ধরণের সাইট? কিভাবে কাজ করে?
- Swagbucks থেকে টাকা ইনকাম করার বেস্ট ৯টি উপায়:
- ১. সার্ভে ও পোল কমপ্লিট করা:
- ২. SwagButton অ্যাড করা:
- ৩. অনলাইন শপিং ও ক্যাশব্যাক:
- ৪. গেমস ও অ্যাপ ডাউনলোড করা:
- ৫. রেফার-অ্যান্ড-আর্ন প্রোগ্রাম:
- ৬. ডেইলি গোল কমপ্লিট করা:
- ৭. বিভিন্ন সার্ভিসে সাইন-আপ করা:
- ৮. রিসিট স্ক্যান করা:
- ৯. কম্পিটিশানে ভাগ নেওয়া:
- Swagbucks থেকে কিভাবে পেইড সার্ভে করে টাকা আয় করা যায়?
- কিভাবে Swagbucks-এ আপনার প্রথম $50 ইনকাম করবেন?
- FAQ:
Swagbucks কি ধরণের সাইট? কিভাবে কাজ করে?
Swagbucks হল অনলাইন ইনকামের এমন একটা দুর্দান্ত Reward Earning Site, যেখান থেকে অনলাইনে নানান ছোট ছোট কাজ গুলি করার মাধ্যমে ঝটপট টাকা রোজগার করা সম্ভব।
এখানে নানা রকমের সিম্পল রিওয়ার্ড প্রোগ্রাম গুলি রয়েছে, যেগুলো কমপ্লিট করলে সাথে-সাথেই ক্যাশ রিওয়ার্ড পাওয়া যায়।
Swagbucks-এর কথা মতো, এর সাইটে বা অ্যাপে ইউসারদের বিভিন্ন ধরনের অনলাইন টাস্ক গুলি করতে হয়, বিনিময়ে ইউসাররা Swagbucks Points বা ‘SB’ কালেক্ট করে থাকেন।
পরে, এই পয়েন্টসগুলোকে টাকা, গিফট কার্ড বা আরও নানানরকম উপায়ে রিডিম করা যায়। এইভাবে, নানান অনলাইন টাস্কগুলো করলেই Swagbucks থেকে নির্দিষ্ট পরিমাণ ক্যাশ এবং ফ্রি গিফ্ট কার্ড জিতে নেওয়া যায়।
এমনিতে নানান অনলাইন রিভিউ এবং আর্টিকেল গুলি পড়ার পর, এটাই মনে হচ্ছে যে এই Swagbucks সাইট-টি ইন্টারনেটে উপলব্ধ নানান বিস্বস্থ ইনকাম সাইট গুলির মধ্যে আরেকটি।
কি কি উপায়ে Swagbucks সাইট থেকে আয় করবেন?
ইউসার হিসেবে সোয়্যাগবাক্সে যে ধরণের কমন অন-ডিম্যান্ড টাস্কগুলো কমপ্লিট করতে হয়, সেগুলো হল,
- অনলাইন সার্চিং,
- ভিডিও/অ্যাড ওয়াচিং,
- নানান অনলাইন গেম খেলে টাকা ইনকাম,
- অনলাইন সার্ভে করে টাকা আয়,
- বিভিন্ন পোলগুলোতে পার্টিসিপেট করা,
- ওয়েবসাইট/আর্টিকেল/রিপোর্ট রিড করা,
- রেফার-অ্যান্ড-আর্ন প্রোগ্রাম: রেফার করে ইনকাম,
- Swagbucks-এর পপুলার অনলাইন স্টোর থেকে অনলাইন শপিং করা এবং অন্যান্য।
এই ধরণের কাজগুলো কম্প্লিট করলেই আপনার সোয়্যাগবাক্স প্রোফাইলে SB পয়েন্টস গুলি জমা হতে থাকবে। এবং এরপর, আপনি ইচ্ছেমতো সেই পয়েন্টগুলোকে ক্যাশ বা গিফ্ট কার্ড হিসেবে রিডিম করতে পারবেন।
অবশই পড়ুন: মাসে ৫০ হাজার টাকা আয় করার উপায়
Swagbucks কি একটি বিস্বস্থ অনলাইন ইনকাম সাইট?
যতটা অনলাইন রিভিউ এবং আর্টিকেল গুলি পড়লাম, সেগুলির হিসেবে Swagbucks অবশই একটি ১০০% বৈধ এবং বিশ্বজুড়ে জনপ্রিয় এবং বিশ্বস্ত অনলাইন ইনকাম সাইট।
অন্যান্য লোকেরা এই অনলাইন ইনকাম সাইটটি ব্যবহার করে যদি সত্যি টাকা ইনকাম করতে পারছেন তাহলে এটা অবশই বৈধ ও বিস্বস্ত।
এখানে, নানান ছোট ছোট অনলাইন টাস্ক গুলি কমপ্লিট করলেই গ্যারেন্টিডভাবে টাকা জেতা যায়।
সিম্পলভাবে বলতে গেলে, সোয়্যাগবাক্স বিভিন্ন মার্কেট রিসার্চ কোম্পানির সাথে যুক্ত রয়েছে। আর, এই কোম্পানিগুলোর সবসময়েই কনসিউমার ডেটার প্রয়োজন হয়ে থাকে। যে কারণে, এই কোম্পানিগুলো সোয়্যাগবাক্সকে কন্সিউমার ডেটা কালেক্ট করার বিনিময়ে টাকা দিয়ে থাকে।
আর, সোয়্যাগবাক্স এই কন্সিউমার ডেটা পাওয়ার জন্যেই তাদের সাইটের সাথে যুক্ত আমাদের মতো ইউসারদেরকে নানান অনলাইন টাস্ক এবং সার্ভে ফিলআপ করার কাজ গুলি দেয় এবং এর বদলে কিছু রিওয়ার্ড পে করে।
তাই, ইন্টারনেটে থাকা অন্যান্য নানান রিওয়ার্ড আর্নিং সাইটের তুলনায় এই সাইটটির নির্ভরযোগ্যতা অনেকটাই বেশি। বর্তমানে, সোয়্যাগবাকসে প্রায় ১০ মিলিয়নেরও বেশি ইউসার রয়েছে।
এছাড়াও, Google-এ ‘Swagbucks reviews‘ লিখে সার্চ করলে, আপনি এই সাইটের প্রচুর আসল ইউসার রিভিউ এবং পাশাপাশি নানান ফিন্যান্স ব্লগের দ্বারা দেওয়া ভালো রেটিংও দেখতে পাবেন।
এখনও পর্যন্ত Swagbucks $৬০০ মিলিয়নেরও বেশি টাকা ফ্রি গিফ্ট কার্ড এবং PayPal ক্যাশ হিসেবে নিজের ইউসারদেরকে পে করেছে।
তাই, যদি আপনিও ঘরে বসে অনলাইন টাকা ইনকাম করার উপায় খুঁজছেন, সেক্ষেত্রে এই জনপ্রিয় এবং বিস্বস্থ অনলাইন ইনকাম সাইটটি অবশই ব্যবহার করে দেখতেই পারেন।
রিলেটেড: প্রতিদিন ১০০০ টাকা ইনকাম করার অনলাইন উপায়
Swagbucks কি আপনাকে সত্যিই টাকা দেয়?
হ্যাঁ, Swagbucks আপনাকে সত্যি-সত্যিই আসল টাকা দেয়। আপনার কমপ্লিট করা টাস্কের বিনিময়ে জেতা SB পয়েন্টগুলো থেকেই আপনি নগদ ক্যাশ টাকা গুলি পাবেন। তবে, ১০০ SB point থেকে আপনি শুধুমাত্র এক ডলার ক্যাশ বা গিফ্ট কার্ডই পেতে পারবেন।
যেমন, Amazon-এর ৫০০ টাকার গিফ্ট কার্ড পেতে চাইলে আপনাকে ৬৭৮ SB পয়েন্ট স্কোর করতে হবে।
এছাড়াও, আপনি Flipkart, Myntra বা FreeCharge-এর মতো জনপ্রিয় সাইটগুলোর গিফ্ট কার্ড, প্রিপেইড ভিসা কার্ড, PayPal ক্যাশ বা মেইলে চেকের মাধ্যমেও আসল টাকা রিডিম করতে পারবেন।
একজন সোয়্যাগবাক্স ইউসার নানান ধরণের কাজ গুলি করার মাধ্যমে দিনে প্রায় $২ থেকে $৫ পর্যন্ত রোজগার করার সুযোগ পেতে পারবেন, যেটা বছরের হিসেবে $৭৩০-$১৮২৫ পর্যন্ত হতে পারে।
তবে সোজা ভাবে মনে রাখতে হলে, মোটামুটি ১ SB পয়েন্টে ০.৯৪৩৮ টাকার মতো পাওয়া যায়।
Swagbucks-এর পেমেন্ট অপশন:
সোয়্যাগবাকসে আপনি যে SB পয়েন্ট জিতবেন সেটা রিডিম করতে গেলে মোট ২টি অপশন রয়েছে,
১. PayPal:
Swagbucks-এর SB পয়েন্টসগুলো প্রথমে US ডলারে কনভার্ট করতে হয়। তার জন্যে আপনাকে, এই পয়েন্টসগুলো PayPal অনলাইন ওয়ালেটের অ্যাকাউন্টে ট্রান্সফার করতে হয়।
আর, আপনার যদি পেপ্যালে অ্যাকাউন্ট না থাকে, তাহলে আপনি একদম বিনামূল্যেই নিজের একটি পেপাল অ্যাকাউন্ট বানিয়ে নিতে পারবেন।
পেপ্যালের অ্যাকাউন্টে SB পয়েন্টস ডলারে কনভার্ট হওয়ার ৪৮ ঘন্টার মধ্যেই আপনি আপনার ব্যাঙ্ক অ্যাকাউন্টে টাকাটা পেয়ে যাবেন।
২. গিফ্ট কার্ডস:
আপনি চাইলে আপনার SB পয়েন্টসগুলোকে খুব সহজেই গিফ্ট কার্ড হিসেবে ব্যবহার করতে পারেন। amazon, ফ্লিপকার্ট, ক্রোমা, মিন্ত্রার মতো জনপ্রিয় শপিং সাইটে এই গিফ্ট কার্ডগুলো ব্যবহার করে বিনামূল্যে শপিং করতে পারেন।
Swagbucks থেকে টাকা ইনকাম করার বেস্ট ৯টি উপায়:
যা আমরা আগেই বলেছি, এই রিওয়ার্ড প্রোগ্রাম সাইট থেকে ইনকাম করার জন্যে প্রথমেই নিজের SB প্রোফাইলে Swagbucks পয়েন্ট কালেক্ট করতে হবে। আর, এই পয়েন্ট কালেক্ট করার বেশ অনেকগুলো উপায় রয়েছে, সেগুলো হল,
১. সার্ভে ও পোল কমপ্লিট করা:
প্যাসিভ ইনকামের সেরা উপায় হিসেবে, অবশ্যই সোয়্যাগবাক্সে প্রতিদিন পেইড সার্ভে গুলি ফিলআপ করুন ও পোলগুলো কমপ্লিট করুন। সাধারণত, এক-একটা সার্ভে ফিলআপ করার জন্যে ৩-২০ মিনিট সময় লাগে। আর, এই ধরণের সার্ভে থেকে প্রায় ৪০-১০০ SB পয়েন্টস পাওয়া যায়। এমনকি, পোলগুলো কমপ্লিট করতে মাত্র সেকেন্ড দুয়েক সময় লাগে, যেখান থেকে আপনি কিছু এক্সট্রা SB Points পেয়ে যেতে পারবেন।
২. SwagButton অ্যাড করা:
Swag-Button হল একটা ফ্রি অ্যাপ এক্সটেনশন, যেটা Google Chrome-এর সাথে অ্যাড করার সাথে সাথে আপনি ২৫ SB পয়েন্ট পাবেন। এমনকি, এই এক্সটেনশনকে আপনার ডিফল্ট সার্চ ইঞ্জিনে অ্যাড করলে, প্রতিটা ১০-২০টা ওয়েব সার্চের জন্যে আপনি ১০-২০ SB পয়েন্ট পেয়ে যাবেন।
৩. অনলাইন শপিং ও ক্যাশব্যাক:
এই সাইটের ‘Shop’ সেক্শনে থাকা এর ফিচার্ড রিটেইলারদের থেকে শপিং করলে, আপনি নির্দিষ্ট পরিমাণ ছাড় বা ক্যাশ ব্যাক পেয়ে যাবেন। এখানে আপনি প্রায় ৭০০-এরও বেশি ফিচার্ড স্টোরও পাবেন।
৪. গেমস ও অ্যাপ ডাউনলোড করা:
Swagbucks-এর সাজেস্ট করা গেমস ও অ্যাপস নিজের ফোন, ট্যাবলেট, ও কম্পিউটারে ইনস্টল ও ওপেন করলে আপনি সেখান থেকেও পয়েন্ট ইনকাম করতে পারবেন। এই কাজের জন্যে প্রায় ১০০-এরও বেশি SB কালেক্ট করা যেতে পারে।
৫. রেফার-অ্যান্ড-আর্ন প্রোগ্রাম:
Swagbucks-এর মধ্যে একটি refer and earn program-ও রয়েছে এবং এর রেফারাল প্রোগ্রামের সাহায্যে, আপনি আপনার কোনো বন্ধুকে নিজের রেফারাল কোড পাঠিয়ে Swagbucks ইউস করার জন্যে সাজেস্ট করতে পারেন।
আর, আপনার রেফারাল কোড ব্যবহার করে যখই কোনো ব্যক্তি সোয়্যাগবাক্স ব্যবহার করবেন, সেক্ষেত্রে আপনি ৩০০ SB পর্যন্ত Points জিতে নিতে পারবেন।
৬. ডেইলি গোল কমপ্লিট করা:
সোয়্যাগবাক্সের হোম স্ক্রিনের উপরে আসা ‘Daily bonus’-এ ক্লিক করলে ‘to-do-list’ আসবে। যেখানে রোজ নতুন-নতুন টাস্ক আপডেট হয়। এখানে আপনি প্রতিদিনের নির্দিষ্ট টাস্কগুলো কম্প্লিট করলে, নির্দিষ্ট পরিমাণ বোনাস SB কালেক্ট করতে পারবেন।
৭. বিভিন্ন সার্ভিসে সাইন-আপ করা:
অনেক সময় টিভি এবং অনলাইন গেমিংয়ের মতো সার্ভিসগুলোতে সাইনআপ করলে swagbucks থেকে রিওয়ার্ড পাওয়া যায়। তবে, এক্ষেত্রে আপনাকে সাইন আপ করার জন্য নিজের টাকা খরচ করার দরকার হতে পারে।
আবার, এই সার্ভিসগুলো যদি ফ্রি হয়, (যেমন- ক্রেডিট রিপোর্ট বা স্ট্রিমিং সার্ভিসের ট্রায়াল), তাহলে এখান থেকে আপনি ভালো পরিমাণ SB কালেক্ট করতে পারেন।
৮. রিসিট স্ক্যান করা:
এই সাইটের ‘Magic Receipt’ ট্যাব থেকে আপনি নিজের রিসিটগুলোর ছবি আপলোড করে SB পয়েন্ট আয় করতে পারবেন। তবে, এখানের ‘লিস্ট অফ আইটেম’ থেকে যেই প্রোডাক্টগুলো SB পয়েন্ট কালেক্ট করার জন্যে যোগ্য, শুধুমাত্র সেগুলো থেকেই SB পয়েন্ট পাওয়া সম্ভব।
৯. কম্পিটিশানে ভাগ নেওয়া:
নিজের লাক ট্রাই করে এক্সট্রা SB পয়েন্ট পেতে চাইলে এর ‘Swagstakes’ থেকে লিমিটেড সময়ে থাকা কম্পিটিশানগুলোতে যোগ দিতে পারেন।
ধরুন, আপনি কোনো ২০০ SB-এর কম্পিটিশনে পার্টিসিপেট করতে চান, তাহলে আপনাকে ৪ SB খরচ করে জয়েন করতে হবে।
Swagbucks থেকে কিভাবে পেইড সার্ভে করে টাকা আয় করা যায়?
সোয়্যাগবাক্সের মেম্বারদের তাদের প্রথমে সার্ভে ফিলআপ করার জন্যে ইনভিটেশন পাঠানো হয়। এখানে সার্ভে ফিলআপ করার আনুমানিক সময় এবং SB পয়েন্ট মেনশন করা থাকে।
- সার্ভে কমপ্লিট করলে ইউসাররা Swagbucks (SB) পাবেন।
- একটা SB পয়েন্ট হল এক-একটা পেনির সমান। মানে ১০০ SB-তে $১ পাওয়া যাবে।
- প্রতিটা সার্ভের জন্য আলাদা আলাদা পরিমানে SB Points পাওয়া যেতে পারে। যেমন, লেন্থী সার্ভে গুলির থেকে $২৫ বা তার থেকেও বেশি আয় করা যেতে পারে।
- অন্যদিকে কম সময়ের সার্ভেগুলো থেকে গড়ে $০.০৫-$৫.০০ পর্যন্ত আয় করা যায়। এছাড়া কিছু সেরা অনলাইন সার্ভেগুলো থেকে $৪-$১০ বা তারও বেশি পাওয়া যায়।
- তবে, এই সার্ভেগুলোতে পার্টিসিপেট করার জন্যে অবশ্যই সার্ভের ক্রাইটেরিয়াতে পাস করতে হবে।
- প্রতিটা সার্ভের জন্য সেরা মেম্বারদের বাছাই করার জন্যে স্ক্রীনিং প্রশ্নগুলো ব্যবহার করা হয়।
তবে, আপনি সার্ভেতে পার্টিসিপেট করার জন্যে সিলেক্ট না হলেও কোনো চিন্তা নেই। কারণ, সার্ভের স্ক্রীনিং কোয়েশ্চেনের উত্তর দেওয়ার জন্যেও swagbucks ইউসারদের কমপক্ষে ১ SB করে দেয়।
কিভাবে Swagbucks-এ আপনার প্রথম $50 ইনকাম করবেন?
নিচে যেই ধাপ বা উপায় গুলি বলেছি, সেগুলি অনুসরণ করে আপনিও Swagbucks ওয়েবসাইট থেকে নিজের প্রথম ৫০ ডলার ইনকাম করে নিতে পারবেন।
১. প্রোফাইল কুইজে পার্টিসিপেট করা:
সোয়্যাগবাক্সে সাইনআপ করার পর, এখানে নিজেকে প্রোফাইল কুইজের মধ্যে অবশ্যই পার্টিসিপেট করুন।
আপনাকে এখানে নিজের প্রোফাইল আপডেটের জন্যে ২৫ SB দেওয়া হয়। আর, নিজের বেসিক ইনফরমেশন ফিলআপ করার পর, তবেই আপনি প্রোফাইলের সাথে ম্যাচ করে এমন সব সার্ভে গুলি পাবেন।
২. Swag-Button অ্যাড করা:
Google Chrome-এ SwagButton-এর এক্সটেনশন অ্যাড করার পরেই আপনি আরও ২৫ SB পাবেন। এরপর, আপনি যতবার নেট সার্ফিং করবেন, ততবারই SB পয়েন্ট অ্যাড হতে থাকবে।
৩. কমপক্ষে ৫টা সার্ভেতে অ্যাপ্লাই করা:
সোয়্যাগবাক্সের “Answer” সেকশন থেকে আপনি সার্ভেগুলো খুঁজে পাবেন।
এখানে আপনি সার্ভেতে কোয়ালিফাই করলে তো ভালো পরিমাণ SB যেমন পাবেন, তেমনই, আপনি যদি কোয়ালিফাই নাও করেন, তাহলেও প্রতিদিন কম করে ৫টা সার্ভেতে অ্যাপ্লাই করলে, অন্তত ৫ SB পয়েন্ট তো পাবেনই।
৪. Swag Code রিডিম করা:
Swag কোডগুলো হল আসলে প্রোমোশনাল কোড। এই কোডগুলো আপনি Swagbucks-এর ওয়েবসাইটে ব্যবহার করে রিডিম করতে পারবেন। প্রতিদিন নতুন-নতুন কোড রিলিজ হতে থাকে।
এখান থেকে মোটামুটি প্রতিদিন ২-৩ SB পাওয়াই যায়। মানে, এক সপ্তাহে আপনি কম করে ১৫ SB তো পাবেনই।
৫. পোল কোয়েশ্চেনের উত্তর করা:
এই ওয়েবসাইটে রোজ বিভিন্ন পোল কোয়েশ্চেন আসতেই থাকে। প্রতি ১০টা কোয়েশ্চেনের জন্যে এখানে ২ SB দেওয়া হয়। তাহলে, এখানে সারাদিনে ১০টা পোল কোয়েশ্চেন সেটের উত্তর দিলেই আপনি মোট ২০ SB পয়েন্ট পাবেন।
আর, এক সপ্তাহে এখানে মোট ১৪০ SB পাওয়াই যাবে। এইভাবে, ২-৩ সপ্তাহমতো Swagbucks ব্যবহার করতে থাকলে, আপনি সহজেই নিজের প্রথম $৫০ ডলার ইনকাম করে নিতে পারবেন।
FAQ:
অনলাইনে টাকা ইনকাম করার এমন নানান বিস্বস্ত সাইট গুলি আছে যেগুলি ব্যবহার করে অবশই কিছুটা হলেও ইনকাম করা যায়। এই সাইট গুলির মধ্যে আমার প্রিয় সাইট গুলি হলো, ySense, Inboxdollar, Swagbucks, Survey Junkie, ইত্যাদি।
দেখুন, এগুলি হলো Online GPT Sites (Get Paid To) যেগুলিতে ছোট ছোট কাজ গুলি করার মাধ্যমে আমরা সামান্য সামান্য পরিমানে ইনকাম করতে পারি। আর তাই, এই সাইট গুলির থেকে ইনকাম হলেও রাতারাতি ধনী হয়ে যেতে পারবেননা। তবে, সামান্য হাতখরচ আয় করার মতো ইনকাম অবশই হতে লাগে।
Swagbucks (Earn Free Gift Cards and Cash) সাইট থেকে টাকা আয় করার জন্য আপনারা, paid survey সম্পূর্ণ করা, গেম খেলা, রেফার করা, ভিডিও/বিজ্ঞাপন দেখা, অনলাইনে শপিং করার মতো কাজ গুলি করতে হয়।
অবশই পড়ুন:
- কিভাবে গুগল প্লে স্টোর থেকে টাকা ইনকাম করা যাবে?
- অনলাইনে কুইজ খেলে টাকা ইনকাম কিভাবে করবেন?
- অনলাইনে কাজ করে প্রতিদিন 200 টাকা ইনকাম করুন