ফেসবুক কি ? ফেসবুকের ইতিহাস, ব্যবহার এবং অপকারিতা

Last updated on June 6th, 2020 at 03:07 pm

ফেসবুক কি (what is Facebook in Bangla)” ? তবে এরকম অনেক কম “internet user” রয়েছেন যারা ফেসবুক এর বিষয়ে জানেননা।

Wikipedia ওয়েবসাইটের একটি আর্টিকেল “list of most popular websites” এ “Facebook” কে ইন্টারনেটে চতুর্থ সব থেকে জনপ্রিয় ওয়েবসাইট হিসেবে বলা হয়েছে।

এবং বর্তমানে ফেসবুককে, ইন্টারনেটে সব থেকে অধিক ভিসিট হওয়া তৃতীয় (৩) সব থেকে জনপ্রিয় ওয়েবসাইট হিসেবে ধরা হয়।

এবং সেটা, “Google” এবং “YouTube” এর পর।

আমাদের মধ্যে অনেক “Facebook user” রয়েছেন যারা প্রায় অনেক বছর থেকেই Facebook ব্যবহার করছেন।

তবে, বর্তমানের সময়েও এরকম অনেক internet user রয়েছেন, যাদের জন্য “Facebook” একটি নতুন বিষয়।

আর তাই, আমি আজকের আর্টিকেলের মাধ্যমে “Facebook কি“, “ফেসবুকের ইতিহাস“, “ফেসবুক এর ব্যবহার” এবং এর সাথে জড়িত অপকারিতার বিষয়ে আপনাদের বলবো।

এতে খুব সহজেই, একজন নতুন ইউসার (user), Facebook এর ব্যাপারে সবটাই জেনেনিতে পারবেন।

“ফেসবুক হলো এমন একটি অনলাইন ওয়েবসাইট”, যেখানে আপনি আপনার “বিচার”, “ধারণা”, “জ্ঞান”, “ছবি”, “video” বা “ব্যক্তিগত জীবনের কিছু অংশ” এই ওয়েবসাইটে সক্রিয় (active) অন্যান্য ইউসার (user) এর সাথে share করতে পারবেন।

হে, এসব করার ক্ষেত্রে আপনার একটি “Facebook account” নতুন করে তৈরি করতে হবে।

এই অনলাইন ওয়েবসাইটে আপনারা বিভিন্ন নতুন নতুন লোকেদের (Facebook user) সাথে বন্ধুত্ব করতে পারবেন।

এই ক্ষেত্রে, বিশ্বের যেকোনো জায়গায় থাকা যেকোনো “Facebook user” এর সাথে বন্ধুত্ব করার জন্য, আপনার পাঠাতে হয় একটি “Friend request“.

এবং, আপনার পাঠানো friend request যদি সেই ব্যক্তি বিশেষের দ্বারা “accept” করা হয়, তাহলে সে হয়ে যাবে আপনার “Facebook friend“.

Facebook friends রা, আপনার profile এ শেয়ার করা প্রত্যেকটি content, images, videos বা status গুলো দেখতে পারেন এবং তাতে “like” ও “comment” করে নিজেদের মতামত প্রকাশ করতে পারেন।

ফেসবুকের আধুনিক features এবং নতুন নতুন functions গুলোর কারণে, এই online platform ব্যবহারকারীদের সংখ্যা দিনের পর দিন বেড়েই চলেছে।

তাই, ইন্টারনেটের জগতে ফেসবুক একটি অনেক মজার platform, যেটার অনুভব প্রত্যেকেই একবার হলেও নিয়ে দেখার পরামর্শ আমি দিবো।

ফেসবুক কি ? (what is Facebook in Bangla)

ফেসবুক এবং এর ইতিহাস এর বিষয়ে।

“Facebook মানে কি”, যখন এই প্রশ্নটি করা হচ্ছে তখন অনেক সহজেই এই উত্তর দেওয়া যেতে পারে।

আসলে, Facebook হলো একটি অনেক জনপ্রিয় এবং ফ্রি “social media website“.

ফেসবুক ব্যবহার করার জন্য আপনার একটি computer device বা smartphone এবং internet এর প্রয়োজন হয়।

কারণ এটা একটি অনলাইন ওয়েবসাইট (website), যার ব্যবহারের ক্ষেত্রে internet এর প্রয়োজন।

এর মাধ্যমে, অনেক সহজেই দেশ বিদেশের যেকোনো জায়গায় থাকা নিজের “friends” এবং “family members” বা “অন্যান্য অচেনা Facebook user” দের সাথে অনলাইনে সংযুক্ত (connect) হতে পারবেন।

এবং এভাবে, ফেসবুকের মাধ্যমে অনলাইন সংযুক্ত হয়ে আমরা একে আরেকজনের সাথে chatting এর মাধ্যমে কথা বলার সাথে সাথে, জীবনের প্রত্যেক মুহূর্ত (moments) গুলো শেয়ার করতে পারি।

এই ধরণের social networking website গুলোতে, আপনারা একটি ফ্রি account বা profile তৈরি করতে পারেন।

তারপর, নিজের profile এর মাধ্যমে “information sharing”, “image upload”, “online chatting”, “online video call”, “content sharing” এবং “অনলাইনে নতুন নতুন friends বানানোর” মতো সুবিধে দেওয়া হয়।

তবে, Facebook বা অন্যান্য যেকোনো social media website গুলোর মূল উদ্দেশ্য হলো, “একজন ব্যক্তিকে ইন্টারনেটের মাধ্যমে অনলাইনে সামাজিক ভাবে (socially) সংযুক্ত হওয়ার সুবিধে দেওয়া”।

তাহলে আশা করছি, ফেসবুক কি (what is Facebook)” বিষয়টি বুঝতে পেরেছেন।

Facebook এর সাথে জড়িত কিছু শব্দ

যদি আপনি ফেসবুক এর বিষয়ে কিছুই জানেননা, তাহলে এর সাথে জড়িত কিছু জনপ্রিয় শব্দের ব্যাপারে জেনেনিন।

১. Facebook marketplace 

ফেসবুকের এই সেবা, সাধারণ লোকেদের লাভের লাভের ক্ষেত্রে নিয়ে আশা হয়েছে।

Facebook market place এর মাধ্যমে, যেকোনো নতুন বা পুরোনো পণ্য (products) লিস্ট করে অনলাইন অন্যান্য ফেসবুক ইউসার এর কাছে বিক্রি করতে পারবেন।

সোজা ভাবে বললে, online যেকোনো product কেনা বেচা (buy/sell) করার একটি মাধ্যম।

২. Pages 

একটি business, brands, celebrities এবং অন্যান্য সংগঠন (organizations) ক্ষেত্রে, কিছু public pages আলাদা করে তৈরি করা হয়।

বেশিরভাগ ক্ষেত্রে, কোনো একটি বিশেষ বিষয় বা ব্যবসা নিয়ে প্রচার চালানোর উদ্দেশ্যে এই pages গুলোকে তৈরি করা হয়।

এই pages গুলোকে business pages বলেও বলা হয়।

৩. Facebook live 

ফেসবুক লাইভ হলো ফেসবুকের দ্বারা নিয়ে আশা একটি সেবা (service), যেখানে যেকোনো ফেসবুক ব্যবহারকারীরা নিজের mobile বা কম্পিউটারের camera ব্যবহার করে, “live video streaming” করতে পারবেন।

৪. Facebook groups 

ফেসবুকে গ্রুপ আলাদা ভাবে তৈরি করা যেতে পারে।

তবে, গ্রুপ তৈরির ক্ষেত্রে আপনার একটি ফেসবুক একাউন্ট থাকতেই হবে।

গ্রুপ এর ক্ষেত্রে, যেকোনো একটি বিশেষ বিষয়, টপিক, ব্যবসা বা কার্যকলাপ নিয়ে একটি আলাদা ভাবে পেজ তৈরি করা হয়।

তারপর, সেই বিষয় নিয়ে লোকেদের বিভিন্ন মতামত, পরামর্শ এবং অভিজ্ঞতা গ্রুপ এর মাধ্যমে শেয়ার ও চর্চা করা হয়।

যেকোনো ব্যবসার ক্ষেত্রে, একটি Facebook group তৈরি করে ব্যবসার সাথে জড়িত বিভিন্ন প্রচার (promotions) চালানো যেতে পারে।

তাছাড়া, একটি ব্যবসার ক্ষেত্রে লোকেদের সাথে অনলাইনে সংযুক্ত হওয়ার ভালো মাধ্যম এই “Groups” গুলো।

৫. Block a friend

আপনি আপনার ফেসবুক একাউন্ট থেকে যেকোনো friend বা user কে block করে রাখতে পারবেন।

এতে, সেই user ফেসবুকের মাধ্যমে আপনার সাথে কোনো ভাবেই যোগাযোগ করতে পারবেননা।

তাছাড়া, আপনার সম্পূর্ণ profile এবং profile এর সাথে জড়িত কোনো রকমের  তথ্য সেই ব্যক্তি দেখতে পারবেনা।

 ৬. Friend request 

ফেসবুকের মধ্যে অন্যান্য user দের নিজের Facebook friends বানানোর ক্ষেত্রে, আপনার প্রথমেই তাদের “friend request” পাঠাতে হয়।

আপনার পাঠানো “friend request” মেনে নেওয়ার (accept) পর সেই ব্যক্তি আপনার Facebook friend হয়ে যায়।

ঠিক এভাবেই, আপনাকেও অনেকেই friend request পাঠাতে পারবেন।

এবং, তাদের পাঠানো “request” মানা ও না মানাটা সম্পূর্ণ আপনার ওপরেই থাকছে।

তাই, Facebook এর মধ্যে “Friend request” হলো সেই শব্দটি, যখন বন্ধু বানানোর ক্ষেত্রে আপনাকে কেও অনুরোধ করেন।

৭. Like 

Facebook এ share করা যেকোনো post, content, status, images বা video গুলো যখন অন্যান্য user রা দেখেন, তখন সেই post টিকে সমর্থন (support) করার একটি মাধ্যম হলো “Like”.

তবে, বর্তমানের সময়ে “like” ছাড়াও যেকোনো post এর জন্য নিজের মতামত প্রকাশ করার ক্ষেত্রে অন্যান্য অনেক emoji ব্যবহার করা যেতে পারে।

৮. Share 

আপনার বা যেকোনো অন্যের post করা যেকোনো information, content, images, videos ইত্যাদি অন্যদের সাথে share করার function টিকে বলা হয় “Facebook share”.

ফেসবুকের জনক কে ?

Mark Zuckerberg এবং তার সাথে থাকা কিছু সহপাঠী (classmates) “Eduardo Saverin“, “Dustin Moskovitz” এবং “Chris Hughes” যারা “Harvard computer science” এর ছাত্র (students) ছিলেন, মিলে ফেসবুক এর উদ্ভাবন (invent) করেছিলেন।

এমনিতে, ফেসবুকের জনক কে, এই প্রশ্নের সোজা উত্তর হতে পারে “Mark Zuckerberg”.

কারণ, আজকের এই ফেসবুকের গঠন ও অস্তিত্বের পেছনে উনার প্রচুর কষ্ট ও হাত রয়েছে।

তাই ফেসবুকের প্রতিষ্ঠাতা (founder) এবং উদ্ভাবক (inventor) হিসেবে, “Mark Zuckerberg” কেই বলা হয়।

ফেসবুকের ইতিহাস – History of Facebook

ফেসবুক এর ইতিহাস কিন্তু অনেক মজাদার এবং আমাদের মধ্যে অনেকেই এই ব্যাপারে কিছুই জানিনা।

Facebook একটি social media network হিসেবে “February ৪ তারিখে ২০০৪ সালে” চালু করা হয়েছিল।

তবে, প্রথম অবস্থায় “Facebook” এর নাম ছিল “TheFacebook“.

তারপর, “The” সরিয়ে কেবল “Facebook” নামটি রাখা হয়।

যা আমি আগেই বলেছি, Mark Zuckerberg এবং তার কিছু সহপাঠী  Eduardo Saverin, Andrew McCollum, Dustin Moskovitz এবং Chris Hughes এর দ্বারা ফেসবুক প্রতিষ্ঠাপিত (founded) করা হয়েছিল।

FaceMash এর বিষয়ে 

Facebook এর আগেই Mark Zuckerberg এর দ্বারা ২০০৩ সালে কটি social media site চালু করা হয়েছিল যার নাম ছিল “FaceMash“.

FaceMash এর জন্য প্রয়োজন সম্পূর্ণ সফটওয়্যারটি mark তখন লিখেন যখন তিনি কলেজের দ্বিতীয় সালে (second year) ছিলেন।

এই FaceMash ওয়েবসাইটটি একটি অনলাইন খেলা ছিল যেখানে কলেজের ছাত্রদের ছবি গুলোকে “ভালো” বা “খারাপ” হিসেবে ভোট (vote) করা হতো।

FaceMash এমনিতে কেবল “Harvard university র students” দের জন্য তৈরি করা হয়েছিল।

ওয়েবসাইটটি ইন্টারনেটে live আসার কেবল, ৪ ঘন্টার ভেতরেই 450 visitors এবং 22,000 photo-views পেয়ে গেছিলো।

তাহলে আপনি ভাবতেই পারছেন, কতটা পপুলার হয়ে গেছিলো “FaceMash”.

তবে, Harvard administration এর দ্বারা, কিছু দিন পর FaceMash বন্ধ করে দেওয়া হলো।

কারণ, FaceMash তৈরি করার ক্ষেত্রে, university র server ব্যবহার করা হয়েছিল এবং বিভিন্ন নিয়মের উলঙ্ঘন হওয়ার কথা বলা হয়েছিল।

Facebook এর বিষয়ে 

তবে, TheFacebook বা Facebook এই FaceMash ওয়েবসাইটের পর তৈরি করা হয়েছিল।

Facebook এর উদ্দেশ্য ছিল, university র প্রত্যেক নতুন ছাত্রদের একটি online directory তৈরি করা।

সেই সময় কেবল Harvard university র ছাত্ররাই এই ওয়েবসাইট ব্যবহার করতে পারতেন।

তবে, অনেক সময়ের মধ্যে ফেসবুক এর জনপ্রিয়তা এতটা বেড়ে গেছিলো যে, অন্যান্য কলেজের ছাত্রদের ও এখানে যোগ করা হলো।

তারপর, কেবল ১ বছরের মধ্যেই ফেসবুক ব্যবহারকারীদের সংখ্যা প্রায় ১ মিলিয়ন (1 million) ছাড়িয়ে যায়।

তার কিছু সময় পর, ১৩ বছরের অধিক বয়েসের প্রত্যেক ব্যক্তির জন্য Facebook ব্যবহার করার অনুমতি দেওয়া হলো।

Facebook এর press room এর হিসেবে, এই social media website এ 100 million থেকেও অধিক active user রয়েছে।

Facebook, একটি social media এবং technology company যার headquarter “Menlo park, California” তে।

Mark Zuckerberg এবং তার সাথে Harvard university তে পড়া কিছু সহপাঠীদের সাথে প্রতিষ্ঠাপিত করা হয়েছিল। 

ফেসবুক এর ইতিহাস নিয়ে এমনিতে আরো অধিক বলা যেতেই পারে।

তবে, প্রয়োজনীয় তথ্য গুলো আমি বলেই দিয়েছি।

তাই, ফেসবুকের কিছু গুরুত্বপূর্ণ ইতিহাস আপনারা অবশই জেনে নিয়েছেন।

Facebook এর সম্পূর্ণ ইতিহাস এবং সত্যির গল্প জেনে নেওয়ার জন্য আপনারা “The social network” ছবিটি দেখতে পারেন।

ফেসবুক কে বানিয়েছেন ?

Mark Zuckerberg নামের Harvard university র student তার কিছু classmates দের সাথে মিলে বানিয়েছিলেন Facebook। 

ফেসবুক মেসেঞ্জার কি ?

মেসেঞ্জার (Facebook messenger) হলো একটি “application”, যেটাকে ফেসবুক ইউসার এর মধ্যে সহজে text chatting এবং live video chatting করার উদ্দেশ্যে তৈরি করা হয়েছে।

২০০৮ সালে এটাকে “Facebook chat” নাম দিয়ে চালু করা হয়েছিল।

নিজের ফেসবুক প্রোফাইলে লগইন না করে, Facebook friends দের সাথে সোজা এবং সহজেই text chatting করার ক্ষেত্রে কাজে আসে messenger.

বর্তমানে, এই messenger app এ প্রচুর আধুনিক features যেমন ফেসবুক ইউসার এর মাঝে “live video call” এবং “live voice call” করা এর দ্বারা সম্ভব।

এছাড়া, Facebook user রা এর মাধ্যমে, photo, video, sticker, voice, files এবং documents এর মাধ্যমে শেয়ার বা আদান প্রদান করতে পারেন।

Messenger হলো Facebook কোম্পানির দ্বারা তৈরি official messaging/chat app.

ফেসবুক মেসেঞ্জার ব্যবহার করার জন্য আপনার একটি Facebook account থাকতে হবে।

কেননা, মেসেঞ্জার এ লগইন করার ক্ষেত্রে আপনার নিজের ফেসবুক একাউন্ট এর লগইন ডিটেলস এর প্রয়োজন হবে।

তবে, যদি আপনার একটি একাউন্ট আছে, তাহলে “Facebook messenger app” করে নিজের মোবাইল বা কম্পিউটার এ ব্যবহার করতে পারবেন।

ফেসবুক ডিপি (DP) মানে কি ?

যদি আপনি নতুন করে ফেসবুক ব্যবহার করার কথা ভাবছেন, তাহলে ফেসবুক ডিপি (Facebook DP) মানে কি সেই বিষয়টি জেনে রাখাটা ভালো।

Social media platform গুলোর ক্ষেত্রে, DP মানে হলো “Display picture”.

DP কে আবার “Profile picture” বলেও বলা যেতে পারে।

তবে, প্রায় অনেক আগের সময়ে “DP” শব্দটি ব্যবহার করা হতো।

এবং বর্তমানে, “whatsapp messenger” এর ক্ষেত্রেও এই ডিপি শব্দের ব্যবহার করা হয়।

এখনের সময়ে “profile picture” শব্দটি এর জায়গা নিয়ে নিয়েছে।

আসলে, “DP” মানে হলো সেই ছবিটি, যেটা যেকোনো সোশ্যাল মিডিয়া প্লাটফর্ম এ একাউন্ট তৈরি করার সময় আমরা “profile picture” হিসেবে আপলোড করে রাখি।

এবং, সময়ে সময়ে ইচ্ছে অনুসারী সোশ্যাল মিডিয়া প্রোফাইলে দেওয়া সেই ছবিটি বদলে দিতেও পারি।

আপনারা অবশই লক্ষ্য করেছেন যে, প্রত্যেক ফেসবুক ব্যবহারকারীদের প্রোফাইলে, তাদের নিজের একটি ছবি অবশই দেওয়া থাকে।

এবং, সেটাকেই বলা হয় DP বা profile picture.

ফেসবুক এর ব্যবহার – Uses of Facebook

ফেসবুক একটি ফ্রি social media platform যেখানে জেকেও নিজের একটি একাউন্ট বা প্রোফাইল তৈরি করতে পারবেন।

আর তাই, স্কুলে পড়া ছাত্র থেকে শুরু করে স্কুলের শিক্ষক এবং বয়স্ক লোকেরাও পর্যন্ত ফেসবুক ব্যবহার করেন।

বিভিন্ন ক্ষেত্রে ফেসবুক ব্যবহার করা হয়।

ফেসবুক এর ব্যবহার কিছু নিচে আমি বলে দিচ্ছি। 

  • বন্ধু বান্ধব এবং প্রিয়জনের সাথে নিজের ব্যক্তিগত জীবনের কিছু অংশ “videos”, “images”, “status update” এর মাধ্যমে শেয়ার করা।
  • বিশ্বের যেকোনো জায়গায় থাকা লোকেদের সাথে “video calling” এবং “voice calling” এর মাধ্যমে কথা বলা।
  • লোকেদের সাথে তথ্য (information) শেয়ার করা এবং অন্যদের মাধ্যমে শেয়ার করা তথ্য গ্রহণ করা।
  • Facebook group এবং pages এর মাধ্যমে নিজের business প্রচার ও মার্কেটিং করা।
  • Facebook marketplace এর মাধ্যমে, নতুন বা পুরোনো পণ্য বিক্রি করা বা কেনা।
  • নিজেকে অনলাইন সামাজিকভাবে (socially) সক্রিয় রাখা।
  • দেশ বিদেশে বর্তমান সময়ে কি ঘটছে, সেই বিষয়ে খবর পেয়ে যাওয়া।
  • বিশ্বের যেকোনো জায়গার থেকে নতুন নতুন বন্ধু (friends) বানানো।
  • Facebook paid advertisements এর মাধ্যমে, যেকোনো products বা service এর online marketing করা।
  • নিজের ফেসবুকের একাউন্ট থেকে টাকা আয় করা।
  • বিভিন্ন মজাদার কনটেন্ট (images, videos, posts) দেখে সময় কাটানো।
  • ফেসবুকের মাধ্যমে অনলাইন বিভিন্ন রকমের গেমস ও খেলতে পারবেন।

তাহলে, ওপরে ফেসবুক এর কিছু ব্যবহার আমি আপনাদের বলে দিলাম।

ফেসবুকের অপকারিতা কিছু কি কি ?

বর্তমান সময়ে ফেসবুকের প্রচুর ব্যবহার প্রত্যেকেই করছেন।

এবং, অনেক ক্ষেত্রেই ফেসবুক এর কিছু অপকারিতা, কুফল বা খারাপ প্রভাব হওয়া দেখা গেছে।

যেমন, 

  • প্রয়োজনের বাইরের ব্যবহারের ফলে, আপনার প্রচুর সময় নষ্ট হতে পারে।
  • অনেক লোকেরা, ফেসবুকের প্রবল আকর্ষণ এর ফলে নিজের প্রয়োজনীয় কাজ গুলো করতে অবহেলা করেন।
  • ছাত্র থেকে শুরু করে প্রাপ্তবয়স্ক রা (adults), নিজেদের ছবি বা অন্যান্য ব্যক্তিগত (personal) তথ্য অজানা অপরিচিত লোকেদের সাথে শেয়ার করেন। এভাবে, অনেকেই বভিষ্যতে অসুবিধের সম্মুখীন হতেই পারে।
  • ছাত্রদের পড়াশোনাতে এর প্রচুর খারাপ প্রভাব দেখা গেছে।
  • Facebook আমাদের privacy এবং মূল্যবান সময় গুলোকে হানি করছে।
  • অপ্রয়োজনীয় বিজ্ঞাপন দেখানো হয়।
  • অনেক ধরণের মন বিচলিত করা images, videos বা information আমরা দেখি, যেগুলো দেখার কোনো প্রয়োজন আমাদের থাকেনা।

শেষে এতটুকু বলবো যে, Officially হতে পারে Facebook ফ্রি, তবে সত্যি বললে ফেসবুক কিন্তু ফ্রি নয়।

ফেসবুক তার সেবার (services) এর বদলে আমাদের থেকে নিয়ে নিচ্ছে “আমাদের মূল্যবান সময়” এবং বিজ্ঞাপন দেখানোর উদ্দেশ্যে “আমাদের ব্যক্তিগত ডাটা ও তথ্য“.

তাহলে, ফেসবুকের অপকারিতা গুলোর বিষয়ে বললে আমি এগুলোই মূল ভাবে আপনাদের বলতে চাই।

কিভাবে নতুন ফেসবুক একাউন্ট খোলা যাবে ?

একটি নতুন ফেইসবুক একাউন্ট খোলার জন্য আপনার যেতে হবে “Facebook.com” ওয়েবসাইটে।

  • ওয়েবসাইটে যাওয়ার সাথে সাথে আপনারা “Create a new account” এর লেখা দেখতে পাবেন।
  • Create a new account লেখার নিচে থাকা বাক্স গুলোতে জরুরি তথ্য দিতে হবে।
  • তথ্যের মধ্যে আপনার দিতে হবে, Name, email / mobile number, new password.
  • তারপর নিচে থাকা Sign up বাটনে ক্লিক করতে হবে।
  • Sign Up বাটনে click করার পর, পরের পেজে আপনি একটি “verification box” দেখবেন।
  • মানে, আপনার দেওয়া মোবাইল নম্বর বা ইমেইল এড্রেসটি ভেরিফাই করতে হবে।
  • Verification এর ক্ষেত্রে আপনার দেওয়া মোবাইল নম্বর বা ইমেইল আইডিতে, ফেসবুক এর তরফ থেকে একটি কোড গেছে।
  • সেই কোডটি দেখে “Facebook verification box” এ দিয়ে নিচে “Continue” তে ক্লিক করতে হবে।

Congratulations, এখন আপনি একটি নতুন ফেসবুক একাউন্ট খুলে নিয়েছেন।

হে, এতটাই সহজ ছিল একটি নতুন ফেসবুক আইডি খোলার নিয়ম

এখন আপনি আপনার প্রোফাইলে একটি DP বা profile picture আপলোড দিয়ে, নিজের একাউন্ট ব্যবহার করতে পারবেন।

 

আজকে আমরা কি শিখলাম ?

আমি আশা করছি যে, “ফেসবুক কি” (What is Facebook), “ফেসবুকের ইতিহাস” এবং ফেসবুকের বিষয়ে সম্পূর্ণ তথ্য ভালো করে দিতে পেরেছি।

তাছাড়া ফেসবুক এর ব্যবহার এবং এর কিছু অপকারিতা নিয়েও আমরা কথা বলেছি।

তবে, Facebook কি বা এর সাথে জড়িত যেকোনো বিষয়ে যদি আপনার মনে কোনো প্রশ্ন বা সমস্যা রয়েছে, তাহলে নিচে কমেন্টের মাধ্যমে আমাকে জানিয়ে দিন।

শেষে, ফেসবুক নিয়ে লেখা আজকের এই আর্টিকেল যদি আপনাদের ভালো লেগে থাকে, তাহলে অবশই আর্টিকেলটি শেয়ার (share) করবেন।

আপনি যদি আমাদের ওয়েবসাইটের মাধ্যমে কিছু নতুন শিখতে পারছেন, সেটাই প্রকৃত রূপে আমাদের আসল সফলতা।

4 thoughts on “ফেসবুক কি ? ফেসবুকের ইতিহাস, ব্যবহার এবং অপকারিতা”

  1. Avatar
    জহিরুল ইছলাম

    অনেক সুন্দর ভাবে সাজিয়েছেন।আমি কি এখান থেকে কিছু সহায় নিতে পারি?

  2. Avatar

    অনেক ভালো করে বুজিয়েছেন ভাই । ভালো লাগলো আপনার লেখা পড়ে । আমিও আপনার মতো লেখার চেষ্টা করছি ,আশা করি আমার ব্লগটি ভালো লাগবে । ঘুরে আসবেন ব্লগ থেকে

Leave a Comment

Your email address will not be published. Required fields are marked *

error:
Scroll to Top