মোবাইলের ভাইরাস ডিলিট, ক্লিন এবং পরিষ্কার করার ভালো ১০টি সফটওয়্যার: মোবাইল এন্টিভাইরাস অ্যাপ – (২০২৫)

মোবাইল ভাইরাস ক্লিনার অ্যাপস: আমাদের প্রত্যেকেরই জীবনে স্মার্টফোন হয়ে দাঁড়িয়েছে একটি অবিচ্ছেদ্য অংশ। কেননা, যোগাযোগ থেকে শুরু করে, অনলাইন ভিডিও কলিং, চ্যাটিং, গেমিং, অফিসিয়াল কাজ, ইত্যাদি সবটাই এখন স্মার্টফোন দিয়েই করা সম্ভব। তবে স্মার্টফোন গুলিও এক ধরণের ডিজিটাল ডিভাইস এবং এই ধরণের ডিভাইসের ক্ষেত্রেও ভাইরাস আক্রান্তের রিস্ক সবসময় থেকে থাকে।

মোবাইলের ভাইরাস ডিলিট, ক্লিন এবং পরিষ্কার করার সেরা ১০টি সফটওয়্যার: মোবাইল এন্টিভাইরাস অ্যাপ
মোবাইলের সবচেয়ে ভালো এন্টিভাইরাস কোনটি?

ভাইরাস এবং ম্যালওয়্যারগুলো আমাদের মোবাইল অনেক স্লো করে তুলতে পারে, ফোনে স্টোর করে রাখা নানান ছবি-ভিডিও সহ ব্যক্তিগত তথ্য চুরি করতে পারে এবং এমনকি মোবাইলে সেভ থাকা আপনার গুরুত্বপূর্ণ আর্থিক তথ্যগুলিও চুরি করার ক্ষমতা এই ভাইরাস গুলোর মধ্যে থাকে। আর এটাই কারণ জারজন্য আমাদের প্রত্যেকেরই মোবাইলে একটি শক্তিশালী মোবাইল অ্যান্টিভাইরাস সফটওয়্যার ইনস্টল থাকাটা অত্যন্ত জরুরি ও গুরুত্বপূর্ণ একটি বিষয়।

২০২৫ সালে এসে, সাইবার নিরাপত্তার বিষয়টি সাংঘাতিক গুরুত্বপূর্ণ হয়ে উঠেছে। বর্তমান সময়ে আলাদা আলাদা ভাইরাসের ধরণ এবং ভাইরাস আক্রমণের কৌশল গুলো প্রতিনিয়ত পরিবর্তিত হয়েই চলেছে। আর তাই আপনার মোবাইল ডিভাইসটিকে সুরক্ষিত রাখতে এবং যেকোনো ধরণের ভাইরাস থেকে মোবাইলটিকে বাঁচাতে আপনাকে উপলব্ধ নানান শক্তিশালী অ্যান্টিভাইরাস অ্যাপগুলো সম্পর্কে জেনে রাখা দরকার।

চিন্তা করতে হবেনা, কেননা আজকের এই আর্টিকেলে আমরা ১০টি এমন সেরা মোবাইল অ্যান্টিভাইরাস সফটওয়্যার নিয়ে আলোচনা করব, যা আপনার ফোনকে ভাইরাসমুক্ত রাখতে এবং মোবাইলের ভাইরাস ডিলেট করতে সাহায্য করবে। এছাড়া এই অটোমেটিক ভাইরাস ক্লিনার সফটওয়্যার গুলো আপনারা ফ্রীতে ডাউনলোড করে ব্যবহার করতে পারবেন।

Related: মোবাইলের সবচেয়ে ভালো ক্যামেরা অ্যাপস

মোবাইলে ভাইরাস কাটার সফটওয়্যার কেন প্রয়োজন?

ভাইরাস কাটার সফটওয়্যার গুলো আবার, মোবাইল এন্টিভাইরাস বা ভাইরাস ক্লিনার সফটওয়্যার নামেও পরিচিত। এখন আপনি যদি ভাবছেন যে কেন নিজের মোবাইল ফোনে একটি এন্টিভাইরাস সফটওয়্যার ডাউনলোড করে ব্যবহার করবেন, তাহলে জেনেরাখুন যে, এই প্রোগ্রাম গুলো আপনার স্মার্টফোনটিকে নানান ধরনের ম্যালওয়্যার, স্পাইওয়্যার, ট্রোজান এবং অন্যান্য ক্ষতিকর প্রোগ্রাম থেকে রক্ষা করে।

আসলে যখন আমরা নিজের মোবাইল দিয়ে নানান অবিশ্বস্ত ওয়েবসাইট গুলোতে প্রবেশ করি, ওয়েবসাইট থেকে অবিশ্বস্ত ফাইল ডাউনলোড করি বা মোবাইলে অবিশ্বস্ত অ্যাপস গুলো ব্যবহার করি, তখন নানান ধরনের ক্ষতিকর প্রোগ্রাম, ম্যালওয়্যার, স্পাইওয়্যার, ট্রোজান এবং অন্যান্য ভাইরাস গুলো আপনার মোবাইলে প্রবেশ করে থাকে।

এবার যদি আপনার মোবাইলে একটি শক্তিশালী অ্যান্টিভাইরাস সফটওয়্যার ইনস্টল করা থাকে, তখন এই ক্ষতিকর প্রোগ্রাম, ম্যালওয়্যার, বা ভাইরাসগুলোকে আপনার মোবাইলে প্রবেশ করতে বাধা দেওয়া হয়। এছাড়া, মোবাইলে আগের থেকে প্রবেশ হয়ে থাকা ভাইরাস গুলোকেও এই ভাইরাস ক্লিনার সফটওয়্যার গুলো ডিলিট করে দেয়।

এছাড়া, একটি শক্তিশালী অটোমেটিক ভাইরাস ক্লিনার সফটওয়্যার মোবাইলে ইনস্টল করা থাকলে, এগুলো আপনার ফোনের কর্মক্ষমতা বাড়াতে, ব্যক্তিগত তথ্য সুরক্ষিত রাখতে এবং অনলাইনে নিরাপত্তা বজায় রাখতে সাহায্য করে।

মোবাইলে ভাইরাস আক্রমণের ফলে কি কি ক্ষতি হতে পারে?

ভাইরাস আক্রমণের ফলে আপনার মোবাইল ফোনে নানান ধরণের সমস্যাগুলি দেখা দিতে পারে। এগুলোর মধ্যে কিছু নিচে উল্লেখ করা হলো।

  • মোবাইল ভীষণ স্লো কাজ করা।
  • মোবাইলের ব্যাটারি দ্রুত শেষ হয়ে যাওয়া।
  • অনেক সময় মোবাইল নিজে নিজে গরমও হতে পারে।
  • মোবাইলে অপ্রোজনীও বিজ্ঞাপন দেখা যাওয়া।
  • মোবাইল থেকে ইমেজ, ভিডিও ইত্যাদি ডেটা চুরি হওয়া।

একটি ভালো মোবাইল অ্যান্টিভাইরাস অ্যাপ এই সমস্ত সমস্যাগুলো থেকে আপনার ফোনকে অবশই সুরক্ষিত রাখতে পারে। আর তাই, নিচে বলে দেওয়া এই ১০ ফ্রি মোবাইল ভাইরাস ক্লিনার সফটওয়্যার গুলোর বিষয়ে অবশই জেনে রাখুন।

অবশই পড়ুন: মোবাইলের গ্যালারি লক সফটওয়্যার ডাউনলোড

১০টি মোবাইল এন্টিভাইরাস সফটওয়্যার ডাউনলোড করুন: [Free]

এন্টিভাইরাস অ্যাপস:টোটাল ডাউনলোড:রেটিং:
১. AVG AntiVirus & Security100 মিলিয়ন+4.6
২. Bitdefender Antivirus5 মিলিয়ন+4.6
৩. Antivirus AI – Mobile Security1 মিলিয়ন+4.3
৪. F-Secure Mobile Security100 মিলিয়ন+4.4
৫. C-Prot Antivirus Security100K+4.3
৬. NAVER Antivirus5 মিলিয়ন+4.0
৭. Anti-virus Dr.Web Light100 মিলিয়ন+4.4
৮. Malwarebytes Mobile10 মিলিয়ন+4.3
৯. V3 Mobile Security Anti-Virus10 মিলিয়ন+4.3
১০. TotalAV Mobile Security5 মিলিয়ন+4.1

তাহলে চলুন, এবার উপরে বলে দেওয়া এই প্রতিটি মোবাইল এন্টিভাইরাস এবং ভাইরাস কাটার সফটওয়্যার গুলোর বিষয়ে নিচে বিস্তারিত জেনেনেই।

১. AVG AntiVirus & Security:

গুগল প্লে স্টোরে প্রায় ১০০ মিলিয়ন থেকেও অধিক ডাউনলোড এবং ৪.৬ রেটিং সহ উপলব্ধ AVG antivirus App-টি বর্তমানে উপলব্ধ শক্তিশালী এবং জনপ্রিয় অ্যান্টিভাইরাস অ্যাপ গুলোর মধ্যে একটি। সফটওয়্যারটি অটো ভাইরাস স্ক্যানিং থেকে শুরু করে রিয়েল-টাইম সুরক্ষা প্রদান করার মতো সুবিধাগুলো দিয়ে থাকে। এগুলো ছাড়াও, অ্যান্টি-থেফট এবং ফটো ভল্ট এর মতো অ্যাডভান্সড সিকিউরিটি ফীচার গুলিও এখানে পাবেন।

কি কি সুবিধা পাওয়া যাবে:

  • Fake এবং বিপজ্জনক ওয়েবসাইটগুলো ব্লক করে।
  • App lock করে রাখার ফীচার দেওয়া হয়েছে।
  • Junk cleaner-এর ফীচার দেওয়া হয়েছে।
  • VPN protection-কে কাজে লাগানো যায়।
  • ভাইরাস এবং ম্যালওয়্যার স্ক্যানিং করে থাকে।
  • রিয়েল-টাইম সুরক্ষা প্রদান করে।
  • ওয়াই-ফাই স্ক্যানার, অ্যান্টি-থেফট এবং ফটো ভল্ট এর অপসন।

২. Bitdefender Antivirus:

Bitdefender হলো একটি ফ্রি মোবাইল সিকিউরিটি সফটওয়্যার যেটা নানান premium mobile security features গুলো অফার করে থাকে। যেমন, ডিপ ভাইরাস স্ক্যানিং, মোবাইল থেকে ভাইরাস ডিলেট করা ইত্যাদি।

Bitdefender-কে এমন ভাবে ডিজাইন করা হয়েছে যাতে মোবাইলে লুকিয়ে থাকা বা প্রবেশ করতে চেষ্টা করা malware, viruses, ransomware, adware এবং trojans গুলোকে খুঁজে বের করতে পারে এবং সেগুলোকে ক্লিন করতে পারে। এছাড়া, এই প্রত্যেক ধরণের ভাইরাস গুলোকে মোবাইলে প্রবেশ করতে বাধাও দেয় এই ফ্রি মোবাইল এন্টিভাইরাস অ্যাপটি।

Bitdefender-এর সুবিধা এবং বৈশিষ্ট:

  • মোবাইল স্লো না করে কাজ করে থাকে।
  • ফ্রি ভাইরাস এবং ম্যালওয়্যার স্ক্যানিং।
  • মোবাইলে আগের থেকে থাকা ভাইরাস গুলো ক্লিন করা।
  • ভাইরাস থেকে রিয়েল-টাইম সুরক্ষা প্রদান করে।

৩. Protectstar Antivirus AI – Mobile Security:

Protectstar Antivirus AI, একটি AI ভিক্তিক মোবাইল সিকিউরিটি সফটওয়্যার যেখানে বিশেষভাবে android mobil-এর জন্য advanced anti-virus scanner উপলব্ধ রয়েছে। সফটওয়্যারটির মূল উদ্দেশ্য হলো, বর্তমানে সক্রিয় ransomware, trojan, keylogger, malware এবং অন্যান্য virus থেকে মোবাইলকে সুরক্ষা প্রদান করা।

এছাড়া মোবাইলে থাকা ব্যক্তিগত ফাইল বা তথ্য হ্যাক বা লিক হলে সেই বিষয়েও আপনাকে এলার্ট পাঠানো হয়। Protectstar Antivirus দিয়ে মোবাইল স্ক্যান করার পর যদি কোনো ransomware, trojan, keylogger, malware বা viruse ধরা পরে থাকে, তাহলে সেই ভাইরাস গুলোকে সরাসরি ডিলিট করে নিতে পারবেন।

Protectstar Antivirus AI-এর সুবিধা এবং বৈশিষ্ট:

  • মোবাইলে লুকিয়ে থাকা spyware virus গুলোকে খুঁজে ক্লিন করে।
  • স্ক্রিন ক্যাপচার এবং রেকর্ড করা ভাইরাস থেকে সুরক্ষা প্রদান করে।
  • ব্যক্তিগত তথ্যগুলো লিক বা হ্যাক হলে আপনাকে জানিয়ে দেওয়া হয়।
  •  Smart, complete, এবং deep, ৩ টি আলাদা scan mode পাবেন।
  • ডুয়াল ইঞ্জিন স্ক্যানার সহ শক্তিশালী অটোমেটিক ভাইরাস ক্লিনার।

৪. F-Secure Mobile Security:

প্লে স্টোরে ১০০ মিলিয়ন থেকেও অধিক ডাউনলোড হওয়া এই এন্টিভাইরাস সফটওয়্যারটি সত্যি একটি All-In-One Mobile Security অ্যাপ। মোবাইলে প্রবেশ করা ভাইরাস ডিলিট করা, অটোমেটিক ভাইরাস ক্লিনার, ভাইরাস স্ক্যান করা, মোবাইলে থাকা ব্যক্তিগত ডাটাগুলো রক্ষা করা এবং নিরাপদভাবে ইন্টারনেট ব্রাউস করার মতো প্রত্যেকটি অপসন এবং ফীচার গুলো এখানে পাওয়া যাবে।

F-Secure Mobile Security-এর সুবিধা এবং বৈশিষ্ট:

  • Viruses, malware, spyware, adware, এবং phishing থেকে সুরক্ষা প্রদান করে।
  • প্রবেশ করা ভাইরাস গুলোকে সহজে খুঁজে সেগুলিকে রিমুভ এবং ক্লিন করে।
  • Theft Alerts-এর মতো অ্যাডভান্স ফীচার পাওয়া যাবে।
  • Public Wi-Fi networks ব্যবহার করার সময় সুরক্ষা প্রদান করে।
  • ইন্টারনেট ব্যবহার করার সময় অনলাইন থ্রেট গুলো ডিটেক্ট করে।
  • বিপজ্জনক ও ক্ষতিকর ওয়েবসাইট গুলোর বিষয়ে এলার্ট দিয়ে থাকে।

৫. C-Prot Antivirus Security:

C-Prot Mobile Antivirus Security একটি অনেক শক্তিশালী এবং পুরস্কার বিজয়ী antivirus security application যেটা আপনার মোবাইলের অনেক কম রিসোর্সেস গুলো ব্যবহার করে থাকে। C-Prot Mobile Antivirus আপনি সম্পূর্ণ ফ্রীতে ডাউনলোড করে ব্যবহার করতে পারবেন।

সোজা ভাবে বললে, এই ভাইরাস ক্লিনার অ্যাপটি মোবাইল viruses, spyware, trojans, worms, adware ইত্যাদির বিরুদ্ধে শক্তিশালী সুরক্ষা প্রদান করে থাকে। এখানে অটোমেটিক ভাইরাস ক্লিনার, অটোমেটিক ভাইরাস স্ক্যানার, ফুল স্ক্যান, স্মার্ট স্ক্যান, রিয়েল টাইম প্রটেকশনের মতো সুরক্ষা গুলো অফার করে থাকে।

C-Prot Antivirus Security-এর সুবিধা এবং বৈশিষ্ট:

  • ফ্রীতে ডাউনলোড করে ব্যবহার করা যায়।
  • ইনস্টল করার সাথে সাথে মোবাইলে থাকা প্রতিটি ফাইল এবং অ্যাপ স্ক্যান করে।
  • রিয়েল টাইম প্রটেকশন এক্টিভেট করে রিয়েল টাইমে ভাইরাস গুলোকে ব্লক করা যায়।
  • ৩টি আলাদা আলাদা ফাইল স্ক্যানিং মোড পাবেন।

৬. NAVER Antivirus:

LINE Antivirus, যেটা বর্তমানে NAVER Antivirus নাম পরিচিত, একটি অনেক জনপ্রিয় mobile antivirus এবং mobile optimization সফটওয়্যার। এটা একটি ফ্রি এন্টিভাইরাস অ্যাপ যেটা real-time virus detection-এর মাধ্যমে আপনার মোবাইলটিকে সবসময় ভাইরাসমুক্ত রাখতে সাহায্য করে।

অ্যাপটিতে উপলব্ধ ওয়ান টাচ স্ক্যান বাটনটিকে কাজে লাগিয়ে আপনি যেকোনো সময় মোবাইলটিকে ভাইরাস এর জন্য স্ক্যান করতে পারবেন। ফোনে ভাইরাস খোঁজা, ভাইরাস ডিলিট করা এবং ক্লিন করার পাশাপাশি অ্যাপটি ফোনের স্পিড বুস্ট করতেও সাহায্য করে।

NAVER Antivirus-এর সুবিধা এবং বৈশিষ্ট:

  • ফ্রীতে মোবাইল ভাইরাসমুক্ত রাখার উপায় ও অ্যাপ।
  • ক্ষতিকারক ওয়েবসাইটগুলো স্ক্যান করে এবং সিকিউরিটি এলার্ট দেয়।
  • উপলব্ধ Wi-Fi networks গুলো scan করে এলার্ট দেয়।
  • ডিভাইসটি সক্রিয়ভাবে মনিটর করে এবং কোনো malicious app ইনস্টল হলে এলার্ট দেয়।

৭. Anti-virus Dr.Web Light:

নিজের এন্ড্রয়েড মোবাইলটিকে ভাইরাসমুক্ত রাখতে হলে Dr.Web Light নামের এই ফ্রি এবং ফাস্ট মোবাইল antivirus app-টি ব্যবহার করে দেখতে পারেন। App-টিতে উপলব্ধ on-demand scanning-এর দ্বারা যেকোনো সময় নিজের এন্ড্রয়েড ডিভাইসে ভাইরাস এবং ম্যালওয়্যার গুলোকে খুঁজে বের করা এবং সেগুলোকে ডিলিট/ক্লিন করা সম্ভব। চিন্তা করতে হবেনা, এন্টিভাইরাস অ্যাপটি আপনার মোবাইলে অনেক কম জায়গা এবং রিসোর্সেস গুলো ব্যবহার করে থাকে।

Anti-virus Dr.Web Light-এর সুবিধা এবং বৈশিষ্ট:

  • Free basic anti-virus protection পাবেন।
  • Quick এবং full file system স্ক্যানিং এর অপসন আছে।
  • পছন্দমতো শুধুমাত্র কিছু কাস্টম ফাইল এবং ফোল্ডার স্ক্যান করা যায়।
  • নতুন এবং অচেনা ম্যালওয়্যার গুলোকে ডিটেক্ট করে।
  • Ransomware রিমুভ করতে সাহায্য করে।

৮. Malwarebytes Mobile:

মোবাইল থেকে অটোম্যাটিকভাবে ভাইস ক্লিন করতে চাইলে Malwarebytes Mobile Security নামের অটো ভাইরাস কাটার সফটওয়্যারটি ডাউনলোড করে ব্যবহার করতে পারেন। Malware protection, ভাইরাস রিমুভাল এবং ক্লিন, VPN, এবং এই ধরণের প্রায় প্রতিটি অপসন এবং ফীচার এখানে পাবেন। মোবাইলে লুকিয়ে থাকা হিডেন ম্যালওয়্যার গুলোকে এই এন্টিভাইরাস দ্বারা অনেক সহজেই খুঁজে ডিলিট করা যায়।

Malwarebytes-এর সুবিধা এবং বৈশিষ্ট:

  • আপনার মোবাইল স্লো করেনা।
  • ফ্রীতে ডাউনলোড এবং ব্যবহার করা যায়।
  • মূলত ম্যালওয়্যার এবং র‍্যানসমওয়্যার সুরক্ষাকে প্রধান্য দিয়ে থাকে।
  • মোবাইলের সিকিউরিটি সেটিংস গুলোকে যাচাই করে সেটিংস রিলেটেড টিপস দেয়।
  • ভাইরাস স্ক্যান প্রক্রিয়া অনেক কম সময়ে সম্পূর্ণ করে থাকে।

৯. V3 Mobile Security Anti-Virus:

V3 Mobile Security, একটি ফ্রী এবং শক্তিশালী mobile security app যেখানে আপনার পাবেন ওয়ান টাচ সিকিউরিটি স্ক্যান এর অপশন। ম্যালওয়ের এবং ভাইরাস ডেটেক্ট এবং ক্লিন করার পসাপসী, app lock, hidden gallery, url scan, sms detection-এর মতো নানান অ্যাডভান্স সিকিউরিটি ফিচার গুলো পাবেন।

V3 Security App আপনার মোবাইলে যেকোনো অ্যাপ ইনস্টল হওয়ার আগেই সেটিকে স্ক্যান করে ভালো করে যাচাই করে নেয়। এছাড়া, মোবাইলে আগের থেকে ইনস্টল থাকা অ্যাপ এবং ফাইলস গুলোকে তো স্ক্যান অবশই করবেই।

V3 Mobile Security-এর সুবিধা এবং বৈশিষ্ট:

  • ফ্রীতে মোবাইল ভাইরাসমুক্ত রাখা যায়।
  • App ইনস্টল হওয়ার আগে স্ক্যান করে থাকে।
  • মোবাইলে থাকা অপ্রোজনীও ফাইল, অ্যাপ, স্ক্রিনশট ইত্যাদি ক্লিন করে।
  • অনলাইনে ব্রাউজ করার সময় URL গুলোকে স্ক্যান এবং URL-এর নিরাপত্তা যাচাই করে।
  • App lock এবং hidden gallery-র মতো ফীচার গুলো পাবেন।

মোবাইল থেকে ভাইরাস দূর করার উপায় কি?

আপনি যদি নিজের মোবাইল থেকে ভাইরাস দূর করতে চাইছেন সেক্ষেত্রে আলাদা আলাদা ধাপ এবং নির্দেশাবলী গুলোকে অনুসরণ করতে হবে। চিন্তা করতে হবেনা, নিচে এই বিষয়ে সবটা বলে দেওয়া হয়েছে। বেশিরভাগ ক্ষেত্রে যেকোনো মোবাইলে মূলত ২ ভাবে ভাইরাস প্রবেশ করে থাকে।

প্রথমত, কোনো অ্যাপ্লিকেশন থেকে বা ইন্টারনেট থেকে ডাউনলোড করা কোনো ইনফেক্টেড ফাইল থেকে। তাই, সবচেয়ে আগেই আপনাকে নিজের মোবাইল থেকে প্রত্যেক সন্দেহজনক অ্যাপ্লিকেশন এবং ফাইল গুলোকে ডিলিট করতে হবে।

দ্বিতীয়ত, মোবাইল থেকে ভাইরাস ডিলেট করতে হলে আপনি একটি ভালো মোবাইল ভাইরাস ক্লিনার সফটওয়্যার ব্যবহার করতে হবে। এই ধরণের সফটওয়্যার গুলো আপনার মোবাইলে লুকিয়ে থাকা নানান ধরণের ভাইরাস, ম্যালওয়্যার, অ্যাডওয়্যার, ইত্যাদিগুলো খুঁজে বের করে এবং সেগুলোকে ডিলিট বা কোয়ারেন্টাইন করতে সাহায্য করে।

তৃতীয়ত, যদি ফাইল ডিলিট করে এবং একটি ভালো mobile antivirus app ব্যবহার করার পরেও মোবাইল থেকে ভাইরাস ডিলিট করতে পারছেননা, তাহলে এক্ষেত্রে ফ্যাক্টরি রিসেট (Factory Reset) করে দেখতে পারেন।

মোবাইল ফ্যাক্টরি রিসেট (Factory Reset) করলে, আপনার মোবাইলে থাকা সমস্ত ফাইল, অ্যাপ এবং ক্যাশে গুলো ডিলিট হয়ে যাবে এবং মোবাইলটি নতুন অবস্থায় যেমন ছিল ঠিক সেই অবস্থায় চলে আসবে। এতে মোবাইল থেকে ভাইরাসটিও নিজে নিজে ডিলিট ও ক্লিন হয়ে যাবে।

অবশই পড়ুন: মোবাইল থেকে ডিলিট হয়ে যাওয়া ফটো রিকভার করুন

FAQ’s On – মোবাইলে জন্য অটো ভাইরাস ক্লিনার সফটওয়্যার:

১. একটি ফ্রি এন্টিভাইরাস অ্যাপ কি যথেষ্ট সুরক্ষা দিতে সক্ষম?

প্লে স্টোরে এমন নানান ফ্রি এন্টিভাইরাস সফটওয়্যার উপলব্ধ রয়েছে যেগুলো একটি মোবাইলের জন্য জরুরি বেসিক সুরক্ষা গুলো প্রদান করে থাকে। তবে একটি প্রিমিয়াম এন্টিভাইরাস অ্যাপ বা পেইড সাবস্ক্রিপশন সহ সাধারণত অ্যাডভান্সড এবং সিকিউরিটি অধিক ফীচার গুলো পাওয়া যায়।

২. মোবাইলে এন্টিভাইরাস অ্যাপ ব্যবহার করলে কি অধিক ব্যাটারি খরচ হয়?

কিছু কিছু এন্টিভাইরাস অ্যাপ অবশই মোবাইলের অধিক ব্যাটারি খরচ করে থাকে। তবে আপনি যদি একটি ভালো ও অপ্টিমাইসড সফটওয়্যার ব্যবহার করেন সেক্ষেত্রে সেগুলো তুলনামূলকভাবে অনেক কম ব্যাটারি ব্যবহার ও খরচ করবে।

৩. আমার মোবাইলে ভাইরাস আছে কিনা কিভাবে বুঝবো?

যদি আপনার মোবাইল অনেক স্লো হয়ে গিয়েছে, নিয়মিত হ্যাং হচ্ছে, অদ্ভুত আচরণ দেখা দিচ্ছে এবং মোবাইলে অধিক ইন্টারনেট ডাটা ব্যবহার হচ্ছে, তাহলে হতেপারে আপনার মোবাইলে কোনো ভাইরাস প্রবেশ করেছে। কেননা এগুলো কিন্তু মোবাইলে ভাইরাস থাকার লক্ষণ। এমন মনে হলে আপনি একটি ভালো এন্টিভাইরাস সফটওয়্যার দ্বারা মোবাইলটি স্ক্যান করে দেখতে পারেন।

Leave a Comment

Your email address will not be published. Required fields are marked *

error:
Scroll to Top