9 Ways to Earn Money As a Student: বর্তমান সময়ে যখন প্রায় প্রত্যেকটি জিনিসেরই দাম সাংঘাতিক ভাবে বেড়ে চলেছে, আমরা সবাই কিছু এক্সট্রা টাকা আয় করার উদ্দেশ্যে নানান part-time income উপায় গুলি খুঁজতে বাধ্য।
এমনকি, কলেজে পড়াশোনা করা বেশিরভাগ শিক্ষার্থীরাও পড়াশোনা করার পাশাপাশি কিছু extra income করার বা অতিরিক্ত অর্থ উপার্জনের নানান অনলাইন এবং অফলাইন উভয় উপায় (Online & offline income ways) গুলি ব্যবহার করে থাকেন।
তবে কলেজে পড়াশোনা করা এমন অনেক ছাত্র-ছাত্রীরা রয়েছেন যারা তাদের ব্যক্তিগত খরচ কভার করার জন্য অর্থ উপার্জনের নানান উপায় গুলির সম্পর্কে সচেতন নয়।
আর তাই, আজ আমরা আমাদের এই আর্টিকেলের মধ্যে শিক্ষার্থীদের জন্য থাকা টাকা আয়ের বিভিন্ন অনলাইন এবং অফলাইন উপায় গুলির বিষয়ে আলোচনা করবো।
এমনিতে, উচ্চ শিক্ষার উদ্দেশ্যে টাকা ধার করে নিয়ে অনেক ছাত্রছাত্রীরা নানান শহরে ও দেশ-বিদেশে গিয়ে পড়াশোনা করে থাকেন। প্রতিদিনের হাত খরচের জন্যও তাদের অনেক সমস্যা গুলির মুখোমুখি হতে হয়।
আর তাই, লেখাপড়ার পাশাপাশি আয় করার এই ব্যবহারিক উপায়গুলি এই ধরণের প্রত্যেকজন ছাত্রছাত্রীদের জন্য প্রচুর উপকারী বলে প্রমাণিত হতে পারে।
এর দ্বারা, students-রা নানান online বা offline কাজ গুলি করার মাধ্যমে নিজের জন্য কিছু extra money ইনকাম করতে পারবেন এবং অবশই আর্থিক ভাবে স্বনির্ভর হতে পারে।
আজকের এই আর্টিকেলের মধ্যে আমরা পড়াশোনার পাশাপাশি আয় করার উপায় গুলির বিষয়ে আলোচনা করতে চলেছি। এতে, একজন student হিসেবে আপনিও নিজের খালি সময়ে কাজ করে part-time extra money ইনকাম করতে পারবেন।
পড়াশোনার পাশাপাশি আয় করার উপায় গুলি কি কি? সেরা ৮টি
এই মুহূর্তে স্কুল-কলেজ বন্ধ থাকায় বেশিরভাগ শিক্ষার্থীরা তাদের ঘরে বসেই সময় কাটাচ্ছেন। এছাড়া, অনেক students-রা পড়াশোনা করার পাশাপাশিও প্রচুর খালি সময় পেয়ে থাকেন।
তাই ছাত্র-ছাত্রীদের আমি এমন কিছু সেরা টাকা আয়ের উপায় সম্পর্কে বলতে চাইছি যেগুলি যদি প্যাশনের সাথে করতে পারেন, এক্সট্রা ইনকামের পাশাপাশি ভবিষ্যতে কাজটিকে একটি সফল ক্যারিয়ারেও পরিণত করে নিতে পারবেন।
আজকের এই আর্টিকেলে আমি আপনাদের ছাত্র হিসেবে টাকা ইনকাম করার সেরা ৯টি উপায় গুলির বিষয়ে বলব।
যদি একজন শিক্ষার্থী, আবেগের সাথে এবং সম্পূর্ণ মন দিয়ে কাজ গুলি করতে পারেন, তাহলে ভবিষ্যতে এই কাজ গুলি তাদেরকে একটি সফল ক্যারিয়ার গড়তে সাহায্য করতে পারে।
১. Content Editor/Writer:
Content editing এবং writing, এমন একটি কাজ যা আপনি একজন স্টুডেন্ট হিসেবে অনেক সহজেই পেতে ও করতে পারেন।
প্রযুক্তির উন্নয়ন এবং ইন্টারনেটের ব্যবহার বৃদ্ধির সাথে সাথে আজকাল বেশিরভাগ লোকেরাই ইন্টারনেটে প্রচুর সময় ব্যয় করে থাকেন।
আর তাই, অনলাইনে প্রতিদিন হাজার হাজার নতুন ওয়েবসাইট/ব্লগ গুলি তৈরি করা হচ্ছে এবং সেগুলিতে প্রতিদিন নতুন নতুন কনটেন্ট গুলিও পাবলিশ করা হচ্ছে।
ইন্টারনেটে এমন প্রচুর ওয়েবসাইট গুলি আপনারা পাবেন যেখানে গিয়ে আপনি কেবল কয়েক ঘণ্টার জন্য কন্টেন্ট এডিটিং বা কনটেন্ট লেখার মাধ্যমে ভালো পরিমাণ অর্থ উপার্জন করার সুযোগ পাবেন।
কনটেন্ট রাইটিং এবং এডিটিং এর কাজটি ভালোভাবে করার জন্য, আপনাকে একটি বা একাধিক ভাষায় দক্ষ হতে হবে ৷ মানে, আপনি যেই ভাষায় কনটেন্ট লিখছেন, সেটা বাংলা, ইংরেজি, হিন্দি বা যেকোনো অন্য ভাষা হতে পারে, তবে সেই ভাষায় আপনার দক্ষ হওয়াটা জরুরি।
বর্তমান সময়ে, বেশিরভাগ ব্লগাররা তাদের ব্লগে নিয়মিত আর্টিকেল পাবলিশ করার উদ্দেশ্যে নানান কনটেন্ট রাইটারদের হায়ার করে থাকেন। এবং বেশিরভাগ ব্লগাররাই তাদের সম্পাদকদের কাজটি করার জন্য প্রচুর অর্থ প্রদান করেন।
আর্টিকেল বা কনটেন্ট লেখা নিয়ে আপনার মধ্যে যদি খুব একটা ভালো দক্ষতা বা অভিজ্ঞতা নেই, সেক্ষেত্রে YouTube-এর মতো ভিডিও প্লাটফর্ম গুলিতে গিয়ে কিভাবে একটি সেরা আর্টিকেল লিখতে হয়, সেই বিষয়ে সম্পূর্ণ ফ্রীতেই শিখে নিতে পারবেন।
অবশই পড়ুন: ঘরে বসে লেখালেখি করে আয় করুন এই মাধ্যমে
২. Social Media Assistant:
অনলাইন সোশ্যাল মিডিয়া প্ল্যাটফর্ম গুলির ক্রমবর্ধমান জনপ্রিয়তার সাথে সাথে, এগুলি ছাত্রদের জন্য পড়াশোনার পাশাপাশি অনলাইন ইনকামের একটি দারুন উপায় হয়ে দাঁড়িয়েছে।
সোশ্যাল মিডিয়া অ্যাসিস্ট্যান্ট এর কাজের মধ্যে আপনাকে মূলত বিভিন্ন কোম্পানি গুলির সোশ্যাল মিডিয়া অ্যাকাউন্টের যত্ন নেওয়া, কনটেন্ট পাবলিশ করা, কনটেন্ট তৈরি করার এবং সোশ্যাল মিডিয়া প্রোফাইল গুলি পরিচালনা করার মতো কাজ গুলি করতে হয়।
সোজা ভাবে বললে, আপনি নানান কোম্পানিগুলির টুইটার, ইনস্টাগ্রাম এবং ফেসবুকের মতো social media page/account গুলি পরিচালনা করে ভালো মানের টাকা উপার্জন করতে পারেন।
যদি আপনার কাছে দিনে ৩ থেকে ৪ ঘন্টার খালি সময় থেকে থাকে, তাহলে এই কাজ আপনি নিজের বাড়ি থেকে বা পছন্দমতো যেকোনো জায়গার থেকেই করার স্বাধীনতা পাবেন। আপনার কাছে শুধুমাত্র একটি ল্যাপটপ এবং ইন্টারনেট কানেকশন থাকতে হবে।
এমন অসংখ্য স্টার্টআপ বিজনেস এবং ছোট দোকানের মালিক রয়েছেন, যারা তাদের ফেসবুক বা অন্যান্য সোশ্যাল মিডিয়া পেজ গুলির জনপ্রিয়তা বাড়াতে আলাদাভাবে একজন সোশ্যাল মিডিয়া এসিস্টেন্ট হায়ার করেন এবং উল্লেখযোগ্য পরিমানের অর্থ প্রদান করে থাকেন।
বেশিরভাগ কোম্পানিগুলি, তাদের সোশ্যাল মিডিয়া পেজ গুলি পরিচালনা করার ক্ষেত্রে হায়ার করা সোশ্যাল মিডিয়া বিশেষজ্ঞের প্রতি মাসে প্রায় ১০ থেকে ১৫ হাজার টাকা পর্যন্ত বেতনের প্রস্তাব দিয়ে থাকেন।
তাই, আপনি যদি একজন স্টুডেন্ট, তাহলে একজন social media assistant হিসেবে কাজ করে অনলাইনে এক্সট্রা টাকা ইনকাম করার সুন্দর সুযোগের পাশাপাশি, সোশ্যাল মিডিয়া মার্কেটিং সম্পর্কে সম্পর্কেও অভিজ্ঞতা লাভ করতে পারবেন।
আপনাকে জানিয়ে রাখি যে, ছাত্র-ছাত্রীদের জন্য লেখাপড়ার পাশাপাশি আয় করার এই উপায়টি বর্তমান সময়ে প্রচুর জনপ্রিয়তা লাভ করছে।
অবশই পড়ুন: ব্লগিং করে কত টাকা আয় করা যায়?
৩. Translations Writing:
আপনি যদি একাধিক ভাষা গুলি অনেক ভালো করে পড়তে এবং লিখতে জানেন, তাহলে একজন শিক্ষার্থী হিসেবে পড়াশোনার পাশাপাশি একটি ভাষার থেকে অন্য ভাষায় শব্দ এবং বাক্য গুলি অনুবাদ করেও টাকা ইনকাম করতে পারবেন।
সোজা ভাবে বললে, এক্ষেত্রে অনুবাদের (translation) এর কাজ গুলি আপনাকে করতে হবে।
একজন ট্রান্সলেটর বা অনুবাদক হিসেবে অর্থ উপার্জনের বিভিন্ন উপায় রয়েছে। যেমন ধরুন, আপনি যদি একটি কোম্পানির জন্য ফুল-টাইম হিসেবে কাজ করছেন, সেক্ষেত্রে তারা আপনাকে মাসে মাসে ভাল পরিমান বেতন দিতে পারে।
তবে, আপনি যদি একজন ফ্রিল্যান্সার হিসাবে পার্ট-টাইম ট্রান্সলেশন কাজ গুলি করছেন, তবে আপনি কতটা পরিমানে ট্রান্সলেশন কাজ বা প্রজেক্ট গুলি করছেন বা কতগুলি নিবন্ধ সম্পূর্ণ করেছেন, তার উপর ভিত্তি করে আপনি অর্থ উপার্জন করতে পারেন।
এমনকি, যদি আপনি দিনে কয়েক ঘন্টা বা সপ্তাহে কয়েক দিনও নিয়মিত কাজ করে থাকেন, তাহলে সেক্ষেত্রেও আপনি অনুবাদ করে ভাল পরিমাণ টাকা রোজগার করতে পারেন।
এই কাজের মাধ্যমে আপনি বিভিন্ন সংবাদপত্র বা ম্যাগাজিনের জন্য কাজ করার সুযোগ পেতে পারবেন, যা আপনাকে টাকা ইনকাম করার সুযোগ তো দেবেই এবং পাশাপাশি প্রচুর নতুন নতুন লোকেদের সাথে পেশাগত সম্পর্ক তৈরি করারও অবসর দিতে পারে।
এই ধরণের অনুবাদের কাজ গুলি অনলাইন মাধ্যমে পাওয়ার এবং করার জন্য আপনারা নানান ফ্রিল্যান্সিং ওয়েবসাইট গুলির সাহায্য নিতে পারবেন। এমনিতে, শিক্ষার্থীদের জন্য সেরা ৯টি ফ্রিল্যান্সিং ওয়েবসাইট এর বিষয়ে আমি আগেই আপনাদের বলেছি।
অবশই পড়ুন: Captcha এন্ট্রির কাজ করে সহজেই করুন ইনকাম
৪. Online Teaching:
আপনি যদি পড়াশোনা করা এবং পড়াশোনা শেখানো, উভয় কাজ গুলি করতে পছন্দ করেন এবং বিভিন্ন বিষয় নিয়ে শেখানোর দক্ষতা রাখেন, তাহলে অনলাইন পড়াশোনা করানোর কাজটি আপনার জন্য উপযুক্ত হতে পারে।
প্রযুক্তির অগ্রগতির সাথে সাথে, অনলাইন পড়াশোনা করা এবং শিক্ষাদান, অবিশ্বাস্যভাবে একটি অনেক জনপ্রিয় বিষয় হওয়ার পাশাপাশি এক্ষেত্রে প্রচুর চাহিদায়ও রয়েছে।
তাই, একজন student হিসেবে নিজের খালি সময়ে কাজ করে online part-time income করার এটা কিন্তু আমার হিসেবে একটি অনেক দারুন সুযোগ।
অনলাইনে পড়াশোনা করানোর কাজটিতে আপনাকে ঘন ঘন ভ্রমণ করতে হয়না। এছাড়া, আপনি চাইলে নিজের বাড়ি থেকে শুধুমাত্র একটি ল্যাপটপ এবং ইন্টারনেটের মাধ্যমে কাজ করতে পারবেন।
প্রযুক্তিগত শিক্ষা হোক বা ভাষা-ভিত্তিক শিক্ষা, যেকোনো ধরণের অনলাইন শিক্ষারই বর্তমানে চাহিদা প্রচুর।
অবশই পড়ুন: মেয়েদের ঘরে বসে আয় করার উপায়
৫. Sell photos online:
বর্তমান সময়ে বেশিরভাগ ছাত্র-ছাত্রীরাই কিন্তু নিজেদের মোবাইলে ছবি তুলতে অনেক পছন্দ করেন। তবে ছবি গুলি তুলে নিজের মোবাইলের গ্যালারিতে ফেলে না রেখে সেগুলিকে অনলাইনে বিক্রি করার এই উপায়টি অবশই জেনে রাখুন।
হ্যা, ইন্টারনেটে এমন নানান ওয়েবসাইট গুলি রয়েছে যেগুলিতে আপনি ছবি বিক্রি করে টাকা ইনকাম করতে পারবেন।
তবে এক্ষেত্রে, ভালো ছবি তোলার নিয়ম ও কৌশল গুলি আপনার জানা থাকতে হবে এবং পাশাপাশি হাই কোয়ালিটি ছবি তুলতে হবে। এমন অনেক image selling website গুলি আপনারা পাবেন, যেগুলিতে মোবাইল দিয়েই ছবি আপলোড করে বিক্রি করতে পারবেন।
মানে, ছবি আপলোড করার জন্য একটি কম্পিউটার বা ল্যাপটপের কোনো প্রয়োজন হবেনা।
অনলাইনে ছবি বিক্রি করার জন্য আপনারা এই ওয়েবসাইট গুলি ব্যবহার করতে পারেন, Alamy, Getty Images, Shutterstock, Adobe Stock, 500px, Etsy, Snapped4U, এবং আরো অনেক আছে।
আপনি চাইলে, ফোটোগ্রাফি করার মাধ্যমে অফলাইনেও নানান ভাবে ইনকাম করতে পারবেন। যেমন, বিয়ে বা কোনো ইভেন্ট, জন্মদিন, প্রী-ওয়েডিং ফটো শুট, কোনো ব্যবসা বা ব্লগের জন্য ছবি তোলা ইত্যাদি।
তবে অফলাইনে ফটো শুট করার জন্য আপনার কাছে অবশই একটি DSLR camera থাকতে হয়।
অবশই পড়ুন: মাসে ৫০ হাজার টাকা আয় করার উপায়
৬. Data Entry Jobs:
আপনারা এমন অনেক বিদেশী এবং ভারতীয় কোম্পানি গুলি পেয়ে যাবেন যারা অনলাইন এবং অফলাইন উভয় মাধ্যমে ডেটা এন্ট্রি কাজ গুলি অফার করে থাকেন এবং কাজ গুলি সঠিক ভাবে সম্পূর্ণ করার বিনিময়ে ভালো পরিমাণ অর্থ প্রদান করে থাকেন।
সত্যি বলতে, কলেজে পড়াশোনা করা শিক্ষার্থীরা এই সাধারণ ডাটা এন্ট্রির কাজগুলো করার মাধ্যমে ভালো পরিমাণে পকেট মানি বা এক্সট্রা ইনকাম আয় করতে পারেন।
শুরুতে আপনি ক্যাপচা পূরণ করা বা ফর্মগুলি ফিলআপ করার মতো সাধারণ ডেটা এন্ট্রি কাজগুলির থেকে শুরু করতে পারেন। এক্ষেত্রে আপনি ঘরে বসে কাজ করার বিকল্প সহ নিজের পছন্দমতো যেকোন জায়গার থেকে অনলাইনে ডেটা এন্ট্রির কাজ গুলি করার সুযোগ পাবেন।
প্রাথমিকভাবে, কাজ গুলি করতে খানিকটা অসুবিধা হতে পারে। তবে, ধীরে ধীরে কাজের ধরণ এবং নিয়ম গুলি ভালো করে বুঝে যাবেন।
অনলাইনে ডাটা এন্ট্রি জবস পাওয়ার নানান উপায় গুলি রয়েছে। যেমন, freelancing website, micro jobs website, social media এবং কোম্পানি গুলির অফিসিয়াল ওয়েবসাইট ইত্যাদি।
৭. Graphic designer:
আপনি যদি একটি গ্রাফিক ডিজাইনিং কোর্স করছেন বা ক্যানভা, বা নানান Adobe ক্রিয়েটিভ স্যুট সফটওয়্যার যেমন, ফটোশপ এবং ইলাস্ট্রেটর সম্পর্কে ভালো ধারণা রাখেন, তাহলে অবশই আপনি নিজের পড়াশোনার পাশাপাশি একজন গ্রাফিক ডিজাইনার হিসেবে কাজ করে ভালো পরিমান টাকা আয় করতে পারবেন।
একজন গ্রাফিক ডিজাইনার, নানান ধরণের ডিজিটাল আর্ট তৈরি ও ডিজাইন করার পাশাপাশি গ্রাফিকাল জিনিসগুলিকে সুন্দর করতে ও দেখাতে সাহায্য করে।
যেমন, লোগো, ওয়েবসাইট, টেম্পলেট, পোস্টার, বিজ্ঞাপন কপি ইত্যাদি।
গ্রাফিক ডিজাইনার হিসেবে আপনি বিভিন্ন কোম্পানির সাথে কাজ করে তাদের জন্য আকর্ষণীয় বিজ্ঞাপন কপি তৈরি করতে পারবেন এবং পাশাপাশি নানান ডিজিটাল মিডিয়া গুলি ডিজাইন করার মতো বিষয় গুলিতে তাদের সাহায্য করতে পারবেন।
যদি আপনি পড়াশোনার পাশাপাশি নিজের খালি সময়ে এই কাজটি করতে চাইছেন, সেক্ষেত্রে নানান freelancing platform গুলিতে গিয়ে graphics designing রিলেটেড প্রজেক্ট গুলি খুঁজে সেগুলিতে এপ্লাই করতে পারেন।
Upwork, Freelancer, Fiverr, ইত্যাদি এই ধরণের মার্কেটপ্লেস গুলিতে গিয়ে শুরুতে ছোট ছোট প্রজেক্ট গুলির জন্য এপ্লাই করুন।
এভাবে গ্রাফিক্স ডিজাইনিং রিলেটেড ছোট ছোট প্রজেক্ট গুলি সঠিক ভাবে করার মাধ্যমে আপনি নিজের একটি শক্তিশালী পোর্টফোলিও তৈরি করতে পারবেন।
একবার আপনার পোর্টফোলিও শক্তিশালী হলে ভবিষ্যতে অধিক টাকা চার্জ করে বড় বড় প্রজেক্ট গুলি করতে পারবেন।
অবশই পড়ুন: ১৩+ পার্ট-টাইম অনলাইন জব
৮. Video editor:
নানান শর্ট-ফর্ম ভিডিও গুলি বর্তমান অনলাইন বাজারে একটি অত্যন্ত পছন্দের বিষয় হয়ে দাঁড়িয়েছে। আজ প্রত্যেকেই একটি ব্লগ পোস্ট পড়ার তুলনায় একটি ভিডিও কনটেন্ট দেখতে অধিক বেশি পছন্দ করেন।
আর তাই, বর্তমান সময়ে অনলাইনে প্রচুর পরিমানে ভিডিও কনটেন্ট গুলি নিয়মিত পাবলিশ করা হয়ে থাকে। একজন ছাত্র হিসেবে বিষয়টা আপনার জন্য অবশই পার্ট-টাইম ইনকামের একটি দারুন সুযোগ হয়ে দাঁড়াতে পারে।
কেননা, অনলাইনে ভিডিও কনটেন্ট পাবলিশ করা নানান জনপ্রিয় চ্যানেল এবং পোর্টাল গুলি তাদের ভিডিও এডিটিং রিলেটেড কাজ গুলি করানোর জন্য আলাদা ভাবে একজন দক্ষ ভিডিও এডিটর হায়ার করেন।
এক্ষেত্রে, আপনার যদি Adobe After Effects বা Premiere Pro-এর মতো এডিটিং সফ্টওয়্যারগুলি ব্যবহার করে ভিডিও এডিট করার অভিজ্ঞতা থাকে, তাহলে ভিডিও এডিটিং রিলেটেড প্রচুর রিমোট কাজের সুযোগ অনলাইনে উপলব্ধ রয়েছে।
বর্তমান সময়ে, বিভিন্ন ইন্ডাষ্ট্রিতেই ক্লায়েন্টরা দক্ষ ভিডিও সম্পাদকদের সন্ধান করছে যারা ডিজিটাল মিডিয়া, বিজ্ঞাপন এবং চলচ্চিত্র সহ নানান ধরণের ভিডিও কনটেন্ট গুলি এডিট করার ক্ষমতা রাখেন।
বেশিরভাগ freelance video editors-রা, Upwork-এর মতো freelancing platform গুলিতে কাজ করে প্রতি ঘন্টায় প্রায় $15 থেকে $30 ইনকাম করে নেন।
Upwork, Fiverr এবং Freelancer এর মত ওয়েবসাইট গুলিতে গিয়ে নিজের একটি freelancing একাউন্ট তৈরি করে অনলাইনে ভিডিও এডিটিং রিলেটেড কাজ গুলি খুঁজতে এবং শুরু করতে পারবেন।
এই অনলাইন কাজ গুলির সুবিধা এবং লাভ:
বর্তমান সময়ে বেশিরভাগ লোকেরাই কিন্তু ইন্টারনেট মাধ্যমে নানান অনলাইন কাজ গুলি করতে এবং অনলাইনে টাকা ইনকাম করতে চান। তবে কেন বেশিরভাগ লোকেরা অনলাইন কাজ গুলি খুজেঁ থাকেন এবং তারা অনলাইনেই কাজ করতে আগ্রহী।
১. সময়ে নিয়ে ঝামেলা নেই:
আপনি যদি ফুল-টাইম হিসেবে একটি নির্দিষ্ট জায়গায় কাজ করতে চান, সেক্ষেত্রে আপনাকে প্রতিদিন কমপক্ষে ৮ থেকে ৯ ঘন্টা মতো সেই একই জায়গাতে বসে কাজ করতে হয়। এছাড়া, আপনাকে সঠিক সময়মতো অফিসে পৌঁছাতে হয়।
এক্ষেত্রে আপনি যদি কাজ থেকে ছুটি নিতে চান বা অফিসে পৌঁছতে আপনার দেরি হয়, সেক্ষেত্রে বেতন থেকে কিছু টাকা অবশই কেটে নেওয়া হয়।
কিন্তু, অনলাইন কাজের ক্ষেত্রে এমনটা হয়না। আপনি নিজের পছন্দমতো যেকোনো জায়গার থেকে যেকোনো সময় কাজ করতে পারবেন।
২. স্বাধীন ভাবে কাজ করা যায়:
আপনি যদি কোনো ধরণের চাকরি করছেন বা আপনার একটি পার্ট-টাইম ছোট ব্যবসা রয়েছে, সেক্ষেত্রে আপনাকে প্রতিদিন নিজের কর্মস্থলে যেতেই হবে। তবে, অনলাইন কাজের ক্ষেত্রে আপনাকে এই ধরণের সমস্যাগুলির মুখোমুখি হতে হয়না।
কেননা, এক্ষেত্রে আপনি শুধুমাত্র একটি ল্যাপটপ এবং ইন্টারনেট কানেকশন সহ পছন্দের যেকোনো জায়গাতে বসে স্বাধীন ভাবে নিজের কাজ গুলি করতে পারবেন।
৩. কম খরচ:
যদি আপনি কোনো ধরণের offline ব্যবসা করে থাকেন, সেক্ষেত্রে ব্যবসা শুরু এবং সেটআপ করার জন্য আপনাকে প্রচুর টাকা বিনিয়োগ করতে হয়।
তবে, আপনি যখন অনলাইন মাধ্যমে কাজ করেন, তখন আপনাকে যেকোনো অফলাইন কাজের মতো অফিস স্থাপনের জন্য কোনো ধরণের অর্থ ব্যয় করতে হবে না। বেশিরভাগ অনলাইন ব্যবসা বা কাজ গুলি শুরু করার জন্য আপনার যা দরকার তা হল একটি ল্যাপটপ এবং ইন্টারনেট কানেকশন।
এমনিতে যদি আপনি কোনো অফিসে বা দোকানে গিয়ে পার্ট-টাইম চাকরিও করে থাকেন, সেক্ষেত্রেও পরিবহনের জন্য আপনাকে প্রতিদিন কিছু টাকা অবশই খরচ করতে হয়।
কিন্তু আপনি যদি এমন একটি কাজ করছেন যেটা ঘরে বসবেই শুধুমাত্র একটি কম্পিউটার বা ল্যাপটপের দ্বারা করা যাচ্ছে, সেক্ষেত্রে পরিবহনের জন্য কোনো টাকা আপনার খরচ করতে হয়না।
উপসংহার:
তাহলে বন্ধুরা, যদি আপনি একজন স্টুডেন্ট এবং নিজের ছাত্রজীবনে টাকা ইনকাম করার সেরা উপায় গুলি আপনি খুঁজছেন, সেক্ষেত্রে উপরে বলে দেওয়া প্রত্যেকটি উপায় আপনার কাজে অবশই লাগতে পারে।
পড়াশোনার পাশাপাশি টাকা আয় করার জন্য আপনার কাছে প্রতিদিন ২ থেকে ৪ ঘন্টা ফ্রি টাইম থাকতেই হবে। এতে আপনি, Blogging, Freelancing, Affiliate marketing, Content writing, ইত্যাদির মতো নানান কাজ গুলি করার সময় পেয়ে যাবেন।
তাহলে আশা করছি, আমাদের আজকের আর্টিকেলটি আপনাদের অবশই পছন্দ হয়েছে। পড়াশোনার পাশাপাশি আয় করার উপায় গুলি নিয়ে লিখা আমাদের আজকের আর্টিকেলটি ভালো লেগে থাকলে, এটিকে সোশ্যাল মিডিয়াতে শেয়ার অবশই করবেন।
অবশই পড়ুন:
- মাসে ৩০ হাজার টাকা আয় করার উপায়
- প্রতিদিন ১০০০ টাকা ইনকাম করার ১৪ টি অনলাইন উপায়
- দৈনিক ৪০০-৫০০ টাকা ইনকাম করার জনপ্রিয় উপায়