টাইপিং করে অনলাইনে টাকা ইনকাম করার আসল উপায় – ২০২৪

সত্যি বলতে আজকের এই আধুনিক এবং ডিজিটাল যুগে ঘরে বসে অনলাইন মাধ্যমে টাকা ইনকাম করাটা যতটা সহজ হয়ে দাঁড়িয়েছে এতটা সহজ আগে কখনোই ছিলোনা।

আমি এটা এজন্যেই বলছি কারণ, বর্তমান সময়ে আপনি ফেসবুক থেকে ইনকাম করার থেকে শুরু করে অন্যান্য নানান সোশ্যাল মিডিয়া ওয়েবসাইট গুলো বা সরাসরি গুগল এর মতো জনপ্রিয় প্লাটফর্ম থেকেও অনলাইনে ইনকাম করতে পারবেন। তবে, গুগল থেকে কিভাবে ইনকাম করতে হয় সেই বিষয়ে আমি আগেই আপনাদের বলেছি।

সেভাবেই, টাইপিং এর ক্ষেত্রে যদি আপনার কাছে ভালো দক্ষতা এবং অভিজ্ঞতা আছে সেক্ষেত্রে অনলাইনে টাইপিং করে টাকা ইনকাম করাটাও আপনার জন্য সত্যি অনেক সহজ কাজ হয়ে দাঁড়াতে পারে।

আমাদের আজকের এই আর্টিকেলটি যদি আপনি সম্পূর্ণ ভালোভাবে পড়ে থাকেন, তাহলে টাইপিং করে অনলাইনে ইনকাম করার নিয়ম এবং কৌশলের বিষয়টি সম্পূর্ণ ভালোভাবে এবং স্পষ্টভাবে বুঝে নিতে পারবেন।

মনে রাখবেন, আজকের আর্টিকেলে মোবাইল দিয়ে টাইপিং জব করে ইনকাম করার বিষয়েও আলোচনা করা হয়েছে।  

একজন ফ্রিল্যান্সার, রিটায়ার্ড ব্যক্তি, মহিলা বা জেকেও যে নিজের ঘরে বসে টাইপিং করে কিছু অতিরিক্ত অর্থ উপার্জন করতে চাইছেন, তারা প্রত্যেকেই এই আর্টিকেল থেকে, নানান টাইপিং জব সাইট, টাইপিং কাজের ধরণ, এবং টাইপিং এর কাজ কিভাবে শুরু করবেন, সবটা একে একে বুঝে নিতে পারবেন।

সূচিপত্র:

কেন অনলাইন টাইপিং জব গুলো আপনার জন্য লাভজনক হতে পারে?

টাইপিং করে টাকা ইনকাম
How To Earn Money Typing Online?

টাইপিং জব গুলো অনেকটা ফ্লেক্সিবল এবং জেকেও এই ধরণের কাজ যেকোনো জায়গায় বসে করে নিতে পারবেন। আপনি যদি ফুল-টাইম চাকরি করেন বা এখনো স্কুল-কলেজ পড়ছেন, সেক্ষেত্রেও শুধুমাত্র নিজের ল্যাপটপ বা অনেক ক্ষেত্রে নিজের মোবাইল দিয়ে টাইপিং রিলেটেড নানান জব গুলো আপনি আরামে করতে পারবেন।

ঘরে বসে অনলাইনে কাজ করে মাসে ৩০ থেকে ৪০ হাজার টাকা আয় করার এটা সত্যি একটি অনেক দারুন ও কার্যকর উপায় গুলোর মধ্যে আরেকটি। এছাড়া, বর্তমানে উপলব্ধ বেশিরভাগ টাইপিং জব গুলোতে আপনার টাইপিং করার অভিজ্ঞতা ছাড়া অন্যান্য দক্ষতা বা ডিগ্রী গুলোর প্রয়োজন হয়না। এতে, জেকেও টাইপিং করে টাকা ইনকাম করার ক্ষেত্রে এই জব গুলো করতে পারেন।

টাইপিং করে টাকা ইনকাম করার জন্য কিসের প্রয়োজন হবে?

এমনিতে অনলাইন টাইপিং জবস গুলো করতে তেমন কোনো প্রয়োজনীয়তা গুলোর বিষয়ে আপনাকে ভাবতে হয়না। তবে এক্ষেত্রে আপনার কাছে কিছু বেসিক টুলস, ডিভাইস বা সুবিধা গুলো অবশই থাকতে হবে।

অনলাইনে টাইপিং এর কাজ গুলো করার জন্য সবচেয়ে আগেই আপনার কাছে একটি ল্যাপটপ বা ডেস্কটপ পিসি এবং দ্রুত ইন্টারনেট কানেকশন অবশই থাকতে হবে। হ্যা, কিছু কিছু ক্ষেত্রে নানান টাইপিং জব ওয়েবসাইট গুলো মোবাইল দিয়ে কাজ করে ইনকাম করার সুবিধাও আপনাকে দিতে পারে।

এগুলো ছাড়াও, এই ধরণের টাইপিং এর সাথে জড়িত কাজ গুলো করার ক্ষেত্রে, ভাল টাইপিং স্পিড এবং নির্ভুলতা সব থেকে অধিক গুরুত্বপূর্ণ এবং নজরে রাখা বিষয়। তবে আপনি চাইলে, নানান অনলাইন টাইপিং কোর্স এবং ফ্রি টেস্ট গুলো করার মাধ্যমে নিজের টাইপিং এর দ্রুততা এবং নির্ভুলতার মান উন্নত করতে পারবেন।

অনলাইনে কি কি ধরণের টাইপিং জব গুলো উপলব্ধ রয়েছে?

টাইপিং মানে হলো নিজের কম্পিউটার, ল্যাপটপ বা মোবাইলে থাকা কিপ্যাডে টাইপ করা। আর যখন কথা হচ্ছে টাইপিং করার মাধ্যমে টাকা আয় করার, সেক্ষেত্রে নিজের মোবাইল বা কম্পিউটারের কিবোর্ড/কিপ্যাডে টাইপ করে আমরা নানান মাধ্যমে ইনকাম করতে পারি। চলুন, নিচে সরাসরি একে একে প্রতিটি উপায় গুলোর বিষয়ে জেনেনেই।

টাইপিং জবের প্রকার:কাজের ধরণ:
১. ডাটা এন্ট্রি জববিভিন্ন ধরণের ডাটা গুলো এন্ট্রি করতে হয়।
২. ট্রান্সক্রিপশন জবঅডিও থেকে টেক্সট ফরম্যাটে কনভার্ট।
৩. ফ্রিল্যান্স রাইটিং জবব্লগ, ব্র্যান্ড, ইত্যাদির জন্য কনটেন্ট লেখা।
৪. অনলাইন ট্রান্সলেশন জবএকটি ভাষার কনটেন্ট আরেকটি ভাষায় ট্রান্সলেট করা।
৫. টাইপিং জব সাইটটাইপিং রিলেটেড নানান কাজ করতে হবে।
৬. কপিরাইটিং এর কাজব্র্যান্ড মার্কেটিং বা বিজ্ঞাপনের জন্য কনটেন্ট লেখা।
৭. স্ক্রিপ্ট রাইটিং জবওয়েব সিরিজ, ভিডিও ইত্যাদির স্ক্রিপ্ট লিখতে হবে।
৮. ব্লগিং (Blogging)পছন্দমতো কনটেন্ট লিখে ইনকাম করুন।
৯. ক্যাপচা টাইপিং জবক্যাপচা টাইপ করে আয় করুন।
১০. অনলাইন সার্ভে জবসার্ভে সম্পূর্ণ করে ইনকাম করুন।

চলুন, এবার আমরা উপরে বলে দেওয়া প্রতিটি টাইপিং জব গুলোর প্রকারের বিষয়ে ভালোভাবে জেনেনেই।

১. ডাটা এন্ট্রি জব:

ডাটা এন্ট্রির জব বা কাজ গুলোকে আমরা ডিজিটাল ফাইলিং এর কাজ বলেও বলতে পারি। এটা আসলে এমন একটি কাজ যেখানে আপনাকে ফিজিক্যাল ডকুমেন্ট, ফাইল বা পেপার ইত্যাদির থেকে তথ্য বা ডাটা গুলোকে নিজের কম্পিউটার বা ল্যাপটপে বা অনলাইন ক্লাউড স্টোরেজ টুলস গুলোতে এন্ট্রি করতে হয়।

এক্ষেত্রে, আপনার অফিসে বা ঘরে বড় বড় ক্যাবিনেট গুলোতে ফিজিক্যাল ফাইল গুলো রাখার বিপরীতে কম্পিউটারে থাকা একটি সফটওয়্যার বা টুল ব্যবহার করতে হয়।

এই টাইপিং জবে কিভাবে কাজ করতে হয়?

১. টাইপিং করতে হবে: এক্ষেত্রে আপনাকে একটি ফিজিক্যাল পেপার বা ইমেজ থেকে নানান ধরণের তথ্য গুলোকে পড়তে ও বুঝতে হয় এবং কম্পিউটার সফটওয়্যার বা এডিটিং টুলস গুলোতে টাইপ করতে বা এন্ট্রি করতে হয়। তথ্য বা ডাটা বলতে সে যেকোনো ধরণের তথ্য হতে পারে। যেমন, নাম, নম্বর, ঠিকানা, হিসাব, বা যেকোনো অন্য ধরণের তথ্য।

২. নির্ভুলতা: ডাটা এন্ট্রির কাজ করার ক্ষেত্রে আপনাকে সঠিক ভাবে প্রচুর সাবধানতা এবং নির্ভুলতার সাথে কাজ করতে হয়। কেননা, এক্ষেত্রে আপনার একটি সাধারণ ভুল অনেক বড় সমস্যার কারণ হয়ে দাঁড়াতে পারে।

৩. কোথায় পাবেন এই কাজ: অনলাইনে ডাটা এন্ট্রি জবস লিখে সার্চ করলেই আপনারা এমন প্রচুর ওয়েবসাইট পেয়ে যাবেন যেগুলো নানান ধরণের ডাটা এন্ট্রির কাজ গুলো অফার করে থাকে। তবে আমার হিসেবে, upwork, toptal এবং Fiverr-এর মতো নানান ফ্রিল্যান্সিং সাইট গুলোতে গিয়ে এই ধরণের কাজের খোঁজ করাটাই ভালো হবে।

দেখুন, ডাটা এন্ট্রির কাজে দ্রুততার সাথে টাইপিং করার বিষয়টা জরুরি যদিও এতটা গুরুত্বপূর্ণ না। এক্ষেত্রে, দ্রুততার থেকে অনেক জরুরি বিষয়টা হলো সঠিক ভাবে এবং নির্ভুলতার সাথে কাজ করা।

২. ট্রান্সক্রিপশন টাইপিং জব:

ট্রান্সক্রিপশন হলো এমন এক ধরণের কাজ যেখানে আপনাকে স্পোকেন ল্যাঙ্গুয়েজ বা সোজা ভাবে বলতে হলে নানান অডিও বা ভিডিও ফাইল গুলো শুনে সেগুলোকে লিখিত টেক্সট ফরম্যাটে কনভার্ট করতে হয়। এটা একটি অনেক জনপ্রিয় অনলাইন টাইপিং জব যেটা জেকেও শুরু করতে পারবেন।

ট্রান্সক্রিপশন এর ক্ষেত্রে আপনাকে নানান ধরণের অডিও রেকর্ডিং গুলো শুনতে হয়। যেমন, পডকাস্ট, কোনো ইন্টারভিউ, মিটিং ইত্যাদি। এবার রেকর্ডিং গুলো শুনে সেখানে থাকা কথ্য বিষয়বস্তু গুলো আপনাকে ডিজিটালি টাইপ করতে হবে। এক্ষেত্রে আপনাকে প্রতিটি শব্দ অনেক স্পষ্ট এবং সঠিকভাবে শুনতে এবং টাইপ করতে হবে।

ট্রান্সক্রিপশন টাইপিং জবের কিছু বৈশিষ্ট:

. কাজের স্বাধীনতা:

আপনার কাছে যদি ভালো ইন্টারনেট কানেকশন এবং একটি কম্পিউটার থাকে তাহলে আপনি নিজের ঘর থেকে বা পছন্দমতো যেকোনো অন্য জায়গার থেকেও কাজ করতে পারবেন। এছাড়া, কখন কি হিসেবে কাজ করবেন সেটার স্বাধীনতাও আপনি পাবেন।

২. কাজের চাহিদা:

ট্রান্সক্রিপশন কাজের চাহিদা বর্তমানে প্রচুর রয়েছে এবং ভবিষ্যতে এটা আরো বাড়বে। নানান ব্যবসা, ব্র্যান্ড, কনটেন্ট ক্রিয়েটর, গবেষকরা, বিভিন্ন কারণে এই ট্রান্সক্রিপশন এর কাজ গুলো করিয়ে নিতে চান।

৩. কাজের প্লাটফর্ম গুলো:

বর্তমানে ট্রান্সক্রিপশন এর কাজ গুলো খুঁজে পেতেও আপনাকে এতটা ভাবতে হয়না। কেননা, Rev, TranscribeMe, বা GoTranscript-এর মতো নানান ওয়েবসাইট গুলো অনলাইনে উপলব্ধ রয়েছে যেগুলোতে গিয়ে একটি একাউন্ট তৈরি করে নানান ট্রান্সক্রিপশন জবস গুলো আপনি পেতে পারবেন।

৪. কাজের জন্য কি কি লাগবে?

যা আমি আগেও বলেছি, ট্রান্সক্রিপশন এর কাজ করতে হলে আপনার কাছে একটি কম্পিউটার, ইন্টারনেট কানেকশন এবং একটি হেডফোনের প্রয়োজন হবে। এছাড়া, শোনার দারুন দক্ষতা এবং নির্ভুল ও দ্রুত টাইপিং এর কৌশল গুলিও আপনার মধ্যে থাকতে হবে।

৩. ফ্রিল্যান্স রাইটিং জব:

ফ্রিল্যান্স রাইটার মানে হলো, আপনি একজন রাইটার হিসেবে স্বাধীন ভাবে নিজের পছন্দমতো যেকোনো সময়ে কাজ করতে পারবেন। এক্ষেত্রে মূলত আপনি নানান ক্লায়েন্ট যেমন, ব্র্যান্ড, কোম্পানি, বা ব্লগ/ওয়েবসাইট মালিকের জন্য কনটেন্ট লিখে থাকেন।

এক্ষেত্রে, আপনাকে কোনো কোম্পানির জন্য চিরকাল কাজ করতে হয়না। আপনি শুধুমাত্র প্রজেক্ট গুলো নিয়ে সেগুলো সম্পূর্ণ করা পর্যন্তই সেই কোম্পানি বা ওয়েবসাইটের সাথে কাজ করবেন।

আপনাকে কি ধরণের কনটেন্ট লিখতে হবে?

একজন ফ্রিল্যান্স লেখক হিসেবে আপনি নানান ধরণের কনটেন্ট গুলো লিখতে পারবেন। যেমন, ব্লগ পোস্ট, সোশ্যাল মিডিয়া কনটেন্ট, আর্টিকেল, প্রডাক্ট ডেসক্রিপশন, নিউজ আর্টিকেল, বিজ্ঞাপন, ইত্যাদি।

কনটেন্ট রাইটার হিসেবে কাজ করার সুবিধা?

আপনি দিনে কাজ করবেন না রাতে, পড়াশোনার পাশাপাশি আয় করতে চাইছেন নাকি চাকরির পাশাপাশি, যেকোনো ক্ষেত্রেই নিজের হিসেবে সময় এবং জায়গা সেট করে একজন কনটেন্ট রাইটার হিসেবে কাজ করে ইনকাম করতে পারবেন আপনি।

কোথায় পাবেন কনটেন্ট রাইটিং এর কাজ গুলো?

যদি আপনি ঘরে বসে লেখালেখি করে টাকা ইনকাম করতে চাইছেন, সেক্ষেত্রে একজন কনটেন্ট রাইটার হিসেবে কাজ করার প্রচুর লাভ এবং সুবিধা গুলো রয়েছে।

এবার, যদি আপনার মধ্যে লেখালেখির দারুন দক্ষতা এবং ইন্টারেস্ট যাচ্ছে, তাহলে আপনি নানান Freelancing Website গুলোতে গিয়ে টাইপিং রিলেটেড এই কাজ গুলো খুঁজতে পারেন। Upwork, Fiverr, LinkedIn, Freelancer.com, ইত্যাদি এই সাইট গুলোতে আপনারা কনটেন্ট রাইটিং রিলেটেড প্রচুর কাজ পাবেন।

৪. অনলাইন ট্রান্সলেশন জব:

লেখালেখি বা টাইপিং করে নিয়মিত পার্ট-টাইম বা ফুল-টাইম ইনকাম করার ক্ষেত্রে আরেকটি চাহিদাপূর্ণ অনলাইন কাজ হলো, অনলাইন ট্রান্সলেশন ওয়ার্ক গুলো। এক্ষেত্রে আপনাকে লিখিত বা কথ্য উপাদান/কনটেন্ট গুলোকে একটি ভাষা থেকে আরেকটি ভাষায় অনুবাদ করতে হয়।

মনে রাখতে হবে যে, অনুবাদ করার সময় আপনাকে সেই কনটেন্ট এর অরিজিনাল মানে, ফরম্যাট এবং লেখার ধরণ বা টোন গুলোকে অবশই বজায় রেখে লিখতে হবে। এতে, যেকোনো বই, ব্লগ, ওয়েবসাইট, রিসার্চ পেপার, প্রজেক্ট ইত্যাদি আলাদা আলাদা ভাষায় কথা বলা লোকেদের জন্য উপলব্ধ করানো হয়ে থাকে।

কিভাবে শুরু করবেন অনলাইন ট্রান্সলেশন জব?

  • এই কাজ করার জন্য আপনাকে নিজের দক্ষতাকে উন্নত করতে হবে। এক্ষেত্রে নিয়মিত প্রাকটিস করা আপনার অনেক কাজে লাগবে।
  • শুরুতে নিজে নিজেই নানান বই, আর্টিকেল বা মুভি সাবটাইটেল গুলোকে ট্রান্সলেট করে নিজের দক্ষতাকে উন্নত করুন।
  • আপনি যদি ইংরেজি, বাংলা, হিন্দি, বা যেকোনো একাধিক ভাষায় দক্ষ সেক্ষেত্রে ট্রান্সলেশন এর কাজ অবশই করতে পারবেন।
  • শুরুতে কম টাকা/পেমেন্ট দিচ্ছে এমন ছোট ছোট প্রজেক্ট গুলো সম্পূর্ণ করে নিজের পোর্টফোলিও এবং রেটিং ভালো করতে হবে।
  • Stepes, LinkedIn, Indeed, Upwork, Fiverr, TranslatorsCafe, Gengo, ইত্যাদির মতো সাইট গুলোতে নিজের একাউন্ট তৈরি করে একটি শক্তিশালী ও আকর্ষণীয় প্রোফাইল তৈরি করুন এবং ক্লায়েন্টদের থেকে কাজ নিয়ে নিন।

৫. টাইপিং জব সাইট:

অনলাইনে উপলব্ধ নানান টাইপিং জব ওয়েবসাইট গুলোকে কাজে লাগিয়েও আপনি ঘরে বসে টাইপিং করে অর্থ উপার্জন করতে পারবেন। মনে রাখা দরকার যে, আলাদা আলাদা জবস ওয়েবসাইট গুলোতে আলাদা আলাদা ধরণের টাইপিং কাজ গুলো পাওয়া যেতে পারে। তবে, আপনি শুধুমাত্র সেই কাজ গুলো করা দরকার যেগুলোতে আপনার কিছুটা হলেও রুচি, নলেজ এবং দক্ষতা রয়েছে।

অনলাইনে টাইপিং জব করার জন্য কি কি ধরণের সাইট পাওয়া যাবে?

  • আপনি চাইলে নানান ব্লগ, ওয়েবসাইট, নিউজ কোম্পানি, ইত্যাদির জন্য ব্লগ/আর্টিকেল লিখতে পারবেন।
  • Fiver, Upwork, Indeed, LinkedIn, ইত্যাদির মতো সাধারণ তবে অনেক জনপ্রিয় freelancing site গুলোতেও টাইপিং জব গুলো পাওয়া যাবে।
  • Rev.com এবং TranscribeMe, ইত্যাদির মতো নানান ট্রান্সক্রিপশন পরিষেবা প্রদানকারী সাইট গুলো রয়েছে।
  • Microworkers-এর মতো ওয়েবসাইট গুলোও অনলাইনে পাবেন যেখানে নানান ডাটা এন্ট্রি রিলেটেড টাইপিং ওয়ার্ক গুলো পাবেন।
  • Survey Junkie, Branded Surveys, ইত্যাদির মতো অনলাইন সার্ভে এবং মার্কেট রিসার্চ সাইট গুলোতে পেইড সার্ভের কাজ করে নিয়মিত ইনকাম করতে পারবেন। বিভিন্ন প্রশ্নের উত্তর টাইপ করা এবং নিজের মতামত প্রদান করার মতো কাজ করতে হয়।
  • Freelancer, Guru, এবং PeoplePerHour-এর মতো প্রফেশনাল ফ্রিল্যান্সিং মার্কেটপ্লেস গুলোতে টাইপিং-সম্পর্কিত নানান কাজ গুলো পেয়ে যাবেন।

৬. কপিরাইটিং এর কাজ:

Copywriting-এর কাজ করেও লেখালেখি বা টাইপিং করে নিয়মিত অর্থ উপার্জন করতে পারবেন আপনি। এই কাজে প্রচুর টাকা ইনকাম করার সুযোগ রয়েছে যদিও এক্ষেত্রে প্রয়োজন আছে আকর্ষক এবং টার্গেটেড কনটেন্ট রাইটিং দক্ষতার।

কপিরাইটিং হলো লেখনের এমন একটি প্রক্রিয়া বা ধরণ যেখানে আকর্ষণীয় শব্দ এবং বাক্য গুলো ব্যবহার করে নানান ধরণের পণ্য, পরিষেবা বা ধারণা গুলো প্রচার করার চেষ্টা করা হয়। এক্ষেত্রে, কনটেন্টটি লেখার আসল উদ্দেশ্যটি হয়ে থাকে, কনটেন্ট এর মাধ্যমে গ্রাহকদের আকর্ষণ প্রাপ্ত করা এবং পণ্য ও পরিষেবা গুলোর বিক্রয় বৃদ্ধি করা, এনগেজমেন্ট বাড়ানো ইত্যাদি।

এই copywriting-এর কাজটি আপনার জন্য একটি দারুন এবং লাভজনক ক্যারিয়ার অপসন হয়ে দাঁড়াতে পারে। বড় বড় কোম্পানিদের সাথে ফুল-টাইম হিসেবে কাজ করার পাশাপাশি, পার্ট-টাইম ফ্রিল্যান্সিং কাজ হিসেবেও এই কাজ করা যেতে পারে।

কপিরাইটিং এর কাজে কি ধরণের কনটেন্ট তৈরি করা হয়?

কপিরাইটিং এর কাজের মধ্যে নানান ধরণের কনটেন্ট তৈরি করার প্রক্রিয়া জড়িত থাকতে পারে। এদের মধ্যে কিছু কপিরাইটিং কাজ গুলোর বিষয়ে নিচে বলে দেওয়া হয়েছে।

  • যেকোনো ওয়েবসাইটের জন্য, এবাউট পেজ, প্রডাক্ট পেজ, হোম পেজ, ইত্যাদির মতো নানান টপ লেভেল পেজ গুলোর জন্য কনটেন্ট তৈরি করা। এই প্রক্রিয়াটিকে আবার ওয়েবসাইট কপি বলেও বলা যেতে পারে।
  • নানান ব্র্যান্ড, কোম্পানি বা সংগঠন গুলোর সোশ্যাল মিডিয়া পোস্ট তৈরি করা।
  • ইমেইল মার্কেটিং এর জন্য কনটেন্ট কপি বা ক্যাম্পেইন তৈরি করা।
  • Google Ads এবং Facebook Ads-এর মতো বিজ্ঞাপন গুলোর জন্য এড কপি তৈরি করা।
  • যেকোনো পণ্য বা পরিষেবার সেলস পেজ গুলোর জন্য কনটেন্ট তৈরি করা।
  • Blog post এবং product description গুলো তৈরি করা।

মনে রাখা দরকার যে, কপিরাইটিং এর কাজে সফলতা পাওয়ার ক্ষেত্রে বা কার্যকর কপিরাইটিং কনটেন্ট কপি তৈরি করার ক্ষেত্রে আপনাকে নিজের টার্গেটেড শ্রোতাদের অনেক ভালোভাবে বুঝতে হবে। এছাড়া, আপনাকে নিয়মিত নিজের কপিরাইটিং রিলেটেড দক্ষতা গুলোকে উন্নত করতে থাকতে শিখতে হবে।

৭. স্ক্রিপ্ট রাইটিং জব:

টিভিতে যে সিনেমা বা সিরিয়েল দেখছেন বা ইউটিউবে যে ভিডিও গুলো দেখছেন সেগুলো দেখতে এতটা ভালো লাগে কেন বলুনতো? এতোটা সাজানো গুছানো ডায়লগ এবং এপিসোড গুলো কিভাবে লোকেদের দেখানো হচ্ছে? একবার ভেবে দেখেছেন?

আসলে এক্ষেত্রে এই স্ক্রিপ্ট রাইটিং জব বা কাজ গুলোর প্রচুর অবদান বা গুরুত্ব রয়েছে। একটি দারুন, আকর্ষণীয় এবং সেরা স্ক্রিপ্ট তৈরি করা থাকলে যেকোনো ধরণের মিডিয়া কনটেন্ট (ইউটিউবের ভিডিও, পডকাস্ট, কমার্শিয়াল ভিডিও/বিজ্ঞাপন) গুলোকে অনেক সহজে এবং সাজিয়ে গুছিয়ে তৈরি করা যেতে পারে।

আর যদি আপনি একজন স্ক্রিপ্ট রাইটার হিসেবে কাজ করতে চাইছেন, তাহলে সেক্ষেত্রে আপনাকে ভিডিও/কনটেন্ট এর ডায়লগ লেখা, সিন এর বিবরণ, অভিনেতারা কখন কি বলবে, এই সব বিষয়গুলো আপনাকে দেখতে ও তৈরি করতে হবে।

স্ক্রিপ্ট লিখে কিভাবে ইনকাম করবেন?

আপনার মধ্যে যদি স্ক্রিপ্ট লেখার কৌশল গুলো আছে, যথেষ্ট ক্রিয়েটিভ হয়ে স্ক্রিপ্ট গুলো লিখতে জানেন, তাহলে অবশই নানান উপায় গুলোকে কাজে লাগিয়ে এই কাজ থেকে ইনকাম করতে পারবেন।

১. ইউটিউব চ্যানেলের সাথে কাজ:

এডুকেশন, কমেডি, গেমিং, টিউটোরিয়াল, ইত্যাদি যেকোনো ধরণের টপিক নিয়ে তৈরি নানান ইউটিউবের চ্যানেল গুলো যাচ্ছে যারা ভিডিও তৈরি করার জন্য আগে একটি ভালো স্ক্রিপ্ট তৈরি করে নিতে চান।

শুরুতে এই কাজ চ্যানেলের মালিকেরা নিজেই করেন যদিও খানিকটা জনপ্রিয়তা লাভ করার পর দক্ষ ফ্রিল্যান্সারদের দিয়ে এই কাজ গুলো করানো হয়। এক্ষেত্রে আপনিও নানান ইউটিউব নির্মাতাদের সাথে সহযোগিতা করে আপনার স্ক্রিপ্ট রাইটিং পরিষেবাগুলি তাদেরকে অফার করতে পারেন।

২. ফ্রিল্যান্স প্ল্যাটফর্ম:

যদি আপনি একজন ফ্রিল্যান্স স্ক্রিপ্ট লেখক হিসেবে কাজ করে এই টাইপিং কাজ থেকে টাকা ইনকাম করতে চান, সেক্ষেত্রে ব্যবহার করতে পারবেন নানান ফ্রিল্যান্সিং প্লাটফর্ম গুলো। Upwork, LinkedIn, ইত্যাদি এই ধরণের সাইট গুলোতে ক্লিনেটরা নিজের থেকেই স্ক্রিপ্ট রাইটিং রিলেটেড নানান কাজ গুলোকে অফার করে থাকেন।

৮. ব্লগিং (Blogging)

টাইপিং করে বা লেখালেখি করার মাধ্যমে অনলাইনে নিজের ঘরে বসে টাকা ইনকাম করার ক্ষেত্রে ব্লগিং আমার সব থেকে প্রিয় এবং বাঞ্ছনীয় একটি চয়েস। এক্ষেত্রে আপনি কোনো ধরনের ডিপোজিট ছাড়া ইনকাম করতে পারবেন। গত ৫ বছর ধরে আমি নিজেই ব্লগিং করে নিয়মিত ইনকাম করে চলেছি।

আসলে একটি ব্লগ হলো আপনার অনলাইন ওয়েবসাইট বা ওয়েবপেজ যেখানে আপনি আপনার সমস্ত চিন্তাভাবনা, দক্ষতা এবং অভিজ্ঞতা গুলোকে লিখে পাবলিশ করতে পারবেন।

যিহেতু, আপনার ব্লগ সাইটটি অনলাইন মাধ্যমে জেকেও যেকোনো সময় একটি ওয়েব ব্রাউজার এর সাহায্যে এক্সেস করতে পারবেন, তাই আপনার ব্লগ সাইটে যেকোনো দেশ বা যেকোনো জায়গা থেকেই ভিসিটর্সরা প্রবেশ করে আপনার পাবলিশ করা কনটেন্ট গুলো পড়তে পারবেন। ভ্রমণ, রান্না, ফ্যাশন, টিউটোরিয়াল, শিক্ষা, অর্থ, ইত্যাদি যেকোনো বিষয়েই কনটেন্ট লিখতে ও নিজের ব্লগ সাইটে পাবলিশ করতে পারবেন।

কিভাবে ব্লগ থেকে ইনকাম করবেন?

একবার যখন আপনার ব্লগ সাইটে প্রচুর ভিসিটর্সরা প্রতিদিন আসতে শুরু করবে, আপনি এবার নানান মাধ্যমে নিজের ব্লগ থেকে নিয়মিত বা আবার অনেক সময় প্যাসিভ ইনকামও করতে পারবেন।

  • ব্লগে নানান ধরণের বিজ্ঞাপন দেখিয়ে ইনকাম করতে পারবেন। লোকেরা যখন বিজ্ঞাপন গুলো দেখবেন বা সেগুলোতে ক্লিক করবেন, আপনি টাকা আয় করবেন।
  • অন্যান্য কোম্পানি/ব্র্যান্ড গুলোর পণ্য এবং পরিষেবা গুলো প্রচার করে এফিলিয়েট মার্কেটিং এর মাধ্যমে ইনকাম করা যায়।
  • নানান কোম্পানি এবং ব্র্যান্ড গুলোর সাথে চুক্তি করে তাদের পণ্যের বিষয়ে পেইড বা স্পন্সরড রিভিউ/কনটেন্ট লিখে ইনকাম করা যায়।
  • ই-বুক, ডিজিটাল প্রডাক্ট, নিজের কোনো কোর্স ইত্যাদি নিজের ব্লগের মাধ্যমে অনলাইনে বিক্রি করতে পারবেন।
  • এছাড়া, আরো নানান উপায় গুলো আছে যেগুলোকে কাজে লাগিয়ে একটি ব্লগ থেকে টাকা আয় করা যেতে পারে।

নিজের কম্পিউটারে বা ল্যাপটপে আবার অনেক ক্ষেত্রে মোবাইল দিয়েও টাইপিং করে ইনকাম করার ক্ষেত্রে ব্লগিং এর বিষয়টা আমি এজন্যই বলেছি, কেননা, নিজের ব্লগ থেকে ইনকাম করার ক্ষেত্রেও আপনাকে প্রচুর আর্টিকেল গুলো লিখতে হবে।

আর আর্টিকেল লিখার ক্ষেত্রে টাইপিং তো আপনাকে করতেই হয়। তাই, সরাসরি না হলেও ব্লগিং করে ইনকাম করার ক্ষেত্রেও টাইপিং করেই কিন্তু আপনি টাকা আয় করতে পারছেন।

৯. ক্যাপচা টাইপিং জব:

যদি আপনি কোনো ধরণের আর্টিকেল বা স্ক্রিপ্ট না লিখে সরাসরি টাইপিং করে টাকা আয় করতে চাইছেন সেক্ষেত্রে আপনারা ব্যবহার করতে পারবেন নানান ক্যাপচা টাইপিং জব সাইট গুলির। এমনিতে, ক্যাপচা পূরণ করে ইনকাম করার বিষয়টা নিয়ে আমি আগেই একটি সম্পূর্ণ বিস্তারিত আর্টিকেল লিখে রেখেছি। অধিক জানার জন্য এই আর্টিকেলটি অবশই পড়ুন।

ক্যাপচা হলো সেই distorted letters, numbers, বা images গুলো যেগুলো নানান ওয়েবসাইটে প্রবেশ করার সময় এবং বেশিরভাগ ক্ষেত্রে অনলাইনে কোনো ধরণের ফর্ম ফিলাপ বা একাউন্ট লগইন করার সময় আমাদের দেখানো হয়। এখন প্রশ্ন হচ্ছে, এই ক্যাপচা কোড বা নম্বর গুলো টাইপ করার জন্য ইনকাম কিভাবে হবে?

ক্যাপচা টাইপিং কাজ করে কিভাবে ইনকাম করবেন?

ক্যাপচা এন্ট্রি/টাইপিং এর কাজ করে ইনকাম করার জন্য আপনাকে নিচে বলে দেওয়া এই পয়েন্ট গুলোকে অনুসরণ করতে হবে।

মনে রাখবেন, বেশিরভাগ ক্যাপচা টাইপিং জব গুলোতে আপনারা মোটামোটি প্রতি ঘন্টায় প্রায় $2 থেকে $5 মতো ইনকাম করে নিতে পারবেন। তবে আপনার ইনকামের পরিমান আপনার টাইপিং স্পিড এবং নির্ভুলতার উপর সম্পূর্ণভাবে নির্ভর করে থাকে।

SolveCaptcha, Captcha Typers, এবং 2CAPTCHA-এর মতো নানান paid captcha solving jobs সাইট গুলো পেয়ে যাবেন। এই সাইট গুলোতে গিয়ে নিজের একটি ফ্রি একাউন্ট তৈরি করেই আপনি কাজ শুরু করতে পারবেন।

মনে রাখবেন, ওয়েবসাইট গুলোতে গিয়ে আপনারা আলাদা আলাদা ধরণের ক্যাপচা গুলোকে পূরণ করে প্রতি ১০০০ টি ক্যাপচা পূরণের জন্য প্রায় $0.5 থেকে $3 ইনকাম করে নিতে পারবেন।

এই কাজটিকে আপনারা Home data entry work হিসেবে নিয়েও কাজ করতে পারবেন। এছাড়া, যদি আপনি মোবাইল দিয়ে টাইপিং জব করতে চাইছেন, সেক্ষেত্রেও ক্যাপচা টাইপিং জব গুলো আপনি করতে পারেন।

১০. অনলাইন সার্ভে জব:

অনলাইন পেইড সার্ভে সম্পূর্ণ করে ইনকাম করার বিষয়টাও আমি আলাদা ভাবে একটি আর্টিকেলে আলোচনা করেছি।

আসলে সার্ভে সম্পূর্ণ করার এই অনলাইন কাজ গুলোতে আপনাকে নানান ব্র্যান্ড, পণ্য, কোম্পানি, ইত্যাদির বিষয়ে নিজের মতামত গুলো শেয়ার করতে হয়। এক্ষেত্রে প্রতিটি সার্ভে সঠিকভাবে সম্পূর্ণ করার পর আপনাকে কিছু টাকা রিওয়ার্ড হিসেবে দেওয়া হয়।

কাজটি লেখালেখির সাথে জড়িত যদিও এখানে আপনি যতগুলো উত্তর টাইপ করবেন ততটাই অধিক রিওয়ার্ড ইনকাম করার সুযোগ পাবেন। সার্ভে সম্পূর্ণ করে অধিক টাকা আয় করার ক্ষেত্রে আপনি একাধিক survey website গুলোতে গিয়ে নিজের ফ্রি একাউন্ট তৈরি করে নিতে পারেন।

Swagbucks, ySense, Opinion Outpost, ইত্যাদি এই ধরণের নানান ওয়েবসাইট গুলো অনলাইনে উপলব্ধ রয়েছে যেগুলোতে গিয়ে সার্ভে সম্পূর্ণ করার কাজ গুলো করে নিয়মিত টাকা আয় করা যেতে পারে।

সেরা কয়েকটি টাইপিং জবের সাইট যেগুলো সত্যি কার্যকর:  

টাইপিং করে অনলাইনে ইনকাম করার জন্য এমনিতে নানান ধরণের ওয়েবসাইট গুলো আপনারা ব্যবহার করতে পারেন। তবে এক্ষেত্রে, আপনি কি ধরণের কাজ গুলো করতে আগ্রহী সেটা মাথায় রেখে আলাদা আলাদা ওয়েবসাইট গুলো ব্যবহার করতে হবে।

যেমন ধরুন, যদি আপনি ট্রান্সক্রিপশন রিলেটেড কাজ গুলো করতে পছন্দ করেন, সেক্ষেত্রে আপনাকে TranscribeMe, Scribie বা নানান freelancing job site গুলো ব্যবহার করতে হয়। আবার, যদি আপনি যেকোনো ধরণেরই টাইপিং জব গুলো করতে আগ্রহী, সেক্ষেত্রে Clickworker-এর মতো প্লাটফমর ব্যবহার করতে পারেন।

১. Clickworker: এখানে ডাটা এন্ট্রির মতো নানান ছোট-বড় টাইপিং জব গুলো পাবেন।

২. Rev: এটা একটি অনেক জনপ্রিয় এবং বিখ্যাত প্লাটফর্ম যেখানে ট্রান্সক্রিপশন রিলেটেড কাজ পাওয়া যাবে।

৩. TranscribeMe: এটাও একটি অনেক পপুলার প্লাটফর্ম যেখানে ট্রান্সক্রিপশন রিলেটেড টাইপিং জব গুলো পাওয়া যাবে।

৪. Upwork: এই সেরা freelancing marketplace-এর মধ্যে কনটেন্ট রাইটিং, কপিরাইটিং, ট্রান্সলেশন রিলেটেড জব পাবেন।

৫. Babbletype: এখানে ট্রান্সক্রিপশন এবং ট্রান্সলেশন এর কাজের জন্য এপ্লাই করতে পারবেন।

৬. Fiverr.com: এটা একটি অনেক জনপ্রিয় ফ্রীল্যান্কিং প্লাটফর্ম যেখানে টাইপিং রিলেটেড প্রচুর কাজ পাবেন।

৭. 2Captcha: ক্যাপচা টাইপিং করে ইনকাম করার সুযোগ দেওয়া হয় এই সাইটে।

৮. ySense: অনলাইনে পেইড সার্ভে গুলো সম্পূর্ণ করে ইনকাম করার সুযোগ দেওয়া হয়।

ইন্টারনেটে আপনারা টাইপিং রিলেটেড অন্যান্য নানান কাজ/জব বা জব সাইট গুলো পেয়ে যাবেন।

মোবাইল দিয়ে কি এই টাইপিং জব গুলো করা যাবে? 

মোবাইল দিয়ে করা যাবে এমন নানান টাইপিং জব গুলো করার মাধ্যমে আপনি যেকোনো জায়গায় বসে যেকোনো সময় পার্ট-টাইম অর্থ উপার্জন করে নিতে পারবেন।

এমনিতে, বেশিরভাগ টাইপিং জব গুলো করার ক্ষেত্রে একটি ল্যাপটপ বা কম্পিউটার থাকলে সেটা কাজটি করতে আপনাকে নানান ভাবে সাহায্য করতে পারে।

তবে, যদি আপনার কাছে কম্পিউটার বা ল্যাপটপ নেই, সেক্ষেত্রে আপনি data entry, transcription, translation, script-writing এবং content writing-এর মতো টাইপিং কাজ গুলো নিজের মোবাইল/স্মার্টফোন দিয়ে করতে পারবেন। এক্ষেত্রে, একটি স্ট্যাবল ইন্টারনেট কানেকশন এবং সাধারণ টাইপিং দক্ষতা থাকলেই যথেষ্ট।

অনলাইন টাইপিং জব সাইট গুলোকে কি ট্রাস্ট করা যেতে পারে? 

এমনিতে ইন্টারনেটে ভালো খারাপ দুধরণেরই টাইপিং জব ওয়েবসাইট গুলো উপলব্ধ রয়েছে, তবে যেকোনো ওয়েবসাইটে কাজ করার আগে সেই ওয়েবসাইটের বিষয়ে খানিকটা রিসার্চ অবশই করে নিবেন। ওয়েবসাইটটি কতটা পুরোনো, নিয়মিত পেমেন্ট করছে কি না, ওয়েবসাইটের বিষয়ে অন্যান্য লোকেরা কি ধরণের রিভিউ দিচ্ছে, এই বিষয় গুলো জানা থাকলে আপনি নিশ্চিন্তে কাজ করতে পারবেন।

এমনিতে,  FlexJobsUpworkFreelancer, Fiverr, LinkedIn, এই ধরণের ওয়েবসাইট গুলো অবশই সেফ এবং ট্রাস্টেড। এছাড়া, অন্যান্য নানান অনলাইন ডাটা এন্ট্রি, কনটেন্ট রাইটিং, ট্রান্সলেশন, ইত্যাদির সাথে জড়িত কাজ প্রদানকারী ওয়েবসাইট গুলো পাবেন যেগুলোর বিষয়ে ভালো ভাবে যাচাই করে তারপর অবশই ব্যবহার করা যেতে পারে।

FAQ:  

১. টাইপিং করে অনলাইনে কিভাবে টাকা ইনকাম করা যেতে পারে? 

টাইপিং করে টাকা আয় করার জন্য আপনার কাছে টাইপিং এর বেসিক দক্ষতাগুলো অবশই থাকতে হবে। এবার, অনলাইনে উপলব্ধ নানান freelancing website এবং typing jobs website গুলোতে গিয়ে নানান ধরণের টাইপিং রিলেটেড কাজ গুলো করে ইনকাম করতে পারবেন। যেমন, কনটেন্ট রাইটিং, ট্রান্সলেশন এর কাজ, স্ক্রিপ্ট-রাইটিং, ডাটা এন্ট্রির কাজ।

২. মোবাইল দিয়ে টাইপিং জব করার সুবিধা আছে কি? 

আপনি চাইলে নিজের মোবাইল দিয়েও নানান টাইপিং কাজ গুলো করতে পারবেন। যেমন ধরুন, সার্ভে সম্পূর্ণ করার কাজ, ক্যাপচা এন্ট্রির কাজ, ডাটা এন্ট্রি, কনটেন্ট রাইটিং, ইত্যাদি।

৩. অনলাইন টাইপিং জব ওয়েবসাইট গুলো কি নিরাপদ? 

অনলাইনে উপলব্ধ প্রত্যেকটি জব ওয়েবসাইট যে নিরাপদ সেটা কখনোই বলা যেতে পারেনা। কেননা, অনলাইনে ভালো এবং পাশাপাশি নানান ফেক জব ওয়েবসাইট গুলোও আপনারা পাবেন। তাই, যেকোনো ওয়েবসাইটে কাজ করার আগে সেই ওয়েবসাইটের বিষয়ে ভালোভাবে রিসার্চ অবশই করে নিবেন।

Leave a Comment

Your email address will not be published. Required fields are marked *

error:
Scroll to Top