ফ্রিল্যান্সিং করে প্রতি মাসে কত টাকা আয় করা যেতে পারে?

একজন ফ্রিল্যান্সার এর মাসিক আয় কত? ফ্রিল্যান্সিং করে প্রতি মাসে লাখ টাকা আয় করাটা কি সম্ভব? যদি আপনিও ফ্রিল্যান্সিং এর দুনিয়াতে নতুন করে পা রাখতে চলেছেন তাহলে এই প্রশ্নগুলি আপনার মাথায়ও হয়তো ঘুরছে।

একজন ফ্রিল্যান্সার এর মাসিক আয় কত
ফ্রিল্যান্সিং করে মাসে কত টাকা আয় করা যায়?

আসলে সত্যি কথা বলতে গেলে, ফ্রিল্যান্সিং করে মাসে আনলিমিটেড টাকা ইনকাম করা যেতে পারে। আর সেভাবেই, এই প্রফেশন থেকে মাসে মাসে লাখ টাকা আয় করাটাও কিন্তু সম্ভব।

কনটেন্ট রাইটিং, গ্রাফিক্স ডিজাইনিং ইত্যাদি এমন নানান স্কিল গুলি রয়েছে যেগুলিকে কাজে লাগিয়ে ফ্রিল্যান্সাররা বর্তমানে প্রচুর টাকা ইনকাম করে নিতে পারছেন। তবে, ফ্রিল্যান্সিং করে মাসে কত টাকা আয় করা যাবে সেটা মূলত আলাদা আলাদা বিষয় গুলির উপর নির্ভর করে থাকে। 

মনে রাখবেন, ফ্রিল্যান্সিং করে টাকা ইনকাম করার জন্য আপনাকে সবচে আগেই আপনার মধ্যে থাকা সেই প্রত্যেকটি কৌশল বা স্কিল গুলির উপর ফোকাস করতে হবে যেগুলিতে আপনার দারুন দক্ষতা এবং অভিজ্ঞতা রয়েছে। 

Key Takeaways:

  • Marketing, technology, এবং finance-এর মতো ইন্ডাস্ট্রি গুলিতে ১ লক্ষ টাকা ইনকামের সুযোগ থাকে।
  • নিজের মধ্যে থাকা দক্ষতা গুলিকে খুঁজে বের করুন এবং পাশাপাশি নিজের পার্সোনাল ব্র্যান্ড তৈরি করুন।
  • নিজের একটি ভালো ছবি বা ব্র্যান্ড তৈরি করতে পারলে high-paying-clients-দের মনোযোগ আকর্ষণ করা যাবে।
  • নিজের একটি ফ্রিল্যান্সিং অ্যাকাউন্ট তৈরি করে প্রোফাইল সেটআপ করুন।
  • টাইম ম্যানেজমেন্ট, প্যাসিভ ইনকাম স্ট্রিম এবং একটি শক্তিশালী রেফারেল নেটওয়ার্ক আপনার ফ্রিল্যান্স ইনকাম অবশই বাড়াতে পারে।

ফ্রিল্যান্সিং করে ইনকাম করার বিষয়টা বুঝুন:

বিশ্বজুড়ে প্রচুর ছাত্রছাত্রীরা বা মহিলারা ফ্রিল্যান্সার হিসেবে কাজ পাচ্ছেন এবং করছেন। একজন ফ্রিল্যান্সার হিসেবে আজ অধিক লোকেরা অধিক পরিমানে কাজ অনলাইন মাধ্যমে খুঁজে পাচ্ছেন। কেননা, অনলাইন মাধ্যমে কাজ খোঁজার এবং করার এই উপায় আমাদের প্রচুর টাকা ইনকাম করার সুযোগ অবশই দিয়ে থাকে।

ফ্রিল্যান্সিং সেই ব্যক্তিদের জন্য সত্যি সেরা একটি বিকল্প যারা নিজেই নিজের মালিক হয়ে নিজের দক্ষতা এবং কৌশল গুলিকে কাজে লাগিয়ে টাকা ইনকাম করতে চান।

বর্তমান সময়ে এমন ব্যবসা এবং ব্যবসায়ীদের সংখ্যা তীব্র গতিতে বাড়ছে যারা ফুল-টাইম কর্মীদের নিয়োগ না করে ব্যবসার সাথে জড়িত নানান ছোট বড় কাজ গুলি সম্পন্ন করার জন্য ফ্রিল্যান্সারদের দিকে ঝুঁকছেন। এটাই কারণ যার জন্যে নানান ফ্রিল্যান্সিং কাজ গুলির চাহিদা দিনের পর দিন বেড়েই চলেছে।

বিশেষ করে যা আমি উপরেও বলেছি, marketing, tech, finance, এবং নানান creative work গুলির চাহিদা ফ্রিল্যান্স জগতে সাংঘাতির বেড়েছে। তাই, যদি আপনিও নিজের পছন্দমতো Freelancing কাজ গুলি করে ঘরে বসে অনলাইনে নিয়মিত ইনকাম করতে চাইছেন, তাহলে ফ্রিল্যান্সিং আপনার জন্যেও হয়ে দাঁড়াতে পারে একটি লাভজনক ইনকামের রাস্তা।

অবশই পড়ুনফ্রিল্যান্সিং কাজ কিভাবে শিখবো এবং শুরু করবো? (২০২৪)

ফ্রিল্যান্সিং করে মাসে মোটামোটি কত টাকা আয় করা যেতে পারে?

দেশ, শহর, সমাজ এবং বিশ্বের উন্নয়ন এবং পরিবর্তনের সাথে সাথে আমাদের কাজের ধরণের মধ্যেও প্রচুর পরিবর্তন চলে এসেছে। এতে, যারা তাদের কাজ বা কেরিয়ারে অধিক নমনীয়তা এবং স্বাধীনতা পেতে চাইছেন তাদের জন্য ফ্রিল্যান্সিং অবশই একটি অনেক জনপ্রিয় বিকল্প হয়ে উঠেছে।

কিন্তু আসল প্রশ্ন এটাই যে, একজন ফ্রিল্যান্সার মাসিক কত টাকা আয় করেন? ফ্রিল্যান্সিং কেরিয়ারে মাসে কত টাকা আয় করা যেতে পারে? আসলে সত্যি বললে, একজন ফ্রিল্যান্সারের মাসিক আয় বিভিন্ন আলাদা আলাদা কারণের উপর নির্ভর করে ব্যাপকভাবে পরিবর্তিত হতে পারে।

এক্ষেত্রে সবথেকে অধিক গুরুত্বপূর্ণ বিষয়টি হলো, আপনার বেছে নেওয়া কাজের ইন্ডাস্ট্রিটি।প্রোগ্রামিং, ডিজাইন বা কনটেন্ট লেখক এর মতো নানান ইন্ডাস্ট্রি গুলি রয়েছে যেগুলিতে administrative বা customer service-এর মতো জব রোল বা ইন্ডাস্ট্রি গুলির তুলনায় উচ্চতর হারে অর্থ প্রদান করা হয়।

তবে মনে রাখা দরকার যে, একজন ফ্রিল্যান্সার হিসেবে আপনি কতটা পারিশ্রমিক পেতে পারেন সেটা কিন্তু সম্পূর্ণ ভাবে আপনার স্কিল বা কৌশলের উপর নির্ভর করছে, সে যেই ইন্ডাস্ট্রি হোক না কেন।

যদি আপনি একজন নতুন ফ্রিল্যান্সার হয়ে থাকেন সেক্ষেত্রে আপনার কাছে কাজের তেমন অভিজ্ঞতা থাকবেনা, পাশাপাশি প্রমাণিত ট্র্যাক রেকর্ড এবং একটি শক্তিশালী পোর্টফোলিও আপনার কাছে থাকা সম্ভব না। এক্ষেত্রে, অভিজ্ঞ এবং পেশাদার ফ্রিল্যান্সাররা প্রিমিয়াম হার চার্জ করেও প্রাথমিকভাবে ক্লায়েন্টদের আকৃষ্ট করে নিতে পারেন।

তাই, একজন নতুন ফ্রিল্যান্সার হিসেবে আপনাকে শুরুতে অনেক কম টাকা চার্জ করে ক্লায়েন্টদের আকর্ষিত করতে হবে।

শেষে, সম্পূর্ণ মাসের মধ্যে আপনি কতগুলি ফ্রিল্যান্সিং কাজ বা প্রজেক্ট গুলি করেছেন, সেটার উপরেও আপনার ফ্রিল্যান্সিং ইনকাম নির্ভর করে থাকে। এমন অনেক ফ্রিল্যান্সাররা আছেন যারা কাজের চাপ কম রাখার উদ্দেশ্যে একেবারে সীমিত ফ্রিল্যান্সিং প্রজেক্ট গুলি গ্রহণ করেন। আবার অনেকেই আছেন যারা ফ্রিল্যান্সিং করে যতটা সম্ভব টাকা আয় করার উদেশ্যে প্রচুর প্রজেক্ট গুলিতে একসাথে কাজ করেন।

সোজাসোজি বলতে গেলে, আপনার ব্যক্তিগত পছন্দ এবং আর্থিক লক্ষ্যটির উপর ধ্যানে রেখেই আপনাকে কাজ নিতে হবে। একাধিক রিসার্চ গুলির থেকে পাওয়া গিয়েছে যে একজন প্রতিষ্ঠিত এবং অভিজ্ঞ ফ্রিল্যান্সার প্রতি মাসে প্রায় $৫০০ থেকে $২০০০ আরামে ইনকাম করে নিতে পারেন।

সে যাইহোক, তবে এটি আপনাকে অবশই মনে রাখতে হবে যে, বলে দেওয়া এই ইনকামের পরিমাণটি শুধুমাত্র একটি অনুমান এবং আলাদা আলাদা পরিস্থিতির উপর ভিত্তি করে ফ্রিল্যান্সিং থেকে হওয়া ইনকামের পরিমাণও পরিবর্তিত হতেই পারে।

যদি সংক্ষেপে বলা হয়, তাহলে ফ্রিল্যান্সিং করে মাসে ৩০ হাজার থেকে ১ লক্ষ টাকা ইনকাম করা যেতেই পারে, এবং অনেকেই করছেন। তবে, একজন সফল ফ্রিল্যান্সার হওয়াটা আপনার জন্য আর্থিকভাবে লাভজনক হলেও এক্ষেত্রে সঠিক পরিকল্পনা, নিজের দক্ষতার উপর কাজ করা এবং ক্লায়েন্টদের সাথে একটি ভালো সম্পর্ক বজায় রাখার প্রয়োজন আছে।

মনে রাখবেন, আলাদা আলাদা ফ্রিল্যান্সারদের ক্ষেত্রে তাদের অর্থ উপার্জনের সম্ভাবনা এবং পরিমানও আলাদা আলাদাই থাকবে এবং প্রতি মাসে তাদের কতটা অর্থ উপার্জন হবে, সেটাও বিভিন্ন বিষয়ের উপর নির্ভর করে আলাদা আলাদা হওয়াটা স্বাভাবিক। তাই এই প্রশ্নের একটি সোজা উত্তর দেওয়াটা খানিকটা চ্যালেঞ্জিং ব্যাপার হয়ে দাঁড়ায়।

অবশই পড়ুননতুনদের জন্য ফ্রিল্যান্সিং এর সবচেয়ে সহজ কাজ কোনটি ?

কিভাবে ফ্রিল্যান্সিং করে প্রতি মাসে ১ লাখ টাকা আয় করবেন?

কিভাবে ফ্রিল্যান্সিং করে প্রতি মাসে ১ লাখ টাকা আয় করবেন
How To Earn INR 1 Lakh Per Month by Freelancing?

আপনিও কি ফ্রিল্যান্সিং করে প্রতি মাসে লাখ টাকা আয় করার স্বপ্ন দেখছেন?

এর জন্য আপনাকে সবচেয়ে আগেই নিজের মধ্যে থাকা কৌশল এবং দক্ষতা গুলিকে খুঁজে বের করতে হবে। হতে পারে আপনি একজন দক্ষ কনটেন্ট লেখক বা গ্রাফিক্স ডিজাইনার বা যেকোনো ধরণের ওয়েবসাইট বা অ্যাপ আপনি অনেক ভালো ভাবে তৈরি করে নিতে পারেন। ফ্রিল্যান্সিং করে টাকা আয় করা জন্য আপনাকে নিজের মধ্যে থাকা এই ধরণের দক্ষতা এবং অভিজ্ঞতা গুলিকে খুঁজে বের করতে হবে।

এবার ফ্রিল্যান্সিং করে ইনকাম করার জন্য, আপনাকে নিজের দক্ষতা এবং কৌশল গুলির প্রচারও করতে হবে। মানে, আপনি যে একজন ভালো লোগো ডিজাইনার বা একজন দক্ষ কনটেন্ট লেখক, সেই বিষয়ে যদি কেও নাই জানে তাহলে কাজ পাবেন কিভাবে? আর এক্ষেত্রে আপনাকে, LinkedIn, Facebook, Guru, Fiverr, ইত্যাদি এই ধরণের platform গুলিতে গিয়ে নিজের কাজের বা কৌশলের প্রচার অবশই করতে হবে।

এছাড়া, নানান ফ্রিল্যান্সিং মার্কেটপ্লেস ওয়েবসাইট গুলিতে গিয়ে নিজের একটি ফ্রি একাউন্ট তৈরি করে একটি আকর্ষণীয় প্রোফাইলও আপনাকে তৈরি করতে হবে। এক্ষেত্রে শুধুমাত্র ফ্রিল্যান্সিং একাউন্ট বা আকর্ষণীয় প্রোফাইল তৈরি করলেই কাজ হবেনা। আপনাকে নিজের একটি শক্তিশালী পার্সোনাল ব্র্যান্ডও তৈরি করতে হবে। এতে আপনি ভাল এবং হাই পেয়িং ক্লায়েন্টদের সহজে আকৃষ্ট করতে সাহায্য পাবেন।

১. আপনার দক্ষতাগুলিকে চিহ্নিত করুন:

দেখুন, যদি আপনি একেবারে নতুন করে ফ্রিল্যান্সিং শুরু করছেন তাহলে আপনাকে শুরুতেই নিজের মধ্যে থাকা এমন দক্ষতা বা কাজের অভিজ্ঞতা গুলিকে খুঁজে বের করতে হবে যেগুলিতে আপনি একজন এক্সপার্ট এবং কাজগুলি করতেও আপনি অনেক পছন্দ করেন। মনে রাখবেন, ফ্রিল্যান্সিং শুরু করার ক্ষেত্রে এটাই কিন্তু আপনার প্রথম পদক্ষেপ।

আমার হিসেবে, বিপণন, প্রযুক্তি বা নানান ক্রিয়েটিভ ওয়ার্ক গুলির মতো ক্ষেত্রগুলিতে আপনি কি জানেন সেটা নিয়ে ভেবে দেখুন। বিশ্বজুড়ে এমন হাজার-লক্ষ ক্লায়েন্ট পেয়ে যাবেন যারা মূলত ভারত এবং বাংলাদেশ এর মতো দেশ গুলিতে বসবাস করা ফ্রিল্যান্সারদের দিয়ে এই কাজ গুলি করিয়ে নিতে চান।

একজন ফ্রিল্যান্সার হিসেবে এই ইন্ডাস্ট্রি গুলির থেকে নিঃসন্দেহে ভালো পরিমান টাকা প্রতি মাসে আয় করা যেতে পারে।

মার্কেটের চাহিদা এবং আপনার দক্ষতার উপর ভিত্তি করে ফ্রিল্যান্সিং করে আপনি ৫০০০ থেকে ১ লাখ টাকার মধ্যে ইনকাম করতে পারেন। তবে, ফ্রিল্যান্সিং করে আনলিমিটেড টাকা আয় করার ক্ষেত্রে আপনাকে মার্কেটের চাহিদা বোঝা এবং সেই চাহিদা পূরণের জন্য আপনি কি করতে পারবেন, সেটা ভালো করে ম্যাচ করতে জানতে হবে।

২. নিজের একটি শক্তিশালী ব্যক্তিগত ব্র্যান্ড তৈরি:

একজন সফল ফ্রিল্যান্সার হওয়ার জন্য আপনাকে অবশই নিজের একটি অনেক শক্তিশালী পার্সোনাল ব্র্যান্ড তৈরি করতে হবে। এক্ষেত্রে আপনাকে একাধিক অনলাইন প্রোফাইল গুলি তৈরি করে নিজের দক্ষতা, অভিজ্ঞতা এবং পূর্বে করা কাজের প্রমান ইত্যাদি শেয়ার করতে হবে। এর সোজা মানে এটাই যে, যতটা সম্ভব একজন ফ্রিল্যান্সার হিসেবে নিজের একটি শক্তিশালী ছবি তৈরি করতে চেষ্টা করতে হবে।

একজন Freelancer-এর জন্য LinkedIn-এর মতো প্লাটফর্ম এর মধ্যে একাউন্ট থাকাটা অনেক জরুরি। Linkedin.com-এর মধ্যে একটি free account বানিয়ে আপনি আপনার কাজের ইন্ডাস্ট্রির সাথে জড়িত নানান ক্লায়েন্ট এবং অন্যান্য ফ্রিল্যান্সারদের সাথে পরিচয় স্থাপন করার সুযোগ পাবেন।

ভারত এবং বাংলাদেশে বসবাস করেন এমন প্রচুর freelance content writer-রা আছেন যারা শুধুমাত্র LinkedIn-এর মতো platform গুলির থেকে কনটেন্ট লেখকের কাজ গুলি পাচ্ছেন এবং মাসে প্রায় ৫,০০০ থেকে ৫০,০০০ টাকা নিয়মিত ইনকাম করছেন।

৩. হাই পেয়িং ক্লায়েন্টদের আকৃষ্ট করা চেষ্টা করুন:

ঘরে বসে ফ্রিল্যান্সিং করে লাখ টাকা আয় করার সব থেকে সোজা উপায় হলো, নিয়মিত হাই পেয়িং ক্লায়েন্টদের সাথে কাজ করা। যা আমি উপরে আগেই বলেছি, যদি আপনার মধ্যে কাজের ভালো অভিজ্ঞতা/দক্ষতা থাকে এবং ফ্রিল্যান্সিং নেটওয়ার্ক বা প্লাটফর্ম গুলিতে আপনার একটি ভালো নাম বা পরিচয় তৈরি হয়ে থাকে, সেক্ষেত্রে এমন প্রচুর ক্লায়েন্টদের পেয়ে যাবেন যারা আপনাকে উচ্চ হারে টাকা প্রদান করেও আপনার দ্বারা কাজ করিয়ে নিতে চাইবেন।

মূলত, কনটেন্ট রাইটিং এবং ডিজিটাল মার্কেটিং এর মতো ইন্ডাস্ট্রি গুলিতে কাজ করলে ফ্রিল্যান্সিং করে মাসে ভালো অংকের টাকা উপার্জন করে নিতে পারবেন। আপনি যদি একজন নতুন ফ্রিল্যান্সার সেক্ষেত্রে এই হাই পেয়িং ক্লায়েন্টরা হয়তো আপনাকে কোনো ধরণের প্রজেক্ট/কাজ দিতে চাইবেননা।

এক্ষেত্রে, শুরুতে অনেক কম টাকা চার্জ করে নানান কোম্পানির জন্যে কাজ করে প্রজেক্ট গুলি সম্পূর্ণ করুন এবং নিজের রেটিং, কাজের প্রমান, এবং অভিজ্ঞতা বাড়াতে থাকুন। ফ্রিল্যান্সিং প্লাটফর্ম/ওয়েবসাইট গুলিতে একবার আপনার রেটিং এবং রিভিউ বাড়তে শুরু হলে high paying clients-দের থেকেও নিঃসন্দেহে কাজ পেতে শুরু করবেন আপনি।

অবশই পড়ুন: Fiverr কি? কিভাবে ইনকাম করবেন?

FAQ:

১. ফ্রেশার হিসেবে আপনি কি ফ্রিল্যান্সিং-এর মাধ্যমে প্রতি মাসে ১ লক্ষ টাকা আয় করতে পারে?

অবশই পারবেন, নতুন ফ্রিল্যান্সারও কিন্তু চাইলে ফ্রিল্যান্সিং করে প্রতি মাসে ১ লাখ টাকা পর্যন্ত ইনকাম করতে পারবেন। এক্ষেত্রে ফ্রেশার্সরা শুধুমাত্র কিছু high-paying jobs গুলিতেই ফোকাস করে থাকেন। যেমন ধরুন, কনটেন্ট মার্কেটিং এবং ঘোস্ট রাইটিং এর মতো কাজ। High-paying jobs গুলি পাওয়ার জন্য আপনার একটি শক্তিশালী এবং আকর্ষণীয় ফ্রিল্যান্সিং প্রোফাইল থাকা অবশই দরকার।

২. কেন কোম্পানিগুলি ফ্রিল্যান্সারদের নিয়োগ করেন?

কোম্পানিগুলি, ফ্রিল্যান্সারদের মধ্যে থাকা বিশেষ দক্ষতা এবং কৌশল গুলির জন্য এবং পাশাপাশি সেই দক্ষতা গুলিকে কাজে লাগিয়ে অস্থায়ীভাবে কোম্পানির চাহিদা পূরণের জন্য ফ্রিল্যান্সারদের নিয়োগ করেন। এতে কাজের বিপরীতে তাদের অনেক কম পারিশ্রমিক দিতে হয় এবং ওভারঅল কোম্পানির খরচ যথেষ্ট পরিমানে কমানো যায়।

৩. ফ্রিল্যান্সাররা কীভাবে তাদের আয়ের পরিমান বৃদ্ধি করতে পারবেন?

একজন ফ্রিল্যান্সার হিসেবে নিজের আয়ের পরিমান বাড়ানোর জন্য, সঠিক ভাবে সময় পরিচালনা করার ক্ষেত্রে আপনাকে নজর দিতে হবে। এছাড়া, একটি শক্তিশালী নেটওয়ার্ক এবং সেই নেটওয়ার্ক থেকে হওয়া রেফেরারেলের দাড়াও ফ্রিল্যান্সার তাদের ইনকাম বাড়াতে পারবেন। মনে রাখবেন, ফ্রিল্যান্সার যত ভালো ভাবে এবং সময়মতো নিজের কাজ গুলি সম্পূর্ণ করে জমা দিতে পারবেন, ততটাই তাদের চাহিদাও বাড়বে।

আজকে আমরা কি শিখলাম?

বর্তমান সময়ে একজন ফ্রিল্যান্সার মাসে কত টাকা আয় করছেন সেই বিষয়ে একটি সাধারণ ধারণা তো আপনার অবশই হয়ে গিয়েছে হয়তো। এবার, যদি আপনি আমাকে সরাসরি জিগেশ করেন যে, ফ্রিল্যান্সিং করে মাসে ১ লাখ টাকা আয় করা সম্ভব কি না, তাহলে আমার উত্তর হবে, অবশই সম্ভব। তবে এক্ষেত্রে আপনার কাছে একটি শক্তিশালী স্ট্রাটেজি এবং প্ল্যান থাকাটা অবশই জরুরি।

ফ্রিল্যান্সিং শুরু করার ক্ষেত্রে, আপনি কোন কাজেটি করতে অনেক পছন্দ করেন? কোন কাজে আপনি দক্ষ? সেটা শুরুতেই আপনাকে খুঁজে বের করতে হবে। যেমন ধরুন, আমি বাংলাতে কনটেন্ট/আর্টিকেল লিখতে পছন্দ করে থাকি। বাংলা কনটেন্ট রাইটিং এর কাজে আমার প্রচুর দক্ষতা রয়েছে। আর তাই, আমি নানান ফ্রিল্যান্সিং মার্কেটপ্লেসে একজন বাংলা কনটেন্ট লেখক হিসেবে প্রচুর কাজ পেয়েছি এবং বর্তমানেও করছি।

একজন ফ্রিল্যান্সিং হয়ে প্রচুর টাকা ইনকাম করতে হলে আপনাকে আপনার সময় এবং কাজ, উভয়কেই সঠিক ভাবে পরিচালনা করতে শিখতে হবে। মনে রাখবেন, ইন্টারনেট থেকে যেকোনো মাধ্যমে টাকা ইনকাম করতে হলে আপনাকে hard work-এর করার পাশাপাশি smart work-ও করতে হবে। তাহলে আশা করছি, ফ্রিল্যান্সিং এর সাথে জড়িত নানান প্রশ্নের উত্তর আজকের এই আর্টিকেলের মধ্যে আমি দিতে পেরেছি।

Leave a Comment

Your email address will not be published. Required fields are marked *

error:
Scroll to Top