কিভাবে গুগল প্লে স্টোর থেকে টাকা ইনকাম করা যাবে? ৪টি উপায়ে । How To Earn Money From Google Play Store

গুগল প্লে স্টোর থেকে টাকা ইনকাম: ২০২৪ সালে, নিজের একটি অ্যাপ তৈরি করে ইনকাম করার বিষয়টা এখন আর কোনোধরনের সিক্রেট হয়ে থাকেনি। আপনি যদি একটি ভালো মোবাইল অ্যাপ তৈরি করতে পারেন যেটা সত্যি লোকেদের কাজে আসতে পারে, তাহলে তৈরি করা সেই অ্যাপ দ্বারা লক্ষ লক্ষ টাকা ইনকাম করে নিতে পারবেন। আর এক্ষেত্রে, গুগল প্লে স্টোর করবে আপনার হেল্প

কিভাবে গুগল প্লে স্টোর থেকে টাকা ইনকাম করা যাবে
How to earn money from Google Play Store?

Google Play Store হলো এমন একটি অনলাইন প্লাটফর্ম যেখানে সারা বিশ্বজুড়ে কোটি কোটি লোকেরা নানান ধরণের অ্যাপ এবং মোবাইল গেম গুলো ডাউনলোড করতে চলে আসেন। আর এটাই কারণ যার জন্য একজন উদ্যোক্তা বা অ্যাপ ডেভেলপারের জন্য এই প্লাটফর্মটি তাদের অ্যাপ গুলো অধিক পরিমানে ডাউনলোড করানোর ক্ষেত্রে একটি বিশাল প্ল্যাটফর্ম হিসেবে প্রমাণিত হচ্ছে।

গুগল প্লে স্টোর থেকে আপনারা নানান মাধ্যমে টাকা ইনকাম করতে পারবেন। আপনি একটি অনেক সিম্পল এবং সাধারণ অ্যাপ তৈরি করেও তৈরি করা নিজের অ্যাপে বিজ্ঞাপন দেখিয়ে, সাবস্ক্রিপশন দ্বারা বা ইন-অ্যাপ-পারচেজ মডেলকে কাজে লাগিয়ে নিয়মিত প্যাসিভ ইনকাম করে নিতে পারবেন।

মনে রাখবেন, গুগল প্লে স্টোর থেকে অর্থ উপার্জন করার ক্ষেত্রে আপনার কাছে নিজের একটি এন্ড্রয়েড অ্যাপ অবশই থাকতে হবে।”

যদি আপনি একজন মহিলা, ছাত্র বা চাকরি ও পড়াশোনার পাশাপাশি টাকা ইনকাম করার একটি কার্যকর উপায় খুঁজছেন, সেক্ষেত্রে একটি বিস্বস্ত এবং কার্যকর ইনকামের উপায় হিসেবে গুগল প্লে স্টোর-কে অবশই কাজে লাগানো যাবে।

চিন্তা করবেননা, আমাদের আজকের এই ব্লগ পোস্টের মধ্যে গুগল প্লে স্টোর থেকে টাকা আয় করার সম্পূর্ণ ধাপ এবং নিয়ম গুলোর বিষয়ে অনেক সুন্দর করে বলে দেওয়া হয়েছে।

কিভাবে করবেন গুগল প্লে স্টোর থেকে টাকা ইনকাম? ২০২৪ গাইড

প্লে স্টোর থেকে টাকা উপার্জন করার ধাপ গুলো
প্লে স্টোর থেকে টাকা উপার্জন করার ধাপ গুলো।

গুগল প্লে স্টোর থেকে ইনকাম করার জন্য আপনার কাছে একটি অ্যাপ থাকতে হবে এবং সেই অ্যাপটিকে প্লে স্টোরে পাবলিশ করে Ad Revenue, In-App Purchases, Subscriptions, Freemium Model, Sponsorships, Affiliate marketing, ইত্যাদি নানান মাধ্যমে অনলাইনে ইনকাম করার সুযোগ আপনি পেতে পারবেন।

তবে মনে রাখবেন, এর জন্য সবচে আগেই আপনাকে একটি অ্যাপ তৈরি করতে বা করাতে হবে, এবং সেটিকে প্লে স্টোরে পাবলিশ করতে হবে। যত অধিক লোকেরা আপনার অ্যাপটি প্লে স্টোর থেকে download/install করে ব্যবহার করবেন, উপরে বলে দেওয়া উপায় গুলির দ্বারা আপনি ততটাই অধিক টাকা ইনকাম করার সুযোগ পাবেন।

১. একটি অ্যাপ বা গেম ডেভেলপ করুন:

সবচেয়ে আগেই আপনাকে এমন একটি মোবাইল অ্যাপ তৈরি করতে হবে যেটা কোনো না কোনো ভাবে ইউজারদের কাজে লাগতে পারে। আপনি চাইলে একটি মজার মোবাইল গেম ও তৈরি করতে পারবেন। আপনি চাইলে ইন্টারনেটে উপলব্ধ নানান App Builder Website গুলো ব্যবহার করতে পারবেন।

২. ইনকামের একটি কৌশল সিলেক্ট করুন:

নিজের জন্য একটি অ্যাপ ডেভেলপ করার পর এবার আপনি কোন কৌশল গুলোকে কাজে লাগিয়ে অ্যাপ থেকে ইনকাম করবেন সেটা ডিসাইড করুন। একটি মোবাইল অ্যাপ/গেম দ্বারা ইনকাম করার একাধিক উপায় গুলো রয়েছে। যেমন,

  • পেইড অ্যাপ: আপনার অ্যাপটি ডাউনলোড করার জন্য ওয়ান-টাইম পেমেন্ট করতে হবে।
  • ইন-অ্যাপ-পারচেজ: অ্যাপ এর মধ্যে নানান ডিজিটাল কনটেন্ট, গোল্ড, স্টিকার, ফীচার, ইত্যাদি বিক্রি করে।
  • সাবস্ক্রিপশন: অ্যাপ এর প্রিমিয়াম কনটেন্ট বা ফীচার গুলো এক্সেস করার জন্য একটি মান্থলি ফী চার্জ করতে পারবেন।
  • বিজ্ঞাপন (Ads): নিজের অ্যাপ বা গেম এর মধ্যে বিজ্ঞাপন দেখিয়ে ঝামেলামুক্ত হয়ে নিয়মিত প্যাসিভ ইনকাম করুন।

৩. Google Play Console একাউন্ট:

আপনাকে গুগল প্লে কনসোলে একটি একাউন্ট তৈরি করতে হবে। মনে রাখবেন, একাউন্ট তৈরি করার সময় আপনাকে ওয়ান-টাইম রেজিস্ট্রেশন ফী ($25) পেমেন্ট করতে হবে। এই পেমেন্ট শুধুমাত্র একবার, একাউন্ট তৈরি করার সময় করতে হবে।

৪. অ্যাপ পাবলিশ করুন:

নিজের অ্যাপটিকে গুগল প্লে স্টোরে ছাড়ার জন্য সবচেয়ে আগে গুগল প্লে কনসোলে অ্যাপটি পাবলিশ করতে হবে। অ্যাপ পাবলিশ করার সময় অ্যাপ এর সাথে জড়িত তথ্য, স্ক্রিনশট, ভিডিও, কীওয়ার্ড, ইত্যাদি সঠিক ভাবে জমা দিতে হবে আপনাকে।

৫. সার্চ এর জন্য অপ্টিমাইজ করুন:

অ্যাপটি পাবলিশ করার সময় অ্যাপ সম্পর্কিত নানান কীওয়ার্ড (বাক্য এবং শব্দ) গুলো অ্যাপ এর ডেসক্রিপশন এবং টাইটেল এর মধ্যে ব্যবহার করতে কিন্তু ভুলবেননা। এতে, গুগল প্লে স্টোরের সার্চ রেসাল্ট পেজে আপনার অ্যাপের দৃশ্যমানতা উন্নত করা যেতে পারে।

৬. অ্যাপটির প্রচার:

আপনার অ্যাপটি শুধু মাত্র গুগল প্লে স্টোরে জমা দিয়ে রাখলেই যে কাজ হয়ে যাবে, তা কিন্তু মোটেও নয়। মনে রাখবেন, শুরুতে আপনার অ্যাপের জনপ্রিয়তা, রিচ এবং ডাউনলোড সংখ্যা বাড়াতে হলে, নানান সোশ্যাল মিডিয়া ওয়েবসাইট, অ্যাপ রিভিউ ওয়েবসাইট এবং পাশাপাশি পেইড এডভার্টাইসিং এর সাহায্য নিতে হবে।

৭. অ্যাপ পারফরম্যান্স ট্র্যাক করুন:

আপনি নিজের Google Play Console একাউন্টে প্রবেশ করে নিজের অ্যাপ এর প্রত্যেকটি একটিভিটি ট্র্যাক করতে পারবেন। যেমন ধরুন, অ্যাপটি কি পরিমানে ডাউনলোড হচ্ছে, অ্যাপ থেকে কি পরিমান টাকা ইনকাম হচ্ছে, অ্যাপ ব্যবহারকারীর ব্যস্ততা, ইত্যাদি।

৮. পেমেন্ট গ্রহণ করুন:

অ্যাপ ব্যবহারকারীদের থেকে গ্রহণ করা অর্থ বা পেমেন্ট গুলো গুগল দ্বারা পরিচালনা করা হবে। চিন্তা করতে হবেনা, আপনার ইনকাম করা টাকা গুলো গুগল সরাসরি প্রতিমাসে আপনার দিয়ে দেওয়া ব্যাংক একাউন্ট এর মধ্যে ডিপোজিট করতে থাকবে।

প্লে স্টোর থেকে ইনকাম করার জন্য কি কি লাগবে?

Google Play Store থেকে ইনকাম করার জন্য আপনার কাছে সবচে আগে একটি High-Quality App তৈরি থাকতে হবে। আপনি যদি android app development জানেন, সেক্ষেত্রে নিজেই একটি app বানিয়ে নিন।

এছাড়া, android app development নিয়ে যদি কোনো ধরণের জ্ঞান আপনার নেই, সেক্ষেত্রে একজন ভালো app developer-কে দিয়ে একটি app/game তৈরি করিয়ে নিতে পারেন।

এছাড়া, ইন্টারনেটে এমন নানান websites/app রয়েছে, যেগুলিতে গিয়ে কোনো রকম অভিজ্ঞতা বা কোডিং ছাড়া একটি app তৈরি করে নিতে পারবেন। যেমন, appypie.com, quickappninja.com, apphive.io, appsgeyser.com, এবং আরো আছে।

নিজের একটি app তৈরি করার পর, Google Play Developer Console-এ গিয়ে আপনাকে নিজের app-টি আপলোড করে জমা দিতে হবে। Google Play team-দ্বারা আপনার app-টি রিভিউ করা হবে এবং সব ঠিক থাকলে, আপনার app-টিকে এপ্রুভ করে দেওয়া হবে।

এছাড়া, app-টি approve হয়ে যাওয়ার পর, সেটিকে সরাসরি Google Play Store-এর মধ্যে পাবলিশ করে দেওয়া হবে এবং ইউজাররা আপনার app-টি download করতে পারবেন।

Google Play Store-থেকে কি পরিমানে ইনকাম করা যায়?

Google Play Store-এর মধ্যে বেশিরভাগ অ্যাপ গুলি কিন্তু ফ্রি এবং একটি ফ্রি অ্যাপ ডাউনলোড করার জন্য কিন্তু কোনো রকমের টাকা পাওয়া যায়না। তবে, প্লে স্টোর থেকে কতটা বা কি পরিমানে ইনকাম হবে সেটা মূলত নির্ভর করে একটিভ ইউজারদের উপর।

Active user মানে হলো, আপনার app কতজন লোকেরা ডাউনলোড করে ব্যবহার করছেন।

আর যখন যেকোনো অ্যাপ থেকে টাকা ইনকাম করার, তখন সেখানে বিভিন্ন মনেটাইজেশন কৌশল গুলি ব্যবহার করা হয়ে থাকে। এছাড়া, প্লে স্টোরে পাবলিশ করা নিজের app-থেকে কত টাকা ইনকাম করা যাবে, সেটা বিভিন্ন আলাদা আলাদা বিষয় গুলির উপর নির্ভর করে থাকে।

তাই, আমরা একটি আন্দাজ লাগিয়ে অনুমান মাত্র করতে পারবো যে সাধারণ প্রতিটি app download থেকে কত টাকা ইনকাম করা যেতে পারে।

  •  $0.002 থেকে $0.003 – প্রতিটি দৈনিক অ্যাপ ব্যবহার এর জন্য এভারেজ এতটা ইনকাম পাওয়া যেতে পারে।
  • এভাবে, ১০০০টি দৈনিক অ্যাপ ব্যবহার এর জন্য প্রায় $2-$3 পর্যন্ত ইনকাম হতে পারে।

তবে মনে রাখবেন, আপনার অ্যাপ গুলি যত অধিক লোকেরা ডাউনলোড এবং ব্যবহার করবেন, আপনার ইনকামের পরিমাণও ততটাই বাড়বে।

এছাড়া, অ্যাপের ক্যাটাগরি এবং বিষয়বস্তু কি, কোন জায়গার থেকে ইউজাররা আসছেন, প্রতিটি ইউজার কতটা সময় ধরে আপনার অ্যাপ ব্যবহার করছেন, এই প্রত্যেকটি বিষয়ের উপর নির্ভর করে আলাদা অ্যাপের আলাদা আলাদা ইনকাম হতে পারে।

প্লে স্টোরে অ্যাপ পাবলিশ করে টাকা ইনকাম করার ৪টি মূল উপায়:

Android mobile app থেকে টাকা ইনকাম করার এমনিতে নানান উপায় রয়েছে। একটি মোবাইল অ্যাপ থেকে যতটা সম্ভব অধিক ইনকাম করার ক্ষেত্রে এই নানান উপায় গুলিকে অনেক সময় একসাথেও ব্যবহার করা যেতে পারে।

নিচে আমি কিছু সেরা এবং লাভজনক উপায় গুলি বলে দিচ্ছি যেগুলিকে স্বতন্ত্রভাবে বা চাইলে একসাথে ব্যবহার করে, প্লে স্টোরে পাবলিশ করা নিজের মোবাইল অ্যাপ থেকে অনলাইনে ইনকাম করতে পারবেন।

মনে রাখবেন, Google Play Store কিন্তু app download হওয়ার বা করার জন্য আপনাকে কোনো ভাবেই টাকা দিবেনা। বরং, প্লে স্টোরের মাধ্যমে আপনি নিজের app-টিকে প্রচার করতে পারবেন এবং অ্যাপ এর জন্য অসংখ্য user ও download পেয়ে যেতে পারবেন।

এবার, আপনার অ্যাপটি যত অধিক user-রা ডাউনলোড করবেন এবং ব্যবহার করবেন, নিচে বলে দেওয়া এই উপায় গুলিকে কাজে লাগিয়ে আপনি নিজের অ্যাপ থেকে ততটাই অধিক ইনকাম করতে পারবেন।

১. Ad Revenue/In-App Advertising:

একটি এন্ড্রয়েড মোবাইল অ্যাপ থেকে টাকা ইনকাম করার সব থেকে প্রচলিত, সোজা এবং লাভজনক উপায়টি হলো, In-App Advertising, মানে অ্যাপ এর মধ্যে নানান রকমের বিজ্ঞাপন গুলি দেখানো।

বেশিরভাগ ফ্রি অ্যাপস গুলি এই একটি মাধ্যমেই প্রচুর পরিমানে টাকা ইনকাম করে থাকেন। কেননা, ফ্রি অ্যাপ এর ক্ষেত্রে, ব্যবহারকারীদের সেই অ্যাপটি ব্যবহার করার জন্য কোনো রকমের টাকা দিতে হয়না।

এটাই কারণ যার জন্য এই ধরণের অ্যাপ গুলি লোকেরা অধিক সংখ্যায় download/install করে ব্যবহার করেন। তবে যদি তাদের কিছু বিজ্ঞাপন (ads) দেখতেও হয় তাতে তাদের কোনো লস নেই।

যখন, আপনার অ্যাপ ব্যবহার করা ব্যবহারকারীরা সেখানে দেখানো বিজ্ঞাপন গুলি দেখবেন এবং ক্লিক করবেন, তখন আপনাকে CPC এবং CPM হিসেবে কিছু টাকা দিয়ে দেওয়া হবে। মনে রাখবেন, যখন অ্যাপ ব্যবহারকারীদের সংখ্যা অনেক বেশি হবে, তখন এই কিছু পরিমানের টাকা অনেক টাকায় পরিণত হয়।

এখন প্রশ্ন হচ্ছে, নিজের অ্যাপ এর মধ্যে বিজ্ঞাপন কিভাবে লাগাবেন?

চিন্তা করতে হবেনা, এক্ষেত্রে আপনি Google AdMob-এর মতো platform গুলি ব্যবহার করে এই কাজটি করতে পারবেন। Google AdMob থেকে কিভাবে টাকা ইনকাম করা যায়, এই বিষয়ে আমি আগেই আর্টিকেল লিখে সম্পূর্ণটা বুঝিয়ে বলেছি।

২. In-App Purchases:

একটি এন্ড্রয়েড অ্যাপ এবং প্লে স্টোর থেকে টাকা ইনকাম করার আরেকটি কার্যকর উপায় হলো, in-app purchases। Google Play Store-এর মধ্যে থাকা বেশিরভাগ gaming apps, editing apps, tools apps, ইত্যাদি গুলি এই ইনকাম মডেলটি ব্যবহার করেন।

In-app purchasing, একটি অনেক শক্তিশালী উপায় যার দ্বারা app developers-রা প্রচুর টাকা ইনকামের সুযোগ পেয়ে থাকেন।

এক্ষেত্রে, একটি মোবাইল অ্যাপ এর আলাদা ভাবে একটি প্রিমিয়াম ভার্সন বা কিছু প্রিমিয়াম ফীচার ডিজাইন করা হয় যেগুলি শুধুমাত্র সেই ব্যবহারকারীদেরই এক্সেস করতে দেওয়া হবে যারা এই সুবিধার জন্য টাকা দিবেন।

Play Store থেকে যেকোনো গেম ডাউনলোড করলেই সেখানে এই ইনকাম মডেলটি আপনারা দেখতে পাবেন। শক্তিশালী হাতিয়ার, স্টিকার, পাওয়ার, কয়েন, ইত্যাদি পাওয়ার জন্য কিছু পেইড অফার বা অপসন আমাদের দেওয়া হয়।

আর যখনই আমরা সেগুলি কিনে থাকি, অ্যাপ এর মালিক বা ডেভেলপাররা টাকা পেয়ে থাকেন। এক্ষেত্রেও, যত অধিক ব্যবহারকারীরা আপনার অ্যাপ ইনস্টল করে ব্যবহার করবেন, ইনকামের পরিমাণও ততটাই বাড়বে।

Google Play Store-এর মধ্যে এমন হাজার হাজার apps গুলি আছে, যেগুলি প্রতিদিন $1000 থেকেও অধিক টাকা এই In-app purchase income model থেকে ইনকাম করছেন।

৩. Subscriptions:

Subscription model-টি নানান android mobile app গুলির জন্য টাকা ইনকামের একটি অনেক দারুন উপায় হিসেবে প্রমাণিত হয়েছে। এক্ষেত্রে, Netflix, Spotify, Amazon prime, ইত্যাদি এই ধরণের apps গুলিকে উদাহরণ হিসেবে নিতে পারেন।

এই মডেলে, যখন ব্যবহারকারীরা নির্ধারিত সাবস্ক্রিপশন এমাউন্ট পেমেন্ট করেন, কেবল তখনই তাদেরকে app-এর মধ্যে থাকা কনটেন্ট গুলিকে এক্সেস করতে দেওয়া হয়।

এমনও অনেক apps রয়েছে, যেগুলিতে একটি ফ্রি প্ল্যান থাকার পাশাপাশি আলাদা ভাবে একটি পেইড প্ল্যান রাখা হয় যেটি কেবল নির্ধারিত সাবস্ক্রিপশন এমাউন্ট পেমেন্ট করার পর এক্সেস করা যেতে পারে।

এক্ষেত্রে, যত অধিক লোকেরা আপনার app-এর মাসিক এবং বার্ষিক প্ল্যান নিবেন, ততটাই অধিক ইনকাম আপনি আপনার অ্যাপ থেকে করবেন।

৪. Freemium Model:

একটি android mobile app তৈরি করে ইনকাম করার এটাও একটি অনেক কার্যকর ও লাভজনক উপায় গুলির মধ্যে আরেকটি। এটাও খানিকটা in-app purchase মডেলের মতোই।

Freemium apps-এর ক্ষেত্রে, মূলত একটি app-এর দুটি আলাদা আলাদা ভার্সন থাকে।

এক্ষেত্রে, app-এর একটি ফ্রি ভার্সন থাকবে যেটিকে কোনো টাকা না দিয়ে জেকেও ব্যবহার করতে পারবেন। আবার, আরেকটি পেইড ভার্সনও থাকবে, যেখানে কিছু টাকা দিয়ে app-এর উন্নত বা অ্যাডভান্স ভার্শনটি ব্যবহার করতে পারার সুবিধা দেওয়া হবে।

এক্ষেত্রে, এমন প্রচুর ব্যবহারকারীরা থাকেন যাদের যদি অ্যাপ এর ফ্রি ভার্সনটি পছন্দ হয়ে থাকে, সেক্ষেত্রে তারা অবশই কিছু অতিরিক্ত টাকা দিয়ে অ্যাপ এর প্রিমিয়াম ভার্শনটি অবশই ব্যবহার করেন।

অনেকেরই ক্ষেত্রে, প্লে স্টোরে পাবলিশ করা এন্ড্রয়েড অ্যাপ থেকে টাকা ইনকাম করার এটি একটি অনেক শক্তিশালী, লাভজনক এবং নিশ্চিত উপায় হিসেবে প্রমাণিত হয়েছে।

একটি freemium app-এর পেছনের মূল ধারণাটি হলো, এখানে app-এর core premium features গুলিকে lock করে রাখা হয় এবং কেবল সেই ব্যক্তিদের জন্য features গুলিকে unlock করা হবে যারা ফীচার গুলির জন্য টাকা পেমেন্ট করে থাকেন।

উপসংহার,

মনে রাখবেন, গুগল প্লে স্টোর থেকে ইনকাম করার কোনো সরাসরি উপায় নেই। মানে, প্লে স্টোরে কিন্তু আপনাকে টাকা দেয়না, তবে আপনাকে নিজের app-টিকে play store-এর মধ্যে লিস্ট করতে হবে এবং এক্ষেত্রে কিছু টাকা গুগল কেও দিতে হয়। কিন্তু সেটা অনেক সামান্য পরিমান টাকা এবং আপনি আরামে সেটা দিয়ে দিতে পারবেন।

আসল বিষয়টি হলো, যেকোনো অ্যাপ তৈরি করে টাকা ইনকাম করার জন্য আপনার অ্যাপটিকে হাজার হাজার লোকেরা ডাউনলোড করে ব্যবহার করতে হবে। এতে, ইনকামের জন্য উপরে বলা যেই মডেলই আপনি ব্যবহার করছেন, সেখান থেকে ভালো পরিমানে টাকা আয় করা যাবে।

Google Play Store, এন্ড্রয়েড মোবাইলের একটি অনেক জনপ্রিয় app store, যেখানে ইউজাররা যেকোনো ধরণের apps গুলি খুঁজে পেতে পারেন এবং একজন app developer বা owner হিসেবে, আপনি নিজের অ্যাপ এর জন্য প্রচুর ইউসার/ ডাউনলোড অনেক সহজেই পেতে পারেন।

আশা করছি, Play Store থেকে ইনকাম করার প্রক্রিয়া এবং উপায় গুলি আপনারা অনেক ভালো করে বুঝে গিয়েছেন। আমাদের আজকের আর্টিকেলের সাথে রিলেটেড কোনো ধরণের প্রশ্ন বা পরামর্শ থাকলে, নিচে কমেন্ট অবশই করবেন।

Leave a Comment

Your email address will not be published. Required fields are marked *

error:
Scroll to Top