WordPress vs Blogger : ব্লগ তৈরির জন্য কোনটা ভালো এবং কেন ?

যখন কথা আসে একটি ফ্রি ব্লগ তৈরি করার, তখন আমাদের কাছে অনেক আলাদা আলাদা blogging platform গুলির অপসন অবশই থাকে। যেমন, WordPress, Wix, Blogger, Tumblr এবং আরো অনেক।

WordPress Vs Blogger, which is best.?

কিন্তু আজ, ব্লগিং (Blogging) এর ক্ষেত্রে, ইন্টারনেটে থাকা মোট ওয়েবসাইট গুলির মধ্যে, ৩৪% ব্লগ বা ওয়েবসাইট, ওয়ার্ডপ্রেস (WordPress) ব্যবহার করে তৈরি করা হয়েছে।

তাছাড়া, WordPress এর পরেই, ইন্টারনেটে থাকা মোট ১% ওয়েবসাইট ও ব্লগ Blogger বা blogspot ব্যবহার করে তৈরি করা।

WordPress এবং Blogger, দুটোই ইন্টারনেটে অনেক জনপ্রিয় এবং সব থেকে ভালো ও সেরা blogging platform.

দুটোই platform, ব্যবহার করে আপনারা অনেক সহজে একটি আধুনিক ব্লগ তৈরি করতে পারবেন।

তবে, ওয়ার্ডপ্রেস এবং ব্লগার, দুটোর মধ্যেই ভালো রকমের পার্থক্য রয়েছে, যখন আমরা এদের লাভ, সুবিধেক্ষমতা নিয়ে কথা বলি।

দুটো platform এর, নিজের নিজের আলাদা আলাদা লাভ ও লোকসান রয়েছে।

এই বিষয় নিয়ে বিতর্ক (debate) অনেক সময় অনেক বিভ্রান্তিকর (confusing) হয়ে দাঁড়াতে পারে।

কারণ, অনেক সংখক ইউসার বা ব্লগাররা, blogger platform ব্যবহার করে ভালো পান কারণ এখানে তাদের কোনো রকমের প্রযুক্তিগত ঝামেলার মুখোমুখি হতে হয়না।

আবার, অনেক শংখন ব্লগাররা WordPress ব্যবহার করে ভালো পান, এর বাড়তি ক্ষমতা এবং ফিচারস (features) এর জন্য।

তবে, যখন আপনি প্রশ্ন করবেন, ব্লগিং এর ক্ষেত্রে কোন প্লাটফর্ম ভালো হবে ? blogger না WordPress, তখন আমাদের এই ব্লগিং প্লাটফর্ম দুটির মধ্যে পার্থক্য কি রয়েছে, সেটা আগেই জেনেনিতে হবে।

ফ্লাটফর্ম দুটির মাঝে থাকা পার্থক্য এবং তাদের সুবিধা কি কি, এই বিষয়ে জানার পর, অনেক সহজেই নিজের প্রয়োজন হিসেবে, blogger বা WordPress যেকোনো একটি বেঁচে নিয়ে ব্লগ তৈরি করতে পারবেন।

তাহলে চলুন, নিচে আমরা সরাসরি জেনেনেই ব্লগ তৈরি করার জন্য কোন প্লাটফর্ম ভালো, “ব্লগার না ওয়ার্ডপ্রেস“।

WordPress না Blogger : কোন ব্লগিং প্লাটফর্ম সেরা 

নিচে আমি আপনাদের কিছু জরুরি “WordPress Vs Blogger” এর পার্থক্যর ব্যাপারে বলবো এবং তার সাথে বুঝিয়ে বলবো, সেই পার্থক্য গুলির ওপরে ভিক্তি করে, কোন প্লাটফর্ম আপনার জন্য সেরা।

একটি ভালো ব্লগিং প্লাটফর্মে কি কি থাকতে হবে ?

ব্লগার না ওয়ার্ডপ্রেস, কোনটা ভালো, এই বিষয়ে জানার আগেই আমাদের জেনেনিতে হবে, একটি ভালো blogging platform এ কি কি বিশিষ্ট থাকতে হবে।

  • সহজ ব্যবহার : হে, যখন একটি ভালো ব্লগিং প্ল্যাটফর্মের কথা আসে, তখন সেই প্লাটফর্ম সহজ এবং সরল হতে হবে। জেকেও, যাতে সহজে নিজের ব্লগ তৈরি করে তাতে কনটেন্ট লিখে ট্রাফিক বাড়ানোর ব্যাপারে ধ্যান দিতে পারে।
  • নমনীয়তা (flexibility) : ব্লগ তৈরি করার জন্য আপনি যেই প্লাটফর্ম বা মাধ্যম বেঁচে নিবেন, সেটা আধুনিক হতে হবে। কারণ, একটি আধুনিক প্লাটফর্ম ব্যবহার করলে আপনারা নিজের ব্লগের জন্য জরুরি প্রত্যেক features, tools এবং resources পেয়ে যাবেন।
  • স্টাইলিং এবং সৌন্দর্য : আজকাল, যেই জিনিসটি দেখতে অধিক সুন্দর, সেটাই লোকেরা অধিক ভালো পান। ব্লগিং এর ক্ষেত্রেও এই বাক্যটি আমাদের মেনেনিতে হবে। তাই, আপনার বেঁচে নেয়া ব্লগিং প্লাটফর্মে আপনার ব্লগকে অধিক আকর্ষণীয় এবং স্টাইলিশ (stylish) করে তোলার ক্ষমতা থাকতে হবে।
  • নিরাপত্তা (security) : আজকাল, বিভিন্ন অনলাইন ভাইরাস বা হ্যাকাররা বিভিন্ন ব্লগ বা ওয়েবসাইট গুলিকে হ্যাক (hack) করার চেষ্টা অবশই করে। এই ক্ষেত্রে, আপনার ব্লগ যেই platform দ্বারা তৈরি করা হয়েছে, সেই প্লাটফর্মে যাতে অনলাইন নিরাপত্তার (online security) দিকে বিশেষ ধ্যান দেয়।

তাছাড়া, আপনার আরো অনেক বিষয় যেমন, SEO, Features, Plugins, খরচ (expenses) নিয়ে অবশই দেখতে হবে।

তাহলে চলুন, এই ধরণের জরুরি বিষয় গুলির ওপরে ওয়ার্ডপ্রেস এবং ব্লগার, কতটা ধ্যান দিয়েছে, সেই ব্যাপারে জেনেনেই।

কিন্তু তার আগেই, Blogger এবং WordPress কি সেই ব্যাপারে একটু জেনেনেই।

WordPress কি ?

WordPress হলো, সহজ এবং সরল কিন্তু অনেক শক্তিশালী একটি অনলাইন টুল (tool), যেটা ব্যবহার করে জেকেও একটি ব্লগ বা ওয়েবসাইট তৈরি করে নিতে পারবেন।

ইন্টারনেটে থাকা মোট ওয়েবসাইট গুলির মধ্যে ৩৪% ওয়েবসাইট বা ব্লগ WordPress ব্যবহার করে তৈরি করা হয়েছে।

হে, আপনি ইন্টারনেটে ব্যবহার করা প্রায় প্রত্যেক ৪ টি ওয়েবসাইটের ১ টি “ওয়ার্ডপ্রেস দ্বারা” তৈরি করা।

প্রযুক্তিগত ভাষাতে (technical language) বললে, WordPress হলো এমন এক “open source CMS software“, যেটাকে জেকেও একটি ওয়েবসাইট ও ব্লগ তৈরি করার জন্য ব্যবহার করতে পারেন।

এবং, ওয়ার্ডপ্রেস ব্যবহার করার জন্য আপনার কোনো ধরনের “technical knowledge” বা “coding knowledge” এর প্রয়োজন নেই।

তাহলে, WordPress মানে কি, সেটা বুঝলেন তো ?

Blogger কি ?

Blogger হলো এক সাধারণ অনলাইন “blog publishing tool“, যেটা ব্যবহার করে জেকেও একটি ফ্রি ব্লগ তৈরি করে নিতে পারবেন।

Blogger, গুগলের একটি সার্ভিস যেটা তারা ২০০৩ সনেPyra labs“, কোম্পানির থেকে অর্জিত (acquired) করে নিয়েছিল।

এখন blogger, সম্পূর্ণ রূপে Google এর একটি service.

তাই, এই সার্ভিস ব্যবহার করে ব্লগ তৈরি করার জন্য, আপনার একটি “Google account” এর প্রয়োজন হবে।

Blogger ব্যবহার করে ব্লগ তৈরি করতে আপনার এক টাকাও দেয়ার প্রয়োজন হবেনা।

এখানে বানানো প্রত্যেকটি ব্লগ, গুগলের নিজের সার্ভারে হোস্ট (host) করা থাকবে।

এবং, আপনার আলাদা ভাবে হোস্টিং কেনার প্রয়োজন হবেনা।

তাছাড়া, আপনাদের প্রত্যেক ব্লগের সাথে একটি “sub-domain” দেয়া হবে।

তাই, আলাদা ভাবে ডোমেইন না কিনেও আপনারা নিজের ব্লগ ব্যবহার করতে পারবেন।

তবে, blogger এর free sub-domain ব্যবহার করার পরামর্শ আমি আপনাদের দিবোনা যদি আপনারা “প্রফেশনাল ব্লগিং” এর ব্যাপারে ভাবছেন।

তাহলে, ব্লগার কি, সেই ব্যাপারে আপনার জানা হলোতো ?

তাহলে এখন, আমরা ব্লগার এবং ওয়ার্ডপ্রেস কি, সেই ব্যাপারে জানলাম।

চলুন, এখন আমরা এই দুটি প্লাটফর্মের মাঝে কি কি পার্থক্য রয়েছে এবং কোন প্লাটফর্ম একটি সেরা ব্লগ তৈরি করার জন্য উত্তম, সেটা জেনেনেই।

ব্লগার এবং ওয়ার্ডপ্রেস এর মধ্যে কি কি পার্থক্য রয়েছে ? (কোনটা বেশি ভালো)

১. Setting up a new blog 

Blogger এর ক্ষেত্রে, একটি ব্লগ তৈরি করাটা কেবল কিছু মিনিটের কথা। কোনো ধরণের আলাদা জ্ঞান আপনার প্রয়োজন হবেনা।

কেবল Blogger.com ওয়েবসাইটে গিয়ে “Create your  blog” অপশনে ক্লিক করতে হবে।

তারপর, নিজের ব্লগের title, description এবং theme বেঁচে নিয়ে সরাসরি ব্লগ তৈরি করে নিতে পারবেন।

কিন্তু,

WordPress এর ক্ষেত্রে, আপনার কিছু আলাদা জ্ঞানের প্রয়োজন অবশই রয়েছে।

WordPress হলো একটি CMS সফটওয়্যার এবং এই সফটওয়্যার ব্যবহার করার জন্য, আপনার একটি web hosting একাউন্ট এর প্রয়োজন হবে।

তাছাড়া, নিজের web hostingWordPress install করে ব্লগ তৈরি কিভাবে করবেন, সেটাও আপনার জেনে রাখতে হবে।

তবে, এই ব্যাপারে YouTube এ ভিডিও দেখে পুরোটাই আপনারা জেনেনিতে পারবেন।

তাই, এই ক্ষেত্রে যাদের অভিজ্ঞতা নেই, তাদের একটি ওয়ার্ডপ্রেস ব্লগ তৈরি করতে কিছু সময় অবশই লাগতে পারে।

তাহলে, একটি নতুন ব্লগ কোনো ঝামেলা ছাড়া অনেক জলদি তৈরি করার ক্ষেত্রে “Blogger” বিজয়ী (winner) হয়ে দাঁড়ালো।

২. মালিকানা অধিকার 

এখন আপনি যদি, ব্লগার (Blogger) ব্যবহার করে ব্লগ তৈরি করেছেন, তাহলে আপনার ব্লগের owner বা মালিক অবশই আপনি।

তবে, একটি ব্লগার ব্লগের সম্পূর্ণ মালিকানা অধিকার আপনার হাথে নেই।

আপনার ব্লগার ব্লগ, Google এর নিজের hosting serverhost করা থাকবে। এবং, সেই সার্ভারের ওপরে আপনার কোনো রকমের নিয়ন্ত্রণ থাকবেনা।

তাই, গুগল যদি আপনার ব্লগ কোনো সময় ডিলিট করার কথা ভাবে, সেটা যেকোনো সময় আপনার অনুমতি ছাড়াই করতে পারবে।

তাছাড়া, কালকে যদি হঠাৎ Blogger.com সার্ভিস বন্ধ হয়ে যায়, তাহলে তার সাথে আপনার বানানো ব্লগ ও বন্ধ হয়ে যাবে।

তবে, এর সুযোগ অনেক কম রয়েছে।

কিন্তু, বষয়টি নিয়ে আপনার আগেই ভাবতে হবে, যদি আপনি professionally blogging করার কথা ভাবছেন।

কিন্তু,

যদি আপনি ওয়ার্ডপ্রেস ব্যবহার করে ব্লগ তৈরি করেছেন, তাহলে আপনার ব্লগের নিয়ন্ত্রণ ও মালিকানা অধিকার সম্পূর্ণ রূপে আপনার হাথেই থাকবে।

কারণ, ওয়ার্ডপ্রেস এর ক্ষেত্রে, আপনি নিজের হিসেবে হোস্টিং সার্ভার বেঁচে নিবেন এবং তাছাড়া নিজের সার্ভারের ওপরে আপনার সম্পূর্ণ নিয়ন্ত্রণ থাকবে।

আপনার ব্লগ বা ওয়েবসাইট, যতদিন না আপনি নিজে বন্ধ করছেন, ততদিন সেটা চলতেই থাকবে।

তাছাড়া, নিজের সুবিধা হিসেবে ব্লগের হোস্টিং সার্ভার চেঞ্জ করা, ব্যাকআপ (backup) নেয়া এবং আরো সব ধরণের মালিকানা অধিকার সম্পূর্ণ রূপে আপনার হাথেই থাকবে।

যেকোনো ক্ষেত্রে, আপনার অনুমতি ছাড়া আপনার ব্লগ বা ওয়েবসাইট নিয়ন্ত্রণ করার অধিকার কারো থাকবেনা, যদি আপনি WordPress ব্যবহার করে ব্লগ তৈরি করেছেন।

তাই, এই ক্ষেত্রে WordPress বিজয়ী রইলো।

৩. Design & function 

যখন কথা আসবে, কোন প্লাটফর্ম ব্যবহার করে আপনি এক আকর্ষণীয় এবং স্টাইলিশ (stylish) ব্লগ তৈরি করতে পারবেন, তখন WordPress আমার সেরা পছন্দ।

কারণ, WordPress এ আপনি যেকোনো রকমের একটি ওয়েবসাইট তৈরি করতে পারবেন।

তাছাড়া, বিভিন্ন free ও premium থিম রয়েছে, যেগুলি ব্যবহার করে আপনারা এক আকর্ষণীয় এবং আধুনিক ব্লগ তৈরি করে নিতে পারবেন।

Official wordpress.org পেজে, আপনারা ৭০০০ থেকেও বেশি free themes এর collection পেয়ে যাবেন।

Customization option ব্যবহার করে, আপনারা যেকোনো theme, নিজের হিসেবে এডিট (edit) করে নিতে পারবেন।

WordPress একটি open source সফটওয়্যার, তাই এর মাধ্যমে বিভিন্ন নতুন নতুন features এবং functions নিজের ব্লগে যোগ করতে পারবেন।

বিভিন্ন free এবং premium plugin রয়েছে, যেগুলি ব্যবহার করে, নিজের ব্লগের ডিফল্ট ফাঙ্কশন (default functions) গুলি অধিক অ্যাডভান্স করে নিতে পারবেন।

উদাহরণ স্বরূপে, নিজের ব্লগে একটি online store যোগ করা, popup তৈরি করা, social sharing button দেখানো, notification bar, Author bio ডিসপ্লে করা, stylish email subscription forms দেখানো।

তাছাড়া, যা যা function এর ব্যাপারে আপনি ভাবতে পারেন, প্রায় প্রত্যেক ফাঙ্কশন আপনারা ওয়ার্ডপ্রেস ব্লগে plugin এবং third party integrations এর মাধ্যমে যোগ করতে পারবেন।

কিন্তু,

Blogger, অনেক সহজে এবং জলদি ব্লগ তৈরি করার এক অনেক লাভজনক blogging platform. কিন্তু, এই ব্লগিং প্ল্যাটফর্ম এর function, features এবং ক্ষমতা সীমিত।

একজন নতুন ব্লগার হিসেবে এর ব্যবহার করে আপনার ভালো লাগবে।

কিন্তু, এখানে আপনারা নিজের মন মতো customization options এবং functions পাওয়ার সুযোগ অনেক কম।

এখানেও আপনারা, ব্লগে বিভিন্ন features ও functions যোগ করার জন্য plugins পাবেন।

যেমন, ads, subscription links, contact form এবং এরকম কিছু সাধারণ প্লাগিন।

তবে, WordPress এর তুলনায় এখানে plugins অনেক বেশি কম। তাছাড়া, plugin গুলির বেশিভাগ কোনো কাজের না।

কোনো রকমের advanced features বা functions পাওয়ার আশা এই প্ল্যাটফর্মে করে কোনো লাভ হবেনা।

Styling এবং design এর কথা বললে, হে এখানেও আপনারা অনেক free themes পেয়ে যাবেন।

কিন্তু, theme গুলি, মোটেও আকর্ষণীয় বা আধুনিক না।

তবে, আলাদা করে premium theme কেনার অপসন আপনার হাথে অবশই থাকবে।

তাছাড়া, ওয়ার্ডপ্রেসের মতো, নিজের ব্লগে আকর্ষণীয় স্টাইলিং ফাঙ্কশন বা ফীচার যোগ করার জন্য, plugin বা extensions আপনারা এখানে পাবেননা।

তাই, যদি আপনি নিজের ব্লগে কেবল লিখতে চান এবং একটি সাধারণ ডিসাইন ও limited functions এর সাথে ব্লগ তৈরি করতে চান, তাহলে ব্লগার ব্যবহার করতে পারেন।

কিন্তু, যদি আপনি নিজের ব্লগে কেবল লিখা ছাড়াও ব্লগটি আধুনিক, সুন্দর এবং আকর্ষণীয় বানাতে চান, বিভিন্ন আধুনিক ফিচার এবং ফাঙ্কশন ব্লগে যোগ করতে চান, তাহলে WordPress সেরা অপসন।

৪. নিরাপত্তা (Security)

সেরা blogging platform বেঁচে নেয়ার সময়, ব্লগের নিরাপত্তার (blog security) ব্যাপারটা নিয়েও দেখতে হবে।

কারণ, যদি কোনো কারণে আপনার ব্লগ hacked হয়ে যায়, তাহলে আপনার অনেক গুরুত্বপূর্ণ সময় এবং টাকা নষ্ট হয়ে যাবে।

Blogger এর ক্ষেত্রে, আপনাদের Google এর robust, secure platform এর সুবিধে দেয়া হয়। এই ক্ষেত্রে, আপনার নিজের থেকে, ব্লগের কোনো ধরণের নিরাপত্তা নিয়ে ভাবতে হবেনা।

ব্লগের backup তৈরি করা, server resources manage করা বা ব্লগের নিরাপত্তা, সবটাই “robust, secure platform” দ্বারা নিজে নিজে ম্যানেজ করা হবে।

কিন্তু, এই ক্ষেত্রে একটি অসুবিধাও রয়েছে।

Blogger এর সার্ভার যখন down থাকবে, তখন আপনার ব্লগ ও down থাকবে এবং service resume করার জন্য আপনি কিছুই করতে পারবেননা।

কিন্তু,

ওয়ার্ডপ্রেস এমনিতে অনেক নিরাপদ। কিন্তু, WordPress এর ক্ষেত্রে, backup, security, login protection এগুলি নিয়ে আপনার নিজের মাথা ঘামাতে হবে।

তবে চিন্তা করবেননা।

আপনারা বিভিন্ন free WordPress plugin ব্যবহার করে, এই বিষয় গুলি নিয়ে চিন্তা মুক্ত হয়ে থাকতে পারবেন।

যেমন, Fake login protection, firewall এবং security র জন্য আপনারা Wordfence plugin ব্যবহার করতে পারবেন।

এই একটি প্লাগিন, সব দিক দিয়ে আপনার ব্লগকে বাঁচিয়ে রাখবে।

এভাবেই, ওয়েবসাইট এর ব্যাকআপ (backup) নেয়ার জন্য আপনারা বিভিন্ন backup plugins এর ব্যবহার করতে পারবেন। যেমন, UpdraftPlus সেরা ব্যাকআপ প্লাগিন।

তাই, নিরাপত্তা এবং ব্যাকআপ এর দিকদিয়ে দেখলে, দুটোই প্লাটফর্ম কাজের ও সুবিধাজনক।

৫. ব্লগ তৈরির খরচ (expenses)

এখন যদি আমরা ওয়েবসাইট বানানোর খরচ এর বেপারটা নিয়ে কথা বলি, তাহলে BLOGGER সম্পূর্ণ রূপে ফ্রি।

Blogger ব্যবহার করে আপনারা কোনো টাকা খরচ না করেই একটি ব্লগ ইন্টারনেটে চালু করতে পারবেন।

আলাদা ভাবে কোনো ধরণের হোস্টিং একাউন্ট এর প্রয়োজন আপনার হবেনা।

তাই, যারা ফ্রীতে ব্লগ তৈরি করতে চাচ্ছেন, তাদের জন্য blogger অনেক কাজের platform.

কিন্তু,

যখন কথা আসবে ওয়ার্ডপ্রেস (WordPress) এর, তখন আপনার কিছু পরিমানে টাকা অবশই খরচ করতে হবে।

যেহেতু, আমরা জানি যে, WordPress এর CMS সফটওয়্যার, এবং এই সফটওয়্যার ইনস্টল (install) করার জন্য আমাদের একটি web hosting account এর প্রয়োজন হবে।

তাই, এই “web hosting” কেনার জন্য আপনার প্রথম অবস্থায় প্রায় ২ থেকে ৩ হাজার টাকা বছরে দিতে লাগতে পারে।

তাছাড়া, আপনার ব্লগে যতটা ট্রাফিক বাড়বে, ততটাই ভালো “hosting server” আপনার ব্যবহার করতে হবে যেগুলির দাম আরো বেশি।

এর বাইরে, “blogger” এর মতো এখানে আপনি একটি “free sub-domain” পাবেননা। তাই, নিজের ব্লগের জন্য একটি “domain name” অবশই কিনে নিতে হবে।

Domain name আপনারা প্রায় ২০০ থেকে ৫০০ টাকার ভেতরে সহজে পেয়ে যাবেন।

যদি আপনারা ব্লগ তৈরি করার ফ্রি মাধ্যম খুঁজছেন, তাহলে এই ক্ষেত্রে blogger বিজয়ী (winner).

কিন্তু, যদি আপনারা “professional blogging” করার উদ্যেশে ব্লগ তৈরি করতে চাচ্ছেন, তাহলে এতটুকু খরচ WordPress এর advanced features ও functions এর তুলনায় কিছুইনা।

৬. SEO (Search engine optimization)

একজন ব্লগারের জন্য, “search engine optimization” (SEO) এর বিষয়টা নিয়ে ভাবা কিন্তু অনেক বেশি জরুরি।

কারণ, একটি ব্লগের ভালো “SEO“, ব্লগটির ভালো ভবিষ্যতের জন্য দায়ী।

তাই, এমন একটি blogging platform বেঁচে নিতে হবে, যে আপনাকে SEO সাথে জড়িত সব রকমের সাহায্য করতে পারে।

Blogger এর SEO :

এই ক্ষেত্রে, Blogger অবশই ভালো রকমে পিছিয়ে রয়েছে এবং WordPress এর SEO optimization functions এর কোনো তুলনা নেই।

ব্লগার ব্যবহার করে আপনারা কেবল সাধারণ ভাবে আর্টিকেল লিখতে পারবেন।

SEO র ব্যাপারে নিজের থেকে যা জানেন সেটা ব্যবহার অবশই করতে পারবেন।

তবে, আলাদা ভাবে “SEO optimization functions” আপনাকে দেয়া হয়না।

Blogger এর এইটা অনেক সাংঘাতিক বড়ো এক দুর্বলতা।

WordPress এর SEO :

SEO র ক্ষেত্রে WordPress অনেক লাভজনক এবং প্রত্যেক ধরণের SEO functions নিজের ব্লগে সহজেই ব্যবহার করতে পারবেন।

হে অবশই, আপনারা বিভিন্ন ধরণের ফ্রি “SEO plugin” ব্যবহার করে, নিজের ব্লগকে অধিক বেশি “SEO friendly” করে নিতে পারবেন।

SEO র ক্ষেত্রে যেই জিনিস গুলি জরুরি, যেমন – Robot.txt ফাইল, sitemap, On-page seo, https redirection সবটাই আপনারা অনেক সহজে প্লাগিন (plugin) ব্যবহার করে করতে পারবেন।

তাছাড়া, On page SEO র জন্য অনেক পপুলার WordPress plugin – “Yoast SEO” ব্যবহার করলে, যেকোনো আর্টিকেল লিখার সময়, আর্টিকেলে সঠিক ভাবে On page SEO র ব্যবহার হচ্ছে কি না, সেটা দেখতে পারবেন।

তাই, WordPress ব্যবহার করলে, On Page SEO নিয়ে আপনার কোনোরকমের চিন্তা করতে হবেনা।

এখন, SEO র বেপারটা নিয়ে যদি বলা হয়, তাহলে WordPress এর সামনে কোনো অন্য blogging platform এর কথা বলে কোনো লাভ নেই।

অবশই, আমার মতো অন্য হাজার হাজার ব্লগাররা, এই বিশেষ কারণে WordPress কে সব থেকে বেশি ভালো পান এবং ব্যবহার করেন।

৭. ভবিষ্যৎ (Future) 

Blogger এবং WordPress দুটোরি ভবিষ্যৎ অনেক ভালো। তবে, কিছু বছর থেকেই blogger ব্যবহার অনেক বেশি পরিমানে কোমে গেছে এবং অধিক বেশি পরিমানে “WordPress” ব্যবহার করে ব্লগ তৈরি করা হয়েছে।

আসলে, আজ ব্লগিংকে লোকেরা নিজের ক্যারিয়ার (career) হিসেবে নিয়ে কাজ করতে চান।

তাই, প্রত্যেকেই professional blogging করার জন্য একটি professional blogging platform ব্যবহার করার ইচ্ছা রাখেন।

এবং, এই ক্ষেত্রে “WordPress” অবশই একটি professional platform বলে প্রত্যেক বার প্রমাণিত হয়েছে.

এবং তাই, blogger এর তুলনায় WordPress এর ভবিষ্যত অনেক উজ্জ্বল।

তাছাড়া, মনে রাখবেন blogger একটি website, যেটা গুগল এর দ্বারা নিয়ন্ত্রণ করা হচ্ছে।

এবং গুগল যেকোনো সময় এই ওয়েবসাইট বা সার্ভিস বন্ধ করার অধিকার রাখে।

যেভাবে তারা কিছু দিন আগে, Google plus সার্ভিসটি বন্ধ করে দিয়েছিলো।

তবে WordPress হলো একটি CMS software যেটা Open Source. তাই, এই software জেকেও download করে চিরকাল ব্যবহার করতে পারবেন।

তাই, আমরা পেলাম যে, ভভিষ্যতে আজকের তুলনায় WordPress এর জনপ্রিয়তা আরো অধিক পরিমানে বেড়ে যাবে।

 

Conclusion,

শেষে, WordPress এবং blogger দুটোই অধিক বেশি পরিমানে ব্যবহার করা blog platforms. যেহেতু, দুটো platform এর নিজের নিজের আলাদা আলাদা বিশিষ্ট রয়েছে, তাই কোন প্লাটফর্ম আপনার জন্য ভালো এবং সেরা, সেটা আপনার নিজের ঠিক করতে হবে।

যদি, আপনি একটি simple blog তৈরি করে নিজের stories (articles) শেয়ার করতে চাচ্ছেন, তাহলে একটি simple platform যেমন “Blogger” বেঁচে নিতে পারবেন।

কিন্তু, যদি আপনার উদ্যেশ্য একটি প্রফেশনাল ব্লগ তৈরি করা, যেটার মাধ্যমে আপনি ভবিষ্যতে ভালো পরিমানে টাকা আয় করতে পারবেন, তাহলে আপনার প্রয়োজন হবে “WordPress” এর মতো একটি শক্তিশালী এবং অ্যাডভান্স প্লাটফর্মের।

আপনি যদি আমার পরামর্শ জানতে চাচ্ছেন, তাহলে বলি, ব্লগার কোনো মতেই একটি খারাপ platform না।

কিন্তু, WordPress অন্য platform গুলির তুলনায় অনেক বেশি পরিমানে ভালো, advanced এবং শক্তিশালী যেটা প্রত্যেক ব্লগারকে ব্যবহার করার পরামর্শ আমি দেব।

তাহলে শেষে, আশা করি “Blogger Vs WordPress” এর পার্থক্য গুলি এবং কোন প্লাটফর্ম সব থেকে ভালো ও কোনটা ব্যবহার করবেন, এই প্রশ্ন গুলির উত্তর অবশই দিতে পারলাম।

2 thoughts on “WordPress vs Blogger : ব্লগ তৈরির জন্য কোনটা ভালো এবং কেন ?”

  1. Avatar
    মুনকাসির হোসেন

    আপনার নিয়মিত একজন পাঠক আমি। অনেক কনফিউশন দূর হয়ে গেল। আমি ব্লগিং এর দুনিয়ায় নতুন তাই ব্লগার দিয়েই যাত্রা শুরু। বরাবরের মত এইবারও গোছান লিখা। ধন্যবাদ দাদা।

  2. Avatar

    পোষ্টটি অনেক বড়। পড়তে পড়তে একসময় ধর্য হারা হয়ে গেলাম। পরে দেখি আমি মাত্র অর্ধেক পোষ্ট পড়েছি। পুরোটা আর পড়তে ইচ্ছে হলো না৷

Leave a Comment

Your email address will not be published. Required fields are marked *

error:
Scroll to Top