Computer ও laptop এর বিষয়ে আমরা এমনিতে প্রচুর আর্টিকেল এই বাংলা ব্লগে লিখেছি।
তবে, আজকের এই আর্টিকেলে আমরা কথা বলবো কম্পিউটারের সিপিইউ (CPU) নিয়ে। (About CPU in Bangla).
হে, আজকে আমরা “কম্পিউটারে CPU কি” বা “সিপিইউ কাকে বলে” এই বিষয়ে সম্পূর্ণটা জানার চেষ্টা করবো।
আমরা সবাই জানি, একটি CPU কে কম্পিউটারের brain বলে বলা হয়।
কারণ, কম্পিউটারের ভেতরে হয়ে থাকে প্রত্যেকটি calculations এবং process গুলো CPU এর দ্বারা সম্পন্ন করা হয়।
কম্পিউটারের অন্যান্য মূল অংশ গুলোর ভূমিকাও প্রচুর।
তবে, আমরা যখন একটি কম্পিউটারকে কাজ দিয়ে থাকি তখন সেই কাজ, কম্পিউটারটি কেবল CPU এর মাধ্যমেই বুঝে সেটাকে করে নিতে পারে।
আমাদের বেশিরভাগ লোকেদের মধ্যে একটি ভুল ধারণা রয়েছে,
আমরা ভাবি যে, “কম্পিউটার কেবল একটি ডিভাইস (device) এর নাম”.
কিন্তু সেটা সম্পূর্ণ ভুল।
কারণ, একটি কম্পিউটার বিভিন্ন জরুরি ইনপুট এবং আউটপুট ডিভাইস এর মিশ্রণ।
এবং, CPU ও হলো কম্পিউটারের এমন এক জরুরি “processing device“, যেটা ছাড়া একটি কম্পিউটার কাজ করতে পারবেনা।
তাহলে চলুন,
নিচে আমরা বিস্তারিত ভাবে জেনেনেই যে, CPU কি বা সিপিইউ কাকে বলে, CPU এর কয়টি অংশ ও কি কি, CPU এর পূর্ণরূন কি, সিপিইউ কিভাবে কাজ করে এবং CPU এর সাথে জড়িত অন্যান্য তথ্য গুলো (CPU information in Bengali), আজকে আমরা এই আর্টিকেলে জানার চেষ্টা করবো।
আজকের এই আর্টিকেল সম্পূর্ণ ভাবে পড়লে, “CPU বলতে কি বুঝায়” বিষয়টা আপনারা ভালো করে বুঝে যাবেন।
CPU কি ? সিপিইউ বলতে কি বুঝায় – (What is CPU)
সিপিইউ (CPU), একটি কম্পিউটারের এমন একটি গুরুত্বপূর্ণ ভাগ যেটাকে “microprocessor”, “processor” বা কেবল “CPU” হিসেবে বলা যেতে পারে।
সিপিইউ দেখতে একটি electronic chip এর মতোই হয় যেটার কাজ হলো সম্পূর্ণ কম্পিউটারের data এবং information গুলোকে সঠিকভাবে নিজের কাছে রেখে সেগুলোকে process করা।
আপনার কম্পিউটারের সাথে সংযুক্ত hardware, software, user, input ও output device গুলোর থেকে ডাটা (data) এবং নির্দেশ (instructions) গুলোকে CPU গ্রহণ করে এবং সেগুলোকে প্রসেস করে আমাদের আউটপুট (output) প্রদান করে।
একটি কম্পিউটারের সাথে সংযুক্ত প্রত্যেকটি উপকরণ বা উপাদান এবং এদের সাথে জড়িত প্রত্যেকটি কার্য গুলোকে, কম্পিউটারের সিপিইউ (computer CPU) নিয়ন্ত্রণ করে।
আর তাই, CPU কে কম্পিউটারের মস্তিষ্ক (brain) বলে বলা হয়।
সোজা ভাবে বললে,
CPU হলো কম্পিউটারের এমন এক প্রসেসিং ডিভাইস,
যেটার মাধ্যমে ইউসার (user) বা কম্পিউটার প্রোগ্রাম (program) এর দ্বারা কম্পিউটারকে দেওয়া প্রত্যেকটি নির্দেশ গুলোকে নিয়ন্ত্রণ এবং পরিচালনা করা হয়।
ফলে, ইউসার বা কম্পিউটার প্রোগ্রাম এর মাধ্যমে দেওয়া নির্দেশ হিসেবে আমরা আউটপুট (output) পেয়ে যাই।
এই CPU device টি, একটি কম্পিউটারের motherboard এর মধ্যে CPU fan এর নিচে লাগানো হয়।
CPU এর অন্যান্য ভাগ গুলো,
- ALU
- Cache memory
- Registers
- FPU
একটি সিপিইউ এর ভেতরেই থাকে।
CPU এর পূর্ণরূপ কি ? (Full form of CPU)
আমরা একনিতে সিপিইউ বলেই জানি। এবং অনেকে তো এটাও জানেননা যে, সিপিইউ এর একটি পূর্ণরূপ রয়েছে।
সে যাই হোক, ইংরেজি ভাষাতে CPU এর পূর্ণরূপ বা ফুল ফর্ম হলো “central processing unit“.
যদি বলা হয় বাংলাতে সিপিইউ এর পুরো নাম কি তাহলে এর উত্তর হলো, “কেন্দ্রীয় প্রচালন তন্ত্র“.
এই কেন্দ্রীয় প্রচালন তন্ত্রের অবিহনে কম্পিউটার কোনো ধরণের কাজ করতে পারেনা।
সিপিইউ এর সহায়ক গুলো কি কি ?
CPU একটি অনেক শক্তিশালী processing unit বা device হলেও, আউটপুট প্রদান করার উদ্দেশ্যে এর কিছু সহায়ক অবশই রয়েছে।
সেগুলো হলো,
- Memory
- Control unit
- ALU
১. Memory
Memory বলতে আপনারা একে কম্পিউটারের স্মৃতিশক্তি হিসেবে বলতে পারবেন।
এখানে, কম্পিউটারের program এবং instructions গুলোর সাথে জড়িত তথ্য গুলো জমা থাকে।
CPU, গ্রহণ করা নির্দেশ (instructions) গুলোকে প্রসেস করার আগেই, সেই নির্দেশ এর সাথে জড়িত data এবং information গুলোকে এই memory device এর মধ্যে জমা করে রাখে।
এবং, ইউসার বা প্রোগ্রাম গুলোর নির্দেশ অনুযায়ি জমা রাখা ডাটা এবং তথ্য গুলোকে মেমোরির থেকে সংগ্রহ করে তারপর প্রসেস করে আমাদের আউটপুট প্রদান করে।
এই ক্ষেত্রে, computer memory আবার দুই ধরণের হতে পারে।
- যেই মেমোরিতে unprocessed data (input) (যেগুলো এখনো প্রসেস করা হয়নি) রাখা হয়, সেই মেমোরিকে বলা হয় “RAM memory”.
- যেই মেমোরিতে process data (output) (যেগুলো প্রসেস করা হয়েগেছে) রাখা হয়, সেই মেমোরিকে বলা হয় “ROM memory“.
তাহলে বুঝলেন তো, প্রসেসিং এর ক্ষেত্রে মেমোরির গুরুত্ব।
২. Control unit
Control unit হলো কম্পিউটার সিপিইউ এর এক গুরুত্বপূর্ণ উপাদান (component) যার মাধ্যমে processor এর ক্রিয়াকলাপ গুলোকে নির্দেশ দেওয়া হয়।
একে আমরা CU বলেও বলতে পারি।
সোজা ভাষাতে বললে, control unit বা CU কে, কম্পিউটারের ম্যানাজার (manager) হিসেবেও বলা যেতে পারে।
কারণ, CPU এর এই অংশ কম্পিউটারের সম্পূর্ণ operations গুলোকে নিয়ন্ত্রণ করে।
একটি প্রোগ্রাম থেকে গ্রহণ করা নির্দেশ গুলোকে কিভাবে পালন করতে হবে,
সেটা, control unit কম্পিউটারের প্রত্যেক input device, output device, মেমরি, লজিকাল ইউনিট ইত্যাদি গুলোকে জানিয়ে দেয়।
৩. ALU
সিপিইউ এর এই ভাগটির সম্পূর্ণ নাম হলো “Arithmetic Logical Unit”.
এই ভাগটির মূলত দুটোই কাজ রয়েছে।
এবং সেগুলো হলো,
- প্রথম কাজ হলো, গাণিতিক ক্রিয়া (Mathematical operation) গুলো করা।
- দ্বিতীয় কাজ হলো, পরিনাম দেওয়া।
এর মাধ্যমে, আমরা কম্পিউটার এর মধ্যে যোগ-বিয়োগ, গুনাকার, ভাগ করা ইত্যাদি করতে পারি।
ALU কম্পিউটারের বিভিন্ন ডাটা গুলোর মধ্যে তুলনা করা, ডাটা সিলেক্ট করা, ডাটা ম্যাচ করা ইত্যাদি কাজ করে।
CPU core কি ? ( What is CPU core )
প্রত্যেক CPU প্রসেসিং এর কাজ করার জন্য কমেও একটি processing unit দিয়ে তৈরি করা হয়।
এবং এই individual processing unit গুলোকেই আমরা processing core বা CPU core বলে বলতে পারি।
মনে রাখবেন, single processing unit থাকা CPU, একটি সময়ে কেবল একটি কাজ করতে পারতো।
এই ধরণের CPU গুলোকে single core processor বলা হয়।
এবং, এই পুরোনো CPU গুলোর ব্যবহার করে multitasking করার কথা ভাবাই যেতোনা।
একটি CPU যত বেশি processing core দিয়ে তৈরি করা থাকবে, ততটাই বেশি শক্তিশালী হবে সেই CPU.
সময়ের সাথে সাথে, CPU গুলোকে multi-core এর ব্যবহার করার যোগ্য বানানো হলো।
আর এখনের সময়ে, একটি single CPU একাধিক processing unit এর সাথে তৈরি করা হয়।
এই ধরণের শক্তিশালী multi-core CPU গুলোকে বর্তমান আধুনিক computer desktop এবং laptops গুলোতে ব্যবহার করা হয়।
আধুনিক প্রযুক্তি এবং কম্পিউটার টেকনোলজির উন্নয়ননের ফলে আমরা বর্তমানে বিভিন্ন ধরণের multi-core processor ব্যবহার করতে পারি।
যেমন,
- Dual-core
- Quad-core
- Hexa-core
- Octa-core
চলুন এই বিভিন্ন multi-core processor গুলোর বিষয়ে অল্প জেনে নেওয়া যাক।
Dual core
এই ধরণের CPU গুলোতে দুটো processing units দেওয়া থাকে। তাই, এই CPU গুলোকে dual-core processors বলা হয়।
আধুনিক single-core processors গুলোর তুলনায় এই ধরণের CPU গুলো প্রচুর fast এবং কম্পিউটারে একসাথে একাধিক কাজ করার ক্ষেত্রে কিছুটা লাভজনক।
উদাহরণ স্বরূপে, Intel Pentium Dual Core Processors এই ধরণের দুটো processing unit থাকা CPU.
বর্তমানে, সাধারণ কম কাজ এবং সাধারণ ইন্টারনেট ব্যবহার করার ক্ষেত্রে এই ধরণের dual core CPU ব্যবহার করা হয়।
Quad core
এই ধরণের CPU গুলোতে ৪ টি করে প্রসেসিং ইউনিট দেওয়া থাকে।
অধিক processing units থাকার কারণে, এই ধরণের processor গুলোর দাম অধিক থাকে।
তাছাড়া, একটি quad code processor প্রচুর শক্তিশালী হয় এবং একসাথে একাধিক কাজ সহজেই করতে পারে।
উদাহরণ স্বরূপে, Ryzen 5 2400 G একটি সেরা quad core processor.
Hexa core
এখন নাম শুনেই হয়তো আপনারা বুঝতে পেরেছেন যে, এই ধরণের CPU গুলোতে কতটি processing unit থাকে।
হে, আপনি ঠিক ধরেছেন, এই ধরণের hexa core processor গুলোতে ৬ টি প্রসেসিং কোর থাকে।
আর তাই, এই ধরণের CPU গুলো সাংঘাতিক দ্রুত ভাবে কাজ করে।
Intel i5 এর কিছু CPU processors এবং Intel i7 এর processor গুলো হলো এই Hexa core CPU তে ধরা যেতে পারে।
Octa core
যেই CPU তে ৮ টি আলাদা আলাদা প্রসেসিং ইউনিট থাকে সেই CPU গুলোকে octa core এর শ্রেণীতে ধরা হয়।
এই ধরণের CPU কিনা ও ব্যবহার করাটা সবার পক্ষ্যে সম্ভব না।
কারণ, এই CPU গুলোর দাম প্রচুর বেশি।
Intel i7 Processors এর 9th generation এর পরের CPU গুলোকে এই শ্রেণীতে ধরা হয়।
CPU কিভাবে কাজ করে ?
একটি কম্পিউটারে হওয়া প্রত্যেকটি কাজ নিয়ন্ত্রণ করার ক্ষেত্রে CPU র ভূমিকা প্রচুর গুরুত্বপূর্ণ।
উদাহরণ স্বরূপে,
যখন আমরা কম্পিউটারের mouse বা keyboard ব্যবহার করে কম্পিউটারে click বা type করি তখন সেই নির্দেশ সর্ব প্রথমে কম্পিউটারের RAM memory তে যায়।
এবং, RAM memory থেকে সেই নির্দেশ এর সাথে জড়িত ডাটা ও তথ্য গুলো CPU এর দ্বারা সংগ্রহ করে সেগুলোকে প্রসেস করা হয়।
CPU এর দ্বারা যখন নির্দেশের সাথে জড়িত data এবং information গুলোকে process করা হয়,
তখন CPU নিজেই, আমাদের দেওয়া নির্দেশ (instructions) অনুযায়ী সমস্ত computer hardware এবং input & output device গুলোকে নির্দেশ দিয়ে কাজ করিয়ে আউটপুট প্রদান করে।
এবং এটাই হলো “CPU এর কাজ”.
User বা program গুলোর দ্বারা দেওয়া নির্দেশ গুলোকে নিয়ন্ত্রণ এবং পরিচালনা করে সঠিক আউটপুট প্রদান করাটাই হলো CPU এর কাজ।
আজকে আমরা কি শিখলাম,,
তাহলে বন্ধুরা, আশা করছি আপনাদের আজকের এই আর্টিকেল “CPU মানে কি” (What is CPU in Bengali) ভালো লেগেছে।
এমনিতে, কম্পিউটার মানে কি এই বিষয়ে আমি আগেই আপনাদের বলেছি।
তবে, অনেকেই আছেন যারা সিপিইউ এর বিষয়ে আলাদা করে জেনেনিতে।
তাই তাদের জন্যই আজকের এই আর্টিকেল।
যদি আর্টিকেলটি ভালো লেগে থাকে, তাহলে share অবশই করবেন।
তাছাড়া, আর্টিকেল এর সাথে জড়িত কোনো ধরণের প্রশ্ন বা পরামর্শ থাকলে, আমাকে নিচে কমেন্ট করে জানাবেন।