বর্তমান সময়ে, বিটকয়েন অনেক বেশি জনপ্রিয় ও প্রচলিত একটি বিষয় হয়ে দাঁড়িয়েছে। আমার এবং আপনার মতো হাজার হাজার লোকেরা, এই বিটকয়েন কি? কিভাবে বিটকয়েন কেনা যায়? বিটকয়েন ওয়ালেট কি? এবং বিটকয়েন মাইনিং সম্পর্কে জেনেনিতে চান।
আর তাই, বিটকয়েন কাকে বলে, বিটকয়েন কিভাবে কাজ করে, কিভাবে বিটকয়েন কেনা বেচা করতে পারবেন এবং শেষে কিভাবে বিটকয়েন একাউন্ট খুলবো এই সম্পূর্ণ বিষয়গুলি আজকের এই আর্টিকেলে তুলে ধরা হয়েছে।
Bitcoin হলো এক ধরণের ভার্চুয়াল মুদ্রা জেটিতে বিনিয়োগ করে জেকেও প্রচুর লাভ আয় করার সুযোগ পেতে পারবেন। তবে বিটকয়েন থেকে কিভাবে টাকা বা লাভ আয় করা যাবে সেটা জানার আগে, চলুন জেনেনেই আসলে কি এই বিটকয়েন।
- দৈনন্দিন জীববে ইন্টারনেট ব্যবহারের সুবিধা
- সাইবার ক্রাইম (cyber crime) কি ?
- ইন্টারনেট কি এবং কিভাবে কাজ করে ?
এই আর্টিকেলটিতে আমি আপনাদের অনেক স্পষ্ট করে বুঝিয়ে বলবো যে, “বিটকয়েন মানে কি” (What is bitcoin in Bangla).
সূচিপত্র:
বিটকয়েন কি? (Bitcoin meaning in Bengali)
Bitcoin হলো এমন একটি “virtual currency“ (মুদ্রা) যেটা জেকেও কেবল ডিজিটালভাবে ব্যবহার করতে পারবেন। যেভাবে অন্যান্য মুদ্রা যেমন, ডলার (dollar), রুপি (rupees) ইত্যাদি রয়েছে, ঠিক সেভাবেই বিটকয়েন (bitcoin) ও হলো এক ধরণের মুদ্রা।
এই ধরণের ভার্চুয়াল মুদ্রা গুলিকে আমরা হাতে ধরে অনুভব করতে পারিনা তাছাড়া চোখে দেখাও সম্ভব না। তাই, বিটকয়েন কে “digital currency” বলেও বলা হয়। একে এক ধরণের ইলেকট্রনিক মুদ্রা বলেও বলা যেতে পারে।
বিটকয়েন এমন এক ধরণের মুদ্রা, যেটাকে কেবল, অনলাইনে ডিজিটালি কেনা এবং বেচা করা যেতে পারে। এই ধরণের digital currency বা electronic money ব্যবহার করে, বিভিন্ন ক্ষেত্রে অনলাইন লেনদেন করতে পারবেন।
Bitcoin, কেবল অনলাইন বিটকয়েন ওয়ালেট গুলিতে জমা করে রাখা যেতে পারে। যেকোনো bitcoin transaction করার ক্ষেত্রে এই wallet app বা website গুলি ব্যবহার করতে হবে।
আমি আগেই বলেছি, আপনি বিটকয়েন গুলিকে হাতে ধরে দেখতেও পারবেননা এবং একে চোখে দেখাটাও সম্ভব না। এই ধরণের cryptocurrency কেবল, সংখ্যার মাধ্যমে বা ডিজিটাল গ্রাফিক্স এর দ্বারা প্রকাশ করা যেতে পারে।
যেভাবে, প্রত্যেক দেশ বিদেশে ১ ডলারের মান আলাদা আলাদা, ঠিক সেভাবেই, ১ বিটকয়েনের মান আলাদা আলাদা দেশে আলাদা আলাদা হবে। এখন হয়তো আপনার মনে একটি সাধারণ প্রশ্ন অবশই আসছে। ১ বিটকয়েন সমান কত টাকা? তাই তো ? চলুন জেনেনেই।
১ বিটকয়েন সমান কত টাকা?
তাহলে, এর উত্তর আলাদা আলাদা দেশ এর ক্ষেত্রে আলাদা আলাদা হবে।
ভারতের ক্ষেত্রে,
বর্তমানে যেদিন আমি এই আর্টিকেলটি লিখছি, সেদিন,
“১ বিটকয়েন 5,41,027.81 ভারতীয় টাকার সমান“।
এবং, বাংলাদেশের ক্ষেত্রে,
“১ বিটকয়েন সমান 6,04,874.40 Bangladeshi Taka“.
তবে মনে রাখবেন, ১ bitcoin এর এই মান প্রত্যেক দিন ওপর নিচ হতেই থাকে।
তাই, জরুরি না যে আমি যেই দাম দিয়ে বিটকয়েন কিনেছেন, চিরকাল সেটাই থাকতে হবে। কালকেই হয়তো, এর থেকে দুগুণ বেশি বা কম হয়ে যেতে পারে বিটকয়েন এর দাম।
হে, কিছুটা শেয়ার মার্কেট (share market) এর মতোই লাগছে, তাই তো। তবে, শেয়ার মার্কেটের মতো হলেও এর সাথে বিটকয়েন এর কোনো সম্পর্ক নেই।
সোজা ভাবে, বিটকয়েন কাকে বলে ?
বিটকয়েন মানে হলো, এক decentralized virtual currency। এর মানে হলো, এ এমন এক ধরণের মুদ্রা (currency), যেটাকে নিয়ন্ত্রণ করার জন্য কোনো ধরণের bank, authorities বা government নেই। সোজা ভাবে বললে, bitcoin এর কোনো মালিক নেই।
যেভাবে, ইন্টারনেটের কোনো মালিক নেই কিন্তু আমরা সবাই এর ব্যবহার করে লাভ নিচ্ছি, ঠিক সেভাবেই, বিটকয়েন এর কোনো মালিক নেই। তবে জেকেও ডিজিটালি (digitally) এই মুদ্রা কিনতে, বিক্রি করতে এবং এর ব্যবহার করতে পারবেন।
তাহলে আশা করছি, “বিটকয়েন বলতে কি বুঝায়” (bitcoin meaning in Bengali) বেপারটা আপনারা বুঝতে পারলেন।
বিটকয়েন কে আবিষ্কার করেছেন ?
২০০৯ সালে, “Satoshi Nakamato” নামের একজন ব্যাক্তি বিটকয়েনের আবিষ্কার করেছিলেন। তবে, সেই সময় বিটকয়েন এর জনপ্রিয়তা ও লোকপ্রিয়তা আজকের সময়ের মতো কখনোই ছিলোনা।
Wikipedia.org ওয়েবসাইটের মতে, যখন ২০০৯ সালে বিটকয়েন আবিষ্কার করা হয়েছিল, তখন ২০০৯ থেকে ২০১০ এর ভেতরে, ১ বিটকয়েন এর মান (value) প্রায় কিছুই ছিলোনা। তবে, ২০১০ সালের মার্চ মাসে, ১ বিটকয়েন সমান $0.003 এবং জুলাই মাসে $0.008–$0.08 ভেতরে থাকে।
তারপর, ২০১২ সালের পর প্রায় ২০১৩ সালের থেকে, ১ বিটকয়েনের মান তীব্র গতিতে বৃদ্ধি পায়।
আপনারা চাইলে wikipedia ওয়েবসাইটের “history of bitcoin” পাতাতে গিয়ে সম্পূর্ণটা দেখে নিতে পারবেন।
এরপর ২০২৪ সালের আজকের দিনে ১ বিটকয়েনের মান কয়েক লক্ষ টাকা (গুগলের হিসেবে)।
তাই ভাবুন, যদি আপনি বিটকয়েন চালু হওয়ার প্রথম ২ থেকে ৩ বছরের ভেতরে কিছুটা কিনে রাখতেন, তাহলে আজ ১০০ বা ২০০ টাকার বদলে কয়েক লক্ষ টাকার মালিক হয়ে দাঁড়াতেন। আমি জানলে আমিও অবশই আগেই কিনেই রাখতাম এই বিটকয়েন।
বিটকয়েনের মাধ্যমে প্রচুর লোকেরা টাকা আয় করছেন। কিন্তু, কপাল এবং সুযোগ বলেও কিছু কথা রয়েছে যেটা সবাইর ক্ষেত্রে দেখা দেয়না।
বিটকয়েন কিভাবে কাজ করে ?
বিটকয়েন কিভাবে কাজ করে, এই প্রশ্নটি বেশি জটিল ভাবে নিয়ে কোনো লাভ নেই। তাই চলুন, আমরা সহজ ভাষায় জেনেনেই যে, বিটকয়েন কাজ কিভাবে করে।
আমি আগেই বলেছি যে, বিটকয়েন হলো এক রকমের ইলেক্ট্রনিক মুদ্রা বা ডিজিটাল মুদ্রার। এবং, এই ধরণের মুদ্রা ব্যবহার, আদান প্রদান বা কেনা বেচার জন্য, ইন্টারনেটের প্রয়োজন। উদাহরণ স্বরূপে,
আজকাল অনেক ধরণের online wallet apps রয়েছে, যেমন “paytm“, “freecharge” ইত্যাদি।
যেভাবে, টাকা হাথে না ধরে বা চোখে না দেখেই এই wallet app গুলি ব্যবহার করে আমরা নিজের wallet app থেকে অন্যের wallet app এ টাকা ডিজিটালি ট্রান্সফার করে দিতে পারি, ঠিক সেভাবেই, বিটকয়েনও এমনি একটি virtual money র প্রকার, যেটা না কোনোদিন হাথে ধরে দেখতে পারবেন আর না চোখে দেখতে পারবেন।
এই সম্পূর্ণ প্রক্রিয়া ইন্টারনেটের মাধ্যমে virtually বা digitally সম্পন্ন করা হয়। তবে, বিটকয়েন কেনা বেচা বা আদান প্রদান করার জন্য আপনার যেকোনো একটি “বিটকয়েন এপস (apps)” বা “ওয়েবসাইট” ব্যবহার করতে হবে।
ওয়েবসাইট বা এপস টির মাধ্যমেই, আপনার কাছে থাকা bitcoin এর সাংখ্যিক মান বা পরিমান দেখতে পারবেন। এবং, বিটকয়েনের এই ওয়েবসাইট বা এপস গুলির মাধ্যমেই আপনি প্রয়োজন হিসেবে বিটকয়েন কিনে নিতে ও বিক্রি করতে পারবেন।
সাধারনে, লোকেরা বিটকয়েন তখন কিনে রাখেন, যখন মার্কেটে এর চাহিদা (demand) কমে আসে। কারণ, যখন মার্কেটে এর চাহিদা কম থাকবে, তখন প্রত্যেক bitcoin এর value বা দাম কোমে যাবে। তাই, কম টাকা খরচ করে অধিক bitcoin কিনে নিতে পারবেন।
আবার, যখন bitcoin এর চাহিদা মার্কেটে আবার বেড়ে আসবে, তখন এর দাম বেশি থাকবে। এবং, এটাই সেই সময় যখন কম দামে কেনা বিটকয়েন আপনি আবার বিক্রি করে, অধিক লাভ বা টাকা আয় করে নিতে পারবেন।
আপনার কেনা বিটকয়েন এর দাম বা মান বর্তমানে কত হয়েছে, সেই বেপারেও আপনি apps বা website গুলির মাধ্যমে জেনেযাবেন।
কিভাবে বিটকয়েন কেনা যায়?
Bitcoin কেবল অনলাইনে ইলেকট্রনিক ভাবে জমা করে রাখা যেতে পারে। তাই, বিটকয়েন কেনার জন্য প্রথমেই আমাদের একটি “বিটকয়েন ওয়ালেট (bitcoin wallet) একাউন্ট” এর প্রয়োজন হবে।
ওয়ালেট একাউন্ট খোলার জন্য, একটি bitcoin wallet এ গিয়ে রেজিস্টার করতে হবে। বিটকয়েন ওয়ালেট বিভিন্ন রকমের হতে পারে।
যেমন,
- Desktop wallet
- Mobile wallet
- Online wallet
- Hardware wallet
এগুলির মধ্যে, যেকোনো একটি ওয়ালেট ব্যবহার করে আমাদের একটি একাউন্ট তৈরি করতে হয়। এই ওয়ালেট গুলি unique address হিসেবে, আমাদের একটি ID দিয়ে দেয়। এই Unique address বা ID মাধ্যমে, ভবিষ্যতে আয় করা বিটকয়েন আমরা আমাদের ওয়ালেট একাউন্টে জমা রাখতে পারি।
এখন, বিটকয়েন একাউন্ট খোলার জন্য সব থেকে বেশি পরিমানে দুটি aap ব্যবহার করা হয়।
- Unocoin
- Zebpay
Unocoin :
Unocoin একটি অনেক ভালো এবং user-friendly website, যেটা ব্যবহার করে সহজেই জেকেও বিটকয়েন একাউন্ট খুলে নিতে পারবেন। এর মাধ্যমে, অনেক সহজেই বিটকয়েন কেনা বেচা করতে পারবেন। Unicoin এ এমন প্রচুর features রয়েছে, যার জন্য অনেকেই এই ওয়েবসাইট ব্যবহার করে বিটকয়েন কিনে নিচ্ছেন।
Features :
- Zero % fees
- Simple integration
- No chargebacks
- OTC trading
- Auto sell bitcoin
- Netki : আপনি নিজের একটি bitcoin address তৈরি করতে পারবেন।
- অধিক ভালো security র ক্ষেত্রে, 2 step authentication এর সুবিধা রয়েছে।
বিটকয়েন একাউন্ট খোলার জন্য, Unicoin app ডাউনলোড করে নিজের কিছু তথ্য ও নথি পত্র জমা করে, আপনি একটি bitcoin wallet account তৈরি করতে পারবেন।
Zebpay :
Zebpay একটি অনেক ইউজার ফ্রেন্ডলি ওয়েবসাইট, যেখান থেকে আমরা সহজে বিটকয়েন কিনে নিতে পারবো। বিভিন্ন লোকেরা এর ব্যবহার করছেন এবং বিটকয়েন কেনার ক্ষেত্রে সব থেকে ভালো এপ্লিকেশন হিসেবে Zebpay প্রমাণিত হয়েছে.
Features Of Zebpay
- এখানে বিটকয়েনের মাধ্যমে মোবাইল এবং ডিটিএইচ রিচার্জ করা সম্ভব।
- অ্যামাজন, ফ্লিপকার্ট এবং মেক মাই ট্রিপ vouchers কিনে নিতে পারবেন বিটকয়েনের মাধ্যমে।
- বিটকয়েন কেনার সব থেকে দ্রুত মাধ্যম।
- অনেক সুরক্ষিতভাবে বিটকয়েন কেনা বেচা করতে পারবেন।
- এই এপ্লিকেশন ব্যবহার করে মোবাইল থেকে bitcoin কেনা বেচা করা সম্ভব।
কিভাবে বিটকয়েন কিনতে পারবেন?
বিটকয়েন কিনার জন্য এই Zebpay app প্রথমে ডাউনলোড করতে হবে।
তাছাড়া, আপনারা zebpay র website এ গিয়েও একাউন্ট রেজিস্টার করতে পারবেন।
তারপর আপনার কিছু তথ্য এবং নথি (documents) দিয়ে একাউন্ট রেজিস্টার করতে হবে।
শেষে, একাউন্ট এপ্রুভ করার পর, আপনি বিটকয়েন কিনতে পারবেন এবং উচিৎ সময় হিসেবে বিক্রিও করতে পারবেন।
তাহলে, ভারতে বর্তমানে বিটকেই একাউন্ট খোলার এই দুটি ভালো এবং প্রচলিত website বা app রয়েছে।
কিভাবে বিটকয়েন আয় করা যায় ?
বিটকয়েন আয় করার মূলত তিনটি প্রধান উপায় বা মাধ্যম রয়েছে।
প্রথম এবং সবচেয়ে জনপ্রিয় উপায় হলো,
টাকা খরচ করে বিটকয়েন কেনা।
যদি আপনার কাছে টাকা রয়েছে তাহলে টাকার বিনিময়ে একটি সম্পূর্ণ বিটকয়েন কিনে নিতে পারবেন। তবে বর্তমানে, সম্পূর্ণ একটি বিটকয়েন কেনার জন্য আপনার 7251 ডলার খরচ করতে হবে।
তাছাড়া, আপনি চাইলে বিটকয়েনের ছোট ছোট অংশ বা ইউনিট (units) কিনে নিতে পারবেন। যেমন ১ টাকায় ১০০ পয়সা, ঠিক সেভাবে একটি বিটকয়েনে অনেক ছোট ছোট ইউনিট (unit) রয়েছে যেগুলোকে satoshi বলা হয়।
১ টি বিটকয়েনে ১০ কোটি সাতোশি (satoshi) থাকে। এবং, আপনারা অনেক কম টাকা খরচ করে এই ছোট satoshi গুলি কিনে নিতে পারবেন। আপনি চাইলে ১০০ টাকা, ২০০ টাকা, ১ হাজার টাকা বা ১০,০০০ টাকার সাতোশি বা ছোট ছোট বিটকয়েন ইউনিট কিনে নিতে পারবেন।
এবং ভবিষ্যতে, যখন আপনার কেনা বিটকয়েনের মান বা ভেলু অধিক হয়ে যাবে, তখন আপনি আপনার বিটকয়েন গুলি বিক্রি করে অধিক টাকা ও লাভ আয় করে নিতে পারবেন।
দ্বিতীয় মাধ্যমটি হল,
যদি আপনি কোন পণ্য অনলাইনে বিক্রি করছেন তাহলে তার বিনিময়ে কাস্টমার থেকে বিটকয়েন নিয়ে নিতে পারবেন। এভাবে, আপনার পন্য (product) বিক্রিও হয়ে গেলো এবং তার বিনিময়ে কিছু পরিমাণে বিটকয়েন আয় করে নিতে পারবেন।
এভাবে নিয়ে নেওয়া বিটকয়েন আপনার বিটকয়েন ওয়ালেট একাউন্টে জমা হয়ে থাকবে। তাছাড়া, আপনি চাইলে ভবিষ্যতে সেই বিটকয়েনের সংখ্যা গুলি অধিক লাভ দেখে বিক্রি করতে পারবেন বা কেনা বেচার ক্ষেত্রে ব্যবহার করতে পারবেন।
বিটকয়েন আয় করার তৃতীয় উপায়,
বিটকয়েন আয় করার তৃতীয় এবং সবচেয়ে জনপ্রিয় উপায় হলো, বিটকয়েন মাইনিং (bitcoin mining)। বিটকয়েন মাইনিং ব্যাপারটা কিন্তু সম্পূর্ণ আলাদা এবং এ ব্যাপারে আপনার প্রচুর জ্ঞান অবশ্যই থাকতে হবে.
এক্ষেত্রে আপনার একটি কম্পিউটারের প্রয়োজন হবে এবং যার প্রসেসর এবং হার্ডওয়ার অধিক উন্নতমানের এবং শক্তিশালী হওয়া জরুরী। চলুন, বিটকয়েন মাইনিং কাকে বলে, ব্যাপারটা ভালো করে জেনেনেই।
বিটকয়েন মাইনিং কি ?
আমরা বিটকয়েনের ব্যবহার, বিনিয়োগ, অনলাইন পেমেন্ট বা ট্রানজেকশনের ক্ষেত্রে করি। এবং, যখন এই ধরনের বিটকয়েনের অনলাইন ট্রানজেকশন হয়ে থাকে, তখন ট্রানজেকশন গুলিকে ভেরিফাই করা হয়।
যারা এই bitcoin transaction গুলিকে verify করেন, তাদেরকে বলা miners। আর, bitcoin transaction verify করার এই প্রক্রিয়াকে বলা হয় বিটকয়েন মাইনিং।
এই miners দের কাছে high performance থাকা কম্পিউটার সিস্টেম থাকতেই হবে। ট্রানজেকশন ভেরিফাই করার ক্ষেত্রে, তারা দেখেন যে, হয়ে যাওয়া ট্রানজেকশনটি সঠিকভাবে হয়েছে তো ?
সেখানে কোনো রকমের জালি প্রক্রিয়া বা মাধ্যম ব্যবহার করা হয়নি তো ?
এই ধরনে বিটকয়েন ট্রানজেকশন গুলির ভেরিফিকেশন করার ফলে বিটকয়েন মাইনার (miners) দের কিছু বিটকয়েন উপহার স্বরূপে দেওয়া হয়। এবং এভাবেই, অনেক ভালো পরিমাণের বিটকয়েন তারা আয় করে নিতে পারছেন।
তাছাড়া এভাবেই নতুন নতুন বিটকয়েন মাইনিং এর মাধ্যমে মার্কেটে আসতে চলেছে। তবে বিটকয়েন মাইনার এর কাজ যেকেউ করতে পারবে।
কিন্তু, যা আমি আগে বলেছি, এক্ষেত্রে আপনার একটি শক্তিশালী এবং high performance থাকা কমেন্টস কম্পিউটার সিস্টেমের প্রয়োজন হবে যেটা কেনা, সবাইর পক্ষ্যে সম্ভব না।
তাহলে বুঝলেন তো, “বিটকয়েন মাইনিং কি” (What Is Bitcoin Mining in Bangla).
FAQ:
বিটকয়েন হলো একটি ভার্চুয়াল মুদ্রা। এটা এমন এক ধরণের মুদ্রা যেটিকে চোঁখে দেখা সম্ভব না এবং যেটি কেবল ভার্চুয়াল রূপে পাওয়া যেতে পারে। এই মুদ্রাটিকে ইলেকট্রনিক আকারে সুরক্ষিত করে রাখা হয়। Dollar, Rupee, Krona, Dinar, ইত্যাদি অন্যান্য মুদ্রা গুলির মতোই bitcoin-কেও আপনি একটি মুদ্রা হিসেবেই বুঝতে পারেন।
বিটকয়েন কেনার জন্য আপনাকে একটি বিশ্বস্ত বিটকয়েন ট্রেডিং অ্যাপ বা ওয়ালেট ব্যবহার করতে হবে। ইন্টারনেটে এমন নানান cryptocurrency exchange website এবং apps গুলি রয়েছে, যেগুলিতে গিয়ে বিটকয়েন কেনা যায়।
Bitcoin wallet গুলি ব্যবহার করে আপনি আপনার কিনে রাখা cryptocurrency গুলি সেখানে ধরে রাখতে পারবেন। এছাড়া, আপনার বিটকয়েন ওয়ালেটে উপলব্ধ বা জমা থাকা বিটকয়েন গুলিকে সুরক্ষিত রাখার ক্ষেত্রেও আপনার সাহায্য করে থাকে। শেষে, বিটকয়েন ওয়ালেটের দ্বারা আপনি আপনার ডিজিটাল মুদ্রা গুলি কেনা-বেঁচে করতে পারবেন।
আমাদের শেষ কথা,
তাহলে আশা করছি বন্ধুরা, বিটকয়েন কি, bitcoin কিভাবে কাজ করে, কিভাবে বিটকয়েন আয় করবেন এবং বিটকয়েন মাইনিং নিয়ে যা যা আপনার মনে প্রশ্ন ছিল, সব গুলির জবাব আমি দিয়ে দিতে পারলাম। এমনিতে, কিছু বছর আগে বিটকয়েন এর দাম ও চাহিদা কম ছিল, তাই যারা সেই সময় বিটকয়েন কিনে রেখেছিলেন, তাদের জন্য আজ প্রচুর পরিমানের লাভ আয় করার সুযোগ হয়ে দাঁড়িয়েছে।
তবে, যদি আপনি বর্তমান সময়ে বিটকয়েন কেনার কথা ভাবছেন, তাহলে একটু ভেবে নিবেন। কারণ, বর্তমান সময়ে এর চাহিদা এবং দাম অধিক পরিমানে বৃদ্ধি পেয়েছে। আর তাই, ভবিষ্যতে আরো লাভ হওয়ার সুযোগ আছে কি নেই সেটা কিন্তু মন দিয়ে বিচার করার বিষয়।
অনেক ধন্যবাদ আপনাকে এত সুন্দর করে সহজ ভাষায় বিষয়টি সম্পর্কে বিস্তারিত আলোচনা করেছেন।
ধন্যবাদ ভাই।
Genesis Mining সম্পর্কে একটা বিস্তারিত পোষ্ট করলে খুবই উপক্রিত হতাম ।
ধন্যবাদ পরামর্শের জন্যে।