SEO bangla tutorial : ওয়েবসাইটের গুগল সার্চ র্যাংকিং ইম্প্রুভ করুন

SEO tutorial in bangla: এমনিতে এসইও (SEO) নিয়ে আমাদের এই ব্লগে অনেক ধরণের আর্টিকেল রয়েছে।

seo bangla tutorial
কিভাবে শিখব সার্চ ইঞ্জিন অপ্টিমাইজেশন (SEO).

তবে, আজকের এই “SEO bangla tutorial” এর আর্টিকেলটিতে আমরা SEO নিয়ে কিছু অধিক তথ্য জেনে নিবো।

এবং, সম্পূর্ণ আর্টিকেল পড়ার পর, “এসইও কি (what is seo in bangla)“, “SEO কেন করতে হয়” এবং “কি কি মাধ্যমে ওয়েবসাইটে SEO করবেন“, সম্পূর্ণটা জেনে যাবেন।

তবে, SEO র এই bangla tutorial গুলি জেনে রাখাটা আপনাদের কেন প্রয়োজন ?

কি হবে ব্লগে SEO করে ?

এবং, বিশেষজ্ঞরা ব্লগিং এর ক্ষেত্রে সার্চ ইঞ্জিন অপ্টিমাইজেশন (Search engine optimization) প্রক্রিয়া গুলিতে অধিক গুরুত্ব দেওয়ার পরামর্শ কেনো দেন ?

এই প্রশ্ন গুলি আজ প্রত্যেক নতুন ব্লগার এর মনে অবশই রয়েছে।

দেখুন বন্ধুরা, প্রত্যেক ব্লগার এর ক্ষেত্রে সার্চ ইঞ্জিন অপ্টিমাইজেশন (SEO) করার একটাই উদ্দেশ্য থাকছে।

সেটা হলো, Google search engine এ, নিজেদের ওয়েবসাইটের সার্চ র্যাংকিং (ranking) উন্নত (improve) করা।

এবং যার ফলে, ওয়েবসাইটে গুগল সার্চ থেকে প্রচুর ফ্রি organic traffic পাওয়ার অধিক বেশি সুযোগ হয়ে দাঁড়াবে।

তবে মনে রাখবেন, SEO র সংজ্ঞার্থ (definition) কিছু বছর আগে অন্য ছিল।

তখনের সময়ে, SEO বলতে ব্লগে ও ব্লগের আর্টিকেলে কেবল keyword optimization করাটাকেই বোঝানো হতো।

এমনিতে, কিছু পরিমানের keyword optimization প্রক্রিয়া এখনো SEO র ক্ষেত্রে ব্যবহার করা হচ্ছে।

যদিও, বর্তমানের SEO চর্চার (practices) ক্ষেত্রে, কেবল কীওয়ার্ড অপ্টিমাইজেশন প্রক্রিয়ার ব্যবহার করেই, গুগল সার্চে ওয়েবসাইট র্যাংক (rank) করাতে পারবেননা।

আর তাই, বর্তমানের আধুনিক এসইও চর্চার প্রক্রিয়া গুলির মধ্যে বিভিন্ন অন্যান্য বিষয় বস্তু রয়েছে, যেগুলি জেনে নেওয়াটা অনেক বেশি জরুরি।

তাই, আজকের এই SEO বাংলা টিউটোরিয়াল (SEO bangla tutorial) এর সাথে জড়িত আর্টিকেলটি অবশই সম্পূর্ণ ভাবে পড়বেন।

এতে, এসইও নিয়ে আপনার মনে থাকা বিভিন্ন অনিশ্চয়তা (doubts) গুলি পরিষ্কার হয়ে যাবে।

এবং, একজন blogger হিসেবে SEO র সঠিক techniques এবং practices গুলি আপনারা জেনে নিতে পারবেন।

Complete SEO tutorial in Bangla – এসইও নিয়ে সম্পূর্ণ তথ্য

আজকের এই সার্চ ইঞ্জিন অপ্টিমাইজেশন কোর্স বা টিউটোরিয়াল টপিক নিয়ে অধিক জানার আগেই, আমাদের জেনে নিতে হবে যে “SEO কেন করা হয়” বা “কেন করবেন ওয়েবসাইটে এসইও ?“.

মূলত ৭ টি বিশেষ কারণে যেকোনো ওয়েবসাইটে এসইও করা হয়।

যেমন,

  1. আপনার ব্লগের প্রতিদ্বন্দ্বীরা (competitors) আপনার থেকে আরো ভালো কনটেন্ট তৈরি করছেন।
  2.  কীওয়ার্ড রিসার্চ এর মাধ্যমে আর্টিকেলে keywords এর সঠিক ব্যবহার করা।
  3. লিংক বিল্ডিং এর মাধ্যমে ওয়েবসাইটের ডোমেইন অথরিটি (Domain authority) বৃদ্ধি করা।
  4. ওয়েবসাইট অথবা ওয়েব পেজ এর লোডিং স্পিড (loading speed) দ্রুত করা।
  5. ব্লগের user experience উন্নত করা।
  6. গুগল সঠিক ভাবে আপনার কনটেন্ট গুলি খুঁজে পাচ্ছে, সেটা নিশ্চিত করা।
  7. শেষে, সব করার পর আপনার blog বা website এর google search ranking উন্নত (improve) করা।

ওপরে বলা ৭ টি পরিস্থিতি বা কারণের ক্ষেত্রে, একটি ওয়েবসাইটের এসইও অপ্টিমাইজেশন করা হয়।

চলুন এখন, এসইও কি ও কাকে বলে তার সংজ্ঞার্থ (definition) জেনেনেই।

Also readগুগল অ্যালগরিদম কি ?

What is SEO in Bangla ? (এসইও মানে কি)

SEO (search engine optimization) হলো এবং এক প্রক্রিয়া, যার মাধ্যমে একটি website, blog বা web-page এর organic google search traffic বৃদ্ধি করানো যেতে পারে।

সোজা ভাবে বললে, গুগলে সার্চ করা যেকোনো keyword, search term বা বাক্যের বিপরীতে, আপনার ওয়েবসাইটের র্যাংকিং উন্নত ও ইম্প্রুভ করে নিতে পারবেন।

আর যার বিপরীতে, আপনার ওয়েবসাইটে গুগল থেকে আশা ট্রাফিক ও ভিসিটর্স দের সংখ্যা অধিক বৃদ্ধি পাবে।

এমনিতে, ওয়েবসাইটের SEO বললে, একটি বা দুটি বিষয় নিয়ে কাজ করা বুঝায়না।

Keyword research ও optimization, user experience, backlink ও link building, content quality এবং আরো অনেক বিষয় রয়েছে, যেগুলি সার্চ ইঞ্জিন অপ্টিমাইজেশন এর প্রক্রিয়াতে আসছে।

যিহেতু বিশ্বের সেরা ও জনপ্রিয় web search engine হলো Google, তাই প্রত্যেক blogger ও website, এই গুগল সার্চ ইঞ্জিন এর মাধ্যমেই ওয়েবসাইটে অধিক ট্রাফিক পেয়ে যেতে চান।

এবং তাই, এই সম্পূর্ণ SEO র প্রক্রিয়াটি “Google search engine” এবং “আপনার website” এর সাথেই সংযুক্ত।

উদাহরণ দিয়ে বুঝিয়ে দিচ্ছি,

ধরুন আপনার ব্লগের একটি আর্টিকেল রয়েছে যেটার টার্গেট করা বিষয় হলো “Bangla SEO course“.

এখন, আপনি অবশই চাইবেন যে, যখন গুগলে কোনো ইউসার “Bangla SEO course” লিখে সার্চ করবেন, তখন আপনার লেখা আর্টিকেলটি গুগল রেজাল্ট পেজের সর্বপ্রথমেই দেখানো হোক।

কি চাইবেন তো ?

অবশই চাইবেন কারণ কষ্ট করে ব্লগ লেখার উদ্দেশ্য গুলোর মধ্যে, এটা সব থেকে জরুরি ভাগ।

তাছাড়া, আপনার লেখা আর্টিকেল গুগলের রেজাল্ট পেজে সর্ব প্রথমে দেখালে, আপনার ব্লগে প্রচুর অর্গানিক ট্রাফিক আসতে থাকবে।

তবে মনে রাখবেন, বেশিরভাগ ক্ষেত্রে কিন্তু এটা হয়না।

সাধারনে, আমাদের লেখা আর্টিকেল গুলি গুগল সার্চ রেজাল্ট পেজ (SERP) এর অনেক নিচে এবং কিছু ক্ষেত্রে দ্বিতীয় ও তৃতীয় পেজে দেখানো হয়।

এর ফলে, আমাদের ব্লগ বা ব্লগের কন্টেন্টের ওপরে কারো নজর পড়েনা, আর গুগল থেকে আমরা traffic ও পাইনা।

আর এটাই সেই সময় যখন আসছে SEO র আসল কাজ ও বিষয়টি।

SEO (search engine optimization) হলো সেই প্রক্রিয়া গুলি, যেগুলি ব্যবহার করে, আমি আমার “SEO bangla tutorial course” এর বিষয়ে লিখা আর্টিকেলটি, গুগল সার্চ এর জন্য অধি ভালো করে optimize করে, গুগলকে আর্টিকেলের বিষয়টি স্পষ্ট করে বুঝিয়ে দিতে পারবো।

এতে গুগল, ইউসার এর সার্চ করা “search term”, “keyword” বা “প্রশ্নটি” আমার ব্লগের কন্টেন্টের সাথে সহজে মিলিয়ে “কন্টেন এর প্রাসঙ্গিকতার (content relevancy)” মাপ নিয়ে নিতে পারে।

যার ফলে, গুগল সার্চ ইঞ্জিন রেজাল্ট পেজে, আমাদের ব্লগের কন্টেন্ট এর সাথে জড়িত সঠিক কীওয়ার্ড (keyword) গুলির জন্য, ওয়েবসাইটের র্যাংক (rank) ইম্প্রুভ (improve) হয়ে আসে।

আমরা কি বুঝলাম ?

ধরুন, “SEO bangla course” লিখে গুগল সার্চ ইঞ্জিনে সার্চ করলে, আগে যদি আমার ব্লগের আর্টিকেল পেজটি গুগলের ৯নং রেজাল্টে দেখানো হতো,

তাহলে, সঠিক SEO optimization techniques গুলি apply করার পর, এখন সেই একি keyword বা search term এর ক্ষেত্রে আমার ব্লগের আর্টিকেল পেজটি, গুগলের ১নং, ২নং বা ৩নং রেজাল্টে দেখানোর সুযোগ থাকবে।

তবে মনে রাখবেন, একলা SEO আপনার ওয়েবসাইটের কনটেন্ট বা আর্টিকেল গুলি র্যাংক করাতে পারবেনা, যদি আপনার লেখা কনটেন্ট উচ্চমানের (high quality) না হয়।

তাই, যেই বিষয়ে আর্টিকেল লিখছেন, সেই বিষয়টি স্পষ্ট এবং সম্পূর্ণ বিবরণ সহ লিখার চেষ্টা করবেন।

Google এর সব থেকে গুরুত্বপূর্ণ ranking signal হলো “user satisfaction“.

মানে, যেকোনো keyword এর জন্য গুগল সার্চের মাধ্যমে আপনার ওয়েবসাইটে আশা ইউসাররা, আপনার আর্টিকেল পড়ে কতটা ভালো পাচ্ছেন, কতটা সময় লাগিয়ে ইউসাররা আপনার কনটেন্ট পড়ছেন, সবটাই গুগল নজরে রাখছে।

এবং, যত বেশি সময় লাগিয়ে ভিসিটর্স রা আপনার আর্টিকেল পড়বেন, গুগল সেই আর্টিকেলটি “ইউসার এর সার্চ করা কীওয়ার্ড”, “প্রশ্ন” বা “সার্চ টার্ম” এর সাথে ততটাই বেশি প্রাসঙ্গিক (relevant) বলে মনে করবে।

এর ফলে, সেই keyword এর জন্য আপনার আর্টিকেলটি, গুগলে নিজে নিজেই ভালো ভাবে র্যাংক হতে থাকবে।

তাই, মনে রাখবেন SEO ক্ষেত্রে সব থেকে জরুরি ও গুরুত্বপূর্ণ বিষয়টি হলো, “ইউসার এর সন্তুষ্টি“.

আর, ইউসার কেবল তখন সন্তুষ্ট হবে, যখন আপনি ভালো ও উচ্চমানের আর্টিকেল লিখবেন।

শেষে আমরা বলতে পারি যে, 

SEO হলো এমন এক প্রক্রিয়া, যার মাধ্যমে গুগলে সার্চ হওয়া keywords বা search term গুলোর সাথে জড়িত আমাদের ওয়েবসাইটের কনটেন্ট বা আর্টিকেল পেজ গুলির র্যাংকিং (ranking) বাড়িয়ে নেওয়া ও ইম্প্রুভ করা যেতে পারে।

আশা করছি, এসইও কি (What is SEO), এর মানে আপনারা সঠিক ভাবে বুঝতে পারলেন।

গুগল আর্টিকেল র্যাংক করার আগে কি কি দেখে ?

হে, যেকোনো keyword বা search term এর জন্য সেরা রেজাল্ট কোনটা হবে বা রেজাল্ট গুলির র্যাংকিং (১, ২, ৩, ৪………..১০০০০) দেওয়ার আগে, গুগল কিছু বিষয়ে অবশই যাচাই করে।

কারণ, গুগলের কাছে যেকোনো বিষয়ের তথ্য থাকা হাজার হাজার ওয়েবসাইট ও কনটেন্ট রয়েছে।

এখন, এই হাজার হাজার ওয়েবসাইট গুলির মধ্যে সেরা আর্টিকেল বা কনটেন্টটি যদি খুঁজে বের করতে হয়, তাহলে অবশই গুগলের কিছু বিশেষ বিষয়ে ধ্যান রাখতেই হবে।

এবং, এই বিষয় গুলোর ওপরে নজর দেওয়ার পর, গুগল নিজের সার্চ ইঞ্জিন রেজাল্ট পেজে (SERP), ওয়েবসাইট গুলোকে ১, ২, ৩, ৪, ৫ ইত্যাদি জায়গায় র্যাংক করে।

একটি উদাহরণ দিয়ে বুঝিয়ে দিচ্ছি 

ধরুন, একটি school এ ১০০ জন ছাত্র ছাত্রীদের একি বিষয়ে একটি রচনা লিখতে দেওয়া হলো।

এখন যখন ১০০ জন একি বিষয়ে রচনা লিখছে, এক্ষেত্রে প্রচুর প্রতিযোগিতার (competition) সৃষ্টি হয়েছে।

এবং, ১০০ জন প্রতিযোগীদের (competitors) মধ্যে সেরা রচনা কে লিখেছেন, সেটা বেছে নেওয়াটা কিন্তু সহজ কাজ নয়।

তবে, এই ক্ষেত্রে শিক্ষকের প্রত্যেক রচনাতে কিছু বিশেষ গুন ও কোয়ালিটি (quality) অবশই দেখতে হবে।

যেমন,

  • Content relevancy ( রচনার বিষয়ের সাথে কতটা প্রাসঙ্গিকতা রয়েছে ).
  • উপযুক্ত টাইটেল (title) ব্যবহার করা হয়েছে কি না।
  • রচনাতে লিখা তথ্য যুক্তিসংগত কি না। 
  • Neat & readable content ( রচনাটি পরিষ্কার এবং স্পষ্ট ভাবে লেখা হয়েছে তো ).
  • Details covered ( প্রয়োজনীয় সম্পূর্ণ তথ্য দেওয়া হয়েছে কি না ).

তাহলে, একটি শিক্ষকের ক্ষেত্রে ১০০ টি রচনার মধ্যে সেরা রচনা বেছে নেওয়ার জন্য এই ৫ টি বিষয়ে যাচাই করতে হবে।

মনে রাখবেন, প্রত্যেক ব্লগাররের ক্ষেত্রে গুগল কিন্তু school এর সেই শিক্ষকের মতোই, যে আমাদের প্রত্যেকের আর্টিকেল গুলো যাচাই করছে।

আমরা ব্লগার ও কনটেন্ট রাইটাররা প্রত্যেকেই গুগলের কাছে ছাত্র।

এবং, রচনার মতোই আমরাও বিভিন্ন বিষয়ে প্রায় একি রকমের তথ্য গুলো আর্টিকেলের মাধ্যমে গুগলের কাছে জমা দিয়ে থাকি।

এমনিতে, যেকোনো বিষয়ের হাজার হাজার একি রকমের আর্টিকেল গুলির থেকে, সেরা আর্টিকেল গুলো বেছে নেয়ার জন্য, গুগলের ও কিছু বিশেষ বিষয়ে নজর দিতে হয়।

এবং, প্রত্যেক আর্টিকেল যাচাই করার ক্ষেত্রে, গুগলের ও আর্টিকেলের কিছু বিশেষ কোয়ালিটি গাইডলাইন (quality guideline) ফলো করতে হয়।

আর্টিকেল এর কোয়ালিটি যাচাই করার ক্ষেত্রে গুগল কোন কোন বিষয়ে নজর দেয় ?

গুগলের এই কনটেন্ট কোয়ালিটি গাইডলাইন গুলির  প্রত্যেকটিকে আমরা “google ranking factor” বলেও বলতে পারি। 

করন, এগুলির ওপরেই গুগল আমাদের ওয়েবসাইট গুলিকে যাচায় করে এবং র্যাংকিং দেয়।

  • Content relevancy ( সার্চ করা বিষয়, প্রশ্ন বা কীওয়ার্ড এর সাথে কনটেন্ট কতটা প্রাসঙ্গিকতা (relevancy) রয়েছে ).
  • আর্টিকেলের টাইটেল এবং URL structure এর গুরুত্ব ও প্রাসঙ্গিকতা।
  • প্রাসঙ্গিক heading tags এর ব্যবহার।
  • সঠিক ভাবে meta description এর ব্যবহার।
  • পরিষ্কার এবং দ্রুত লোডিং ওয়েবসাইট।
  • এমন কনটেন্ট (article), যেটা ইউসার এর প্রশ্নের সঠিক ও যুক্তিসংগত উত্তর দিতে পারছে। 

এই বিষয় গুলি নিয়ে আমরা নিচে এক এক করে কথা অবশই বলবো।

তবে এখানেই, SEO (search engine optimization) এর মাধ্যমে, আমরা আমাদের blog, ব্লগের আর্টিকেল ও কনটেন্ট গুলিতে, google এর ranking factor গুলির সাথে জড়িত কিছু নীতি নিয়ম ও প্রক্রিয়া এপ্লাই করে গুগলকে অধিক ভালো করে ইঙ্গিত দিতে পারি।

ফলে, ওয়েবসাইট র্যাংকিং এর ক্ষেত্রে গুগল যেই বিষয় ও ফ্যাক্টর গুলি দেখে, সেগুলির সিগন্যাল (signal) গুগল আমাদের আর্টিকেল বা কনটেন্ট এ পেয়ে যাবে।

আর শেষে গিয়ে, আমাদের ব্লগের আর্টিকেল পেজ গুলি, তার টার্গেট করা সঠিক কীওয়ার্ড ও সার্চ টার্ম এর জন্য গুগলের সার্চ রেজাল্ট পেজে ভালো করে র্যাংক করবে।

তাহলে বন্ধুরা, seo মানে কি, এসইও র প্রয়োজনীয়তা, কেন করবেন এসইও এবং এসইও করে কি লাভ হবে, এই সব বিষয়ে হয়তো আপনারা এখন বুঝতে অবশই পেরেছেন।

চলুন, নিচে আমরা এক এক করে জেনেনেই, “কিভাবে করবেন এসইও (search engine optimization)“.

তবে তার আগে, google search engine কিভাবে কাজ করে, সেই ব্যাপারে অল্প জেনেনেই চলুন।

Search engine কিভাবে কাজ করে ?

যখন আমরা গুগল সার্চ ইঞ্জিনে কোনো বিষয়ে সার্চ করি, তখন গুগলে আগের থেকেই crawl এবং index করে রাখা কিছু ওয়েবসাইটের ranking আমাদের দেখিয়ে দেয়।

এবং, এই বিভিন্ন ওয়েবসাইট গুলি rank করা হয়, গুগলের বিভিন্ন bots এর মাধ্যমে।

Google bots প্রায় ২৪ ঘন্টা সক্রিয় থাকে এবং ইন্টারনেটে থাকা ওয়েবসাইট ও ওয়েব পেজ গুলিতে গিয়ে ডাটা (data) সংগ্রহ করে।

এই প্রক্রিয়াটিকে বলা হয় web crawling.

এবং এই web crawling এর মাধ্যমে বিভিন্ন ওয়েবসাইটের থেকে তথ্য সংগ্রহ করার পর, গুগল নিজের ranking list তৈরি করে।

শেষে, আমরা যখন গুগল সার্চ ইঞ্জিনে কিছু সার্চ করি, তখন গুগল সার্চ করা বিষয়ের সাথে জড়িত তথ্য তার “Search engine result page (SERP)” এ দেখিয়ে দেয়।

তাই, গুগল যেকোনো রেজাল্ট বা ওয়েবসাইট র্যাংক করার আগে এই তিনটি প্রক্রিয়া করছে,

  • Crawling 
  • Indexing 
  • Ranking 
  1. Crawling : এটা সেই সময়, যখন google bots এবং spider গুলি আপনার ওয়েবসাইটের বিভিন্ন পেজ গুলি খুঁজে সেগুলি স্ক্যান (scan) করে। এই প্রক্রিয়াকেই বলা হয় “web crawling“.
  2. Indexing : আপনার ওয়েবসাইটের বিভিন্ন পেজ গুলিতে থাকা তথ্য ও কনটেন্ট এর কোয়ালিটির ওপরে নির্ভর করে, সেগুলিকে গুগলে “Index” করা হয়।
  3. Ranking : গুগল, বিভিন্ন content quality guideline, seo factor এবং ranking signals গুলোর ওপরে নির্ভর হয়ে, ওয়েবসাইট গুলিকে তার সার্চ রেজাল্ট পেজে (SERP) র্যাংক করে। এই ক্ষেত্রে, search result page এ, ওয়েবসাইটের position কি হবে, সেটাও নির্ধারিত করা হয়।

তাহলে, এখন হয়তো আপনারা ভুঝেই গেছেন যে “search engine কিভাবে কাজ করে“.

এতে, search engine optimization এর বিষয়টি বোঝার ক্ষেত্রে আপনার সুবিধা হবে।

কারণ, SEO র সোজা সম্পর্ক search engine এর সাথে রয়েছে।

SEO (search engine optimization) কিভাবে করতে হয় ?

দেখুন, ওয়েবসাইটে এসইও (seo) করার নিয়ম এমনিতে অনেক রয়েছে।

আর, এসইও র এই নিয়ম ও প্রক্রিয়া গুলিকে জলদি শেখার একটাই উপায় রয়েছে।

সেটা হলো, নিজের ব্লগে এই নিয়ম ও প্রক্রিয়া গুলিকে এপ্লাই করা।

SEO নিয়ে যত বেশি প্রাকটিক্যাল চর্চা করবেন, ততই জলদি ও সহজে SEO শিখতে পারবেন।

এখন, ওয়েবসাইটে SEO কি কি মাধ্যমে করা যেতে পারে ?

Types of SEO practices

একটি ব্লগ বা ব্লগের আর্টিকেলটি গুগলের “quality guideline” এবং “ranking factors” গুলোর অনুসারে রেখে, গুগল কে positive signal দেওয়ার ক্ষেত্রে, আপনাদের বিভিন্ন “SEO practices” করতে হয়।

যেমন,

  1. User experience 
  2. On page SEO 
  3. Off page SEO 
  4. Link building 
  5. Domain authority 
  6. Branding & popularity 

ওপরে বলা সম্পূর্ণ পয়েন্ট (point) গুলোর ওপরে কাজ করলে, আমাদের ওয়েবসাইটে সঠিক ভাবে SEO করা যেতে পারে।

চলুন পয়েন্ট গুলো এক এক করে ভালো করে বুঝে নেই।

#১. User experience

আমি আগেই বলেছি, বর্তমানের এসইও কিন্তু কিছু বছর আগের ব্যবহার করা এসইও র মতো একেবারেই নেই। 

আগের সময়ে, keywords research করে আর্টিকেলে keywords এর প্রচুর ব্যবহার করাটাই ছিল SEO.

তবে, এখন Google এবং গুগলের spider ও bots গুলো অনেক উন্নত, আধুনিক এবং ফলে চালাক হয়ে গেছে।

তাই, আর্টিকেলে কেবল keywords এর প্রচুর ব্যবহার করেই, গুগলে ওয়েবসাইট র্যাংক করাতে পারবেননা।

এখনের SEO র ক্ষেত্রে, গুগল সব থেকে বেশি ধ্যান ও নজর দেয় “user experience” এর ওপর।

মানে, আপনার blog বা article page এ আসার পর, user এর কিরকম অভিজ্ঞতা হচ্ছে, ইউসার আপনার ব্লগ ও ব্লগের কনটেন্ট ভালো পাচ্ছে না খারাপ, সেই সব বিষয়ে গুগল আগেই যাচাই করে।

কারণ, গুগলের জন্য website এ আশা প্রত্যেক user এর experience ভালো রাখাটা সবচেয়ে জরুরি বিষয়।

এখন, ভালো ইউসার এক্সপেরিয়েন্স এর ক্ষেত্রে আপনার কোন কোন বিষয়ে দেখতে হচ্ছে ?

  • Page loading speed 
  • Simple website design
  • Bounce rate of a page 
  • Fulfill user intent 

চলুন, বিষয় গুলো এক এক করে ভালো করে জেনে নেই।

Page loading speed

SEO optimization এর ক্ষেত্রে, সবচে জরুরি জিনিস হলো, আপনার ওয়েবসাইটের প্রত্যেকটি পেজ এর লোডিং স্পিড অনেক দ্রুত হতে হবে।

গুগল, কোনো ভাবেই একটি স্লো (slow) লোডিং (loading) ওয়েবসাইট পছন্দ করেনা।

কারণ, স্লো লোডিং ওয়েবসাইট কোনো ভাবেই একজন ইউসার পছন্দ করেননা।

এই ক্ষেত্রে চেষ্টা রাখবেন, যাতে আপনার ব্লগের প্রত্যেকটি পেজ যেকোনো web browser এ, কমেও ১ থেকে ২ সেকেন্ডের মধ্যে সম্পূর্ণ লোড হয়ে যায়।

এই ক্ষেত্রে, আপনারা pingdom বা Gtmetrix অনলাইন টুল ব্যবহার করে, নিজের ব্লগ ও ওয়েবসাইট এর লোডিং স্পিড জেনে নিতে পারবেন।

ব্লগের লোডিং স্পিড ফাস্ট ও দ্রুত বা অপ্টিমাইজ (optimize) করার ক্ষেত্রে, আপনার নিচে দেওয়া স্টেপ গুলি করতে পারি।

  1. ব্লগের জন্য একটি হালকা এবং ভালো থিম ব্যবহার করতে হবে।
  2. ওয়েব হোস্টিং এর ক্ষেত্রে, আপনার একটি ভালো কোম্পানি যেমন, cloudways বা digitalocean থেকে কেবল cloud hosting ব্যবহার করাটা জরুরি।
  3. ব্লগের আর্টিকেল গুলিতে যতটা সম্ভব কম ছবি ব্যবহার করবেন। তাছাড়া, প্রত্যেকটি ছবি আপলোড করার আগেই সেগুলি কম্প্রেস (compress) অবশই করবেন।
  4. যদি আপনি WordPress ব্যবহার করছেন, তাহলে একটি ভালো caching plugin যেমন, W3 Total Cache এবং Autoptimize প্লাগিন অবশই ব্যবহার করবেন।
  5. WordPress ব্যবহার করা ক্ষেত্রে, আপনি Imagify plugin ব্যবহার করে, ব্লগে ব্যবহার করা ছবি গুলোর সাইজ আরো কমিয়ে নিতে পারবেন।
  6. নিজের WordPress ওয়েবসাইটে, অপ্রয়োজনীয় plugin ব্যবহার করবেননা। অধিক প্লাগিন ব্যবহারের ফলে, ওয়েবসাইট স্লো হয়ে যাওয়ার প্রচুর সম্ভাবনা রয়েছে।

তাই, ওয়েবসাইটের লোডিং স্পিড অপ্টিমাইজেশন এর ক্ষেত্রে, ওপরে দেওয়া ৬ টি পয়েন্ট মনে রাখলেই হলো।

এবং মনে রাখবেন, ওয়েবসাইটের দ্রুত লোডিং স্পিড থাকাটা একটি অনেক গুরুত্বপূর্ণ “Google ranking factor“.

Simple website design 

আপনার ওয়েবসাইট বা ব্লগের ডিজাইন অনেক সাধারণ হওয়াটা অনেক ভালো।

ওয়েবসাইটের ডিজাইন যতটা জটিল হয়ে থাকবে, ততটাই বেশি বিভ্রান্ত (confused) থাকবে ইউসার রা।

তাই, ওয়েবসাইটের জন্য একটি neat & clean blogging theme বেছে নিন এবং যতটা সম্ভব ওয়েবসাইটটি, সহজেই বোঝার মতো করে রাখুন।

শেষে মনে রাখবেন, ওয়েবসাইটে অধিক বেশি পরিমানে বিজ্ঞাপন দেখানোটা কিন্তু user experience অনেকটা খারাপ করে দেয়।

এই ক্ষেত্রে, নিজের ব্লগের যতটুকু জায়গায় প্রয়োজন, বিজ্ঞাপন দেখাবেন।

এমন কোনো জায়গায় বিজ্ঞাপন দেখবেননা, যার ফলে আপনার ইউসার (user) এর অসুবিধে হতে পারে।

Bounce rate of page

যখন যেকোনো ইউসার গুগলে কিছু সার্চ করে, আপনার ব্লগে আসে, তখন সেই ইউসার কতটা সময় আপনার ব্লগে থাকছে, সেই সময়ের পরিমাণটি হলো “bounce rate“.

অনেক সময়, যখন আপনার লেখা তথ্য লোকেদের পছন্দ হয়না বা ওয়েবসাইট অনেক স্লো হওয়ার ক্ষেত্রে, কেবল কিছু সেকেন্ডের মধ্যেই ইউসার আপনার ওয়েবসাইট ছেড়ে রিটার্ন চলে যায়।

এবং এতে, ওয়েব পেজের high bounce rate এর সৃষ্টি হয়।

আর, কোনো একটি ওয়েব পেজের bounce rate যতটা বেশি হবে, মানে যত বেশি ইউসার আপনার কনটেন্ট না পড়েই কেবল কিছু সেকেন্ড এর ভেতরেই ওয়েবসাইট থেকে চলে যাবে, তথক google সেই পেজেটির ranking তার search result page (SERP) থেকে নিচে নামিয়ে দেয়।

এর বিপরীতে, আপনার লিখা কনটেন্ট যখন অধিক লোকেরা অনেক সময় নিয়ে পড়েন, তখন গুগলের কাছে একটি positive signal চলে যায়।

এতে, গুগল বুঝতে পারে যে, লোকেরা যেই বিষয়ে সার্চ করে আপনার আর্টিকেল পেজে গেছেন, সেই বিষয়ের সাথে আপনার কন্টেন্টের মিল রয়েছে।

আর, এর ফলে সেই সার্চ করা keyword বা search term এর ক্ষেত্রে, আপনার আর্টিকেল পেজের র্যাংকিং বৃদ্ধি পায়।

তাই, সব সময় চেষ্টা রাখবেন যাতে আপনার ব্লগের প্রত্যেকটি পেজ এর bounce rate প্রায় ৭০% থেকে কম থাকে।

মনে রাখবেন, web page এর bounce rate কম রাখার একটাই উপায় রয়েছে।

সেটা হলো, যেই বিষয়ে আর্টিকেল লিখছেন সেটা স্পষ্টভাবে এবং সম্পূর্ণ তথ্য সহ লিখুন।

Website এর search engine optimization (SEO) এর ক্ষেত্রে প্রথম সবচেয়ে জরুরি বিষয়টি হলো “bounce rate কম রাখা“.

আর এই বিষয়ে ধ্যান না দিলে, বাকি SEO র প্রক্রিয়া গুলো করেও কোনো লাভ আপনার হবেনা।

Website এর bounce rate দেখার জন্য আপনারা “Google analytics” ব্যবহার করতে পারবেন।

Fulfill user intent 

আপনার লিখা আর্টিকেলের উদ্দেশ্য একটাই হতে হবে।

সেটা হলো, ইউসার (user) এর সমস্যার সমাধান সঠিক ভাবে করা বা দেওয়া।

যখন আর্টিকেল লিখবেন, সেটা সার্চ ইঞ্জিন কে টার্গেট করে লিখবেননা।

সব সময়, ভিসিটর ও ইউসার এর কথা ভেবে কেবল তাদের জন্য লিখবেন।

কারণ, যখন আপনার আর্টিকেল পড়া প্রত্যেক ভিসিটর সেটা পছন্দ করবেন এবং অনেক সময় নিয়ে কনটেন্টটি পড়বেন, তখন গুগল ও কিন্তু সেটা বুঝে যাবে।

ফলে, গুগল সার্চে আপনার ব্লগের র্যাংকিং বাড়বে।

তাই, প্রত্যেকটি আর্টিকেল সহজ এবং স্পষ্ট করে লিখবেন, যাতে ভিসিটর্স দের পড়তে কোনো রকমের অসুবিধে না হয়।

তাছাড়া, প্রত্যেক আর্টিকেল প্রচুর ভালো করে এবং বিষয়ের সাথে জড়িত প্রত্যেক সঠিক তথ্যের সাথে লিখবেন।

তাহলে বন্ধুরা, ওয়েবসাইটের search engine optimization এর ক্ষেত্রে, সব থেকে প্রথম এবং জরুরি বিষয় হলো “user experience” উন্নত করা।

আর, গুগল সব থেকে প্রথমেই এই বিষয় গুলিতেই ধ্যান দিয়ে ওয়েবসাইট গুলিকে র্যাংকিং (ranking) দেয়।

#২. On-page SEO optimization 

On page seo হলো সার্চ ইঞ্জিন অপ্টিমাইজেশন এর এমন একটি প্রক্রিয়া, যেখানে ওয়েবসাইটের ভেতরে থেকে কিছু SEO optimization করা হয়।

মানে, আপনার ওয়েবসাইটের ভেতরে যখন আপনি আর্টিকেল লিখছেন, সেই সময় আপনার কিছু বিষেশ optimization করতে হবে যেগুলি SEO র ক্ষেত্রে জরুরি।

অন পেজ এসইও অপ্টিমাইজেশন এর ক্ষেত্রে নিচে দেওয়া বিষয় গুলি নিয়ে আপনার ধ্যান দিতে হবে।

  1. Optimize content for search intent
  2. Improve website loading speed
  3. Uses of focused & targeted keywords
  4. Use alt tags for images
  5. Simple & readable content
  6. Use internal linking techniques
  7. Article publish frequency

এই প্রত্যেক point গুলি on page seo optimization এর ক্ষত্রে অনেক জরুরি।

এবং, যদি আপনি নিজের ব্লগে সত্যি ভাবে এসইও করতে চাচ্ছেন, তাহলে এই প্রত্যেকটি বিষয়ে কাজ করতেই হবে।

আমি, ওপরে বলা প্রত্যেকটি পয়েন্ট আমার আগের আর্টিকেলে ভালো করে বিস্তারিত ভাবে আপনাদের বলেছি।

তাই, অন পেজ এসইও নিয়ে সম্পূর্ণটা জানার জন্য সেই আর্টিকেল টি পড়ুন।

On page seo নিয়ে আর্টিকেলটিঅন পেজ এসইও অপ্টিমাইজেশন কি ?

#৩. Off page seo optimization 

অফ পেজ এসইও হলো সার্চ ইঞ্জিন অপ্টিমাইজেশন এর এমন কিছু প্রক্রিয়া, যেগুলি ওয়েবসাইটের বাইরে সম্পন্ন করা হয়।

মানে, গুগল সার্চ ইঞ্জিনে নিজের ওয়েবসাইটের ranking উন্নত করার ক্ষেত্রে, যেগুলি seo চর্চা ওয়েবসাইটের বাইরে করা হয়, সেই গুলোকে বলা হয়, off-page seo techniques.

অফ পেজ এসইও র ক্ষেত্রে বিশেষ করে, ব্যাকলিংক তৈরি বা লিংক বিল্ডিং (link building) এবং ব্র্যান্ডিং (branding) এর মাধ্যমে, ওয়েবসাইটের জন্য SEO করা হয়।

লিংক বিল্ডিং এর মাধ্যমে আমরা আমাদের website বা article page এর জন্য high quality backlink তৈরি করতে পারি।

যার ফলে, আমাদের ওয়েবসাইটের domain authority বৃদ্ধি পায় এবং তার সাথে, google search ranking অধিক improve হয়ে যায়।

এমনিতে, অফ পেজ এসইও নিয়ে আগেই আমি আপনাদের সবটাই বলে দিয়েছি।

তাই, আমার আগের আর্টিকেল পড়ুনঅফ পেজ এসইও কি ?

#৪. Website branding & promotion

Off page seo র একটা ভাগ হলো ওয়েবসাইটের ব্র্যান্ডিং এবং প্রমোশন করাটা।

তবে অনেকেই রয়েছেন, যারা এই বিষয়টি নিয়ে মন দেননা।

কিন্তু মনে রাখবেন, আপনার ওয়েবসাইট যদি একটি brand হিসেবে দাঁড়াতে পারে, তাহলে তার গুগল সার্চ র্যাংকিং অধিক ভালো হয়ে যাবে।

আপনি গুগলে যেকোনো বিষয়ে সার্চ করলে দেখবেন, প্রথম ৫ টি রেজাল্ট এমন ওয়েবসাইট গুলোর থেকে দেওয়া হবে, যেগুলো ওয়েবসাইট অধিক প্রচলিত ও জনপ্রিয়।

তাই, সব রকমের search engine optimization techniques গুলি করার পর, শেষে নিজের ওয়েবসাইটের একটি brand ও ভালো ছবি তৈরি করার চেষ্টা করুন।

ওয়েবসাইটের ব্র্যান্ডিং তৈরি করার ক্ষেত্রে, আপনার করতে হবে ওয়েবসাইটটির promotion.

যখন লোকেরা আপনার ওয়েবসাইটের বিষয়ে অধিক জানতে পারবে, তখন গিয়ে আপনার website একটি ব্র্যান্ড হিসেবে জনপ্রিয়তা পাবে।

ওয়েবসাইটের ব্র্যান্ডিং এর ক্ষেত্রে, আপনি নিচে দেওয়া প্রক্রিয়া গুলি করতে পারবেন :

  1. নিজের blog বা website এর একটি আকর্ষণীয় logo অবশই রাখবেন।
  2. নিজের ব্লগে যেকোনো একটি niche বা topic এর বিশেষ বিষয়ে আর্টিকেল লিখুন। যেমন, blogging, smartphone, computer etc.
  3. ওয়েবসাইটের নামের social media profile তৈরি করুন।
  4. ওয়েবসাইটের সাথে জড়িত তথ্য নিজের social profile গুলোতে publish করুন।
  5. ইউসার দের সাথে বিভিন্ন social profile যেমন, Facebook, Twitter এবং Instagram এ সংযুক্ত হতে হবে। এতে, আপনার ওয়েবসাইটের বিষয়ে লোকেরা জানবেন।

তাহলে, এই ৫ টি পয়েন্ট ফলো করলে, আপনারা ওয়েবসাইটের একটি brand ও ভালো ছবি লোকেদের মধ্যে তৈরি করতে পারবেন।

এবং আমি আগেই যা বললাম, ভালো ছবি ও ব্র্যান্ড থাকা ওয়েবসাইট গুগল সব সময় পছন্দ করে।

 

আমাদের শেষ কথা,

তাহলে, আজকের এই bangla SEO tutorial এর আর্টিকেলে, আপনারা হয়তো SEO নিয়ে অনেক কিছুই জানতে পেরেছেন।

আজকে আমরা শিখলাম, এসইও কি (What is SEO in bangla), seo কিভাবে কাজ করে, এসইও কেন করব এবং কিভাবে করব এসইও (SEO).

আজকের এই, “এসইও বাংলা টিউটোরিয়াল” বা “ফ্রি বাংলা এসইও কোর্স” টি আমি আমার নিজের অভিজ্ঞতার থেকেই আপনাদের কাছে নিয়ে এসেছি।

এমনিতে নতুন অবস্থায়, এসইও করার ক্ষেত্রে আপনার সামান্য অসুবিধে হতেই পারে।

Seo করার নিয়ম, এমনিতে তেমন একটা সোজা কাজ নয়।

তবে, করতে করতে বিষয় গুলো সহজ হয়ে আসবে।

তাছাড়া, আমি যা যা যেভাবে বলে দিয়েছে, সেভাবেই এসইও চর্চা করতে থাকুন।

কিছু সময় পর, আপনার সম্পূর্ণটা ক্লিয়ার হয়ে যাবে।

এমনিতে আমার উদ্দেশ্য সব সময় আপনাদের সাহায্য করাটাই ছিল এবং রয়েছে।

তাই, bloging ও SEO বিষয়ক কোনো প্রশ্ন ও সমস্যা থাকলে, আমাকে কমেন্ট অবশই করুন।

অবশই পড়ুন

8 thoughts on “SEO bangla tutorial : ওয়েবসাইটের গুগল সার্চ র্যাংকিং ইম্প্রুভ করুন”

  1. Avatar

    এসইও নিয়ে খুব সুন্দর এবং ভালোমানের ইনফরমেশন ছিল। এখানে প্রতিটা পয়েন্ট পড়ে অনেক কিছু শিখতে পারলাম। ধন্যবাদ এমন সুন্দর টিপস শেয়ার করার জন্যে।

  2. Avatar

    ওয়েবসাইট বা পোস্ট এসইও করার জন্য ভালো ওয়ার্ডপ্রেস প্লাগইন কোনটি??

      1. Avatar

        না ভাই, Rank Math সেরা। কারণ এটাতে Free version এ Yoast SEO এর Premium Feature পাওয়া যায়।

        1. Avatar

          Yoast SEO সবসময় সেরা। আমি Rank Math ৬ মাস ব্যবহার করেছি। অনেক প্রব্লেম আছে। সাপোর্ট অনেক দেরি করে পাওয়া যায়। আমি আবার Yoast SEO তে ফিরে এসেছি।

Leave a Comment

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Scroll to Top