ডিপোজিট ছাড়া ইনকাম সাইট: কোনো ধরণের ইনভেস্টমেন্ট বা টাকা না দিয়ে ঘরে বসে নিজের খালি সময়ে অনলাইনে পার্ট-টাইম অর্থ উপার্জনের স্বপ্ন আজ অনেকেই দেখছেন।
এক্ষেত্রে, অনলাইনে কোনো ধরণের ডিপোজিট ছাড়া ইনকাম করার সাইট গুলি আপনার কাজে অবশই লাগতে পারে।
মানে, অনলাইনে আপনারা এমন নানান ওয়েবসাইট গুলি পেয়ে যাবেন যেগুলিতে গিয়ে একটি ফ্রি একাউন্ট তৈরি করে নানান ছোট ছোট কাজ গুলি করার মাধ্যমে আপনি টাকা আয় করতে পারবেন।
আর এক্ষেত্রে সব থেকে মজার বিষয় এটাই যে, এই সাইট গুলিতে কাজ করে ইনকাম করার জন্য আপনাকে কোনো ভাবে কোনো টাকা দিতে হয়না বা টাকা বিনিয়োগ করতে হবেনা।
তবে সত্যি বলতে, বর্তমান সময়ে কোনো টাকা না লাগিয়ে জিরো ইনভেস্টমেন্ট সহ ইনকাম করার একটি ভালো ও বৈধ ওয়েবসাইট খুঁজে পাওয়াটাই হয়ে দাঁড়িয়েছে অনেক বড় একটি ব্যাপার।
তাই, ইন্টারনেটে খানিকটা ঘাটাঘাটি করার পর আমি আপনাদের জন্য খুঁজে বের করেছি এমন ৯টি সেরা ওয়েবসাইট গুলি যেগুলিতে গিয়ে কোনো ধরণের ডিপোজিট না করে টাকা ইনকাম করা যেতে পারে।
চলুন, বেশি সময় নষ্ট না করে নিচে আমরা সরাসরি সেই ৯টি ওয়েবসাইটের বিষয়ে জেনেনেই।
কোনো ধরণের ডিপোজিট ছাড়া ইনকাম করার সাইট: সেরা ১০টি
নিচে আমি যেই সাইট গুলির বিষয়ে আপনাদের বলতে চলেছি এই সাইট গুলিতে সম্পূর্ণ ফ্রীতে কোনো রকমের টাকা না দিয়ে একটি একাউন্ট তৈরি করে নিতে পারবেন।
এছাড়া, ওয়েবসাইট গুলিতে কাজ করে ইনকাম করার জন্য আপনাকে ১ টাকাও ডিপোজিট করতে হবেনা।
ইনকাম করার সাইট: | সুবিধা/বৈশিষ্ট: |
---|---|
১. 2captcha.com | ক্যাপচা পূরণ করে ইনকাম করার সাইট, |
২. Fiverr.com | ফ্রিল্যান্সিং কাজ পাওয়ার সাইট, |
৩. Freecash.com | ইনকামের একাধিক উপায় রয়েছে, |
৪. YouTube.com | ভিডিও আপলোড করে ইনকাম, |
৫. Freelancer.com | সেরা ফ্রিল্যান্স মাইক্রো-জব সাইট, |
৬. Bananabucks.co | অনলাইন সার্ভে সম্পূর্ণ করে ইনকাম, |
৭. Medium.com | আর্টিকেল লিখে এবং জমা দিয়ে আয়, |
৮. Facebook Marketplace | অনলাইনে পণ্য বা পরিষেবা বিক্রি, |
৯. Jumptask.io | মাইক্রো-টাস্ক গুলি করে ইনকাম, |
১০. Rewardy.io | গান শুনে, গেম খেলে বা সার্ভে করতে হয়। |
উপরে বলে দেওয়া এই প্রতিটি অনলাইন ইনকাম সাইট গুলিতে গিয়ে নানান ছোট-ছোট মাইক্রো-টাস্ক গুলি করে আপনারা অর্থ উপার্জন করতে পারবেন।
চলুন, এবার আমরা একে একে প্রতিটি ওয়েবসাইটের বিষয়ে সম্পূর্ণ বিস্তারিত ভাবে জেনেনেই।
১. 2captcha.com
আপনি যদি অনলাইনে টাইপিং করে টাকা ইনকাম করতে আগ্রহী তাহলে এই 2captcha.com-এর সাইটটিতে গিয়ে একটি ফ্রি একাউন্ট বানিয়ে নিতে পারেন।
আসলে, সাইটটি মূলত একটি ক্যাপচা পূরণ করে ইনকাম করার সাইট যেখানে, টেক্সট, নাম্বার, রিক্যাপটচা, অডিও ক্যাপচা, ইত্যাদি নানান ধরণের Captcha গুলিকে সঠিক ভাবে পূরণ করার জন্য অর্থ উপার্জনের সুযোগ দেওয়া হয়।
কাজটিকে আপনি একটি অনলাইন ডাটা এন্ট্রি জব (Home data entry work) হিসেবে নিয়েও কাজ করতে পারেন।
এখানে কাজ শুরু করার জন্য আপনাকে শুধু মাত্র একটি ফ্রি একাউন্ট তৈরি করে নিতে হবে। একাউন্ট তৈরি করার পর, Start work-এর মধ্যে ক্লিক করলেই সিস্টেম দ্বারা আপনাকে training tasks গুলি দিয়ে দেওয়া হবে।
ট্রেনিং শেষ হওয়ার পর, এবার আপনি সরাসরি ক্যাপচা গুলিকে সঠিক ভাবে টাইপ করে সেগুলিকে জমা দিয়ে ইনকাম স্টার্ট করতে পারবেন। এক্ষেত্রে, ১-২ ঘন্টা কাজ করেই প্রায় $0.50 ইনকাম করা যেতে পারে।
এই সাইট এর কি কি সুবিধা আছে:
- মোবাইল দিয়ে ক্যাপচা পূরণের কাজ করা যাবে,
- কোনো ইনভেস্টমেন্ট বা ডিপোজিট ছাড়া ইনকাম করা যায়,
- ঘরে বসে নিজের খালি সময়ে কাজ করা যাবে,
- $0.50 এর মিনিমাম পেমেন্ট সেট করা আছে,
- কোনো ধরণের পেআউট ফী বা চার্জ নেই।
২. Fiverr.com
নিজের পকেট থেকে এক টাকা খরচ না করে বা কোনো ধরণের ডিপোজিট না দিয়ে টাকা ইনকাম করার আরেকটি সেরা সাইট হলো, “Fiverr“।
অনলাইনে নিজের অভিজ্ঞতা এবং দক্ষতাকে কাজে লাগিয়ে নানান ছোট ছোট কাজ গুলি করে যারা অর্থ উপার্জন করতে চাইছেন তাদের জন্য Fiverr একটি অন্যতম সেরা বিকল্প।
আসলে, Fiverr হলো এমন একটি অনলাইন মার্কেটপ্লেস যেখানে আমার এবং আপনার মতো যেকোনো ব্যক্তি বা ব্যবসা গুলি তাদের পরিষেবা গুলিকে অনলাইন মাধ্যমে অফার করার সুযোগ পান।
Fiverr-এর মধ্যে অফার করা এই পরিষেবা গুলি আবার “gigs,” নামে পরিচিত।
এখানে আপনি, graphic design, digital marketing, content writing এবং translation, video এবং animation, programming, app/website development, এবং অন্যান্য নানান বিষয়ে পরিষেবা গুলিকে অফার করতে পারবেন এবং Fiverr থেকে ইনকাম করতে পারবেন।
যেমন ধরুন আপনি অনেক সুন্দর মতো প্রফেশনাল ভাবে লোগো ডিজাইন করতে জানেন। এবার, আপনি চাইলে ফাইভারে গিয়ে $5-$10 ডলার টাকা চার্জ নিয়ে অন্যান্য ব্যক্তি বা ব্যবসা গুলিকে লোগো তৈরি করে দিতে পারেন।
Fiverr-এ কাজ করে ইনকাম করার জন্য আপনাকে কি করতে হবে?
১. সবচে আগে আপনাকে Fiverr-এর সাইটে গিয়ে নিজের একটি ফাইভার একাউন্ট তৈরি করে নিতে হবে। চিন্তা করতে হবেনা, এক্ষেত্রে আপনাকে কোনো ধরণের টাকা ডিপোজিট করতে হবেনা।
২. একাউন্ট তৈরি করার পর আপনাকে নিজের প্রোফাইলটিকে সুন্দর ভাবে এডিট করতে হয় এবং প্রোফাইল পিকচার সহ জরুরি প্রত্যেকটি তথ্য দিয়ে দিতে হবে।
৩. এবার আপনি কি ধরণের কাজ করতে পারবেন বা কি পরিষেবা দিতে চাইছেন, সেটার বিষয়ে লিখে, কাজের ডেসক্রিপশন, কত টাকা চার্জ করবেন, সবটা লিখে লিস্ট হিসেবে (gigs) পাবলিশ করুন।
৪. এবার যখনই কোনো ইউজার বা ব্যক্তি বা ক্রেতা, তাদের প্রয়োজন হিসেবে উপলব্ধ গিগ গুলির তালিকা থেকে আপনার গিগ বা পরিষেবাটি বেছে নিবেন, তখন আপনারা নিজেদের মধ্যে কথা বলে এগিয়ে যেতে পারবেন।
৫. এভাবে Fiverr-এর মধ্যে ছোট ছোট গিগ গুলি লিস্ট করে এবং অন্যান্য ব্যক্তিদের জন্য নানান ছোট ছোট কাজ গুলি করে $5 থেকে $10 আরামে চার্জ করতে পারবেন।
৩. Freecash.com
Freecash, মূলত একটি Online Micro Jobs Website যেখানে অ্যাপ টেস্ট এবং ডাউনলোড করা, গেম খেলা, সার্ভে সম্পূর্ণ করার মতো ছোট ছোট টাস্ক গুলি সম্পূর্ণ করে রিওয়ার্ড আয় করা যায়।
এই সাইট এর ক্ষেত্রেও, কাজ করার ক্ষেত্রে আপনাকে কোনো ধরণের টাকা বিনিয়োগ করতে হবেনা। সরাসরি একটি ফ্রি একাউন্ট তৈরি করে কাজ শুরু করা যাবে।
নিজের android mobile, iOS mobile বা PC-র থেকে করার মতো নানান offers গুলি এই সাইটে আপনারা পাবেন। এছাড়া, এদের এফিলিয়েট প্রোগ্রাম এর সাথে যুক্ত হয়েও অতিরিক্ত ইনকামের সুযোগ পেতে পারবেন।
এখানে প্রতিটি টাস্ক সম্পূর্ণ করার জন্য আপনাকে দেওয়া হবে কিছু কয়েন (coins)। আর মনে রাখবেন, এখানে প্রতি ১০০০ কয়েন মানেই হলো $1, মানে ১০০০ কয়েন ইনকাম হওয়া মানেই $1 ইনকাম হওয়া।
Freecash ওয়েবসাইটের সুবিধা:
- PayPal, Bitcoin, VISA, Amazon, Bank Transfer-এর দ্বারা টাকা তোলা যায়।
- ইনকাম করার প্রচুর উপায় পাবেন।
- সম্পূর্ণ ফ্রীতে একাউন্ট তৈরি করা যায়।
- $250 পর্যন্ত একাউন্ট ওপেনিং বোনাস পেতে পারেন।
৪. YouTube.com
যখন কথা হচ্ছে অনলাইনে কোনো টাকা না লাগিয়ে টাকা ইনকাম করার সাইট গুলি নিয়ে, তখন YouTube আমার হিসেবে আজকের এই তালিকায় অবশই যুক্ত থাকা দরকার।
অবশই, ইউটিউব থেকে টাকা আয় করার ক্ষেত্রে আপনাকে প্রচুর সময় দিতে হবে।
নিয়মিত ভালো ভালো বিষয়ে ভিডিও বানিয়ে নিজের চ্যানেলে আপলোড করতে হবে এবং প্রচেষ্টার সাথে এগিয়ে গেলে সফলতা অবশই পাওয়া যায়।
আমি নিজেই আমার একটি ইউটিউব চ্যানেল তৈরি করেছি এবং সেখানে প্রায় ১০০০+ subscribers ইতিমধ্যে সম্পূর্ণ হয়ে গিয়েছে। এবার শুধুমাত্র ৪০০০ ঘন্টার watch time-এর অপেক্ষায় রয়েছি।
এতে আমিও YouTube Partner Program-এর জন্য apply করতে পারবো এবং এপ্রুভাল পেলেই আমার ইউটিউব চ্যানেলে থাকা ভিডিও গুলিতেও Google AdSense দ্বারা বিজ্ঞাপন দেখানো হবে।
আর আপনি অবশই জানেন হয়তো যে, Google AdSense দ্বারা যখন আমাদের ইউটিউব ভিডিও গুলিতে বিজ্ঞাপন দেখানো হয়, তখন সেই বিজ্ঞাপন গুলিতে ইউজার দ্বারা হওয়া click এবং views-এর বদলে আমরা টাকা পেয়ে থাকি।
তাই, আপনি যদি মহিলা, স্টুডেন্ট বা এমন যেকোনো ব্যক্তি যে নিজের খালি সময়ে কাজ করে অনলাইন মাধ্যমে টাকা ইনকাম করতে চাইছেন আর সেটাও কোনো ধরণের বিনিয়োগ বা ডিপোজিট ছাড়া, তাহলে YouTube আপনার অনেক কাজে লাগতে পারে।
৫. Freelancer.com
Freelancer.com, একটি অনেক জনপ্রিয় ও পপুলার অনলাইন ফ্রিল্যান্সিং মার্কেটপ্লেস সাইট যেটাতে গিয়েও আপনি নানান ছোট-বড় ফ্রিল্যান্স কাজ গুলি করতে পারবেন এবং অনলাইনে অর্থ উপার্জনের সুযোগ পাবেন।
নতুনদের জন্য ফ্রিল্যান্সিং কাজ গুলি পেতে এবং করতে অনেকটা কঠিন ব্যাপার হয়ে দাঁড়ায় যদিও, এই প্লাটফর্ম টিকে নিয়মিত ব্যবহার করতে থাকলে সময়ের সাথে সাথে এখানে পছন্দমতো কাজ গুলি খুঁজে সেগুলিকে সম্পূর্ণ করতে পারবেন।
সত্যি বলতে, freelancer.com হলো এটি বিশ্বব্যাপী অন্যতম বৃহত্তম ফ্রিল্যান্সিং প্ল্যাটফর্ম গুলির মধ্যে একটি যেখানে যেকোনো ধরণের কাজ গুলি খুঁজে পাওয়া যায়।
তবে মনে রাখবেন, এখানে কাজ খোঁজার আগে আপনাকে এটা অবশই নিশ্চিত করতে হবে আপনি কি ধরণের কাজ গুলি করবেন। এক্ষেত্রে, আপনার অভিজ্ঞতা এবং দক্ষতা গুলির উপর আপনাকে অবশই নজর দিতে হবে।
হতে পারে আপনি একজন ভালো লেখক (কনটেন্ট রাইটার), একজন ভালো ভয়েস ওভার আর্টিস্ট, লোগো ডিজাইনার, অ্যাপ ডেভেলপার, বা অন্য যেকোনো কাজ নিয়ে ফ্রিল্যান্সিং করতে চাইছেন, এখানে প্রত্যেকেরই জন্য সুযোগ অবশই রয়েছে।
Freelancer.com থেকে কিভাবে ইনকাম করবেন?
- শুরুতেই Freelancer.com-এর সাইটে গিয়ে আপনাকে একটি সম্পূর্ণ ফ্রি একাউন্ট তৈরি করতে হবে।
- একাউন্ট তৈরি করার পর, আপনাকে নিজের দক্ষতা এবং অভিজ্ঞতা সম্পর্কে কিছুটা ডিটেলস যুক্ত করতে হবে।
- আপনার প্রোফাইল এর মধ্যে একটি ভালো প্রোফাইল পিকচার, নিজের বিবরণ, কাজের অভিজ্ঞতা এবং ডেমো ওয়ার্ক গুলি অবশই দিয়ে রাখতে হবে।
- প্রোফাইল সেট করা হয়ে গেলে, এবার আপনি নানান ক্লায়েন্টসদের দ্বারা পোস্ট করা নানান প্রজেক্টস/কাজ গুলি ব্রাউজ করতে পারবেন।
- এই প্রজেক্টস বা কাজ গুলি writing, designing, programming, marketing, editing, ইত্যাদি আলাদা আলাদা ক্যাটাগরি গুলির উপর ভিত্তি করে লিস্ট করা থাকবে।
- এবার, যদি এমন কোনো কাজ আপনি খুঁজে পান যেটা আপনার দক্ষতা এবং আগ্রহের সাথে খাপ খাচ্ছে, তাহলে সেই কাজটি করার জন্য আপনি বিড করতে পারবেন।
- শেষে, ক্লায়েন্টরা আপনার বিড আউটলাইনটি দেখবেন এবং প্রয়োজন মনে করলে আপনার সাথে যোগাযোগ করে কাজটি আপনাকে দিয়ে দিতে পারে।
- যখন আপনি কাজটি সঠিক ভাবে সম্পূর্ণ করে ক্লায়েন্টকে জমা দিবেন, ক্লায়েন্ট দ্বারা কাজটি রিভিউ এবং এপ্রুভ করার পর freelancer.com-এর পেমেন্ট সিস্টেম দ্বারা আপনাকে সেই কাজের পেমেন্ট পাঠিয়ে দেওয়া হবে।
তাই দেখলেন তো, কোনো ধরণের টাকা ডিপোজিট না করে শুধুমাত্র নিজের দক্ষতা এবং অভিজ্ঞতাকে কাজে লাগিয়ে আমরা freelancer.com সাইট থেকে আনলিমিটেড টাকা ইনকাম করার সুযোগ পেয়ে যাচ্ছি।
৬. Bananabucks.co
Bananabucks.com, একটি অনেক জনপ্রিয় অনলাইন সার্ভে ফিলিং ওয়েবসাইট যেখানে গিয়ে একটি সম্পূর্ণ ফ্রি একাউন্ট তৈরি করে নিয়মিত সার্ভে গুলিকে সম্পূর্ণ করে ইনকাম করা যাবে।
বলা হয়েছে যে এই সাইট এর মধ্যে সম্পূর্ণ করা আপনার প্রথম সার্ভের জন্য গেরেন্টেড $1 দিয়ে দেওয়া হবে।
এখানেও, সার্ভে গুলিকে সম্পূর্ণ করে টাকা আয় করার জন্য আপনাকে কোনো ধরণের টাকা বিনিয়োগ বা ডিপোজিট করতে হয়না।
সার্ভে গুলিতে আপনাকে মূলত হাজার হাজার brand partners গুলির সাথে রিলেটেড নানান প্রশ্নের উত্তর এবং মতামত গুলি দিতে হয়।
Bananabucks-এর সাইটে কাজ করার জন্য আপনাকে এর mobile app-টিকে ডাউনলোড করতে হয়। চিন্তা করতে হবেনা, আপনি সরাসরি Google Play Store থেকে এই app-টি ডাউনলোড করে নিতে পারবেন।
Bananabucks-এর সুবিধা:
- PayPal-এর দ্বারা ইনকাম করা টাকা তুলতে পারবেন।
- সম্পূর্ণ করা প্রথম সার্ভের জন্য $1 দেওয়া হবে।
- মিনিমাম $5 এর ক্যাশআউট (payment) নিতে পারবেন।
৭. Medium.com
Medium.com, এই ওয়েবসাইটের বিষয়ে আমরা প্রত্যেকেই জানি। এখানে নানান বিষয়ে ভালো ভালো তথ্য গুলি টেক্সট আর্টিকেলের মাধ্যমে পাবলিশ করা হয়।
আপনি চাইলে আপনিও মিডিয়াম এর সাইটে নিজের একটি ফ্রি একাউন্ট তৈরি করে পছন্দমতো আর্টিকেল গুলি লিখে এখানে পাবলিশ করতে পারবেন।
এবার, এই সাইটে কাজ করেও যে অর্থ উপার্জন করা যায় এই বিষয়ে কি আপনি জানতেন?
হ্যা, Medium.com-এর একটি Partner Program রয়েছে এবং এই সাইটে কাজ করেও আপনি কোনো ধরণের ডিপোজিট ছাড়া ইনকাম করতে পারবেন। কিভাবে?
আসলে, মিডিয়াম এর সাইটে পাবলিশ করা আপনার আর্টিকেল (stories) গুলির থেকে আপনি ইনকাম করতে পারবেন।
তবে আপনি কত টাকা ইনকাম করবেন, সেটা সম্পূর্ণ ভাবে আপনার আর্টিকেলের মধ্যে নানান মাধ্যমে চলে আসা ইউসারদের ব্যস্ততা এবং কার্যকলাপের উপর ভিত্তি করে নিশ্চিত করা হয়।
কিভাবে মিডিয়াম থেকে ইনকাম করা যাবে?
- আপনাকে একজন medium member হতে হবে।
- গত ৬ মাসের মধ্যে ১টি হলেও স্টোরি/আর্টিকেল পাবলিশ করতে হবে।
- কমেও ১৮ বছর আপনার হতে হবে।
- মিডিয়াম পার্টনার প্রোগ্রাম দ্বারা সমর্থিত দেশে অবস্থিত থাকতে হবে।
একবার মিডিয়াম পার্টনার প্রোগ্রাম দ্বারা এপ্রুভাল পাওয়ার পর, যখন আপনার দ্বারা পাবলিশ করা আর্টিকেল/স্টোরিজ গুলি অন্যান্য মেম্বাররা পড়বেন, শুনবেন বা স্টোরি গুলির সাথে জড়িত থাকবেন, আপনি তাদের মেম্বারশিপ ডিউ গুলির কিছু অংশ ইনকাম হিসেবে আয় করে নিতে পারবেন।
Stripe-এর মাধ্যমে নিজের bank account এবং Medium account-কে কানেক্ট করে সরাসরি ইনকাম করা টাকা গুলিকে নিজের ব্যাঙ্ক একাউন্টের দ্বারা তুলে নিতে পারবেন।
৮. Facebook Marketplace
Facebook Marketplace-এর বিষয়ে তো আপনারা প্রত্যেকেই জানেন হয়তো।
এটা একটি অনলাইন মার্কেটপ্লেস সাইট যেখানে গিয়ে একজন ফেসবুক ইউজার হিসেবে আপনি যেকোনো পণ্য বা পরিষেবা গুলিকে কিনতে ও সেগুলিকে অনলাইন মাধ্যমে বিক্রি করতে পারেন।
আপনি চাইলে কোনো নতুন পণ্য (product) বা যেকোনো পুরোনো আইটেম ফেসবুক মার্কেটপ্লেস এর মাধ্যমে বিক্রি করাতে পারবেন।
এই মার্কেটপ্লেসের দ্বারা আপনি যেকোনো ধরণের পণ্য বিক্রি করতে পারবেন। যেমন ধরুন, ফার্নিচার, কোনো ইভেন্ট এর টিকিট, গাড়ি, বাইক, ঘর ভাড়া, কাপড়, ইনস্ট্রুমেন্ট, ইত্যাদি।
ফেসবুক মার্কেটপ্লেস থেকে এমনিতে সরাসরি টাকা ইনকাম করার কোনো উপায় বা প্রোগ্রাম নেই।
তবে, আপনি চাইলে পাইকারী বিক্রেতাদের থেকে নানান পণ্য গুলি কিনে সেগুলিকে এই মার্কেটপ্লেসএর দ্বারা অনলাইনে বিক্রি করতে পারবেন।
Facebook Marketplace-এর দ্বারা পণ্য বিক্রি করে টাকা ইনকাম করার জন্য আপনাকে কোনো ধরণের ইনভেস্টমেন্ট করতে হয়না। মানে, ডিপোজিট ছাড়া ইনকাম করার এই সাইটটিও সম্পূর্ণ ফ্রীতেই ব্যবহার করা যাবে।
এক্ষেত্রে আপনার কাছে শুধুমাত্র একটি ফেসবুক একাউন্ট থাকলেই যথেষ্ট।
৯. Jumptask.io
অনলাইনে প্রতিদিন ১ থেকে ২ ঘন্টা কাজ করে নানান ছোট ছোট কাজ গুলিকে সম্পূর্ণ করে অর্থ উপার্জন করতে চাইলে Jumptask সাইটটি ব্যবহার করে দেখতে পারেন।
সাইটটি ব্যবহার করে অর্থ উপার্জন করার ক্ষেত্রে আপনাকে কোনো ধরণের টাকা ডিপোজিট করতে হবেনা। সম্পূর্ণ ফ্রীতে নিজের একটি একাউন্ট বানিয়ে সরাসরি কাজ শুরু করতে পারবেন।
এই সাইট থেকে ইনকাম করার উপায় গুলি অনেক মজার এবং সহজ।
এখানে আপনি টিকটক এবং ইউটিউবের মতো প্লাটফর্ম গুলির ভিডিও দেখে, সার্ভে সম্পূর্ণ করে, অ্যাপ ডাউনলোড করে, অনলাইনে অর্ডার এবং শপিং করে, গেম খেলে, ইত্যাদি নানান মাধ্যমে টাকা ইনকাম করে নিতে পারবেন।
এছাড়া, JumpTask Referral program থেকেও আপনারা অতিরিক্ত ইনকামের আরেকটি দারুন সুযোগ পেয়ে যাবেন।
মনে রাখবেন, এখানে আপনাকে $JMPT এর মাধ্যমে রিওয়ার্ড ইনকাম গুলি দেওয়া হবে।
FAQ’s: ডিপোজিট ছাড়া ইনকাম সাইট:
এমনিতে এই ধরণের ওয়েবসাইট অনেক আছে যদিও আমার পছন্দের কিছু সেরা সাইট গুলি হলো, Swagbucks, InboxDollars, Toluna, ySense, Medium.com, Bananabucks, Freecash, Fiverr.com, এবং আরো আছে।
না, উপরে বলে দেওয়া ওয়েবসাইট গুলির থেকে ইনকাম করার জন্য আপনাকে কোনো ধরণের টাকা বা রেজিস্ট্রেশন ফী ডিপোজিট করতে হয়না।
এই সাইট গুলির থেকে কত টাকা ইনকাম করতে পারবেন সেটা আলাদা আলাদা বিষয় গুলির উপর নির্ভর করে থাকে। যেমন, আপনি প্রতিদিন কি পরিমানে কাজ করছেন, একসাথে কয়টি সাইটে কাজ করছেন ইত্যাদি। সত্যি বলতে, রাতারাতি বা দ্রুত ধনী হওয়ার আশা করবেন না। তবে, সাইট গুলিতে ছোট ছোট কাজ করে কিছু এক্সট্রা টাকা উপার্জন করার সম্ভাবনা অবশই থাকছে।
আজকে আমরা কি জানলাম?
তাহলে বন্ধুরা, আজকের এই আর্টিকেলের মধ্যে আমরা জানলাম যে, ইন্টারনেটে এমন প্রচুর ওয়েবসাইট গুলি রয়েছে যেগুলিতে গিয়ে শুধুমাত্র একটি ফ্রি একাউন্ট তৈরি করেই এক্সট্রা টাকা ইনকামের সুযোগ পাওয়া যেতে পারে।
আর সব থেকে মজার বিষয় এটাই যে, এই সাইট গুলিতে কাজ করে অনলাইন ইনকাম করার জন্য আমাদের কোনো ধরণের টাকা ডিপোজিট করতে হয়না।
এমনিতে, আমি নিজেই এই সাইট গুলি ব্যবহার করে দেখিনাই।
ইন্টারনেটে খানিকটা রিসার্চ করার পর এই সাইট গুলি খুঁজে পাওয়া গেছে। তাই, সাইট গুলি ব্যবহার করার আগে নিজের থেকে যাচাই ও রিসার্চ অবশ্যই করে নিবেন।
অসংখ্য ধন্যবাদ । পড়ে খুব ভালো লাগলো । একটা বিষয়ে যদি জানাতেন – বর্তমানে ফ্রিল্যান্সার হিসেবে কাজ করার জন্য কি কি কাজ শিখলে ভালো আয় করতে পারবো ।
ধন্যবাদ ভাই আর্টিকেলটি সম্পূর্ণ পড়ার জন্য। বর্তমান সময়ে, কনটেন্ট রাইটিং, অ্যানিমেশন ভিডিও তৈরি, অ্যাপ ডেভেলপমেন্ট, ভিডিও এডিটিং, এই ধরণের কাজের চাহিদা প্রচুর।