গরিব থেকে ধনী হওয়ার জন্যে কোন বিষয়ে নজর দিতে হবে ?

Last updated on July 24th, 2023 at 11:53 am

ধনী হওয়ার সহজ উপায় এবং মূল মন্ত্র গুলো – আমাদের মধ্যে অনেকেই রয়েছে যারা তাড়াতাড়ি ধনী হওয়ার স্বপ্ন দেখেন।

ধনী হওয়ার সহজ উপায়
কিভাবে অধিক ধনী ব্যক্তি হতে পারবেন ?

তবে, বড়লোক বা ধনী হওয়ার কোনো নির্দিষ্ট সময় নেই, আপকি যেকোনো সময় যেকোনো বয়েসেই ধনী হতে পারবেন।

কিন্তু, তার জন্যে আপনার সবচে প্রথমেই নিজের কল্পনা, দৃষ্টি এবং লক্ষ্য কে একটি সঠিক রাস্তা দেখাতে হবে।

সফল ব্যক্তি হওয়ার জন্যে কখনোই দেরি হয়ে থাকেনা।

অনেক ব্যক্তি রয়েছেন যারা প্রায় ২০ থেকে ২৫ বছরের মধ্যেই success এর মজা নিয়ে নেন।

অনেকেই ৩০ থেকে ৪০ বছরের আয়ুর মধ্যে সফলতা দেখেন।

আবার অনেকেই রয়েছেন যার জীবনের শেষ কিছু সময়ের মধ্যে সফলতা দেখতে পান।

তাই, চেষ্টা চালিয়ে গেলে নিজেকে একজন ধনী লোক হিসেবে তৈরি করে সফলতার প্রাপ্তি করানোটা অনেকটাই সম্ভব।

তাড়াতাড়ি ধনী হওয়ার মন্ত্র, উপায় বা কৌশল বলে তেমন কিছু নেই।

তবে, দিনের সময়ে কেবল ধনী ব্যক্তি হওয়ার স্বপ্ন না দেখে নিচে দেওয়া বিষয় গুলোর ওপরে নজর দিয়ে সেগুলোর মাধ্যমে নিজেকে তৈরি অবশই করতে পারবেন।

নিচে দেওয়া বিষয় গুলোতে নজর দিয়ে, কিভাবে ধনী হওয়া যায় তার পথদর্শন পাবেন।

গরিব থেকে ধনী হওয়ার জন্যে আপনি কেবল ধনী হওয়ার স্বপ্ন দেখলেই কাজ হবেনা।

আপনাকে, কিছু সংকল্প নিয়ে এবং কষ্ট করে নিজের স্বপ্নকে সত্যি করার চেষ্টা চালিয়ে যেতে হবে।

নিচে দেওয়া বিষয় গুলোর ওপরে নজর দিয়ে, কিভাবে বড়লোক হওয়া যায় তার জন্য নিজেকে গোড়া থেকে প্রস্তুত করতে পারবেন।

গরিব থেকে ধনী হওয়ার উপায় ও মন্ত্র গুলো কি কি ?

দেখুন, আমি কখনোই বলবোনা যে কিছু সাধারণ স্টেপ গুলো সম্পূর্ণ করে আপনারা রাতারাতি অনেক টাকা আয় করে নিতে পারবেন।

এটা প্রায় বেশিরভাগ ক্ষেত্রেই সম্ভব হয়ে থাকেনা।

তবে, যদি আপনার মধ্যে অনেক টাকা কমানোর উৎসাহ রয়েছে এবং সত্যি আপনি একজন ধনী ব্যক্তি হিসেবে একদিন নিজেকে দেখতে চাইছেন,

তাহলে নিচে দেওয়া বিষয় গুলোর ওপরে নজর দিয়ে কাজ শুরু করুন।

কারণ আমি যতটুকু জানি, টাকা আয় করার জন্যে কেবল স্বপ্ন দেখলেই কাজ হবেনা।

তবে, স্বপ্নটিকে সম্পূর্ণ করার উৎসাহ এবং ইচ্ছে নিয়ে বিভিন্ন ক্ষেত্রে নিজের ওপরে কাজ করতে হবে।

How to become rich ? (Tips in Bengali)

আপনারা যদি ভাবছেন যে, এই আর্টিকেলে রাতারাতি ধনী হওয়ার কৌশল কিছু শিখতে পারবেন,

তাহলে আমি আগেই বলে দিচ্ছি যে তেমন কিছুই আমি আপনাদের বলতে যাচ্ছিনা।

অধিক টাকা আয় করে নিজেকে একজন বড়লোক ব্যক্তি হিসেবে রূপান্তর করার ক্ষেত্রে কষ্ট, কর্ম, সময় এবং কিছু বিশেষ গুণ এর প্রয়োজন।

অবশই, নিচে দেওয়া বিষয় গুলোর বিষয়ে জানার পর আপনারা একজন ধনী ব্যক্তি হওয়ার কৌশল গুলো জানতে পারবেন।

তবে, এই কৌশল গুলোর ওপরে কাজ করে সফল হতে কিছুটা সময় অবশই লাগবে।

তাহলে চলুন, নিচে আমরা সেই প্রত্যেকটি বিষয়ের ওপরে জেনেনি যেগুলোর ওপরে নজর দেওয়া অবশই জরুরি যদি আপনি একজন ধনী ব্যক্তি হওয়ার উপায় খুঁজছেন।

  1. টাকার প্রতি আপনার চিন্তাধারা 
  2. স্বপ্ন দেখা অনেক জরুরি 
  3. চাহিদার সাথে সাথে কর্ম অনেক জরুরি 
  4. জীবনে রিস্ক (risk) নিতেই হবে 
  5. নিজের ওপরে বিশ্বাস রাখুন 
  6. অপ্রয়োজনীয় খরচ থেকে দূরে থাকুন 
  7. সঞ্চয় (savings) অনেক জরুরি 
  8. ধনী হতে সময় লাগবে 
  9. কর্মচারী হওয়ার থেকে মালিক হওয়া ভালো 
  10. সফল ব্যক্তিদের জীবনী পড়ুন 
  11. অধিক টাকা আপনাকে ধনী বানাতে পারবেনা 
  12. ধার-দেনা রাখাটা বন্ধ করুন 
  13. ব্যবসা করার কথা ভাবুন 
  14. একাধিক আয়ের উৎস 
  15. Passive income জরুরি 
  16. মাসের খরচ আলাদা রাখুন 
  17. মিউচুয়াল ফান্ডে ইনভেস্ট করুন 
  18. Long-term planning করুন 
  19. নিজের ওপরে ইনভেস্ট করুন 
  20. সব সময় বড় ভাবুন 

চলুন এখন আমরা নিচে এই প্রত্যেকটি বিষয় গুলো নিয়ে বিস্তারিত ভাবে আলোচনা করে নেই।

টাকার প্রতি আপনার চিন্তাধারা 

আমরা প্রত্যেকেই ভাবি টাকা মানেই হলো জিনিস কেনার একটি মাধ্যম।

তবে আমাদের এই চিন্তাধারা প্রথমেই পাল্টে দিতে হবে।

টাকা কিভাবে কাজ করে, টাকার অভাবে কি কি হতে পারে এই প্রত্যেক বিষয়ে আমাদের আগেই জেনেরাখা দরকার।

আপনি যদি ভাবছেন যে, ধনী হওয়া মানেই হলো অধিক টাকা আয় করা এবং সেগুলোকে খরচ করা,

তাহলে টাকা থেকেও আপনি একজন ধনী ব্যক্তি হয়ে উঠতে পারবেননা।

প্রত্যেক মাসে ৩০,০০০/- টাকা আয় করা ব্যক্তি যদি প্রত্যেক মাসে তার আয়ের ২০,০০০ টাকা সঞ্চয় করছেন,

এবং আপনি যদি প্রত্যেক মাসে ৫০,০০০ আয় করেও ২০,০০০ টাকা সঞ্চয় করতে পারছেননা,

তাহলে কিছু মাসের মধ্যেই আপনার থেকে কম টাকা আয় করা ব্যক্তি টাকাতে আপনার থেকে ধনী হয়ে দাঁড়াবে।

তাই, টাকার প্রতি থাকা আপনার চিন্তাধারা পাল্টাতেই হবে যদি আপনি ধনী হতে চাচ্ছেন।

স্বপ্ন দেখা অনেক জরুরি 

পৃথিবীতে আজ পর্যন্ত হওয়া বেশিরভাগ আবিষ্কার, চমৎকার বা সফলতা কেবল একটি সাধারণ স্বপ্নের ফলেই সম্ভব হয়ে দাঁড়িয়েছে।

আপনার মধ্যে স্বপ্ন দেখার ক্ষমতা এবং সাহস থাকতে হবে যদি আপনি বড় কিছু অর্জন করতে চাচ্ছেন।

প্রথমেই স্বপ্ন দেখুন, এতে আপনি একটি clear vision এবং motive পাবেন।

নিজের স্বপ্নকে সব সময় মনে করার ফলে আপনার brain সেই স্বপ্নকে সত্যি করার ক্ষেত্রে কাজ করা এবং সুযোগ খুজা শুরু করবে।

মনে রাখবেন, “যেই ব্যক্তি জীবনে স্বপ্ন দেখতে জেনেছে, কেবল তারি স্বপ্ন পুরো হয়েছে”.

কেননা, স্বপ্ন না দেখলে সেটা সত্যি করার প্রশ্নই কখনো আসছেনা।

চাহিদার সাথে সাথে কর্ম অনেক জরুরি 

মনে রাখবেন, কেবল ধনী হওয়ার স্বপ্ন দেখলে আর আশা করলেই কাজ হবেনা।

যেকোনো চাহিদা বা স্বপ্নকে বাস্তবে পরিণত করার জন্যে কর্ম করাটা অনেক জরুরি।

আপনি বিভিন্ন সুযোগ গুলো খুঁজতে থাকুন এবং সেগুলোর ওপরে মন দিয়ে কাজ করা শুরু করুন।

সফলতার এক মাত্র উপায় হলো সঠিক পথে সঠিক ভাবে কর্ম করা।

কাজ করতে ভয় পাবেননা এবং নিজেকে বিশ্বাস করে প্রচুর কষ্ট আপনার করতেই হবে।

দিন রাত এক করে আপনার কাজ করতেই হবে, যদি একদিন নিজেকে বড়লোক হিসেবে পরিচয় দিতে চাচ্ছেন।

জীবনে রিস্ক (risk) নিতেই হবে 

প্রত্যেকের জীবনে কোনো না কোনো সময় ভালো সুযোগ অবশই আসে।

কিছু সাহসী লোকেরা রিস্ক নিয়ে সেই সুযোগ গুলোর ওপরে কাজ করেন এবং অনেকেই আবার কেবল রিস্ক নেওয়ার ভয়ে সেগুলোকে ছেড়ে দেন।

তাই, জীবনে কিছু বড় করতে ও পেতে হলে রিস্ক কিন্তু অবশই নিতে হবে।

সুযোগ কিন্তু কখনো বলে আসবেনা, সে যখন আসার হঠাৎ চলে আসবে এবং আপনাকে সেটাকে বুঝতে হবে এবং সাহস করে সেই সুযোগের ওপরে কাজ করতে হবে।

কিছুদিন আগে আমার সামনেও একি পরিস্থিতি ছিল।

আমার কাছে একটি ভালো চাকরি ছিল এবং ৬ বছরের কাজের অভিজ্ঞতাও ছিল।

কিন্তু আমার সামনে ব্যবসার একটি ভালো সুযোগ হয়ে দাঁড়ায় এবং আমিও অনেক রিস্ক নিয়ে সাহস করে চাকরি ছাড়ার সিদ্ধান্ত নিয়ে থাকি।

তবে, আজকে আমি অনেক খুশি হয়ে বলতে পারছি যে আমার সেই এক সিদ্ধান্ত আমার জীবন পাল্টে দিয়েছে।

এবং, আজ আমি জেই জায়গায় রয়েছি সেই জায়গায় চাকরি করে কখনোই যেতে পারতামনা।

নিজের ওপরে বিশ্বাস রাখুন 

যেকোনো জিনিস পেতে হলে নিজের ওপরে বিশ্বাস রাখাটা কিন্তু সবচেয়ে জরুরি জিনিস।

বিশ্বাস অনেক বড় একটি জিনিস যেটা থাকলে অনেক না হওয়া কাজ গুলোও হয়ে যেতে পারে,

এবং, নিজের ওপরে বিশ্বাস না থাকলে সাধারণ কাজটিও কিন্তু হবেনা।

তাই, নিজেকে সবসময় উৎসাহিত করতে হবে এবং আপনিও যে অন্যদের থেকে কম না, আপনার মধ্যেও কৌশল, উৎসাহ এবং আগ্রহ রয়েছে সেই বিশ্বাস নিয়ে এগিয়ে যেতে হবে।

অপ্রয়োজনীয় খরচ থেকে দূরে থাকুন 

আপনি যদিও কম টাকা আয় করছেন তথাপিও আপনি ভালো পরিমানের টাকা অপ্রয়োজনীয় খরচ এর থেকে বাঁচাতে পারবেন।

টাকা হাতে থাকলে সেই টাকা খরচ করার একটি আলাদা অভ্যেস আমাদের প্রত্যেকের মধ্যেই রয়েছে।

তাই, যত তাড়াতাড়ি নিজেকে এই অভ্যেস থেকে মুক্ত করতে পারবেন, ততটাই তাড়াতাড়ি আপনি ধনী হওয়ার পথে এগিয়ে যাবেন।

সঞ্চয় (savings) অনেক জরুরি 

আমাদের মধ্যে অনেকেই রয়েছেন যারা সঞ্চয় নিয়ে তেমন কিছু ভাবেননা।

কিন্তু আপনারা কি জানেন, সঞ্চয় (savings) হলো ধনী হওয়ার আসল মন্ত্র।

যত কম বয়েসে সঞ্চয় করা শুরু করবেন ততটাই তাড়াতাড়ি আপনার কাছে অনেক টাকা জমা হওয়ার সুযোগ হয়ে উঠবে।

এবং, যখন ব্যাঙ্ক একাউন্টে অনেক টাকা থাকবে কেবল তখন আপনি নিজেকে ধনী হিসেবে পরিচয় দিতে পারবেন।

তাই, অপ্রয়োজনীয় খরচ থেকে নিজেকে দূরে রাখুন এবং যতটা সম্ভব এখন থেকেই টাকা জমানো শুরু করুন।

আমি অবশই আপনাদের কিছু, টাকা জমানোর উপায় ও কৌশল গুলোর বিষয়ে জেনে রাখার পরামর্শ দিবো।

ধনী হতে সময় লাগবে 

কেবল কিছু দিন চেষ্টা করেই হতাশ হবেননা।

সফলতা পেতে অনেক সময় লাগবে। লোকেরা বছরের পর বছর নিজের ওপর বিশ্বাস রেখে কাজ করার পর সফলতা পেয়ে থাকেন।

তাই, এটা কখনোই ভাববেননা যে কেবল কিছুদিন কাজ করেই আপনি ধনী হয়ে যাবেন।

যেটাই করছেন মন দিয়ে করতে থাকুন, নতুন নতুন সুযোগ খুজুন এবং কিভাবে নিজের ইনকাম বৃদ্ধি করতে পারবেন সেই বিষয়ে চোখ রাখুন।

ধীরে ধীরে সফলতা আপনার কাছে চলে আসবে।

কর্মচারী হওয়ার থেকে মালিক হওয়া ভালো 

যতটুকু আমি অনুভব করে থাকি, একজন কর্মচারী (employee) হয়ে আমরা কখনো অধিক টাকা ইনকাম করার সুযোগ পেয়ে থাকিনা।

প্রায় ৫ থেকে ১০ বছর কাজ করার পরেও আপনার স্যালারি কেবল কিছুটা বেড়ে থাকে।

তাই, একটি পার্ট-টাইম বা ফুল-টাইম ব্যবসা করে নিজেকে মালিক বানিয়ে রাখার লাভ অবশই রয়েছে।

ব্যবসা করলে অনেক কম সময়ের মধ্যে অধিক বেশি টাকা আয় করার সুযোগ আপনার কাছে থাকে।

তাই, যতটা জলদি সম্ভব একজন কর্মচারী না হয়ে মালিক হয়ে নিজের কাজ করুন।

তবে, প্রথম অবস্থায় আপনি চাকরির সাথে সাথে একটি পার্ট-টাইম ব্যবসা অবশই করতে পারবেন।

সফল ব্যক্তিদের জীবনী পড়ুন 

যখন আপনি কিছু সফল ব্যক্তিদের জীবনী এবং আত্মকথা পড়বেন, তখন আপনি অনেক কিছুই জানতে পারবেন।

কিভাবে অনেক বিখ্যাত লোকেরা নিজেকে কষ্টের মধ্যে দিয়ে একজন সফল ব্যক্তি হিসেবে তৈরি করেছেন,

যখন তাদের সংগ্রাম এবং সংঘর্ষ গুলোর বিষয়ে জানতে পারবেন, তখন বুঝবেন যে সফল ব্যক্তি হওয়াটা কতটা রোমাঞ্চ ভরা।

তবে কঠিন হলেও, তারা যদি নিজের স্বপ্ন বাস্তবে সত্যি করতে পেরেছেন, তাহলে আপনিও পারবেন।

এবং, তাদের জীবনী গুলো পড়ে আপনি একটি আলাদা সাহস, উৎসাহ এবং প্রেরণা পাবেন।

অধিক টাকা আপনাকে ধনী বানাতে পারবেনা 

আপনি যদি ভাবছেন যে কেবল অধিক টাকা কামাই করতে পারলেই আপনি ধনী হতে পারবেন, তাহলে সেটা ভুল ধারণা।

ধনী হওয়ার জন্যে অধিক টাকা ইনকাম করার থেকে জরুরি হলো টাকার খরচ কমানো এবং টাকা সঞ্চয় করা।

মনে রাখবেন, যত বেশি টাকা আমাদের কাছে আসবে আমাদের চাহিদা সেভাবেই বাড়তে থাকবে।

নতুন নতুন জিনিস কেনার চাহিদা, ঘুরার চাহিদা ইত্যাদির ফলে সেই সময়েও আপনি টাকার অভাব অনুভব করবেন।

তাই, অধিক টাকা কমানোর ফলেও আপনি সেগুলোকে ভালো করে রাখতে পারছেননা,

যার ফলে, টাকার সঞ্চয় হচ্ছেনা এবং আপনি একজন ধনী ব্যক্তিতে পরিনিত হতেই পারবেননা।

সব সময় মনে রাখবেন, ধনী হওয়ার জন্য জরুরি বিষয়টা হলো অধিক টাকা সঞ্চয় (savings) করা।

এনাহলে, অধিক টাকা ইনকাম করেও কোনো লাভ হবেনা।

ধার-দেনা রাখাটা বন্ধ করুন 

যখন আমাদের কাছে কিছু টাকা আসতে থাকে তখন আমরা নিজের বড় বড় চাহিদা গুলোকে পূরণ করার জন্যে লোন (loan) নিয়ে থাকি।

আর এই ধরণের একাধিক loan এর emi দিতে দিতেই আমাদের ইনকাম এর বেশিরভাগ শেষ হয়ে যায়।

তাই, নিজের চাহিদার ওপরে একটু নিয়ন্ত্রণ রাখাটা শিখুন এবং লোন নিয়ে অপ্রয়োজনীয় জিনিস গুলোকে কেনা বন্ধ করুন।

গাড়ি, ঘর, বইক, মোবাইল ইত্যাদি পরেও অল্প অল্প করে করতে পারবেন।

কিন্তু যদি, লোন নিয়ে ধার-দেনা করে করে এসব কিনছেন, তাহলে আপনি কখনোই অধিক টাকা জমাতে পারবেননা।

এক এক টাকা মিলে যেভাবে ১০০ টাকা হয় ঠিক সেভাবেই, ১০ টি ১০০ টাকা মিলে ১০০০ টাকা হয় এবং তারপর ১০০ টি ১০০০ টাকা মিলে ১ লক্ষ টাকা হয়ে যায়।

এভাবে একটু ভেঙে বুঝার চেষ্টা করলেই বুঝতে পারবেন যে ধনী হওয়ার জন্য কিসের প্রয়োজন।

ব্যবসা করার কথা ভাবুন 

আমি আগেই বলেছি যে চাকরির তুলনায় ব্যবসাতে সুযোগ অনেক বেশি।

বর্তমান সময়ে যেকোনো ব্যবসা অনেক তাড়াতাড়ি grow হওয়া দেখা যাচ্ছে।

তাই, একটি রিস্ক নিজে একটি ভালো ব্যবসা করার কথা ভাবার পরামর্শ আমি আপনাকে দিবো।

যদি আপনি রিস্ক নিতে চাচ্ছেননা, তাহলে চাকরির সাথে সাথে সাইড ব্যবসা একটি অবশই করতে পারবেন।

এক্ষেত্রে, বিভিন্ন অনলাইন পার্ট-টাইম জব রয়েছে যেগুলো আপনারা করতে পারবেন।

একাধিক আয়ের উৎস 

আপনি কেবল একটি আয়ের উৎস রেখে ধনী হওয়ার আশা অনেক কম।

কারণ, কেবল মাত্র একটি আয়ের উৎস থেকে আপনি তেমন বেশি ইনকাম করার সম্ভাবনা কম থাকছে।

প্রত্যেক income source এর একটি সীমাবদ্ধতা অবশই রয়েছে।

তাই, যদি আপনি ধনী হিসেবে নিজেকে দেখতে চাচ্ছেন তাহলে কেবল একটি মাত্র ইনকাম সোর্স এর ওপরে ভরসা করে থাকতে পারবেননা।

আপনি ব্যবসা এবং চাকরি দুটোকেই একসাথে চালিয়ে যেতে পারেন বা একাধিক ব্যবসা করতে পারেন।

এতে, ভবিষ্যতের জন্যে সুযোগ এবং ইনকাম দুটোই অধিক বৃদ্ধি পাবে।

আপনি চাইলে, ঘরে বসে ব্লগিং করে বা একটি YouTube channel তৈরি করেও ভালো পার্ট-টাইম ইনকাম করতে পারবেন।

Passive income জরুরি 

Passive income মানে হলো সেই প্রত্যেক জায়গা বা উৎস গুলোর থেকে প্রত্যেক মাসে ইনকাম হওয়া যেগুলোর জন্যে আপনার কাজ করতে হয়না।

তবে, কিছু ক্ষেত্রে কাজ করতে হলেও কেবল ১-২ ঘন্টা কাজ করলেই হয়ে যায়।

এমন কিছু কাজ করতে হবে যেগুলো আপনি একবার করেই পরের সময়ে বার বার সেগুলোর থেকে ইনকাম পেতে পারবেন।

নিজের blog/website এর মধ্যে advertisements বিক্রি করা, ঘর ভাড়া, গাড়ি ভাড়া, দোকানের ভাড়া, digital products বিক্রি করা ইত্যাদি passive income এর কিছু উপায়।

নেটওয়ার্ক মার্কেটিং করেও আপনারা প্রথমে কষ্ট করে পরে কিছু না করেই কমিশন ইনকাম করতে থাকতে পারবেন।

এভাবে, একবার কাজ করে প্রত্যেক মাসে কিছু ইনকাম কোনো কষ্ট না করেই পেতে থাকলে সেই টাকা আপনি savings করতে পারবেন।

আর এটা হলো ধনী হবার সহজ উপায় যদি আপনি সাইড বাই সাইড এরকম প্যাসিভ ইনকাম করতে পারেন।

মাসের খরচ আলাদা রাখুন 

প্রত্যেক মাসে যখনি আপনার হাতে টাকা আসবে, আপনি সাথে সাথে জরুরি খরচ গুলোকে লিখে সেগুলোর জন্য প্রয়োজনীয় টাকা সরিয়ে রাখুন।

এবার, মাসের খরচের বাইরে যেই টাকা আপনার কাছে অধিক রয়েছে, সেটাকে সঞ্চয় করুন।

এনাহলে, কোনো না কোনো কারণে আপনার হাত থেকে অল্প অল্প করে টাকা খরচ হতেই থাকবে।

ফলে, অধিক টাকা আয় করার লাভ কিছুই হবেনা।

মিউচুয়াল ফান্ডে ইনভেস্ট করুন 

মিউচুয়াল ফান্ড হলো টাকা ইনভেস্ট (invest) করার সব থেকে সেরা উপায়।

কারণ, অন্যান্য যেকোনো ধরণের সঞ্চয়ের উপায় গুলোর তুলনায় mutual fund এর মাধ্যমে আমরা অধিক বেশি returns পেয়ে থাকি।

কিছু কিছু equity mutual fund scheme রয়েছে যেগুলো আপনাকে ১৫%-২০% থেকেও অধিক interest returns দিয়ে থাকে।

তবে, মিউচুয়াল ফান্ড এর ইকুইটি মার্কেটে টাকা লাগালে রিস্ক অবশই থাকছে।

কিন্তু যা আমি বার বার বলছি, রিস্ক নিলেই অধিক বেশি পাওয়াটা সম্ভব।

তবে, আপনি আপনার সামনের ভালো কোনো financial adviser থেকে পরামর্শ নিয়ে mutual mund এর মধ্যে invest করতে পারবেন।

Long-term planning করুন 

আমি আগেও বলেছি যে, আপনি একদিনে ধোনি হয়ে যাবেননা।

তাই, long term planning করুন এবং কিছু বছর হাতে রেখে টার্গেট গুলো সেট করুন।

বেশি বেশি করে সঞ্চয় করুন এবং নিজের ইনকাম সোর্স গুলোকে বাড়াতে থাকুন।

নিজের ওপরে ইনভেস্ট করুন 

সফলতা পাওয়ার জন্য সব থেকে জরুরি বিষয়টি হলো, নিজেকে মানসিক এবং শারীরিকভাবে সুস্থ রাখা।

আপনি যখন এই দুই দিক দিয়ে সুস্থ থাকবেন, তখন অন্যান্য কাজ গুলো করতে আপনার কোনো অসুবিধে হবেনা।

যদি শারীরিক ও মানসিক ভাবে সমস্যা থাকে, তাহলে অন্যান্য কাজ গুলোতেও আপনি মনোযোগ দিতে পারবেননা।

তাই, নিজের ওপরে কিছু সময় ইনভেস্ট করে শারীরিক ব্যায়াম বা শরীরচর্চা করতে হবে।

এছাড়া, আপনি নিজের skills, knowledge এবং experience কিভাবে বৃদ্ধি করবেন সেটা নিয়ে নিজেকে সময় দিতে হবে।

প্রয়োজন হলে কিছুটা টাকা খরচ করে সময়ে সময়ে নিজের skills develop করতে হবে।

সব সময় বড় ভাবুন 

কিছু বড় পাওয়ার জন্যে আপনাকে নিজের মানসিকতা বড় রাখতে হবে।

সব সময় ভালোটা পাওয়ার চেষ্টা রাখতে হবে।

এর সাথেই, নিজের চিন্তাধারা, আশা, চাহিদা এগুলোকে বড় রাখার চেষ্টা করুন।

কারণ, আপনার লক্ষ্য (target) যত বেশি বড় থাকবে, ততটাই বেশি আপনার কার্যক্ষমতা বাড়বে এবং বেশিটা পাওয়ার ক্ষেত্রে আপনি অধিক বেশি কাজ করবেন।

তাই, target সব সময় বড় set করতে হবে।

 

আমাদের শেষ কথা,,

তাহলে বন্ধুরা, আজকে আমরা জানলাম, একজন গরিব থেকে ধনী হওয়ার জন্যে আমাদের কোন কোন বিষয় গুলোতে নজর দিতে হবে।

এমনিতে, ধনী হওয়ার সহজ উপায় বলতে তেমন কিছুই নেই।

আর সবটাই আপনার নিজের ওপরে। আপনি যত বেশি কাজ করবেন এবং যত স্মার্ট ভাবে কাজ করবেন ততটাই তাড়াতাড়ি আপনি ধনী হতে পারবেন।

জেনেরাখুন, কাজের সাথে সাথে সঞ্চয় (savings) অবশই জরুরি যদি আপনি ধনী হওয়ার মন্ত্র জানতে চাচ্ছেন।

যদি আপনি বড়লোক হওয়ার উপায় খুঁজছেন, তাহলে অবশই এই প্রত্যেকটি বিষয়ে আপনার কাজ করতেই হবে।

“How to become a rich man in Bengali” নিয়ে লিখা আমাদের আর্টিকেল যদি আপনাদের ভালো লেগেছে,

তাহলে আর্টিকেলটি শেয়ার অবশই করবেন।

তাছাড়া, আর্টিকেলের সাথে জড়িত কোনো প্রশ্ন বা পরামর্শ থাকলে আমাকে নিচে কমেন্ট এর মাধ্যমে জানিয়ে দিবেন।

 

Leave a Comment

Your email address will not be published. Required fields are marked *

error:
Scroll to Top