আপনার অ্যান্ড্রয়েড স্মার্টফোন থেকে প্রতিদিন ৫০০ টাকা উপার্জন করার স্বপ্ন এখন আর কেবল স্বপ্ন হয়ে থাকবেনা। কেননা, নিচে বলে দেওয়া এই সেরা ১২টি অ্যাপের মাধ্যমে আপনি আপনার দক্ষতা, আগ্রহ এবং অতিরিক্ত সময় গুলিকে কাজে লাগিয়ে অতিরিক্ত ইনকামের দারুন সুযোগ পেতে পারবেন।
Apps এর মাধ্যমে দৈনিক ৫০০ টাকা ইনকাম করার বিষয়টা অবশই একটি চ্যালেঞ্জিং ব্যাপার। এই apps গুলি দিয়ে টাকা আয় করার সময় আলাদা আলাদা বিভিন্ন বিষয় গুলো এক্ষেত্রে জড়িত থাকতে পারে। যেমন ধরুন, আপনার দক্ষতা, জ্ঞান, জায়গা, কাজে কতটা সময় দিচ্ছেন এবং উপলব্ধ সুযোগ গুলি কি।
মনে রাখবেন, এই অনলাইন ইনকাম অ্যাপস গুলিতেও কিন্তু সময় দিয়ে নিয়মিতভাবে কাজ করতে হয়। এক্ষেত্রে মনে রাখা দরকার যে, যদিও এই অ্যাপগুলি একটি নিয়মিত ইনকামের সুযোগ তৈরি করতে সক্ষম, তবে আপনি কি পরিমানে ইনকাম করবেন সেটা আপনার স্মার্ট ওয়ার্ক এবং প্রতিশ্রুতির উপর ভিত্তি করে পরিবর্তিত হতে পারে।
টাকা ইনকাম করার এই apps গুলোর দ্বারা নিয়মিত ইনকামের চাবিকাঠি হল, ধারাবাহিকতা বজায় রেখে কাজ করা, কাজ ও ইনকামের প্রক্রিয়াগুলি উপভোগ করা এবং এই সুযোগগুলির সর্বাধিক লাভ নেওয়ার মাধ্যমে প্রচুর ইনকাম করা।
তাই চলুন, আর দেরি না করে এই ৯টি সেরা মোবাইল apps গুলোর বিষয়ে জেনেনেই যেগুলির দ্বারা দিনে অন্তত ৫০০ টাকা ইনকাম করার সম্ভাবনা থাকছে।
অবশই পড়ুন:
- সেরা ৯টি পকেট মানি আর্নিং অ্যাপস
- কিভাবে মোবাইল দিয়ে টাকা ইনকাম করা যায়?
সূচিপত্র:
প্রতিদিন টাকা ইনকাম করার এই apps গুলো কি ধরণের?
বর্তমান সময়ে, আমাদের হাতের মুঠোয় থাকা এই স্মার্টফোন গুলি কেবল যোগাযোগ এবং বিনোদনের জন্য ব্যবহার হওয়া একটি সাধারণ ডিভাইস হয়ে থাকেনি। আপনি চাইলে এই স্মার্টফোন গুলিকে অনলানে ফ্রিতে টাকা ইনকাম করার একটি শক্তিশালী হাতিয়ার হিসেবে ব্যবহার করতে পারবেন।
হতে পারে আপনি একজন কলেজে পড়া স্টুডেন্ট যে অনলাইনে কাজ করে এক্সট্রা ইনকাম করতে চাইছেন, বা আবার হতে পারেন একজন ফুল-টাইম চাকরিজীবী যে নিজের ইনকামের পরিমান খানিকটা বাড়িয়ে নিতে চাইছেন।
বর্তমান সময়ে এমন প্রচুর টাকা ইনকাম করার অ্যাপস গুলো উপলব্ধ রয়েছে যেগুলিকে কাজে লাগিয়ে সামান্য উত্সর্গ এবং প্রচেষ্টার জোরে নিয়মিত ইনকাম করা যাবে। এখন প্রশ্ন হলো, ইনকাম করার এই apps গুলো আসলে কি ধরণের? আপনাকে কি কাজ করতে হবে? প্রশ্ন গুলির উত্তর আপনারা অবশই নিচে পাবেন।
যখন আমি দিনে অন্তত ৫০০ টাকা ইনকাম করার apps গুলি নিয়ে কথা বলছি, এক্ষেত্রে এমন কোনো ধরণের অ্যাপ এর কথা বলা হয়নি যেখানে কোনো কাজ না করেই ইনকাম করা যাবে। ইনকাম করার ক্ষেত্রে নিচে বলে দেওয়া এই apps গুলোতেও আপনাকে নির্দিষ্ট কিছু কাজ অবশই করতে হবে।
যেমন ধরুন এমন কাজ যেগুলি আপনি করতে পছন্দ করেন, আপনার জ্ঞান, দক্ষতা এবং প্যাশন এর সাথে জড়িত কাজ। এই আর্টিকেলের মধ্যে টাকা ইনকামের কোনো শর্ট-কাট অ্যাপস গুলোর বিষয়ে বলছিনা। তবে, app গুলোতে গিয়ে সঠিক ভাবে কাজ করতে পারলে নিয়মিত ৫০০ টাকা অবশই ইনকাম করা যেতে পারে।
অবশই পড়ুন: টাকা আয় করার রিয়েল বিদেশি ইনকাম সাইট
এই টাকা ইনকাম apps গুলোতে কি কি কাজ করতে হবে?
দেখুন, প্রতিদিন ৫০০ টাকা ইনকাম করার ক্ষেত্রে যেই apps গুলো আমরা ব্যবহার করতে পারি, সেগুলোতে আলাদা আলাদা ধরণের কাজ গুলো করার মাধ্যমে ইনকাম করা সম্ভব। মানে, ইনকাম করার জন্য প্রত্যেকটি অ্যাপে আলাদা আলাদা ধরণের কাজ গুলো করতে হয়।
কিছু apps রয়েছে যেগুলিতে freelancing কাজ গুলো করতে হবে আবার কিছুতে ছবি বিক্রি করার কাজ পাবেন। এমনও অ্যাপস গুলি পাবেন যেগুলিতে ছোট ছোট মাইক্রো জব গুলো করার মাধ্যমে ইনকাম সম্ভব। সোজা কথায়, apps গুলির থেকে নিয়মিত রোজগার করার ক্ষেত্রে কিছু নির্দিষ্ট কাজ গুলি অবশই করতে হবে।
১. Content Creation apps:
এই ধরণের অ্যাপস গুলি ব্যবহার করে আপনারা অনলাইন ভিডিও কনটেন্ট গুলো তৈরি করে টাকা ইনকাম করার সুযোগ পেয়ে থাকেন।
যদি আপনার মধ্যে ভিডিও কনটেন্ট গুলি তৈরি করার প্রতিভা থেকে থাকে, তাহলে আপনারা YouTube, TikTok, Instagram ইত্যাদির মতো platform গুলি ব্যবহার করে ad revenue এবং sponsorships-এর মাধ্যমে প্রচুর টাকা নিয়মিত ইনকাম করতে পারবেন।
২. Freelancing Platforms:
Freelancing websites/apps গুলিকে কাজে লাগিয়ে আপনি আপনার দক্ষতা এবং পরিষেবা গুলি নানান clients এবং company গুলির কাছে অনলাইনে প্রদান করার মাধ্যমে ইনকাম করতে পারবেন। এক্ষেত্রে, Upwork, Freelancer, Fiverr, Toptal, Guru ইত্যাদির মতো অ্যাপস/ওয়েবসাইট গুলি ব্যবহার করা যাবে।
লেখালেখি, গ্রাফিক ডিজাইন, প্রোগ্রামিং, ডিজিটাল মার্কেটিং, অ্যাপ/ওয়েবসাইট ডেভেলপমেন্ট ইত্যাদির মতো বিষয় গুলিতে যদি আপনার দক্ষতা থাকে, তাহলে আপনি এই ধরণের platform গুলি ব্যবহার করে ইনকামের সুযোগ পেতে পারবেন।
৩. Tutoring or Teaching Apps:
আপনার যদি কোনো একটি নির্দিষ্ট বিষয়ে সম্পূর্ণ জ্ঞান রয়েছে এবং সেই বিষয়ে সম্পূর্ণ ভালো করে বুঝিয়ে বলার কৌশল আপনার মধ্যে রয়েছে, তাহলে আপনি নানান teaching apps গুলো ব্যবহার করে দিনে কমেও ৫০০ টাকা ইনকাম করে নিতে পারবেন।
এছাড়া, আপনি চাইলে zoom app-এর মতো একটি online video conference app ব্যবহার করে সরাসরি নিজের অনলাইন ক্লাস চালু করতে পারবেন। মাত্র ২-৩ জন ছাত্র পড়িয়েই দিনে ৫০০ থেকে ১০০০ টাকা আয় করে নিতে পারবেন।
৪. Survey and Task Apps:
Swagbucks, Google Opinion Rewards, Amazon MTurk, Survey Junkie, InboxDollars, ySense ইত্যাদির মতো নানান টাকা ইনকাম apps গুলো রয়েছে যেগুলিতে, পেইড সার্ভে সম্পূর্ণ করা, রেফার করা এবং অন্যান্য ছোট ছোট কাজ গুলো করার মাধ্যমে ইনকাম সম্ভব।
তবে, এই ধরণের apps গুলো ব্যবহার করে কেবল অনেক সামান্য পরিমানের ইনকাম করা যায়।
তবে অনলাইন পেইড সার্ভে করে টাকা আয় করার এমন apps/website গুলো অবশই রয়েছে যেগুলির থেকে শুধুমাত্র সার্ভে সম্পূর্ণ করার মাধ্যমে ৩০০ থেকে ৫০০ টাকা ইনকাম করা যেতে পারে।
৫. Stock Photography Apps:
যদি আপনি ছবি তুলতে পছন্দ করেন, তাহলে নিজের মোবাইল দিয়ে ছবি তুলে সেগুলিকে অনলাইনে বিক্রি করিয়েও ইনকাম করা যাবে। অনলাইনে ছবি বিক্রি করার ক্ষেত্রে, Shutterstock, Adobe Stock, Getty Images, Foap, ইত্যাদি এই ধরণের apps/website গুলো আপনি ব্যবহার করতে পারবেন।
যখনই আপনার ছবি গুলো কোনো ব্যক্তি বা কোম্পানির দ্বারা কেনা বা ডাউনলোড করা হয়, আপনাকে কিছু টাকা (২০% থেকে ৬০%) কমিশন হিসেবে দিয়ে দেওয়া হয়।
রিলেটেড: অনলাইনে আর্টিকেল লিখে টাকা আয় করুন
ডেইলি ৫০০ টাকা ইনকাম করার apps গুলোর তালিকা: সেরা ১২টি
ইনকাম করার অ্যাপস: | অ্যাপের বৈশিষ্ট: |
---|---|
১. Meesho app | পণ্য রিসেল করে ইনকাম। |
২. ySense app | ছোট ছোট কাজ গুলো করতে হয়। |
৩. Swagbucks app | সার্ভে এবং অন্যান্য কাজ গুলো করতে হয়। |
৪. Fiverr | ফ্রিল্যান্সিং কাজ গুলো করতে হয়। |
৫. Shutterstock Contributor | ছবি বিক্রি করে ইনকাম। |
৬. YouTube app | ভিডিও বানিয়ে আপলোড করতে হয়। |
৭. CashBoss: Earn Cash | অফার গুলো সম্পূর্ণ করতে হয়। |
৮. Instagram | এফিলিয়েট মার্কেটিং, স্পনসরশিপ করুন। |
৯. LinkedIn: Mobile App | এখানে প্রচুর কাজ পাবেন। |
১০. Blogger.com (app) | নিজের ব্লগ সাইট তৈরি করুন। |
১১. Google Pay | রেফার করে ইনকাম করুন। |
১২. Freecash App | একাধিক উপায়ে অর্থ উপার্জন। |
চলুন, এখন নিচে প্রতিটি টাকা ইনকাম apps গুলির বিষয়ে বিস্তারিত জেনেনেই।
১. Meesho app
এটা এমন একটি mobile app যেটি ব্যবহার করে অনলাইনে কেনাকাটা করার পাশাপাশি পণ্য গুলো বিক্রি করিয়ে টাকা ও ইনকাম করতে পারবেন। মানে, আপনাকে নিজের কোনো প্রোডাক্ট বিক্রি করতে হবেনা। App-এর মধ্যে থাকা নানান products গুলিকে অন্যান্য ব্যক্তিদের সাথে শেয়ার করতে হবে।
আপনি app-এর মধ্যে থাকা যেকোনো একটি প্রডাক্ট সিলেক্ট করে সেটিতে নিজের হিসেবে দাম সেট করে তারপর সেই দামের সাথে পণ্যটি বিক্রি করতে পারবেন। কোম্পানির তরফ থেকে সেট করা দাম কোম্পানি রাখবে, এবং বাকি টাকা আপনাকে দিয়ে দেওয়া হবে।
উদাহরণ সরুন, ধরুন meesho app-এর মধ্যে একটি শার্ট রয়েছে যার দাম ৩৫০ টাকা সেট করা আছে। এখন আপনি এই শার্টটি ৪০০ দাম সেট করে বিক্রি করতে পারলে, meesho ৩৫০ টাকা রাখবে এবং আপনাকে আপনার ৫০ টাকা দিয়ে দিবে।
পণ্য গুলিকে বিক্রি করানোর জন্য আপনারা নানান social media platform গুলির সাহায্য নিতে পারবেন। যেমন, Facebook, Instagram, WhatsApp ইত্যাদি। Delivery, return, billing ইত্যাদি সবটা meesho নিজের থেকেই দেখে নিবে।
২. ySense app
ySense, একটি অনেক জনপ্রিয় অনলাইন প্লাটফর্ম যেখানে উপার্জনের একাধিক বিকল্প গুলো আপনারা পাবেন। Paid online surveys, cash offers, quick tasks এবং referral, যেকোনো মাধ্যমে শুরু করতে পারবেন ইনকাম। Google Play Store-এ গিয়ে ySense mobile app-টি সরাসরি ডাউনলোড করে নিতে পারবেন।
ইনকাম করার এই app থেকে মূলত paid survey গুলো সম্পূর্ণ করার মাধ্যমে ভালো মানের ইনকাম করা সম্ভব। ৫ থেকে ২০ মিনিটের সার্ভে গুলি সম্পূর্ণ করে প্রায় $0.25 থেকে $2 পর্যন্ত ইনকাম করা যেতে পারে। তবে সার্ভে গুলোর ধরণ, সম্পূর্ণ হতে কত সময় ইত্যাদি নানান বিষয় গুলির উপরে নির্ভর করছে ইনকামের পরিমান।
এছাড়া, এখানে নতুন নতুন ইউসারদের রেফার করেও প্রতি রেফারে $0.10 বা $0.30 ইনকাম করা যাবে। ySense মূলত একটি GPT (Get-Paid-Two) সাইট/অ্যাপ, যেখান থেকে ইনকাম করা টাকা গুলি PayPal এবং Gift Cards-এর দ্বারা তুলতে পারবেন।
৩. Swagbucks: Surveys for Money
Swagbucks app-টি মূলত একটি GPT (Get-Paid-Two) সাইট/অ্যাপ। এর ওয়েবসাইটে গিয়ে নানান অফার গুলো সম্পূর্ণ করে ছোট ছোট পরিমানে ইনকাম করা সম্ভব। App-টি জয়েন করার জন্য $10 এর Welcome Bonus দেওয়ার কথা বলা হয়েছে।
এই app থেকে ইনকাম করার মূল উপায়টি হলো, পেইড সার্ভে গুলো সম্পূর্ণ করে।
সঠিক ভাবে সার্ভে গুলি সম্পূর্ণ করতে পারলে, rewards এবং free gift cards গুলো অর্জন করতে পারবেন। এখানে প্রতিদিন প্রচুর নতুন নতুন সার্ভে গুলো অ্যাড করা হয়। রাজনীতি, চলচ্চিত্র, টিভি শো এবং কেনাকাটার অভিজ্ঞতা, ইত্যাদি নানান বিষয় গুলি নিয়ে সার্ভে গুলিতে আপনার মতামত জানার চেষ্টা করা হয়।
Survey-র বাইরেও, নানান apps এবং mobile games গুলো ব্যবহার করার মাধমেও নানান ইনকামের ডিল গুলো গুঁজে পাবেন। এছাড়া, নানান মোবাইল গেম গুলো খেলে বড় রকমের পুরস্কার উপার্জন করার সুযোগও থাকছে।
৪. Fiverr
Fiverr, একটি অনেক জনপ্রিয় freelancing marketplace app যেখানে গিয়ে নানান ধরণের কাজ গুলো সম্পূর্ণ করে প্রতিদিন টাকা ইনকাম করার সুযোগ পাবেন। তবে কাজ গুলো করার জন্য আপনার মধ্যে সেই কাজের অভিজ্ঞতা, দক্ষতা এবং কৌশল গুলো অবশই থাকতে হবে।
গ্রাফিক্স ডিজাইন, ডিজিটাল মার্কেটিং, কনটেন্ট রাইটিং, ভিডিও ও অ্যানিমেশন, ভয়েস আর্টিস্ট ইত্যাদি যেকোনো ধরণের কাজ গুলো এখানে পাবেন। তবে, শুরুতে আপনাকে নিজের একটি ফ্রি একাউন্ট তৈরি করে নিতে হবে।
একাউন্ট তৈরি করার পর আপনি যেই কাজটি করতে পারবেন সেই কাজের বিষয়ে লিখে একটি গিগ (Gig) তৈরি করতে হবে। সোজা ভাবে বললে, বিশ্বব্যাপী দর্শকদের কাছে আপনাকে আপনার কাজ অফার করতে হবে।
এবার যখন কোনো ব্যক্তি বা কোম্পানি আপনাকে দিয়ে কাজ করিয়ে নিতে চাইবেন বা কাজের অর্ডার গ্রহণ করবেন, তখন সেই বিষয়ে নোটিফিকেশন পাঠিয়ে আপনাকে জানিয়ে দেওয়া হবে। শেষে, সঠিক মতো সঠিক সময়ে কাজ সম্পূর্ণ করে জমা দিয়ে পারলে আপনাকে আপনার প্রাপ্য টাকা দিয়ে দেওয়া হবে।
তবে, fiverr থেকে টাকা আয় করার বিষয়টা ভালো ভাবে বুঝার জন্য, ফ্রিল্যান্সিং কি এই বিষয়ে আপনাকে প্রথমে ভালো করে জেনেনিতে হবে।
৫. Shutterstock Contributor
Google Play Store-এ ১ মিলিয়ন থেকেও অধিক ডাউনলোড সংখ্যার সাথে থাকা Shutterstock Contributor app-টি ব্যবহার করে, অনলাইনে ছবি বিক্রি করে টাকা ইনকাম করার সুযোগ পাবেন। আপনি চাইলে নিজের স্মার্টফোন দিয়েও হাই কোয়ালিটি ছবি গুলো তুলে আপলোড করতে পারবেন।
মনে রাখবেন, আপনার ছবি গুলি shutterstock থেকে যতবারই ডাউনলোড করা হবে, আপনাকে ততবারই কমিশন ইনকাম দেওয়া হবে। এখানে ডাউনলোড হওয়া আপনার প্রতিটি ছবির জন্য আপনাকে ১৫% থেকে ৪০% কমিশন দেওয়া হয়। মানে, প্রতিটি ছবির জন্য আপনাকে $0.10 থেকে $5.80 পর্যন্ত কমিশন দেওয়া যেতে পারে।
Shutterstock থেকে কিভাবে ইনকাম করতে হয় এই বিষয়ে আলাদা ভাবে একটি সম্পূর্ণ আর্টিকেল লেখা হয়েছে। আপনারা চাইলে এই আর্টিকেলটি পড়ে সবটা বুঝে নিতে পারবেন।
৬. YouTube app
ইউটিউব থেকে কিভাবে টাকা আয় করা যায়? এবং কিভাবে ইউটিউব চ্যানেল তৈরি করব? এই বিষয় গুলো নিয়ে আমি আগেই অনেকবার বলেছি।
যদি আপনি কোনো নির্দিষ্ট বিষয়ে অনেক ভালো করে জানেন, তাহলে সেই বিষয়ে নানান ভিডিও গুলি বানিয়ে নিজের YouTube channel-এ আপলোড করে টাকা আয় করতে পারবেন। সঠিক ভাবে সময় দিয়ে পরিশ্রম করতে পারলে ইউটিউব থেকে দিনে ৫০০ থেকে ১০০০ টাকা আরামে ইনকাম করা যাবে।
Google AdSense বিজ্ঞাপন এবং affiliate marketing, যেকোনো ইউটিউব চ্যানেল থেকে তাড়াতাড়ি ইনকাম করার কার্যকর উপায়। এই YouTube mobile app-এর মাধ্যমে মোবাইল দিয়েই নিজের চ্যানেলে ভিডিও গুলো আপলোড করতে পারবেন, শর্ট ভিডিও তৈরি ও পাবলিশ করতে পারবেন এবং লাইভ যেতে পারবেন।
৭. CashBoss: Earn Cash
প্লে স্টোর থেকে ১ মিলিয়নের থেকে অধিক ডাউনলোড এবং প্রায় ৪.০ রেটিং সহ মোবাইলে টাকা ইনকাম করার এই app-টি, নানান কাজ গুলো সম্পূর্ণ করার জন্য রিওয়ার্ড ইনকামের সুযোগ দিয়ে থাকে। যেমন, নতুন নতুন অ্যাপস গুলো মোবাইলে ইনস্টল করে ব্যবহার করা, গেম খেলা, স্পিন করে টাকা ইনকাম করার ইত্যাদি।
এছাড়া, app-টি রেফার করেও প্রতি রেফারে ৫ টাকা করে ইনকাম করার কথা বলা হয়েছে। ইনকাম হওয়া আপনার cash prize গুলিকে সরাসরি নিজের Paytm wallet একাউন্টের মধ্যে তুলে নিতে পারবেন।
৮. Instagram
বেশিরভাগ জনপ্রিয় অনলাইন সোশ্যাল মিডিয়া প্লাটফর্ম গুলির মতোই, Instagram থেকেও নিয়মিত টাকা ইনকাম করা যেতে পারে। তবে এক্ষেত্রে, আপনার ভালো পরিমানে followers থাকাটা জরুরি।
যদি আপনার একাউন্টে হাজার হাজার ফলোয়ার্স রয়েছে তাহলে নানান অ্যাপস গুলো রেফার করে, এফিলিয়েট মার্কেটিং করে এবং স্পন্সরড পোস্ট গুলো করার মাধ্যমে নিয়মিত রোজগারের সুযোগ পাবেন। অনেকেই রয়েছেন যারা নিয়মিত Instagram Reels গুলো বানিয়ে নানান মাধ্যমে টাকা আয় করার সুযোগ এবং সুবিধে পাচ্ছেন।
রিলেটেড: লুডু গেম খেলে টাকা ইনকাম করার উপায়
৯. LinkedIn: Mobile App
LinkedIn, একটি জনপ্রিয় সোশ্যাল মিডিয়া প্লাটফর্ম হলেও এখানে মূলত jobs, career, profession, income tips ইত্যাদি এই ধরণের বিষয়গুলি নিয়ে বেশিরভাগ ক্ষেত্রে চর্চা এবং আলোচনা গুলো করা হয়।
এখানে আপনারা নানান ডিজিটাল ওয়ার্ক যেমন, ডিজিটাল মার্কেটিং, কনটেন্ট রাইটিং, স্ক্রিপ্ট রাইটিং, স্টোরি রাইটিং, ডিজাইনার, ইত্যাদি নানান ধরণের ক্রিয়েটিভ জব গুলো পাবেন। এটা কোনো ফ্রিল্যান্সিং মার্কেটপ্লেস না যদিও এখানে সরাসরি নানান ফ্রিল্যান্সিং কাজ গুলো পেয়ে যাবেন।
ছোট-বড় কোম্পানি গুলির থেকেও নানান ফ্রিল্যান্সিং কাজ গুলো পাওয়ার সম্ভাবনা এখানে রয়েছে।
১০. Blogger.com (app)
Blogging করে যে প্রতিদিন ৪০০-৫০০ টাকা আরামে ইনকাম করা যেতে পারে এই বিষয়ে আমরা প্রত্যেকেই জানি। এবার, এই blogger app-টি আপনাকে সরাসরি কোনো ধরণের টাকা দিবেনা যদিও, আপনি চাইলে এই অ্যাপটি ব্যবহার করে সম্পূর্ণ ফ্রীতে নিজের একটি ব্লগ সাইট তৈরি করে নিতে পারবেন।
নিজের মোবাইল এবং ব্লগার অ্যাপ দিয়ে তৈরি করা ব্লগ সাইটটিতে নিয়মিত নতুন নতুন আর্টিকেল পাবলিশ করুন, ব্লগ সাইটটি গুগল সার্চ ইঞ্জিনে জমা করুন এবং ধীরে ধীরে যখন আপনার ব্লগ সাইটে প্রচুর ইউজাররা/ভিসিটর্সরা নিয়মিত চলে আসতে শুরু করবে, আপনি Google AdSense এবং Affiliate marketing এর মতো কৌশল গুলোকে কাজে লাগিয়ে নিজের ব্লগ থেকে ইনকাম করতে পারবেন।
১১. Google Pay (Referral program)
Google Pay কি ধরণের অ্যাপ সেটা আমরা প্রত্যেকেই জানি। এর দ্বারা আপনারা মোবাইল রিচার্জ, UPI পেমেন্ট, টাকা পাঠানো, টাকা গ্রহণ করা, ইত্যাদি নানান ধরণের লেন-দেন গুলো আমরা এই Google Pay App-এর দ্বারা করে নিতে পারি। এবার যখন কথা হচ্ছে টাকা ইনকাম করার অ্যাপস গুলো নিয়ে, তখন, গুগল পে অ্যাপ এর বিষয়েও আপনার অবশই জেনে রাখা দরকার।
Google Pay App-এর মধ্যে রয়েছে একটি referral program। এই রেফারাল প্রোগ্রাম এর অন্তর্গত (Invite friends, get rewards), যদি আপনার রেফারাল কোডটি ব্যবহার করে জেকেও তার মোবাইলে গুগল পে অ্যাপটি ইনস্টল করে থাকেন এবং তার প্রথম পেমেন্টটি সম্পূর্ণ করেন, তখন আপনি এবং সেই নতুন ইউজার, দুজনেই ১০০ টাকা রেফারেল ইনকাম করে নিতে পারবেন।
অধিক জানার জন্য, Refer someone on Google Pay, এখানে গিয়ে সম্পূর্ণ বিষয়টা বিস্তারিত ভাবে জেনেনিতে পারবেন।
১২. Freecash App/website
নিজের ঘরে বসে অনলাইনে ছোট ছোট কাজ গুলো করে টাকা ইনকাম করার আরেকটি জনপ্রিয় এবং দারুন অ্যাপ/ওয়েবসাইট হলো Freecash। গুগল প্লে স্টোরে ৫ মিলিয়ন থেকেও অধিক ডাউনলোড এবং ৪.৩ রেটিং সহ থাকা এই অ্যাপটি অনেকেই পছন্দ করছেন। আর যখন কথা হচ্ছে ৫০০ টাকা ইনকাম করার মতো একটি ভালো অ্যাপ এর তখন Freecash app-টি আপনার কাজে অবশই লাগতে পারে।
কিভাবে ইনকাম করা যাবে:
- বন্ধুদের রেফার করে তাদের ইনকামের ৩০% আপনি আয় করতে পারবেন।
- নানান সার্ভে গুলো সম্পূর্ণ করে ইনকাম করা যায়।
- গেম খেলে, অ্যাপ ইনস্টল করে এবং নানান অফার গুলো সম্পূর্ণ করে ইনকাম হয়।
- ব্যাংক ট্রান্সফার, পেপাল, গিফট কার্ড, বিটকয়েন, নানান মাধ্যমে টাকা তুলে নিতে পারবেন।
FAQ:
উপরে বলা বেশিরভাগ apps গুলো ব্যবহার করে টাকা ইনকাম করার ক্ষেত্রে প্রচুর পরিশ্রম করার পাশাপাশি, কিছু নির্দিষ্ট দক্ষতা থাকাটাও জরুরি। তাই, যদি সঠিক নিয়ম এবং প্রক্রিয়া গুলি ফলো করে কাজ করতে পারেন, তাহলে apps গুলির মাধ্যমে টাকা অবশই ইনকাম করতে পারবেন।
আছে, মোবাইলে গেম খেলে টাকা ইনকাম করার নানান apps গুলো আপনারা ইন্টারনেটে পেয়ে যাবেন। তবে এই ধরণের apps গুলো ব্যবহার করে অনেক সামান্য পরিমানে ইনকাম সম্ভব। এছাড়া, কিছু কিছু app গুলিতে টাকা জিতার জন্য শুরুতে টাকা বিনিয়োগ ও করতে বলা হয়।
অনলাইনে ইনকাম করার এমনিতে প্রচুর অ্যাপস গুলো আপনারা পাবেন। তবে জনপ্রিয় income apps গুলোর মধ্যে কিছু হলো, Meesho, Swagbucks, TaskBucks, U Speak We Pay, ySense ইত্যাদি।
আমাদের শেষ কথা,,
বন্ধুরা, ইন্টারনেট থেকে অনলাইনে টাকা ইনকাম করার উপায় প্রচুর আছে। এবার, আপনারা যদি দিনে ৫০০ টাকা ইনকাম করার উপায় বা অ্যাপস গুলো খুঁজছেন, সেক্ষেত্রে আপনাকে অবশই খানিকটা সতর্কতার সাথে এগিয়ে যেতে হবে। কেননা, অনলাইনে এমন নানান অ্যাপস/ওয়েবসাইট গুলো পাবেন যেগুলোর মধ্যে কিছুটা ভালো থাকলেও বেশিরভাগেই কিন্তু ফেক (fake) বা কোনো ধরণের টাকা আপনাকে দিবেনা।
তাই, আমি সবসময় লং-টার্ম ইনকামের উপায়গুলোর উপর মাথা মারার পরামর্শ আপনাকে দিবো। যেমন, সোশ্যাল মিডিয়া প্লাটফর্ম গুলোতে প্রচুর ফলোয়ার্স বাড়িয়ে তারপর বিজ্ঞাপন বা স্পনসরশিপ থেকে ইনকাম করা, ব্লগিং করে, ফ্রিল্যান্স ফটোগ্রাফার হিসেবে Shutterstock app-এর মাধ্যমে ছবি বিক্রি করা, ইত্যাদি।
এই প্রমাণিত উপায় গুলো ব্যবহার করে আপনারা লগ-টার্ম নিয়মিত প্যাসিভ ইনকাম করতে থাকতে পারবেন, তাছাড়া দিনে ৫০০ টাকা ইনকাম করাটাও এক্ষেত্রে সহজ ব্যাপার হয়ে দাঁড়াবে।