ডোমেইন কেনার আগে কোন বিষয় গুলো দেখবেন ? (২০২০)

একটি ব্লগ বা ওয়েবসাইটের সব থেকে গুরুত্বপূর্ণ অংশ হলো তার ডোমেইন নাম। কারণ, domain name এর মাধ্যমেই একটি ওয়েবসাইট ইন্টারনেটের জগতে তার পরিচয় তৈরি করে।

বিভিন্ন অনলাইন traffic sources যেমন “social media“, “search engines” বা “online directory” গুলোর থেকে আমাদের ওয়েবসাইটে এই ডোমেইন নাম এর মাধ্যমে traffic বা visitors আসে।

তাহলে, সহজ ভাবে বললে একটি ওয়েবসাইট এর সফলতার ক্ষেত্রে, তার সাথে জড়িত domain name এর ভূমিকা প্রচুর।

তাই, নিজের blog বা website এর জন্য একটি সেরা ডোমেইন বুক করার আগেই, কিছু সাধারণ বিষয়ে নজর দিতে হয়।

প্রায় ৯০% নতুন ব্লগার বা ওয়েবসাইট মালিকেরা ডোমেইন এর সাথে জড়িত এই সাধারণ বিষয় গুলো নিয়ে ধ্যান দেননা।

যার ফলে, ভবিষ্যতে গিয়ে ওয়েবসাইটের ব্র্যান্ডিং (branding) এবং এসইও (SEO) নিয়ে প্রচুর সমস্যা দেখা দেয়।

তবে, তখন আপনার কাছে করার কিছুই থাকছেনা।

কারণ, আপনার ওয়েবসাইটের domain আগের থেকেই set হয়ে গেছে এবং ভবিষ্যতে সেটাকে চেঞ্জ করাটা সম্ভব না।

তাই, নিজের ব্লগ বা ওয়েবসাইট এর জন্য ডোমেইন সিলেক্ট (select) করার আগেই, কিছু ডোমেইন কেনার নিয়ম আপনার জেনে রাখার দরকার।

একটি ডোমেইন কেনার আগেই যদি এই বিষয় গুলো ধ্যানে রাখা হয়, তাহলে ভবিষ্যতে আপনার ওয়েবসাইটের ক্ষেত্রে লাভজনক হিসেবে প্রমাণিত হবে।

ডোমেইন কেনার আগে কোন বিষয় গুলো দেখতে হয় ?

How to buy a domain name ? (Guide)

আমি জানি, একজন নতুন ব্লগার হিসেবে হয়তো আপনার সম্পূর্ণ জ্ঞান বর্তমানে নেই।

প্রথম অবস্থায় আমারো ছিলোনা।

তবে, বর্তমান সময়ে ব্লগিং নিয়ে আমার ভালো রকমের অভিজ্ঞতা হয়ে দাঁড়িয়েছে।

এবং, আমি চাইনা যে আপনারা বা যারা নতুন করে ব্লগিং করছেন, তাদের থেকে কোনো ভুল হোক।

প্রথম বারের জন্য ডোমেইন রেজিস্টার করার সময়, আমরা প্রত্যেকেই অল্প বিভ্রান্ত (confused) হয়ে থাকি।

কারণ, আমরা চাইনা যে আমাদের থেকে ডোমেইন বাছাই করার সময় কোনো রকমের ভুল হয়ে থাকুক।

তাই, একটি সেরা ডোমেইন এর বাছাই করার প্রক্রিয়াটি আপনার জন্য যাতে সহজ হয়ে দাঁড়ায়, এই ক্ষেত্রে কিছু উপায় বা নিয়ম আমি বলে দিচ্ছি।

আর একটি ডোমেইন নাম কেনার আগে এই বিষয় গুলো ধ্যান দিলে, domain branding এবং SEO র ক্ষেত্রেও আপনার লাভ অবশই হবে।

ডোমেইন নাম সিলেক্ট করার ১১ টি গুরুত্বপূর্ণ নিয়ম

তাহলে চলুন, নিচে এক এক করে জেনেনেই একটি সেরা ডোমেইন সিলেক্ট করার জন্য কোন কোন বিষয়ে নজর ও ধ্যান দিতে হবে।

১. সঠিক Top level domain extension সিলেক্ট করুন 

যখন একটি top level domain এর কথা আসছে, তখন আমাদের কাছে প্রচুর আলাদা আলাদা ডোমেইন extension সিলেক্ট করার অপসন থাকে।

যেমন, .com, .info, .org, .net, .edu ইত্যাদি।

এখন আমাদের মধ্যে অনেকেই হয়তো এই ডোমেইন extension গুলোর বিষয়ে সঠিক ভাবে জানিনা।

মনে রাখবেন, প্রত্যেক domain extension এর কিছু মানে রয়েছে।

যেমন, 

.COM – commercial business এর সাথে জড়িত ওয়েবসাইট এর জন্য।

.ORG – সংগঠন (organisation) এর সাথে জড়িত ওয়েবসাইট গুলোতে ব্যবহার হয়।

.GOV – সরকারি সংস্থার সাথে জড়িত ওয়েবসাইট।

.EDU – শিক্ষার (educational) সাথে জড়িত ওয়েবসাইটে ব্যবহার হয়।

.NET – Network organisation এর সাথে জড়িত ওয়েবসাইট এর ক্ষেত্রে।

.INFO – তথ্যের (information) সাথে জড়িত ব্লগ বা ওয়েবসাইটের ক্ষেত্রে এই extension ব্যবহার করা যেতে পারে।

তাই, ওপরে বলা প্রত্যেক domain extension গুলোর বিষয়ে জানার পর একটি extension সিলেক্ট করতে হয়।

তাহলে কোন ডোমেইন এক্সটেনশন ভালো ?

বর্তমান সময়ে, “.com” সব থেকে জনপ্রিয় একটি “generic top level domain extension (gTLD)“.

তাই, আমি আপনাকে একটি .com extension এর সাথে নিজের ডোমেইন রেজিস্টার করার পরামর্শ দিবো।

তাছাড়া, একজন সাধারণ ব্যক্তি যার প্রযুক্তি এবং ইন্টারনেট নিয়ে তেমন জ্ঞান নেই, সে একটি domain টাইপ করার পর শেষে নিজে নিজেই .com ব্যবহার করবেন।

কারণ, আমি আগেই বলেছি যে “.com” সব থেকে অধিক জনপ্রিয় extension এবং প্রত্যেক ব্যক্তির মনে আগেই এই extension টাইপ করার ভাব এসে পরে।

তবে, যদি আপনার ওয়েবসাইটটিতে technology র সাথে জড়িত বিভিন্ন তথ্য পাবলিশ করা হয়, তাহলে “.info” বা “.NET” এক্সটেনশন অবশই ব্যবহার করতে পারবেন।

যেমন, আমরা আমাদের ব্লগে “.info” ব্যবহার করেছি।

২. Country code top level domain কি ?

ওপরে আমি যেগুলো ডোমেইন এক্সটেনশন এর কথা বলেছি, সেগুলোকে বলা হয় “generic top level domain” (gTLD).

তবে, আমাদের কাছে আরো কিছু domain extension কেনার অপসন অবশই রয়েছে, যেগুলোকে বলা হয় “country code top level domain” (ccTLD).

ccTLD হলো এমন কিছু ডোমেইন এক্সটেনশন যেগুলো, বিভিন্ন দেশ (country) গুলোকে লক্ষ্য (target) করে ব্যবহার করা হয়।

এখন ধরুন, আপনি আপনার ব্লগ বা ওয়েবসাইটে ভারতে (India) বসবাস করা শ্রোতাদের জন্য তথ্য বা আর্টিকেল পাবলিশ করছেন।

মানে, আপনি ভারতের শ্রোতাদের (audience) জন্য কনটেন্ট তৈরি করছেন এবং জানেন যে কেবল ভারত থেকেই আপনার ব্লগে ভিসিটর্স আসবে।

এই ক্ষেত্রে, আপনি একটি “.In” ডোমেইন এক্সটেনশন ব্যবহার করতে পারবেন।

উদাহরণ স্বরূপে,

যদি আমাদের ব্লগের কনটেন্ট কেবল ভারতের শ্রোতাদের টার্গেট করে পাবলিশ করা হতো, তাহলে আমরা ব্যবহার করতে পারতাম, “www.banglatech.in”.

বা, যদি কেবল বাংলাদেশ এর শ্রোতাদের লক্ষ্য করে ব্লগ তৈরি করা হতো তাহলে “www.banglatech.com.bd” ব্যবহার করা যেতো।

যেহেতু, বাংলা ভাষা বিভিন্ন দেশে বলা হয় এবং বিভিন্ন দেশের শ্রোতাদের লক্ষ্য করে আমাদের ব্লগটি তৈরি করা হয়েছে, তাই আমরা একটি ccTLD ব্যবহার করিনাই।

কিছু জনপ্রিয় ccTLD যেমন, 

.IN – ভারতের (India) ক্ষেত্রে।

.COM.BD – বাংলাদেশ (Bangladesh) এর ক্ষেত্রে।

.FR – ফ্রান্স (France) এর ক্ষেত্রে।

.CN – চীন দেশের ক্ষেত্রে।

এবং এই ধরণের ccTDL আরো অনেক রয়েছে যেগুলো বিভিন্ন দেশ গুলোকে লক্ষ্য রেখে ব্যবহার করা হয়।

এখন, যদি আপনারা আমাকে প্রশ্ন করেন পারেন যে,

“এই কান্ট্রি কোড টপ লেভেল ডোমেইন (ccTLD) এক্সটেনশন গুলোর লাভ কি ?”

দেখুন, যদি আপনি একটি বিশেষ দেশ (country) এর শ্রোতাদের লক্ষ্য করে blog বা website তৈরি করছেন, তাহলে আমি এই ধরণের ccTLD extension ব্যবহার করে domain name রেজিস্টার করার পরামর্শ দিবো।

এতে SEO র ক্ষেত্রে আপনার প্রচুর লাভ হবে।

ccTLD extension এক অনেক শক্তিশালী মাধ্যম, যার দ্বারা আপনি Search Engine এবং user দের দেখিয়ে ও বুঝিয়ে দিতে পারবেন যে, আপনার ওয়েবসাইটের কনটেন্ট গুলো একটি বিশেষ দেশ (country) বা অঞ্চল (region) ওপরে লক্ষ্য (target) করে তৈরি করা হয়েছে।

তাই, যখন একটি ওয়েবসাইটের ডোমেইনে ccTLD extension ব্যবহার হয়, তখন গুগল সার্চ এর দ্বারা এটা অনুমান করা হয় যে,

“ওয়েবসাইটটি এবং ওয়েবসাইটের কনটেন্ট গুলো বিশেষভাবে সেই দেশ বা ভৌগোলিক এলাকার ওপরে লক্ষ্য করে তৈরি করা হয়েছে, যেটাকে ccTLD দ্বারা টার্গেট (target) করা হয়েছে। 

ফলে, ccTLD দ্বারা টার্গেট করা দেশ এবং ভৌগোলিক এলাকাতে আপনার ওয়েবসাইটের র্যাংকিং (ranking) অন্যান্য domain extension ব্যবহার করা ওয়েবসাইটের তুলনায় গুগল সার্চে ভালো রাখা হয়।

তাই, domain name রেজিস্টার করার ক্ষেত্রে, একটি country code domain extension ব্যবহার করার পরামর্শ আমি আপনাদের দিবো।

তবে কেবল তখন, যদি আপনার ওয়েবসাইট বা ওয়েবসাইটের কনটেন্ট কেবল একটি মাত্র দেশ বা ভৌগোলিক এলাকায় বসবাস করা শ্রোতাদের লক্ষ্য করে তৈরি করা হয়েছে।

তাই মনে রাখবেন, ডোমেইন কেনার আগেই এটা ঠিক করে নিবেন যে, কোন ডোমেইন এক্সটেনশন আপনার ওয়েবসাইটের জন্য সেরা প্রমাণিত হতে পারে।

৩. Search For Domain Coupon Codes 

একজন নতুন ব্লগার হিসেবে আমাদের কাছে টাকার প্রচুর অভাব থাকে।

এবং, এই ক্ষেত্রে domain এবং hosting এর জন্য টাকা দিতেও আমাদের প্রচুর ভাবতে হয়।

তাই, যখনি একটি ডোমেইন কেনার নির্ণয় নিবেন তখন, ডোমেইন এর সাথে জড়িত কিছু ডিসকাউন্ট এবং কুপন কোড গুলোর বিষয়ে অবশই জেনেনিবেন।

গুগল সার্চে “domain discount offer” বা “domain coupon” বলে লিখুন এবং সার্চ করুন।

বর্তমান সময়ের কিছু সেরা domain offer বা discount আপনাদের দেখানো হবে।

এমনিতে, Godaddy.com এবং namecheap.com এই দুটো ডোমেইন রেজিস্টার করার ওয়েবসাইটে আপনাদের ভালো পরিমানের ডিসকাউন্ট দেওয়া হবে।

তাছাড়া আপনারা কিছু সেরা কুপন ওয়েবসাইট গুলোতে গিয়েও godaddy এবং namecheap এর ক্ষেত্রে বিভিন্ন কুপন পেয়ে যাবেন।

মনে রাখবেন, প্রথম বারের জন্য কুপন ব্যবহার করে কটি .com বা অন্যান্য টপ লেভেল ডোমেইন রেজিস্টার করলে, আপনারা ৬০% থেকে ৭০% টাকা বাঁচিয়ে নিতে পারবেন।

তাই, ডোমেইন নাম রেজিস্টার করার আগে “discount code” গুলোর বিষয়ে অবশই জেনেনিবেন।

৪. Use keywords in domain

একটি ডোমেইন নামে লক্ষ্যবস্তু কীওয়ার্ড এর ব্যবহার অনেক জরুরি।

এতে গুগল সার্চ ইঞ্জিন বা যেকোনো অন্যান্য সার্চ ইঞ্জিন অনেক সহজেই আপনার ওয়েবসাইটের বিষয়ে বুঝতে পারে।

যেমন, আমি আমার ব্লগের domain name এ দুটো কীওয়ার্ড ব্যবহার করেছি “bangla” এবং “tech” = “banglatech“.

এতে, গুগল অনেক সহজেই বুঝতে পারবে যে, আমার ব্লগটি বাংলা ভাষা এবং প্রযুক্তির (technology) সাথে জড়িত।

নিজের ওয়েবসাইটের ডোমেইন নেমে “keyword” এর ব্যবহার করাটা, অন পেজ এসইও র এক অনেক গুরুত্বপূর্ণ অংশ বলেও বলা যেতে পারে।

এবং তাই, ব্লগে ভালো কোয়ালিটির কনটেন্ট লেখার সাথে সাথে ভালো ইউসার এক্সপেরিয়েন্স থাকলে তার সাথে ব্লগের ডোমেইনে যদি সঠিক কীওয়ার্ড ব্যবহার করা হয়, তাহলে গুগল থেকে অধিক ভিসিটর্স পাওয়ার সুযোগ থাকে।

তবে, অনেক নতুন ব্লগাররা এই বিষয়ে জানেননা এবং অন পেজ এসইও র এই লাভ তারা নিতে পারেননা।

৫. Keep domain name short 

ওপরে যদিও আমি বলেছি যে ডোমেইনে কীওয়ার্ড (keyword) এর ব্যবহার জরুরি, তবে ধ্যান দিবেন যাতে ডোমেইন নামটি অধিক লম্বা না হয়।

এতে, ভিসিটর্সরা যখন আপনার ওয়েবসাইটে ভিসিট করবেন তখন সহজেই আপনার ওয়েবসাইটের নামটি দেখে মনে রাখতে পারবেন।

ফলে, ভবিষ্যতে ভিসিটর্সরা ব্লগে ভিসিট করার ক্ষেত্রে সোজা ওয়েবসাইটের নাম টাইপ করেই চলে আসতে পারবেন।

এতে, আপনার ওয়েবসাইটের direct traffic বাড়বে এবং গুগলের কাছে ওয়েবসাইটির অধিক জনপ্রিয় হওয়ার সংকেত যাবে।

তাছাড়া, যখন ওয়েবসাইটে ছোট ডোমেইন নাম ব্যবহার করা হয়, তখন ওয়েবসাইটের ভালো ব্র্যান্ডিং (branding) তৈরি হওয়ার সুযোগ থাকে।

কারণ, এতে গুগল সার্চ থেকে ট্রাফিক বা ভিসিটর্স আসার সাথে সাথে সোজা আপনার ডোমেইন এর মাধ্যমেও ভিসিটর্স আসবে।

আর তাই, ওয়েবসাইটের ডোমেইন নামটি হয়ে দাঁড়ায় তার পরিচয় ও ব্র্যান্ড।

মনে রাখবেন, যত বেশি লম্বা আপনার ওয়েবসাইটের ডোমেইন হবে, ততটাই কষ্ট হবে সেটাকে মনে রাখা।

এই ক্ষেত্রে, ওয়েবসাইটটিকে একটি ব্র্যান্ড হিসেবে তৈরি করাটা অনেক সমস্যার বিষয় হয়ে দাঁড়াবে।

তাই, নিজের ব্লগ ও ওয়েবসাইটের ডোমেইন নামটি সব সময় ছোট রাখবেন।

৬. Use simple words in domain

ওপরে আমি বলেছি যে, ওয়েবসাইটের ডোমেইন সব সময় ছোট রাখতে হয়।

ঠিক সেভাবেই, ডোমেইন নামে সহজ এবং সরল শব্দের ব্যবহার জরুরি।

কারণ, যখন আপনি ডোমেইনে সাধারণ এবং সহজেই বুঝতে পারা শব্দের ব্যবহার করবেন, তখন ওয়েবসাইটের ভিসিটর্সরা সহজেই আপনার ডোমেইন মনে রাখতে পারবেন।

এতে, ভবিষ্যতে ওয়েবসাইটের direct traffic বৃদ্ধি পাবে এবং ওয়েবসাইটের ব্র্যান্ডিং (branding) তৈরির ক্ষেত্রে লাভজনক প্রক্রিয়া হিসেবে প্রমাণিত হবে।

মনে রাখবেন, ডোমেইন এর নামটি যত সুবিধাজনক ভাবে উচ্চারণ করা যাবে, ততটাই অধিক লোকেদের জন্য সেটাকে মনে রাখাটা সহজ হয়ে দাঁড়াবে।

তাই, যদি আপনি নিজের ওয়েবসাইট এর ডোমেইন টিকে ভবিষ্যতে একটি ব্র্যান্ড হিসেবে জনপ্রিয় করতে চান, তাহলে এই পয়েন্ট অবশই মনে রাখবেন।

৭. Don’t use hyphen (-) in domain  

অনেক নতুন ব্লগার রয়েছেন যারা নিজের ডোমেইন নামে হাইফেন (-) ব্যবহার করেন।

মনে রাখবেন, ডোমেইনে হাইফেন (-) ব্যবহার করলে সেটা গুগলের নজরে একটি spam domain হিসেবে প্রকাশ পেতে পারে।

আর, গুগল কোনো সময় একটি spam domain তার সার্চ রেজাল্ট পেজে দেখায়না আর দেখালেও সেটা অনেক কম।

তাছাড়া, হাইফেন থাকা ডোমেইন গুলো লোকেদের বিভ্রান্ত (confused) করেন।

এতে, ইউসার এর দ্বারা ভুল ডোমেইন টাইপ করার সম্ভাবনা বেড়ে যায়।

আর যার ফলে, আপনার ওয়েবসাইটের direct traffic অনেক কমে যাবে এবং branding এর ক্ষেত্রে খারাপ প্রভাব পরে।

তাই, ডোমেইন রেজিস্টার করার আগে এই বিষয়ে ধ্যান রাখবেন এবং কখনোই কোনো ধরণের হাইফেন বা অন্য special character ব্যবহার করবেননা।

৮. Unique & brandable domain  

দেখুন, অনেক নতুন ব্লগাররা একটি ডোমেইন রেজিস্টার করার সময় এক বিশেষ ভুল করেন।

তারা, নিজের ওয়েবসাইটের নাম অন্য একটি জনপ্রিয় ওয়েবসাইটের নামের মতো রাখার চেষ্টা করেন।

যেমন, যদি আমার ব্লগের নাম “www.banglatech.info” তাহলে অনেকেই হয়তো “www.banglatech.org“, “www.banglatech.net“, “www.banglatetech.com” বা এরকম কিছু একি ধরণের ডোমেইন রেজিস্টার করার কথা ভাবেন।

মনে রাখবেন, এই ধরণে অন্য একটি জনপ্রিয় ওয়েবসাইটের ডোমেইন এর সাথে মেল থাকা ডোমেইন যদি আপনি নিজের ওয়েবসাইটের জন্য সিলেক্ট করছেন, তাহলে এতে আপনার কোনো লাভ হবেনা।

তবে হে, এই ধরণের ডমেইন এর ফলে ওয়েবসাইটের ক্ষতি প্রচুর হবে।

কারণ, আপনি যেই ডোমেইন নাম সিলেক্ট করছেন, সেটার সাথে মেল থাকা অন্য একটি ডোমেইন আগের থেকেই রয়েছে।

এবং, যদি সেই ডোমেইনটি একটি ভালো ব্র্যান্ড হিসেবে লোকেদের মধ্যে জনপ্রিয় হয়ে রয়েছে, তাহলে সেই ডোমেইন এর সাথে মেল থাকা আপনার ডোমেইন নামটি একটি ব্র্যান্ড হিসেবে জনপ্রিয় হওয়ার সুযোগ অনেক কম থাকবে।

এতে ভিসিটর্স রা বিভ্রান্ত (confused) হয়ে যাবেন এবং আগের থেকে জনপ্রিয় ডোমেইনটিকেই বেছে নেওয়ার প্রচুর সুযোগ থাকবে।

তাই, যখন নিজের ব্লগ বা ওয়েবসাইটের জন্য একটি ডোমেইন রেজিস্টার করার কথা আসছে, তখন ধ্যান রাখবেন যাতে আপনার ডোমেইন সম্পূর্ণ ইউনিক (unique) থাকে।

আপনি যেই ডোমেইনটি সিলেক্ট করছেন, সেটা যাতে একটি অন্য ডোমেইন এক্সটেনশন এর সাথে রেজিস্টার করা না থাকে।

ইউনিক ডোমেইন নামের মাধ্যমে লোকেরা আপনার ওয়েবসাইট সহজেই মনে রাখতে পারবেন এবং অন্য জনপ্রিয় ওয়েবসাইটের সাথে কোনো ধরণের confusion সৃষ্টি হবেনা।

এতে, ওয়েবসাইটটির সহজেই লোকেদের মধ্যে জনপ্রিয় হওয়ার সুযোগ থাকার সাথে সাথে ব্র্যান্ডিং এর ক্ষেত্রেও লাভ অবশই হবে।

৯. Select the best domain registrar

Domain Registrar, মানে কোন কোম্পানির থেকে ডোমেইন কেনার কথা ভাবছেন।

দেখুন, আমরা প্রত্যেকেই ওয়েবসাইট বা ব্লগ এর সফলতার পরিকল্পনা করেই একটি ডোমেইন রেজিস্টার করি।

একটি ওয়েবসাইটের জন্য তার ডোমেইন মুখ্য একটি ভাগ।

কারণ এই ডোমেইন ওয়েবসাইটের সার্ভার এর সাথে আমাদের সংযোগ করে।

তাছাড়া, ওয়েবসাইটের SEO, branding এবং ইনকাম এর মাধ্যম গুলো, প্রত্যেকেই ডোমেইন এর ওপর নির্ভর করেই কাজ করে।

এই ক্ষেত্রে, ভবিষ্যতে যদি ডোমেইন নিয়ে আমাদের কোনো ধরণের সমস্যা হয়ে থাকে, তাহলে আপনার সম্পূর্ণ blog বা website চির কালের জন্য নষ্ট হয়ে যাবে।

তাই, যখন ওয়েবসাইট এর জন্য একটি ডোমেইন রেজিস্টার করবেন তখন সেটা একটি বিস্বাসী এবং জনপ্রিয় domain registrar থেকেই করবেন।

এতে, ডোমেইন নিয়ে আপনার কোনো ধরণের চিন্তা থাকবেনা এবং সেই ক্ষেত্রে আপনি সুরক্ষিত থাকবেন।

তাই, কখনোই একটি লোকাল বা নতুন domain registrar থেকে domain কিনবেননা।

কিছু জনপ্রিয় ও বিশ্বস্ত ডোমেইন রেজিস্টার যেমন,

  • godaddy.com
  • namecheap.com
  • cloudflare.com
  • name.com

এই ডোমেইন রেজিস্ট্রার গুলো সুরক্ষিত এবং অনেক বিস্বাসী।

তাছাড়া, ওপরে বলা কোম্পানি গুলোতে আপনারা প্রথম বারের জন্য অনেক কম দামেই ডোমেইন কিনে নিতে পারবেন।

তবে হে, প্রত্যেক registrar গুলোর domain renewal charges আলাদা আলাদা।

কিন্তু, www.cloudflare.com সব থেকে কম domain renewal charges নেয়।

আবার, www.namecheap.com থেকে ডোমেইন কিনলে ফ্রীতেই privacy protection এর লাভ পাবেন।

এভাবেই, প্রত্যেক আলাদা আলাদা domain registrar company গুলোর আলাদা আলাদা লাভ রয়েছে।

 

আমাদের শেষ কথা,

তাহলে বন্ধুরা, আজকে আমরা জানলাম “একটি ডোমেইন কেনার আগে কোন কোন বিষয়ে আমাদের ধ্যান দেওয়া দরকার”.

একজন ব্লগার হিসেবে আপনার জন্য প্রথমেই এই বিষয়ে জেনে রাখাটা জরুরি।

কারণ, বর্তমান সময়ে একটি ব্লগ তৈরি করা মানে এক ধরণের অনলাইন ব্যবসার চালানো।

এবং, আমি বা আপনি কেও চাইবোনা যে ভবিষ্যতে গিয়ে আমাদের ব্লগে কোনো সমস্যা হোক।

আর মনে রাখবেন, একবার ওয়েবসাইটের ডোমেইন কিনে তাকে সেটআপ করে নেওয়ার পর ভবিষ্যতে ডোমেইন নামটি পরবর্তন করার সুযোগ থাকেনা।

তবে, করতে পারলেও সেটা আর লাভজনক হয়ে দাড়ায়না।

তাই আমার পরামর্শ এটাই থাকবে যে, ডোমেইন কেনার সময় ওপরে বলা বিষয় গুলো নিয়ে ধ্যান অবশই দিবেন।

কারণ, “এটা আপনার ওয়েবসাইটের ভবিষ্যৎ নিয়ে কথা”.

Leave a Comment

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Scroll to Top