গুগল অ্যালগরিদম কি ? জরুরি গুগল র্যাংকিং এলগরিদম গুলি

Last updated on July 27th, 2020 at 02:48 pm

যদি আপনি একজন ব্লগার, তাহলে গুগল সার্চ ইঞ্জিন থেকে আপনার ব্লগে ট্রাফিক ও ভিসিটর্স অবশই আসছে।

গুগল এলগরিদম আপডেট
Google algorithm updates in Bengali.

এই ক্ষেত্রে, “গুগল অ্যালগরিদম কি” এবং “জরুরি গুগল এলগরিদম আপডেট” গুলির বিষয়ে আপনার জেনে রাখাটা অনেক বেশি জরুরি।

কারণ, এই এলগরিদম গুলির মাধ্যমে গুগল যেকোনো ওয়েবসাইট কতটা ভালো এবং তাকে সার্চ ইঞ্জিন রেজাল্ট পেজে কতটা ভালো জায়গায় রাখতে হবে, সেটা নির্ধারিত করে।

তাই, এগুলিকে google ranking algorithm বলেও বলা হয়।

তবে প্রায় প্রত্যেকদিন, গুগল তার র্যাংকিং এলগরিদম গুলিতে কিছু পরিবর্তন অবশই করে থাকে।

এমনিতে এর ফলে, বেশিরভাগ ক্ষেত্রে, website গুলির google ranking এ তেমন কোনো প্রভাব পড়েনা।

কিন্তু, প্রত্যেক বছর গুগল দ্বারা ২ থেকে ৩ টি এমন কিছু “কোর এলগরিদম আপডেট (core algorithm updates)” করা হয়, যেগুলি অনেক বড় সংখ্যার ওয়েবসাইটের সার্চ র্যাংকিং (ranking) এ প্রভাব ফেলতে পারে।

এই কোর এলগরিদম উপডেটের ফলে, প্রচুর ওয়েবসাইটের গুগল সার্চ থেকে আশা ট্রাফিক ভয়ঙ্কর ভাবে কমে যায়।

তবে, কিছু সংখ্যক ওয়েবসাইটের সার্চ ইঞ্জিন ট্রাফিক অধিক বেড়ে যাওয়ার সম্ভাবনাও থাকে।

এমনিতে, যদি আপনার ব্লগ বা ওয়েবসাইটের গুগল সার্চ ট্রাফিক হঠাৎ কমে এসেছে, তাহলে এর কারণ “Google algorithm updates” অবশই হতে পারে।

মনে রাখবেন, কোর গুগল আপডেট এর প্রভাবের ফলে কমে আশা গুগল সার্চ ট্রাফিক, আবার ঘুরিয়ে পাওয়াটা কিন্তু সহজ কাজ নয়।

এবং এতে অনেক সময় লেগে যেতে পারে।

তাছাড়া কিছু ক্ষেত্রে, সম্পূর্ণ ওয়েবসাইট গুগল সার্চ এর থেকে সরিয়ে দেওয়াটাও কিন্তু দেখা গেছে।

তাই, নিজের ওয়েবসাইটে যদি চির কাল গুগল থেকে অর্গানিক সার্চ ট্রাফিক (organic search traffic) পেতে থাকতে চান এবং গুগলের পেনাল্টি থেকে নিজের ব্লগ ও ওয়েবসাইটকে বাঁচিয়ে রাখতে চান, তাহলে এই “Google ranking algorithm” গুলির বিষয়ে আপনার জেনে রাখতে হবে।

তাছাড়া, এই গুগল এলগরিদম গুলির হিসেবেই কিন্তু আপনার ওয়েবসাইটটিতে কনটেন্ট ও SEO থাকতে হবে।

গুগল অ্যালগরিদম কি ?

Google algorithm হলো এমন এক জটিল সিস্টেম, যার দ্বারা গুগল যেকোনো ওয়েবসাইটের কোয়ালিটির (quality) বিষয়ে জেনে নিতে পারে।

এছাড়া, সার্চ ইঞ্জিনে কোন keywords বা search queries এর জন্য কোন কোন ওয়েবসাইট র্যাংক (rank) করানো হবে, সেটাও এর দাড়াই নির্ধারিত করা হয়।

একটি ওয়েবসাইট গুগল সার্চ ইঞ্জিন রেজাল্ট পেজের (SERP), কোন স্থানে (1st, 2nd, 3rd………..last) রাখা হবে, সেটাও এই “ranking algorithm” এর দ্বারা বেছে নেওয়া হয়।

যদি আরো সহজ এবং সরল ভাবে বলা যায় তাহলে,

গুগলের অ্যালগরিদম মানে হলো এমন একটি সিস্টেম, যার মাধ্যমে হাজার লক্ষ ওয়েবসাইটের মধ্যে সেরা ওয়েবসাইট গুলিকে খুঁজে বেড় করা হয় এবং গুগল সার্চের সেরা প্রথম পেজে র্যাংক (rank) করা হয়।

তবে, র্যাংকিং অ্যালগরিদম গুলির ব্যবহার করে, গুগল যেকোনো ওয়েবসাইটের “SEO structure“, “on-page এবং off-page SEO র quality”, “backlink profile” তাছাড়া “content quality” সবটার ওপরেই নজর রাখে।

এবং, গুগলের এই বিষয়ে নজর রাখার উদ্দেশ্য একটাই।

সেটা হলো, সার্চ রেজাল্ট পেজে কেবল high quality relevant content দেখানো।

এভাবে গুগল, low quality content এবং কেবল SEO র মাধ্যমে তার সার্চ ইঞ্জিনের প্রথম পাতায় র্যাংক করা ওয়েবসাইট গুলির র্যাংকিং (ranking) নিম্নতরে নিয়ে আসে।

যার বিপরীতে, high quality এবং value থাকা relevant content গুলির র্যাংকিং (ranking) সার্চ রেজাল্ট পেজে (SERP) ভালো করে দেওয়া হয়।

Google algorithm update এর মাধ্যমে, ইউসার এর সার্চ করা প্রশ্ন, কোয়েরি বা কীওয়ার্ড (search term) এর সাথে সংযুক্ত, সব থেকে প্রাসঙ্গিক (relevant) উত্তর বা সমাধান খুঁজে বের করা হয়।

এবং, এই algorithm system এর এটাই মূল কাজ।

তাহলে আশা করছি, গুগল অ্যালগরিদম কাকে বলে, বিষয়টা আপনারা বুঝতে পেরেছেন।

অ্যালগরিদম আপডেট কেনো করা হয় ?

যা আমি আগেই বললাম, গুগলের র্যাংকিং অ্যালগরিদম আপডেট এর উদ্দেশ্য একটাই।

সেটা হলো, “ইউসার এর সার্চ করা প্রশ্ন, কীওয়ার্ড বা সার্চ টার্ম এর বিপরীতে সব থেকে হাই কোয়ালিটি ও প্রাসঙ্গিক (relevant) কনটেন্ট গুলি সার্চ রেজাল্টে দেখানো “.

এবং তাই, যেই ওয়েবসাইটে “low quality content” প্রদান করা হয় এবং কেবল কিছু অপ্রয়োজনীয় “SEO optimization technique” ব্যবহার করে ওয়েবসাইটি গুগল সার্চে র্যাংক করানো হয়, তেমন ওয়েবসাইট গুলিকে গুগল এই অ্যালগরিদম আপডেট এর মাধ্যমে খুঁজে বেড় করে আর তাদের পেনালাইজ (penalize) করে দেয়।

ফলে, লো কোয়ালিটি কনটেন্ট থাকা ওয়েবসাইট গুলি তাদের গুগল সার্চ র্যাংকিং হারিয়ে ফেলে।

আর তারপর, গুগল সার্চ ইঞ্জিন থেকে ট্রাফিক বা ভিসিটর্স পাওয়ার সম্ভাবনা আর থাকছেনা।

তাই, চিরকাল গুগল সার্চ থেকে ট্রাফিক ও ভিসিটর্স পাওয়ার জন্য নিজের ব্লগের আর্টিকেল ও কনটেন্ট গুলি ভালো করে লিখতে হবে যাতে সেগুলি পড়ে লোকেরা লাভ ও রুচি পান।

তবে, যদি আপনি র্যাংকিং পাওয়ার জন্য, অপ্রয়োজনীয় black-hat SEO techniques ব্যবহার করছেন, অন্যের লিখা কনটেন্ট চুরি করে নিজের ব্লগে লিখছেন, লোকেদের কাজে না আশা আর্টিকেল লিখছেন বা অবৈধ ভাবে ওয়েবসাইটে backlink তৈরি করছেন, তাহলে গুগল তার এলগরিদম আপডেট এর মাধ্যমে সেটা ধরেই নিবে।

ফলে, এক না এক দিন আপনার website penalize অবশই হবে।

গুরুত্বপূর্ণ গুগল কোর অ্যালগরিদম আপডেট গুলি কি কি ?

প্রথম অবস্থায়, গুগল তার algorithms গুলিতে অনেক পরিমানের updates করতো।

তবে, এখনের সময়ে আপনারা দেখবেন যে প্রত্যেক বছর প্রায় হাজার রকমের updates গুগল তার algorithms গুলিতে করছে।

এমনিতে, বেশিরভাগ আপডেট গুলির বিষয়ে আমরা বুঝতেই পারিনা।

কারণ, সেগুলিতে তেমন বিশেষ প্রভাব আমাদের ওয়েবসাইটে পড়েনা।

কিন্তু প্রত্যেক বছর, কিছু বিশেষ সময়ে Google search engine দ্বারা এমন কিছু major core algorithm updates করা হয় যেগুলি ফলে, SERP এ সাংঘাতিক বড় ভাবে প্রভাব দেখা যায়।

এক্ষেত্রে, এই major SEO updates গুলির ব্যাপারে জেনে রাখাটা একজন ব্লগার এর জন্য অনেক জরুরি।

তাহলে চলুন Google এর এরকম কিছু major core updates এর বিষয়ে জেনেনেই।

All google major core update names

  • Panda : February 24, 2011
  • Penguin : April 24, 2012
  • Hummingbird : August 22, 2013
  • Pigeon : July 24, 2014 (US); December 22, 2014 (UK, Canada, Australia).
  • Mobilegeddon : April 21, 2015
  • RankBrain : October 26, 2015
  • Fred : March 8, 2017
  • Payday Load Update : June 11th, 2013 
  • The EMD Update : September 2012
  • Page layout : January 19, 2012

তাহলে বন্ধুরা, ওপরে বলা গুগলের আপডেট গুলি সময়ে সময়ে হওয়া কিছু বড় রকমের algorithm updates যেগুলির ফলে SERP এ অনেক প্রভাব পড়েছে।

Google major updates described in Bengali

চলুন, এই google search core updates গুলির বিষয়ে অল্প ভালো করে জেনেনেই।

১. Panda 

ওয়েবসাইটে, কনটেন্ট নকল করে (Duplicate) বা চুরি করে ব্যবহার করা।

Thin content (যেগুলি কন্টেন্টে কোনো value প্রদান করা হয়না), keyword stuffing (প্রয়োজন থেকে অধিক targeted keyword ব্যবহার করা), কনটেন্ট স্প্যাম (spam), এই ধরণের কনটেন্ট গুলিকে এই পান্ডা কোর আপডেট এর মাধ্যমে ধরা হয়।

তাছাড়া, যদি নিজের ওয়েবসাইটে কনটেন্ট এর তুলনায় অধিক বিজ্ঞাপন (ads) এবং affiliate links ব্যবহার করা হয়, তাহলেও গুগল পান্ডার দ্বারা আপনার ওয়েবসাইটকে দণ্ডিত করা হবে।

আসলে, এই গুগল আপডেট এর মাধ্যমে low quality web page গুলির ranking ডাউন দিয়ে high quality ওয়েব পেজ গুলির ranking ভালো করা হয়।

২. Penguin 

ওয়েবসাইটে যদি স্প্যামবিশিষ্ট (spammy) বা অপ্রাসঙ্গিক (irrelevant) ব্যাকলিংক (backlinks) সংযুক্ত থাকে, তাহলে এই আপডেট এর মাধ্যমে সেগুলি ধরা হয়। 

তারপর, সেই ওয়েবসাইট গুলির Google search ranking নামিয়ে দেওয়া হয়।

৩. Hummingbird

এই গুগল এলগরিদম আপডেট এর মাধ্যমে, Keyword stuffing থাকা low-quality content গুলিকে খুঁজে বেড় করা হয়।

এখানে বিশেষ করে, user এর search করা বিষয়টি বোঝার চেষ্টা করা হয় এবং semantic indexing, co-occurring terms এবং synonyms এর মাধ্যমে পেজ গুলি র্যাংক করা হয়।

User এর সার্চ করা exact keyword টি যদিও কন্টেন্টে না থাকে তাও একটি আর্টিকেল সেই keyword এর জন্য গুগলে র্যাংক করতে পারবে।

কারণ, hummingbird এর মাধ্যমে, গুগল সার্চ এর উদ্দেশ্য (intent) বোঝার চেষ্টা করা হয়।

এবং, ইউসার এর প্রয়োজন অনুসারী উত্তর গুলি বা রেজাল্ট গুলি দেখানো হয়।

এই ক্ষেত্রে, আর্টিকেলে targeted keywords ব্যবহার করার সাথে সাথে, মূল কীওয়ার্ড এর সাথে জড়িত অন্যান্য শব্দার্থিক কীওয়ার্ড ( semantic keywords ) বা LSI keywords ব্যবহার করাটাও অনেক জরুরি। 

৪. Pigeon

Pigeon হলো গুগলের এক অনেক গুরুত্বপূর্ণ local search algorithm update.

এই উপডেট এর উদ্দেশ্য ছিল search result এ local search listing এর ranking বৃদ্ধি করা।

৫. Mobilegeddon

এই গুগল উপডেট এর ক্ষেত্রে, একটি ওয়েবসাইট কতটা mobile-friendly সেটা দেখে ওয়েবসাইট গুলিকে সার্চ রেজাল্টে র্যাংক (rank) করা হয়েছে।

যেগুলি ওয়েবসাইট mobile-friendly সেগুলির র্যাংকিং SERP এ ভালো করে দেওয়া হবে।

তার বিপরীতে, যেগুলি ওয়েবসাইট mobile-friendly না, সেগুলির র্যাংকিং (ranking) অনেক নিচে পড়ে যাবে।

তাই, এই algorithm update থেকে বেঁচে থাকার জন্যে, আপনার ওয়েবসাইটের প্রত্যেকটি পেজ মোবাইল ফ্রেন্ডলি হতেই হবে।

এই ক্ষেত্রে আপনারা “Google mobile friendly test” করে অবশই জেনে নিতে পারবেন।

৬. RankBrain 

RankBarain হলো Google hummingbird update এর একটি ভাগ।

এটা হলো এক ধরণের machine learning system, যেটা গুগল কে সাহায্য করে ইউসার এর সার্চ করা search term টিকে বুঝতে।

এর ফলে গুগল, সার্চ করা বিষয়টির বেপারে সঠিক ভাবে বুঝে নিয়ে তার হিসেবে থাকা অধিক প্রাসঙ্গিক (relevant) সমাধান বা রেজাল্ট গুলিকে উত্তর হিসেবে দেখিয়ে দেয়।

গুগলের হিসেবে, RankBrain হলো তৃতীয় সবচেয়ে জরুরি র্যাংকিং ফ্যাক্টর (ranking factor).

৭. Fred

যেগুলি ওয়েবসাইট গুগল এর webmaster guideline গুলিকে না মেনে তৈরি করা হয়েছে, সেই ধরণের ওয়েবসাইট এর ক্ষেত্রে এই “Fred update” আনা হয়েছে।

এই আপডেট এর মাধ্যমে, এমন প্রচুর লো কোয়ালিটি ব্লগ (blog) গুলিকে টার্গেট করা হয়, যেগুলি বিশেষ করে thin content তৈরি করে, মূলত বিজ্ঞাপন বা এফিলিয়েট মার্কেটিং এর মাধ্যমে কেবল টাকা আয়ের উদেশ্যে রাখেন।

৮. Payday loan update 

এই আপডেট এ ওয়েবসাইটের content বা backlink গুলিকে টার্গেট করা হয়নি।

তবে, কিছু spam ও illegal SEO-techniques ব্যবহার করা ওয়েবসাইট গুলিকে এই update এর মাধ্যমে খোজ হয়েছে।

৯. EMD update 

এক সময়, ওয়েবসাইটে টার্গেট করা keyword গুলি ওয়েবসাইটের domain name এ ব্যবহার করাটাও কিন্তু একটি SEO প্রক্রিয়া ছিল।

এই প্রক্রিয়াকে বলা হয় “exact matched domain” বা “EMD“.

তবে SEO র এই প্রক্রিয়া এখনো অনেকেই ব্যবহার করেন।

কিন্তু, এমন অনেক ওয়েবসাইট রয়েছে যেগুলির content quality একেবারেই ভালোনা তবে এই EMD SEO technique ব্যবহার করে গুগল সার্চে এখনো র্যাংক (rank) করছেন।

এই ক্ষেত্রে, এই EMD update এর মাধ্যমে, ওয়েবসাইটের ডোমেইন নামে টার্গেটেড কীওয়ার্ড ব্যবহার করে low quality thin content এর মাধ্যমে গুগল সার্চে র্যাংক করা ওয়েবসাইট গুলিকে খুঁজে সেগুলির র্যাংকিং নিচে নামিয়ে দেওয়া হয়।

তবে, কনটেন্ট কোয়ালিটি ভালো থাকলে এই EMD update থেকে কোনো ভয় অবশই নেই।

১০. Page layout

যেগুলি ওয়েবসাইটের ওপরের ভাগে যাকে বলা হয় “above the fold section”, অধিক পরিমানে বিজ্ঞাপন দেখানো হয়, সেই ওয়েবসাইট গুলি এই “page layout update” এর দ্বারা প্রভাবিত হয়েছে।

তাই, এই google update থেকে নিজের ওয়েবসাইট গুলিকে বাঁচিয়ে রাখার জন্য, ওয়েবসাইটের ওপরের ভাগে (above the fold section), অধিক বিজ্ঞাপন ব্যবহার না করাটাই ভালো হবে।

তাহলে বন্ধুরা, ওপরে আমি আপনাদের জরুরি এবং সবথেকে গুরুত্বপূর্ণ গুগল কোর আপডেট গুলির বেপারে বললাম।

যদি গুগল, ওপরে বলা আপডেট গুলি আবার আরম্ভ করে এবং আপনার ওয়েবসাইটে update গুলির সাথে জড়িত কিছু অপূর্ণতা (drawbacks) পাওয়া যায় বা গুগল আপনার ওয়েবসাইটের কনটেন্ট গুলিকে যদি low quality র বলে মনে করে, তাহলে আপনার ওয়েবসাইটিও কিন্তু google দ্বারা penalize হওয়ার সুযোগ থাকবে।

গুগল ​পেনাল্টি মানে কি ?

Google penalty হলো, যেকোনো ওয়েবসাইটের ক্ষেত্রে গুগল সার্চ র্যাংকিং এর এক নেগেটিভ ফলাফল (negative result) যেটা Google এর search algorithms বা manual review এর ওপর নির্ভর।

Google এর algorithm update এর সময় যদি, আপনার ওয়েবসাইটে কোনো ধরণের অপূর্ণতা (drawback) বা নিয়মের ভঙ্গ হওয়া দেখা যায়, তাহলে আপনার ওয়েবসাইটটিকে google থেকে penalty দেওয়া হয়।

এমনিতে গুগল, তার algorithm গুলির ওপরে ভিক্তি করেই ওয়েবসাইট গুলির ওপরে নজর রাখে।

এবং, যদি কোনো ওয়েবসাইটে google webmaster guidelines এর বিপরীত কার্যকলাপ করা বা কনটেন্ট পাওয়া যায়, তাহলে আপনার ওয়েবসাইট গুগলের দ্বারা penalize করা হবে।

যদি কোনো ওয়েবসাইট গুগল দ্বারা penalize করা হয়, তাহলে সেই ওয়েবসাইটের search engine ranking ড্রপ (drop) হয়ে যাবে।

এই ranking drop, সম্পূর্ণ ওয়েবসাইট, কোনো বিশেষ একটি keyword বা যেকোনো একটি বিশেষ page এর সাথে সংশ্লিষ্ট (related) থাকতে পারে।

আর, ওয়েবসাইটের সার্চ ইঞ্জিন র্যাংকিং ড্রপ হওয়া মানেই, ওয়েবসাইটের ট্রাফিক প্রচুর পরিমানে কমে যাওয়া।

গুগল ​পেনাল্টি মানে কি (What is google penalty in Bengali) ? এই বিষয়ে সম্পূর্ণটা বুঝলেন বলেই আশা করছি।

কি কি কারণে গুগল আপনাকে পেনাল্টি দিতে পারে ?

এমনিতে, যদি আপনারা Google webmaster guideline গুলি follow না করে কাজ করছেন, তাহলে অবশই আপনার ওয়েবসাইট পেনালাইজ হতে পারে।

আর গুগলের এই প্রত্যেক algorithm গুলি এই কারণেই আনা হয়েছে, যাতে webmaster guideline না মেনে কাজ করা ওয়েবসাইট গুলিকে খুঁজে সেগুলিকে penalize করা যেতে পারে।

তাই, Google penalty র থেকে ওয়েবসাইটকে বাঁচিয়ে রাখার জন্য, এই google core algorithm update গুলির থেকে বাঁচতে হবে।

তবে, এর জন্যে আপনার নিচে দেওয়া নিয়ম গুলি মানতে হবে এবং সেভাবেই কাজ করতে হবে।

  1. Thin content, যেগুলিতে কোনো রকমের value থাকেনা, সেগুলি গুগল পছন্দ করেনা। এই ধরণের thin content গুলি বেশিরভাগ ক্ষেত্রে কোনো মতে ৩০০ থেকে ৫০০ শব্দের ভেতরে লেখা হয়। তাই, কমেও ১০০০ থেকে ১৫০০ শব্দের ভেতরে detailed article লিখুন যেগুলি ইউসার এর কাজে আসবে।
  2. অন্য যেকোনো ব্লগ বা ওয়েবসাইট থেকে কনটেন্ট কপি বা চুরি করে নিজের ব্লগে লিখবেননা। এতে duplicate content এর বিষয়টি চলে আসবে এবং গুগল অনেক সহজেই আপনার কপি করা কনটেন্ট এর ব্যাপারে বুঝে যাবে আর ফলে আপনার website কে penalize করা হবে।
  3.  Article spinning করবেননা। অনেক সময়, duplicate content এর ঝামেলার থেকে বাঁচার জন্য, অনেক ব্লগার অন্যদের আর্টিকেল চুরি করে সেগুলি কিছু পরিমানে চেঞ্জ (change) করে তারপর নিজের ব্লগে পাবলিশ করেন। মনে রাখবেন, এটা ২০২০ এবং এখনের সময়ে গুগল আপনার এই আপত্তিজনক কার্যকলাপ অনেক সহজেই ধরে ফেলবে।
  4. Google traffic বৃদ্ধি করার জন্য, অবৈধ ভাবে backlink তৈরি করতে পারবেননা। তাছাড়া, backlink কেনাটাও কিন্তু গুগলের নজরে অবশই এসে পরে। তাই, কেবল স্বাভাবিক ভাবে “guest post”, “web 2.0” এবং “directory submission” এর মাধ্যমে backlink তৈরি করুন।
  5. Low quality website বা blog থেকে backlink গ্রহণ করবেননা।
  6. নিজের ব্লগে আর্টিকেল লিখার সময় “over keyword optimization” বা “keyword stuffing” করবেননা। এতে, প্রথম অবস্থায় ট্রাফিক পেলেও কিছু দিন পরেই সার্চ ইঞ্জিনে আপনার র্যাংকিং নাই হয়ে যাবে। তাছাড়া, এতে google থেকে penalty অবশই পাবেন।
  7. ওয়েবসাইটের লোডিং স্পিড অবশই দেখবেন। আপনার ওয়েবসাইটের প্রত্যেকটি পেজ যাতে ২ সেকেন্ডের থেকেও কম সময়ে লোড হয়ে যায়, সেটাতে ধ্যান দিবেন। Page speed, হলো গুগলের একটি অনেক গুরুত্বপূর্ণ র্যাংকিং ফ্যাক্টর।
  8. যেকোনো আর্টিকেল search engine কে target করে না লিখে, ভিসিটর্স বা ইউসার এর কথা ভেবে লিখুন। ইউসার এর সমস্যার বা প্রশ্নের সঠিক ও সম্পূর্ণ উত্তর বা সমাধান দিতে পারলে আপনার ভয় নেই। কারণ এতে আপনার bounce rate অনেক কম থাকবে।

তাহলে, এগুলি ছিল আমার তরফ থেকে কিছু পরামর্শ।

ওপরে বলা প্রত্যেকটি বিষয়ে ধ্যান অবশই দিবেন, যদি আপনারা নিজের ব্লগ ও ওয়েবসাইট গুলিকে গুগল আপডেটের কুপ্রভাব থেকে বাঁচিয়ে রাখতে চাচ্ছেন।

 

আমাদের শেষ কথা,

তাহলে বন্ধুরা, আজকে আমরা জামলাম যে, “গুগল অ্যালগরিদম মানে কি”, “গুগলের অ্যালগরিদম গুলির নাম এবং কাজ কি” এবং অ্যালগরিদম নিয়ে আরো অন্যান্য কিছু তথ্য।

মনে রাখবেন, গুগল দ্বারা ইউসার দেড় সঠিক এবং প্রাসঙ্গিক (relevant) রেজাল্ট প্রদান করার ক্ষেত্রে এই “অ্যালগরিদম আপডেট” গুলির প্রয়োজন অবশই রয়েছে।

তবে, নিজের ওয়েবসাইট বা ব্লগে লেখা আর্টিকেল গুলিকে গুগলের বলা নিয়ম অনুযায়ী লিখলে ও পাবলিশ করলে আপনার কোনো ভয় থাকবেনা।

সব সময়, ইউসার বা ভিসিটর্স দের কথা ভেবে naturally আর্টিকেল লিখবেন।

এতে, আপনার ইউসার রা আপনার আর্টিকেল পড়ে অনেক ভালো পাবেন।

ফলে, আপনার bounce rate কম থাকবে এবং গুগলের নজরে আপনার কনটেন্টটি high quality র ও relevant হয়ে থাকবে।

এতে, র্যাংকিং হারানোর ভয় আপনার থাকবেনা।

3 thoughts on “গুগল অ্যালগরিদম কি ? জরুরি গুগল র্যাংকিং এলগরিদম গুলি”

  1. Avatar
    আহমেদ পারভেজ

    অত্যন্ত তথ্যবহুল।
    ধন্যবাদ দাদা.।!

Leave a Comment

Your email address will not be published. Required fields are marked *

error:
Scroll to Top