১৩+ পাইকারি ব্যবসার আইডিয়া যেগুলো বর্তমানে লাভজনক

 

আজকের আর্টিকেলে আমরা কিছু লাভজন পাইকারি ব্যবসার আইডিয়া (best wholesale business ideas) নিয়ে কথা বলতে চলেছি।

বর্তমান সময়ে প্রায় প্রত্যেক দেশে যেকোনো পণ্যের ক্ষেত্রে গ্রাহকের সংখ্যা প্রচুর বৃদ্ধি পেয়েছে।

যেকোনো দেশের জনসংখ্যা দিনের পর দিন বাড়তেই চলেছে এবং তাদের মধ্যে বেশিরভাগ কিন্তু মধ্যবিত্ত পরিবারের লোক।

তাই, ট্রেডিং (বেচাকেনা) করার ক্ষেত্রে বর্তমানের সময়টি হলো সেরা।

এক্ষেত্রে, আপনি যদি নতুন করে পাইকারি ব্যবসা চালু করার কথা ভাবছেন,

তাহলে অবশই আপনি সঠিক সিদ্ধান্ত নিয়েছেন যেটা আপনার জন্য অনেক লাভজনক প্রমাণিত হতে পারে।

মনে রাখবেন, manufacturer দ্বারা যেকোনো product সরাসরি কিন্তু গ্রাহকের কাছে চলে আসেনা।

সেখানে অবশই suppliers দের একটি wholesale chain রয়েছে যার দ্বারা products গুলোকে supply করা হচ্ছে।

তাই, যেকোনো product তৈরি (manufacture) হওয়ার পর,

সেটাকে গ্রাহকের কাছে সাপ্লাই করার ক্ষেত্রে জড়িত থাকা এই মিডলম্যান বা হোলসেলার এর জন্য একটি দারুন ব্যবসার সুযোগ হয়ে দাঁড়ায়।

তবে, সাধারণ retail business এর তুলনায় wholesale business এর ক্ষেত্রে আপনাকে প্রচুর টাকা ইনভেস্ট করতে হবে।

কেননা, একটি পাইকারি দোকান থেকেই সাধারণ রিটেল দোকান গুলো মাল নিয়ে থাকে।

তাই, পাইকারি ব্যবসা হিসেবে আপনার কাছে variety products গুলো অনেক বেশি সংখ্যায় থাকতে হবে।

তাছাড়া, যখন একটি পাইকারি ব্যবসার কথা বলা হচ্ছে তখন আপনি retail market এর তুলনায় অধিক কম দামে পণ্য বিক্রি করতে হবে।

তাই এক্ষেত্রে আপনি কম মার্জিন রেখে অধিক কোয়ান্টিটিতে মাল বিক্রি করে অধিক লাভ আয় করতে পারবেন।

সে যাই হোক, যদি আপনি পাইকারি ব্যবসা করার সিদ্ধান্ত নিয়েই নিয়েছেন,

তাহলে নিচে দেয়া কিছু সেরা এবং লাভজনক পাইকারি ব্যবসার আইডিয়া গুলো জেনেনিন।

পাইকারি ব্যবসা কাকে বলে ? ( হোলসেল ব্যবসা )

Wholesaling“, কে অনেক সময় dealership business বা distribution business বলেও বলা যেতে পারে।

এটা এমন এক ধরণের ব্যবসা যেখানে, ব্যবসার সাথে জড়িত products গুলোকে অধিক বেশি সংখ্যায় manufacturers দের থেকে কেনা হয় এবং আবার সেগুলোকে অন্যান্য retail business এর কাছে অধিক দামে বিক্রি করা হয়।

যিহেতু হোলসেলাররা বাল্ক পরিমানে products গুলোকে purchase করে নিচ্ছেন,

তাই, ম্যানুফ্যাকচারার থেকে অনেক কম দামে products গুলোকে কিনে নেওয়া সম্ভব হয়ে দাঁড়ায়।

এর পর, হোলসেলাররা নিজের লাভের মার্জিন পণ্যের মধ্যে যোগ করেন এবং সেগুলোকে লাভের সাথে আবার রিটেল ব্যবসায়ী দের কাছে বিক্রি করেন।

এমনিতে প্রায় প্রত্যেক পাইকারি ব্যবসার ক্ষেত্রে পণ্য গুলোকে অনেক বেশি পরিমানে বিক্রি করা হয়।

মানে, রিটেইল দোকানদাররা কেবল একটি বা দুটি প্রোডাক্ট কিনে নিতে পারবেননা।

তাদেরকেও বাল্ক পরিমানে পণ্য কিনে নিতে হবে হোলসেলার দের থেকে।

আপনি কোন দেশে বা শহরে এবং কি ধরণের পাইকারি ব্যবসা শুরু করতে চাইছেন,

সেটার ওপরে নির্ভর করেই আপনার ইনভেস্টমেন্ট এর পরিমান বলা যাবে।

তাহলে, “পাইকারি ব্যবসা কাকে বলে” (What Is Wholesale Business in Bengali) বিষয়টা বুঝতে পেরেছেন বলে আমি আশা করছি।

পাইকারি ব্যবসা কিভাবে শুরু করবেন ?

যেকোনো দেশে নতুন করে wholesale business start করার ক্ষেত্রে প্রায় একি নিয়ম রয়েছে।

অবশই, প্রত্যেক দেশের নিয়ম কানুন আলাদা হতেই পারে।

তবে, ব্যবসা শুরু করার বেসিক ধারণা প্রায় একি বলা যেতে পারে।

নিচে দেওয়া টিপস গুলো ফলো করলে হোলসেল ব্যবসা চালু করার ক্ষেত্রে আপনি সাহায্য পাবেন।

অনেক ভালো করে চিন্তা ভাবনা করুন এবং সিদ্ধান্ত নিন কোন ব্যবসা (পণ্য) আপনার জন্য ভালো এবং লাভজনক প্রমাণিত হতে পারে।
Manufacturer / dealers খুজুন যারা আপনাকে অনেক কম দামে পণ্য দিতে পারবে।
Wholesale distribution business এর সাথে কি কি খরচ (expenses) জড়িত রয়েছে সবিতার বিষয়ে জ্ঞান নিতে হবে। যেমন, products cost, godown rent, distribution costs ইত্যাদি।
ব্যবসা শুরু করার আগেই আপনি একটি পরিকল্পনা (plan) তৈরি করে রাখতে হবে। পণ্য কার থেকে নিবেন, গোডাউন কোথায় নিবেন, পণ্য বাকিতে নিবেন নাকি নগদে, ব্যবসার মার্কেটিং কিভাবে করবেন, কর্মচারী কয়জন লাগবে ইত্যাদি।
ব্যবসাতে টাকা ইনভেস্ট করার ক্ষেত্রে কত টাকা লাগবে সেটার সঠিক অনুমান রাখুন এবং সেই টাকা জোগাড় করুন। এক্ষেত্রে, আপনি ব্যাঙ্ক থেকেও লোন নেওয়ার কথা ভাবতে পারেন।
আপনার দেশে পাইকারি ব্যবসা শুরু করার ক্ষেত্রে কি কি লাইসেন্স এর প্রয়োজন সেটা জেনে রাখুন। ট্রেড লাইসেন্স এর সাথে অন্যান্য যা যা লাইসেন্স এর দরকার সেগুলো বের করতে হবে। এক্ষেত্রে, আপনি একজন CA থেকে পরামর্শ নিতে পারবেন।

১৩+ পাইকারি ব্যবসার আইডিয়া

নিচে আমি কিছু সেরা এবং লাভজনক হোলসেল ব্যবসার আইডিয়া গুলো বলে দিচ্ছি।

আপনারা নিজের সুবিধে, রুচি এবং ইনভেস্টমেন্ট এর ওপরে নজর দিয়ে যেকোনো ব্যবসা করতে পারেন।

তাহলে চলুন, best wholesale business কোনগুলো সেগুলোর বিষয়ে জেনেনেই।

Profitable wholesale business ideas

চালের পাইকারি ব্যবসা
মাছের পাইকারি ব্যবসা
চকলেটের পাইকারি ব্যবসা
রেডিমেড গার্মেন্ট ব্যবসা
চা পাতার ব্যবসা
স্টেশনারি পণ্যের ব্যবসা
ফার্নিচার ব্যবসা
বাচ্চাদের খেলনার (toys) বিজনেস
রেডিমেড চানা এবং বিস্কুট
প্লাষ্টিক এর প্রোডাক্ট
কসমেটিক পণ্যের পাইকারি বিজনেস
ইলেকট্রনিক জিনিস এর ব্যবসা
উপহার (gifts) এর বিজনেস

চলুন বিষয় গুলো নিয়ে একটু বিস্তারিত চর্চা করে নেওয়া যাক।

চালের ব্যবসা

বিভিন্ন রকমের আলাদা আলাদা খাওয়ার চাল রয়েছে যেগুলোর পাইকারি ব্যবসা আপনারা করতে পারবেন।

হোলসেল চাল এর ব্যবসাতে খোলা চাল বিক্রি করা হয়না।

এই ব্যবসাতে বস্তায় বস্তায় চাল retails ব্যবসায়ী দের কাছে বিক্রি করা হয়।

এই চালের পাইকারি ব্যবসার ক্ষেত্রে আগের থেকে তৈরি মার্কেট রয়েছে।

কেননা, চাল হলো এমন একটি পণ্য যেটা লোকেরা প্রত্যেক দিন ব্যবহার করেন।

তাই, এই ব্যবসাতে মাল বিক্রি হওয়ার সুযোগ অনেক বেশি।

কিন্তু মনে রাখবেন, এই পাইকারি বিজনেস এর ক্ষেত্রে প্রচুর ইনভেস্টমেন্ট এর প্রয়োজন।

মাছের পাইকারি বিজনেস

মাছের ব্যবসা কিন্তু অনেক লাভজনক হিসেবে প্রমানিও হয়ে থাকে।

আপনি বাল্ক সংখ্যায় মাছ কিনে সেগুলোকে ছোট ছোট বেপারিদের কাছে বিক্রি করতে পারবেন।

তবে এই ব্যবসাতে আপনি বেশি দিন মাছ নিজের কাছে রাখতে পারবেননা।

কেননা, মাছ অধিক সময় ভালো বা তাজা থাকছেনা।

তবে, বর্তমানে মাছের সাপ্লাই ব্যবসা কিন্তু অনেক লাভজনক।

এই ব্যবসা আপনারা মোটামোটি কিছু টাকা ইনভেস্ট করেই শুরু করতে পারবে।

মাছের ভালো ভালো সাপ্লায়ার দের সাথে চেনা পরিচিত থাকাটা এই ব্যবসার ক্ষেত্রে অনেক জরুরি।

চকলেটের বিজনেস

চকলেট এর ক্ষেত্রে বাজারে বিভিন্ন কোম্পানির বিভিন্ন রকমের চকলেট রয়েছে।

আপনারা লোকাল বা ব্র্যান্ডেড chocolates গুলোর business করতে পারবেন।

প্রায় প্রত্যেক retail shops গুলোতে chocolates অবশই থাকে।

তাই, এই ব্যবসা আগেও অধিক লাভজনক ছিল এবং বর্তমানে এই ব্যবসা অধিক লাভজনক হয়ে দাঁড়িয়েছে।

ইনভেস্টমেন্ট এর কথা বললে, চকলেট এর পাইকারি ব্যবসাতে ভালো পরিমানের টাকা ইনভেস্ট করতে হয়।

কেননা, আপনি কেবল একটি বা দুটি রকমের চকলেট নিয়ে বাজারে নামতে পারবেননা।

আপনাকে, ভ্যারাইটি চকলেট কোম্পানির আলাদা আলাদা বিভিন্ন ধরণের চকলেট গুলো নিজের কাছে রাখতে হবে।

রেডিমেড গার্মেন্ট ব্যবসা

রেডিমেড গার্মেন্ট এর ব্যবসা আগেও লাভজনক ছিল এবং বর্তমান সময়েও দারুন লাভজনক।

তবে এই ব্যবসা করার আগে আপনাকে সম্পূর্ণ বিষয়ে ভালো করে জ্ঞান নিয়ে নিতে হবে।

কারণ, গার্মেন্ট ইন্ডাস্ট্রি হলো বিশাল বড় একটি ইন্ডাস্ট্রি যেখানে হাজার রকমের পণ্য রয়েছে।

আপনি চাইলে যেকনো একটি প্রোডাক্ট নিয়ে কাজ শুরু করতে পারেন বা আবার বিভিন্ন প্রোডাক্ট ক্যাটাগরি গুলো নিয়ে কাজ করতে পারবেন।

শাড়ী, শার্ট, প্যান্ট, চুড়িদার ইত্যাদি বিভিন্ন রেডিমেড গার্মেন্ট প্রোডাক্ট রয়েছে যেগুলো নিয়ে কাজ শুরু করতে পারবেন।

চা পাতার ব্যবসা

চা, প্রত্যেক ঘরে, অফিসে এবং ছোট-বড় যেকোনো জায়গায় লোকেরা সেবন করেন।

আর তাই, চাপাতার ব্যবসা অনেক লাভজনক এবং সহজে বিক্রি হওয়া প্রোডাক্ট হিসেবে বলা যেতেই পারে।

চা পাতার বিভিন্ন আলাদা আলাদা quality এবং type রয়েছে যেগুলো নিয়ে আপনি ব্যবসা শুরু করতে পারবেন।

স্টেশনারি পণ্যের ব্যবসা

যেগুলো products এর বিষয়ে আমরা সচরাচর বেশি ভাবিনা, সেগুলোতেই অধিক লাভ পাওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে।

এবং, স্টেশনারি পণ্যের ব্যবসা হলো সেগুলোর মধ্যেই একটি।

Office stationary item গুলো আপনারা wholesale হিসেবে বিক্রি করতে পারবেন।

Paper, diary, clips, files, notebooks, staplers, pens, pencils ইত্যাদি নানান products রয়েছে যেগুলো নিয়ে কাজ করতে পারবেন।

Office products এর চাহিদা যেকোনো জায়গায় প্রচুর বেশি থাকে।

ফার্নিচার ব্যবসা

অবশই ফার্নিচার এর ব্যবসাতে প্রচুর টাকা লাগাতে হবে, তবে এই ব্যবসাতে লাভ কিন্তু ভালো।

ছোট-বড় নানান ধরণের ফার্নিচার যেকোনো ঘরেই ব্যবহার করা হয়।

Portable, lightweight এবং multipurpose furniture বর্তমানে বিভিন্ন ঘরে ব্যবহার করা হচ্ছে।

কিছু unique designs এবং creativity দ্বারা আকর্ষণীয় ফার্নিচার তৈরি করে বা করিয়ে সেগুলোকে সাপ্লাই করতে পারবেন।

এই ব্যবসা হলো একটি অনেক high margin wholesale business.

বাচ্চাদের খেলনার (toys)

বাচ্ছাদের খেলনার ব্যবসা কিন্তু ছোট বা সাধারণ ব্যবসা না।

এটাও একটি অনেক লাভজনক ব্যবসা যেটা সহজে চোখে পড়েনা।

যদি আপনি নানান ধরণের বাচ্চাদের খেলনা গুলো নিয়ে প্রচুর রিটেল দোকানে বাল্ক সাপ্লাই দিতে পারেন,

তাহলে এই হোলসেল ব্যবসা কিন্তু অনেক দারুন।

রেডিমেড চানা এবং বিস্কুট

এটা বর্তমান সময়ের অনেক কমন একটি ব্যবসা যেটা অনেকেই করছেন।

হোলসেলার হিসেবে বাল্ক সংখ্যায় বিভিন্ন কোম্পানির চানা, বিস্কুট ইত্যাদি নিয়ে এই ব্যবসা শুরু করুন।

যেকোনো শহরে অসংখ্যক ছোট-বড় দোকান রয়েছে যারা আপনার থেকে মাল অবশই নিবেন।

সঠিক ভাবে এই products গুলো নিয়ে business চালিয়ে যেতে পারলে লাভ অবশই হবে।

প্লাষ্টিক এর প্রোডাক্ট

প্লাষ্টিক এর প্রোডাক্ট বলে সে অনেক ধরণের প্রোডাক্ট এর মধ্যে রয়েছে।

তাই, প্লাষ্টিক দ্বারা তৈরি নানান ধরণের products গুলো নিয়েও ব্যবসা শুরু করতে পারবেন।

কসমেটিক পণ্যের পাইকারি বিজনেস

কসমেটিক পণ্যের চাহিদা এবং ব্যবহার প্রচুর বেশি পরিমানে করা হয়।

তাই, কসমেটিক পণ্যের হোলসেল ব্যবসা শুরু করাটাও বর্তমানে প্রচুর লাভজনক।

ইলেকট্রনিক জিনিস এর ব্যবসা

ইলেকট্রনিক পণ্যের নানান ধরণের আলাদা আলাদা ছোট-বড় ক্যাটাগরি রয়েছে।

তাই, আপনি নানান ধরণের প্রোডাক্ট গুলো যেমন, লাইট, চক, ফ্যান, হিটার, সুইচ ইত্যাদি নিয়ে কাজ করতে পারবেন।

উপহার (gifts)

Gift item এর ব্যবসা দেখতে অনেক সাধারণ লাগলেও এই ব্যবসাতে মার্জিন অনেক বেশি।

অনেক রকমের gift items রয়েছে যেগুলো নিয়ে নিজের ব্যবসা শুরু করতে পারবেন।

তবে এই ব্যবসাতে আপনি কেবল একটি বা দুটি প্রোডাক্ট নিয়ে নামতে পারবেননা।

আপনাকে, ভ্যারাইটি ধরণের গিফট আইটেম গুলো নিয়ে কাজ শুরু করতে হবে।

আমাদের শেষ কথা,,

তাহলে বন্ধুরা, আজকে আমরা পাইকারি ব্যবসার ধারণা নিয়ে কিছুটা আলাপ করলাম।

আমরা আজকে জানলাম এমন কিছু লাভজনক হোলসেল ব্যবসার বিষয়ে যেগুলো সত্যি লাভজনক।

আমি আপনাকে পরামর্শ দিবো, যেকোনো ব্যবসা শুরু করার আগে, সেই ব্যবসার সাথে জড়িত প্রত্যেক খুঁটি নাটি বিষয় গুলো জেনে রাখুন।

তাছাড়া, যেকোনো ব্যবসাতে সফল হওয়ার জন্যে পরিশ্রম করার সাথে সাথে কিছুটা সময় অবশই দিতে হবে।

Best wholesale businesses ideas in Bangla‘, নিয়ে আমাদের আর্টিকেল যদি আপনাদের ভালো লেগেছে,

তাহলে আর্টিকেলটি শেয়ার অবশই করবেন।

 

About The Author

Leave a Comment

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Scroll to Top