শেয়ার বাজারে বিনিয়োগের পদ্ধতি (How to start trading in share market): প্যাসিভ ইনকাম হোক কিংবা পার্মানেন্ট পেশাই হোক না কেন, শেয়ার বাজার থেকে আয় করা খুব একটা সোজা ব্যাপার কিন্তু নয়।
বিশেষ করে, একজন শিক্ষানবীশ হিসেবে শেয়ার মার্কেটে বিনিয়োগ করা যথেষ্ট কঠিন হতে পারে।
আপনি যদি শেয়ার বাজারে বিনিয়োগের পদ্ধতি খুঁজে থাকেন, তবে এই আর্টিকেলের মাধ্যমে আমরা আপনাকে সাহায্য করবো।
আমরা শেয়ার বাজারে কিভাবে বিনিয়োগ করব ? এই বিষয়টি সম্পর্কে আজকে বিস্তারিত আলোচনা করবো।
এমনকি, আপনি এখান থেকে শেয়ার বাজারে বিনিয়োগের সেরা কয়েকটি অ্যাপের ব্যাপারেও জানতে পারবেন।
শেয়ার বাজারে কিভাবে বিনিয়োগ করব – (বিনিয়োগের পদ্ধতি)
শেয়ার মার্কেটে ইনভেস্ট করার আগে, আপনাকে মনে রাখতে হবে যে,
“এখানে দুই ধরণের শেয়ার বাজার রয়েছে”, যথা – প্রাইমারি এবং সেকেন্ডারি শেয়ার বাজার।
প্রাইমারি শেয়ার বাজারে বিনিয়োগ:
প্রাথমিক শেয়ার বাজারে বিনিয়োগ মূলত ইনিশিয়াল পাবলিক অফার (আইপিও)-এর মাধ্যমে হয়ে থেকে।
বিনিয়োগকারীদের দ্বারা কোনো আইপিওর আবেদন গ্রহণ করার পরে, প্রথমে কোনো কোম্পানি সেই আবেদনগুলো গণনা করে।
তারা গণনার মাধ্যমে চাহিদা ও প্রাপ্যতার ভিত্তিতে শেয়ার বরাদ্দ করে থাকে।
প্রাইমারি ও সেকেন্ডারি – উভয় বাজারেই বিনিয়োগ করতে আপনাকে একটা ডিম্যাট অ্যাকাউন্ট তৈরী করতে হবে।
যাতে, আপনার শেয়ারের একটা ইলেকট্রনিক কপি থাকে।
এছাড়াও, শেয়ারের ক্ষেত্রে একটা ট্রেডিং অ্যাকাউন্টও যথেষ্ট গুরুত্বপূর্ণ।
কারণ, এর মাধ্যমে আপনি সহজে অনলাইনে শেয়ার কেনাবেচা করতে পারেন।
কিছু বিশেষ ক্ষেত্রে, একজন ট্রেডার সরাসরি তার ব্যাঙ্ক অ্যাকাউন্ট থেকেও আবেদন করতে পারেন।
নেট ব্যাঙ্কিংয়ের মাধ্যমে আইপিও আবেদনের প্রক্রিয়াটি অনেকটাই সহজ।
এই প্রক্রিয়াটি অ্যাপ্লিকেশান সাপোর্টেড বাই ব্লকড অ্যামাউন্ট (ASBA) নামে পরিচিত।
ASBA প্রক্রিয়াতে যদি কেউ কোম্পানির কাছে পাঠানোর বদলে, ১ লাখ মূল্যের শেয়ারের জন্য আবেদন করে; তাহলে এই ফান্ডগুলো তাদের ব্যাঙ্ক অ্যাকাউন্টে ব্লক করা হবে।
একবার আপনি আপনার শেয়ারের বরাদ্দ অংশ পেয়ে গেলে, ওই সমান পরিমাণ অর্থ আপনার ব্যালান্স থেকে কেটে নেওয়া হয়।
আইপিওতে পাঠানো সমস্ত আবেদনের জন্য এই প্রোটোকল অনুসরণ করতে হয়।
একবার ট্রেডারদের শেয়ার বরাদ্দ করা হলে, সেগুলো স্টক এক্সচেঞ্জে লিস্টেড হয় ও আপনি এক সপ্তাহের মধ্যে সেগুলো নিয়ে ট্রেড করতে পারেন।
সেকেন্ডারি শেয়ার মার্কেটে বিনিয়োগ:
সেকেন্ডারি শেয়ার মার্কেট ট্রেডিং বা বিনিয়োগ বলতে শেয়ার বা স্টকের নিয়মিত ক্রয় ও বিক্রয়কে বোঝানো হয়ে থাকে।
এই ধরণের শেয়ার মার্কেটে বিনিয়োগ শুরু করার আগে আপনাকে কয়েকটি সহজ পদ্ধতি মেনে চলতে হয় –
ধাপ ১: ডিম্যাট ও ট্রেডিং অ্যাকাউন্ট খোলা:
এটি হল সেকেন্ডারি মার্কেটে বিনিয়োগ শুরুর প্রথম ধাপ।
নির্বিঘ্ন লেনদেনের করার জন্যে আপনাকে এই দুই ধরণের অ্যাকাউন্টকেই আপনার পূর্ব-বিদ্যমান ও সক্রিয় ব্যাঙ্ক অ্যাকাউন্টের সাথে লিঙ্ক করতে হয়।
ধাপ ২: শেয়ার নির্বাচন করা:
যেকোনো ট্রেডিং অ্যাকাউন্টে লগ ইন করে আপনি ওয়াচলিস্ট তৈরী করার মাধ্যমে যেকোনো কোম্পানির স্টকগুলো পর্যবেক্ষণ করতে পারেন।
আর, সেই অনুযায়ী শেয়ারগুলো কিনতে বা বাছতে পারেন।
এই শেয়ারগুলো কেনার জন্য আপনার অ্যাকাউন্টে প্রয়োজনীয় পরিমাণ ফান্ড রাখাটা একান্তই আবশ্যক।
ধাপ ৩: প্রাইস পয়েন্ট নির্বাচন করা:
আপনি যে দামে কোনো শেয়ার কিনতে বা বিক্রি করতে চান, সেটা নির্দিষ্ট করুন।
ক্রেতা বা বিক্রেতার সেই অনুরোধের উত্তর দেওয়ার জন্য অপেক্ষা করতে হবে।
ধাপ ৪: লেনদেন সম্পূর্ণ করা:
একবার লেনদেন সম্পূর্ণ হলে, আপনি ক্রয় বা বিক্রয় করার স্টকের জন্য শেয়ার বা টাকা পাবেন।
আপনি যে সময়কালের জন্য বিনিয়োগ করেছেন ও বিনিয়োগের মাধ্যমে আপনি যে আর্থিক লক্ষ্যগুলো অর্জন করতে চান, সে সম্পর্কে সচেতন হন।
ডিম্যাট বা ট্রেডিং অ্যাকাউন্ট খুলতে যে যে নথি প্রয়োজন:
ভারতের মতো দেশে, শেয়ার বাজারে বিনিয়োগ শুরু করতে আপনাকে নিম্নলিখিত নথিগুলোর বন্দোবস্ত করতে হবে-
– প্যান কার্ড
– আধার কার্ড
– আবেদনকারীর পাসপোর্ট সাইজের ছবি
– আবেদনকারী স্থির আয় ও জীবিকা-সংক্রান্ত বিস্তারিত বিবরণ
– ব্যাঙ্ক, ব্রোকার বা ডিপোজিটরি পার্টিসিপ্যান্টের দ্বারা স্বীকৃত ঠিকানার প্রমাণপত্র
– আবেদনকারীর নাম, সক্রিয় ব্যাঙ্ক অ্যাকাউন্ট নম্বর, অ্যাকাউন্ট-এর বাতিল চেকের IFSC কোড, ও বৈধ স্বাক্ষর
এইবার জেনে নেওয়া যাক, আমরা কিভাবে শেয়ার বাজারে বিনিয়োগ করবো ?
শেয়ার বাজারে বিনিয়োগের পদ্ধতি ?
একসাথে অনেক টাকার লোভই বিনিয়োগকারীদের স্টক মার্কেটের প্রতি আকৃষ্ট করে।
কিন্তু, ইক্যুইটি থেকে অর্থ উপার্জন করা মোটেই সোজা নয়।
এখান থেকে লাভ করতে গেলে ধৈর্য, শৃঙ্খলার পাশাপাশি প্রচুর মার্কেট সম্পর্কে গবেষণা ও বাজার সম্পর্কে ভালো জ্ঞানেরও প্রয়োজন হয়।
যদিও, স্টক মার্কেটে সাফল্যের জন্য কোনো শিওর-শট ফর্মুলা নেই।
স্টক মার্কেট থেকে ভালো রিটার্ন পাওয়ার টিপস
তবে, এখানে কিছু সুবর্ণ পদ্ধতি রয়েছে- আপনি যদি বিচক্ষণতার সাথে এই পদ্ধতিগুলো মেনে চলেন, তাহলে ভালো রিটার্ন পাওয়ার সম্ভাবনা থাকে।
১. আপনার পোর্টফোলিও বৈচিত্র্যময় করে তুলুন:
বৈচিত্র্যময় পোর্টফোলিও হল একটি স্বাস্থ্যকর পোর্টফোলিও।
যদি কোনো নির্দিষ্ট শ্রেণীর অ্যাসেট আপনার পোর্টফোলিওতে আধিপত্য বিস্তার করে, তাহলে সেই অ্যাসেটটি যখন ক্ষতির সম্মুখীন হয়, তখন তা আপনার ফান্ডের কোনো স্থির প্রবাহ আনে না।
তাই, আর্থিক উপদেষ্টারা ফান্ডের প্রবাহকে বজায় রাখার জন্যে বিকল্প অ্যাসেট শ্রেণী আপনার প্রোফাইলে যোগ করার পরামর্শ দেন।
উদাহরণস্বরূপ, ইক্যুইটি প্রায়শই বন্ড কিংবা অন্যান্য ঋণ ইন্সট্রুমেন্টের বিনিয়োগের সাথে যুক্ত করতে হয়।
একটি পোর্টফোলিওতে ভারসাম্য রক্ষার মাধ্যমে আপনি শেয়ার বাজারের সংকটের সময়ের সুরক্ষিত থাকতে পারেন।
২. আপনার বিনিয়োগকারী প্রোফাইল বুঝুন:
আপনার বিনিয়োগকারীর প্রোফাইল যে ধরণের ইনস্ট্রুমেন্ট প্রকাশ করতে পারে, তা আপনার ঝুঁকি নেওয়ার ক্ষমতার সাথে মেলে কিনা তা বুঝে নিন।
এটি আপনাকে নিশ্চিত করতে দেয় যে, আপনি যে পরিমাণ ঝুঁকি নিচ্ছেন, তা আপনার জীবনধারার জন্য উপযুক্ত হবে কিনা।
৩. একটা বিনিয়োগ পরিকল্পনা তৈরি করুন:
আপনার যদি নির্দিষ্ট বিনিয়োগ পরিকল্পনা থাকে, যা আপনি আপনার বিনিয়োগ থেকে আয়ের পরিমাণ ও সেই পরিমাণ উপার্জন করার জন্য আপনাকে সম্ভাব্য কতটা সময়ে বিনিয়োগ করতে হবে- তা জেনে নিয়ে বিনিয়োগ করলে আপনি সম্ভাব্য ভুলগুলো এড়াতে পারবেন৷
৪. জেনেবুঝে সিদ্ধান্ত নিন:
স্টকে বিনিয়োগের আগে সবসময় ভালোভাবে গবেষণা করা উচিত।
সাধারণত, বিনিয়োগকারীরা কোনো কোম্পানির নাম বা তাদের শিল্প দেখেই বিনিয়োগ করেন- এটা কিন্তু একেবারেই ভুল সিদ্ধান্ত বলে মনে করা হয়।
কোনো কোম্পানিতে ইনভেস্ট করার আগে সেই কোম্পানির ঋণ, ইতিহাস, কয়েক বছরের পারফর্ম্যান্স, ভবিষ্যতের পরিকল্পনা ও মার্কেটে তাদের পারফর্ম্যান্স দেখে নেওয়া উচিত।
৫. যে ব্যবসার ধারণা রয়েছে, সেখানে বিনিয়োগ করুন:
কোনো স্টকে বিনিয়োগ করার পরিবর্তে কোনো ব্যবসায় বিনিয়োগ করুন।
আর, আপনার বোধগম্য ব্যবসাগুলোতেই বিনিয়োগ করবেন।
অর্থাৎ, যে ইন্ডাস্ট্রির ব্যাপারে আপনার স্পষ্ট ধারণা রয়েছে, বা যে ইন্ডাস্ট্রি সম্পর্কে আপনি পড়াশোনা করতে পছন্দ করেন, সেই ব্যবসাতেই আপনার ইনভেস্ট করা উচিত।
৬. সুশৃঙ্খল বিনিয়োগ পদ্ধতি অনুসরণ করুন:
বাজারে অস্থিরতার কারণে অনিবার্যভাবেই বহু বিনিয়োগকারীরা দারুণ পারফর্ম করা সত্ত্বেও অর্থ হারিয়ে ফেলে।
তাই, চঞ্চল না হয়ে যে বিনিয়োগকারীরা পদ্ধতিগতভাবে, সঠিক শেয়ারে অর্থ বিনিয়োগ করে, ধৈর্য ধরে তাদের বিনিয়োগকে ধরে রাখেন- তাদের রিটার্ন পাওয়ার সম্ভাবনাও বেশি দেখা যায়।
তাই, দীর্ঘমেয়াদী বিনিয়োগের উপর নজর রেখে, ধৈর্য ধরে ও সুশৃঙ্খলভাবে বিনিয়োগ পদ্ধতি অনুসরণ করাই হল বুদ্ধিমানের কাজ।
৭. বাস্তবসম্মত প্রত্যাশা রাখুন:
নিজের বিনিয়োগ থেকে সেরা রিটার্ন আশা করাটা মোটেও খারাপ নয়।
কিন্তু, আপনার ফিন্যান্সিয়াল গোল যদি অবাস্তব প্রত্যাশার উপর নির্ভর করে তৈরী হয়, তাহলে আপনার বিনিয়োগের কেরিয়ারে তা সমস্যা তৈরী করতে পারেন।
ধরুন, বেশিরভাগ কোম্পানি মার্কেট স্টেবল থাকার সময় তাদের ৫০% প্রফিট নিয়ে আসতে পারে।
কিন্তু, সবসময়েই আপনি এই একই পারফর্ম্যান্স নাও দেখতে পারেন।
তাই, সব সময়ে আপনি যে আপনার আশানুরূপ রিটার্ন পাবেন তাও নয়, আবার কখনও কখনও আপনি আপনার প্রত্যাশার বাইরেও রিটার্ন লাভ করতে পারেন।
সবটাই একটা অনিশ্চিত ব্যাপার এই শেয়ার মার্কেটের ক্ষেত্রে।
৮. শুধুমাত্র আপনার এক্সট্রা ফান্ড বিনিয়োগ করুন:
এই ধরণের অনিশ্চিত মার্কেটে বিনিয়োগ করার আগে, অবশ্যই দেখুন আপনার হাতে এক্সট্রা ফান্ড আছে কিনা।
কারণ, আপনার জীবনধারণের জন্য প্রয়োজনীয় অর্থ আপনি কখনওই কোনো ঝুঁকি নিয়ে হারাতে পছন্দ করবেন না।
এখনকার পরিস্থিতিতে আপনি অর্থ হারাবেন, এমনটা নয়।
বরং, আপনার বিনিয়োগ আপনাকে আগামী মাসেও ব্যাপক লাভ দিতে পারে।
কিন্তু, এক্ষেত্রে কেউই ১০০ ভাগ নিশ্চিত হতে পারে না।
এই কারণেই এখানে নূন্যতম ঝুঁকি নিয়ে আপনার উদ্বৃত্ত অর্থ দিয়েই মার্কেটে বিনিয়োগ করা বুদ্ধিমানের কাজ হবে৷
৯. কঠোরভাবে পর্যবেক্ষণ করুন:
বর্তমানের ভুবনগ্রামে আমরা সারা বিশ্বে ঘটে চলা ছোট-বড় সমস্ত ঘটনা সম্পর্কেই খবর রাখতে পারি।
পৃথিবীর যেকোনো কোণে ঘটা সূক্ষ ঘটনাও আর্থিক মার্কেটকে বিশালভাবে প্রভাবিত করতে পারে।
এই কারণে, আমাদের সবসময়ই নিজেদের পোর্টফোলিও মনিটর করতে হয়, যাতে আপনি আপনার পছন্দমতো রিটার্ন পেতে পারেন।
১০. একচেটিয়া মানসিকতা এড়িয়ে চলুন:
বেশিরভাগ ক্রেতার সিদ্ধান্ত তাদের পরিচিত, প্রতিবেশী কিংবা আত্মীয়দের সিদ্ধান্ত দ্বারা প্রভাবিত হয়।
এইভাবে, আশেপাশের সবাই যদি একটা নির্দিষ্ট স্টকে বিনিয়োগ করে, সেক্ষেত্রে সম্ভাব্য বিনিয়োগকারীরাও একই স্টক কিনে থাকে।
কিন্তু, এই কৌশল দীর্ঘমেয়াদে আপনার বিপদ ডেকে আনতে পারে।
তাই, আপনি যদি স্টক মার্কেটে আপনার কষ্টার্জিত অর্থ নষ্ট না করতে চান, তাহলে আপনার সর্বদা একচেটিয়াভাবে চলা মানসিকতাকে বর্জন করা উচিত।
শেয়ার বাজারে বিনিয়োগের সেরা অ্যাপের তালিকা
যখন খুশি, যেখানে খুশি ইনভেস্ট করতে চাইলে, শেয়ার মার্কেটের এখনকার সেরা অ্যাপ্লিকেশনগুলো আপনাকে স্মার্টফোন থেকেই বিনিয়োগ করতে দেয়।
এখানে আমরা সেরা ৪টি মোবাইল শেয়ার ট্রেডিং অ্যাপ নিয়ে আলোচনা করলাম –
১. Zerodha Kite Trading App:
Zerodha আপনাকে ব্রোকারেজ মুক্ত বিনিয়োগ করতে দেয়।
তাই, আপনি এখানে কোনো ব্রোকারেজ চার্জ ছাড়াই শেয়ার কিনতে পারবেন।
এই অ্যাপ্লিকেশনটিতে একটা সোজাসাপ্টা ইউসার ইন্টারফেস রয়েছে আর এটি আপনার ফোন মেমোরিতে খুব কম স্পেস নেয়।
বৈশিষ্ট্য:
- তথ্যের লাইভ স্ট্রিমিং।
- ১০০+ সূচক সহ উন্নত চার্ট।
- বিনামূল্যে বার্ষিক মূল্যের ঐতিহাসিক চার্ট ডেটা।
- একাধিক মার্কেটওয়াচ ও লাইভ মার্কেট ডেপ্থস।
- নতুন ও অভিজ্ঞ ট্রেডার- উভয়ের জন্যই সেরা উপযুক্ত ট্রেডিং অ্যাপ।
- বিভিন্ন ধরণের অর্ডার: রেগুলার, BO (ব্রাকেট অর্ডারস), AMO, CO (কভার অর্ডারস).
- যেকোনো এক্সচেঞ্জের সমস্ত কন্ট্রাক্টের ওয়ান-ট্যাপ ইউনিভার্সাল ইনস্ট্রুমেন্ট সার্চ করা সম্ভব– MCX, NSE ও BSE.
২. 5Paisa Mobile Trading App:
ইন্ডিয়া ইনফোলাইন দ্বারা প্রচারিত ডিসকাউন্ট ব্রোকার অ্যাপ্লিকেশন হল এই 5Paisa Mobile Trading App-টি।
এর গেস্ট লগইন ফিচারের সাহায্যে আপনি এই অ্যাপের ফিচারগুলো চেক করে নিতে পারবেন।
প্রতি এক্সিকিউটেড অর্ডারে এই অ্যাপটি ২০ টাকা করে নিয়ে থাকে।
বৈশিষ্ট্য:
- এই অ্যাপ থেকে সহজে ডিম্যাট অ্যাকাউন্ট খোলা যায়।
- লাইভ স্টক মার্কেট NSE ও BSE থেকে কোট করে, ঠিক ET মার্কেটের মতো।
- অটো ইনভেস্টর্স ফিচারটি সম্পূর্ণ একটা কাস্টমাইজড মিউচুয়াল ফান্ড ইনভেস্টমেন্ট পোর্টফোলিও তৈরি করে।
- এর ইজি স্ক্রীনিং টুলের সাহায্যে, এর বিনামূল্যের একাউন্টের মাধ্যমে সেরা মিউচুয়াল ফান্ডে বিনিয়োগ করা যায়।
৩. Upstox Pro Trading App:
Upstox Pro Trading App-এর সবথেকে বিশিষ্ট ইনভেস্টর হলেন রতন টাটা।
এই অ্যাপ্লিকেশনটিও ভারতের সেরা ডিসকাউন্ট ব্রোকার অ্যাপগুলোর মধ্যে একটি।
এর চার্জগুলো অনেকটা জিরোধা-এরই মতো।
এখানে আপনি বর্তমানে বিনামূল্যেও একাউন্ট খুলতে পারবেন।
বৈশিষ্ট্য:
- গত ১০ বছরের হিস্টরিক ডেটা।
- বিভিন্ন ইন্টার্ভাল, টাইপ ও ড্রয়িং স্টাইলের চার্ট রয়েছে।
- আনলিমিটেড কাস্টমাইজড ওয়াচলিস্ট তৈরী করা যায়।
- রিয়েল-টাইম চার্টে ১০০+ টেকনিকাল ইনডিকেটর প্রয়োগ করা যায়।
- ট্রেড ফ্রম চার্ট (TFC) ফিচারসহ চার্ট থেকে সরাসরি ট্রেড করা সম্ভব।
- ইউনিভার্সাল সার্চ টুলের সাহায্যে সহজ ও জটিল স্টক খুঁজে পাওয়া যায়।
- ইনস্ট্যান্ট আপডেটের জন্য আনলিমিটেড সংখ্যার প্রাইস এলার্ট সেট করা সম্ভব।
৪. FYERS Market Trading App:
ব্যাঙ্গালোর-বেসড এই FYERS Market Trading App হল এক ধরণের ডিসকাউন্ট স্টক ব্রোকার।
এটি অপেক্ষাকৃত নতুন মোবাইল ট্রেডিং অ্যাপ হলেও, এদের ইউসার-ফ্রেন্ডলি ইন্টারফেস একে ট্রেডারদের কাছে জনপ্রিয় করে তুলেছে।
বৈশিষ্ট্য:
- অপশন ক্যালকুলেটর।
- অপশন ক্যালকুলেটর।
- ২০+ বছরের ঐতিহাসিক EOD চার্ট।
- একাধিক ওয়াচলিস্ট, স্টক স্ক্রিনার্স ও হিট ম্যাপ।
- ব্যবহারকারীর সুবিধার জন্য ইন্ডিকেটর টেমপ্লেট।
এছাড়াও, আরও অনেক সেরা সেরা ভারতের মোবাইল ট্রেডিং অ্যাপগুলো আপনি অ্যাপল স্টোর, প্লে স্টোর কিংবা ওয়েবসাইট থেকেও পেয়ে যাবেন।
আর, এই প্রতিটি অ্যাপ বা ওয়েবসাইটগুলো যথেষ্ট নিরাপদ ও বিশ্বাসযোগ্য হয়ে থাকে।
তাই, আপনি নিশ্চিন্তে আপনার পছন্দমতো অ্যাপের মাধ্যমে আজ বা কাল থেকেই শুরু করে দিতে পারেন শেয়ার মার্কেটে ট্রেডিং বা বিনিয়োগ।
আমাদের আজকের শেয়ার মার্কেটে বিনিয়োগ করার পদ্ধতি নিয়ে লেখা আর্টিকেলটি এখানেই শেষ হল।
এর মধ্যে কোন অ্যাপটি আপনি বিনিয়োগের জন্যে বেছে নিলেন, তা কমেন্টে জানাতে ভুলবেন না।