কম্পিউটারের জন্য উপলব্ধ নানান প্রফেশনাল ভিডিও এডিটিং সফটওয়্যার গুলোর মতোই এখন আপনার এন্ড্রয়েড মোবাইলের জন্যেও উপলব্ধ রয়েছে একাধিক ফ্রি ভিডিও এডিট সফটওয়্যার/অ্যাপস গুলো। তাই মোবাইলে ভিডিও এডিটিং করার বিষয়টা আগের থেকে অনেকটা সোজা এবং সুবিধাজনক বিষয় হয়ে দাঁড়িয়েছে।
Google Play Store-এর মধ্যে গিয়ে “ভিডিও এডিটর” লিখে সার্চ দিলেই CapCut, KineMaster, Adobe Premiere Rush, InShot editor, ইত্যাদির মতো সেরা মোবাইল ভিডিও এডিটর গুলো আপনারা পেয়ে যাবেন।
মনে রাখা দরকার যে, এই ভিডিও এডিটিং অ্যাপস গুলো সম্পূর্ণ প্রফেশনাল হলেও এগুলোর প্রত্যেকটি কিন্তু আবার একেবারে ফ্রি না। আর তাই, আজকের এই আর্টিকেলটিতে আমি আপনাদের সাথে এমন ১০টি ফ্রি মোবাইল ভিডিও এডিটর গুলোর নাম শেয়ার করবো যেগুলো গুগল প্লে স্টোর থেকে সম্পূর্ণ ফ্রীতে ডাউনলোড করে যেকোনো ভিডিও প্রফেশনাল ভাবে এডিট করা যেতে পারে।
সূচিপত্র:
- মোবাইল দিয়ে ভিডিও এডিটিং করার সফটওয়্যার: সেরা ১০টি – (আপডেটেড)
মোবাইল দিয়ে ভিডিও এডিটিং করার সফটওয়্যার: সেরা ১০টি – (আপডেটেড)
মনে রাখবেন, মোবাইল দিয়ে ভিডিও এডিট করার এই এপস গুলি আপনারা Google Play Store-থেকে সম্পূর্ণ ফ্রীতে ডাউনলোড করে নিতে পারবেন।
এছাড়া বলে দেওয়া এই ভিডিও এডিটর গুলোর মধ্যে এমনও কিছু সফটওয়্যার আছে যেগুলির প্রতিটি প্রিমিয়াম ফীচার গুলো ব্যবহার করার জন্য আপনাকে কিছু পরিমানে টাকা দিতে লাগতে পারে।
তবে চাইলে ফ্রি ভার্সন ব্যবহার করেও নিজের মোবাইল দিয়ে সম্পূর্ণ প্রফেশনাল ভাবে ভিডিও এডিট করতে পারবেন। চলুন আর বেশি সময় নষ্ট না করে, মোবাইলের জন্য থাকা প্রতিটি সেরা ভিডিও এডিট করার সফটওয়্যার গুলোর বিষয়ে জেনেনেই।
১. Filmora – Video Editor & Maker
টোটাল ডাউনলোড: 10Cr+
রেটিং: 4.7
Filmora একটি অনেক শক্তিশালী ভিডিও এডিটিং এপ্লিকেশন যেটিকে নানান প্রফেশনাল ইউটিউবাররাও তাদের ইউটিউব ভিডিও গুলোকে এডিট করার জন্য ব্যবহার ব্যবহার করে থাকেন।
এখানে সকল ধরণের, সাধারণ থেকে অ্যাডভান্সড যেমন, ভিডিওর সাথে music ও effects যোগ করা, title যোগ করা, ভিডিওর জন্য theme বেছে নেওয়া, video cutting এবং trimming এর মতো সব ধরণের editing options আপনারা পাবেন।
Filmora ভিডিও এডিটিং সফটওয়্যারটি আপনারা সম্পূর্ণ ফ্রীতেই ব্যবহার করে করতে পারবেন। বেশির ভাগ এডিটিং ফিচার গুলো আপনারা এর ফ্রি ভার্শনেও পেয়ে যাবেন। শুরুতে FilmoraGo নামে পরিচিত এই অ্যাপটিতে ভিডিও গুলোকে এডিট ও তৈরি করে অনেক সহজে নিজের মোবাইলের গ্যালারিতে সেভও করে নিতে পারবেন।
Filmora App Features:
- Cinematic editing এর features/options পাবেন।
- Text-To-Speech এর মতো উন্নত ফীচার।
- AI music এবং studio sound এর সুবিধা আছে।
- AI Video Effects এবং AI Smart Cutout এর ফীচার দেওয়া হয়েছে।
- ভিডিওতে গান, ভয়েস এবং সাউন্ড এফেক্ট যুক্ত করা যাবে।
- ভিডিওতে টেক্সট, ইমোজি এবং স্টিকার যুক্ত করা যায়।
২. Adobe Premiere Rush:
টোটাল ডাউনলোড: 50L+
রেটিং: 3.9
ভিডিও শুট করা, এডিট করা এবং সরাসরি নানান সোশ্যাল মিডিয়া প্লাটফর্ম গুলোতে শেয়ার করার মতো প্রত্যেকটি কাজ করতে পারবেন Adobe Premiere Rush App-টি ব্যবহার করে।
যেকোনো ভিডিওর কিছুটা অংশ স্লো মোশনে দেখাতে চান?
চিন্তা করতে হবেনা, এই প্রফেশনাল অ্যাপটিকে কাজে লাগিয়ে ভিডিও এবং অডিও স্লো মোশন করাটাও সম্ভব। এছাড়া, একাধিক ভিডিও ক্লিপ গুলোকে জোড়া লাগানো, ভিডিওতে সাউন্ড ট্র্যাক যুক্ত করা, কালার ফিল্টার এপ্লাই করার মতো নানান অপসন গুলো আপনারা পাবেন।
Adobe Premiere Rush App Features:
- Adobe Premiere Rush-থেকে সরাসরি ভিডিও/ইমেজ ক্যাপচার করা যায়।
- ভিডিও Trim এবং crop করার অপসন পাবেন।
- ভিডিও ক্লিপ গুলোকে flip এবং mirror করার অপসন।
- Speed controls-এর দ্বারা ভিডিওর স্পিড নিয়ন্ত্রণ করা যাবে।
- প্রচুর royalty-free soundtracks, sound effects, এবং loops পাবেন।
৩. PowerDirector
টোটাল ডাউনলোড: 100M+
রেটিং: 4.4
PowerDirector App-টি ব্যবহার করে আপনি আপনার যেকোনো সাধারণ একটি ভিডিওকে আকর্ষিত এবং প্রফেশনাল ভাবে এডিট করে নিতে পারবে।
এর দ্বারা আপনারা ভিডিওর ব্যাকগ্রাউন্ড বদলানো, ভিডিওতে নানান ট্রেন্ডিং AI effects যুক্ত করা, ভিডিও কাটা এবং জোড়া লাগানো, স্লো মোশন ইফেক্ট যুক্ত করা, ইত্যাদি এই ধরণের বিভিন্ন প্রফেশনাল টুল এবং ভিডিও এফেক্টস গুলো কাজে লাগাতে পারবেন।
চাইলে, ছবি দিয়ে ভিডিও বানানো এবং ভিডিওর ব্যাকগ্রাউন্ড পরিবর্তন করার মতো অ্যাডভান্স ভিডিও এডিটিং ফীচার গুলিও কাজে লাগাতে পারবেন।
ভিডিও গুলো এডিট করার পর আপনারা সেই ভিডিও ফাইল ৭২০p, Full HD ১০৮০p এবং 4k ফরম্যাটে নিজের android মোবাইলের গ্যালারিতে সেভ করতে পারবেন। মোবাইলে ভিডিও এডিটিং করার সেরা অ্যাপ হিসেবে আপনি PowerDirector অ্যাপটি অনেক পছন্দ করে থাকি।
PowerDirector App Features:
- 4K resolution সহ ক্লিক গুলো এক্সপোর্ট করা যায়।
- Trim, cut, splice এবং rotate-এর মতো অপসন গুলো আছে।
- video গুলোতে text এবং animated title গুলো যুক্ত করা যায়।
- আগের থেকে উপলব্ধ নানান ভিডিও টেম্পলেট গুলো ব্যবহার করা যায়।
৪. LightCut -AI Auto Video Editor
টোটাল ডাউনলোড: 1M+
রেটিং: 4.8
LightCut, হলো একটি অনেক শক্তিশালী AI video editor যেখানে দারুন এবং প্রফেশনাল video templates এবং video effects গুলো সম্পূর্ণ ফ্রীতে ব্যবহার করে আকর্ষণীয় ভিডিও এবং শর্টস গুলো তৈরি করা যেতে পারে।
এখানে দিয়ে দেওয়া AI video editing-এর অপশনটি কাজে লাগিয়ে শুধুমাত্র একটি ক্লিকের তৈরি করে নিতে পারবেন মজার ভিডিও গুলো। এখানেও, ভিডিও ক্লিপ জোড়া লাগানো, ভিডিওতে টেক্সট, সাউন্ড, ইফেক্ট ইত্যাদি যুক্ত করার মতো একাধিক অপসন গুলো আপনি পাবেন।
LightCut ব্যবহার করার জন্য আপনাকে একজন প্রফেশনাল ভিডিও এডিটর হতে হবেনা। কেননা এটা একটি দারুন all-in-one video editor app যেটিকে একজন নতুন এবং পেশাদার ব্যবহারকারী উভয়ই ব্যবহার করতে পারবেন।
LightCut App Features:
- নানান ট্রেন্ডিং ভিডিও টেম্পলেট গুলো পাবেন।
- App-থেকে সরাসরি প্রফেশনাল ভাবে ভিডিও শুট করা যায়।
- ভিডিওতে নানান Effects, Transitions এবং Filters গুলো যুক্ত করা যায়।
- AI ভিডিও এডিটিং এর সুবিধা।
৫. GoPro Quik: Video Editor
টোটাল ডাউনলোড: 1Cr+
রেটিং: 4.5
GoPro Quik, আমার হিসেবে একটি অনেক দারুন এবং সেরা মোবাইল ভিডিও এডিটিং সফটওয়্যার যেখানে অটোম্যাটিক ভিডিও এডিটিং এর অপসনটি পেয়ে যাবেন। এছাড়া এখানে পাবেন অনেক সাধারণ তবে শক্তিশালী এডিটিং টুলস, যেখানে manual control এবং multi-selection timeline এর সুবিধা দেওয়া হয়েছে।
ভিডিও গুলোকে স্লো এবং ফাস্ট করার জন্য ব্যবহার করতে পারবেন super slow, fast বা freeze অপশনের। এগুলো ছাড়াও, cinematic transitions, filters, এবং প্রচুর effects গুলো নিজের ভিডিওতে এপ্লাই করে নিতে পারবেন।
৬. Kinemaster – Pro
টোটাল ডাউনলোড: 100M+
রেটিং: 4.3
KineMaster, এমন একটি ভিডিও এডিটর যেটা advanced এবং professional ভিডিও তৈরি করার জন্য সব দিক দিয়ে সক্ষম। এই ভিডিও এডিটরটি ব্যবহার করে আপনারা মোবাইলেই কম্পিউটারের মতো ভিডিও বানাতে বা এডিট করতে পারবেন।
Kinemaster-এর মধ্যে আপনি High quality templates এবং পাশাপাশি AI style এবং Visual Effects এর মতো নানান আধুনিক এবং শক্তিশালী এডিটিং টুলস গুলো পেয়ে যাবেন। এছাড়া, ব্যাকগ্রাউন্ড রিমুভ করা, ভিডিওতে ট্রানসিশন এপ্লাই করা, ভিডিওতে টেক্সট-স্টিকার এবং অডিও যুক্ত করার মতো বেসিক ফীচার এবং টুলস গুলো তো পাচ্ছেনই।
KineMaster আপনারা ফ্রীতেই ব্যবহার করতে পারবেন। কিন্তু, watermark সরিয়ে ফুল প্রিমিয়াম ফিচারস গুলো পাওয়ার জন্য আপনাকে এর প্রিমিয়াম ভার্সনটি কিনে নিতে হবে।
KineMaster App Features:
- Cut video, trim video, splice video, merge, ইত্যাদি।
- ভিডিওতে photos, stickers, effects, fonts, text এবং 3D materials যুক্ত করা।
- ভিডিওতে transition effects, voice changer, color filters এপ্লাই করা যায়।
- Copyright-free music, sound effects এবং audio effects গুলো পাবেন।
- Chroma key এবং slow motion এর মতো অ্যাডভান্স ফীচার গুলো আছে।
৭. Magisto – Video Editor & Music
টোটাল ডাউনলোড: 50M+
রেটিং: 4.2
Magisto, ব্যবহার করে কেবল ৩টি স্টেপ সম্পূর্ণ করেই আপনারা আকর্ষণীয় এবং প্রফেশনাল ভাবে ভিডিও গুলোকে বানাতে এবং এডিট করতে পারবেন। ভিডিওতে নানান ফিল্টার এবং এফেক্ট গুলো যুক্ত করা ও কালার এবং স্টিকার যুক্ত করার মতো নানান বেসিক এডিটিং গুলো এই অ্যাপ দিয়ে অনেক আরামে করে নিতে পারবেন।
Magisto App Features:
- Music Slideshow, Collage এবং Movie Maker।
- AI smart editing এর সুবিধা রয়েছে।
- Birthday Greetings, Event Invitations, Anniversary, নানান ভিডিও টেম্পলেট গুলো আছে।
- Cut, trim, merge এবং reorder-এর মতো বেসিক টুলস গুলো আছে।
- ভিডিওতে টেক্সট এবং স্টিকার যুক্ত করা যায়।
৮. Splice – Free Video Editor
টোটাল ডাউনলোড: 5M+
রেটিং: 3.8
Video editing এর ক্ষেত্রে আমাদের ভিডিও গুলোকে প্রচুর Trimming এবং Cropping করতে হয়। এই ধরণের trimming এর কাজ গুলো এই video editor app দিয়ে অনেক সহজেই করা যাবে।
এছাড়া, এই app বর্তমানে iOS এবং Android উভয় platform এর জন্যে উপলব্ধ রয়েছে। এই ফ্রি ভিডিও এডিটর এপস এর মধ্যে আপনারা প্রত্যেক basics of video editing tools গুলো পাবেন।
মূলত, যদি আপনি নতুন করে mobile video editing করতে চলেছেন, তাহলে বিশেষ করে এই app ব্যবহার করুন। কেননা, এই application-এর মধ্যে easy-to-tools গুলো অনেক সহজেই ব্যবহার করা যাবে। এডিট করা ভিডিও গুলোকে আপনারা সরাসরি social media platform গুলোতে export করতে পারবেন।
৯. Mojo – Stories & Reels maker
টোটাল ডাউনলোড: 10M+
রেটিং: 4.5
Mojo এপ্লিকেশনটিও iOS এবং Android দুটো platform এর জন্যেই উপলব্ধ রয়েছে। Video editing-এর জন্যে আপনি ব্যবহার করতে পারবেন বিভিন্ন animated templates গুলো। এছাড়া, থাকছে millions of stock content যেগুলো নিজের ভিডিও গুলোতে যোগ করতে পারবেন।
এই ভিডিও এডিটর মূলত ব্যবহার করা হয় সোশ্যাল মিডিয়ার জন্যে ভিডিও এডিট করার জন্যে। আপনিও যদি নিজের Facebook page, Instagram ইত্যাদির জন্যে video edit করতে চাইছেন, তাহলে Mojo অবশই ব্যবহার করুন।
এছাড়া, নিজের social media profile গুলোর জন্যে Stories এবং Reels maker বানানোর জন্যে এই app উত্তম।
১০. Lightroom Photo & Video Editor
টোটাল ডাউনলোড: 100M+
রেটিং: 4.6
Adobe-এর তরফ থেকে থাকা Lightroom Photo & Video Editor-এর নাম শুনেই আপনারা হয়তো বুঝতে পারছেন যে এটা একটি দারুন ভিডিও এডিটর হওয়ার সাথে সাথে ভালো photo editor এবং একটি camera app.
Adobe Photoshop Lightroom একটি free app এবং সম্পূর্ণ ফ্রীতে এই এপস ব্যবহার করতে পারবেন। Video editing এর জন্যে এখানে মূলত থাকছে বিভিন্ন Premium video editing features.
যেমন, Apply presets, edit, trim & retouch videos, fine-tune contrast, highlights, vibrance এবং আরো। এছাড়া, PREMIUM MEMBERSHIP-এর দ্বারা আপনারা এর অন্যান্য premium features গুলো ব্যবহার করতে পারবেন।
মোবাইল দিয়ে ভিডিও এডিটিং করার অন্যান্য কিছু সফটওয়্যার
এখন আমরা অন্যান্য সেরা এবং নতুন মোবাইল ভিডিও এডিটিং অ্যাপস গুলোর নাম গুলো জানবো।
- VideoShow
- Vizmato
- InShot
- Funimate
- PicPlayPost
- Videoshop
- Vimeo Create
ওপরে বলে দেওয়া প্রত্যেকটি এপস গুলো আপনারা Google Play Store থেকে ডাউনলোড করে ব্যবহার করতে পারবেন। আপনারা একাধিক apps গুলো একে একে ব্যবহার করে দেখে নিয়ে শেষে নিজের পছন্দের app-টি ব্যবহার করার পরামর্শ আমি দিবো।
আমাদের শেষ কথা,
তাহলে বন্ধুরা, আপনারা যদি ইউটিউবের জন্য মোবাইলেই ভিডিও এডিট করতে চান এবং কম্পিউটারের মতো প্রফেশনাল ভিডিও তৈরি করতে চান, তাহলে ওপরে দেয়া ১০টি ফ্রি ভিডিও এডিট করার সফটওয়্যার ব্যবহার করতে পারেন।
ভিডিও এডিট করার এই অ্যাপস গুলি ফ্রীতেই ব্যবহার করতে পারবেন এবং এগুলি অনেক শক্তিশালী ভিডিও মেকার এপস। তাহলে আশা করছি, মোবাইলে কিভাবে ভিডিও এডিট করা যায় ? এই প্রশ্নের উত্তর আপনারা অবশই পেয়েছেন।
আসসালামু আলাইকুম, ভাই আমি মোবাইল দিয়ে ভিডিও এডিটিং করতে চাই মোটামুটি কত টাকা দাম দিয়ে মোবাইল কিনতে হবে এবং কি মোবাইল একটু সাজেস্ট করবেন দয়া করে।
৪ জিবি র্যাম সহ একটি quad core processor থাকা মোবাইল কিনুন।
খুব ভালো content । তবে mobile দিয়ে online video editing tools গুলাও use করা যায়। এতে apps install এর প্রয়োজন হয় না।
একদম সঠিক বলেছেন।