২০২০ এ ব্লগিং ক্যারিয়ারে সফলতা পাওয়ার ৭ জরুরি টিপস

Blogging tips in Bangla – বর্তমান সময়ে blogging এর মাধ্যমে যে প্রচুর টাকা ইনকাম করা সম্ভব, সেবিষয়ে আমরা প্রত্যেকেই জানি।

ব্লগিং এ সফলতা পাওয়ার উপায়

আজকাল তো, বাংলা ব্লগ তৈরি করে আয় করাটাও অনেক সহজ ব্যাপার হয়ে দাঁড়িয়েছে।

যেভাবে আমি নিজেই করছি।

আমি ব্লগ থেকে মাসে কত টাকা আয় করছি, সেবিষয়ে তো আপনাদের আগেই বলেছি।

তবে, মনে রাখবেন যে ব্লগিং করে টাকা যায় করার বিষয়টা বর্তমানে অনেক জনপ্রিয় একটি বিষয়।

তাই, প্রায় প্রত্যেকেই নিজের ব্লগ থেকে টাকা আয় করার উদ্দেশ্যে নিজের নিজের ব্লগ তৈরি করে রেগুলার সেখানে আর্টিকেল পাবলিশ করছেন।

ফলে, ২০২০ এর শেষ সময় পর্যন্ত blogging এর career বা profession এ প্রচুর competition এর সৃষ্টি হয়েছে।

Blog এর তুলনায় বর্তমানে YouTube video র জনপ্রিয়তা অধিক হয়ে দাঁড়িয়েছে।

তাছাড়া, প্রত্যেক দিন গুগল অ্যালগরিদম গুলোর নতুন নতুন আপডেট এর ফলে গুগল সার্চে আর্টিকেল র্যাংক (rank) করানোটা এখন আর আগের মতো সহজ কাজ না।

এটা হওয়ারি ছিলো,

কেননা, আমি আগেই বলেছি যে, Internet থেকে টাকা আয় করার সেরা ও লাভজনক মাধ্যম হলো blogging.

তাই, প্রায় প্রত্যেকেই blogging business করার কথাই ভাবছেন।

এখন প্রশ্ন হলো, ২০২০ এর এই প্রতিযোগিতার মধ্যে ব্লগিং এর ক্যারিয়ারে সফল হবেন কিভাবে ?

কিভাবে নিজের ব্লগের জনপ্রিয়তা ও traffic বাড়িয়ে নিবেন ?

এই প্রশ্ন গুলো অবশই আপনাদের মাথায় এসে থাকে।

তবে, এই আর্টিকেলে আমি আপনাদের এমন কিছু blogging tips দিবো, যেগুলো আমি নিজেই ব্যবহার করছি।

তাছাড়া, ২০২০ এর এই competitive blogging profession এর ক্ষেত্রে আপনার এই point গুলো মেনে কাজ করাটা অনেক জরুরি।

২০২০ এ ব্লগিং ক্যারিয়ারে সফলতা পাওয়ার জন্য জরুরি ৭ টিপস – (Blogging tips in Bengali)

বন্ধুরা, গত ২ থেকে ৩ বছরের মধ্যে শুরু করা অনেক নতুন নতুন ব্লগার রা আজ সফল হয়ে দাঁড়িয়েছেন।

আমি নিজেও প্রায় ৩ বছর আগে আমার এই বাংলা ব্লগ আরম্ভ করেছিলাম।

বর্তমান সময়ে আমার ব্লগ একটি ভালো অবস্থানে (position) আছে বলে আমি ভাবি।

তবে আমি নিজেকে কোনো blogging expert হিসেবে বলিনা, কেননা এখনো অনেক কিছুই শিখা বাকি।

কিন্তু, ২০২০ এর এই আধুনিক সময়ে blogging এর profession এ রয়েছে প্রচুর competition.

আপনার মতোই হাজার হাজার লোকেরা একি বিষয়ে ব্লগ তৈরি করে গুগলে জমা দিচ্ছেন।

তাই, আপনি যদি কেবল hard work করছেন এবং smart work করছেননা,

তাহলে blogging এর field এর মধ্যে বেশিক্ষন থাকতে পারবেননা।

তাই, বর্তমানে blogging profession এ আমি এবং অনেক সফল ব্লগাররা কোন tips গুলো করছেন,

সেই blogging tips গুলো নিচে জেনেনিন।

১. নিজের ব্লগিং টীম তৈরি করুন 

দেখুন ব্লগিং এর ক্ষেত্রে এক কাজ করাটা যথেষ্ট। এক কাজ করেই আপনি ভালো পরিমানের টাকা আয় করতে পারবেন।

তবে, যদি আপনি ব্লগিং থেকে কেবল ১০,০০০/- থেকে ৫০,০০০/- এর মধ্যে টাকা আয় করতে চাচ্ছেন,

তাহলে একা কাজ করলেই হবে।

কিন্তু যদি আপনার উদ্দেশ্য লক্ষ লক্ষ টাকা ইনকাম করার, তাহলে কিন্তু team তৈরি করে কাজ করতে হবে।

কেননা, একা একা আপনি অধিক আর্টিকেল পাবলিশ করতে পারবেননা।

যদি আপনার একটি টিম থাকে, তাহলে প্রায় প্রত্যেক দিন আপনি একটি করে আর্টিকেল নিজের ব্লগে পাবলিশ করতে পারবেন।

দেখুন, যত বেশি আর্টিকেল আপনি ব্লগে পাবলিশ করবেন, ততটাই অধিক গুগল অর্গানিক ট্রাফিক পাওয়ার সুযোগ হয়ে উঠবে।

আর, ব্লগে যত বেশি গুগল অর্গানিক ট্রাফিক আসবে, ততটাই অধিক ইনকাম আপনার হবে।

তাই আমি পরামর্শ দিবো,

নিজের একটি টীম বানিয়ে কাজ শুরু করুন।

একটি ভালো writer এর সাথে যোগাযোগ করুন এবং তাকে আপনার ব্লগের জন্য আর্টিকেল লিখতে বলুন।

ধ্যান রাখবেন, যেকোনো নতুন writer কে দিয়ে আর্টিকেল লিখাবেন্না।

একজন ভালো writer কে দিয়ে সঠিক ভাবে আর্টিকেল লিখানোটা অনেক জরুরি।

প্রথমেই, ১০ টা writer কে দিয়ে আর্টিকেল লিখানোর কোনো প্রয়োজন নেই।

আপনি, কেবল ১ টি ভালো রাইটার কে দিয়ে কাজ করিয়ে নিলে সেটাই যথেষ্ট।

২. একটি ইউটিউব চ্যানেল তৈরি করুন 

এখন যখন আপনার কাছে একটি ভালো টীম রয়েছে, তাই আপনি তাদেরকে কেবল আর্টিকেল লিখার কাজ দিন।

এবং আপনি নিজের ব্লগ আর্টিকেল গুলোর সাথে জড়িত video তৈরি করুন।

প্রত্যেকটি আর্টিকেলের জন্য ভিডিও তৈরি করে সেগুলো নিজের YouTube চ্যানেলে আপলোড করুন।

এবং, Video গুলোকে নিজের আর্টিকেলের মধ্যে embed অবশই করুন।

এতে, আপনার ব্লগ আর্টিকেল পড়তে আসা visitors রা ভিডিওর মাধমেও তথ্য গুলো জেনে যেতে পারবেন।

তাছাড়া, যদি ভিসিটর্স রা ভিডিওর মাধ্যমে আপনার ব্লগের আর্টিকেল পেজে অধিক সময় থাকেন,

তাহলে ওয়েব পেজের bounce rate কম থাকবে।

আর, ব্লগের bounce rate কম থাকা মানেই Google search এর মধ্যে ভালো ranking পাওয়া।

তাছাড়া, একটি আলাদা করে YouTube channel থাকলে, নিজের upload করা ভিডিও গুলোর description এ ব্লগ আর্টিকেলের লিংক দিয়ে দিতে পারবেন।

ফলে, ব্লগে ইউটিউবের থেকেও প্রচুর traffic আসবে।

তাই, আপনার blog এর সাথে জড়িত YouTube channel টি ব্লগের জন্য marketing এর কাজ করবে।

যদি আপনি ভিডিও তৈরি করতে পারছেননা, তাহলে ভিডিও কনটেন্ট তৈরি করার জন্য আলাদা করে টীম তৈরি করতে করুন।

৩. নিজের ব্লগ টিকে একটি ব্র্যান্ড হিসেবে তৈরি করুন 

ব্লগিং এর ক্ষেত্রে আমাদের সবচে বড় ভুল এটাই যে, আমরা Google search traffic এর ওপরে নির্ভরশীল থাকি।

কিন্তু, এটা একেবারেই ভালো কথা না যদি আপনি বর্তমানে ব্লগিং ক্যারিয়ারে সফলতা চাচ্ছেন।

মনে রাখবেন, যখন আপনার ব্লগের নাম টি তার পরিচয় হয়ে দাঁড়াবে, তখন বাস্তবে আপনার ব্লগিং ক্যারিয়ার সফল হবে।

তাই, সব সময় নিজের ব্লগটিকে আলাদা আলাদা social media network গুলোতে প্রচার করবেন।

চেষ্টা রাখবেন, যাতে আপনার ব্লগের সাথে অধিক থেকে অধিক লোকেরা সংযুক্ত হতে পারে।

তাছাড়া, নিজের ব্লগের মধ্যে “e-mail subscription box” অবশই ব্যবহার করবেন।

এতে, ইমেইল এর মাধ্যমে লোকেরা আপনার ব্লগের সাথে connected থাকতে পারবেন।

এবং, যখনি আপনি নিজের ব্লগে আর্টিকেল publish করবেন, তখন আপনার email subscribers রা সেই আর্টিকেলের বিষয়ে জেনেনিতে পারবেন।

ফলে, গুগল সার্চ ছাড়াও আপনারা ব্লগে direct traffic পেতে থাকবে।

এভাবে, কিছু ছোট ছোট প্রক্রিয়ার মাধ্যমে আপনি নিজের ব্লগ টিকে প্রচার করতে পারবেন এবং লোকেদের নজরে একটি ব্র্যান্ড (brand) বানিয়ে নিতে পারবেন।

৪. কোন মাধ্যমে টাকা আয় করবেন ?

আপনি নিজের ব্লগ থেকে কোন কোন মাধ্যমে টাকা আয় করার কথা ভাছেন, সেটা মাথায় রেখে ব্লগিং করতে হবে।

মানে, যদি আপনি কেবল গুগল এডসেন্স থেকে ইনকাম করার কথা ভাবছেন, তাহলে সেই হিসেবে আর্টিকেল লিখতে হবে।

আর যদি affiliate marketing এর মাধ্যমে টাকা আয় করার কথা ভাবছেন,

তাহলে শুরুতেই একটি ভালো niche এর বাছাই করে ব্লগ তৈরি করতে হবে।

Google AdSense এর মাধ্যমে ইনকাম করাটা যদি আপনার উদ্দেশ্য,

তাহলে ভালো করে কীওয়ার্ড রিসার্চ করুন এবং কেবল লাভজনক keywords গুলো খুঁজে ও target করে আর্টিকেল লিখুন।

যেকোনো ধরণের low quality article লিখলে, এডসেন্সের মাধ্যমে ভালো ইনকাম আপনার হবেনা।

সঠিক কীওয়ার্ড টার্গেট করে তথ্যবহুল কনটেন্ট পাবলিশ করলেই আপনি ভালো ইনকাম করতে পারবে।

৫. ব্লগের প্রমোশন করাটা জরুরি 

বর্তমান সময়ে, online promotion এবং marketing এর ফলে যেকোনো ধরণের apps, website এবং video জনপ্রিয় হয়ে দাঁড়ায়।

তাই, ২০২০ এ আপনার নিজের ব্লগের promotion ও marketing নিয়ে অবশই ভাবতে হবে।

নিজের ব্লগের একটি Facebook এবং Twitter page অনেক জরুরি।

ব্লগে আর্টিকেল লিখার পর সেগুলো নিজের social media page গুলোতে publish করাটা blog promotion এর প্রথম তবে অনেক জরুরি ধাপ।

তাছাড়া, paid advertisement করাটা শিখতে হবে।

বর্তমানে, অনেক নতুন নতুন website বা app গুলো কিছু টাকা invest করে paid social media marketing করেন।

ফলে, কেবল কিছু টাকার বিপরীতে তারা নতুন অবস্থায় অনেক জনপ্রিয় হয়ে দাঁড়ান।

তাই, লোকেদের মধ্যে নিজের ব্লগ ও ব্লগের কনটেন্ট গুলোকে তাড়াতাড়ি প্রচার করার জন্য, ব্লগের প্রমোশন অনেক জরুরি।

আপনি অনেক সহজেই, YouTube, Instagram, Twitter ইত্যাদি social media network গুলোতে নিজের blog এর প্রচার শুরু করতে পারবেন।

তাছাড়া, আপনি নিজেই ব্লগ প্রমোশন এর নতুন নতুন আইডিয়া বের করে সেই হিসাব নিজের ব্লগ এর প্রচার করুন।

৬. স্মার্ট ওয়ার্ক করতে হবে হার্ড ওয়ার্ক না 

বর্তমান ২০২০ এর সময়ে ব্লগিং এর ক্ষেত্রে সবচেয়ে বিপদজনক বিষয়টা হলো “competition”.

আপনার প্রতিযোগীরা যদি আপনার থেকে অধিক ভালো কাজ করে নেন,

তাহলে অবশই তারা আপনার থেকে ওপরে চলে যাবে এবং আপনি নিচে পরে যাবেন।

তাই, এখন আর হার্ড ওয়ার্ক (hard work) করলে কাজ চলবেনা।

আপনাকে, স্মার্ট ভাবে কাজ করতে হবে। 

  • মাসে কমেও ১৫ টি আর্টিকেল পাবলিশ করতে হবে। Consistency বজায় না রাখতে পারলে আপনার প্রতিযোগীরা এগিয়ে যাবে।
  • Content এর quality এবং ঘনত্ব সঠিক থাকতে হবে। আপনি কেবল যেকোনো ভাবে একটি আর্টিকেল লিখলে কাজ হবেনা। তথ্যবহুল কনটেন্ট পাবলিশ করতে হবে।
  • একা সব কাজ করা সম্ভব না। একা আপনি অধিক আর্টিকেল পাবলিশ করতে পারবেননা। তাই, নিজের একটি টীম তৈরি করে প্রফেশনাল ভাবে কাজ করুন।
  • যেকোনো আর্টিকেল লিখার আগেই সেই আর্টিকেলের জন্য কিছু keyword target করুন। কীওয়ার্ড রিসার্চ অনেক জরুরি।
  • অধিক competitive keywords গুলো target করবেননা, সেগুলোকে গুগলে সার্চে rank করাতে অনেক কষ্ট হবে।
  • সহজেই যাতে গুগলে ranking পাওয়া যায়, সেই উদ্দেশ্যে কেবল low quality keywords গুলোকেই target করুন।

তাই, মনে রাখবেন ২০২০ সালে ব্লগিং এর ক্যারিয়ার এ সফলতা পাওয়ার জন্য, আপনাকে সম্পূর্ণ planning করে কাজ করতে হবে।

কিভাবে কাজ করবেন, আর্টিকেল এর স্ট্রাকচার কি হবে, কিভাবে কীওয়ার্ড রিসার্চ করবেন, সব কিছুর একটি প্ল্যান থাকা দরকার।

৭. আজকেই শুরু করুন 

মনে রাখবেন আপনি যত দেরি করবেন ক্ষতি আপনার হবে।

একটি survey করা জানা গেছে যে বর্তমানে প্রত্যেক দিন প্রায় ৫ মিলিয়ন এর অধিক ব্লগ পোস্ট পাবলিশ হয়ে থাকে।

তাই, আপনি যদি একদিন আর্টিকেল পাবলিশ না করে থাকেন, তাহলে মনে রাখবেন যে হাজার হাজার লোকেরা তাদের ব্লগে আর্টিকেল পাবলিশ করে নিয়েছেন।

আর তাই, হতে পারে যে তারা একদিন আপনাকে সরিয়ে আপনার জায়গা নিয়ে নিবেন।

এজন্যেই আমি আপনাদের বিষয়টি নিয়ে ভাবার জন্য জোর দিচ্ছি।

আজকের থেকেই সঠিক planning এর সাথে কাজ শুরু করুন।

আর যতটা সম্ভব, প্রত্যেক দিন কিছু না কিছু আর্টিকেল পাবলিশ করার চেষ্টা রাখুন।

এতে, গুগল বোট এবং ভিসিটর্স দুজনেরি কাছে আপনার ব্লগ এর reputation সব সময় ভালো থাকবে।

কেবল ভাবা দিয়ে কিছু হবেনা। কেবল স্বপ্ন দেখলে সেগুলো নিজে নিজে সত্যি হয়ে যায়না।

স্বপ্ন কে সত্যি বানাতে হয়। আর, তার জন্য জরুরি হলো hard work এর সাথে smart work আর সঠিক পরিকল্পনা।

ব্লগিং এর প্রফেশনে প্রচুর ভিড় রয়েছে। আপনাকে, এই ভিড়ের মধ্যে থেকে বের হয়ে এগিয়ে যেতে হবে।

নিজের ব্লগ এবং ব্লগের কনটেন্ট গুলোকে লোকেদের কাছে নিয়ে যেতে হবে। আর তাই, আজকেই কাজ শুরু করুন এবং সঠিক পরিকল্পনার সাথে।

আজকে আমরা কি শিখলাম ?

বন্ধুরা, আজকে আমরা কিছু “Bangla blogging tips” এর বিষয়ে জানলাম।

২০২০ সালে ব্লগিং এর প্রফেশনে সফল হতে লাগলে, অবশই ওপরে দেওয়া বিষয় গুলো নিয়ে কাজ করতেই হবে।

এখন আর সেই সময় নেই, যেখানে কেবল আর্টিকেল লিখে ব্লগে পাবলিশ করলেই কাজ হয়ে যেত।

এখন সেই সময়, যেখানে আপনার SEO, keyword research, marketing, promotion, content quality ইত্যাদি বিষয় গুলোতে সঠিক ভাবে কাজ করতে হবে।

তাই, যদি আপনি সঠিক প্রক্রিয়া ও পরিকল্পনা নিয়ে কাজ করছেন, তাহলে success অবশই পাবেন।

বন্ধুরা, ব্লগিং এর ক্ষেত্রে আপনাকে সময় দিয়ে কাজ করতে হবে। এক দিনে সফল ব্লগার হওয়া ব্যক্তি আমি দেখিনি।

তাই, যদি আপনার কাছে সময় আছে, তাহলে সফলতা পাওয়ার সুযোগ অবশই আছে।

Leave a Comment

Your email address will not be published. Required fields are marked *

error:
Scroll to Top