বর্তমান সময়ে কসমেটিক প্রডাক্ট এর ব্যবহার এবং চাহিদা প্রচুর বৃদ্ধি পেয়েছে।
তাই, যদি আপনি একটি product based business শুরু করতে চাচ্ছেন, তাহলে মুদির দোকান বা খাবারের দোকানের তুলনায় কসমেটিকস প্রোডাক্ট এর দোকানে প্রচুর লাভ হওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে।
কিছুটা মার্কেট রিসার্চ করে আপনি একটি ভালো জায়গাতে দোকান নিয়ে এই কসমেটিক ব্যবসা শুরু করতে পারবেন।
তাছাড়া, কসমেটিকস ব্যবসার ক্ষেত্রে বিভিন্ন ধরণের products রয়েছে যেগুলো নিয়ে business শুরু করতে পারবেন।
আসছে কিছু বছরের মধ্যে, cosmetic industry এখনের তুলনায় আরো অধিক লাভজনক হিসেবে প্রমাণিত হবেই।
তাই, নতুন করে product based business বা store চালু করার কথা যারাই বা ভাবছেন, এই কসমেটিক মার্কেটে একবার কাজ করে দেখুন।
Cosmetic products প্রচুর আলাদা আলাদা company গুলোর দ্বারা তৈরি করা হচ্ছে।
এই আলাদা আলাদা company গুলোর মধ্যে কিছু branded company এবং কিছু local company.
আর এই বিভিন্ন কোম্পানি গুলোর products গুলো আপনারা অনেক বেশি মার্জিন রেখে বিক্রি করতে পারবেন।
তবে, beauty এবং cosmetic business এর ক্ষেত্রে যদি আপনারা ভালো করে planning না করেই ব্যবসা শুরু করতে চলেছেন,
তাহলে, এই ব্যবসা আপনার জন্য ক্ষতিকারক হিসেবে প্রমাণিত হতে পারে।
এখনের সময়ে বাজারে প্রচুর মেকাপ বা কসমেটিক এর দোকান বা ব্যবসা রয়েছে।
তাই, নিজেকে অন্যান্য ব্যবসা গুলোর থেকে ওপরে রাখার জন্যে, আপনাকে কিছু creative marketing concepts এবং strategies নিয়ে কাজ করতে হবে।
এমন কিছু আধুনিক এবং কিছু আলাদা beauty products গুলো নিয়ে মার্কেটে নেমে পরতে হবে, যেগুলো products এর চাহিদা প্রচুর।
এই আর্টিকেলের মাধ্যমে, আমি আপনাদের এমন ৯ টি টিপস দিতে চলেছি,
যেগুলো ভালো করে অনুসরণ করার পর আপনারা একটি সফল কসমেটিকস ব্যবসা শুরু করতে পারবেন।
কসমেটিক ব্যবসা কিভাবে শুরু করতে হবে ?
যেকোনো অন্যান্য ব্যবসার মতোই কসমেটিক এর ব্যবসাতেও আমাদের বিভিন্ন বিষয় গুলো দেখে সঠিক প্লানিং করে ব্যবসা শুরু করতে হবে।
তাই, নিচে আমি এমন কিছু points বলে দিয়েছি, যেগুলো অনুসরণ করে নিজের কসমেটিক এবং মেকআপ পণ্যের ব্যবসা সফলতাপূর্বক শুরু করতে পারবেন।
তাহলে চলুন, নিচে প্রত্যেকটি পয়েন্ট গুলো আমরা জেনেনেই।
১. ব্যবসার সঠিক প্লানিং (planning) জরুরি
আপনি যদি cosmetic business শুরু করার কথা ভাবছেন, তাহলে আপনাকে সঠিক প্লানিং অবশই করতে হবে।
কেবল কসমেটিক বিজনেস এর ক্ষেত্রেই নয়, যেকোনো ব্যবসা চালু করার আগে সঠিক plan থাকাটা জরুরি।
এখন হয়তো আপনি ভাবছেন যে কোন বিষয়ে পরিকল্পনা (plan) রাখাটা জরুরি ?
দেখুন, ব্যবসার ক্ষেত্রে আপনাকে আগেই ভেবে রাখতে হবে যে কিভাবে ব্যবসাটি শুরু করবেন।
ব্যবসার জন্যে জায়গা, কোন কোন প্রডাক্ট রাখবেন, products গুলো কোন supplier/company থেকে কিনবেন, প্রত্যেক মাসে কত করে লাভ রাখার চেষ্টা থাকবে এবং মার্কেটিং কিভাবে করবেন।
এই প্রত্যেকটি বিষয়ে আপনার আগের থেকে পরিকল্পনা করে রাখতেই হবে।
এতে, আপনার মনের মধ্যে আপনার লক্ষ্য (goal) স্পষ্ট ভাবে প্রকাশ পাবে।
তাছাড়া, আগের থেকেই সবটা প্ল্যান করে রাখার ফলে কাজ গুলো নির্ভুল ভাবে ধাপে ধাপে হতে থাকবে।
তাই, নিজের কসমেটিক বিজনেস শুরু করার আগেই ব্যবসার সাথে জড়িত জরুরি প্লানিং (planning) গুলো করতে হবে।
২. মার্কেট এর বিষয়ে জ্ঞান রাখতে হবে
মার্কেটে কিরকম cosmetic / beauty products অধিক বেশি চলছে সেই বিষয়ে জ্ঞান রাখতে হবে।
তার জন্যে আপনাকে কিছু দিন মার্কেটে গিয়ে রিসার্চ করতে হবে।
আপনি যদি কাস্টমার এর চাহিদা এবং রুচি বুঝে product এর তালিকা তৈরি করতে পারেন,
তাহলে অনেক কম টাকা ইনভেস্ট করে লাভজনক কসমেটিক ব্যবসা শুরু করতে পারবেন।
আবার, আপনি যদি গ্রাহকের চাহিদা না বুঝেই একেবারে সব রকমের beauty products উঠিয়ে রাখছেন,
তাহলে হতে পারে আপনার প্রচুর টাকা ইনভেস্ট করতে হবে এবং প্রত্যেক ধরণের পণ্য বিক্রি না হয়ে থাকলে, ব্যবসাতে loss হওয়ার সম্ভাবনা থাকবে।
তাই, কসমেটিক এর বিজনেস শুরু করার আগেই আপনাকে মার্কেট রিসার্চ করে দেখতে হবেই।
কোন কোম্পনির বিউটি প্রডাক্ট অধিক বিক্রি হচ্ছে, কোন ধরণের প্রডাক্ট লোকেরা অধিক পছন্দ করছেন, মার্কেটে কোন পণ্যের চাহিদা অধিক,
এই প্রত্যেকটি বিষয়ে লক্ষ্য রেখে কাজ শুরু করতে হবে।
৩. কোন product / product categories সিলেক্ট করব
যা আমি আগেই বললাম, আপনারা চাইলে প্রত্যেক ধরণের বিউটি, মেকআপ বা কসমেটিক প্রোডাক্ট নিয়ে কাজ শুরু করতে পারবেন।
তবে, সেক্ষেত্রে আপনার অধিক বেশি টাকা ইনভেস্ট করতে হবে।
তাছাড়া, প্রত্যেক ধরণের makeup / beauty products বাজারে চলতেই হবে বলে কথা নেই।
তাই, প্রথম অবস্থায় আপনাকে কিছু জনপ্রিয় এবং বিশেষ beauty products গুলো নিয়ে কাজ শুরু করতে হবে।
আর তারপর, ধীরে ধীরে গ্রাহকের চাহিদা বুঝে নতুন নতুন products / product categories যোগ করতে পারবেন।
উচিত দাম নিয়ে নিজের products গুলোর quality ভালো রাখার চেষ্টা করবেন।
বিউটি এবং কসমেটিক এর ব্যবসার ক্ষেত্রে পণ্যের কোয়ালিটি কিন্তু সব থেকে গুরুত্বপূর্ণ বিষয়।
তাই, কিছুটা সময় নিয়ে ভালো কোয়ালিটির প্রোডাক্ট কোথায় পাবেন সেবিষয়ে আগেই ভাবুন।
আপনার এবং আপনার প্রোডাক্ট এর ওপরে গ্রাহকের বিশ্বাস যতই বেশি থাকবে, আপনার পণ্যের বিক্রি ততটাই বাড়বে।
তাই, প্রথমে কিছুটা ভালো কোয়ালিটির selected products / categories নিয়ে কাজ শুরু করুন।
কিছু জনপ্রিয় কসমেটিক প্রোডাক্ট যেমন,
- Anti-Hair Fall Spa Kit
- Skincare pack
- Makeup products
- Haircare
- Personal care
- Makeup tools & brushes
- Face Primer
- Concealer
- Foundation
- Compact
- Contour
- Loose Powder
- Blush
- Bronzer
- BB & CC Cream
- Highlighters
- Setting Spray
- Makeup Remover
- Lipstick
- Liquid Lipstick
- Lip Crayon
- Nail Polish
- Nail Art Kits
- Nail Polish Sets
- Nail Care
- Facewash
- Moisturizer
- Face Wipes
- Kajal
- Eyeliner
- Mascara
- Eye Shadow
- Eye Brow Enhancers
এরকম অনেক অনেক beauty & makeup products রয়েছে যেগুলো নিয়ে আপনারা নিজের কসমেটিকস ব্যবসা শুরু করতে পারবেন।
তবে, এতগুলো product একসাথে নিয়ে ব্যবসা শুরু করাটা সবাইর পক্ষ্যে সম্ভব না।
তাই, কোন cosmetic products গুলো নিয়ে কাজ শুরু করবেন, সর্বপ্রথমে সেই বিষয়ে ভালো করে সিদ্ধান্ত নিতে হবে।
আপনি যদি কেবল কিছুটা লক্ষবস্তু প্রোডাক্ট ক্যাটাগরি নিয়ে ব্যবসা করছেন,
তবে আপনার দোকানে সেই ক্যাটেগরির অনেক ভালো কোয়ালিটির ভেরাইটি কসমেটিক প্রোডাক্ট লোকেরা ভালো দামে পেয়ে যাচ্ছেন,
তাহলে অবশই কেবল কিছু সিলেক্টেড প্রোডাক্ট ক্যাটাগরি নিয়েই দারুন মুনাফা (profit) আয় করতে পারবেন।
৪. ব্যবসার বাজেট সেট করুন
আপনি যেই হিসেবে পরিকল্পনা করে রেখেছেন সেই হিসেবেই আপনাকে নিজের ব্যবসার জন্যে বাজেট নির্ধারিত করতে হবে।
আপনি কিছু সীমিত products নিয়ে কাজ করতে চাইলে অনেক কম টাকায় কসমেটিক ব্যবসা শুরু করতে পারবেন।
তাছাড়া, যদি সম্ভব হয় তাহলে নিজের ঘর থেকেই এই ব্যবসা চালিয়ে বাজেট আরো কম রাখতে পারবেন।
তবে, আপনি যদি একেবারে অধিক products categories এর সাথে ব্যবসা শুরু করতে চাইছেন,
তাহলে অবশই আপনাকে প্রচুর টাকা ইনভেস্ট করতে হবে।
খুব কমেও বর্তমানে কসমেটিক ব্যবসা করার ক্ষেত্রে আপনার কাছে প্রায় Rs.2,00,000/- থেকে Rs.3,00,000/- টাকা থাকতে হবে।
কেননা, আপনাকে একটি দোকান এর জন্যে টাকা দিতে হবে, স্টক কিনতে হবে এবং অন্যান্য খরচ তো রয়েছেই।
৫. কোম্পানি রেজিস্টার করুন
যেকোনো ব্যবসা করার ক্ষেত্রে প্রত্যেক দেশের কিছু প্রয়োজনীয় নিয়ম-কানুন ও শর্তাবলী রয়েছে।
তাই, আপনাকে নিজের দেশের নির্দেশিকা পালন করেই কসমেটিকস এর ব্যবসা শুরু করতে হবে।
প্রয়োজনীয় প্রত্যেকটি licenses এবং approvals নিয়ে ব্যবসা আরম্ভ করুন।
বর্তমান সময়ে ব্যবসার ক্ষেত্রে license এর প্রয়োজন অবশই হবে এবং প্রত্যেক ব্যবসায়ীর ক্ষেত্রে এটা জরুরি।
তবে চিন্তা করবেননা, আপনি অনেক সহজে একটি legal consultant এর সাথে পরামর্শ করে অনেক সহজেই এই কাজ করিয়ে নিতে পারবেন।
৬. ব্যবসার লোকেশন কি হবে ?
আপনার দোকান বা ব্যবসার লোকেশন (location) কি হবে বা কিরকম হবে সেটা অনেক গুরুত্বপূর্ণ বিষয়।
কেননা, আপনার দোকান যদি একটি ভিড়-ভাড় জায়গায় থাকে তাহলে অবশই কসমেটিক দোকানের ক্ষেত্রে সেটা লাভজনক।
তাছাড়া, বাজার হাটের সামনে দোকানের লোকেশন হওয়াটাও ভালো।
ধ্যান দিবেন, কসমেটিক মেকাপ এবং বিউটি প্রোডাক্ট এর দোকানের ক্ষেত্রে, আপনার দোকান রাস্তা মুখোমুখি হওয়াটা জরুরি।
তবে আপনি চাইলে, ঘর থেকেও বা চাইলে অনলাইনেও একটি ওয়েবসাইট বানিয়ে এই কসমেটিকস বিজনেস করতে পারবেন।
কিন্তু, সেক্ষেত্রে আপনার প্রচুর পরিমানে মার্কেটিং অবশই করতে হবে।
৭. দোকান সেটআপ করুন
দোকানের লোকেশন বেছে নেওয়ার পর এখন আপনাকে নিজের দোকান সেটআপ করতে হবে।
দোকানের কোন জায়গায় কি কি product display করবেন,
সেই হিসেবে furniture এবং জরুরি জিনিস গুলো সেটআপ করুন।
মনে রাখবেন, আপনার দোকান বাইরের থেকে যত বেশি ভরা ভরা লাগবে, দোকানের প্রতি ততটাই আকর্ষণ বাড়বে।
তাই, কিভাবে products গুলোকে সাজাবেন সেটা অনেক গুরুত্বপূর্ণ বিষয়।
তাছাড়া, আপনার দোকানের ফ্রন্ট সাইড কোনটা হবে, দোকানে কি কি জরুরি সামগ্রী লাগবে,
সেই সব বিষয় গুলোতে নজর দিয়ে দোকানটি সেটআপ করুন।
৮. ভালো সাপ্লায়ার খুজুন
এরকম অনেক suppliers এবং wholesalers রয়েছেন, যারা আলাদা আলাদা দামে আপনাকে পণ্য দিবেন।
তাই, আপনাকে ভালো করে দাম-দর করে প্রোডাক্ট কিনে নিতে হবে।
যেই supplier আপনাকে অনেক ভালো কোয়ালিটির প্রোডাক্ট কম দামে দিতে রাজি হবে তার থেকেই স্টক কিনুন।
তাছাড়া, সর্বপ্রথমে আপনাকে অনেক suppliers দের কাছে গিয়ে প্রোডাক্ট, ভ্যারাইটি, দেওয়া দাম, অন্যান্য সুবিধা ইত্যাদি সবটা দেখে নিতে হবে।
এবং শেষে, যেখান থেকে products নিলে আপনার অধিক লাভ হবে সেখান থেকেই প্রোডাক্ট কিনুন।
৯. মার্কেটিং
যেকোনো নতুন ব্যবসার ক্ষেত্রে সব থেকে জরুরি ও গুরুত্বপূর্ণ বিষয় হলো ব্যবসার মার্কেটিং করাটা।
কেননা, যখন আপনার ব্যবসা নতুন থাকবে তখন সেবিষয়ে অনেক কম লোকেরাই জানতে পারবেন।
আর যখন লোকেরা আপনার ব্যবসার বিষয়ে জানেইনা, তখন অধিক বিক্রি হওয়ার সুযোগ থাকছেইনা।
তাই, আপনাকে ভালো করে নিজের ব্যবসার মার্কেটিং করতে হবে।
মার্কেটিং এর ফলে আপনি আপনার ব্যবসার প্রচার গ্রাহকের কাছে করতে পারবেন যার ফলে তারা আপনার ব্যবসার বিষয়ে জানতে পারবেন।
আর যখন অধিক গ্রাহকেরা আপনার ব্যবসার বিষয়ে জেনেযাবেন, তখন আপনার দোকানের বিক্রি অবশই বৃদ্ধি পাবে।
তবে, সঠিক ভাবে কিছু আধুনিক মার্কেটিং এর কৌশল ব্যবহার করে আপনি অনেক সহজেই নিজের ব্যবসাকে কাস্টমার এর কাছে প্রচার করতে পারবেন।
- সোশ্যাল মিডিয়া মার্কেটিং এর মাধ্যমে।
- ইউটিউব মার্কেটিং এর মাধ্যমে।
- ডিজিটাল মার্কেটিং এর মাধ্যমে অনলাইনে ব্যবসার প্রচার।
- কিছু unique products বিক্রি করুন যেটা অন্যান্য দোকানে পাওয়া যাবেনা।
- জায়গায় জায়গায় ব্যানার লাগিয়ে প্রচার।
- উৎসব উপলক্ষ্যে কিছু কনটেন্ট রাখুন।
- নিজের business card রাখুন এবং সেখানে ব্যবসার বিষয়ে লিখুন।
- কম দামে ভালো কোয়ালিটির প্রোডাক্ট বিক্রি করুন যাতে আপনার গ্রাহকেরা আপনার ব্যবসার প্রচার করেন।
আমাদের শেষ কথা,,
তাহলে বন্ধুরা, আজকে আমরা জানলাম কিভাবে শুরু করতে হয় কসমেটিক ব্যবসা বা দোকান। (How to start cosmetic business).
এমনিতে, যেকোনো ব্যবসা শুরু করার ক্ষেত্রে ওপরে বলা বিষয় গুলোর ওপরে নজর দিতেই হবে।
তাই, যদি আপনাদের আমাদের আজকের এই আর্টিকেল ভালো লেগে থাকে, তাহলে আর্টিকেলটি শেয়ার অবশই করবেন।
তাছাড়া, আর্টিকেলের সাথে জড়িত কোনো ধরণের প্রশ্ন বা পরামর্শ থাকলে, নিচে কমেন্ট করে জানাবেন।
আপনার সাইটের ফন্টের নাম কি?
Baluda ২