বর্তমানের এই ডিজিটাল যুগেও, অনলাইনে কাজ করে টাকা ইনকাম করার বিষয়টি নিয়ে অনেকের মনেই এখনো নানান প্রশ্ন অবশই চলে আসে। আমরা এখনও এমন এক সমাজে থাকি, যেখানে সকাল ৯-৫ টার কাজকেই টাকা ইনকামের আদর্শ হিসাবে দেখা হয়।
আর, এই চাকরি জীবনের বাইরে যেকোনো রোজগারের পথকেই সন্দেহের চোখে দেখা হয় বা ভাঁওতাবাজি বলে উড়িয়ে দেওয়া হয়। অনলাইনে বা অফলাইনে, এই ধরা-বাঁধা চাকরি জীবনের বাইরে কোনো কাজ থেকে টাকা ইনকাম করলেই মানুষের মনে নানান ধরণের প্রশ্ন উঁকি মারে।
যেমন,
- সপ্তাহে মাত্র কয়েকদিন কাজ করেই কি রোজগার করা সম্ভব?
- ঘরে বসে টাকা ইনকাম করার উপায় গুলি কি বৈধ?
- এই ধরণের কাজের পণ্য বা পরিষেবা গুলো কি আসল?
বন্ধুরা, আপনারা হয়তো জানেননা, ইন্টারনেট থেকে বা অনলাইনে খুব সহজে টাকা ইনকাম করার এমন নানান উপায় গুলি বর্তমানে রয়েছে, যেগুলিকে কাজে লাগিয়ে অনেকেই প্রতিদিন ১০০০ টাকা পর্যন্ত ইনকাম করার সুযোগ পাচ্ছেন।
আমার কথা বিশ্বাস না হলে, আপনি Google বা YouTube-এ গিয়ে এমন লোকেদের নানান online income report গুলি দেখে নিতে পারবেন যারা সত্যি অনলাইনে কাজ করে টাকা ইনকাম করে নিচ্ছেন।
এমনিতে, যদিওবা আপনার কাজের কোনো অভিজ্ঞতা বা জ্ঞান নেই, তাও অনলাইনে পাওয়া যায় এমন নানান পেইড সার্ভে ওয়েবসাইট বা মাইক্রো জব ওয়েবসাইট গুলিতে গিয়ে সাধারণ বা ছোট ছোট কাজ গুলি করার মাধ্যমে প্রতিদিন ২০০ টাকা অন্তত ইনকাম করার সুযোগ পেতেই পারেন।
অনলাইনে টাকা রোজগার করার বিষয়টি নিয়ে অনেকের কাছেই হয়তো এই প্রশ্নটি শুনতে পাবেন যে, অনলাইনে কাজ করে সত্যিই কি টাকা উপার্জন করা যায়? কিন্তু, যারা অনলাইনে ইনকাম করার বিষয়টি নিয়ে অভ্যস্ত, তারা জানেন যে, অনলাইন ইন্টারনেটে কাজ করার মাধ্যম টাকা ইনকাম করাটা একেবারেই অসম্ভব নয়।
বরং, তারা পরিষ্কারভাবে বোঝেন যে, অনলাইন ইনকাম হল এখনকার সময়ে দাঁড়িয়ে ঘরে বসে পার্ট-টাইম বা ফুল-টাইম ইনকামের অন্যতম সেরা উপায়গুলোর মধ্যে একটি। আর তাই, এখনকার পরিস্থিতিতে নানা ধরণের সুবিধার কারণে, বহু মানুষই অনলাইনে অর্থ উপার্জন করাকেই বেশি পছন্দ করছেন।
কিন্তু, দুর্ভাগ্যবশত, অনলাইন অর্থ উপার্জনের সত্যতা সম্পর্কে খুব কমই আলোচনা করা হয়।
আমরা আমাদের আজকের এই আর্টিকেলে বিস্তারিতভাবে আলোচনা করবো, অনলাইনে কাজ করে ইনকাম করার বিষয়টি কতটা সত্যি ? এছাড়া, অনলাইন মাধ্যমে টাকা ইনকামের কিছু সেরা ও কার্যকর উপায়গুলোর সম্পর্কেও আমরা আলোচণা করবো।
অনলাইনে টাকা ইনকাম করাটা কি জালিয়াতি বা লোক ঠকানোর ধান্দা ?
অনেক মানুষের কাছেই অনলাইন থেকে রোজগার করার মানে – কিছু না কিছু গন্ডগোল আছে। কিন্তু, তা প্রত্যেক্ষেত্রে একই হতে হবে, সেকথা কিন্তু বলা যাবেনা। চলুন, আগে আমরা জানি, অনলাইনে ইনকামের সত্যতা সম্পর্কে।
অনলাইনে টাকা ইনকাম করা একদমই জালি ব্যাপার নয়। তবে, এখানে ভালোর পাশাপাশি খারাপ দিকগুলোও রয়েছে, আর আমাদের উচিত, চোখ-কান খোলা রেখে অনলাইন ইনকামের প্রতিটি উপায় বা মাধ্যম গুলিকে বিশ্বাস করা।
তাই, হ্যাঁ একটা সবথেকে বড় সত্যি কথা হল এই যে, এই মাধ্যমে মানুষেরা একে অপরকে ঠকিয়ে নানানভাবে অর্থ উপার্জন করার চেষ্টা করে থাকে। ইন্টারনেটে এমন নানান টাকা ইনকামের ওয়েবসাইট এবং অ্যাপস গুলি রয়েছে, যেগুলি অবশই লোক ঠকানোর কাজ করে থাকে।
কিন্তু তার মানে আবার এই নয় যে, প্রতিটি অনলাইন ব্যবসা, ওয়েবসাইট, কাজ বা ইনকাম অ্যাপস জাল। বরং, বর্তমান সময়ে অনলাইনে কাজ করে নিয়মিত টাকা ইনকামের অসংখ্য বৈধ উপায় গুলি আপনারা পেয়ে যাবেন। এই উপায় গুলির মধ্যে থেকে কিছু সেরা ইনকামের উপায় আমরা আজকে অবশই আলোচনা করতে চলেছি।
মনে রাখার বিষয় যে, অনলাইনে কাজ করে টাকা রোজগারের জন্য কিন্তু যথেষ্ট দক্ষতা, সংকল্প ও কঠোর পরিশ্রমের প্রয়োজন হয়। অনলাইন মাধ্যমে টাকা ইনকাম করাটা কিন্তু কোনোভাবেই জলের মতো সোজা হয় না।
অনলাইনে কাজ করে টাকা ইনকাম করার সত্যতার পিছনের কারণগুলো:
অনলাইনে অর্থ উপার্জনের বাস্তবতা সম্পর্কে কোনো রকমের কোনো সন্দেহই নেই। তবে, সচেতন থাকাটা সম্পূর্ণই আপনার উপর বর্তায়। আর, এখানে আমরা আলোচনা করছি, যে কি কি কারণ রয়েছে যার করণে অনেকেই অনলাইন মাধ্যমকে তাদের রোজগারের উৎস হিসেবে গ্রহণ করতে চাইছেন।
১. যেকোনো জায়গা থেকে কাজের সুবিধা:
অনলাইন মাধ্যমে টাকা রোজগারের জন্যে যেকোনো জায়গা থেকে কাজ করার স্বাধীনতা পাওয়া যায়। আপনাকে আর কোনো ফিক্সড ডেস্ক বা কর্পোরেট ফার্মে সারাদিনের মতো ঘড়ি ধরে কাজ করতে হবে না। আপনি চাইলে নিজের বাড়িতে কিংবা কোনো ক্যাফেতে বসেও আপনার কাজ সারতে পারবেন।
তার পাশাপাশি, চাইলে ভ্রমণের সময়েও আপনার সময়মতো কাজ গুলো করতে পারবেন। অনলাইনে কাজ করার মাধ্যমে অর্থ উপার্জনের সময় আপনাকে অন্যের হয়ে কাজ করতে হবে না। এমনকি, আপনি অনলাইন পার্ট-টাইম ব্যবসা হিসেবে blogging, freelancing, course selling ইত্যাদির মতো নানান অনলাইন কাজ গুলি করতে পারবেন।
২. প্রচুর অর্থ রোজগারের সুবিধা:
এখান থেকে রাতারাতি না হলেও, কিন্তু একটা সময়ে গিয়ে প্রচুর টাকা ইনকামের সুযোগ আপনি পেতে পারবেন। হ্যা, এক্ষেত্রে আপনি কোন অনলাইন কাজ করছেন, সঠিক ভাবে কাজ করছেন কি না ইত্যাদি নানান বিষয় গুলির উপর নির্ভর করে আপনার ইনকাম হয়ে থাকে।
তবে সত্যি বলতে, অনলাইনে কাজ করে মাসে ৫০ হাজার টাকা ইনকাম করাটাও কোনো বড় ব্যাপার না। ভালো করে রিসার্চ করে দেখলে বুঝতে পারবেন, বর্তমানে একটি সাধারণ YouTube channel থেকেই হাজার হাজার লোকেরা প্রতিমাসে ৫০ হাজার আরামে ইনকাম করে নিচ্ছেন, এবং সেটাও পার্ট-টাইম হিসেবে।
চাকরিতে, যেখানে নির্দিষ্ট পরিমাণ বেতনের বিনিময়ে কাজ করতে হয়, সেখানে অনলাইন আয়ের কোনো নির্দিষ্ট সীমা-পরিসীমা নেই। এখানে আপনি যত কাজ করবেন ততটাই অধিক রোজগারের সুযোগ বাড়বে।
৩. অনলাইন ইনকামের প্রশিক্ষণ দেওয়ার সুবিধা:
অনলাইনে অর্থোপার্জনের নির্দিষ্ট পথ গুলো বার করে ফেলতে পারলে, আপনি তা অন্যদের শেখাতে পারেন এবং কিভাবে অনলাইনে টাকা ইনকাম করতে হয় সেটা অন্যান্য লোকেদের শিখিয়েও নিজের জন্য ইনকামের দারুন সুযোগ তৈরি করতে পারবেন।
এর জন্যে আপনি নানান ওয়ার্কশপ বা মাস্টার ক্লাসের ব্যবস্থা করতে পারেন। মহামারীর সময় থেকেই অনলাইন ব্যবসা বা অনলাইন ইনকামের রাস্তা গুলির চাহিদা দ্রুত বৃদ্ধি পেয়েছে। বহু মানুষই তাদের নির্দিষ্ট আয়ের পরিপূরক উপায় খুঁজেছেন।
এমনকি, করোনা পরিস্থিতিতে যেসব মানুষেরা চাকরি হারিয়েছেন, তারা অনেকেই অনলাইনে অর্থ উপার্জনের পথকেই বেছে নিয়েছেন।
দেশ বিদেশে, এই সময়ে অনলাইন ব্যবসার দ্রুত সমৃদ্ধিও ঘটছে। আর, দেখা যাচ্ছে যে, অনেক বেশি সংখ্যক মানুষই অনলাইন ইনকামের ব্যাপারে আগ্রহ দেখাচ্ছেন।
অনলাইনে টাকা ইনকাম করার বৈধ উপায় গুলি কি কি?
আপনি যদি মনে করেন যে, শুরুর থেকেই অনলাইনে প্রচুর টাকা ইনকাম করা যাবে, তাহলে আপনার ধারণা কিন্তু সম্পূর্ণ ভুল। এখান থেকে রোজগার ধরে রাখতে গেলে যথেষ্ট ধৈর্য রাখতে হয় ও অবিচল থাকতে হয়। আর তাই, এখানে অর্থ উপার্জন শুরু করার জন্য বেশ কিছু সেরা, জনপ্রিয়, উন্নত ও বৈধ পদ্ধতি সম্পর্কে আমার নিচে আলোচনা করলাম।
১. ব্লগিং:
একটি ওয়েবসাইট তৈরী করে, তাতে আর্টিকেল পাবলিশ করে ব্লগিং করার প্রক্রিয়াটি হল অনলাইন মাধ্যমের কাজ করে টাকা ইনকাম করার অনেক জনপ্রিয় ও যথেষ্ট লাভজনক একটি উপায়।
ধারণা:
- ব্লগিং করে অর্থ উপার্জন করা সহজ যদিও শুরুতে অনেক কিছু জানতে হয়।
- এখানে শুরুতে নিজের ব্লগের আর্টিকেল গুলিকে Google Search-এ rank করাতে হয়।
- ব্লগ শুরু করার সাথে সাথেই ইনকাম শুরু হয়। তবে খুব কমেও ৩ থেকে ৬ মাস সময় লাগেই।
- একজন ব্লগার হিসাবে প্রতি মাসে লক্ষ-লক্ষ টাকা পর্যন্ত আয় করা সম্ভব।
সত্যতা:
- আনুমানিক প্রায় ৬০০০ লক্ষ ব্লগ আছে, যার সাথে আপনাকে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করতে হবে।
- আপনার ব্লগ আপনাকে শুরুতেই লক্ষ-লক্ষ টাকা উপার্জনের রাস্তা করে দেবে না।
- আপনার দক্ষতাকে কিভাবে মনিটাইজ বা নগদীকরণ করবেন, তা শিখতে আপনার ঘন্টার পর ঘন্টা কিংবা কয়েক মাস সময়ও লেগে যেতে পারে।
- শুধু কনটেন্ট পাবলিশ করে দিলেই চলবে না।
- কন্টেন্টগুলোকে কিভাবে মার্কেটে প্রচার করবেন বা ওয়েবসাইটে কিভাবে ট্রাফিক বাড়াতে পারবেন সেটাও শিখতে হবে।
- SEO শিখতেই হয়।
Blogging এর সাথে জড়িত কিছু আর্টিকেল –
- Blog কি ? ব্লগ থেকে কিভাবে আয় করবেন
- ব্লগ থেকে টাকা আয় করাটা কতটা সম্ভব
- কন্টেন্ট রাইটিং কি ?
- SEO মানে কি ?
- নিজের ব্লগে কেমন আর্টিকেল লিখবেন ?
২. অনলাইন স্টোর:
অনলাইন স্টোর নিমেষে খোলা গেলেও, এখান থেকে টাকা ইনকাম করার বিষয়টা মোটেও ততটা সহজ না।
এখানে লক্ষ-লক্ষ অনলাইন স্টোর আপনার সাথে প্রতিযোগিতার জন্যে মুখিয়ে আছে। তবে যদি নিজের অনলাইন ই-কমার্স ওয়েবসাইট বা স্টোরের সঠিক ভাবে মার্কেটিং করে তাড়াতাড়ি লোকেদের কাছে পৌঁছে দিতে পারেন, তাহলে ইনকামের সুযোগ অবশই রয়েছে।
ধারণা:
- যেকোনো অনলাইন প্ল্যাটফর্মে সাইন আপ করলেই, অনলাইন স্টোর থেকে সাথে-সাথেই কেনা-বেচা শুরু করা যায়৷
- এটি প্যাসিভ ইনকামের সেরা উপায়গুলোর একটি।
- YouTube ভিডিও দেখলেই বা অনলাইন কোর্স করলেই অনলাইন স্টোর শুরু করা যায়৷
সত্যতা:
- এখানে অনন্য পণ্য নিয়ে হাজির হতে হয়।
- এখানে লক্ষ লক্ষ প্রতিদ্বন্দ্বী কোম্পানীর সাথে লড়াই করে ব্যবসা টিকিয়ে রাখতে হয়।
- অনন্য পণ্যই আপনাকে শীর্ষে থাকতে সাহায্য করতে পারে।
- নতুন দক্ষতা শেখা ও ব্যবহার করা-দুটো পুরোপুরিই আলাদা ব্যাপার।
- স্টোর খোলা সহজ হলেও ব্যবসা চালিয়ে যাওয়া বেশ শক্ত কাজ।
৩. YouTube চ্যানেল:
একটি ইউটিউব চ্যানেল থেকে টাকা ইনকাম অবশই করা সম্ভব। সত্যি বলতে, বর্তমান সময়ে অনেক শিক্ষিত লোকেরাও নিজের ফুল-টাইম চাকরি বাদ দিয়ে এই ইউটিউবে নিজের একটি চ্যানেল তৈরি করে নিয়মিত টাকা ইনকাম করে চলেছেন। আজ হাজার হাজার লোকেরা বিশ্বজুড়ে নিজের ঘরে বসে ইউটিউবে ভিডিও আপলোড করে লক্ষ লক্ষ টাকা রোজগার করার সুযোগ পাচ্ছেন।
ধারণা:
- YouTube-এ সফল হওয়ার জন্য ভালো ভাবে কথা বলার দক্ষতা দরকার।
- মাত্র ৫০০ জন ফলোয়ার থেকেই টাকা ইনকাম করা যাবে।
- YouTube চ্যানেল তৈরি করা একটা মজার কাজ।
- আপনাকে কেবলমাত্র ভিডিওই তৈরি করতে থাকতে হবে।
সত্যতা:
- কয়েক বছর আগেও YouTube চ্যানেল শুরু করা সহজ ছিল।
- বর্তমানে, প্রায় হাজার হাজার ইউটিউব চ্যানেল প্রতিদিন তৈরি হচ্ছে।
- এর মধ্যে মাত্র ৫% চ্যানেল নিজেদেরকে টিকিয়ে রাখতে পারে।
- চ্যানেল শুরু করা সহজ হলেও চালিয়ে নিয়ে যাওয়া অনেক কঠিন।
- ভিডিওর অডিয়েন্স, নিশ, ও কোয়ালিটির উপর বিশেষ নজর রাখতে হয়।
- ভালো পরিমানে ইনকাম করার জন্য প্রচুর views এবং subscribers এর প্রয়োজন।
ইউটিউবের সাথে জড়িত কিছু আর্টিকেল –
- ইউটিউবে কী কী বিষয়ে ভিডিও তৈরী করলে ভালো ?
- ইউটিউব মনিটাইজেশন কি ?
- কিভাবে ইউটিউব ভিডিও বানাবো ?
- কিভাবে ইউটিউব থেকে টাকা আয় করা যায় ?
৪. ফ্রিল্যান্সিং:
মহামারীর সময় থেকেই বহু সংখ্যক মানুষ ক্রমশ ফ্রিল্যান্সের দিকে ঝুঁকছেন। তারা কেউ ফুল-টাইম আবার কেউবা হয়তো পার্ট-টাইম হিসেবে ফ্রিল্যান্সিং করে থাকেন।
এমনিতে, ঘরে বসে নিজের সময় মতো নিজের পছন্দের কাজটি করে অনলাইনে টাকা ইনকাম করার ক্ষেত্রে ফ্রিল্যান্সিং কিন্তু দারুন একটি অপসন। তবে, ফ্রিল্যান্সিং অর্থ উপার্জনের লাভজনক উপায় হলেও, এর বেশ কতগুলো নেতিবাচক দিকও রয়েছে।
ধারণা:
- আপনি সহজেই প্রতি মাসে ভালো পরিমানে টাকা ইনকাম করতে পারেন।
- অধিক ইনকামের জন্যে একাধিক হাই-পেয়িং ক্লায়েন্ট খুঁজতে হবে।
- এখান থেকে রোজগার করতে প্রতিদিন ২-৩ ঘন্টা কাজ করতে হবে।
সত্যতা:
- ফ্রিল্যান্সিং একটি লাভজনক বিকল্প মনে হলেও এখানে ফিক্সড ইনকামের কোনো গল্প নেই।
- এখানে কাজ বা ক্লায়েন্ট খুঁজে পাওয়া অনেকটাই সময়সাপেক্ষ হতে পারে।
- আপনি একদিন, মাস এমনকি কয়েক বছর পরেও ক্লায়েন্ট খুঁজে পেতে পারেন।
- কোনো সময়ে আপনাকে দিনে ২-৩ ঘন্টা কিংবা কোনো কোনোদিন দিনে ১০-১২ ঘন্টাও কাজ করতে হয়।
Freelancing এর সাথে জড়িত আর্টিকেল –
- ফ্রিল্যান্সিং কি ?
- ফ্রিল্যান্সিং কাজ করার জন্য কিসের প্রয়োজন ?
- Freelancing কাজ কত প্রকারের কোনো পারে ?
৫. ইবুক বা অনলাইন কোর্স:
ইবুক বা অনলাইন কোর্সের টার্গেট অডিয়েন্সেরা মহামারীর শুরুতেই অনেকটা প্রসারিত হয়েছে। তবে, এখনও পর্যন্ত বহু মানুষই এই কোর্সগুলোতে বিনিয়োগ করতে পছন্দ করেন না। কারণ, তারা বিশ্বাস করে যে, এই কোর্সগুলোর বেশিরভাগই মূল্যহীন।
কিন্তু আপনি যদি, online income, digital marketing, YouTube, SEO ইত্যাদির মতো ট্রেন্ডিং টপিক গুলি নিয়ে একটি অনলাইন কোর্স তৈরি করতে পারেন, তাহলে হয়তো আপনার ই-বুক লোকেরা কিনে ব্যবহার করবেন।
এমনিতে বর্তমান সময়ে ই-বুক পড়ার তুলনায় লোকেরা ভিডিও দেখে নতুন নতুন বিষয়ে শিখতে ও জানতে পছন্দ করে থাকেন। এছাড়া, আপনার ই-বুক গুলি অনলাইন মাধ্যমে বিক্রি করার জন্যও আপনার কাছে একটি দারুন ও শক্তিশালী অনলাইন অডিয়েন্স বেস থাকতে হয়।
ধারণা:
- আপনি কোনো নির্দিষ্ট বিষয় বা ডোমেন সম্পর্কে আগ্রহী থাকলেই ইবুক লেখা বা অনলাইন কোর্স করানো সম্ভব।
- ইবুক বা অনলাইন কোর্স প্যাসিভ আয়ের বড় উৎস হতে পারে।
- কম দামে ছাড়লে লোকেরা তাড়াতাড়ি ই-বুক কিনে নিবেন।
সত্যতা:
- কোনো বিষয়ে আগ্রহ থাকলেই, সেখান থেকে আর্থিক সাফল্যের নিশ্চয়তা নেই।
- আপনাকে অবশ্যই সেলস ও মার্কেটিং কৌশল শিখতে হবে।
- অনলাইনে কোর্স ও ইবুক বিক্রি করতে গেলে, একটা বড় নেটওয়ার্ক তৈরী করতে হয়।
- ইবুক কিংবা অনলাইন কোর্সগুলো দীর্ঘমেয়াদে ভালো পারফর্ম করলে, তবেই অর্থের স্থির প্রবাহ থাকবে, নাহলে নয়।
- এখনও বহু মানুষেরা ক্লাসরুম শিক্ষাকেই বেশি গুরুত্ব দেন।
- অনলাইন কোর্স বা ইবুক কেনা তাদের কাছে অতিরিক্ত খরচ বলে মনে হয়।
পরিশেষে:
বর্তমান সময়ে অনলাইনের ক্রমবর্ধমান ভার্চুয়াল ওয়ার্ল্ড, বাড়িতে বসেই অর্থ উপার্জন করার দেদার সুযোগ করে দিচ্ছে।
আর, এই অনলাইন ইনকাম শুরু করতে গেলে, সেইভাবে কোনো বিশেষ দক্ষতা বা যোগ্যতার দরকার নেই। কেবল, আপনি আপনার মনকে সেইভবাবে প্রস্তুত করুন আর অনলাইনে কাজ করে টাকা ইনকাম করার ক্ষেত্রে আপনার হিসেবে কোন কাজটি সেরা এবং কোন কাজে আপনি আগ্রহী সেটা নিয়ে খানিকটা ঘাটাঘাটি করুন।
আমাদের আজকের অনলাইন টাকা রোজগারের সত্যতা নিয়ে লেখা আর্টিকেলটি এখানেই শেষ হল। লেখাটি পছন্দ হলে অবশ্যই তা কমেন্টের মাধ্যমে জানাবেন।
অবশই পড়ুন:
- অনলাইনে কুইজ খেলে টাকা ইনকাম কিভাবে করবেন?
- টিকটক থেকে কিভাবে টাকা ইনকাম করা যায়
- দৈনিক ৪০০-৫০০ টাকা ইনকাম করার জনপ্রিয় উপায়
- ফ্রিতে ডলার ইনকাম করার জনপ্রিয় ৫টি অনলাইন উপায়